মাঝপথে উত্তেজনা হারিয়ে ফেললেও শেষমেষ বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিলো ফ্যান্টাসী কাপ। পুরো টুর্ণামেন্ট জুড়ে চালকের আসনে থাকা সাহাদাত ভাইয়ের আখাউড়া এক্সপ্রেসকে শেষরাতে ওস্তাদী মাইর দেখিয়ে হারিয়ে দিয়েছে মীর ভাইয়ের দল "এবি রাইডার্স"!!!

থ্রি চিয়ার্স ফর এবি রাইডার্স
আখাউড়া এক্সপ্রেসকেও অভিনন্দন (হল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অনুভূতি উদরাজী ভাইয়ের চেয়ে বেশী এখণ আর কে বুঝবে? )

অবশেষে বিয়াইত্যাদেরই জয় হলো।

এখন খাওয়া-দাওয়ার পালা, আমরা জ্বীন ভূতেরা তো আলো বাতাস খাইয়া থাকি, তাই ঐ বিষয়টা নিয়া আমাদের তেমন উৎসাহ নাই। যার যার পাওনা খানাটা নিকটস্থ জ্যাতা সদস্যদেরর কাছ থেকে আদায় কইরা নেন।

এখন বিয়াইত্যারা ক্যামনে জিতছে সেইটা কই। হিসাব করতে গিয়া দেখি,

অবিবাহিত দলের স্কোর ৭/১১=৬৩.৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩৬৩....%
(হিসাব শেষ হয়না, ৬ আর ৩ খালি আসতেই আছে)

এবি ফ্যান্টাসী কাপ দুরন্ত গতিতে চললেও উদরাজী ভাইয়ের কাপ জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে বলা যায়। তাই ভাবতেছি বিশ্বকাপ ফাইনাল উপলক্ষ্যে পরিস্থিতিকে আরো জমজমাট করার জন্য বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়া এবিতে একটা ফাইনাল ম্যাচই আয়োজন করে ফেলবো। এর আগে সামুতে চ্যাম্পিয়নস লীগ নিয়া একটা আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ আয়োজন করছিলাম। জমছিলো ভালোই, অনেকটা সেইরকমই এইটাও। তবে দিন দিন যেইভাবে পুলাপান আবাহনীর সাপোর্ট শুরু করছে , ত

কোয়ার্টারের আগে শুরু হওয়া এই রাউন্ডে শর্ত রেখেছিলাম যে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে যত বেশী দল সেমিতে তুলতে পারবেন ততই লাভবান হবেন, আর সেখানে চার চারটি দলকে কোয়ার্টারে তুলে এর পূর্ণ সুবিধা ভোগ করছে একমাত্র আখাউড়া এক্সপ্রেস, দলের মালিক উদরাজী ভাইকে টুর্ণামেন্ট পয়েন্ট দিচ্ছে উদারভাবেই ;)।

এবি ফ্যান্টাসী কাপের আরেকদফা আপডেট হলো, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা শকে মোটামুটি সবাই পিছিয়ে পড়লেও সমানের লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজনের মধ্যে জমে উঠতে পারে জমজমাট লড়াই। সবকিছু নির্ভর করবে আজকের সেমিফাইনালের ওপর।

ব্রাজিল হারার পর দুঙ্গার নামে এখানে ওখানে চলতে থাকা টুকটাক সমালোচনাগুলো খুব জোর বাতাস পেলো, যে বিশেষজ্ঞরা দু'দিন আগেও "জোগো বোনিতো"র জন্য মৃদু আক্ষেপ করলেও একই সাথে ব্রাজিলকে "সবচেয়ে ব্যালান্সড" দল, "অনন্য ধরনের একতাবদ্ধ" বা "যে কোন ম্যাচ জেতার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত" দল হিসেবে আখ্যা দিতে কার্পণ্য করেননি, তারাই হঠাৎ আবার আগের ফর্মে চলে গেলেন। এটাই ফুটবল, বিশ্বকাপে এমনটাই হয় -- এই ভেবেই হয়তো দুঙ্গাকে

পরপর ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা হেরে গিয়ে ফ্যান্টাসী লীগকে মাইনাসময় করে তুলেছে, কে কত বেশী মাইনাস খেতে পারে সেই প্রতিযোগিতা হয়তো এখন লীগের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠবে। তারপরও কয়েকজন খিলাড়ী ঠিকই প্লাস পয়েন্ট নিয়ে ছুটে চলেছেন উর্ধ্বশ্বাসে, সাহাদাত ভাইয়ের দল আখাউড়া এক্সপ্রেস উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলেছে সবাইকে পেছনে ফেলে, মাহবুব সুমন ভাইয়ের দল "আমার দল"ও পিছু নিয়েছে। ফ্যান্টাসী লীগের প্রথমদিনে শীর্ষে থাকা দলটির শেষদি

