ইউজার লগইন

জ্বিনের বাদশা'এর ব্লগ

হেফাজতে ইসলাম

১.
হেফাজতে ইসলাম কি ফরহাদ মজহার/শফিক রেহমানদের ব্রেইনচাইল্ড? হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।।
তারা এদের খানা-পিনা, ওজুর পানির বন্দোবস্ত করার জন্য সরকারকে উপদেশ দিয়েছেন।।

দেশের "তৌহিদি জনতা" ফ্রন্ট এতদিন দুইটা বিষয়ের অভাবে ভুগছিলো:
(১) অরাজনৈতিক চেহারার প্লাটফর্ম (জামাত বা ঐক্যজোট তাদের মূল অবলম্বন ছিলো)
(২)পশ বা সুশীল ইমেজ
(এরা শ'খানেক লোক এক হয়ে মিছিল করলেও সেটা কেন জানি জঙ্গি হয়ে পড়ে। জ্বালাও-পোড়াও, ধরো-মারো ছাড়া এরা আন্দোলন করতে পারেনা। অপনেন্ট ফ্রন্টের মিডিয়া তো আর ছাড় দেবেনা, তাইনা?)

হেফাজতে ইসলাম আপাতদৃষ্টিতে এই দুটো সংকট কাটিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। যদিও শুরুতে তারা ৩১৩ জনের বদর স্কোয়াডের নামে খুব লম্ফঝম্ফ করেছিলো, এখন ওটা নিয়ে টুঁ শব্দও করছেনা। তারা জঙ্গি ইমেজকে ওভাররাইড করে "শান্তিপ্রিয়" হিসাবে আবির্ভুত হতে প্রাণপণ।

যা ভেবে অবাক হই, এই আইডিয়া এতদিন তৌহিদি জনতার মাথায় আসেনাই কেন?

সম্ভবত বার্ডস-আই-ভিউ থেকে না দেখলে অনেক সময় আসল দূর্বলতাগুলো চোখে পড়েনা।। নাস্তিক মজহার/রেহমানকে সেজন্য হলেও তাদের দরকার ছিলো।

২.

ভালো থাকবেন

নিজের সাথে সরাসরি সম্পর্ক নেই এমন বিষয় নিয়ে মাঝেমাঝে ছোট টেনশন থাকে। যেমনটা ছিলো হুমায়ুন আহমেদের সুস্থ্য হয়ে ওঠা নিয়ে। শুনেছিলাম, ক্যান্সার বেশ ক্ষতিকর পর্যায়ে চলে গেছে, তাও ছোট্ট একটা আশা ছিলো সুস্থ্য হয়ে এসে আবারও আমাদের গল্প শোনাবেন তিনি। ক্যান্সারের সাথে তাঁর লড়াইয়ের গল্প। অতিসুক্ষ্ম রসবোধ আর ভীষন দরদ মিশিয়ে আবারও ছুঁয়ে যাবেন অসংখ্য পাঠককে। আশাটা পূর্ণ হয়নি। লোকটা চলে গেলেন, অনেক দীর্ঘশ্বাসের জন্ম দিয়ে।

মনটা বিক্ষিপ্ত। অনেক কিছু মনে জমে আছে, লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। আবার ভালোও লাগছেনা।

সিনেমা-টিভির তারকা, মডেল, খেলোয়াড় - এদের সবাইকে ছাড়িয়ে একজন লেখক আর কোনোদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পেরেছেন কিনা আমি জানিনা। এটা হয়ত হুমায়ুনের বিশালত্বের একটা পরিচায়ক।

পালাও! (২)

পর্ব ১ ~ ৪
[পুরোপুরি ফিকশন]

৫.

পালাও!

