কতিপয় ঘটনার গভীর অর্থ অনুসন্ধান
বিশেষ দ্রষ্টব্য - ১ : ইহা একটি ইয়ার্কি-মার্কা পোস্ট! যাহারা ইয়ার্কি পছন্দ করেন না তাহাদেরকে ইহা পাঠ না করিতে অনুরোধ করা হইলো!
বিশেষ দ্রষ্টব্য - ২ : পোস্টটি ব্লগের নারীকূলকে উৎসর্গকৃত। বিশেষ করে আজকের বার্থডে-গার্ল জয়িতা, এবং জেবীন, লীনা (দিলরুবা), তানবীরা, লীনা (ফেরেদৌস) সহ সেইসব পাষাণ নারীকূলের জন্য, যাদের সাথে পেচ্ছাপেচ্ছি করতে গেলেও ঝাড়ি খেতে হয়!!
----------------------------------------------------------------------------------------------------
যারা পথেঘাটে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন (যেমন আমাদের মীর ) এবং চোখ-কান খোলা রেখে চলেন ( যেমন আমি
), তাদের চোখে যে কতো গল্প, কতো কাহিনী, কতো সুখ-দুঃখগাথা ধরা পড়ে তার ইয়ত্তা নাই। দুঃখের গল্প তো বলিই সবসময়, আজকে দু-একটা মজার ঘটনা বলি।
ঘটনাগুলো বলার আগে সামান্য একটা ভূমিকা দেয়া দরকার। সুন্দর কিছু দেখলে যেমন কারো না কারো সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছে করে, কাউকে দেখাতে ইচ্ছে করে, যেন একা দেখে দেখাটা পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না, খুব প্রিয় কারো মুখ মনে পড়ে, মনে হয় - আহা, যদি সে সঙ্গে থাকতো তাহলে কতোই না আনন্দময় হতো এই দেখাটা; তেমনি মজার কিছু দেখলেও কাউকে-না-কাউকে জানাতে ইচ্ছে করে! কিন্তু কাকে জানাবো? বন্ধুদের জানানো নিষ্ফল, তারা তাদের অতিব্যস্ত জীবন নিয়ে আমার মতোই হিমশিম খাচ্ছে।
আবার, আমাদের মাসুম ভাইয়ের মতো সৌভাগ্যবানও আমি নই, ফলে আমার হাজারখানেক বান্ধবীও নাই।
হাজারখানেক দূরে থাক, একজনও নাই।
ফলে হাতে মোবাইল থাকা সত্ত্বেও কাকে জানাবো সেটা হাতড়ে বেড়াতে হয়!
বউকে জানানো যায় অবশ্য, কিন্তু তিনিও সমাজ-সংসার বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মহাব্যস্ত; কখন যে কী মুডে আছে সেটা তো আর দূর থেকে জানার উপায় নাই, ফলে ঠিক সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারি না।
সমস্যাটার সমাধান করলাম, বিচিত্র উপায়ে। সিদ্ধান্ত নিলাম - সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলাপ করবো বড় বউয়ের সাথে; আর মজার ঘটনাগুলো শেয়ার করবো ছোট বউয়ের সঙ্গে! আঁতকে উঠলেন ক্যান? আমি দুইটা বিয়ে করি নাই রে ভাই! এইটা একটা কাল্পনিক ভাবনা। মানে, একই চরিত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে দেখা!
বোঝেনই তো, ছোটবউরা একটু আহ্লাদী টাইপ হয় সাধারণত, অভিজ্ঞতা না থাকলেও সেরকমই শুনেছি আর কি, ফলে এই টাইপের ব্যাপারগুলো তার সাথে জমবে ভালো বলে ধারণা করে নিলাম!
অবশ্য সবসময়ই তার সাথে কেবল মজার কথাই বলবো তা-ও না, সুখ-দুঃখের আলাপও চলবে সময়-সুযোগ মতো। এইভাবে একটা মনমতো সমাধান পেলাম। ফলে এই লেখায় ছোটবউ একটা চরিত্র হিসাবে আসবে!
ঘটনা - ১
মালিবাগ বাজার রেলগেটের কাছে। ট্রেন চলে যাওয়ার পর সরু গলিতে দুই পাশ থেকে রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, গাড়ি, টেম্পু, বাজারমুখী মানুষের গাদাগাদি ভিড়! যেন পাগল হয়ে উঠেছে সবাই, কে কার আগে যাবে এই নিয়ে তীব্র উত্তেজনা, কিন্তু কেউই নড়চড় করতে পারছে না, জট লেগে গেছে! এর মধ্যেই কীভাবে যেন একটা রিকশা কেটেকুটে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলো। তার রিকশার বেল অবিরাম বেজে চলেছে, মুখে তুবড়ি - এই সাইড সাইড, ওই মিয়া বায়ে চাইপা হাঁটেন, পুরা রাস্তা দখল কইরা হাঁটতেছেন, মনে হইতেছে রাস্তার মালিক আপ্নে, সাইড হন...
মানুষের গাদাগাদি ভিড়, রিকশাওয়ালার তর্জন-গর্জন শুনে কেউ কেউ সভয়ে পথ ছেড়ে প্রায় দোকোনের মধ্যে সেঁধিয়ে গেল। কিন্তু সবাই তো একরকম হয় না, কেউ কেউ আমাদের রায়হান ভাইয়ের মতো প্রতিবাদীও হয়ে থাকেন! তেমনই একজন তেড়ে উঠলেন - ওই মিয়া সাইড হমু কেম্নে, জায়গা কই?
রিকশাওয়ালা : আপ্নে কেমনে সাইড হইবেন সেইটা আমি কেম্নে কমু! আমারে যাইতে দেন!
পথচারী : যাও! তোমারে না করছে কে?
রিকশাওয়ালা : আপ্নে সাইড না অইলে যামু কেম্নে, সাইড হন মিয়া!
পথচারী : কই সাইড হমু?...
.... দীর্ঘ চলমান অমীমাংসিত তর্ক এবং তারপর...
পথচারী : যাওয়ার জন্য পাগল হইছো ক্যান? খালি হোক তারপর যাও!
রিকশাওয়ালা : পাগল তো হমুই, প্যাসেঞ্জাররে পৌঁছায় দেয়ার জন্য পাগল তো হমুই, আমি আপ্নের মতো খাড়ায়া খাড়ায়া মজা লুটার মানুষ না...
পথচারী : হ! পাগল হও। নিজে পাগল হও, সবাইরে পাগল বানায়ো না! বুঝছো মিয়া, নিজে পাগল হও অন্যরে পাগল বানায়ো না...
আমার হাতের মোবাইল যথারীতি সক্রিয় হয়ে উঠলো, মেসেজে ঘটনার সারসংক্ষেপ লিখে পাঠিয়ে দিলাম ছোটবউরে। সাথে দাঁত বাইর করা একটা হাসির ইমো!
উত্তরে ওইরকম ইমো এলো গোটা তিনেক, সঙ্গে এক লাইনের মেসেজ - তুমি এইসব ঘটনা কই পাও?
আমি লিখলাম - রাস্তাঘাটে পাই। জানোই তো। আমিও আসলে তোমারে এই কথাই বলতে চাই - নিজে পাগল হও, সবাইরে পাগল বানায়ো না।
এবার উত্তরে আসলো একাধিক রাগের ইমো!
ভাবলুম - আহা দুনিয়ার নারীজাতি যদি এই ব্যাপারটা বুঝতো! যদি সবাইরে পাগল না বানায়া নিজে একলা পাগল হইতো- দুনিয়াটা কতোই না সুখের হইতো!
