রোমান্টিক কায়-কারবার, রোমান্টিকতা ও লর্ড বায়রন
ক্লাস সেভেনে থাকতে ''রোমান্টিক'' শব্দের সাথে পয়লা পরিচয়; কোন একটা টিভি ম্যাগাজিনে বিপাশার সাক্ষাতকার ছাপাইছিল; ঐখানে বিপাশা কইলেন উনার স্বপ্নের পুরুষরে টল-ডার্ক-এন-হ্যানসাম, এবং রোমান্টিক হইতে হইব। পরে দেখি শমী, রোমানা এরাও রোমান্টিক পুরুষের খুজে জেরবার। আব্বার লাইব্রেরী থিকা পাকিস্তান আমলের পত্রিকা বাইর কইরা দেখলাম মায় ববিতাও এককালে রোমান্টিক পুরুষদের গুণগান করছেন।
রোমান্টিক শব্দটার অর্থ না জানলেও মিনিং টা আমেজ কইরা নিতে কোন অসুবিধা হইলো না; আফটার অল হাসের বাচ্চারে সাতার শিখানো লাগেনা, আর মানুষের বাচ্চারে রোমান্টিকতার পাঠদান করা লাগেনা
... আমি আমার ক্ষুদ্রবুদ্বিতে বুইঝা নিলাম যে রোমান্টিক পুরুষদের কদর আকাশচুম্বি, আর শো-বিজ হচ্ছে রোমান্টিক ছেলেপেলেদের জন্য একটা আস্ত মাইনফিল্ড ...। আমার প্রিপারেশনের অভাবে বিপাশা হাতছাড়া হয়া গেলেও মনটা খারাপ করলাম না কারণ এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে ... আগামীতে নিশ্চয় আরো নায়িকা আসবে যারা আামারই খোজ করবে
...
রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতায় পড়ছিলাম অমিত কইছিল ''সম্ভবপরের জন্য প্রস্তুত থাকাই সভ্যতা'' ... আমি অমিতের থিকাও এককাঠি আাগায়া সম্ভব-বেসম্ভব সবকিছুর লিগাই প্রস্তুতি নিতে লাগলাম; আগামীর শিলা-শাওন যারা আসবে তাদের জন্য নিজের রোমান্টিকতারে শান দেয়া শুরু করলাম; অক্করে বালি-শান
... জীবনানন্দের কবিতা পড়া, ক্লাসের মাঝে জানালা দিয়া উদাস হয়া বাইরে তাকায়া থাকা, গালে হাত দিয়ে আনমনা হয়ে যাওয়া, মাঝে মাঝে বাগান থেকে (গোলাপের অভাবে) জবা ফুল হাতে নিয়ে গন্ধ শুকা (বাড়ীতে গন্ধরাজ ফুল থাকলেও শুকতাম না কারণ নাকে পোকা ঢুইকা যাওয়ার একটা ভয় ছিল), রাতের বেলা চাদ উঠলে ''চান্দের বাত্তির কসম খাওয়া'' এই সবই ছিল আমার রোমান্টিকতা প্র্যাকটিসের অংশ ...
পরে বড় হয়া জানলাম রোমান্টিকতা কবিতা পড়াও না, জবা ফুল শুকাও না (এমনকি গোলাপ শুকলেও রোমান্টিক হওন যাইতো না), আর রাতের আকাশে চাদ দেখাও না। রোমান্টিকতা হল পাওয়ার অব ইমাজিনশান, ব্রেকিং অব শেকলস, গোয়িং ব্যাক টু নেচার, লাভ/লংগিং ফর ফ্রীডম - ফ্রেন্চ রেভল্যুশনের আফটারমাথে ইংরেজ কবিদের কাছে এইভাবেই ধরা দেয় রোমান্টিকতার আইডিয়া। পাচ রোমান্টিকদের মধ্যে আমার পছন্দের ছিল কীটস, শেলী আর বায়রন- এরা ছিল আমার মনের মানুষ, আমার প্রাণের কবি।
শেলী আর কীটসের কিছু কবিতা পড়লেও বায়রণের কোন কবিতাই কখনো পড়িনি। তার কারণ ও ছিল... বায়রণ ছিল আপাদমস্তক এক ফ্ল্যমবয়ান্ট ক্যারেক্টার; তার চলনবলন ছিল আজকালকার সেলিব্রিটিদের মত; সে যেনোবা হলিউডি হিরো টম ক্রুঝ, কিংবা ব্রিট ফুটবলার ডেইভিড বেকহ্যাম; ফুল অব স্প্লেন্ডার এন সারপ্রাইঝেস। আর তারপাশে মৌমাছির মত ঘিরে থাকত ইংল্যন্ডের অভিজাত রমণীরা ... বায়রণ যেইখানেই যাইতো সেইখানেই কোলাহল পইড়া যাইত ... লেডী ক্যারোলিন ল্যামের সাথে তার সম্পর্ক হলিউডি গসিপের থেকে কোনভাবেই কম ছিলনা... জানা কথা এইরকম এক কবির কবিতার চেয়ে কবি-ই বেশী পছন্দের হবেন আমাদের কাছে। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কলে তার পরিচয় ছিল লুইচ্চা হিসেবে; সে ছিল আমাদের অতি প্রিয় লুইচ্চা।
বায়রণের লেখার নায়কদের নিয়া একটা স্টিরিওটাইপ-ই খাড়ায়া যায়... তাগোরে ডাকা হইত বাইরোনিক হীরো... আচ্ছা এই আলাপ বাদই দেই... আপনারা বাইরোনিক হীরো লেইখা সার্চ দিলেই নেটে পাইবেন। অন্য আলাপ করি- বায়রণের এক নায়ক ছিলো ডন জুয়ান। তো এই ডন জুয়ান নায়িকার সাথে দেখা করতে যায় রাতের বেলা। রাতের বেলা নায়িকার স্বামী হঠাত ফেরত এলে ডন জুয়ান জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে মাটিতে নামে, তারপর পালিয়ে যায়... এই থেকে মেডিকেল টার্ম ''ডন জুয়ান'স ফ্রাকচার'' এর উদ্ভব; অনেক উচু থেকে লাফ দিয়ে পড়লে গোড়ালীর ট্যান্ডন ছিড়ে যায়, এই মেডিকেল কন্ডিশানটার নাম ঐ ''ডন জুয়ান'স ফ্রাকচার'' টা বায়রণের ই ধার দেয়া... চিন্তা করেন অবস্হা... কি পরিমান লুইচ্চা হইলে এইটা সম্ভব
... । অনেকেই বলে যে আসলে বায়রণ নিজেই নাকি একবার ঐরকম জানালা দিয়ে পালিয়ে বেচেছিলেন তার এক প্রেমিকার স্বামীর হাত থেকে...
