জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ১২ মার্চ ২০১২ তারিখে আওয়ামী লীগের ঢাকা বন্ধ কর্মসূচি তথা মুড়ি খাওয়া দিবসের সাফল্য কামনা করছি
শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই চমকে গিয়েছেন! কিংবা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন! কিংবা আজকে ক্রিকেট খেলা দেখতে গিয়ে টিভির নিউজটা দেখা হয়নি বলে আফসোস করছেন এই ভেবে যে, এত গুরুত্বপূর্ণ নিউজটা দেখা হলো না! না, চমকানোর কিছু নেই। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বা সরকারের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি। এটা তাদের অঘোষিত কর্মসূচি। ভাবছেন, একটা দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরকম 'বিরোধী-দলীয়' কর্মসূচি গ্রহণ করে কিভাবে? হ্যাঁ, পারে, আওয়ামী লীগ বলেই তা পারে। এই দল জনগণের দল। বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীর আর কোনো দেশেই এরকম গণমুখী রাজনৈতিক দল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঙালির লক্ষ-কোটি বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে এই দল এমন-সব কর্মসূচির কারিশমা দেখিয়েছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল (আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি বলে সব লিখতে পারলাম না, আপনারা যে যার মতো বাঙালির লক্ষ-কোটি বছরের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের অভিনব অবদান সম্পর্কে যা খুশি পড়ে নিন)। এই যেমন ধরুন, ১২ মার্চ ২০১২ তারিখে আওয়ামী লীগের ঢাকা বন্ধ কর্মসূচি! ওইদিন কতোগুলো পুচকে রাজনৈতিক (!) দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটা তথাকথিত মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই দলগুলোর বিন্দুমাত্র জনসমর্থন না থাকলেও এদের বেশ কিছু প্রশিক্ষিত ক্যাডার আছে এবং ভাড়াটে ক্যাডার ব্যবহার করার মতো টাকাপয়সা আছে। সরকার আশংকা করছে - এই ক্যাডারবাহিনী ওইদিন মহাসমাবেশের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। এরকম অবস্থায় একটি জনমুখী-গণতান্ত্রিক-কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না! সুতরাং তারা প্রায় গোপনেই ঢাকা বন্ধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ১২-মার্চের দুদিন আগেই ঢাকাকে সাফল্যের সঙ্গে সমস্ত দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। সমস্ত দূরপাল্লার বাস-লঞ্চ-স্টিমার ইত্যাদির চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে 'অচেনা' অতিথিকে কক্ষ ভাড়া দেবার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১১-মার্চ দুপুর একটা মধ্যে শহরের ভেতরে চলাচল করা বাসগুলোও তুলে নেয়া হয়েছে, যেন নগরবাসী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অহেতুক ঘোরাঘুরি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে না পারেন! মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী 'অচেনা' মানুষ দেখলেই ধাওয়া দেয়ার জন্য ঢাকাবাসীকে নির্দেশ দিয়েছেন। দুঃখজনক ব্যাপার হলো - সরকারের এসব কল্যাণকর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছেন কোনো-কোনো মূর্খ রাজনীতিবিদ-সাংবাদিক-কলামলেখক-টকশোজীবী। তারা বলতে চাইছেন - হোটেলওয়ালারা তো 'অচেনা' লোকদেরই কক্ষ ভাড়া দেয়! শহরের এক বাসার লোক পাশের বাসার লোককেই চেনে না - তাহলে কি সর্বক্ষণ ধাওয়া-পাল্ট ধাওয়া চলতেই থাকবে? কী মূর্খ কথাবার্তা, ভেবে দেখুন! আমাদের আইন-প্রতিমন্ত্রী বিজ্ঞ-বিচক্ষণ মানুষ, তিনি যা বলবেন সেটাই ঠিক। একজন জ্ঞানী-প্রজ্ঞাবান মানুষকে 'বটতলার উকিল' বললেই তো তিনি আর তা-ই হয়ে যান না! বিচক্ষণ না হলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি তাঁকে মন্ত্রী বানাতেন? প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো গর্দানের জোর আশা করি আপনাদের নেই। সারা পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যায়গুলো হুমড়ি খেয়ে তাঁকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়ে ধন্য হচ্ছে, আর আপনারা...