ঘটনা - ২
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার পদ্মা-সুরমা সিনেমা হলে বি-শা-ল সিনেমার ব্যানার। ছবির নাম ১ টাকার ছেলে, কোটি টাকার মেয়ে ; পরিচালক কমল সরকার। ১ সংখ্যাটা এমনভাবে লেখা হয়েছে যে - এভাবেও পড়া যায় - ১ টাকার ছেলে, ১ কোটি টাকার মেয়ে! কোনটা যে আসল নাম, আল্লা মালুম। যেটাই হোক না কেন, আমি এই নামের দার্শনিকতায় মহামুগ্ধ হয়ে গেলাম। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হা করে মুগ্ধ চোখ তাকিয়ে রইলাম ব্যানারের দিকে। অবশ্য ব্যানারে নায়িকার ছবিটাও আকর্ষণীয়ই ছিলো, তবে আমি নিশ্চয়ই নায়িকাকে দেখছিলাম না! আমি তো নামে মুগ্ধ।
যথারীতি ছোটবউকে মেসেজ।
উত্তর - দাঁত বের করা হাসি।
আমি লিখলাম - মিলে গেল!
ছোটবউ - কি?
আমি - ১ টাকার ছেলে, কোটি টাকার মেয়ে!
ছোটবউ - মানে? বুঝলাম না!
আমি - মানে হইলো, তুমি কোটি টাকার মেয়ে, আর আমি এক টাকার ছেলে!
উত্তরে একগাদা নানামাত্রিক ইমো এলো- ইমো তার খুবই পছন্দের জিনিস - সব কটার মানেও আমি বুঝি না। তবে সেখানে ঠোঁট বাঁকানো, মুখ বাঁকানো, রাগে শিঙ ও দাঁত বেরুনো নানারকমের ইমো থাকলেও কোনো হাসি-টাসির ইমো ছিলো না।
আমি গভীর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবলুম - জগতের সকল প্রেমিকের কাছেই তার প্রেমিকা কোটি টাকার মেয়ে! আর সকল প্রেমিকার কাছেই তার প্রেমিক এক টাকার ছেলে। জগৎ কতো বদলালো দিনে দিনে, কিন্তু এই ব্যাপারটা আর বদলালো না! (
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
এবার ঘটনা নয়! সামুতে একবার একটা পোস্ট পোস্ট দিয়েছিলাম অরুণাভ সরকারের একটা কবিতা নিয়ে। সেটা থেকে কিছু অংশ তুলে দিই :
...............................................................................................................................
আসুন, সকলে মিলিয়া অরুনাভ সরকারের 'নারীরা ফেরে না' কবিতাটি পাঠ করি-
যাওয়া বলে কিছু নেই, সবই ঘুরে-ফিরে আসা শূন্যতায় মাথা কুটে ফিরে আসে সমস্ত সংলাপ সব শীৎকার, চীৎকার বিশাল রণপা-য় চেপে প্রাচীন গোধূলী ফিরে আসে, নীলিমা ভ্রমণ শেষে ফেরে পাখি, নদী, তারও গতি নয় শুধূই সাগরে সে-ও মেঘে মেঘে ঝর্ণার নিকটে ফিরে যায়। তবু একবার চলে গেলে নারীরা ফেরে না
দেখা যাইতেছে, সকলই ফিরিয়া ফিরিয়া আসে, কেবল -
একবার চলে গেলে নারীরা ফেরে না
অন্তত কবি তাহাই মনে করেন। আমিও তাঁহার সঙ্গে সহমত পোষণ করি! আপনাদের মত কি?
...............................................................................................................................
পোস্ট-টার প্রয়োজনীয়তা এখনও বোধহয় ফুরায় নাই। প্রশ্নটাও জাজ্বল্যমান।
আমাগো মীরদা যে পথেঘাটে ঘুরতে ভালোবাসে তা জানা ছিল না
..নতুন তথ্য জানলাম। । ঘটনা-১ দারুন। 
ক্যান, মীরই তো তার পোস্টে লিখেছে - রাস্তায় ঘুরেই তার দিনের একটা বড়ো অংশ কাটে - পড়েই নাই!?
হ, দারুণ!
আপনার ছোট বৌতো মারাত্মক সুইট।
হ! নিজে বানায়া নিছি তো, তাই ওরকম সুইট! আল্লায় বানাইলে ভেজাল দিয়া বানাইতো!
কামাল্ভাই, আপ্নারে ঝাড়ি দিলো কে? নাম ঠিকুজি বলেন দিকিনি!
আর আমরা পাষাণ! আসুক তাতা'পু! কমেন্ট দিয়ে আপ্নের সব "লাইক" কেড়ে নিলে বুঝবেন!
কাউকে কিছু জানাতে এসএমএস করতে এত্তো ভাবেন কেন, যেই বন্ধুর কথাই মনে আসবে দিয়ে দিবেন, দেখবেন যাদের কাছ থেকে কোন প্রত্যাশাই করছেন না, তারাই দারুন রেসপন্স করে দিচ্ছে!
এইকালেও রাস্তায় দাড়ায়ে পোষ্টার দেখেন!
আর আদ্দিকাল থেকেই বড়বৌগুলো সব সাংসারিক ঝামেলাই সাম্লে চলে, আর ছোট্টগুলা আলতারাঙ্গা পায়ে রিনিকঝিনিক চুড়ির ঝংকার তুলে! ভালোই বুদ্ধি আপ্নের একসত্তাকে দু'ভাগে ভাগ করছেন! তবে এসএমএস দেবার টাইমে কি করেন। প্রতি বড়বৌ/ছোটবৌ করে দেন নাকি?
আমি আপ্নেগো ঝাড়ির ওপরই থাকি সবসময়! এই যেমন আপ্নে আইসা তাতাপুর ডর দেখাইলেন! আমি অবশ্য ড-ড-ড-রাই না!?
বন্ধুগো কথা আর বইলেন না, এইগুলা সব হোপলেস!
অবশ্য আমিও তাই! 
খালি পোস্টার না, আমি সবই দেখি! আর ওইটা পোস্টার না। সিনেমা হলের ব্যানার! বড়োই সৌন্দর্য!
কিন্তু আপ্নে 'এই বয়সে ' বলতে কি/কী বুঝাইলেন!?!
এসএমএস দেয়ার সময় কী করি সেইটা আপ্নেরে কমু ক্যান!
্দেখেন আপ্নারে যা বলি কিচ্ছু কি আমরা বানাই, সব আপ্নের কথারেই আমরা এট্টু উলোটপালট করে দেই আর কি?
যাজ্ঞা, ইদানিং কি ভাবি ব্লগ পড়েন, এদ্দিনবাদে কোন পোষ্টে উনার কথা এলো তাই জানতে মন চাইছে! সরল কৌতুহল
আমার কোন কথারে 'এট্টু উলোটপালট করে' বললেন বুঝায়া দেন
কোন ভাবীর কথা জিগান? বড়ো না ছোট?
ছোট্টজনের কথা জিগাই, কারন সব বড়বড় কাজ সাম্লে এইসব নেটেঘুরা কি উনার কম্ম! এইসব দেখেশুনে বড়জনের কাছে চুগলামি করাতো ছোট্টবৌয়েরই সাজে!
ছোটবউরে নিয়া আজেবাজে কথা কইবেন না, খবরদার
সে বড়োই মিষ্টি... সুইইইইইট
খাইছেরে
আপ্নের কি সমস্যা!?
উনার ডায়াবেটিক তো! মিষ্টি শুইনা ডরাইছে।
ডায়াবেটিক!!! ইয়া আল্লা! এম্নেই দারোগা আফা, তারউপর ডায়াবেটিক!! আপ্নে তো সব গুপন ফাঁস কইরা দিলেন জয়িতা! এখন উনার বিয়া হইবো কেম্নে!?!

