একটা আনন্দের ব্লগ লিখি
আমাদের জীবন তো নানা বিপর্যয় আর দুর্ভাবনায় ভরা। আজকে আর সেসব কথা না বলি। বরং বলা যাক, আনন্দময় কিছু কথা।
ক্রিকেট আমি ততোটা বুঝি না, যতোটা বুঝলে একটা ম্যাচকে বিশ্লেষণ করা যায়। আজকের ম্যাচটাকেও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও আমার নেই। আমরা জিতেছি, সেটাই বড়ো কথা। হারলে বিশ্লেষণ করার জন্য লিখতে বসতাম না।
খেলা যে সবসময় দেখার সুযোগ হয়, তা নয়। ক্রিকেট বা ফুটবল নিয়ে আমার বিশেষ কোনো উন্মাদনাও নেই। বাংলাদেশ বিশ্বপর্যায়ে ক্রিকেট খেলছে - ভালো-খারাপ যা-ই খেলুক - সেজন্যই এটা নিয়ে আগ্রহ বোধ করি। বাংলাদেশের খেলা থাকলে আবেগও ভর করে। সেই আবেগকে আবার তুঙ্গে নিয়ে যেতে সহায়তা করে আমার লিটল প্রিন্সের হৈ হল্লা, চিৎকার, উন্মাদনা। আমার বাসায় অবশ্য অনেক বাচ্চাকাচ্চা। কোনো-না-কোনো উপলক্ষ্যে আমার ভাইবোনের ছেলেমেয়েরা সব দল বেঁধে হৈচৈ করে। সেটা মাঠের হৈচৈ-এর চেয়ে কম নয়!
আজকে দুপুরে বোনরা এসেছিলো বেড়াতে। তখন খেলা চলছে। শচীনের হাফ-সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। ওরা আমাকে বললো - তোর কি মনে হয়রে? শচীন আজকে সেঞ্চুরি পাবে?
- বলা যায় না। বেচারা বোধহয় টেনশনে ভুগছে। নইলে এরকম ৯৯-টা সেঞ্চুরি করে আরেকটার জন্য বছরখানেক অপেক্ষা করতে হতো না।
- না হলেই বাঁচি। আর কোথাও পারলো না, বাংলাদেশের বিপক্ষে করার দরকার কি?
আমি হাহা করে হাসলাম, বললাম - কিন্তু শচীন যদি সেঞ্চুরি করেই ফেলে, তাহলে আজকের খেলায় বাংলাদেশ জিতবে।
- দূর, কি বলিস! শচীনের সেঞ্চুরি মানে তো ইন্ডিয়া অন্তত ৩০০ রান করবে। বাংলাদেশ অতো বড়ো টার্গেট কিভাবে সামলাবে?
ঝোঁকের মাথায় বলেছি, বলাই বাহুল্য। এমনিতেই ক্রিকেট বুঝি না, গণকও তো নই! তবু যে চিন্তাটা মাথায় ঘুরছিলো, সেটাই বললাম ওদের - শচীনের সেঞ্চুরি মানে একটা ইতিহাস হয়ে যাওয়া। এত বড়ো একটা ইতিহাস গড়ার পর দল হিসেবে ইন্ডিয়া আজকে সেই ঘোরেই বুঁদ হয়ে থাকবে। ওদের বোলিং আক্রমণটা তাতে দূর্বল হয়ে যেতে পারে। সেই সুযোগটা যদি বাংলাদেশ নিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ জিতবে।
বললাম বোনদেরকে। কিন্তু ভাইবোনের ছেলেমেয়েরা ঘিরে ধরলো আমাকে - সত্যিই জিতবে তো মামা? সত্যিই জিতবে তো চাচু? আমার লিটল প্রিন্স একধাপ এগিয়ে বললো - বাবা যখন বলেছে, তখন নিশ্চয়ই জিতবে। তাই না বাবা?
