তোমারেই করিয়াছি জীবনেরও ধ্রুবতারা
প্রায় পোস্টেই তো কুটিকালের কথা লিখি, তাই ভাবলাম আজকের পোস্টে আরেকটু লেস-কুটিকালের কথা লিখি। ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় ২০০১ সালের শুরুর দিকে। এরপর ইন্টারনেটই জান-প্রাণ-সাকিব-আল-হাসান হয়া গেল। যদিও সাইবার ক্যাফের স্লো স্পীড আর আকাশচুম্বি রেইটের কারণে ইন্টারনেটের প্রপার ব্যাভার টা করা হয়া উঠে নাই তেমনটা। তারপরো এইসব টানাটানির মাঝে সাইবার ক্যাফেতে ইন্টারনেটিং করি। টাই পরার দরকার? ঠিক আছে গিট্টু কেমনে দিতে হয় তা কোন ওয়েবসাইট থেকেই শিখে আসি। শার্ট কিনব? আচ্ছা বিভিন্ন জাতের কলার সম্পর্কে নেটে একটা স্টাডি কইরা ফেলি তার আগে।
এভাবেই টেনেটুনে চলতে চলতে বছরের পর বছর পার হয়া গেল। আস্তে আস্তে ভালো ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটিতে একসেস পাইলাম ২০০৭ এর দিকে। এহেন সব খুজাখুজির মাঝখানে শখ হইল ডলি পার্টন রে নিয়া একটু জানার। এই জানার ইন্স্পায়রেশন কই থিকা পাইছি সেই আলাপ আর না করি।
তো আমাদের ডলি পার্টন আমেরিকান। ডলি পার্টন সিংগার এন সং-রাইটার। ডলি পার্টন একজন ফিল্যানথ্রপিস্ট। ডলি পার্টন লেখিকা। কিন্তু ডলি পার্টনের এইগুলা কোনটাই মূল পরিচয় না। এত গুণের পরও তার মূল পরিচয় তিনি বিশাল-বক্ষা রমণী। আরে খাড়ান, আম্রিকানরা পুলাদের সেক্সিস্ট কয়া গাইল পাইড়েন না আবার। ঐদিন এক ফ্রেন্ডের কললিস্টে কলার আইডি হিসেবে যখন ডিসপ্লেতে vagina ভাইসা উঠল তখন আশপাশের সবগলারেই তো দেখলাম vagina'র ফোন নাম্বার নেয়ার জন্য পাগল হয়া উঠল; সবার এক দাবি, ''দোস্ত নাম্বার দে, আমরাও ইট্টু মজা লই''। গাধায় উত্তর দিল আরে এইটা তো কোন মেয়ের নাম্বার না, আমার ভাগিনা'র নম্বর!!! লে-হালুয়া!! তো এই যখন দেশের যুবসমাজের অবস্হা তখন ডলি পার্টনের এতগুণ থাকার পরও যদি আমেরিকান রা তারে বিশাল-বক্ষা হিসেবে প্রাত-স্মরণীয় রাখে তবে আমেরিকান পুলাপানদের সেক্সিস্ট কই কোন সাহসে??!! তাও আবার যেইখানে ডলি ডড-নং ৩৬ গোত্রীয়!!
আসেন ডডনং ডলি পার্টনের খ্যতির কিছু নমুনা নেই। আমরা যখন কইতে যাই যে এই লোক আমার অনেকদিনের পরিচিত তখন বলি আরে এরেতো সেই ন্যাংটা কাল থিকা চিনি। ডলি'র বিশাল-বক্ষা হওয়ার সুবাদে কথাটাই পাল্টায়া গেল। তার এজেন্ট একবার উইঠা কইল আমি ডলিরে চিনি ''সিন্স শী ওয়াঝ ফ্ল্যাট-চেস্টেড'' ... বাহ ... ডলির সবকিছুরেই মনে হেরা তার বুক দিয়া বিবেচনা করে ... এই না হইলে এচিভমেন্ট!!??
