আবার আসিব ফিরে- চাচাকাহিনী
ভাবছিলাম মামা খালাদের নিয়া পোস্ট লেইখাই শেষ ... পরে মনে হইলো চাচাদেরে নিয়া কিছু একটা লেখা দরকার , নাইলে পিতৃঋণ শোধ হবেনা ... না না শোধ হবেনা ... আর তাছাড়া জেমসের মত গান্জাখোরও (শুনছি গান্জা টানে) ''মা'' গান গাওয়ার পরে ''বাবা'' গায়া পিতৃঋণ শোধ করছে, এই জায়গায় আমি না করলে কেমন অড দেখায় ...
আমার বাপেরা নয় ভাই ছিল ... এর মইধ্যে ৫ জন ''শিশু না কাল গেল ধূলা তে মাটিতে'' খালি এতটুকু গাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারছিলেন ... এরপরেই খেল খতম ... বাকি ৪ জন গানটা কমপ্লিট করতে পারছেন বা পারবেন ... তো আইজকার পোস্টে আমরা এই বাইচা থাকা ৪ সফল ''শিশু না কাল গেল'' গায়কের জীবন নিয়া আলোকপাত করুম ...
সবার আগে ছোট চাচা ... তারে লাস্ট দেখছিলাম প্রায় ২০ বছর আগে :( ... এই জীবনে টোটাল মনে হয় দুইবার দেখছি, নাকি একবার ... প্যারা শেষ
এরপরে সিরিয়ালে আমার পিতৃদেব কিং প্রথম নার্সিসাস ... মজার লোক ... আমি অনার্সে থাকতে একটা হালকার উপরে ঝাপসা ছ্যাক খায়া ইন্টারনেট থিকা অস্কার ওয়াইল্ডের একটা বিরহের কবিতা ডাউনলোডাইছিলাম ... তারপরে ঐটারে রুমের দেয়ালে হাতে লেইখা সাটায়া দিছিলাম ... এইবার দেশে আইসা দেখি প্রথম নার্সিসাস ঐটারে ল্যমিনেট কইরা রাইখা দিছেন ... সাথে ল্যামিনেট করা অবস্হায় আরো আছে প্যাডের পাতায় আমার হাতে লেখা ওয়ারফেঝের ''বসে আছি একা'' গানটার লিরিক্স , আমার ক্লাস সিক্সের মার্কশীট, আমার ১ বছর বয়েসে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশান, আমার জন্য সিলেক্টেড নামগুলার লিস্ট; সাথে লিখা কোন নাম কত ভোট পাইছে , আরো অনেক হাবিজাবি ...
তো এই ল্যামিনেটেড কাগজের স্তুপ থিকা উকি দিল আরেকটা কাগজ ... ঐটাতে টাইপ করা আমাদের গত আট পুরুষের নামধাম- সোজা কথায় বংশলতিকা। ঐ বংশলতিকায় প্রত্যেক পুরুষের নামের পাশে আব্বা লিখছেন কে কি করতেন- যেমন দাদার নামের পাশে লিখা উনি কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন, দাদার দাদার নামের পাশে লিখা উনি ১৭ বার পায়ে হাইটা হজ্জ পালন করছিলেন (এই ভদ্রলোক ১৮নং বার হজ্জ করতে গিয়া হারায়া গেছিল ... সিরাতুল মোস্তাকিম যে ঘোনচক্করের জিনিস তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, নাইলে কি হারাইত .. )
তো লাইনের একদম নীচের দিকে আইসা আব্বার নামের পাশে তাকাইতে তাকাইতে ভাবলাম কি আর লিখা থাকব- দোকানদার, এট বেস্ট ব্যাবসায়ী ... আরে নাহ ... পইড়া দেখি নার্সিসাস ওয়ান নিজের নামের পাশে লিখছেন- ''সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও নিভৃতচারী'' ... নিজের নামের পাশে ভূয়া সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী লাগাইতে অনেক লোকরে দেখছি ... এই পয়লা কাউরে দেখলাম নামের পাশে নিভৃতচারী লাগাইতে ... তাও আবার নিজে নিজে ... প্রথম নার্সিসাস নিয়া আর মশকরা না করি ...
