কাস্টমার সার্ভিস@বার্গার কিং ডট আজাইরা ডট পোস্ট
পুরানা বাংলা ছবিতে (ঢাকাই বা কলকাত্তি যাই হোক না কেন) খালি দেখা যাইত নায়ক বিলেত থিকা একটা বিদ্যাই শিখ্যা আইছেন- সেইটা হইলো পাইপ টানা; আর আইসাই নায়িকার বাপের সামনে ভুস ভুস কইরা পাইপের ধোয়া উগরানো ... মনে হয় অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রী নিত; হেইখান থিকাই তারা এই ট্রাকের মত ধোয়া ছাড়ার টেকনিক শিখছিল
মাগার আমার এই কাহানীর পুলা এত বেদ্দপ না ... সে বিদেশ গিয়া আরো অনেক ভালো বিদ্যার সাথে সাথে কাস্টমার সার্ভিস নামক জিনিস টা ভালোই রপ্ত করছিল ... তার প্ল্যান দেশে আইসা ব্যবসা খুইলা কাস্টমাররে এমন সার্ভিস দিব যে কাস্টমার খালি তার দোকানেই আইব
...
তো পুলায় দেশে আইসা প্ল্যান মোতাবেক দোকান খুলল - ডিপার্টমেন স্টোর ... কর্মচারীদের শিখাইল কাস্টমারে প্রডাক্ট চাইলে নিশ্চিত হবা কি টাইপের প্রডাক্ট, যা চায় তা না থাকলে অন্য প্রডাক সাজেস্ট করবা, আর বলবা ঐ প্রডাক স্টকে আসলে উনার জন্য রাখা হবে ... হেনতেন ... এইরাম সার্ভিসের পর তো ব্যাবসা রমরমা ... পয়সা পায়া মালিক খোশ, সার্ভিস পায়া কাস্টমার খোশ, ফাকতালে কর্মচারীরাও খোশ (কে জানে কেন?? )।
কিন্তু ''জীবন বহমান নদী''; এইখানে সুখ কি বেশীদিন থাকে? একদিন একলোক আইসা জিগাইল - ইয়ে ভাই টিস্যু পেপার আছে? - জ্বি স্যার, আপনি আসলে কি ধরনের টিস্যু কাগজ চাচ্ছেন? টয়লেট নাকি ফেসিয়াল? - টয়লেট টিস্যু টাই চাচ্ছিলাম। - ইয়ে হয়েছে কি স্যার টয়য়লেটের জন্য কোন টিস্যু পেপার তো স্টকে নেই, শিরিষ কাগজ আছে, ঐটা দিয়া দেই ; আর টয়লেট টিস্যু পেপার আসলে পরে জানাব
... অবস্হা আপনেরা আমেজ কইরা নেন অহন ...
সত্যি কথা হইল বাংলাদেশে কাস্টমার সার্ভিসের নামে যা হইতাছে তা হইল শিরিষ কাগজ দিয়া ঘষা মারা; আপনে কোন সমস্যায় পড়ছেন... গেলেন কাস্টমার কেয়ারে; তারা ঐখানে শিরিষ কাগজ নিয়া বইসা আছে আপনারে জায়গামত ঘষা দেয়ার জন্য; এমন ঘষা দিব যে বালিশান হয়া যাইবেন
প্রায় ৫/৬ বছর আগে জিপির কাস্টু কেয়ারে গেছলাম আমার মাতাজীর পীড়াপীড়িতে ... দাবি টা নির্দোষ- আমার বাড়ীতে যেই নাম্বার টা ব্যাভার করা হয় ঐটাতে খুব মিসকল দেয় একটা নাম্বার থিকা, তার একটা বিহিত করা। আম্মার সোজা বক্তব্য- ওদেরে বলবা যেন ঐ নাম্বারে কল কইরা জানায়া দেয় আমাদেরে মিসকল না দেয়ার লিগা... কাস্টু কেয়ারের সর্বজনাবরে ''মায়ের দাবি'' জানাইতেই উনি বললেন আমাকে আগে থানায় গিয়ে জিডি করতে অইব । আস্কাইলাম এই সামান্যের জন্য জিডি? জ্বি, কারন যিনি মিসকল দিচ্ছেন তিনিও আমাদের সম্মানিত কাস্টমার, কোন লিগ্যাল পেপার ছাড়া উনারা কোন সম্মানিত কাস্টমাররে মনে কষ্ট দিতে চাননা ... কাহানী আরো লম্বা... আপনেরা আমেজ কইরা নেন; আমি আর না বাড়ায়া প্যারা এইখানেই শেষ করলাম ...