ইয়াল্লা আমি এসপ কি কইতাছি। আপনের ডরে সব প্যাঁচ লাইগা যাইতেছে। তবে উনার তো বিয়া হইয়া গেছে। হে হে হে। উনার জামাই পুলিশ। বন্দুক আছে। আপনে যে ব্লগে উনার সাথে গপ করতাছেন পুলিশ সব দেকতাছে। যে কোন সময় ফুট্টুস। দোয়া পড়েন।
এতক্ষণ পর এইটা কি শুনাইলেন!
লাইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমিন!!!
এই থ্রেডে এসব কি কথা হচ্ছে
আপ্নের সম্ভাব্য বিবাহ নিয়া দুশ্চিন্তা করা হচ্চে!
জেবীন, তুমি “স্যার আঙ্কেলকে” ঝারি দাও!!!
বেচারা বহু কষ্টে আছেন। স্টিভেন হকিং এর মতো এখনো
নারীদের রহস্য উদ্ঘাটনের গবেষনায় ব্যস্ত আছেন।
মানুষকে পাগল না করে নিজে পাগল হওয়ার ব্রত নিয়েছেন। (আহা বড় ভালু লুক ছিলেন)
আর এই বয়স বলতে তুমি কি মীন করতে চাইছো এখানে? “স্যার আঙ্কেলের” কি বয়স বেশি? মাত্র মাথায় গোলাপ লাগানোর দিন আসছে
তুমারে তীব্র দিক্কার 
এই যে তিনি আসছেন!
আন্টি হওয়ার পর চুলে গোলাপ গুঁইজা ঘুইরা বেড়ান, লাজ-শরমের বালাই নাই, আসছেন লেকচার ঝাড়তে!