আচ্ছা বাইরোনিক হীরোদের নিয়াই কথা বলি... এই বাইরোনিক হীরোরা হয় প্রচন্ড বুদ্বিমান, কিন্তু অ্যরোগ্যান্ট, খানিক মিস্টিরিয়াস, সিনিসিঝমে ভোগে, হয় তুমুল রকমের ক্যারিঝমাটিক, যখন তখন ভুজং-ভাজুং দিয়া গুল খিলায়া দিতে পারে, সহজেই সিডিউস কইরা ফেলে, রুলস এন নর্মসের ব্যাপারে থাকে এদের চূড়ান্ত অনীহা, থাকে একটা লুকানোর মত অতীত, থাকে চরিত্রের কিছু অন্ধকার দিক, থাকে নিজেরে ধ্বংস করার প্রবণতা, আর থাকে একটা হার্ট অব গোল্ড ... উফফফফফফ ... লেডী ক্যারোলিন ল্যাম যার সাথে এককালে বায়রণের অ্যফেয়ার ছিলো তিনি বায়রণরে এই কয়া সামারাইঝ করছিলেন যে সে হলো '' ম্যাড, ব্যাড এন ড্যানজারাস টু নো'' ... শুনছিলাম বাইরোনিক হীরোরা নাকি আসলে আর কেউ না, রাদার বায়রণের ই প্রতিচ্ছবি... বায়রণ তার নিজেরেই তুইলা ধরছিল...
বায়রণ তার লাইফের একটা পর্যায়ে শেলীর সাথে দেখা করে, তাদের মইধ্যে দোস্তীও জমছিল; তারা কোথায় মনে হয় ভ্যাকেশানেও যায় কয়য়েকবার ... আমার মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছা করে ঐ সময় তারা কি আলাপ করছিল ... খুব ইচ্ছা করে হ্যারি পটারের যাদু ব্যাভার কইরা একবার তাদের দুইজনের পাশে খাড়ায়া শুনি তারা কি বলে? তারা কি তখন কবিতার রাইম এন মিটার নিয়া আলাপে ব্যাস্ত ছিল? নাকি আমরা যেইরকম এক হইলে মেয়েদের নিয়া আও-ফাও আলাপ করি সেই আলাপে মজছিল? নাকি দুনিয়া বদলায়া দিবার লিগা আমার দুই প্রাণের মানুষ উদভ্রান্ত হয়া গেছল? খুব জানার শখ হয় মাঝে মাঝে ...
আগেই কইছি যে রোমান্টিকতা মানেই ছিল লাভ ফর ফ্রীডম, আর এইটা বায়রণের মাঝে ছিল প্রবলভাবে ... অটোমান ইনভেশনের বিরুদ্বে গ্রীকদের স্বাধীনতা যুদ্বে বায়রণ খালি অর্থ সহায়তা দিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, তাদের সাথে যুদ্বেও নামছিলেন... শুনা যায় যুদ্ব শেষ হইলে নাকি গ্রীকরা উনারে সম্মান জানায়া গ্রীসের রাজা ঘোষণা করত... কিন্তু মাঝপথে জ্বরে আক্রান্ত বায়রণ মারা যান... শেষ হয় আমার এক পার্সোনাল প্রফেটের লাইফ ... বায়রণ যে খালি খাতা কলমে রোমান্টিক ছিলেন না, বরং চিন্তায় ভাবনায় রোমান্টিক ছিলেন সেইটা ভেবেই ভাল্লাগে। আজকে যখন দেখি ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথেই কবিদের কলমের ধার কমে যায়, কিংবা লেখাগুলা উল্টা স্রোতে বয় তখন বায়রণের কথা মনে পড়ে ... স্বাধীনতার কথা লিখেই খালাস ছিল না বায়রন, তার জন্য লড়তেও রাজি ছিল, নিজের চিন্তাভাবনারে বিশ্বাস করা, ঐটার উপর আস্হা রাখা, ঐটারে বাস্তবরুপ দেওয়ার মত সাহসী লোকেরাই তো রোমান্টিক, রোমান্টিক কবি...।
=========================================
বিদ্র- বায়রণের একটা কবিটাই পড়ছিলাম; কোন এক মৃতের শোকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়ে বায়রণ এক মহিলাকে দেখে প্রেমে পরে যান... বাসায় এসে তিনি চুপচাপ বসে থাকেন কতক্ষণ, তারপর এই কবিতা লিখেন... চমতকার কবিতা... এত সুন্দর এক্সপ্রেশান কমই দেখছি... আমি নিজেও একবার ব্যাভার করছিলাম এক জায়গায় 
SHE walks in beauty, like the night
Of cloudless climes and starry skies;
And all that 's best of dark and bright
Meet in her aspect and her eyes:
Thus mellow'd to that tender light 5
Which heaven to gaudy day denies.
One shade the more, one ray the less,
Had half impair'd the nameless grace
Which waves in every raven tress,
Or softly lightens o'er her face; 10
Where thoughts serenely sweet express
How pure, how dear their dwelling-place.
