ইউজার লগইন
ব্লগ
ডাইরী ৭৭
আপনি কোন পক্ষে?
কোলকাতার উপন্যাস নিয়ে বাংলাদেশে সিরিয়াল নির্মাণ করেছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন কিছু নির্মাতা। সম্ভবত আফসানা মিমি থেকে শুরু হয়েছে, শেষ খবর জানলাম গোলাম সোহরাব দোদুলের কথা - যারা এ লাইনে নেমেছেন। কোলকাতার বা ওপার বাংলার যা যা নির্মাণ হলো/ হবে বাংলাদেশে
১। কাছের মানুষ
২। সাতকাহন
৩। গর্ভধারিণী
৪। কফি হাউজের গান
৫। এছাড়াও সুনীল ও শীর্ষেন্দুর (নাম মনে করতে পারছি না)
আত্মমগ্ন কথামালা- (একটা মিছিলের স্টিল ফটোগ্রাফ)
একটা ছবি তুললাম|
মিছিলের ছবি|
বরাবরের মতই,
এই ছবিতেও আমি মিছিলের অদৃশ্য আগুনটাকেই ধরতে চেয়েছিলাম|
তন্নতন্ন করে খুঁজেও, কোথাও আগুন পেলাম না|
ফোকাসে যাদের দেখা যাচ্ছে,
তাদের মুঠি বাঁধা হাতের কোথাও আগুন নেই|
কারো আঙ্গুলের ফাঁকে বাজারের ব্যাগের ক্লান্তি,
কারো হাত বেয়ে ঘামের সাথে নামছে নির্জীবতা,
কারো হাতে জমে আছে পাশবিকতা|
ছবির চোখগুলোর দিকে তাকাই|
কারো চোখের কোণে জমা বিষন্নতা,
শহিদুল আলমের ক্রসফায়ার।
শহিদুল আলম ক্রসফায়ার নিয়া যে প্রদর্শনী করতে চাইছিলেন তা কাদের জন্য। এই প্রশ্নটা মাথার মধ্যে ঘুরতেছে। একটা শিল্প প্রদর্শনীর নাম ক্রসফায়ার। আমাদের দেশের বাংলা সিনেমার এমন নাম হইতে পারে, কিন্তু আলোকচিত্র প্রদর্শনীর এমন নামে খানিক অবাক হইলাম। নামের এই চটকদার ভাবটা হাস্যকর। শহিদুল আলম নিজেই বলেছেন- 'তথ্য-প্রমাণ হাজির করা এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য নয়। আমি বরং মানুষের আবেগকে
হাবিজাবি হাবিজাবি
বাঙালী জাতি হিসেবে খুবি ক্যাচাল প্রিয় এবং অভিমানি; এই অভিমান সম্ভবত ক্যাচালের বাই প্রোডাক্ট; ক্যাচল শেষে অভিমান করতে হয়, সবাই ঠোট ফুলিয়ে অভিমান করে আমি নাক ফুলিয়ে অভিমান করি, আমার মা আমাকে বলতো এই নাক ফোলায়া ফোসফোস করতে করতে নাকি আমার নাক মোটা হয়েগেছে। আমরা রাগ অভিমান করে পোস্ট ড্রাফট করি, আমাদের মাশরাফি-রকিবূল অভিমান করে খেলা ছেড়ে দেয়, আমাদের আসিফ আকবর কিছুটা অভিমান নিয়ে গান
না - কবিতা
সুইসাইড নোট : কবির ডায়েরি থেকে
আমি আত্মহত্যা করলে ;
মৃত্যুরও অধিক একটা কিছু
তোমাকে জড়িয়ে ধরবে -
আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়ালে
তুমি বিস্মৃত হবে তোমার অস্তিত্ব শংকা
প্রেম ও বিনাশ ।
সব আলো নিভিয়ে দেবে
আমার চিতার দাহ ; তুমি জানবে
দেহ ছাই হয়ে গেলে
এর চেয়ে তুমুল কোনো স্ফুলিঙ্গ
চেনোনি কোনোদিন । জেনে যাবে ,
একা আমি শব্দের প্রতি অক্ষরে
ডাইরী ৭৬
এক.
একবার এক কথিত পয়গম্বর আমারে কয়, আপোষকামী হইতে শিখো...আমি পয়গম্বররে আসলেই তার অন্য পরিচয়ে চিনতাম, আর তাই তারে কখনোই মানি নাই। আপোষের অধ্যায় রচনা করে যেই বিশ্বস্ত মানব...তারে আমি পয়গম্বরের বেশে চোখ বুজলেও ভাবতে পারি নাই...চোখ খুললে তারে দেখি ময়ুরপুচ্ছ ঝুলাইতে।
দুই.