গোলাপ কি লজ্জার বিষয় নাকি স্যার আঙ্কেল? লজ্জা ত্যাগ করুন, গোলাপ গুজুন
এইটাও বুঝেন না! ভীমরতিতে ধরছে আর কি!

স্যার আংকেল না অবশেষে নানা হলেন! @ আন্টি তাতাপু
এইতো দেখেন কত্তোবড় একটা পয়েন্ট মিস করছিলাম আমি!
ব্ল্যাকেনহোয়াইট হইয়া কানে গুলাপি ফুল, কামাল্ভাই লাগবেন তাতে সুপার কুল! 
হাহাহা-----
ইয়ার্কি-মার্কা পোস্টখানা ভালা পাইলাম!!
আপ্নে তো দুই-চাইরটা হাসির ইমো দিতে পারতেন!
অ! আপ্নে তো পাষাণ নারীজাতির অন্তর্গত! দিবেন কেম্নে!?
থ্যাংকস।
দিবেন না সেইটা তো আগেই জানি! পাষাণ-হৃদয়হীন নারীজাতি! আছে খালি রাগ!
>)
কি জানি!
আমার তো মন হয়,
নারী রাই ফিরে আসে।
যত দুরে যায়,
ততই আরো কাছের হয়ে ফিরে আসে!
অবশ্য,
এই মতামত কতদিন টিকে সেটাও দেখার বিষয়। দিনদুনিয়ার কত কিছুই তো এখনো দেখার বাকি!
বুঝছি! এখনও ছ্যাকাট্যাকা খান নাই আর কি!
লাইক কর্লাম কামাল ভাই...
হ! এবার জেবীনরে জিগান সে আমার বয়স নিয়া প্রশ্ন তুললো ক্যান!
ইস যদি বউ থাকতো