সেই প্রথম ক্লোন হওয়া ভেড়াটার কথা মনে আছে? সাইন্টিস্ট-রাও যে কম ফাঝিল না তা এইবার-ই জানলাম। এক পাকনা সাইন্টিস্ট কইল আইচ্ছা ক্লোন হওয়া ভেড়াটা আরেক ভেড়ীর স্তনের কোষ থেকে তৈরী না? ঠিক আছে তাইলে এই ক্লোনড ভেড়ার নাম ডলি-ই রাখি, আফটার অল বক্ষ বইলা কথা- ডলি পার্টন ছাড়া হইব কেমনে!! অহন বুইঝা লন ডলি পার্টনের ফেইমের ধরণ-ধারণ। ডলি অবশ্য চমতকার মহিলা; ভেড়ার ব্যাপারটা নিয়া সে বলছে ''দেয়ার ইজ নো সাচ থিং অ্যাঝ baa-ad পাবলিসিটি।'' সেন্স অব হিউমার টা দেখছেন? স্পোর্টিং স্পিরিট টা দেখছেন? মাই গঅঅঅড।
ডলি পার্টনরে নিয়া কোন এক আন-গডলি আওয়ারে জাইগা উঠা আমার এই গ্যান-তৃষ্না মিটানোর জন্য এই এতগুলা তথ্য খুইজা পাইতে আমারে অবশ্য আকাশ থিকা পাতালে দৌড়াইতে হয় নাই ... হাতের মুঠোয় উয়িকিপিডিয়া ছিল বলে। কে বলে উয়িকি শুধু সিরিয়াস জিনিস নিয়া? শুধু নার্ড-রাই উয়িকি তে যায়??!!! উয়িকি-তে নার্ড-দের জন্যই খালি মেটেরিয়ালস থাকে??!!
হেচকি উঠলে উয়িকিপিডিয়া খুজি হেচকির টোটকা বের করার জন্য; ক্লাসের ট্রিনিদাদিয়ান মেয়েরে দেইখা স্মল টক এর অ্যামুনিশন হিসেবে ট্রিনিদাদের সব ইনফো ঐ উয়িকি থেকেই পাওয়া; রোলেক্স অ্যফোর্ড করা সম্ভব না ঠিক আছে তাইলে উয়িকি থেকে রোলেক্স নিয়ে পড়াশোনা করেই নাহয় মনটারে শান্ত করি; নাহ, রে-ব্যান টাও কেনা হবে না; আচ্ছা চেলসিয়া বুট কি জিনিস?; ইসলামে নাকি পলিগ্যামি অ্যলাউড মাগার পলিয়্যান্ড্রি না- এই পলিয়্যান্ড্রি কি? আচ্ছা পয়ঝন আর ভেনম এর তফাত টা কই?; টার্টল কচ্ছপ হইলে টরটয়েঝ টা কি?; জাগুয়ার, লেপার্ড, চিতা কোনটা কেমনে চিনুম?; আচ্ছা অ্যালকোহলিকদের লিভার-ই কেন নষ্ট হবে?; ছোট থাকতে ইংলিশ না বুঝে দেখা পারফেক্ট স্ট্রেন্জারস নামের সেই মজার শো-টা আসলে কি ছিল?; র্যাট আর মাইস এর তফাতটা কই?; ট্রু র্যাট জিনিসটাই বা তাইলে কি?; স্টিগ এর পরিচয় টা যদি কোনভাবে আল্লাহ আল্লাহ করে উয়িকিতে পাওয়া যায়; স্কারলেট জোহানসন কোন লাকি ডগের সাথে প্রেম করে; সিলেটি নিয়া কড়া কথা শুনায়া দিছে
, খাইছি তোরে, আইচ্ছা দুনিয়ার কয় লাখ লোক সিলেটিতে কথা বলে?; বারাক ওবামার নাম সারাজীবনে একবারও শুনিনাই, সে নাকি ইলেকশান খেলব!! এইঠা ক্যাঠা??; পিচ্চি খালাতো ভাই ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হইছে আর আমি কি না এই বিষয়টাতে কি পড়ায় তা-ই জানিনা!!! বড় ভাইয়ের মর্যাদা কই থাকল!!! চল তাইলে উয়িকি থেকেই ম্যাকানিকিং করি ... উয়িকি বলে ওরাকলের ল্যারি এলিসন নাকি রাগিব ভাইয়ের ঐ আরবানা শ্যম্পেন ইউনির ছাত্র ছিল ... ওহ ল্যারি এলিসন তাইলে রাগিব ভাইয়ের সূত্রে আমদের কাছের-ই লোক ...