And on that cheek, and o'er that brow,
So soft, so calm, yet eloquent,
The smiles that win, the tints that glow, 15
But tell of days in goodness spent,
A mind at peace with all below,
A heart whose love is innocent!
======================================
বিদ্র- ২-
একই টপিক একেকজনের হাতে পড়লে একেকরকম রুপ ধারণ করে এইটা আমরা সবাই-ই জানি; কিন্তু ব্যাপারটা হাতে কলমে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য ব্লগার ইমন জুবায়েরকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে আমরা দুইজনই বায়রণ কে নিয়ে লিখব একইসাথে, এবং সামুতে প্রকাশ করব একই সাথে... ব্লগের সবাই একটা ডিফরেন্ট আমেজ পাবে এতে... আমি হয়তো আরেকটা পয়েন্ট ও প্রুভ করতে চাচ্ছিলাম তখন
... ইমন জুবায়ের সানন্দে সায় দিছলেন..
... যদিও পোস্ট প্রকাশ করা হইছিল কিন্তু আমার ভুলে টাইমিং এক হয়নি... ইমন জুবায়েরের পোস্টের লিংক দিলাম... পড়ে দেখতে পারেন; সময়টুকু নষ্ট হবেনা আমি নিশ্চিত ...
http://www.somewhereinblog.net/blog/benqt60/28969849
রখস-এ-বিসমিল





পোস্ট টা অনেক আগে সামুতে দিছলাম... সামুতে আমার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যকটিভেট/ডিলিট করার সময় কোন ব্যাক-আপ রাখিনি তাই পোস্ট টা আমার মগজে সন্চিত মেমোরী থেকে রিট্রিভ করে ব্লগে দিলাম... মুল পোস্টের সাথে কতটুকু তফাত হইছে খুদায়-ই জানে... বেশী হওয়ার কথা না... তয় কয়েক জায়গায় ইচ্ছা কইরা চেন্জ আনছি
ডিসক্লেইমার- এইটা কোন লিটরেচার-স্টুডেন্টের পিএইচডি পেপার ভাবলে ভুল করবেন... আবেগ-প্রসূতই বেশী

সামুতে বাফড়ার এই পোস্টটা আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিলো। একদিন কাকে লিংক দিতে গিয়ে দেখি লিস্ট থেকে সেটা উধাও... তখন দেখি বাফড়া নিজেই গায়েব...
মূল পোস্টটা আমার কয়েকবার পড়া, তাই মনে হচ্ছে খুব বেশী বদল হয়নি, বরং আরও খানিকটা বাফড়ীয় হিউমার যুক্ত হয়েছে। বিশ্লেষণগুলো যথারীতি তুখোড়!
আবারও প্রিয়তে। আর যেন না হারায়
থ্যংকিউ... আমার প্রিয় পোস্ট টা আর কারো খালি প্রিয় পোস্টের লিস্টে না, সাথে প্রিয় পোস্টে আছে তা আমার জন্য তীব্র খুশীর...
সবগুলান পোস্টই মনের আনন্দে লিখি সো সবগুলাই আমার ভাল্লাগে... কিন্তু কয়েকটা পোস্ট লিখছিলাম তীব্র আবেগ আর ভালোবাসা নিয়া ... এইটায় সেই আবেগটা ছিল... তাই এইটা খালি ভালো লাগেনা , সাথে আমার প্রিয় পোস্ট ও..।
আশা করি পোস্ট হারাবে না... আমার পোস্টগুলোতে মডারেশান না হলে হারানোর এখনো কোন কারণ দেখিনা
... লিংক পাঠায়ে দিয়েন জায়গামতো 
জেবীনের কমেন্ট দেইকহা মনে পড়ল... নাহ নতুন কোন হিউমার যুক্ত করিনি... মূল পোস্টের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছি তাই... কয়েকটা শব্দ চেইন্জ করেছি... কিছু লাইন অ্যড করেছি
খুব ইচ্ছা করে হ্যারি পটারের যাদু ব্যাভার কইরা একবার তাদের দুইজনের পাশে খাড়ায়া শুনি তারা কি বলে? তারা কি তখন কবিতার রাইম এন মিটার নিয়া আলাপে ব্যাস্ত ছিল? নাকি আমরা যেইরকম এক হইলে মেয়েদের নিয়া আও-ফাও আলাপ করি সেই আলাপে মজছিল? নাকি দুনিয়া বদলায়া দিবার লিগা আমার দুই প্রাণের মানুষ উদভ্রান্ত হয়া গেছল? খুব জানার শখ হয় মাঝে মাঝে . -- মনে হয় আও-ফাও আলাপেই মজবে
হইলেও খারাপ হইত না... শেষে দেয়া কবিতার মতন আরো কয়েকটা কবিটা পাওন যাইত ব্যাভার করার মত
বাফড়া কোন্ জায়গায় বায়রণকাব্য "ব্যাভার" করছিলো জাতি জান্তে চায়
সেই দুঃখের কথা আর মনে করায়েন না... কইয়া উল্টা বিপদে পড়ছিলাম... ব্যাখ্যা কইরা বুঝানো লাগছিল... অর্ধেক ব্যাখ্যা কইরা ক্ষান্ত দিয়া মনে মনে কইছিলাম ''যা ভাই বাদ দে, নেক্স টাইম তুমারে ঐ আর্চিঝ/হলমার্ক টাইপ প্রেমের কথাই শুনামু'' :(
সব প্রেম ই প্রেম; আর্চিজ-হলমার্ক মার্কাপ্রেমরে ছুড করার অপচেষ্টারে তীব্র ধিক্কার জানাই আর এই আর্চিজ হলমার্ক মার্কা প্রেমরে জনপ্রিয় করায় চয়নিকা চৌধুরীর বিশাল অবদান আছে কিন্তু বায়রনিয় প্রেমরে জনপ্রিয় করার জন্য কেউ আগায় আসে নাই কখনো
আরে নাহ... ছুডু করলাম কই.. ধূর... ঐটাইতো বিশাল-বেমক্কা প্রেম
... চল্লিশ টাকায় কার্ড কিন্না নিয়া ঘ্যাচাং কইরা দিয়া দিলাম, মাইয়াও না পইড়াই খালাস... তাই কইতাছিলাম আরকি... 