বড়, মেজ, সেজ, ছোট
মিশু দেখি সুন্নতি লুক!
সুন্নতি ইরাদা। খুব ভাল লাগছে ভাইজান।
উত্তম খায়েশ!
খোদা মেহেরবান আপ্নের খায়েশ পূরণ করুক।
তবে জীবন বিনাশ হইলে কাউরে দোষ দিয়েন না আবার!
@ মিশু
এই বিষয়ে তো কয়েক শ গান আছে .... আপাতত এইটা শুনেন -
http://www.youtube.com/watch?v=eX_Z7Tdp3gw
এই গানের মাজেজা বুঝি নাইক্কা!
এই আহেম পোস্ট এ একটা কালজয়ী কমেন্ট করার চেষ্টা করতেছি। বিসমিল্লাহ
রাসেল এর সাথে সহমত, আপনার ছোট বৌ-টা সুইট আছে
(ইয়ে মানে ছোট বৌ'র পরিচয়টা যদি দিতেন
, তিনি কি সত্যিই ইনভিজিবল?
)
আপ্নে বললেন তিনি খালি ইমো দেন, আপনার এই পোস্ট-এ এতো ইমো ক্যান!
নারী জাতির সব সদস্য উপস্থিত থাকলে একটু পেচ্ছাপেচ্ছি করতাম, কেউ নাই, আফসুস
এই আপ্নের কালজয়ী কমেন্টের নমুনা!
ছোটবউ তো আমার কাছে ভিজিবল, আপ্নের কাছে কী তা আমি কেম্নে জানুম
এই পোস্টে ইমো দেয়া হইছে তিনার সম্মানে, মানে উনি এইরম ইমো দ্যান আর কি!
অনলাইনে জেবীন-জ্যোতিরে দেখা যাইতেছে, আপনে কি কইতে চান উনারা নারী না!?

আমিও কালজয়ী কমেন্ট দেইনাই, আশেপাশে জনবল দেখি নাই বলে! কথায় আছে, জনেরে যমেও ডরায়, আর এতো মামুলি কামাল্ভাই!
জেবীন, আমি তো ডরায়াই আছি। পোস্ট উৎসর্গ কইরা মন রক্ষার চেষ্টা কইরাও লাভ হইতেছে না! যা তা কথা কইতেছেন!
আমার কালজয়ী কমেন্ট আপনার পছন্দ হয় নাই?
অবশ্য আমরা খারাপ ছাত্রী, হাতের লেখা খারাপ, আড্ডা দেই আর সাজুগুজু করি তো, আমাদের দ্বারা কি কালজয়ী কিছু করা সম্ভব?
(
তো এবার আসল কথা বলি। আহেম আহেম এন্ড আহেম। তিনি তাইলে ভিজিবল
জয়িতারা মনয় ঘুমায়
আমি ঘুমাই নাই। কিছু কইলেই কামাল ভাই আমারে ঝাড়ি দেয় কেন জানি! এখানে আমার নাম লিখলো আমি নাকি ঝাড়ি দেই। তাও প্রতিবাদ করার সাহস পাইতেছি না।
পুরুষের নির্যাতন আজ ঘর থেকে ব্লগে ব্লগেও বিরাজমান। হায়! নারী জাতি আজ কমেন্ট করতেও ভয় পায়। কি হবে এই অসহায় নারীদের? তারা আজ বাকহারা। ব্লা ব্লা ব্লা
এই অভাগা পোস্টে বার্থডে গার্ল-এর কমেন্টধূলি পড়লো তাইলে। বর্তে গ্লাম
লীনা, আপ্নে তো দেখি মাসুমভাইয়ের ফেবু কমেন্ট দু-একটা শব্দ এদিক-ওদিক কইরা পেস্ট কইরা দিলেন এইখানে! কপিরাইটের মামলায় পড়বেন তো! অনুমতি নিছেন?!?
আমি এতোই খারাপ ছাত্রী যে নিজে এক্টা কমেন্টও করতে পারি না