এই উয়িকি-তেই কাটায় দিছি দিনের অনেকটা সময় যেইদিন থিকা ইন্টারনেটের একটা মোটামুটি ভালো কানেকশান পাইছি হাতের কাছে ... উয়িকি'র দেখতাম কোন ইনফোতেই কোন অরুচি নাই; পর্ণ স্টার থিকা শুরু কইরা প্যাট্রিয়ট সবাই উয়িকির পরিচিত ... উয়িকির নৌকায় উঠলে কই থিকা কই নিয়া যায় তার কোন ঠিক নাই ... হয়তো হিউমার এর এন্ট্রি পড়তে ঢুকলাম ঘুইরা ঘুইরা বেসবল স্ল্যাং অব সেক্স এ আইসা থামলাম ...
আমার এত পছন্দের উয়িকি'র জন্মদিন গেল গত পনেরো তারিখ; সাথে আমার আব্বার জন্মদিনও। আব্বা সেই ছোটবেলার হীরো আমার। ভাবতাম বড় হয়ে তার মত হব, তার মত কথা বলব, তার মত চলব। সে ছবি নিয়া আসলে ডাইকা নিত; সাথে বইসা দেখতাম। ছবি দেখার ফাকে ফাকে পঝ দিয়া আস্কাইতো আচ্ছা এই কথাটা কি বলছে বুচ্ছ? কিংবা পঝ দিয়া জিগাইতো ডায়লগে যে ''সরতাজ'' শব্দটা কইল এর মিনিং কি জানো? - মিনিং টা বইলা দিত। আমি তার এইসবে মুগ্ধ হইতাম। ''বড় হয়ে'' ইন্টারের শেষদিকে তার সাথে একটা বিষয় নিয়া আলাপ করতে গিয়া মনে হল আমার হীরো রে আমি পিছনে ফেলায়া আসছি, সবচে বড় কথা তার চেয়ে আমি বেটার হিউম্যান বিয়িং। আমার হীরোরে আমি হারাইলাম।
আরো বড় হয়া দেখলাম সে ইংলিশ মুভি হাতে গোণা দুয়েকটা দেখছে। সে ফরেস্ট গাম্প দেখে নাই ... অথচ আমার এককালের আইডল!! বাড়িতে গেলে নিয়ে গেলাম ফরেস্ট গাম্পের ডিভিডি... । এত চমতকার চমতকার মুভি যে আমাকে দেখালো তারে আমার পক্ষ থিকা কিছু ভালো মুভি দেখানোর এটেম্পট। নাহ, তার ঐসব মুভি দেখা হয়ে উঠেনা। আমি টের পাই এই পৃথিবীর কাছ থিকা নতুন জিনিস নেয়ার সামর্থ আসলে সে হারায়া ফেলছে; তার মগজ, তার অনুভূতিগুলো লোডেড; আমার কাছে তারে মৃত মানুষের মত মনে হয়। একজন মৃত মানুষ আমার আইডল ছিল এই ভাবনা আমারে পীড়া দেয়। ফাকে আমি ভুলে যাই ডিভিডি প্লেয়ার টা সে-ই শখ করে কিনে দিল যেন আমি দুনিয়ার মুভিগুলা দেখতে পারি। ঐ যে বললাম আমার ছোট্টবেলার সেই বিগ-ম্যান রে আমি হারায়া অনেকদূর চইলা আসছি।
এখন ''আরো বড় হইছি'' ... এখন আমি জানি মানুষ মানুষ হইলেও শেষ পর্যন্ত সে একটা প্রাণী। তার-ও কিছু সীমাবদ্বতা আছে। বরং গরু-ছাগলের কোন সীমাবদ্বতা নাই; কিন্তু মানুষের আছে। মানুষের ব্যাস্ততা আছে, আছে সন্তানের ভবিষ্যত নিয়া দুঃশ্চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা। এতসবের মাঝে আমাদের প্রিয় মানুষেরা তাদের নিজেদের সত্তাটারেই