যাহোক, এসব ফালতু সমালোচনায় আওয়ামী লীগের মতো একটি গভীর দার্শনিক দলের কিছু আসে-যায় না। কি বললেন? 'প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী' তো সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্র-কতৃক নিয়োজিত শক্তি, কোনো দলের নিজস্ব বাহিনী নয়!? ওইসব বইয়ের বুলি রাখুন জনাব! আপনার চেয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কম পড়েননি! এতগুলো ডক্টরেট ডিগ্রী!! আর আইন প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই-ই তো উকিল, তাঁরা কি আপনার চেয়ে কম জানেন? কথা হলো - জনগণের দল আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকবে, তখন সবই ওই দলের অংশ, কিছুই এর বাইরে নয়! কিছুই না!
সুতরাং কথা না বাড়িয়ে আসুন আমরা আওয়ামী লীগ তথা সরকারের এই মহান কর্মসূচিকে অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদান করে এর সাফল্য কামনা করে ঘরে-ঘরে প্রার্থনা সভার আয়োজন করি। আমেন!
ওহো - আপনার পাশের বাসার অচেনা লোকটিকে ধাওয়া দিতে ভুলবেন না যেন! জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আপনার এই ভূমিকা ইতিহাস শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আর হ্যাঁ, আগামীকাল সবাই ঘরে বসে মুড়ি খান। কালকে তো উনারা-উনারা খেলবেন; আপনার আর ঘর থেকে বেরুনোর দরকার নেই। হার্ট-অ্যাটাক জাতীয় কিছু ঘটলেও বেরুবেন না, ঘরেই মরুন। ঘরে থাকুন, ঘরেই মরুন...খেলা দেখুন, মুড়ি খান ! মুড়ি খাওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ সচরাচর পাওয়া যাবে না!
ফেসবুকে শেয়ার করা যাচ্ছে না কেন? সমস্যা কি?
জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে না মনে হয়
হৈতারে! এইটাও একটা সম্ভাবনা! দরদী সরকার....
এই সরকারকে ধন্যবাদ। মুড়ি খাওয়া দিবসটা না হলে এই পোস্ট টা আসত না।
আপনি কি এখনো ঢাকার বাইরে? এই ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে মূল্যবান অবদান রাখতে পারলেন না তাহলে! জাতির কাছে কি জবাব দেবেন এই অমার্জনীয় অপরাধের?
কি কন? মুড়ি খাইতে কাঠ-খড়, কুটা, বাঁশ, কন্চি সব পুড়াইয়া বাস সিনজি রিক্সায় কইরা চইলা আসছি ঢাকা শহরে। আইসা দেখি এইখানে ঈদ, কিন্তুক সেমাই, পুলাও কুরমা এহনতরি খাইতারলাম না।
ওহ! আপনি তো এখন ইতিহাসের অংশ! জাতি আপনার এই অবদান... ব্লা... ব্লা... ব্লা ...
এইটাকে ঈদ বলে অবমাননা করবেন না! এইটা মুড়ি খাওয়া দিবস! মুড়ি খান, ইতিহাসের অংশ হোন!
জাতিরে মুড়ি খাওয়ার দিকে টাইনা নিয়া আপনে বিরাট জনসভা থেইকা জাতির মনোযোগ সরাইতে পারবেন না---- না না না। আপনের এই ষড়যন্ত্রের কথা বিরোধী দল ভুলপে না।
কুন দলে যে আছি বুঝতারতাছি না।
আপ্নের কথাবার্তা সন্দেহজনক! যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আপনার এই কমেন্ট ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশংকা করছি! মহামান্য আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করছি!
হায় হায় এডি কি কন? আমি কুনু জনসভা চাই না। আরে মাথা গুলাছে, তাই কি কইতে কি কইছি। আমি আসলে মুড়িই খাইতাম চাই।
জনসভা চান না মানে? কালকে তো উনারা-উনারা খেলবেন; আপ্নে সেই খেলা দেখতে বাধ্য। ঘরে থাকুন, মুড়ি খান, কথা কম বলুন, খেলা দেখুন!