বিপদে পড়ে গেলাম। এতগুলো দেবদূত! আর আমি কীনা একটা বেফাঁস কথা বলে ফেললাম! ওদেরকে একটু ঝামেলায় ফেলার জন্য বললাম - তার মানে তোরা চাইছিস, শচীনের সেঞ্চুরীটা আজকেই হয়ে যাক?
- বাংলাদেশ যদি জেতে, ও সেঞ্চুরি করলেই কি না করলেই কি!
- তার মানে, তোরা শচীনকে সেঞ্চুরিটা দিয়েই দিবি?
- হ্যাঁ, দিলাম। বাংলাদেশ তো জিতবে!
আমার বিশ্লেষণটা ভুল ছিলো। আজকের জয়ের জন্য ইন্ডিয়ার বোলিং-দূর্বলতার দেখা মেলেনি, বরং আমাদের ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত-সমন্বতি প্রয়াসটা কাজে লেগেছে। এমনকি মুশফিকের মতো এমন মিনমিনে ব্যাটসম্যান আজকে যে ভয়াবহ ব্যাটিং নমুনা দেখালো, তাতে রীতিমতো টাশকি খেয়েছি। তামিম, জহুরুল, নাসির, সাকিবের কথা আর না-ই বা বললাম।
বিশ্লেষণ ভুল হলেও লজ্জা নেই, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতেছে, এর চেয়ে বড়ো ব্যাপার আর কি হতে পারে?
বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা দেখতে গেলে নিজের বয়সও কমে যায়। আর খেলাশেষে সবাই মিলে আমাকে জড়িয়ে ধরে যেভাবে হৈচৈ করলো, তাতে মনে হলো - আজকের খেলায় আমিই ক্যাপ্টেন ছিলাম!
আমার লিটলপ্রিন্স সবসময়ই এককাঠি সরস। খেলার শেষদিকে এসে সে আর চোখই খুলে রাখতে পারছিলো না। বোলাররা বল করার সময়ই চোখ বন্ধ করে ফেলে সে, ব্যাটম্যান যদি আউট হয়ে যায় - এই ভয়ে! তারপর সবার সমস্বর চিৎকারে আবার চোখ খোলে, জিজ্ঞেস করে - কী হলো! জেনে নিতে নিতে আবার চোখ বন্ধ, কারণ ততোক্ষণে বোলার আবার বল করছে...! সে এক মজার দৃশ্য! খেলাশেষে সে ফোন করে করে তার বন্ধুদেরকে তার বাবার ভবিষ্যৎবাণী মিলে যাবার খবর দিতে লাগলো। আর উত্তেজনা একটু থিতিয়ে এলে সে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে বললো - বাবা, আমার কান্না পাচ্ছে।
- কেন বাবা?
- আমরা জিতে গেলাম যে, তাই! তুমি এত সুন্দর একটা কথা আগে থেকে কিভাবে বললে? তুমি বলেছিলে বলেই তো... কথা শেষ না করেই কেঁদে ফেললো সে!
আমার দেবদূতের চোখে এমন অমূল্য আনন্দ-অশ্রু উপহার দেবার জন্য বাংলাদেশ দলের সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ। জানি, বাংলাদেশের এমন লক্ষ-কোটি দেবদূত আজ আনন্দে কেঁদেছে। শুধু ওদের কথাই বা বলি কেন, বড়োরাও কি কাঁদেনি? আবেপ্রবণ জাতি আমরা, অল্পেই কাঁদি। আমাদের জাতীয় জীবনে এমন আনন্দময় কান্নার উপলক্ষ্য বারবার তৈরি হোক।
আরেকটি কথা বলে শেষ করি। আজকের খেলাটি যে-কোনোদিনের খেলার মতো নয়। শচীনের সেঞ্চুরির কারণে এই ম্যাচটি ক্রিকেট-ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। শচীনকে অভিবাদন তাঁর অমর কীর্তির জন্য। কিন্তু ক্রিকেট-ইতিহাসের পাতায় এটাও লেখা হয়ে গেল - শচীন টেন্ডুলকার যেদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে শততম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন, সেদিন বাংলাদেশই জিতেছিল।
চমৎকার একটা ইতিহাস রচনার জন্য তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রিয় ক্রিকেট দল...