আর বাইরনীয় প্রেমরে তুইলা ধরার লিগা সেইটাইপের হীরে লাগে... তাই হয়তোবা কেউ আগায়া আসে নাই... কিন্তু তাতে তো কোন সমস্যা নাই... আমি আগায়া আসলাম ধইরা নেও
তুমিতো জেডা ব্লগ ভুবনে আগায় আসছো; মিডিয়া তো এখনো খালি
আরে এতো দেখি পাক্কা নেমক-হারাম... নেটে বইসা নেটের বেইজ্জতি করে
আরে ব্যাটা আইজকার এই নেটিতং-নেটিতং যুগে ব্লগই আসল মিডিয়া, আর তুমি-আমি-আমরা হইলাম মিডিয়া-মুঘল
রখস এ বিসমিলের মর্তবা কী?
ঐটা সমুতে আমার ব্লগের হেডিংয়ে/স্ট্যাটাসে লিকহা থকতো সবসময়, আর পোস্টের ট্যাগ হিসেবে দেয়া থাকতো :)... এইখানে প্রোফাইল/ হেডিংয়ের অভাবে লিকহা যায় না:(... তাই পোস্টের নীচেই লিইখা দিলাম
সেটা তো দেখতামই, কিন্তু কেন থাকতো? এর মানে কী?
আসেন তাইলে রখস-এ-বিসমিলের ক্লাস নেই
...
পয়লা ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড
রখস - ড্যান্স, নাচ
বিসমিল- ঘায়েল/ ঔন্ডেড/ স্যক্রিফিশিয়াল অ্যনিম্যাল
অহন আসেন দেকহি লিটারেলি মিনিং বাইর করলে কি হইত- ধরেন ঘায়েল একটা মানুষ রে লাফাইতে দেখছেন তো প্রাণের তাড়নায়, ব্যাথায়? কিংবা ঢরেন একটা গরু জবাই করার সময় জবাই হয়ে যাওয়ার পর ছেড়ে দিলে কেমন উইঠা লাফ-ঝাপ দেয়... মনে হয় না তান্ডব নেত্য শুরু হইছে... এইটাই হইল ড্যান্স অব দ্য ডায়িং/ ড্যান্স অব দ্য ঔন্ডেড...
অহন এইটারে মেটাফরিক্যাল একটা মিনিংয়ে ধইরা নেন... যা বাইরাইবো সেইটাই রখস-এ-বিসমিল
... জীবনের হিসাব মিলানো, ব্যর্থতা-সাফল্য যেইখানে ব্যার্থতার পরিমাণ ই বেশী, বা সাফল্য থাকলেও ঐটা আসতে আসতে পরিবর্তিত পরিস্হিতির মুখে সাফল্য গুলা তুচ্ছ, ক্ষুদ্র, তিনকা হয়া যাওয়া... এত কিছুতে বিসমিল হওয়ার পর এই যে ব্লগে আমার আগর-বাগর করা এইগুলা রখস-এ-বিসমিল, ড্যান্স অব দ্য ঔন্ডেড... একটা রিটেন অ্যকাউন্ট ঐ ড্যান্সের... তান্ডব নেত্য টা মনের ভেতর চলে আরকি এই যা... বাইরায়া আসে খুবই কম...
#######
বিসমিল শব্দ ওয়ালা এই ফ্রেঝ টা ব্যাভার করলে বোনাস হিসেবে রামপরসাদ (রামপ্রাসাদ) বিসমিল রে এবং বিসমিল আঝমাবাদিরে আমার পক্ষ থিকা সম্মান জানানো হয়া যায় এক চান্সে... রামপরসাদ বিসমিল ছিলেন একজন ইন্ডিয়ান বিপ্লবী যিনি ''সারফারোশি কি তামন্না'' কবিতা টারে ফেমাস কইরা তুলেন :) ...আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতা ... মজার ব্যাপার হলো কবিতা টা লিখা হইছে আরেক বিসমিল- কবি বিসমিল আঝিমাবাদির দারা
... লিংক দিলাম পড়ে আসতে পারেন কবিতা টা 
http://en.wikipedia.org/wiki/Sarfaroshi_ki_Tamanna
উত্তর পাইলেন কি না জানায়েন
সারফারোশি কি তামান্না মানে কী? কবিতাটার একটা বাংলা অনুবাদ দেয়া যাবে? (শিয়ালরে ভাঙ্গা বেড়া দেখাইছেন)
তামান্না মানে হইলো ইচ্ছা / ডিঝায়ার
সরফারোশি মানে হইলো স্যক্রিফাইস/ আত্মত্যাগ
সো সরফারোশি কি তামান্না হইলো ডিঝায়ার ফর স্যক্রিফাইস ...এই কমেন্টস্ট্রীমে কমেন্টবক্সের প্রস্হ ছোট হয়ে যাবে আস্তে আস্তে তাই কবিতার অনুবাদ একেবারে নীচে দেব ... দিতে দিতে একটু সময় লাগবে হয়ত টাইপ করতে গিয়ে ... যাহোক পেজের একদম নীচে পাবেন অনুবাদ টা।
শেয়ালরে ভাংগা বেড়া দেখাইতে সমস্যা নাই ... শেয়াল যদি ভাংগা-বেড়ার ঐপাশের নাদুস-নুদুস মুরগীগুলোরে দেখতে পায় তাইলেই বেড়া দেখানো সার্থক

আমার কেনো জানি সেকালের রোমান্টিকতা বেশ পছন্দ ।যদিও মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি হয়ে যেত ,আর "ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে " বলে হুট করেই চলে যেত অনেককেই চলে যেতে হত ছাদনাতলায় ,তারপরও তখনকার রোমান্টিসিজমে বেশ একটা পিউরিটান ফ্লেভার ছিল ,এইটা আমার খুব ভাল লাগে :D।
এখনকার রোমান্টিসিজম আগের তুলনায় অনেকটাই জোলো মনে হয় ,লুকিয়ে চুরিয়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে প্রেম করতে যাওয়ার মাঝে বেশ একটা ভাব ছিল।হালের ডিজ্যুস প্রেমের জোয়ারে সেটা আর আছে কই ??