হারায়া ফেলে, চার্ম গুলো নাই হয়ে যায়। এখন আমি জানি যেইসব ক্ষুদ্র তুচ্ছ কারণে তারে পছন্দ করতাম, আমাদের জন্য দৌড়াইতে গিয়াই সেইসব হারিয়ে ফেলা। আমি জানি রুচির-ও বদল হয়। এখন আমি জানি আব্বা এখনো আমার হীরো হওয়ার যোগ্যতা রাখে; এখন আমি জানি , , , । কিন্তু শত চেয়ে ও তারে আর আগের আসনে বসাইতে পারিনা।
জীবনে কখনো বিগ-মানি আর্ন করা হয়নি তাই টাকা পয়সার লস টা এখনো জানা হয়নি ... কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে, মানুষ হিসেবে কিছু বড় পার্সোনাল, ইমোশনাল লসের মধ্য দিয়ে যেতে হইছে; ছোট থেকে তৈরি করা আব্বার সেই মূর্তি টা ভেংগে যাওয়া আমার জীবনে হাতেগোণা সেইসব বড় বড় মানবিক বিপর্যয় গুলার একটা। এদিক -ওদিক ভেসে যাচ্ছি ... কাউকে দেখে যে বেয়ারিং নিব তা আর হয়ে উঠে না ... হিউব্রিস কোনকালেই ছোট কোন ক্রাইম ছিলনা।
রখস-এ-বিসমি





.। ফীল ফ্রী টু কমেন্ট, অলদো দ্যর ওন্ট বি আ রিপ্লাই... 27.02.2011
দুই বার্থডে বয়রেই জন্মদিনের শুভকামনা... তাদের কাছ থেকে শিখার কোন শেষ মনে হয় কখনো হবে না...
ওহ... উয়িকির মতই আরেক আজীব জিনিস এর কন্ট্রিবিউটর রা... মানুষ যে কোন দেনা-পাওনার হিসাব না কইরা কাজ কইরা যাইতে পারে, তাও আবার দিনের পর দিন বছরের পর বছর তা আমার ভাবনাতেই আটে না... থ্যংকিউ টু দ্য উয়িকিপিডিয়ানস... ইউ আর দ্য গুড গাইঝ... বাংলা উয়িকিপিডিয়ানদের জন্য রইল অফুরন্ত স্বজনপ্রীতি...
ব্রাদার, আমার হিরো ফিংকলস্টাইন সাহেব কয়েছেন "নেভার এভার হ্যাভ হিরোজ! য়ু'ল অলওয়েজ বি ডিসএপয়েন্টেড!"
আমি সেই ছোটকাল থেকে কতবার যে হিরোদেরকে আসনহারা হতে দেখে কষ্ট পেয়েছি। এখন বুঝি মানুষ শেষপর্যন্ত য়ুটিলিটি-ম্যাক্সিমাইজিং একটা ক্রিয়েচার মাত্র। তবুও হিরোদের নিয়ে ভাবি, এখনও দুয়েকজন ডিসেপয়েন্ট করেনি। এখনও নোয়াম চমস্কি, এডওয়ার্ড সাঈদ, অরুন্ধাতি রয়রা আছেন লিস্টে, আছেন আমার নানা। ইচ্ছা আছে কোনএকদিন চমস্কির কাছে গিয়ে তার হাত ধরব, বলব আপনি ৮০ বছর বয়স পর্যন্তও আমার হিরোর আসন থেকে সরেননি, আপনাকে অভিনন্দন! আমার নানার অবশ্য অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু ওভারল বিচারে তিনি এখনও হিরো। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে হিরোরা বেশিদিন বাঁচা ঠিক না, আলটিমেইটি দে টার্ন আউট টু বি নট সো মাচ অফ আ হিরো ইফ দে ডু লিভ লং এনাফ!