এরপরে মেঝচাচা ... এরে নিয়া যতই লিখি কোন কমবে না ... আজীব পীস...অনেক মানুষইতো দিলদরিয়া হয়া লোকেরে খাওয়ায়, আর এইলোক খায়াদায়া দিলদরিয়া হয়া যায় ... তার কানে সর্বদা একটা বিড়ি গোজা থাকে, আর কানের এক দেড় ইন্চি উপরে চুলের ভিতর একটা টুথপিক আটকানো থাকে ... এইরকম একলোকের কর্মকান্ড সহজেই আচ করার কথা ...
তো এই বড়চাচা আর মেঝ চাচা ছোট থাকতে একবার বাজারে গেছল ... ঐখানে গিয়া কি কারনে জানি দুই ভাইয়ের মাঝে মাইর লাইগা গেল ... আশেপাশের লোকেরা দুইজনরে আটকাইল মারপিট থিকা... এরপরে আইনা দাদার কাছে সোপর্দ করল ... দাদা আস্কাইলো কিরে কি ঘটনা? তখন বাইরাইলো আসল ঘটনা ...
খাইতে বসলে মেঝচাচা নাকি বড়চাচার কাছ থিকা মাছ মাংস কিইনা নিত ... ধরা যাক ঐদিন ডিম রান্না হইছে ... মেঝচাচা তার পাতের ডিম খায়া তারপরে বড়চাচারে অফার দিল ৫ পয়সায় ডিমটা তার কাছে বেইচা দেওনের লিগা ... এইভাবে বাকীতে সে কয়েকমাস বড়চাচার পাতের মাংস মাছ সবি খাইছে ... ঐদিন বাজারে গিয়া বড়চাচার কি একটা কিনার শখ জাগছে; মেঝচাচার কাছে পাওনা চাওয়াতেই গন্ডগোলের সূত্রপাত ... বিল গেটসরে জিগানোয় কইছিল যে তার লাইফের পয়লা বিঝনেস ডীল ছিল সে সাতবছর বয়েসে তার একটা টেডি বিয়ার তার বইনেরে দিচিল ১ ডলারের বিনিময়ে দুই ঘন্টা খেলার জন্য ... খালি ভাবি মেঝচাচার হাতে ইয়াং বয়েসে একটা কম্পি্উটার পড়লে বিল গেটস কই যে ভাইসা যাইত ... আর আমরা উইন্ডোস অপারেটিং সিসটেমের এর বদলা পাইতাম নান্দোস অপারেটিং ''শিশ্টম''
এই মেঝচাচারে এলাকার এক বড় ভাইয়ের (মেঝাচাচার গ্রাম-সম্পর্কের ভাগ্না) বিয়েতে কনে দেখার জন্য পাঠানো হইছিল আরো অনেকের সাথে... চাচা তো পাত্রী পক্ষের রান্না করা খাবার সাবাড় করায় মশগুল... ফেরত আসার পর পাত্রের বড়বোন আস্কাইলো, ''মামা, শুনলাম পাত্রীর দাত নাকি বাকা, আর আপনে কইতাছেন পাত্রী খুবই সুন্দর ??!!'' চাচার পেটে পাত্রীর বাড়ীর খাবার দাবার তখনো রিমাইন্ডার দিতাছে; সে উত্তর দিল, ''আরে ঐসব নিয়া চিন্তা করিস না, পাত্রীর বাপের সাথে আমার কথা হইছে। তারা কইছে বিয়ে কনফার্ম হইলে, তারা ডাক্টারের কাছে নিয়া দাত ঠিক করায়া ফেলব''
এরপরে আাসে বড়চাচা। বড়চাচার কয়েকটা জিনিস বাকী ভাইদের থিকা আলাদা ছিল... তার বাড়ীতে বেড়াইতে গেলে আাসার সময় হাতে পাচ টাকা, দশ টাকা গুইজা দিত পুরান দিনের লোকেদের মত... পুরানদিনের রেওয়াজ টা ধইরা রাখা আরকি... খুব ভাল্লাগতো... মায়া কইরা ডাইকা নিয়া জিগাইতো বাড়ীতে ফেরত যাওয়ার টাকা আছে নাকি? তারপর কইতো যা মানিব্যাগ টা নিয়া আয়... চাচা মারা যাওয়ার পর এখন আর কেউ হাতে টাকা-ফাকা গুজে দেয় না... চাচা যাওয়ার সাথে সাথে পুরনো দিনের পুরনো মানুষদের কয়েকটা রীতি হারায়া গেল... খারাপই লাগে...