রোমান্টকতা মানে লংগিং অফ ফ্রিডম ,এই আইডিয়াটা আমার কাছে চরম লেগেছে ,কারণ সবকিছুর শেষ লক্ষ্য শেষপর্যন্ত মুক্তিই
।
ভালো কথা বলছোতো ভাইতি
... সেই লুকিয়ে চুরিয়ে চুপকে চুপকে প্রেম
... আই ছালা ... জটিল ছিল... এই ফোনে ফোনে প্রেম টা ত্যক্ত করে
আর ৈ পিউরিটান ফ্লেভারের কথা কইলে কইতে হয় ঐভাবে ভাইবা দেখি নাই... সাদা-কালো পর্দায় দেকহছি, মাগার রিয়েল লাইফে আমার সামনে কারো পিচ্চি বয়েসে এইটাইপের ঘটনা/বিয়ে না দেখায় কইতাম পারিনা ঐটা নিয়া... পিচ্চি বয়েসে ছবিটে যখণ দেখছি তখন অবশ্য খারাপ লাগেনাই
আর লংগিং ফর ফ্রিডম টাই মুল কথা .. হ
এই পোস্ট পইড়া আমার তো রাজ্জাক ববিতার আয়নাতে ঐ মুখ পড়বে যখন গানটা শুনতে ইচ্ছা করতাসে ...সিরাম রোমান্টিক...পাই কই ??
জেবীনের কমেন্টে মুলল পোস্টের সাথে এই পোস্টের তফাত বিষয়ক কথায় মনে পড়ল- আপনার এক পোস্টে জেরবার শব্দটা নিয়া আলাপ করছিলাম... এর আগে জেবীনের সাথেও জেরবার শব্দটা নিয়া কথা কইছিলাম... এই জেরবার শব্দটা এই পোস্টে ব্যাভার করছি
...
http://www.somewhereinblog.net/blog/severedimentia/28947787
এই হইল আপনের সেই পোস্ট যেইটায় নুশেরা আপা আমার জেরবার সার্চের সমাধান দেন...
... পোস্টে শব্দটার সফল ব্যাভার কইরা বেশ আারাম পাইছি :
.। হের লিগা থ্যংস 
আর গানের লিগা নুশেরা আাপরে একটা রিকুশ দেন.. হেয় লগাগলগ লিংক বাইর কইরা দেয়
... সামুতে বিডি আইডল দি্ত 
আপনি তো আমারে ব্যাপক শর্মিন্দা কইরা দিলেন
,আর কোথায় কোন পোস্টে আমি ব্যাভার করলাম ,আপনে সেটা মনে রাখছেন ,আপনার মেমরি তো দেখি চাচা চৌধুরীর ব্রেইনের চেয়েও প্রখর
.
আর নুশেরাপুর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
.
পোষ্ট পইড়া মুগ্ধ ...বায়রন সম্মন্ধে জানতে ইচ্ছা করছে ...
থ্যংকিউ..
আমার প্রজেক্ট সফল বলা যাইতে পারে 
পোস্টের শেষ দিকে ব্লাগার ইমন জুবায়েরের পোস্টের লিংক টা দেখতে পারেন.. উনার পোস্ট টা বেশ তথ্য-সম্ৃদ
সাথে উয়িকি-পিডিয়ার লিংক
http://en.wikipedia.org/wiki/George_Gordon_Byron,_6th_Baron_Byron
ভালো কথা বলছোতো ভাইতি
... সেই লুকিয়ে চুরিয়ে চুপকে চুপকে প্রেম
... আই ছালা ... জটিল ছিল... এই ফোনে ফোনে প্রেম টা ত্যক্ত করে 
আর ৈ পিউরিটান ফ্লেভারের কথা কইলে কইতে হয় ঐভাবে ভাইবা দেখি নাই... সাদা-কালো পর্দায় দেকহছি, মাগার রিয়েল লাইফে আমার সামনে কারো পিচ্চি বয়েসে এইটাইপের ঘটনা/বিয়ে না দেখায় কইতাম পারিনা ঐটা নিয়া... পিচ্চি বয়েসে ছবিটে যখণ দেখছি তখন অবশ্য খারাপ লাগেনাই
গালে হাত দিয়ে বসে জোম মেজাজে পোষ্ট পড়লাম। পড়ে মুগ্ধ হলাম।মুগ্ধতা নিয়ে গেলাম।এই পিচ্চি পোলায় কত সুন্দর লেখে!!!!!!!!!
থ্যংকিউ জয়িতা...
পোস্ট ভাল্লাগছে জাইনা খুবই খুশী হইলাম 
লুগ্জনের অসাধারণ লেখার ক্ষমতা দেইখা দেইখা আমি প্রায় সময়ই শরমে লগইন করি না। আমার লেখার কোন ক্ষমতাই নাই। খালি খালি কমেন্ট কৈরা কতদিন চালানি যায়!
অবশ্য পাঠকও দরকার সমাজে। সেই হিসাবে আমি খ্রাপ না।
থ্যংস মুকুল...
,,,,, আমি নিজেও পাঠক সমাজের মাঝে নিজেরে কাউন্ট করি 
লিটরেচার নিয়া এইরম স্মার্ট আর হিউমারাস গদ্য আমি জীবনে আর পড়ছি বইলা মনে করতে পারতেছি না...