দেশে আসার পর শুনেছি জিপি নাকি আনওন্টেড মিসকল বন্ধের ব্যাব্হা করছে; কোন জিডি ছাড়াই কোথায় এসএমএস করলেই মিসকল মাস্টারদের কেরামতি বন্ধ... ভাবি এখন তাদের সাধের জিডি'র কাগজ টা কই গেল? তাইলে কি ঐ জিডির কাগজটাই আদতে শিরীষ কাগজ ছিল আমারে ঘষা দেয়ার লিগা ?
লন্ডনে যেই কফি শপে কাজ করতাম সেখানে আমার সুপারভাইঝর ছিল মুনীর নামে এক বাংলাদেশী বড়ভাই... ভালো মানুষ খুব... মাগার একটু সহজ সরলও বটেন ... উনার সাথে খাড়ায়া একদিন কাজ করতাছি এমন সময় এক মহিলা আইসা আস্কাইলো আচ্ছা এইখান থিকা অ্যাকটন টাউন যামু ... কেমনে যাই? মুনীর ভাই বলল, অ্যাকটন টাউন ... অ্যকটন টাউন ... উমমম ... ইয়ে বাফড়া তুমি জানো অ্যকটন টাউন কেমনে যায়?
- না বস, জানিনা।
- তাহলে এক কাজ করি এই মহিলারে বলি জুবিলী লাইনে চড়তে ... বলব ঐরুটেই সে পৌছে যাবে
- আরে করেন কি??!!! আপনে যদি জানেনই না, তাইলে আউলা ইনফো দেয়ার কি দরকার? সোজা বলে দেন আপনে জানেন না
এই টাইপের কাস্টমার সার্ভিসের উস্তাদ দের হাতে পড়লে খবর খারাপ ... এরা সার্ভিস দেয়ার জন্য এতই উতলা যে না জানলেও আপনেরে নিরাশ করব না, দরকার পড়লে ভুল তথ্য দিয়াও হেলপাইবো !!! আল্লাহ এদের হাত থিকা মানবজাতিরে বাচায়া রাখুক
আরেকবার শপে আমি, আলী নামে এক পাকিস্তানি পোলা আর মুনীর ভাই কাজ করতাছি। দুপুর পড়তাছে ... আমি আর আলি মাছি মারতাছি আর মুনীর ভাই শপের একচিপায় বইসা পেপার-ওয়ার্ক করতাছে ... এই সময় এক সুন্দরী আসলেন লাটে কফির আবদার নিয়া ... লাটে বানানোর জন্য সে আবার স্পেশাল ইন্স্ট্রাকশান দিতাছে ... আলী সেই মাফিক বানাইতে বানাইতে জিগাইল এইরাম পেচাইল্যা লাটের সিস্টেম কই থিকা শিখছ ... এইসব স্মল টক গোত্রীয় আলাপে আলাপে বাইরাইল যে সুন্দরী জার্মান দেশ থেকে লন্ডনে আসছেন ... । আমি এই ফাকে ''ইশ বিন আইন বার্লিনার'' কয়া সুন্দরীরে মুগ্ধ কইরা দিলাম
...