এই বড়চাচাও কম ছিল না... মেঝচাচার থিকা এককাঠি বাড়া ... সেইবার বড়চাচা উঠল আমেরিকান এম্বেসিতে ... শোনা ঘটনা ... প্রায় ২৫/৩০ বছর আগের ঘটনা ... তো চাচার শখ ভিঝিটে আম্রিকা যাইব... গিয়া ছোট ভাইরে দেইখা আসব ... এম্বেসীওয়ালা জিগাইল আপনে যে ভিসার জন্য আসছেন, আপনের পাসপোর্ট কই? চাচাও কম না, উইঠা কইল- পাসপোর্ট বানাই নাই এখনো, আগে লিখিত দেন যে আপনেরা ভিসা দিবেন, নাইলে পরে এতটাকায় বানানো পাসপোর্ট বেকার যাইব। আপনাদের ধুন্দুর-মুন্দুর আমার সাথে চলব না, আগে লিখিত দেন'' ...
আরেকবার আমার চাচার মেঝ ছেলে বৃত্তি পরীক্ষায় ফেইল মারছে... ডাব্বা খায়া বাসায় আইসা কানতাছে ... পিচ্চি পুলা; একে ফেইল মারছে তাই লজ্জা ভর করছে যে সবাই পাইলো আর আমি বৃত্তি পাইলাম না তাই কানতাছে... আরেকদিকে বড় ভাইয়ের হাতে মাইরপিটের ভয় ... এমন সময় বড়চাচা বাসায় ঢুকল। ঢুইকা দেখছে যে পুলায় তো কান্দে!!! কি রে ঘটনা কি কান্দস ক্যা? যখন শুনল বৃত্তি পরীক্ষায় ফেইলের কারনে কান্নাকাটি তখন কইল ''আরে কান্নাকাটির কি আছে? বৃত্তিতে কতটাকা দেয়? আমারে ক, আমি দিয়া দিমুনে তোরে ঐ টাকা... কান্দস ক্যান?''
এই উদ্ভট ফ্যমিলির সন্তান আমরা চাচাতো ভাইয়েরা সবাই বংশগত এইসব দোষগুণ সবি পাইছি একটা দুইটা কইরা... তাই আমাদের কেউ কেউ প্রচন্ড স্বার্থপর, আবার কেউ টাকার দিকে ঘুইরাও দেখেনা, কেউ মায়ায় ভরা, আবার কেউ দুরে দুরে থাকতে চায় যদি দায়িত্ব চাপে, কেউ লজিকের ওস্তাদ, কেউ প্রচন্ড খামখেয়ালি ... এদের কেউ আমেরিকা, কেউ লন্ডন, কেউ য়্যুরোপ, কেউ ঢাকা, কেউ সিলেট, কেউবা গ্রামে আছে ... অনেকদিন কেউ কাউরে দেখিনা ... বড় চাচার মেঝছেলে (ঐ বৃত্তিতে ডাব্বা খাওয়া ঐটা) এই মুহূর্তে রুমে আমার বিছানায় ঘুমাইতাছে, সে নিজেই এখন এক ছেলের বাপ। ভাইটা পুরা বাপের মত হইছে- একদম কেয়ারফ্রী... আর একটা হার্ট অব গোল্ড নিয়া ঘুরে সে ... তার ছেলেটাও তার মত হউক... কি আছে দুনিয়ায়
রখস-এ-বিসমিল
বাফড়ার পোস্ট প্রিয়তে নিতে নিতে টায়ার্ড হয়া গেলাম... মডুমামারা হের সব পোস্ট আমার একাউন্টে অটো-ফেভের ব্যবস্থা নেন
আর কোন কথা নাই, দেশে গেলে আমি বাফড়ার কিবোর্ড ধোয়া পানি খামু
আপণের হাতে এই রকম শরমিন্দা হওয়ার আগে কীবোর্ড ভাইংগা দেশান্তরি হমু ... ভাইরে ভাই... আল্লায় আমারে মাফ করুক ... কি নির্লজ্জের মত লজ্জা দিয়া গেলেন ....
ভালো লাগল, মজা পেলাম।
... থ্যংস
বাংলাদেশের রম্য সাহিত্য জগতে বাফড়া ইউনিক। তার গদ্য পইড়া কখনোই মনে হয় না আগে কোথাও পড়ছি (যেইটা আজকালকার অনেকের লেখা পড়লেই লাইনে লাইনে বোধগম্য হয়) ।
আবারো একটা মাইন্ডব্লোয়িং...
থ্যংকিউ ভাস্করদা ...