থ্যংস ম্যান
... পুরা দিল-খোশ হয়া গেলাম কমেন্ট টা পইড়া
... আর সাথে ''জীবনে'' কথাটা লাগায়া আমার ভাড়া বাসার ছাদ টা আরেকটু হইলে ফুটা করার উপক্রম করছিলেন রে ভাই... এতই কহুশ হইছি 
অন্যদের মত আমিও এই স্মার্ট লেখা পড়ে মুগ্ধ। তবে লেখায় ... দেয়ার কোনো কারণ ছিলনা। ঐটা না থাকলেই বরং আমার কাছে ভালো লাগে। লেখার মধ্যেই বোঝা যায় কিছু অনুক্ত আছে। ... দিয়া বোঝানোর দরকার পরেনা।
থ্যংকিউ
আমি জানতাম এই কারনে আপনের হাতে কোন একদিন ধরা খামু
... কেমনে জানতাম? জেবীন একটা পোস্ট আপনের আর আরণ্যকের নামে উতসর্গ করছিল এই কয়া যে আপনের নাকি ডট ডট দেখলে মাথা আউলায়া যায়
এই পোস্টের ২৪ নং কমেন্ট
http://www.somewhereinblog.net/blog/jabinblog/28828395
হইছে কি ডট ডট না দিলে মনে হয় কি জানি বাকি থাইকা যায়
... আমি তো তবু নিয়ম মাইনা ৩ টা ডট দিছি, জেবীন তো একসাথে ৫/৬ টা ডট দেয়
... চেষ্টা করুম শুধরায়া যাওয়ার... কিন্তু এত সফল একটা টুল ব্যাভার করা ছাইড়া দিমু ভাবতেই খারাপ লাগে 
একটু মনে হয় পাল্টেছে লেখা তবে মজা কমে নাই, শানদার হইছে ঠিক বালি শান
এতো প্র্যাক্টিসের পর সুন্দর এক্সপ্রেশান শুধু একবারই ব্যাভার করছিলা?
পোষ্ট নিয়া বলি... '' ম্যাড, ব্যাড এন ড্যানজারাস টু নো'' বায়রনরে সহজ করে আনা হইছে তোমারটায়, ইমনেরটা তথ্যবহুল স্বীকার করি, কিন্তু ফাইজলামি(সম্মানিত/অতিরিক্ত যেটাই বুঝ) করে বুঝাইয়া কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ আনতে তোমারটা কার্যকরী, তারপর আরো জানার মন চাইলে ইমনেরটা পড়তে যাবে কেউ।
হ, খানিক বদলাইছি... যেমন ''জেরবার'' শব্দটা ব্যাভার করছি
... তুমার পোস্টে প্রথম পড়ছিলাম শব্দটা..। এইটা নিয়া বেশ কয়েকবার পুছ-তাছ ও করছিলাম
... পরে অদ্রোহরেও জিগাইছিলাম শব্দটার ব্যাপারে ... ''বালি-শান'' শব্দটা নতুন ঢুকাইলাম... পার্সোনাল প্রফেটের লাইন টা নতুন অ্যড করলাম ইত্যাদি ইত্যাদি...
হ, একবারই ব্যাভার করছিলাম..। ঐ একবারেই শিক্ষা হইছে
... ক্যান হইছে সেইটা কাকনা রে বলছি 
ঠ্যংকিউ..
... তবে লোকে ইমন ভাইয়েরটা পড়লে বায়রণ রে জানার মজাটা পুরো হয় 
ব্লগে আজকাল কম কম???!!
আমি মুগ্ধ পিরিয় বাফড়া... তোমার বিয়াপক ক্ষাম্তা... কিপ ইট উপরে...
থ্যংকিউ মেসবাহ ভাই... কিপ ইট উপরে না হয় করুম, কিন্তু আপনে শর্ত-মোতাবেক উর্ধগগনের ঐ ''লাইক করুন'' নামের মাদলে চাপ দিছেন তো?
রুমান্টিক হইতে মঞ্চায় ।
সংসারত্যাগী রোমান্টিক নাকি, সংসারে থাকা রোমান্টিক কোনটা? দুইটার দুই প্রেসক্রিপশান
নেটের করুণ অবস্হা বিধায় রিপ্লুতে দেরী হল
অসাধারণ
থ্যংকিউ
... 
প্রথমে ইমন জুবায়েরের পোষ্টটা পড়লাম, কারন, জানিই যে, ওটা নিরেট তথ্যে ঠাসা থাকবে; আছেও তাই।
তারপরে এই পোষ্ট।
পইড়া রোমান্টিকতা (নাকি লুমান্টিকতা??) মাথাচাড়া দিয়া উঠলো!
থ্যংকিউ
... উনি বেশ কয়েকটার বাংলা অনুবাদ দিছেন, ঐটা বড়পাওনা উনার পোস্টে 
আর মাথা চাড়া দিয়া উঠলে ঐটা লুমান্টিকতা
আমারে তো কয়েক ডজন মেয়ে কইছে আমি নাকি বেশ রুমান্টিক !
কয়েক ডজন মেয়ে কইছে তোমারে রুমা'র এ্যান্টিক পিস!! ??
মাইয়া গুলার ফোন নাম্বার গুলা কি ডিলিট মারছ, নাকি অহনো রাইখা দিছ? থাকলে দিয়া দেও... আমার নিজেরও একখান সার্টিফিকেট দরকার আমি রোমান্টিক এই মর্মে
কয়েক ডজন?বিমা কি জীবিত অাছে?