না, মানে, কপিরাইটের কথা এম্নেই কইছি! বন্ধুর কমেন্ট কপিপেস্ট করলে তেমন আইনগত ঝামেলা নাই মনে লয়!

আমি কমেন্ট কপিপেস্ট করছি!
(
একটু এডিট কইরা পেস্ট করছেন আর কি! অসুবিধা নাই মনে লয়! বন্ধু-বান্ধবই তো!
আপ্নের কালজয়ী কমেন্ট তো পড়তেই আছি, শেষ হইতেছে না
সাজুগুজু করেন ভালো কথা, এর মইধ্যে আবার ছাত্রীত্ব টাইনা আনলেন ক্যান
জয়িতা ঘুমায় না! তিনি বোধহয় সাজুগুজু কইরা বার্থডে পার্টিতে গেছেন। কিংবা এই পোস্ট দেইখাও দেখেন নাই! তিনি আবার যার-তার পোস্টে কমেন্ট করেন না কী না! অবশ্য আপ্নেও একইরকম! কী আর কমু! আমার পোস্ট আলগোছে এড়ায়া যান! পাষাণ নারীজাতি!

জয়িতারে আপনে এত বিষদৃষ্টিতে দেখন কেন? আপনের লেখা যে কত্ত পছন্দ করি তা আর কত বলব! আমার কথার পাত্তা নাই বলেই কি! আমি মিষ্টি করে বললেও আমারে ঝাড়ি দিবেন, আর লুকজন ঝাড়ি দিলেও চোখের দৃষ্টিতে মিষ্টি ঝড়াবেন। কি আর করা, নিয়তি।
এইটা কি কইলেন জয়িতা!? আইজকা সারাদিন ভইরা আপ্নে লগিন রইলেন, পোস্ট দিলাম দিনে, আপ্নে পোস্টে আইলেন রাত দুফুরে। এই সময়ে বুড়িগঙ্গায় কত্তো কালো জল গড়িয়ে গেলু!
( সেই জন্য একটু মনের দুঃখ প্রকাশ করলাম। আর আপ্নে এইটারে কইলেন ঝাড়ি!!!

সারাদিন পরে এখন পিসি তে বসলাম। মোবাইল দিয়া ব্লগে ঢুকি তাই লগ ইন দেখায়। আপনার পোস্টও পড়েছি। আর এখন পিসিতে বসলেই এক্টু পরে বিদ্যুৎ যায়, যন্ত্রণা।
(
ঝাড়ি তো দিলেন। ইদানীং সবসময়ই দেন। দুন্যাইত কাউরে ভালু পাইলেও লুকজন এরম করে!
এখন কতো কারণ দেখাইবেন! পোস্টে পোস্টে আপ্নের কমেন্টের বন্যা! খালি আমার পোস্টে আইলেই বিদ্যুৎ যায়!
জ্বি পড়েন, শেষ হলে তো তা আর কালজয়ী হবে না
আপনার পোস্ট আজ সারারাত যদি খোলা না রাখি ( খোলাই রাখতে পারি, ঘুমায় গেলে কমেন্ট কেম্নে করুম!) তাহলে আমার নাম লীনা দিলরুবা না, তাও দয়া করে হুমকি দিয়েন না
দেখছেন লীনাপা! কামাল ভাই কেমন পাষাণের মত কথা কয়!
পাষাণ তো পাষাণ, কেম্নে ঝাড়ি দিলো। এমন ঝাড়ি জীবনেও খাই নাই
মাঝে মাঝে দেখি রাত জেগে কুটকুট গপসপ করে, দেখেও ডরে কিছু কইতে সাহস পাই না।যাই বলব আমারে ঝাড়ি দিবে।
( এইটা কি ঠিক? আপ্নেই বলেন ঋনাফা।
রাত জেগে কুটকুট! ইয়াল্লা! কই, কেন, কিভাবে!
এই যে কূটনামী শুরু হইছে!