এক জাগাত শুনলাম ৭ তারিখ একদল দিছিলো এক প্যাকেট বিরানী, ৭০০ টেকা, কাইল আরেক দল দিব ৩০০ টেকা, তাইলে ঘরে বইসা থাকনটা কি ঠিক হইব? আপনে এমন উকিল, পুলিশের ডর দেখাইয়া ঘরে আটকাইয়া রাখতে চাইতেছেন, আপনেরে ধিক্কার।
৭ মার্চের সভায়ও লোক ভাড়া করে আনতে হয়!? মনটা খারাপ হয়ে গেল জ্যোতি।
আমারে জিগান কেন? আমি কি কইছি নাকি? আমার উপরে চাপাইতাছেন কেন? আমি কি আপনের শত্রু? আমি তো শুনছি। তবে ঘটনা নাতি সত্য!
আপনের কেন মন খ্রাপ? আপনেরে দেয় নাই?
না, জ্যোতি, আপনি আমার টোন-টা ধরতে পারেননি। ৭-মার্চ তো যে-কোনো একটা এলেবেলে দিন নয়! আমাদের জাতীয় জীবনের মোড় ঘোরানোর মতো একটা দিন। সেই দিনটিও আওয়ামী লীগের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যাওয়ায় এখন এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, লোক ভাড়া করে সেটা পালন করতে হয়! দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। সব ব্যাপার নিয়ে ইয়ার্কি চলে না। বর্তমান সরকারের কাজকর্ম আর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমার্থক হিসেবে ভাবলে তো ভুল হবে। মন খারাপ ওই জন্যই। ইয়ার্কি নয়, সিরিয়াসলি।
আজকাল তো সবকিছুই কারো না কারো সম্পত্তি হচ্ছে। সেটাকে তারা পুঁজি করছে।
আমি এক জায়গায় দেখলাম একজন লিখছে। তবে ৭০০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা হবে। হয়ত ফান করেই লিখেছে। জানি না তো কিছুই। আমরা তো আসলে এভাবে ভাবি না, তবে আমাদের ভাবনাতীত কতই কি তো ঘটে।
হ্যাঁ সেটাই। আমাদের ভাবনাতীত অনেককিছু ঘটে যাচ্ছে...
আজ ঢাকায় মানুষজনের কথা শুনে মনে হচ্ছিলো দেশে পাক বাহিনী আসছে যে কোনো সময় ধরে নিয়ে যাবে যে কাউকে। আওয়ামিলীগকে ধন্যবাদ ৪১ বছরের ভিতরে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে নি।
জয় মুড়ি খাওয়া দিবস
দিনের রাতে মুড়ি খাই
ভাতের উপর চাপ কমাই!
আমার খুব এরশাদ-শাসনামলের কথা মনে পড়ছিল, শান্ত! এই ধরনের প্যানিক ছড়ানোর ঘটনা তখন প্রায়ই ঘটতো!... বিরোধীদলের সাধারণ একটা সমাবেশকে সরকারীদল কেন এমন 'অসাধারণ' পর্যায়ে নিয়ে গেল, বুঝতেই পারলাম না!
মনে হচ্ছে, এরশাদ সরকারের মতো এই সরকারও ভয পেতে শুরু করেছে!
যাই হোক, আমাদের কি! চলেন মুড়ি খাই। জনগণ সবসময় মুড়িই খায়, কাজকর্ম যা করার সরকারী-বিরোধীদল করে!
মুড়ির সাথে কাবাব খাইবেন? ব্যাপক ক্ষুধা লাগছে আমার, তাই কাবাব ভেজে খাব এখন।
যা ইচ্ছে খান, কিন্তু মুড়ি সঙ্গে রাখবেন! নইলে
কামাল ভাই দিলেন তো মুড়ির দাম বাড়ায়া
একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুবাদে মুড়ির দাম বাড়ানোটা নিতান্তই তুচ্ছ বাপার! বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থত্যাগ (মুড়ি কেনার বাড়তি পয়সা) করার মানসিকতা থাকা দরকার!
আসলে বর্তমান সরকার সবার সুবিধার কথা চিন্তা কইরাই, তিল-রে তাল বানাইসে! এই ব্যাপারে হেরা বিরোধীদলরেও সহযোগিতা করতে দ্বিধা বোধ করে নাই।
হ! জনগণের সরকার কী না!
