উরি বাবা!! দেখে যা!! ভাষা, তার ভাষা
দিনে দিনে মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে যত স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে ততই তারা অন্যদিকে মনোযোগ দেবার সুযোগ পাচ্ছে। এর একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে মানুষের সচেতনতা। গত কয়েক দশকে ফোকলোর সোসাইটির ধারণা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সোসাইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি দেশের ভাষা, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যিক কর্ম বিশেষ করে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আন্চলিক সাহিত্য কে সংগ্রহ করা । ইংরেজী ভাষার বিরোধিতা করছি তা নয়, তবে বর্তমান বিশ্বে ইংরেজী একটি আগ্রাসনের সৃষ্টি করেছে। যেমন স্যাটেলাইট চ্যানেলের কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেমন করে হিন্দির সাথে ইংরেজী অবলীলায়, অগোচরে মিশে যাচ্ছে। যে কোন শিক্ষিত ভারতীয় কথা বলার ফাকে ফাকে একই বাক্যে অথবা আলাদা ভাবে হিন্দি ও ইংরেজী মিলিয়ে কথা বলছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ধারাটি দেখা যাচ্ছে এবং এটা সম্ভবত জনপ্রিয়ও হচ্ছে। হয়তো এটাই স্মার্টনেস।শুধু তাই নয় আমাদের আন্চলিক ভাষাগুলো আরো বেশী বিপদের সম্মুখীন। যেমন এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিলেটীরা শুদ্ব বাংলা ও সিলেটী মিলিয়ে জগাখিচুড়ি ভাষায় কথা বলেন।
আসলে একটি ভাষা রক্ষার ওপর জোর দেয়া হয় কয়েকটি কারণে। যেমন প্রত্যেকটি ভাষায় এমন কিছু শব্দ রয়েছে যার সঠিক প্রতিশব্দটো অন্য ভাষায় পাওয়া যাবে না। যেমন কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় একটি শব্দের কথা পড়লাম- শব্দটি হচ্ছে ''অভিমান'' এই শব্দটির কোন প্রতিশব্দ; কোন উপযুক্ত প্রতিশব্দ ইংরেজীতে নেই। তার কারণ হচ্ছে ইংরেজদের মধ্যে অভিমান করার চল আসলে নেই - তারা যখনই রাগ করে তারা তা প্রকাশ করে এবং সেটার জন্য সমাধানও রয়েছে। তবে Keats তার Ode on Melancholy কবিতায় ''rich anger'' শব্দটি ব্যাবহার করে অভিমান এর মত এক্সপ্রেশান দিতে পেরেছেন। তবে তা সম্ভবত Keats এর পক্ষেই সম্ভব। আবার বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোয় লেখা তারই একটি কলামে ''হোয়াট এ কমিটমেন্ট'' বাক্যটির জন্য 'কমিটমেন্ট' শব্দের কোন বাংলা খুজে পাননি। এছাড়াও উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে 'পরাণ' 'পিরীতি' এসব শব্দের কথা। এই দুটি কোমলরুপ শব্দের ইংরেজী প্রতিশব্দ পাওয়া খুবই কঠিন।যেগুলো এই দুটির মতো হালকা অথচ শ্রুতিমধুর। এছাড়াও ভাষা রক্ষার উপর জোর দেওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে ভাষা এবং ঐ ভাষাভাষী লোকদের সংস্কৃতি। এ ব্যাপারে যাযাবরের একটি উদ্বৃতিই যথেষ্ট-