কুটনামী! কে করতেছে? আমি আর জয়িতা? তা তো করতেছি
কিন্তু রাত জেগে কুটকুট ব্যাপারটা ফয়সালা হলো না কামাল ভাই 
থাক কমু না দারোগা আপারে। আপনে অন্যদের কাছ থেকে শুইনেন। দেখেন না কূটনামী কইতাছে!
দারোগা আফা!
)
এইটাই ঋণাফার জন্য পাফেক্ট নাম! থ্যাঙ্কু জয়িতা!

ভুল কইরা কইছি কামাল ভাই। আপনে তো মাস্টর। জানেন না ডরাইলে যে ইস্টুডেনরা উল্টাপাল্টা কয়!
ঋনাফা, থুক্কু দারোগাফা, থুক্কু ---কমুই না কিছু। গোলাছি
বন্ধু হয়ে জয়িতা শত্রুর মত কাজ করছস, তোরে দিক্কার
সত্য কথা তিতাই লাগে!
সকালে না আলাবু কইছেন! এখন আবার ধিক্কার! দুলাইভাইয়ের কাছে বিচার দিমু কইলাম।
অ! আপ্নেতো আবার দুলাভাইর কূটনী সাগরেদ!
(কপিরাইট : রাসেল)
এইরকম বিপদজনক ইমো আপ্নে কারে দিলেন!?!

হ, আমার পোস্টে আইলেই আপ্নের খালি ঘুম আসে! থাক আর কিছু কইলাম না!

উৎসর্গে আমার নাম দেখে ব্যপক বেশী খুশী হইলাম। যদিও আমারে অপবাদ দিলেন।
আপনার ছোট বউটা লুক ভালো মনয়। আমাদের সাথে পরিচয় করায় দিয়েন, আড্ডামু একদিন।
জগতের সকল প্রেমিকের কাছেই তার প্রেমিকা কোটি টাকার মেয়ে! আর সকল প্রেমিকার কাছেই তার প্রেমিক এক টাকার ছেলে--- কথাটা উল্টা হইছে।
অপবাদ দিলাম কই?!?
এত্তো সুইট কইরা বার্থডে-গার্ল ডাকলাম, সবার আগে আপ্নের নাম নিলঅম তা-ও আপ্নের মন গললো না! কপাল আমার!
ছোটবউরে আপ্নেগো সাথে পরিচয় করায়া দিয়া মরুম নাকি!? আপ্নেরা কুটনামি কইরা তার মাথা আউলায়া দিতারেন!
কথাটা উল্টা হইছে!? সেইটা তাইলে সিনেমার পরিচালকরে গিয়া কন!
হইলাম তো আমার নাম দেইখা দিলখুশ। খুশি বেশী প্রকাশ করতে পারি না ,ডরে তব্দা খাই।
আমরা কূটনামী করি? কবে? খালি অপবাদ দেন কেন?
ঢং কইরেন না! 'ডরে তব্দা খাই' !! হুঁহ!
আপনে ঢং কইরেন না। আমি সত্য কথাই কইছি।
ঢং কারে কয়!?
কামাল ভাইয়ের আজ খবর হ্যাজ।
নেত্রী কেবল লগ-ইন হয়ছে অফিস শেষ কইরা বাড়ি যাইয়ে নিক তারপরে বুঝাবেনে কত গমে কত আটা হয়।

ডর দেখাইলেন!? আপ্নে কি নেত্রীর সাগরেদ নাকি!?
নেত্রী আসার আগে সাগরেদ সিকিউরিটি দেখতে আসছে।
চারদিকে খালি নেতা-নেত্রী-সার্গেদ
এইসব নেতা-নেত্রী-সার্গেদ দেইখা ড-ড-ড-রাইনা!
ধরা খাইলে তারপর বুঝবেন কত ধানে কত চাল
জয়িতা- রাসেল দেখেন না দুই সৈনিক
একজন আবার ল্যাবের সৈনিক 
সুবিধা নাইক্কা! ল্যাবরে ম্যানেজ করার লাইগা তো আপ্নেই আছেন। আর ক্যাপ্টেনরে ম্যানেজ করার জন্য মেজরসাবরে কিছু ঘুষ-টুষ দিয়া দিলেই চলপে!