[পুরোপুরি ফিকশন]

১.
আর সবদিনের মতোই বেশ মনোযোগ দিয়ে চ্যানেল আইয়ের ন'টার খবর শুনছিলেন প্রফেসর সেলিম হায়দার। শুনতে শুনতে অজান্তেই একসময় তাঁর হাত নিশপিশ করে ওঠে; পুরু গোঁফ আর মোটা-ফ্রেম-মোটা-কাঁচের চশমার আড়াল ভেদ করে ছড়িয়ে পড়া তৃপ্তির হাসিটুকুও লুকিয়ে রাখতে পারেননা তিনি। অবশ্য এই মুহূর্তে সেটার প্রয়োজনও নেই।

মজার বিজ্ঞাপণ নিয়ে টুকটাক, তুংতাং

জাপানের টিভি চ্যানেলগুলোতে মাঝে মাঝে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মজার মজার বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ে অনুষ্ঠান করে। বলাই বাহুল্য, সবগুলো বিজ্ঞাপণই খুব বুদ্ধিদীপ্ত থাকে। আর নতুন নতুন আইডিয়ারও দেখা পাওয়া যায় মাঝে মাঝে।

তেমনি একটা বিজ্ঞাপণ সেদিন দেখলাম টিভিতে। দেখে মনে হলো, মানুষের চিন্তাভাবনা কতটা ক্রেজী (ভালো অর্থে) হতে পারে, আর কতটা মাত্রা ছাড়িয়ে (এখানেও ভালো অর্থেই) যেতে পারে! বিজ্ঞাপণটা নিয়ে ক্রিয়েটিভিটি আর অবজেক্টিভিটির একটা খেলার বুদ্ধি মাথায় এলো।

প্রথমে বিজ্ঞাপণটার বর্ণনা দেবার চেষ্টা করি।

দেখা যায় যে রাতের বেলা অফিস শেষে ঘরে ফেরা বাবা জামা-কাপড় না পাল্টেই সোজা চলে যান একমাত্র পুত্রসন্তানের ঘরে। ছয়-সাত বছরের ছেলেটিকে দেখা যায় বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। পরের দৃশ্যে বিছানায় বসে বাবা সন্তানের দিকে তাকিয়ে প্রশান্তির হাসি হাসেন, আর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন। তখনই ঘটনাটা ঘটে!

আজকের ম্যাচ নিয়ে ভাবনা

১.
বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আজকেরটা।

আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডকে হারিয়ে হিসেব একটু ওলট-পালট করে দিলেও, বলা যায় যে অঘটন বারবার ঘটাতে পারবেনা তারা। ঐদিকে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী ভারতের সাথে এক পয়েন্ট নিয়ে রাখাতে, আয়ারল্যান্ডের সাথে পয়েন্ট খোয়ানোর পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে ইংল্যান্ড, যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তারা হেরে না বসে, এবং বাস্তবে সেটার সম্ভাবনও খুব কম। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে পড়ায় দেখা গেছে দিনে দিনে কতটা অসহায় একটা দলে পরিণত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এবিসি ফ্যান্টাসী কাপ: তৃতীয় পর্ব

১.
প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি, দ্বিতীয় পর্বের রেজাল্ট হিসেব করার সময় পাইনি এখনও। এর মধ্যেই দেখলাম, তৃতীয় পর্ব শুরু হবার সময় চলে এসেছে!! চামে ফাঁকিবাজি করি, দুই লেগের রেজাল্ট একসাথে দিয়ে দেবো ভাবছি।

খিলাড়ীরা সবাই, নেমে পড়ুন তবে।

বরাবরের মতোই, ১২ টা স্কোর আর কে জিতবে -- এই অনুমান লিখে দিন।

(খেলোয়াড়ের নাম দেয়ার দরকার নেই, কারণ আপনার দেয়া স্কোরের ক্রম আর ঐদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে একই ধরে হিসাব করা হবে।)

মনে রাখবেন, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আপনার চ্যাম্পিয়ন হবার সম্ভাবনা আছে

২.
একই সাথে আলোচনাও চলুক।
আগামী ম্যাচে দল কেমন হওয়া উচিত। টসে জিতলে ব্যাটিং নেয়া উচিত কিনা। থার্ড পাওয়ার প্লে কত ওভারের দিকে নেয়া উচিত, অথবা অন্য যে কোনো কিছু নিয়ে।