''একই বস্তু কেমন করে শুধুমাত্র আবেষ্টন ভাষা ও পরিবেশের তফাতে শ্লীল ও অশ্লীল ঠেকে তার আরো সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত আছে সিনেমায়। শ্বশুর-ভাশুর, পুত্রবধু ও কন্যা-জামাতা এক সংগে মেট্টোতে বসে গ্রেটাগার্বো ও চার্লস বেয়ারের দীর্ঘহস্হায়ী চুম্বন আর আলিংগণ দেখতে যারা কিছুমাত্র সংকুচিত হননা, বাংলা ছবির নায়ক-নায়িকার নিরামিষ প্রণয় নিবেদন দৃশ্য তাদেরই অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে দেখেছি। শরীরতত্ব আলোচনায় যে কথ বাংলায় বলতে বাধে, ইংরেজীতে তা নিয়ে গুরুজনদের সংগে তর্ক করা হয় অনায়াসে।''
অর্থাত প্রত্যেক ভাষা এবং সংস্কৃতির একটি আলাদা ঘরানা এবং স্বতন্ত্র ভাব রয়েছে। আর তাই প্রত্যেকটি ভাষা রক্ষার উপর জোর দেয়া হয়।
(লেখাটার টাইটেল আর লেখার নীচের ডিসক্লেইমার টাইপ করলাম না।)
==========
আমার বয়স যখন মাত্র বিশ তখন এই লেখাটা লিখছিলাম। অনার্সে থাকতে ডিপার্টমেন্টে আমরা পুলাপাইন মিল্লা ম্যগাজিন ছাপামু... সম্পাদনা , লেখা, ফাইন্যান্স সবকিছু আমরা আমরাই ... কুকীর্তিটা সেইসময়েই করা ... লেখাটা এখন পড়লে হাজারটা ভূল চোখে পড়ে; কোথাও ভূল শব্দ, কোথাও ভূল বাক্য , কোথাও তাড়াহূড়া, সবমিলিয়ে বিশ বছরের নাদান এর লেখা যার প্রতি লাইনে আমি কিরকম একটা বোকামির ছাপ, একটা সরলতা খুইজা পাই।
কিন্তু এইসব পরের কথা।বিশ-বছরি লেখায় এই সব বানাম-ফানাম ইত্যাকারীয় ভূল থাকবই । যেই কারণে এত বাখানিয়া কইরা পুরানা এই লেখাটা ব্লগে তুললাম... লেখাটা পড়তে গেলেই নিজের কান্ড দেইখা আমি মুখ ঘুরায়া, ঠোট চাইপ্পা হাসি; ভাবি কেমনে এইরকম একটা কাম করতে পারলাম ... ভাবি পাগলামির ডোঝ টা কি বেশী হয়া গেলনা? ... এবি কর্তিপক্ষ ঐদিন জানান দিল তারা নাকি আমার একটা ব্লগ তাদের ব্লগ সংকলনে দিবার জন্য প্রাইমারী মনোনয়ন দিছেন। কে জানে দশবছর পরে নিজেরে লয়া মুখ টিপ্পা হাসার আরেকটা সুযোগ আসতাছে।
রখস - এ - বিসমিল
পর্তে পর্তে ভাবতেছিলাম কেডা নিজের নিক চেঞ্জ কইরা বাফড়া লইলো? শেষে ডিস্ক্লেইমার দেইখা হাফ ছাইড়া বাচ্ছি। তয় কথা হইলো ডিস্ক্লেইমারের আগের অংশটাও কইলাম দারুণ হইছে।
হা হা হা... নাহ কেউ নিক নিব না ... তুমারে ভ্যাবাচেকা খাওয়ায়া প্রীত হইলাম
কিছু তথ্য জানতে পারলাম...জানতে পেরে ভাল লেগেছে।আরও একটি বিষয় এই লেখার মধ্যে আছে যেটা কিছুদিন ধরে মাথার ভেতর ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছে,বিষয়টা হচ্ছে-বাংলাদেশের উপর ভারতের মিডিয়া আগ্রাসন! বাফড়া ভাইকে ধন্যবাদ এই কারণে যে,২০ বছর বয়সের এই লেখাটা আপনি আমাদের পড়তে দিয়েছেন
যক বাচা গেল... নিক যত বিষাক্ত কমেন্ট তার ধারেকাছেও না... বাই দ্য ওয়ে আপনের এই নিকের প্রথম কমেন্ট আমিই পাইলাম এই ভাইবা বেদম আপ্লুত হইছি ...
ভারতীয় মিডিয়ার এই আগ্রাসন আমাদের ভোক্তা-দর্শক ও মিডিয়ার লোকদের মানসিক ও অর্তনৈতিক দৈনতা/দীনতা'র ফসল...
ভাল ।
আচ্ছা
হ
আরে খাইছে!! আপনে দেখি আমার মতই আরেক বুঝদার ব্যাক্তি
নিজেকে নিয়ে হাসতে পারা ভালু ব্যাপার।
সেই সেই...
সালমান এফ রহমান এত খুশী ক্যা??
Rich Anger শব্দটা জানলাম।
বাফড়ার বয়স একসময় বিশ ছিল মানে কি? আমি তো ভাবতাম, বাফড়া হয় একজন আঠার বছরের বালক।
রিচ অ্যংগার আসলে কোন ডিকশনারীর শব্দ না আসলে... ঐ কবিতার কনটেক্সটে গিয়া মিনিং টা অভিমানের মত খাড়ায় আরকি...