ইয়াহু বাংলাদেশ জিতেছে
বাংলাদেশের জয়ে আমিও আবেগাপ্লুত , কইরে টিস্যু দে
এতো বছর ধরে ক্রিকেট খেলে, তারপর মানুষের যা হাল। তাতে রেগুলার বাংলাদেশের না জেতাই ভালো। এমন আবেগাপ্লুত ব্লগ, ফেসবুকিয় উচ্ছাস, মিছিল, রঙ খেলা যদি সব জীবন থেকে হারিয়ে যায়, তাহলে জীবনে আর থাকবেটা কি? সবসময় জিতলে মাইনষের অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে
হ বুঝছি আপনার মনের দূঃখের কাহিনী। ১৯৯৭ সালে আকরাম খান যে ঠেঙ্গানিটা দিছিলো সেইটা এখনো ভুলতে পারেন নাই। আর তাই এইটাইপের টিপ্পনী কাটতেছেন।
সময় থাকতে ভালো হয়ে যান তালুকদার সাহেবান।
রাসেল, তালুকদার সাহেবানের টিপ্পনি কাটার কারণ ভিন্ন। অন্যত্র উহা ব্যাখ্যা করিয়াছি, দেখিয়া লইবেন। এই দুঃখী-হতাশ-বিমর্ষ সাহেবানের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করাই সঙ্গত হইবে।
মানুষের আনন্দে যাহারা এরূপ হিংসা অনুভব করে তাহাদের প্রতি সমবেদনা। বুঝিতেছি, সুদুর বিদেশ-বিভূঁইয়ে থাকিয়া বাংলাদেশে এই উৎসবে যুক্ত হইতে পারিতেছেন না বলিয়া আপনার অন্তর জ্বলিতেছে। এইখানে থাকিলে নাচিয়া-কুদিয়া কান্দিয়া-কাটিয়া নিজেই একাকার হইতেন, তাহাও বুঝিতে বাকি নাই। আপনার মনোকষ্টে আমরাও ব্যথিত মিশ তানবীরা!
কী আনন্দ আকাশে বাতাসে ! শচীনের জয় আর ভারতের পরাজয়...
Mostofa bhai !
I joined with your little prince and couldn't hold my tears! Thanks for sharing your feelings !
cheers
Labonno
অনেক ধন্যবাদ
একটু যোগ করি, শচীন টেন্ডুলকার যেদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন, সেদিন বাংলাদেশই জিতেছিল...
এটাও একটা ইতিহাস!
কালকে খেলাশেষে শচীনের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয়েছে - এই সেঞ্চুরিটি তার জন্য দুঃখের স্মৃতি হয়েই থাকবে!
ফেসবুকে একটা দারুন কবিতা পেলাম, শেয়ার করছিঃ
বলে কয়ে ‘ধরে দিবানি’, নয়তো ভাই নতুন কিছু।
মুশফিক তো বলেই ছিল, ওদের বোলিং ‘আম’ আর ‘লিচু’!
আগের ম্যাচে পাইনি বলে, এবারো কি পারবোনা ভাই?
বাঘের বাচ্চা চ্যালেঞ্জ খোঁজে, আবারো প্রথমে বোলিং যে তাই!
টসে হেরেও ব্যাটিং পেয়ে, খুশিতে ধনি আটখানা হয়!
“দুশো আশি করলে পরে, জয়তো অতি সরল বিষয়।”
দুশো আশি হয়েও গেল, যোগ্য শচিন মারলো যে টোন।
যদিও পাওয়ার প্লেতে দামাল ছেলেরা, কষ্ট তাদের দিল ভীষণ!
দুঃখ তবু শাহাদাত হোসেন, একাই দিল আশিটা রান।
ফ্যালফ্যালিয়ে ক্যাবলা হাসে, কারন সে যে শাহরুখ খান!