@বিমা- জেবীন, জয়িতার কথায় কান দিওনা, তুমি ফোন নাম্বা পাঠায়া দেও

ব্যাপক মজার পোষ্ট। সামুতে এই মজাটা মিস করছি। তায়েফের লগে একমত। পোষ্ট পইড়া ব্যাপক রুমান্টিকতা মাথা চাড়া দিয়া উঠলো।
থ্যংকিউ
... গুডলাক... ডন জুয়ানস'স ফ্র্যাকচার যেন নাহয় খালি

এইটা কয়দিন ধৈরা পর্মু কৈয়া প্রিয়তে নিয়া রাকছি ... আইজক পর্লাম
... আর রুমান্টিক হৈতে চাই না 
মিথ্যা কথা টা বলার কি দরকার ছিল রে ভাই ... তুমার রুমান্টিক হইতে চাইলে নির্দিধায় কইতে পারো
কারণ আমি সিলেট যাইতাছিনা এই ৩/৪ মাসের মইধ্যে 
@ নূশেরা আপা
অনুবাদ দেয়ার আগে সীমাবদ্বতা টা কয়া নেই- এইসব সীমাবদ্বতার কথা আপনে নিজে আমার থিকা ভালো জানেন, বেশী জানেন। কিন্তু তারপরো ডিসক্লেইমার হিসেবে জানাচ্ছি
...
নজরুল ইসলামের ''দূর্গমগিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার'' মনে আছে তো? এই কবিতা কি কখনো ট্রান্সলেট করা যায়???!!!! নাহ ... লাইন গুলো উচ্চারণ করতে গেলে কানের মধ্যে ''র্গ'' ''গি'' ''ন্তা'' এই সব হার্ড সাউন্ডের যেই রেঝোনেন্স হয় সেইটা কি আনা যায় ট্রান্সলেশানে??!! নাহ..। অথচ এই রেঝোনেন্স টা-ই কবিতা টার প্রাণ...
সারফারোশি কি তামান্না কবিটা টায় ও এইরকম ব্যাপার আছে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত... তাআই অনুবাদে মূলের শুধু ২০ভাগই পাবেন (আমি যেহেতু বাংলা করছি তাই ২ ভাগ পাবেন
)
আরেকটা জিনিস ... কিছু শব্দের অর্থ খালি ঐ ল্যংগুয়েজ জানলেই ফিল করা যায় ... তা নাহলে মনে হয় যায় না ... যেমন জয় বাংলা কথাটা বললে রক্তে যেই নাচন আসে ঐটা ইংলিশে জয় বাংলার ট্রান্সলেশানে নাই ... কঊ বাংলা জানলেই, আমাদের ইতিহাস জানলেই তবে এই জয় বাংলার মর্মোদ্বার করতে পারবে ... এই সারফারোশি কি তামান্না কবিতায় ও এমন ওয়ার্ড আছে যার বাংলা করা যায়... কিন্তু মিনিং টা বাংলায় কতদূর আাসে তা বলা যায় না
...
আর ওয়ান লাস থিং - জয় বাংলা যেইরকম মনে মনে বা আস্তে বইলা মজা নাই, চীতকার কইরা কইতে হয়, এই কবিতা মনে মনে পইড়া লাভ নাই, আবৃত্তি কইরা (মানে কি না নিজের কানে আওয়াজ পৌছায় সেইরকম জোরে) পড়লে মজা ... তখন ঐ হার্ড সাউন্ড গুলা কানে গিয়া ধাক্কা দেয় ... একটা ট্রান্সের মত হয়
ডিসক্লেইমার- অনেক হইছে পাকনামি কথা ... আবারো কইতাছি এই পাকনামি লেকচার টা আপনের জানা, কিন্তু আমার পক্ষ থেকে ডিসক্লেইমার
ডিসক্লেইমার ২- আমি হিন্দি বা বাংলা লিটরেচারের বা আর কোন জাতের লিটরেচারের কোন উস্তাদ না, উপরের কথা গুলা স্রেফ পাঠক হিসেবে আমার নিজস্ব ভুজং-ভাজুং :
ডিসক্লেইমার ৩ - ছন্দের গ্যানজামে আর গেলাম না (পারি না কি না তাই
) ... জাস লিটারেল অনুবাদ করলাম... আর যেই দুয়েক শব্দের লিটারেল মিনিং জানিনা তা কনটেক্সটের পেক্ষিতে অনুবাদ করে দিলাম
বাই দ্য ওয়ে- ১ : - আগে দেয়া উয়িকি'র ঐ লিংকে গেলে আপনি পেজের নীচের দিকে ইংলিশ ট্রানসলেশান পাবেন ... ঐটাও পড়তে পাড়েন
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল মে হ্যায়
আত্মত্যাগের চেতনা (ইচ্ছা) এখন আমার হৃদয়ে (প্রজ্জলিত)
আজ দেখবো ঐ খুনেদের বাহু কি পরিমাণ শক্তি রাখে
করতা নহী কিউ দুসরা কোই বাত-চিত
দেখতাহু ম্যায় যিশে ওহ চুপ তেরি মেহফিল মে হ্যায়
অ্যয় শহীদে-মুলক-ও-মিল্লাত ম্যায় তেরী উপর নিসার
আব তেরী হিম্মত কা চর্চা ঘে(য়)র কি মেহফিল মে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
কেনো আজ মুখে আর কোন কথা নেই?
এখানে যাকেই দেখি সে চুপচাপ বসে আছে!!