জনগণের সরকার তো বটেই! তবে শুধু নির্বাচনের দিন-টাতেই। ওইটা লিপ ইয়ার এর বাড়তি একটা দিন। বাকি (৩৬৫*৫=১৮২৫+১দিন লিপইয়ার-১দিন নির্বাচনের)= ১৮২৫ দিন, সরকার হচ্ছে দলের। জনগনের সাথে দল মিলাইলে ভুল করবেন, ভাই।
হাহাহা.. 'জনগণের সরকার' কথাটাতে বিদ্রুপ ছিলো তো ভাই!
দারুন একটা লেখা...আসুন সকলে মিলে মুড়ি খাইতে খাইতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া খেলায় দলে দলে যোগদান করে দেশ ও জাতির কল্যানে ঢাকা বন্ধ কর্মসূচীতে নিজেকে নিয়জিত করে বন্গদেশের অস্হির রাজনৈতিক পাগলামোতে সামিল হই
আমেন!
ঝালমুড়ি আমার ব্যাপক পছন্দ, বেশি করে কাসুন্দ দিয়ে আহা
খাচ্ছেন তো! তাহলে আপ্নি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন!
এমন মগের মুল্লক এ জীবনে দেখিনি।
আমি অবশ্য আগেও দেখেছি। ইনফ্যাক্ট ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আমার কৈশোর আর তারুণ্যের শুরটা কেটেছে এইরকম প্যানিকের ভেতর দিয়ে - এরশাদাংকেলের মহানুভবতায়!
আমার তো ব্যাপক সন্দ হৈতেছে আপ্নে মুড়ির ব্যবসায় নামছেন নাকী?
এখনও নামি নাই। তবে নামতেও পারি। এইরম মুড়িদিবস ঘোষণা হবে জানলে আগেই নামতাম। বিরাট ব্যবসা মিস কইরা ফেললাম! (
সম্পূর্ন ঘরে বানানি মুড়ি নাকি ইউরিয়া মিশানো সাদা ফকফকা মুড়ি! তা খালি মুড়ির কেন লগে চানাচুর, চায়ের ব্যবস্থাও করলেই ভালো হয়
কামাল ভাই ইউরিয়া সার মেশানো সাদা মুড়ি হুদা খাইতে কইছে
আপ্নেরা আইছেন মুড়ির প্রকারভেদ জানতে! দিন ফুরায়া গেল, মুড়িদিবস অস্তগামী প্রায়, এখন এইগুলা নিয়া ভাবলে চলবো?!? ইতিহাসের অংশ হওয়ার জন্য মুড়ি খান, যে কোনো প্রকাশের হলেই চলবে।
বাসায় মুড়ি শেষ হয়ে গেছে। মুড়ি কেন নিজের পয়সায় কিনে খাব? জবাব দেন।
চাল ভেজে মুড়ি নাম দিয়ে চালিয়ে দেন!
মুড়ি ব্যবসায়ী দেখি পিছলায়
মুড়ি ব্যবসায়ী জবাব দেন
কেডায় মুড়ি ব্যবসায়ী? কইলাম না, এখনো নামি নাই? ব্যাংকে যাইতে পারতাছি না। একটা খেলাপি ঋণ ছাড়া ব্যবসা শুরু করি কেম্নে? ইয়ে, মানে, শুনছিলাম, আপ্নের অফিস থেইকা নাকি ঋণটিন দেয়! বটতলার উকিল সাবের একটা রেমকমেন্ডেশন নিয়া আসলে কি একটা ব্যবস্থা করা যাইবো, ঋণাফা?!?
হিডেন মুড়ি ব্যবসায়ীরে আমরা চিনছি, আর না না করলেও চলবে
ইয়ে মানে এভাবে ট্যাগিং কইরা নাম দিলে তো দৌড়ের উপরে থাকন লাগব
ক্যান? ঋণাফা নামটাতো বেশ মধুরই লাগতেছে! একেবারে কাইব্যিক! আমলা কাইব্যিকও বলা যাইতে পারে!
ও! তিনি চলে এসেছেন!