বয়সের অংশ টা পইড়া ইট্টু দিলখুশ হইল ...
আঠারো বছরের বাফড়া !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ওরে সেতো দারুন !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এই ছেলে বয়েস নিয়া এত্তো চিন্তা যে কেন করে বুঝি না! মাঝে মাঝে তো লাগে মেয়েদের চেয়েও বেশি!! সেদিন একজনে ছবি দেখে বল্লো যে, "আরে কি কমবয়েসি লাগছে", কি যে খুশি কি কই!
কম্বয়সী বিয়া করা পেলান করতেছে মনে হয় ।
@ জেবীন- শুননাই নজরুল বইলে গেছেন যৌবনে দাও রাজটীকা...
@রায়হান ভাই- একটা সন্ধান কিরা দেননা বস
কমিটমেন্টের বাংলা আমি যদ্দুর জানি- দায়বদ্ধতা হৈবো।
সেইরকম হৈছে...
হ.. জালাল সাব-ও সেইটা কইছিলেন..মাগার জালাল আহমেদ চৌ আরো কইছিলেন ধরা যাক ফিল্ডার জানপ্রাণ বাজি রাইখা উল্টায়া-মুল্টায়া পইড়া ক্যাচ ধরার পরে হোয়াট আ কমিটমেন্ট এর বাংলায় ''বাহ, কি দারুণ দায়বদ্বতা'' কইলে কেমন শুনায় না?!
আপনাদের অনেকরেই অনেকদিন দেখিনা... আপনের হলুদ মটরসাইকেল তো দেখিই-ই না
পুচকা আন্দাজে লেখাতো ভালোই, হাসি আসছে কেন তোমার বুঝলাম না! টাইটেল জানার আগ্রহ হইছে, আর ম্যাগাজিনের লেখায় আবার ডিস্ক্লেইমার কেন ছিলো?
তবে শুরুটা পড়তে গিয়া মনে হইছিলো, আমাদের ব্যাডবয় কি শুধরায়া গেলো? ব্যপারটাতো পানসে হইবো!
এই ধরো ফার্সট এইডের গ্যান নিয়া যদি তুমি সার্জারি'র উপর সরলমনে লেকচার মারা শুরু কর তাইলে কয়দিন পরে এই ঘটনার কথা ভাইবা তুমার নিজেরই হাসি পাইবনা ...
ডিসক্লেইমার টা ছিল যে লেখাটার অনেক জিনিস বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গা থিকা নেয়া...
হ.. শুধরায়া গেছি ...
২টা পোষ্ট দেও একটা শুধরাইন্না'ওলা আরেকটা আগের মতোন, তখন মানবো কি হইছো। নইলে মানবো না
সার্বিক বিবেচনায় আপনার সময়োপযোগী এই সত্যকথন ব্যাপক পর্যালোচনার দাবিদার।
(তয় অভিমানের কথা আর কইয়োনা, আংরেজীতে এই শব্দ না থাকাতে বেশ সমস্যা হয়!)
ক্যান? সমিস্যা হয় ক্য?? কোন আংরেজ এর সাথে অভিমান করো ??
এই লেখাটা পড়তে পড়তে আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো এটা একটা বিশেষ লেখা। মানে আমব্লগারদের পক্ষে এটার মাজেজা বোঝা একটু কঠিন হইতে পারে। মনে হওয়ার তাগিদ থেকে আপনার পুরান কিছু লেখা পড়ে আসলাম। আসলেই ব্রাদার। আপনার একটা হিউমারের কলস আছে। তবে এইটা আপনার রেগুলার লেখাগুলোর মতো না হলেও খারাপ লাগে নাই।
থ্যংকিউ ব্রাদার ...
আরে বস্ আপনে!!!! আগে কন, আছেন কেমন?
ছুডুকালেও আপনের লেখার হাত উমদাই আছিলো। অবশ্য এইটা আমি আগেই সন্দ কর্সিলাম। যাউক্গা ভালো থাইকেন।
এই আছি আরকি... থিতু হবার চেষ্টা করছি... কিন্তু মাথার ভিত্রে পন্চমীর চান্দ ঢুইকা বইসা আছে...
কতদিন পর বাফরারে দেখলাম
যার চোখ যা খুজে
আছ কেমন? উদয় হইলা কই থেকে?
এইতো আচি আরকি... উদয় কি.. মবিলে অফলাইনে ব্লগ পড়িতো... তুমরাইতো বরং আজকাল ব্লগ থিকা হাওয়া
মন্তব্য করুন