হে জাতি-ও-জন্মভূমির উদ্দেশ্যে শহীদ হওয়া ভাইয়েরা, তোমাদের কাছে আমার আত্মসমর্পণ
তুমাদের সাহসের আলোচনা এখনো শত্রুর শিবিরে হয়,
আত্মত্যাগের চেতনা আজ আমার হৃদয়ে (প্রজ্জলিত)
ওয়াক্ত আনে দে বাতা দেংগে তুঝে অ্যয় আসমা
হাম আভি সে ক্যায় বাতায়ে ক্যায়া হামারে দিলমে হ্যায়
খিছ কর লায়িহে সব কো কতল হোনে কি উম্মিদ
আশিকো কা আজ জুমঘট মত কি মেহফিল মে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
সময় হোক হে আসমান, তোকে-ও তখন জানিয়ে দেব
এখন কি আর বলব আমার হৃদয়ে কি লুকানো আছে
আত্মত্যাগের তাড়না আজ সবাইকে এখানে টেনে এনেছে
(দেশ)প্রেমিকদের আজ জলসা বসেছে মৃত্যুর মেহফিলে
আত্মত্যাগের চেতনা আজ আমাদের হৃদয়ে (প্রজ্জলিত)
হ্যায় লিয়ে হাতিয়ার দুশমন দাঘ ম্যায় ব্যায়ঠা উধার
আউর হাম তাইয়ার সীনা লিয়ে আপনা ইধার
খুন সে খেলেংগে হোলি গর ওয়াতান মুশকিল ম্যায় হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
হাতিয়ার হাতে নিয়ে দুশমন দাগের ঐপারে অপেক্ষারত
সীনা বাড়িয়ে দিয়ে আমরা দাড়িয়ে আছি এইপাশে
রক্তে আজ হোলি খেলব যদি দেশ বিপদে পড়ে
আত্মত্যাগের চেতনা আজ আমার হৃদয়ে (প্রজ্জলিত)
হাত যিনমে হো জুনুন কাটতে নহী তালোয়ার সে
সর যো উঠ যাতে হ্যায় ওহ ঝুকতে নহী লালকার সে
অউর ভড়কেগা যো শোলা-সা হামারে দিলমে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আাব হামারে দিলমে হ্যায়
আবেগের উন্মাদনায় উত্তোলিত যেই হাত তা তলোয়ারে কাটা পড়েনা
যেই শির একবার সোজা হয়ে যায়, কোন হুমকি ঐ তাকে নোয়াতে পারেনা
চেতনার ঐ অংগার আজ বাড়তে বাড়তে আগুনে পরিণত হবে
আত্মত্যাগের চেতনা আজ আমার হৃদয়ে
হাম তো ঘর সে নিকলেহী থে বান্ধ-কর সর-পে কাফান
জান হাতেলী পর লিয়ে লো বাড় চলে হ্যায় ইয়ে কদম
ঝিন্দেগী তো আপনি মেহমান মঊত কি মেহফিল মে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
আমরাতো মাথায় কাফন বেধেই ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম
হাতের মুঠিতে প্রাণ নিয়ে আজ এগিয়ে যাই
জীবন যেনোবা মৃত্যুর মেহফিলে এক মেহমান
আত্মত্যাগের চেতনা আজ আমাদের হৃদয়ে (প্রজ্জলিত)
ইয়ু খাড়া মাকটল ম্যায় কাতিল কেহ রাহা হে বারবার
ক্যায়া তামান্না-ই-শাহাদাত ভি কিসি কে দিল মে হ্যায়
দিল মে তুফানো কি তোলি আউর নাসো মে ইনকিলাব
হোশ দুশমন কে উড়া দেংগে হামে রোকোনা আজ
দুর রেহ পায়ে যো হামসে দম কাহা মনঝিল মে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিলমে হ্যায়
বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে খুনেরা আওয়াজ দিচ্ছে
''তুমাদের কারো মাঝে কি দেশের জন্য শহীদ হওয়ার ইচ্ছা আছে''?
(আজ) হৃদয়ে তুফানের উন্মাদনা, আর শিরায় শিরায় বিপ্লবের ডাক
গন্তব্যের কি ঐ সাহস আছে যে আমাদের থেকে দূরে সরে থাকবে?
আত্মত্যাগরে চেতনায় আজ হৃদয় (প্রজ্জলিত)
ওহ জিসম ভি ক্যায় জিসম হ্যায় জিসমে না হো খুন-ই-জুনুন
তুফানো সে ক্যায়া লড়ে যো কাশতি-এ-সাহিল মে হ্যায়
চুপ খাড়ে হ্যায় আজ সারে ভাই মেরে খামোশ হ্যায়
না কারো তো কুচ কাহো মাযহাব মেরা মুশকিল মে হ্যায়
সারফারোশি কি তামান্না আব হামারি দিলমে হ্যায়
দেখনা হ্যায় ঝোর কিতনা বাঝু-এ-কাতিল মে হ্যায়
ঐ শরীর কিসের শরীর যদি রক্তে না থাকে উন্মাদ-আবেগ
তুফানের সাথে সে কি লড়বে যে সৈকত-ভেড়া নৌকায় বসে আছে
চুপ দাড়িয়ে আছে, নীরব আজ আমার সব স্বদেশী ভাইয়েরা।
কিছু না করলেও কিছু বল অন্তত জাতি যে আমার আজ বিপদগ্রস্ত
আত্মত্যাগের চেতনা আাজ আমার হৃদয়ে প্রজ্জলিত
(আজ) দেখব ঐ খুনেদের বাহু কি পরিমাণ শক্তি ধরে
এই কোয়ালিটির অনুবাদ আর কেউ করলে আমি পার্সোনালি তার সাথে যোগাযোগ করে আত্মহত্যা করার বুদ্বি দিতাম
... এখন বুইঝা নিয়েন অনুবাদের কোয়ালিটি
আব্ৃতি শোনার জন্য ইয়ুটি্উবের লিংক দিলাম ... রং দে বাসন্তী মুভিতে এই কবিতা টারে বেশ সুন্দর এক্সপ্লয়েট করছে
http://www.youtube.com/watch?v=qFEEkM49Z6I&feature=related
বায়রন এর কবিতা যাইই হোক আফনে তো মারাত্তক রুমান্টিক ঃ)
হ ..
... হুরুকালে সবাই-ই এট্টু আধটু রুমান্টিক-গিরি করে ... আমিও করছিলাম আরকি 
অছম
থ্যংস

এই পোস্ট আগে চোখে পড়ে নাই কেন?
মুগ্ধ হয়ে পড়েই গেলাম। মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখালাম না।
বাফড়া সামহয়্যারইনে আপনার ব্লগের কোন ব্যাক আপ নাই??

বাফড়াসমগ্র পড়তে মন চায়!!
মন্তব্য করুন