এট দা এন্ড অফ দ্যা ডে, আমাদের মা-বাবা-চাচা-মামারা অনেকেই আসলে হিরো, আমাদেরকে তাদেরকে শুধু মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে। হিরো বলতেই আমাদের মনে যে মানবীয়-দোষাবলীকে অতিক্রম করা গৌতম বুদ্ধ টাইপ ভাবমূর্তী বা চে গেভরা টাইপ বিপ্লবী ভেসে উঠে সেসব নোশান বাদ দিতে হবে, নাহয় ক্রমাগত হিরোদেরকে হিরোর আসনহারা করার যন্ত্রনা নিয়ে বাঁচতে হবে। সব মহাপুরুষরা প্রথমে পুরুষ, তারপর মহাপুরুষ এই সত্যটা হজম করা কঠিন, কিন্তু এইটেই সত্য।
নজরুলের গাহি তাহাদেরই গান কবিতা মনে আছে? সব মেহনতী মানুষই হিরো। আমার ঢাবিতে ডিপার্টমেন্টে একজন পিয়ন ছিলেন, মোখলেসভাই ডাকতাম আমরা। তিনি এখনও হিরো আছেন আমার কাছে। হয়ত হিরো খুঁজতে হবে অলিগলিতে, জীবনযুদ্ধে অত সফলমানুষ না এরকম কারো মধ্যে।
লেটস রেইজ আ গ্লাস ইন অনার অব আওয়ার ডিথ্রোনড হিরোজ! অন্তত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তো তারা আমাদেরকে আশা দিয়েছেন, হিরো ছাড়া আমাদের মনে যে বিশাল শুণ্যতা তৈরী হয় সেটা থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও রক্ষে করেছেন। সো, লেটস রেইজ আ গ্লাস ইন দেয়ার অনার, শ্যাল উই?
এইটারে পোস্ট আকারে দিই! একটা পোস্ট বাড়ল।
আমাদের যেকোন প্রয়োজন মেটাতে সবসময় যে এগিয়ে আসে কোন কিছুর প্রত্যাশা না করেই, তাকেই মনে হয় আমরা হিরো বলি। ছোটবেলায় বাবা সবসময় হিরোর জায়গায়, একটু বড় হয়ে কোন বন্ধুর গায়ে সেই হিরোর তকমাটা বসে। আর, এখন যখন নিজের প্রয়োজন নিজে মেটাতে শিখছি, তখন অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পারার মতন কেউ হিরো হয়ে যাচ্ছেন; যেমনটা নারুদা'র কাছে নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতি। আমার কাছে তেমনি ম্যান্ডেলা।
শেষে এসে বড় আবেগী হয়ে গেছে লেখাটা...
===============================
ডলি পার্টনের Coat of Many Colours নিয়ে ব্লগ লেখার চেষ্টা করে হাত গুটিয়ে নিয়েছি অন্তত তিনবার। কারণটা অনুমেয়। আরেকটা ব্যাপার খুব ভাল লাগে, কনসার্টে ডলি দর্শকদের ধন্যবাদ দেন দামী টিকেটের মূল্য চোকানোর জন্য-- আই নিড দ্য মানি, অ্যান্ড ইউ নো ভেরি ওয়েল হাও মাচ ইট কস্টস টু মেইক আ পারসন লুক সো চিপ
লেখা পড়া শুরু করছিলাম হালকাছলে। ডলি পার্টন অংশ পড়ে মন্তব্যে মজা করবো ভাবছিলাম। ছবি দেবো কিনা তাও ভাবলাম। আমরা তো হরহামেশা বলি গর্বে বুক ডলি পার্টন হয়ে গেছে।
তারপর আসলো স্কারলেট জোহানসন প্রসঙ্গ। হার্টবিট লাফ দিলো। আহা...........