পেচগী লাগলো অন্য জায়গায় ... জার্মানী নামটা শুনতেই মুনীর ভাই ধাম কইরা হাজির ... আস্কাইলো ''হোয়েন ইঝ দ্য ঠার্ড ওয়াল্ড ওয়ার'' ? মুনীর ভাইয়ের বাংলা-ধাচের অ্যাক্সেন্ট এবং এই আজীব সেন্টেন্স শুইনা বুঝতে না পাইরা মহিলা বলল ''সরি?'' ... মুনীর ভাই আবার বলল ''হোয়েন ইঝ দ্য থার্ড ওয়াল্ড ওয়ার?'' ... আমি আর আলী লজ্জায়, ভয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়
(প্রত্যুতপন্নমতিত্ব তখনো সামুতেই সীমিত
)... এইদিকে মহিলা আবারো ''সরি?'' ... এইবার মুনীর ভাই আর থমলো না ফুলথ্রটলে চইলা গেল - ''হোয়েন ইঝ দ্য থার্ড ওয়াল্ড ওয়ার?'' কয়া হাত তুইলা ''টিসকিয়া টিসকিয়া টিসকিয়া'' কয়া গুলির অভিনয় ও কইরা ফেলল একদফা
(
) ... আরেকটু হইলে জব টা হারাইতাম সবাই মিল্যা
এরপর থিকা মুনির ভাইয়ের সাথে কাজ করলে কাস্টমারদের সাথে কোন এক্সট্রা আালাপে যাইতাম না ... বাপধন তুই তোর কফি লয়া যা গা ... আমার মুনিররে সাকো নাড়াইতে দিস না...
তো কাস্টমাররে খোশ রাখার চেষ্টা যে খালি আমরাই করতাম তা না... লন্ডনে আর সব তেজারতেই এই প্রসেস চলত... ইরামই এক স্হান ছিল কোন এক স্টেশানের বার্গার কিংয়ের দোকান... (আমি তখনো বিডিতে, ফোনে শুনছিলাম ঘটনা টা) ... ঐখানে এক ফ্রেন্ডের কয়েক ফ্রেন্ড গেছল হাবিজাবি খাইতে... সাথে কফিও অর্ডার দিছল ... বার্গার কিংয়ে আবার চায়ে মেশানোর দুধ পাওয়া যায় ছোট ছোট প্লাস্টিকের কাপে... একেকটা কাপে এক চামচ পরিমান দুধ থাকে... কাস্টমাররা নিজ দায়িত্বে কফি-চা তে দুধ মিশায়া নেয় ... ঐদিন মনেহয় যেই মাইয়া সার্ভ করছে তার শখ জাগছিল কাস্টমাররে এক্সট্রা সার্ভিস দেওনের তাই জিগাইছে কফিতে কয়টা দুধ দিমু? - পুলায় কইলো ''এই জিনিসতো দুইটাই হয়... দেও দুইটাই দেও''
কিছু কিছু ক্রেতারাও মনে হয় মাঝে মাঝে শিরীষ কাগজ লয়া বাসা থিকা বাইরায় ...
রখস-এ-বিসমিল
এই রকমের একটা পোস্ট সামুতে দিছলাম অনেক আগে ... ঘুম আসছিল না তাই ভাবলাম লাগাই একটা পোস্ট ... মগজস্হ মেমোরি থিকা রিট্রিভ করলাম... তারপর ঐটারে চেন্জ করলাম... তারপর দিলাম পুস্টায়া ... সামুর পোস্টের মনে হয় ৪/৫ টা প্যারা আছে এই পোস্টে
বাই দ্য ওয়ে, পোস্টে দেয়া বার্গার কিং য়ের ঘটনা টা আমি কিভাবে নেব তা এখনো বুঝে উঠতে পারিনা... যদিও মনে পড়লে হেসে উঠি ... কিন্তু জানিনা এইটা কি ফ্রেন্ডলি ব্যান্টার নাকি, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট
...