কিন্তু ঐ ''রম্য সাহিত্য জগত'' ... ই ই ই ঈ ই ... ঐ কথাটি কয়েন না ভাইডি ... শরমের ব্যাপার ;)
বাই দ্য ওয়ে - আপনের এইরকম নাদারখাস (শব্দটা শাওনের কমেন্ট থিকা শিখছি, যদিও মিনিং ঠিকমত জানা হয় নাই) চাচা থাকলে আপনেরও পোস্ট পইড়া মনে হইত আগে কোথাও পরছি ... সব ক্ৃতিত্ব আমার চাচাদের
খাইতে বসলে মেঝচাচা নাকি বড়চাচার কাছ থিকা মাছ মাংস কিইনা নিত ... ধরা যাক ঐদিন ডিম রান্না হইছে ... মেঝচাচা তার পাতের ডিম খায়া তারপরে বড়চাচারে অফার দিল ৫ পয়সায় ডিমটা তার কাছে বেইচা দেওনের লিগা ... এইভাবে বাকীতে সে কয়েকমাস বড়চাচার পাতের মাংস মাছ সবি খাইছে ... ঐদিন বাজারে গিয়া বড়চাচার কি একটা কিনার শখ জাগছে; মেঝচাচার কাছে পাওনা চাওয়াতেই গন্ডগোলের সূত্রপাত
হোয়াট এ আইডিয়া... ব্যবসা কই থেকে শুরু... পুরা বস মানুষ...
আগে লিখিত দেন যে আপনেরা ভিসা দিবেন, নাইলে পরে এতটাকায় বানানো পাসপোর্ট বেকার যাইব। আপনাদের ধুন্দুর-মুন্দুর আমার সাথে চলব না, আগে লিখিত দেন ...
স্যালুট তোমার বড় চাচারে
লেখা নিয়ে উপরের বসেরা সব বৈলা ফেলছে ... তাদের সাথে সহমত পোষণ করা জাতীয় কর্তব্য
হ ... মেঝচাচা তো বড় চাচারে গুলা খিলায়া নিজে মাংস-ডিম সবি খাইল ... কোন ক্যাপিটাল ছাড়াই বিঝনেস
বড়চাচার এই কামডা আামর মজা লাগছে খুব ... আমেরিকান এম্বেসিরে হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা করছিল ... তারা চাচারে দৌড়ানি দিছে কি না তা আর জানা যায় নাই
তুমি তো মিয়া কঠিন মাল। আগে যে বিছড়াইয়া পাই নাই কেন এইটাই ভাবতাছি। সকাল সকাল মনটা ভইরা গেল এমন মজার লেখা পইরা। পাঙখা হইলাম তোমার লেখার। পুরা পাঙখা।
আপনে কই এখন???!!! আমার এইদিকে কারেন্ট নাই, গরমে ঘামি... আর ঐদিকে আমার পাংখা-টা কোথায় বাতাস করতাছে কে জানে
সকাল সকাল মন ভরাইতে পেরে ভাল্লাগলো ... আমি নিজেই খুশীতে পাংখা হয়া ঘুরতে লাগলাম
অচিন দা যে এত ডটের মাঝখানেও কষ্ট কইরা পড়ছেন সেইটার লিগা থ্যংস
লিখা খুবি মজারু হইছে জ্যাডা;
"সবার আগে ছোট চাচা ... তারে লাস্ট দেখছিলাম প্রায় ২০ বছর আগে :( ... এই
জীবনে টোটাল মনে হয় দুইবার দেখছি, নাকি একবার ... প্যারা শেষ"-- এই প্যারা শেষ ব্যাপারটা কপিরাইট করায় রাখো
আরে ভালো কথা কইছো তো ... দেখি এবি'র ডেভু আর মডুর সাথে আালাপ কইরা দেখতে হইব ''প্যারা শেষ'' এইটার পাশে কপিরাইট এর সাইন লাগানোর কোন ব্যাবস্হা কইরা দেয় কি না... তবে আমি কোন আশা দেখিনা... এবির মডু বেজায় চালবাজ ওরফে চাল্লু ;)
বাহ প্রতিদিন সকাল বেলায় অফিসে আইসাই এরাম একটা একটা পোষ্ট পড়া গেলে জোস হয়। সেইরাম মজা পাইলাম পইড়া।
..থ্যংস...