৩.
এখন পর্যন্ত ফলাফল:
আসিতেছে.... মহাসমারোহে!!!!.... সম্পূর্ণ রঙীণ Wink

এবিসি ফ্যান্টাসী কাপ: সেকেন্ড লেগ

১.
ভূমিকা আর না বাড়াই। কি করতে হবে তা তো সবাই জানেনই! তো, নেমে পড়ুন। ১২ টা স্কোর আর কে জিতবে -- এই অনুমান লিখে দিন।
(খেলোয়াড়ের নাম দেয়ার দরকার নেই, কারণ আপনার দেয়া স্কোরের ক্রম আর ঐদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারকে একই ধরে হিসাব করা হবে।)

মনে রাখবেন, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আপনার চ্যাম্পিয়ন হবার সম্ভাবনা আছে

২.
একই সাথে আলোচনাও চলুক।
আগামী ম্যাচে দল কেমন হওয়া উচিত। টসে জিতলে ব্যাটিং নেয়া উচিত কিনা। থার্ড পাওয়ার প্লে কত ওভারের দিকে নেয়া উচিত, অথবা অন্য যে কোনো কিছু নিয়ে।

৩.
প্রথম লেগ শেষে ফলাফল:

নাগনাগিন ৩৭৩.৮
রায়হান রেঞ্জার্স ১৩৫.৮
আলমুহাররাক ১৩৫.২
বীর টাইগার ১৩১.৪
লীনা টাইগার্স ১৩১.২
অরিত্র দ্য গ্রেট ১২৮.২

এবিসি ফ্যান্টাসী কাপ, প্রথম লেগ: সদলবলে নাইমা পড়েন

দুঃখিত দেরী হয়ে গেলো বলে।

১.
প্রথম লেগের এন্ট্রি শুরু করলাম।
আপনাকে যা করতে হবে, তা হলো বাংলাদেশ দলের স্কোরকার্ডের সংখ্যাগুলো অনুমান করবেন। ১১ জন খেলোয়াড়ের স্কোর, ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী, এবং অতিরিক্ত রান।

তারপর মন্তব্যের ঘরে লিখে দেবেন, লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি।

যেমন, ৭০, ৮৫, ......, ২৫ -- এভাবে এক লাইনে লিখতে পারেন

অথবা নিচের মতো করেও লিখতে পারেন।
৭০
৮৫
....
২৫

আর অনুমান করতে হবে কালকের ম্যাচে কে জিতবে?
বাংলাদেশ? নাকি, ভারত?

তো দেরী কেন? এক্ষুণি নেমে পড়ুন

২.
এই পোস্টে একই সাথে আগামীকালের খেলা নিয়ে আপনার বিশেষজ্ঞ মতামতও দিতে পারবেন। যেমন কালকের একাদশ কেমন হওয়া উচিত। স্ট্রাটেজী কিরকম হওয়া উচিত। খেলা চলাকালে ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপর দুনিয়ার যাবতীয় কুফাবর্ষন, আশরাফুল বা সেরকম কারো গুষ্ঠি উদ্ধার -- সব চলবে।
চালিয়ে যান, কি আছে দুনিয়ায়?

৩.

এবিসি ফ্যান্টাসী কাপ, ঢাকা'২০১১ -- বিশ্বকাপে, আত্মা কাঁপে

বিস্তারিত আসিতেছে, তার আগে নিজের অনুভূতিটা একটু বয়ান করি।

ফুটবল বিশ্বকাপের বেলায় আনন্দে বিশ্ব কাঁপে, সাথে আনন্দে আমি নিজেও কাঁপি। প্রিয়দল ব্রাজিল আউট হয়ে গেলে হল্যান্ড, হল্যান্ড গেলে স্পেন, স্পেন গেলে অন্যকিছু, মানে যাই ঘটুক আনন্দে কাঁপাকাঁপি করা যায়।

কিন্তু এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ যত কাছাকাছি আসছে, কিঞ্চিৎ আনন্দে কাঁপার পাশাপাশি ততবেশী আত্মাকাঁপাও শুরু হয়ে গেছে। গতবার পর্যন্ত বাংলাদেশ দল নিয়ে বড় কোনো আশা করতাম না, আত্মার কাঁপাকাঁপিও তেমন ছিলোনা। কিন্তু গত বছরের কীর্তিকলাপে এবারের সাকিব বাহিনীটাকে দেখে,
"কেমন যেনো অন্যরকম লাগে,
বিরাট আশাও মনে জাগে"।

এত আশা জাগে যে কবিতা চলে আসে! সেজন্যই এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে, আমাদের আত্মা কাঁপে।

এখন আসি আসল কথায়। আত্মা যতই কাঁপুক, আমরাবন্ধু ক্রিকেট ফ্যান্টাসী কাপ তো হতেই হবে। নাকি বলেন? তাহলে আর দেরী কেন?