এরপর যা আবারো হল, ধন্যবাদ লোটাস কামাল!
আগের ম্যাচের মতন আজো, শুরুটা তামিম দিল সামাল।
সঙ্গে ছিল জহুরুল ভাই, একশো রানের ‘ঠাণ্ডা’ জুটি!
‘সুচিন্তিত’ সেই সময়ে, আমরা পেলাম ফিফটি দুটি।
শেষ পঁচিশে লাগতো মোদের, ‘প্রকাণ্ড’ রান একশো আশি!
হাত খুলে তাই খেলল নাসির, ফিফটি করার পাশাপাশি।
এরপরে যেই নামলো সাকিব, ভারতের নিলো ঘুমটা কেড়ে!
পাওয়ার প্লেতে ক্যামনে খেলে, শেখালো দুই ছক্কা মেরে।
সোজা পথে না পেরে আর, অ্যাম্পিয়ারই তাকে করলো যে আউট!
শ্রীলঙ্কার ‘রুচিরা’ এমনই টাউট, বোঝেনা ‘বেনিফিট’ বোঝেনা ‘ডাউট’!
সত্য কি আর থাকে চাপা? বাঘেরও কি শুধু একটি ছানা?
মুশফিকো তাই মেপে মেপে, তিনখানা ছয় মারলো টানা!
এরই মাধ্যমে ফিরিয়ে দিলো, সেবাগের সেই ‘শেষ’ কথাটা।
আর মাহমুদুল্লাহ খুলে নিল, সম্ভ্রমেরই শেষ সূতাটা!
সিধু এখন বস্ত্রহারা, মন্দিরা তুই কাদের খাটে?
তোরা মারিস বর্ডারে দ্যাখ, আমরা মারি ক্রিকেট মাঠে!
আমরা এখন জিততে জানি, বুক ফুলিয়ে হারতে জানি।
তোদের যত ‘অন্যায় আবদার’, তিলে তিলে মারতে জানি!
করবোনা আর ‘হ্যাকিং’ রে ভাই, শুধু শুনে রাখ শেষ কথাটা।
“যুগে যুগে আমরাই শ্রেয়, ধন্য আমাদের এই পতাকা!”
Courtesy: Mostaqur SandHunt
হাহাহাহা
সন্ধ্যা থেকে এক ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে পত্রিকার মেক-আপ সাজিয়েছিলাম। ১০টার ঠিক আগে পুরা পরিবর্তন করতে হল। এক বুক আনন্দ নিয়ে সব কিছু আবার নতুন করে সাজাতে হয়েছিল। আহা এরকম বার বার হোক।
এরকম হাজারবার হোক
এরকম বার বার হোক।
এই এশিয়া কাপে অন্তত আর দুইবার।
আরো দু-বার হলে তো কাপ জিতে যাবো!
সেটাই তো!
আমি কি এম্নি এম্নি বলছি নাকি?!
নিউজিল্যান্ডরে টানা চার ম্যাচে হারাইসিলাম,
এখন তো আর মাত্র ২টা জয় দরকার!
দেখা যাক। হয়ে যাবে, ইন শা আল্লাহ।
ইয়ে, মানে, আমার হার্ট দূর্বল কী না, তাই অতোদূর ভাবার সাহস পাচ্ছি না!
হোক না হোক, ক্ষতি নেই!
জেতা হারা বড় কথা না,
আজকাল আমরা যেভাবে খেলছি সেটাই আসল।
আর স্বপ্ন তো দেখবই!
দেশ তো আমার একটাই,
এই টাইগার দের ভক্ত হয়ে যদি এতটুকু সাহস না রাখি-
তাইলে আর ক্যাম্নে কী?!
হার্টফেল করলে ওইদান এই লেখাটা পুণঃপ্রকাশের ব্যবস্থা কইরেন!
হিঃহিঃ
তাইলে সেটাও একটা ইতিহাস হইয়া যাইব!