অফিসে বসে একা একা পাগলের লাহান হাসানো জন্য আপনারে কঠিন মাইনাস
আপনি যদি কোনদিন বই বাইর করেন, আমি অগ্রিম বুকিং দিয়া রাখলাম.....চাইলে দামও দিয়া রাখতে পারি
আপনার মেজচাচার বানিজ্যবুদ্ধি ওয়ারেন বাফেকেও ছাড়িয়ে গেছে।
... থ্যাংস ... আপনারা বেশীই সুনজরে দেখতাছেন আমারে... অবশ্য আমরা বন্ধুতে স্বজনপ্রীতি না হইলে হইব টা কই?
ওয়ারেন বাফিট তো উনারে পাইলে দোস্তি জইমা যাইত মনে হয়
হে হে হে। চৌদ্দগুষ্টীর আর কে কে বাকি আছে? তাড়াতাড়ি লেইখা ফালান।
... আসিতেছে ...।
আসলে স্টক শেষ
হা হা হা হা ... কঠিন
...
আমার বাপ একটু রাশভারি টাইপের ,বিশেষ করে আমার চাচাদের সাথে ,তাই চাচারা বরাবরই বাপকে একটু ভয় খেত ।একারণে আমার ছোটচাচা চরম চেইন স্মোকার হওয়ার পরেও বাসায় মনের ভুলেও কখনো সিগ্রেট খায়নাই ।
আমি টয়লেটে গিয়া সিগরেট সাবাড় কইরা চইলা আাসি ...
ছোট চাচাদের জন্য আমার একটা আইডিয়া আছে ... টয়লেটে গিয়া সিগ্রেট খায়া আইব... জিগ্যাসাবাদ করলে কঈব, ''হাগুর মাঝে সিগ্রেটের গন্ধ করে .. কি জামানা আইলো কন তো ভাইসাব ?'' ... অবশ্য বলার আগে দাতের ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক
আমার ছোটচাচা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরের বছরেই মুক্তিযুদ্ধ করেন, গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন, গ্রামের ছেলে হিসেবে ভালো সাঁতারুও ছিলেন (জাহাজের তলায় মাইন গাঁথার ডুবুরি ট্রেনিং খুব বেশীজনের ছিলো না)। যাই হোক, উনার শুদ্ধ বাংলার স্টক সুবিধার ছিলো না, যুদ্ধ শেষে তালতো ভাই (বেয়াই)দের কাছে গল্প করতে বসে উনি যা বলছিলেন, তার একটা বাক্য প্রবাদতুল্য হয়ে আছে: যুদ্ধে এতোরকম গুলিগোলা দেখলাম, খালি একটা গুলি কোনদিন দেখলাম না... ঐ যেইটারে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবরে কইতো "এলোফাতাড়ি গুলি"
এলোফাতাড়ি গুলি
বিনিময় বলতে আপনি কি বুঝেন?
বিনিময় মানে হইলো গিয়া বার্টার ইকোনমির কাজকাম...
বস বিনিময়ের কথা এইখানে ক্যাম্নে আসলো
আগেই জিগাইছি .. বিনিময় বলতে কি বুঝেন এইটা আসলে ঘটনা না
আমি বুঝি একজনের লগে আরেকজনের আপোষে দেয়া নেয়া..
এলোফাতাড়ি গুলি কথাটায় আইসা মনে হৈল গুলি বিনিময়
প্রায় দিন পত্রিকায় দেখা যায় "সীমান্তে গুলি বিনিময়", "সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়"
হইতেও তো পারে... তুমিতো আর সরেজমিনে গিয়া গুলিবিনিময় দেখো নাই... হইতে পারেনা যে আমগো বিডিআরের কমান্ডার কোন এক জওয়ান রে এক বস্তা গুল্লি দিয়া কইল ''যা এইটা ঐপারে বিএসএফের বিকাশ কমান্ডার রে দিয়া আয়'' ... আর ঐদিকে বিকাশ কমান্ডার বিএসএফের জওয়ানরে এক থলি গুল্লি দিয়া কইল যা এইটা বিডিআরের কুদ্দুছ কমান্ডাররে দিয়া আয় ... পত্রিকায় এইটারেই হয়ত গুলি বিনিময় কয় ...