হাহাহাহা। বরাবরের মতোই জোস।
আর শেষটাও তো অশ্লীষ মনে হইলো না। কথা তো সত্য।
তয় আরেকটা সত্য কথা হইলো সবসময় কারেক্ট হইলে চলেনা, মাঝে মাঝে পলিটিক্যালি কারেক্ট হওন লাগে কিনা তাই
হা হা হা ... কঠিন লাগলো!
রখস-এ-বিসমিল এর মাজেজা কি?
বরাবরের মতোই পাংখা। ব্যাপক মজা পাইলাম।
থ্যংকু @ জয়িতা
মাজেজা ৫ নং পোস্টে দিছি নুশেরা আপার একটা কমেন্টের জবাবে ... ঐটা কাইন্ডলি চেক করেন ...
কাস্টু কেয়ারদের আর কি দোষ, আমার এক দুস্ত একবার গ্রামীণের কাস্টুতে পার্ট টাইম নিসিল সে মাস খতম করবার পর কাদোঁ কাদোঁ মুখ কইরা কয়, দুস্ত ভূলেও আর ঐ পথ মাড়ামু না। সারাক্ষণ হাসি হাসি মুখ করে রাখার প্রয়াসে মোর খোমা পার্মানেন্টলি ভ্যাটকাইয়া গেছে
আমি খিয়াল কইরা দেখলাম ঠিকই বেচারার মুখ ক্লোজডাউন আর পেপসিডেন্টের মঠেলের লাহান কেলায়া গেছে। সে আরো কয় দোস্ত সারাদিন আবজাব মানুষের অর্ডার শুনতে শুনতে জান অস্থির। একবার নাকি এক লোক আইসা মিস্কল জিনিসটা কি এইটা কেমনে করে এইটা সবিস্তারে জান্তে চাইছে
আর আরেকবার নাকি এক ব্যাটা আইসা আস্কাইছে টাকা দিয়া আরো কয়েকখানা এফএনএফ খরিদ করা যায় কিনা, কারণ দিন দিন নাকি তার ডার্লিংয়ের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তিসে
কাজেই কাস্টু কেয়ারের লুকজনের প্রতি কিছুটা দরদ দেখাই, হাজার হৈলেও ওরাও তো বাঙালী
আর লেখা বরাবরের মতোই
হাজার হইলেও ওরাও তো বাংগালী
... হাহা হা
শেষটা ভাল লাগল না রে ভাই। কিন্তু আপনার লেখা খুব ভাল লাগে।
শেষ টা কিন্তু একটা সত্যি ঘটনা ... এই ঘটনা নিয়া ভালো লাগা না লাগা দুইটা বোধ ই আমার আছে ... আমি রাদার কনফিউঝড
ছ্যা ছ্যা ছ্যা ,মিয়াভাই আপ্নে পারেনও
।
মজা পাইছি!
সেইরকম ...কাষ্টমার কেয়ারে ফুন করলে মজাই লাগে ...ভাবখানা এমন যে যা চামু তাই দিয়া দিব ...এমনকি চাইলে জানখানাও দিয়া দিব ...
কিন্তু বাস্তবে কিচ্ছুই দেয়না
... জিপির কাস্টমার কেয়ার নিয়া আমার আর আমার পিতাজীর বেশ কয়েকবারের তিক্ত অভিগ্যতা আছে..।
প্রত্যুতপন্নমতিত্ব তখনো সামুতেই সীমিত
তাই নি

রেগুলার বাফড়া পর্তে চাই
মজা পাইলাম
হ ... তখনো সামুতেই সীমিত

@ আপন আধার- থ্যংস
নায়ক ফিরে আসার আগে পাইপ টানাটা নায়িকার বাবার একচ্ছত্র অধিকারে থাকে (অবধারিতভাবে সিনথেটিক ফারের বর্ডার দেয়া সিল্কের ড্রেসিং গাউন পরিহিত)। নায়ক বিলাতফেরত হইলে টাইসহ থ্রিপিস সুট, এলভিস পামসু এইসব পরে আর হাতে এটাচি লয়া ঘুরে।
শিরিষ কাগজের ঘষা আগাগোড়া বাফড়ীয় হৈছে
হ ... নায়ক আাসার আগ পর্যন্ত চৌঢুরী সাবই একচ্ছত্র পাইপ টানেন ... আর এই গাউন টা ছোটবেলায় সিনেমায় এত দেকছি যে আমার ধারণা ছিল এইটা ধনী লোকের পোষাক
শিরিষীয় কৌতুক টা সমুতে একবার পড়ছিলাম কোথায় জানি
থ্যংস
কাস্টুমার কেয়ারের কাজ কাম ব্যাপক আনন্দদায়ক!