উরনারে একবার 'ও' বললেন, একবার 'তিনি' বললেন, কাহিনী তো কিছুই বুঝতেছি না!
ও মানে ওহ
আজ দিনটা আসলেই ঐতিহাসিক। কিরম মধুর একটা নাম দিলো- ঋনাফা! আহা।
কামাল ভাইরে মুড়ি দিয়া ভিজায়া খান।
বন্ধু হৈয়া জয়িতার এই নেক্কারজনক সমর্থনরে দিক্কার
ইয়াল্লা কি কন! কিরম মিষ্টি সুইটু কিউটু এক্টা নাম!মন্ডা জুড়ায় গেলো। কামাল ভাইরে তো এ্যাওয়ার্ড দেওন দর্কার। মুড়ি দিবস বানাইলো আবার কিরম ঋনাফা নামডাও দিলো। মারহাবা।
বেলীরে বেলী, এবার গেলি?
চিপায় গিয়া গুল্লি করেন ক্যান ঋনাফা? এক ডিব্বা মুড়ি ঋন দিবেন?
কুথায় যান?
যেও না সাথীইইইইই ও ও ও ও ও ও---
আর কত চিপায় যাইতাম, বাসায় আয়, মজা করে আড্ডা দেই
আপনে এক্টা ---। এতক্ষণে কন? সারাদিন বাসায় এক্লা বসে থাক্লাম, এক্লা মানুষের খুঁজ দুইন্যাত কেউ নেয় না।
বন্দুক নিয়া দাঁড়ান, চিপা দেখলেই লুকজন ফুচকি মারে।
এখন চলে আয়, বহুত বাজার কর্ছি
চিপা থাক, আমরা খামাখা চিপা দখল করুম ক্যান
আর যাওন যাইব না চিপায়
মুড়ি আর চানাচুন আর পিয়াজ আর কাঁচা লংকা মাখা খাচ্ছি। যদিও আপনি মুড়ির সাথে চানাচুরসহ অন্যজিনিস খাওয়া যাবে কিনা, এই বিষয়ে কোনো সু-চিন্তিত পরামর্শ দেননি। এই জন্য আপনাকে কিঞ্চিৎ ধিক্কার জানাচ্ছি।
দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সরকার যা করলেন তা দেখে একটা গল্প মনে পড়ে গেলো। বেয়াদবী না হলে সে গল্পটার মোরাল (এবি'র ম্যুরাল না) টা আপনাদের বলি-
সাপের কামড় খেয়ে এক লোকের মৃত্যু হলো। লাশ দেখতে এসে সবাই আফসুস করছে। তার পরিবারের লোকজনকে শান্তনা দিচ্ছে। ভিড়ের মধ্য থেকে অতি সাবধানী কে যেনো বলে উঠলো- ইস, সাপ এমন জায়গায় ছোবল দিয়েছে; অল্পের জন্য ভদ্রলোকের চোখ বেঁচে গেলো...
আমরা ম্যাংগো পিপলদেরও বোধ করি সেভাবে চোখ বেঁচে গেলো। তাও বা কম কী !!!
মুড়িটাই আসল। এমনকি ভাত-মাছ-খিচুড়ি-মাংস-পোলাও-কোর্মা-বিরিয়ানি-পায়েস সবকিছুর সাথেই মুড়ি খেতে হবে! সবকিছু বলে দিতে হয় কেন? ইতিহাসের অংশ হতে চান আর এতটুকু বুদ্ধি খাটাবেন না, এটা কেমন কথা? অবশ্য আপনার রেসিপিও জিভে জল আনার মতোই!
চোখ বাঁচলে তো ভালোই! কালকে আর আজকে মিলে মানুষের যে দুর্ভোগ, চোখ আদৌ বাঁচলো কীনা সন্দেহ হচ্ছে!
বাসায় মুড়ি নাই
কামাল ভাই যদি একটা ব্যাবস্হা ক রতেন তাইলে আমিও এই ইতিহাসের একটা অংশ হইতে পারতাম
চাল ভেজে মুড়ি নাম দিয়ে চালিয়ে দেন! দিন ফুরায়া গেল, মুড়িদিবস অস্তগামী প্রায়, ইতিহাসের অংশ হওয়ার জন্য আর কোনো বিকল্প নাই!