আর বাক্সে কইরা না দিয়া মুখের উপ্রে ছিটায়া দিয়া আসলে ঐটা "এলোফাতাড়ি" বা "এলোহাতাড়ি" গুলি বিনিময়
"এলোফাতাড়ি" বা "এলোহাতাড়ি" হাসতেই আছি
@ নূশেরা আাপা- হ... এই বিকাশ ধর কয়া মুখে ছুইড়া মারলে ঐটা ''এলোহাতাড়ি'' বা এলোফাতাড়ি :)
ইট্টু ভুল হইছে ... ঐটা বানানটা ''এলোহাতাড়ি'' হবে
হা হা হা ...
গ্রামের লোকেরা তো একটু ইয়ে কিসিমের হয় ... সমালোচক কিসিমের ... আপনের চাচা আমগো গ্রামের হইলে তার খবর আছিল ... তার যোদ্বা স্ট্যাটাস নিয়া পশ্ন উঠত ... '' ধূরো মিয়া, এইলোকতো ভূয়া... যুদ্ব করে নাই.. হুদাই গফ মারতাছে... হেয় নাকি মুক্তি ছিলো... অথচ ''গন্ডগোলের'' নয় মাসে নাকি এলোফাতাড়ি গুল্লি দেখে নাই''
...কথা ঠিক, প্রতিদিন একটা কৈরা বাফড়া পোষ্ট পড়লে, খানিকটা কৈরা আনন্দ পাওয়াডা নিশ্চিৎ...
বাফড়া পোষ্ট আর্কাইভ বানাইয়া প্রিয়তে নিতে হৈবো...
... মাঝখানে কয়দিন স্যারের দেখা গেলোনা ... এমএমএস নিয়া বিপদের পড়ছিলা নাকি?
ব্যাপক ফ্যামিলি। আর কয়টা চাচা বেশি থাকলে বেশি মজা পাইতাম।
.।
মামু খালা চাচা সব তো শ্যাষ, আশু বাফড়াজীরে বিয়া করায়া কয়েকখান বাচ্চা পয়দা করনের কাম। তাইলে বাচ্চাকাহিনী শুরু হইতে পারে
বাচ্চা পয়দা তো পরের কথা। শ্বশুর বাড়ির কাহিনী কেরম হইব সেইটা মনে কইরা আমি এখনই হা হা পগে। এখনই হবু চাচা শ্বশুর কাহিনী, খালা শাশুরি কাহিনি ছাড়তে পারে।
@ ভাংগু - আমি তুমারে শুভাকাংখী ভাবছিলাম... তুমি দেখি আমারে বদদোয়া দিলা
@ অচিনদা- সে ভাইবা আমারো হাসি পাইতাছে... কিন্তু ইরাম পোস্টের পরে আমার কি হালত হইব সেইটা ভাবছেন? আপনেই তো মনে হয় নরনির্যাতন পোস্ট লিখছিলেন? নাকি আপনেরে নিয়া লিখা হইছিল? ;)
যে নিজের বাপরে এমনে পচায় সে শ্বশুররে নিয়া কি লিখবো চিন্তা কইরাই হাহাপগে কিন্তু ঐ চিন্তা পর্যন্তই কারন শ্বশুর কাহিনী লিখার আগে বাফ্রারও চিন্তান লাগবো যে লিখাটাযদি বউ পড়ে
@ কাকন- সেইটাই... ঘরে খাওন-দাওন ই বন্ধ হয়া যাইব ... গুম নিকে অবশ্য লেইখা দেখা যাইতারে ... ব্উ ভি টের পাইবো না ... ... এই বুদ্বি টা অচিন দা'র কাছ থিকা শিখা ... সে কইলো, ''বুচ্ছ বাফড়া, বউ অহনো ব্লগে অচেনা বাংগালী রে খুজে, এইদিকে আমি যে গুম-নিক হাসান রায়হান নামে বলগাই তা বউ জানেনা...'' '' ইয়ে অচিন দা, আপনের আসল নাম কি ভাবী জানেনা?'' '' জানতো, মাগার ব্লগে নজরদারী করতে করতে আমার আসল নামটা ভুইলা গেছে কি না তাই'' :)
চলেন বাফড়ারে তারাতারি বিবাহ দেই ... কি কন?
মাসুমভাইরে ডাকেন কমিটি জলদি বানানি হোক...
@ প্রত্যু - ভাইটি, এইটা কি আমারে এবি'তে ইনডাইরেক্ট ব্যান মারার তরিকা করতাছো তুমি? :( ...
@জেবীন- ঐপাতে দই দিতে কইলা নাকি?
প্রতিদিন দারুন সব হাসির লেখার অপেক্ষা শুরু করলাম...