কি কইতে গিয়া কইলাম না। কথা খালি ভুলে যাই।
ভুললেন ক্যান জয়িতা?!? কারো কারো কথা দেখি একেবারেই ভুলেননা, খালি আমার ক্ষেত্রেই...!
karo karo kedai?
Karo karo katha na vule mone rakhtei sadh hoi.sukher moto betha.
Apnake kobe vullam?apnake valu pai to.
ল্যাব আবার কি? সুইট পুলিশরে এরম নাম দেওয়ায় ধিক্কার।
আসলেই ল্যাব ব্যাপারটা কি? ফেবুতে মেসবাহ ভাইরে জিগাইলাম, উত্তর দিলো না! আমি তো না বুইঝাই কইলাম!
আপনের বন্ধু আর তার সাগরেদরে জিগান।
বন্ধু আর তার সাগরেদ আবার কিডা!?
ল্যাব হইলো আমগো দারোগা আফার শ্বশুরের নাতনীর মায়ের সোয়ামীর নাম... আমরা হেরে আদর কৈরা ল্যাব কৈ
প্যাঁচ লাইগা গেল! অনেক চেষ্টা কইরাও জট খুলতে পারলাম না!
কিন্তু ল্যাব মানেটা তো কইলেন না! 
আপ্নের চোখেও সমস্যা!! দারোগা-ডায়াবেটিক পেশেন্ট- চোখে সমস্যা! ইয়া আল্লা! এই মাইয়ার বিয়া হইবো কেম্নে!?!

আমি ছিলাম না। এমুন সময়ে পেচ্ছাপেচ্ছি হয়ে গেছে। মানি না। কামাল ভাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক্কার
দরকারের সময় টইটই কইরা ঘুইরা বেড়ান, আর এখন ধিক্কার জানাইতে আইছেন!
পাষাণ নারীজাতি আমারে কী ভোগানই না ভোগাইলো! একজন বীরপুরুষও পাওয়া গেলো না আমার পাশে আইসা দাঁড়ানোর জন্য! ধিক্কার! 
না না এটা কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না। সরকার শুধু ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আইন করে। আর এইবেলা? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব চাই।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! এরা একেকজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়েও ভয়ংকর মহিলা! আপ্নে যে কেম্নে এদেকে নিয়া কবিতা লেখেনবুঝতারি না!

আড্ডার পিক আওয়ারে না আসলে খালি কমেন্টগুলান পড়ে আপসোসটাই বাড়ে। এবারো বাড়িয়ে গেলাম!
কথা ঠিক
কী আর করবেন! মধ্যরাত না হইলে আপ্নেগো সময় হয় না! অবশ্য আমারও একই অবস্থা। আমি তো প্রায় সবসময়ই আড্ডা মিস করি। আজকে কিছুটা আজাইরা সময় পাইছিলাম...
আড্ডার পিক আওয়ারে না আসতে পারলে কমেন্ট পইড়াই খালি আপসোস বাড়ে। এবারো আপসোস বাড়লো!
...এবং যথারীতি আড্ডান্তে আমার আগমন
দেরিতে আইলাম


একবার দল বাইন্ধা পুর্বাচলে প্লট দেখতে গেছিলাম। সেইখানে সিনেমার পোস্টার দেখার একটা ঐতিহাসিক ছবি ছিল। অনেক খুঁইজাও পাইলাম না।
কারো কাছে কী আছে?
মুনমুন আর ময়ুরী চইলা যাওয়ার পর সিনেমার পোস্টার দেখনের আগ্রহ হারাইয়া ফালাইছি
একটু স্মৃতি রোমন্থন করি-
আরে! তেমন কইরাই কি কামাল্ভাই ব্যানার দেখতেছিলো নাকি!
ওহ! অই ছবিটা আপ্নের ক্যামেরাতেই তো ছিলো। অন্য কারুর কাছে নাই মনে হয়।
আহা! দেইখা নয়ন জুড়ায়া গেল
পূর্বাচলের ছবিটা আরকেটু খুঁইজা দেখেন মাসুম্ভাই; আমি তো ছিলাম না, কৌতূহল হইতেছে
মন্তব্য করুন