দেশের গৌরবে আনন্দে হার্টফেইল করা প্রথম লেখক হবেন আপনি।
অতঃপর বিএনপি আর আওয়ামিলীগ বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করবে যে,
আপনি মনে প্রানে তাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন!
ইয়ে, মানে, মরার পরও দুই দলের কামড়াকামড়ির মধ্যে পড়তে হবে!? মরণও তো রিস্কি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াইলো! মরতে আপত্তি নাই, খবরটা চাইপা যাওয়ার উপায় কি বুঝতাছি না!
কি বলছিলাম?!
আর মাত্র একবার..ইন শা আল্লাহ..
হলো না! তবু আমি আনন্দিত। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে আমি গর্বিত। আজকেরটিই তো শেষ খেলা নয়, সামনে আরো বহুপথ পড়ে আছে! জানি ওরাই আমাদের জন্য বয়ে আনবে গৌরবময় জয়... বহুবার... বহুবার...
মাঠেই ছিলাম।
চিল্লায়ে গলা ভেঙ্গে ফেলসি,
আর তালি দিতে দিতে হাতের তালু ফাটিয়ে ফেলসি।
তবুও ফেরার সময় রাস্তার মিছিলে
অথবা রিকশা থেকেই স্লোগানে আর রাস্তার দুপাশের অভিবাদনে, কোল্ড ড্রিংকসে সিক্ত হয়ে বিন্দুমাত্র খারাপ লাগেনি।
ম্যাচের শেষ এক ওভার ২৫৩১১'র একজন হয়ে আকাশ কাপানো স্বরে
'জয় বাংলা , বাংলার জয়'!এই অনুভূতি এই জীবনে ভোলায় মত নয়।
জয়তু টাইগারস্! যুগ যুগ জিও!
কী অসাধারণ এই আনন্দযজ্ঞ!
বাংলাদেশ এমন জিতুক বারবার। কাল খেলা দেখে পুরাই ফিদা।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে... একটা ফোন দিতেন
২০০৭ এ একটা পোস্ট দিছিলাম সামহোয়ারইনব্লগে সেই ছাবিটা চোখে ভাসে এখনো
একটেলের একটা বিজ্ঞাপনে ছিল ছবিটা
মাঠে খেলা দেখার অনুভূতি সবসময়ই অসাধারণ.... পুরা মাঠটা চোখের সামনে নিয়ে বসা হয়। যেটা আসলে বাসায় বসে টিভিতে সম্প্রচারে পাওয়া হয় না। প্রতিটা বলে উল্লাস... ৪/৬ এ উল্লাস... উইকেটের যাওয়া আসায় উল্লাস... কেউ মাঠে নামলে উল্লাস... অনেক কিছু। মূলত মাঠে যাওয়া হয় এইসব আনন্দের জন্যই। অনেকেই ভারত পাকিস্তানের ম্যাচের (আজকের) খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য বলেছিল। আগ্রহ পাই নি। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের খেলা দেখেছিলাম... এশিয়া কাপেও... হারুক জিতুক নিজের দেশ... নিজের দেশের জন্য গলাবাজী করে শক্তি ক্ষয় করবো... অন্য দেশের জন্য না
নাহ একটা পোস্ট ই দেই
আপনার পোস্টটা দারুণ হইছে
ধন্যবাদ বস
আপনার লিটল প্রিন্সের জন্য আরেকবার ভবিষ্যৎবাণী করেন, আজকে পাকিস্তান জিতবে? বলেন- হ্যাঁ
আমরা তো মনে হয় ফাইনালে যাচ্ছি
পাকিস্তানের জন্য আমার কোনো শুভকামনা নাই!
শুভকামনার কথা কে বললো!
পাকিস্তানের জন্য আমারও শুভকামনা নাই। ওরা জিতলে আমাদের ফাইনালে ওঠার ধাপ অনেক এগিয়ে যেত।
এরকম দিনগুলো বারবারই ফিরে আসুক আমাদের জীবনে
বারবারই ফিরে আসুক
মন্তব্য করুন