বংশগত এইসব দোষগুণ সবি পাইছি একটা দুইটা কইরা... তাই আমাদের কেউ কেউ প্রচন্ড স্বার্থপর, আবার কেউ টাকার দিকে ঘুইরাও দেখেনা, কেউ মায়ায় ভরা, আবার কেউ দুরে দুরে থাকতে চায় যদি দায়িত্ব চাপে, কেউ লজিকের ওস্তাদ, কেউ প্রচন্ড খামখেয়ালি ...
আমাদের বাফড়া কোনটা পাইছে??
নিজের পশংসা নিজে কেমনে করি কও ... ভালোগুলান আমি পাইছি ..।
ভাবতেছি আমিও একটা চাচাকাহিনী লিখব কিনা। আফটার অল হামভি কিসিসে কাম নেহি, বাফড়ার পরিবারের চেয়ে আমরা বড়ই হব, আর কিছুতে না হোক নিদেনপক্ষে সংখ্যায়। আমার বাপ চাচা সব মিলাইয়া ওরা এগারো জন।
'ওরা এগারোজন'' ... হা হা হা ...
আাবার জিগায় ... তরিত লেইখা ফেলরে ভাই ... গয়ালারিতে বসলাম... ওয়েট করাইসনা
এত দারুন লেখেন ক্যাম্নে ? পুরা পাঙ্খা ।
থ্যংকিউ ... ... এইটা বস আপনাদের মায়া... তাই এইরাম ভাবতাছেন ...
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম এই পোষ্ট পড়ে অফিস গেলাম।সারাদিন লগ ইন করা হয় নি। ভাবছিলাম যে বাফড়ার সাথে দেখা হলো, সে কি এই বাফড়া?মনে হয় না।এর লেখার পাংখা হয়ে গেলাম।পড়ে একাই পাগলের মত হাসছি।
'পিচ্চি পোলা'' কথাটা মিস করলাম ...
থ্যংকু থ্যংকু
আপ্নের ভক্ত হই গিলাম।
খুবই খারাপ কথা ----- বাউলদের পার্থিব হাসি-ঠাট্টায় যোগ দেয়া মানায় না
জম্পেশ চাচাকাহিনী! ইন্ডি, ইউ আর রকিং!
থ্যংস জিন্টু ... ইয়ে গেসবলের ব্যাবস্হা করা যায় না দুয়েকটা
হ!
হাসি আইব এরকম কুনু একটা কমেন্ট দিতে হইব ভাবতেই মাথার উপ্রে প্রেশার বাইড়া যাইতাসে ...
হ... হেয়ারস্টাইল দেইখাই প্রেশারের ব্যাপারটা আমেজ করতাম পারছি
গতকাল থেকে কমপক্ষে ৩বার চেষ্টা করেছি এই পোষ্টটা পড়ার। কিন্তু যতবার-ই পড়তে গেলাম, শেষ করার আগে চলে গেল ইলেক্ট্রিসিটি.. হায়রে ডিজিটাল বাংলাদেশ রে!
আর কিছু বলমু না। যদি আবার ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায়
এফবি থিকা এবি তে আসলে ইলেকট্রিসিটিতে সমস্যা করে খানিক
বাফড়ার কাম হইলো প্রতিদান এরম একটা কইরা পোস্ট লেখা।
হাছা কইলাম, এরম রম্য জীবনেও পড়ি নাই। ভাস্করদার কমেন্টর সাথে একমত।
পুরা পাঙ্খা হইয়া গেলাম।
থ্যংকু, মাসুম ভাই ...
আমার চাচাগুলা একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি বোরিং - সবচে বোরিং বাপে
আমাদের গুলাও বোরিং ... তয় আমি আর আমার এক চাচাতো ভাইয়েরা এই বোরিং বাপচাচাদের কর্মকান্ড নিয়া হাসাহাসি করতে গিয়া কেমনে জানি ফানি সাইড বাইর কইরা ফালাই ...
আমার এক চাচাতো ভাই আছে- আমাদের দুইজনের কাজ হইলো একসাথে বসলে বাপপ-চাচাদের রিসেন্ট কর্মকান্ড যাচাই-বাছাই কইরা ঐখান থিকা হাসির জিনিস বাইর কইরা হাসাহাসি করা
আপনে ভচ। চ্রম ভচ। আপনেরে একবার সশরীরের দেইখা চক্ষু শীতল কইরতে হইবো।
ভাইটি, ভীষণ বিব্রত হইলাম, সাথে খুশী-ও হইলাম ...