জট্টিলস্ ... কানায় কানায় হিউমারে ভরপুর ...
বাফড়া মনে হয় শিরিষ কাগজ দিয়া কীবোর্ড ঘইষা তারপর পোস্ট টাইপ করে
নাহ... ঐ দোকানের কর্মচারীর কাছ থিকা শিরীষ কাগজ আনা হয় নাই পরে আর

শেষ ঘটনাটা কেমনে নিবা/নিবো-যদি নিজের কেউ ঐ মেয়েটা হয় তাইলে এইটা সেকসু্য়াল হ্যারাসমেন্ট।
আর যদি নিজের পরিচিত কেউ না হয়, তাইলে এইটাকে ঐ ছেলের বিরাট হিউমার সম্পন্ন একটা লোক মনে করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হিহিহাহা করে যেতে হবে।
অবশ্যই হ্যারাসমেন্ট। বাফড়া শেষ লাইনটা দিয়ে সেই ঘষা দিয়েই রাখছে।
@নুশেরা আপা- আমি নিজেও জানি এই কাজ হ্যারাসমেন্টের কাতারে পড়ে ... তবে তারপরো এতটা নিশ্চিত নই
রোবোট কে দেয়া রিপ্লুতে ডিটেইলস...
@রোবোট- ভাইটি মনে হয় ক্ষিপ্ত
... আসলে আমার প্রশ্নটা ''ঐ পার্টিকুলার কাজ টা'' নিয়া ... আমার কনফিউশান টাও ঐ জায়গায়ই ... একটা উদাহরণ দেই -
ধরেন একটা লোক আছাড় খায়া পড়ল - দেকহে হাসি আসতেই পারে কারো কারো ... আমার নিজেরও হাসি আসতে পারে.. কিন্তু আমি হাসবো না কারন আমি জানি এইটা হাসার কিছু না কারণ লোকটা ব্যাথা পেয়েছে পড়ে গিয়ে; এটা কোনভাবেই ফানি হতে পারে না; হোক সে আমার পরিচিত বা অপরিচিত।
এখন পোস্টে বর্ণিত ঘটনার ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে- আমার হাসি পাচ্ছে প্রবল ... আাবার এইটাও মনে হচ্ছে যে এইখানে হয়তো ভার্বাল হ্যারাসমেন্ট হচ্ছে ... আবার মাঝে মাঝে মনে হয় কোন হ্যারাসমেন্টই হচ্ছেনা... কারণ বিদেশে এইরকমের (অথবা কাছাকাছি মাত্রার) চিকি ব্যান্টারের আদান-প্রদান আকছারই হয় ... (হয়তো সামনাসামনি উপস্হিত থাকলে ছেলেটার বলার টোন থেকে বোঝা যেত ঘটনাটা কিভাবে বিচার করা উচিত)
সো আমার সমস্যা টা হল - আছার খাওয়ার ক্ষেত্রে আমি যেরকম নিশ্চিত যে এইটা হাস্যকর কিছু না; এইক্ষেত্রে আমি সেইরকম ডিসিশানে পৌছাতে পারছিনা... তাই আমার আইডিয়া টা ছিল এই ব্যাপারে পাবলিকের মনোভাব টা জানা ... নূশেরা আাপার মনোভাবটা ক্লিয়ার কাট জানা গেল ... আপনার টা কমেন্ট হিসাব নিকাশ করে মনে হচ্ছে হ্যারাসমেন্টের দিকে যাবে...