শেষে এসে মনটা অন্যরকম হয়ে গেলো। একটা কথা বলতে পারি, ছোট বা বড় বেলায় যারা হিরো তাদের খুব কাছে যেতে নেই। বইয়ে পড়া বা সেনেমায় দেখা হিরোরাই ভালো। মোহভঙ্গ হয় না।
হুমমমমমম
আপনের বাবা আর উইকিপেডিয়ারে বিলম্বিত জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আর একটা কথা...সেই চেলসিয়া বুটটা কিনছি আমি শেষ পর্যন্ত। লোল।
তোমার বাবা আর উইকিপেডিয়ারে বিলম্বিত জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আপনের সঙ্গে মিলের জায়গাটা হচ্ছে, আমারও চাইল্ডহুড হিরো বাবা। অমিলের জায়গাটা হচ্ছে, এখন এই ওয়ার্কিংহুডে আইসেও হিরো ঐ লোকই।
এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ হৈল, যদি সে জানতে পারে যে সে আর আমার হিরো নাই, তাইলে লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দিবে মাস্ট।
মাঝে মাঝে সে আমারে দেইখা বলে, গাধাটা বড় হয়ে গেছে। আফসুস। অনেকদিন গাধা পিটাইতে পারি না।
লেখার ডলি পার্টনের পার্ট পৈড়া পুরানো অনেক কথা মনে পড়ে গেল। এমন চমৎকার করে লিখসেন! ধইন্যা বস্।
চাচাতো ভাই তোমার লেখা কেন জানি একবার পড়ে সবটুকু বুঝতে পারি না।এটা অবশ্য আমার ঘিলুর দোষ না তোমার লেখার দোষ।
তোমার লেখাটা সেই সকালে পড়ে সারাদিন চিন্তা করেও বের করতে পারলাম না সবার মতো আমার বাবা কেন আমার কাছে হিরো না। বা কেন আগেও ছিলো না।

খুবই আবেগময় পোস্ট ! প্রতি ছত্রে স্বকীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার প্রাবল্য মনোমুগ্ধকর । ভাল লেগেছে । অভিনন্দন বাফড়া । প্রসঙ্গত বলি, মন্তব্যসমূহও হৃদয়গ্রাহী ।
শেষের দিকে মোচড় দিয়া দিলা। ভাল্লাগছে।
শেষের দিকে আইসা আবেগায়ন কইরা দিলা
দুর, চমৎকার মুডে ছিলাম। শেষে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাদ দেতো বাপু...
মাসুম ভাইয়ের কথাটাই আসল কথা...
বাফড়া এর মতো ফীলিংস এর ভিতর দিয়ে অনেকেই বোধহয় কখনো কখনো যায়। কিন্তু নিজে যখন সংসার জীবনে প্রবেশ করে তখন আবার নতুন করে বাবা মাকে অনুভব করতে পারে।
নিজে মা হয়েছি পরই বুঝতে পেরেছি আমার মায়ের কাছে আমি ছিলাম। তিনি কি করেছেন আমার জন্যে। সেদিন প্রথম মাকে মন থেকে সরি বলেছি, মা ক্ষমা করো আমায়।
তোমার বাবা আর উইকিপেডিয়ারে বিলম্বিত জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
পোষ্টের শেষে এসে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো রে!
হিরো থাকলে মনে হয় তার মতো হতে চেষ্টা করতে হয়। ছোট থেকেই আলসেমিতে আমার কিছু হতে ইচ্ছা করে নাই। তবু আশেপাশের প্রেশারে কিছু একটা হয়ে গেছি আর কি!
থ্যংকিউ এভরিবডি। সময়ের অভাব না থাকলেও সুযোগের অভাবে কমেন্টের আলাদা করে রিপ্লাই দেয়া যাচ্ছেনা। পরবর্তীতে সুযোগ পেলে আলাদা করে রিপ্লাই দিব ইনশাল্লাহ
কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে, মানুষ হিসেবে কিছু বড় পার্সোনাল, ইমোশনাল লসের মধ্য দিয়ে যেতে হইছে; ছোট থেকে তৈরি করা আব্বার সেই মূর্তি টা ভেংগে যাওয়া আমার জীবনে হাতেগোণা সেইসব বড় বড় মানবিক বিপর্যয় গুলার একটা। এদিক -ওদিক ভেসে যাচ্ছি ... কাউকে দেখে যে বেয়ারিং নিব তা আর হয়ে উঠে না ... হিউব্রিস কোনকালেই ছোট কোন ক্রাইম ছিলনা।
টেরই পেলাম না কখন ডলির বুক থেকে খুব 'অপ্রস্তুতভাবে' তোমার বাবার বুকে পতিত হলাম।
হিউব্রিস, ঠিকই বলছ...
আমাদের নিজেদের সম্পর্কে ধারনাই অন্যকে শুদ্ধ আলোয় দেখতে দেয়না।
আমরা বাবাদের দেখানো চোখে দেখতে দেখতে কখন নিজেদের চোখ পেয়ে ফেলি আর এটা দিয়ে বাবাকে মাপতে থাকি!
'''আমরা বাবাদের দেখানো চোখে দেখতে দেখতে কখন নিজেদের চোখ পেয়ে ফেলি আর এটা দিয়ে বাবাকে মাপতে থাকি''''
.। সেইটাই, বস.. এইটাই ঘটছিল..
মন্তব্য করুন