সাত মুসাফির - ১ম পর্ব

১.
সেইকালে বাগদাদ নগরীর নিকটবর্তী কিফরি শহরে ইবনে হেরাত নামক এক অতিশয় রোমাঞ্চসন্ধানী যুবক বাস করিত। নতুন নতুন অভিযানে যতটা তাহার উৎসাহ, সংসারে অথবা জীবিকার নিমিত্তে কাজেকর্মে ততটাই তাহার বিতৃষ্ণা। এক সন্ধ্যায় আর দশবারের মতো অকস্মাৎ খেয়ালের বশবর্তী হইয়া যুবক তাহার একমাত্র উষ্ট্রখানার পৃষ্ঠে চড়িয়া বসিলো। অতঃপর পিতামাতা আর বন্ধুবান্ধবদিগের উদ্দেশ্যে "বাঁচিয়া ফিরিয়া আসিতে পারিলে আবার দেখা হইবে" বলিতে বলিতে গোধূলী আর মরুর ধুলার আলো আঁধারীর মধ্যে নিরুদ্দেশ হইয়া গেল।

ভূমিকম্পের প্রস্তুতি

কিছুদিন আগে ঢাকায় একাধিক বিল্ডিংয়ের ধ্বস্, ঈদের আগে পিছে দেশের নানান জায়গায় মোটামুটি শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প আর ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান মানববোঝার কারনে দেশের অনেকেই, বিশেষ করে ঢাকাবাসীরা, হয়তো ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। এ নিয়ে জনপ্রিয় ব্লগ সচলায়তনে ব্লগার তানভীর আজ চমৎকার একটি লেখা দিয়েছেন, "বাংলাদেশে ভূমিকম্প বিষয়ক ঝুঁকি, প্রস্তুতি ও করণীয়" নামে। আমি মনে করি আমাদের সবারই লেখাটা পড়া উচিত, তাই আমরাবন্ধুর পাঠকদের জন্যও লিংকটি শেয়ার করলাম।
http://www.sachalayatan.com/tanveer/35227

লেখাটিতে মন্তব্য হিসেবে সাধারণ গৃহস্থের অবস্থান থেকে তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি হিসেবে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তার একটা তালিকা তৈরী করেছিলাম। তৈরী করতে গিয়ে দেখলাম, বেশ লম্বা তালিকা হয়ে গেছে। ভাবলাম অন্যান্য ব্লগের পাঠকদের সাথেও তালিকাটা শেয়ার করলে মন্দ হয়না।

ছোটগল্প: জেল

১.

কে?

১.
"পিং পং, পিং পং!"
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে দরজা খোলার জন্য হাঁটা শুরু করা মাত্র লায়লা বুঝে ফেলে ওটা আসলে কলিংবেলের শব্দ না। বিস্ময়করই বটে। পাঁচ বছরের বাচ্চা মেয়েটি তার, নিঝুম। খেলার ছলে কিভাবে যেন আয়ত্ত করে ফেলেছে, অবিকল কলিংবেলের মতো শব্দ করতে পারে। তারপর শুরু হয় তার কথার বন্যা।

"কে? কে?"

ওপাশের কথা আর কেউ শোনেনা, শুধু নিঝুম শুনতে পায়।

সরকার/প্রশাসন কি যথেষ্ট সচেতন?

দু'চারদিন আগে বাসায় ফোন করে এমন একটা ব্যাপার জানলাম যে অনেকক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম। আমার বাবা-মা'র পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। সেখানে যা আচরণ করা হলো সেটাই এই লেখার বিষয়বস্তু। তবে সেই প্রসঙ্গে যাবার আগে বাবার কিছু বর্ণনা না দিলেই নয়।