চাল ভাজা আর মুড়ি কি এক হইল কি জমানা আসলো বন্ধু বান্ধব মুড়ি দিয়াও সাহায্য করে না,
থাউক আপ্নে একাই ইতিহাসে নাম লিখান, আমরা পোলাপান্রে ইতিহাস পড়ামু " এই বিশেষ দিনে তোর কামাল মামা একাই মুড়ি খাইয়্যা ইতিহাস রচনা করছিল
মুড়ি পৌঁছামু কেম্নে? বাইরে যাওয়া নিষেধ, জানেন না?
এতো ভাল হরতাল এরশাদ জমানার পর আর দেখি নাই
আমিও না! ভালোই খেল দেখাইলো আমাগো দরদী সরকার।
উপরে ঋণাফা আর বেলিফা ভালোই চিপাচিপি খেললেন! এই ঐতিহাসিক দিনে উনাদের এই আর্ষণীয় খেলা জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে!
উনাদের সাথে অতো চিপায় যাওয়া সঙ্গত মনে করলাম না, তাই আলাদা জায়গায় কমেন্ট দিলাম!
তাগো কতোবার কইছি একটু কম কম, তাও শোনে না, কলিকাল।
আপ্নেরেও তাগো সাথে চিপায় দেখা গেছে! আপ্নে কি খালি একটু কম কম কইতে গেছিলেন!?
আমি গেলে ঠিক আছে, দুইটা মেয়ে গেলে ঠিক নাই। তখন কম কম লাগে
দুইটা মেয়ের লগে আপনি একলা চিপায় কী করেন ?
ভারসাম্য বলে একটা কথা আছেনা ?
চিপায় যাইতে মঞ্চায়
)
আপনেরা তিনজনে এইখানে কি করেন? সমাবেশ? পুলিশ আপনাদের চিনে? ধরায় দিতে হপে।
আপনে আসার ফলে সমাবেশ আরো জোরদার হৈল!
আইছে দুইজন হাফেজ সাব! আমরা দুইজনে গপসপ করলাম।
কামাল ভাই বিরানী খাইয়া আইসা নয়া ওয়াজ শুরু করছেন। ধিক্কার আপনেরে।
আপনের পোস্টে তো কোলাকুলি পর্যন্ত হৈতে দেখলাম! ওইটাও গফসফ! যাউক্গা, ঐতিহাসিক দিনে এইরম ঐতিহাসিক ঘটনা অনেক ঘটে। সাক্ষীসাবুদের জন্যে এই দুইটা পোস্টই রইলো।
কিসের সাক্ষী? জানেন না সাক্ষীরে যে ঘুষ দেওন লাগে! আপনের বটগাছের উকিল জানে।
আপনের পোস্টের লিংকটা এইখানে থাকুক! রেফারেন্সের জইন্য কাজে লাগপে!
http://www.amrabondhu.com/jyoti/4590
রাজনীতির টক-ঝাল-মিষ্টি কখনো চাখতে পাইনি এই ব্লগে । আজ মুড়ি আর বিরানীর অফার একই দিনে । ধন্যবাদ দুই ব্লগারকে । আশা করি ছিলছিলা জারি থাকবে । আই মীন জ্যোতি আর আপনার চোখে ১২ই মার্চকে আগামী কাল আবারো দেখতে চাই ।
ছিলছিলা জারি থাকবে বটে, কিন্তু সকল দিবসই আর মুড়ি খাওয়া দিবস না! তবে, রাজনীতির যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে - যে কোনোদিন যে কোনো দিবস পালন করা লাগতে পারে! এই যেমন শ. আ.প্রধান দিবস, তিলকওয়ালী দিবস, আরো কতো কি!
যে স্টাইলে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টা তাতে হটাৎ সরকারের পিছন থেকে জনgone হবার সম্ভাবনা প্রচুর...
~
কী থেকে যে কী হবে, কে জানে!
আড্ডা শ্যাষ, আমি হাজির...
এইখানে কোনো আড্ডা হয নাই জনাব, মহান মুড়ি খাওয়া দিবস নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনাসভা হৈছে!
মন্তব্য করুন