১ টা বাই দ্য ওয়ে টাইপের কৈফিয়ত- আমার কাছেও মাঝে মাঝে এইটারে হ্যারাসমেন্ট বইলা মনে হয় তাই-ই পয়লা কমেন্টে আমার মটামত/ভাবনা/মনোভাব তুইলা ধরছিলাম... আদারওয়াইঝ এত কাহানীতে যাইতাম না :)
আফনের পোষ্টটা ছাপাইয়া প্রত্যেক কাষ্টমার সার্ভিস কোম্পানিরে (?) বিলি করনের জোর দাবী জানাইতাছি ...
কোন ফায়দা নাই রে ভাই
... হুদাই 
গ্রামীন কাস্টু কেয়ারে ফুন্দিলাম একবার, আমার নেট প্যাকেজ বদলাইয়া আরেকটা প্যাকেজ নিমু, কুনটা আছে, সেইডাও আমি জানি, কুনডায় নিমু সেইডাও জানি, শুধু ক্যাম্নে নিমু, সেইডা জানিনা....
ফুন্দিলাম...কাস্টোমার কেয়ার কেনো টোল ফ্রী না, সেইটা আমি তখনও জানিনা...দিয়া বুঝতে পার্লাম, যখন ১২ মিনিটের মাথায় আমার সমস্যার কথাডা বুঝাইতে পার্লাম,...
আমার নেট সংক্রান্ত ইনকোয়ারী আছে শুইনাই, কি কি প্যাকেজ আছে, তার কি কি সুবিধা-আমার জন্য কুনডা ভালো হবে(আহারে, আমার জন্য মেয়েটা স্পিশালী বললো
), সেইসব কওয়ার এক ফাঁকে আমি জানাইতে পার্লাম, আমার অলরেডী নেট লাইন আছে, জিপি'রই...কিন্তু যেই শুনলো, বদলাইতে চাই, তখন ২য় দফাস শুরু হৈলো, কুনডায় ভালো হবে, খারাপ হবে না এইসব...আমি যতক্ষনে জানাবো যে, কুনডা নিবো, সেইডাও ঠিক করা...ততক্ষনে আর তার সাথে কথা কওয়ার আগ্রহ ধৈরা রাখতে পারিনাই(ফোনে বেশিক্ষন কথা কৈতে আমার এ্যলার্জী আছে),...
তয়, কাস্টোমার কেয়ারে স্যার, জ্বি স্যার কৈতে কৈতে যে অস্থির হৈয়া যায়, এইডা অশ্য এইসব কর্পোরেট ব্যাবসায়ী গুলাই দেখাইলো...আমাগো দেশে...
এইবার দেশে আসার পর গত ৬ মাসের মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক ২টা আলাদা সমস্যায় সর্বমোট ৫ বার নিজের পকেটের টাকায় বার জিপির কাস্টু কেয়ারে ফোন দেয়া লাগছিল। জিপি'র কাস্টু কেয়ার নিয়া আমার সর্বশেষ দুই অভিগ্যতার কথা আর কইলাম না... ঘটনাগুলা তুমার ঘটনার মতই প্রায় ,,,,,
তবে দুঃখজনক হইল যে জিপির কোন ভুলে যদি তুমার ফোনের ব্যালেন্স কাটা যায় সেইটার প্রতিকার আশা করা বৃথা ... কাস্টু কেয়ারে ফোন দিলে তারা উল্টা এই বুঝানোর চেষ্টা করে যে ভুলটা তোমারই ...
মজাক পাইলাম প্রচুর। দারুণ একটা লেখা হইসিলো এইটা
''হোয়েন ইঝ দ্য থার্ড ওয়াল্ড ওয়ার?'
আই সালা... এক ইমোতেই ফাডালাইছে
মন্তব্য করুন