থ্যংস, ম্যান :)
ব্যাফকস! তব্দা খাইলাম!
এতক্ষণে নারদ তব কহিলা বিষাদে ... ... ...
তব্দা খাইলাম আমি ব্যাফক অবাধে ...
ছন্দ মিলছে কি না কে জানে..।
বাড়ফা! ভাই?? কি চিনছেন না কী? সেই যে ঐদিন সামুতে মাথা গরম কইরা একদিনে ৩/৪ টা নিক শহীদ করলেন ...... তারপর থেইকা আপনেরে অনেক মিসাই। কত খুঁজছি......পরশুদিন ফেজবুকে এই লেকাটার লিংক পেয়ে সাথে সাথে রেজিষ্ট্রি করে ফেললাম। গতকাল এক্সেস পেয়েছি। প্রথম কমেন্ট আপনার এই রম্যে .........গর্বে বুক ফুইলা যাইতেছে।
কি লিখছেন ! এটা বস! লেখা যেমন পুরা মাস্টার, সেই রকম আপনের একেটা চাচা ইঊনিক পিস .........
পয়লা কথা- শান্তির কথা এই যে বাফড়া আর ভাইয়ের মাঝখানে ! সাইন টা ছিল ... সাধে কি শান্তির দেবদূত
দুই নং কথা - নারে ভাই আপনেরে পয়লা পয়লা চিনতে পারি নাই :) ... কি যে কন মিয়া... আপনার ''কোথপোকথন তার সাথে'' সামুস্হ আমার প্রিয় সিরিজগুলার একটা ছিল
ঐদিনের কথা কয়েন না আর... মেজাজ টা চরম বিলা হইছিল ... এখনো ভাবলে বিলা হয়া যায় ... ব্লগিংই ছাইড়া দিছলাম এত মেজাজ খারাপ হইছিল ... পরে এবি'তে আগমন... কেমনে সেইটা পরে কমুনে :) ...
সামুতে ব্যান করার পর মেইলায়া কইলাম অ্যকাউন্ট ডিলিট মারতে... ডিলিট না করায় গালি-সম্ৃদ্ব একখান মেইল পাঠাইছিলাম অ্যকাউন্ট ডিলিট করার জন্য ... ইন্ডিয়ানার অ্যকাউন্ট ডিলিট হইছে ঠিকই, কিন্তু বাফড়া'র অ্যকাউন্ট ডিলিট করার সময় পেজের উপরে লেইখা দিছে '' শর্তাবলী লংঘনের কারনে ডিলিটায়িত'' ... যেইখানে আমি নিজে কয়া ডিলিট করাইলাম সেইখানে তাদের এই মিথ্যাচারের কারন টা অজানা
মেজাজ এখনো এতই বিলা যে কি লম্বা দুই প্যারা খরচ করলাম এই কমেন্টে সামু নিয়া ...
থ্যংকিউ রে ভাই... খোজ নেয়ার জন্য ... আর পয়লা কমেন্ট পায়া আমিই বেশী গর্বিত
এবিতে অক্টিভ থাইকেন ... ভাল্লাগবে (অন্তত আমাদের )... সামুর মত বড় অডিয়েন্স না যদিও তবু ...
ভাইজান আপনারে দেইখআ রেজি না কইরা থাকতে পারলাম না
মহা জটিল হৈসে পোষ্টটা ...
আর মাঝে নুশেরা আপুর এলোপাথারী গুলির কথা শুনে টানা তিনমিনিট এলোপাথারী হাসলাম !!
কিপ ইট আপ!
... ওয়েলকাম টু এবি ... রেজি করছেন দেখে ভাল্লাগলো ... হাসান মাহবুব রে ঐ দিন আপনের কথাই কৈতাছিলাম উনার ব্লগে গিয়া... ... এক্টিভলি ব্লগায়েন ... তাইলে আমরা পড়তে পারুম আপনের জিনিসপাতি যা লেখেন ...
আনন্দ নিয়ে পড়লাম
...
চাচাতো ভাই তুমি আসলেই একটা মাল।
এই কমেন্টের উত্তরে ''সরল মনে'' থ্যংকিউ কইলাম
ছোট্ট আপডেট- তেইশ বছর পর আবার ছোটচাচার দেখা পাইলাম... ... পয়লা জানুয়ারী তিনি দেশে আসছেন
মন্তব্য করুন