আমার বাবা
নজরুল ভাই এর পোষ্ট পড়ার পর থেকে মনটা কেমন অস্থির লাগছিলো। পৃথিবীটাই যেন ভুলে গেলাম, শুধু বাবাকে ভাবছি।বাবাকে ঘিরে জীবনের সব স্মৃতি জড়ো হয়েছে বুকের মধ্যে।সব লিখতে গেলে লিখা কি যাবে?যাবে না। বাবাকে ঘিড়েই বুঝতে শিখেছি, বেড়ে উঠেছি, বড় হয়েছি।আমার সবকিছুতে আমার বাবা। বাবা আমার প্রথম বন্ধু। সবচেয়ে কাছের বন্ধু্। আমার বাবা, আমার আদর্শ।আমি জন্মানোর আগে আমার একটা বড় বোন ২ বছর বয়সে মারা যায়। আমার বাবা-মায়ের
মৃত্যুমুখর দিন
১.
প্রায়ই আমার বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হতো। আর আব্বার ছিলো রাত জাগার ব্যামো। টানা লম্বা বারান্দায় হাঁটতেন অন্ধকারে। আমি ফিরে দরজায় টোকা দিলেই খুলে দিতেন। তারপর বেশিরভাগ রাতেই শুরু হতো দুজনের আড্ডা আর তর্ক।
আবু বকরের মৃত্যুর স্ট্যাটিসটিকাল পোস্টমর্টেম
আবু বকরের মৃত্যুর খবরটি আমি দেখি ব্লগে, রাতে খাবার পর ব্লগ খুলে প্রথম পাতার পোস্টগুলোর শিরোনাম দেখছিলাম, সেখানেই এক বা একাধিক পোস্ট ছিলো ঢাবি'র "মেধাবী" ছাত্রের মৃত্যুর খবর নিয়ে। নিজের ক্ষুদ্রতা স্বীকার করেই শিরোনাম দেখে কি মনে হলো সেটা বলি। "ছাত্রলীগের তান্ডব"ই যেহেতু কারণ, তাই ভিকটিমের নামের আগে ঐ শিরোনামগুলোতে যখন "মেধাবী" শব্দটির ব্যবহার দেখলাম, ভেবে ফেললাম যে ছাত্র নিহত হলেই তো "মেধাবী" হয়ে
ঘুড়ি উৎসবের ফটুক...
ছবির হাটের ষষ্ঠ ঘুড়ি উৎসবের কিছু ফটুক দিলাম...
ভালো লাগলে কৈয়েন, না লাগলেও কৈয়েন
ভাই এবং বইনেরা...
দোষ
১
যেখানে যাবো না পণ করি, পা পিছলে সেখানেও এসেছি পদচিহ্ন রেখে।
২
একটা শব্দ হারিয়ে গেলে খুঁজতে খুঁজতে তোমার অন্ধকারে ডুব দিই।
৩
এক জ্যোতিষি বলেছিলেন, তাই তোমার যৌনাঙ্গে তিলক খুঁজেছি।
৪
একদিন মুহূর্তকালের জন্য তুমি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলে; ঘর্ষণের পর।
৫
আলমগীর হোসেন অড্রে হেপবার্নকে ভালোবেসে ছিলো
"In a cruel and imperfect world, Audrey Hepburn was living proof that God could still create perfection." - Rex Reed
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি গদ্য ও কয়েকটি কবিতা
পঞ্চাশ দশকের প্রধান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় কবি। ২৩ মার্চ তাঁর ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কাব্য- ‘সোনার মাছি খুন করেছি’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’, ‘ধর্মে আছো জিরাফেও আছো’, ‘ছিন্নবিচ্ছিন্ন’, ‘প্রভু নষ্ট হয়ে যাই’, ‘পাড়ের কাঁথা মাটির বাড়ি’ প্রভৃতি।
ডাইরী ৭৫
এক.
প্রায়শঃ বিলীন হয়ে যাই শূন্যে, যা ছিলো উদ্যম, আগ্রহের বলিরেখা, প্রাণের পরশ...সব ভেসে যায় শূন্যতার আহ্বানে। আমার ডাইরীর পাতা শূন্য পড়ে থাকে। শব্দের সায়ক উড়ে বেড়ায় শূন্যের খোলা মাঠে, বিধ'বার জন্য কোন লক্ষ্য নাই, নাই কোন ষাড়ের নয়ন।
যথার্থ জীবন কে খুঁজেছে কবে...বেঁচে থাকাটাই যেনো জীবন হয়ে যায়। আর শূন্যতারে কে কবে পেরেছে এড়াবার মন্ত্র! শূন্যতায় ভেসে আসে গন্তব্যের হাতছানি...
দুই.