সেই ৯০ সালের ইতালীর বিশ্বকাপের কথা। পেপারে টিভিতে ফেবারিট নাম্বার ওয়ান হিসাবে দেখানো ব্রাজিল প্রি-কোয়ার্টারেই আর্জেন্টিনার কাছে এক গোল খেয়ে বিদায় নিলো। সেই ম্যাচে ব্রাজিল গোল খায় খেলা শেষ হবার ১০ মিনিট আগে। এর এক সেকেন্ড আগ পর্যন্তও একশোভাগ বিশ্বাস ছিলো যে যেভাবে ব্রাজিল একের পর আক্রমণ করে খেলছে, গোল হবেই! সেই পরাজয়ের শোকটা এখনও মনে আছে, জীবনে কখনও খেলা দেখে এত কষ্ট পাইনি।

পরপর ব্রাজিল আর ঘানার পরাজয় দেখে শোকে আহত, বেদনার্ত মনে আপডেট করতেছি, ভুলভাল হলে দয়া করে ধরিয়ে দেবেন।

দ্বিতীয় লীগের নিয়মকানুনই মোটামুটি অনুসরন করা হবে, তবে বেশ কিছু পরিবর্তন/সংযোজন আনার চিন্তা করতেছি। নিয়মগুলো ভালোভাবে পড়ুন, সবার মতামত জানান। আগে এক রাউন্ডে এক টুর্নামেন্ট হয়েছে, এবার কোয়ার্টার থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টটাই চলবে। আগে সবাই ৮ টি করে দল জমা দিয়েছে, এবার ৪ (চার) টি করে দল দেবেন। আগেরবার "৮ টি খেলার বিজয়ী হিসেবে ৮টি

দ্বিতীয় এবি ফ্যান্টাসী কাপ শেষ হয়েছে গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ডার্কহর্স গোল্লাবন্দী কাউয়া কেলাব । গোল্লাবন্দী কাউয়া ক্লাব আর ক্লাবমালিক বৃত্তবন্দীকে "এবিফা"র(???) পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। আবারও শেষরক্ষা করতে পারলেননা রাসেল আশরাফ, বাফড়া আর লীনা দিলরুবা। আগেরবারের মতো এবারও তাঁদের দলগুলো শীর্ষচারের বাকী জায়গাগুলো দখ

মাঝখানে বিশ্বকাপ নিয়ে ফ্যান্টাসী লীগ চালাতে গিয়ে শর্টনোটের শর্টসার্কিট হয়ে গিয়েছিলো, সময় পাচ্ছিলামনা। ছোটবেলা থেকে যেহেতু খেলাধুলায় ভালো ছিলামনা, কিন্তু খেলা পছন্দ করতাম, তাই শেষমেষ খেলা দেখাটা আর পরিসংখ্যানের হিসেব রাখাটা একটা নেশা হয়ে গিয়েছিলো একসময়। বিশ্বকাপ এলে মৌসুমী পাখির মতো সেই নেশা আবার ফিরে আসে, পরদিন অফিস থাকলেও রাত জেগে খেলা দেখা হয় প্রায়ই, অফিসে ঝিমুতে হয়, ঘরে ফিরে সোফায় বসে চিপস-পপকর

গতকাল ছিলো ফ্যান্টাসী লীগের সবদলের দারুণ সুখের একটা দিন, কারণ, কারো পয়েন্ট মাইনাস হয়নি। একজনও চিলি বা স্লোভাকিয়াকে গণনায় ধরেননি -- চিলি বা স্লোভাকিয়া দল হয়তো এই খবর শুনলে গতকালের পরাজয়ের চেয়ে বেশী কষ্ট পাবে!

"ওস্তাদের মার শেষ রাতে" -- এই কথাটিকে প্রমাণ করে আক্ষরিক অর্থেই গতকাল ২৫শে জুন দিবাগত "শেষরাতে" মাসুম ভাইর দল মাসুম বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তৃতীয় অবস্থান থেকে আবার উঠে এসেছে প্রথমে, এবং লীনাদি ও ইন্ডির যাবতীয় তাবিজ-তুমার নালিশ-অভিযোগকে বুড়ো আংুল দেখিয়ে জিতে নিয়েছে প্রথম পর্বের শিরোপা!

থ্রি চিয়ার্স ফর মাসুম বাহিনী।

এরই মধ্যে সতেরোজন দল জমা দিয়ে দিয়েছেন। তাড়াতাড়ি করে জমা দিয়ে দিন, জিতে নিন শিরোপা, সাথে বিশাল সম্মান। কাজ সামান্য, প্রি কোয়ার্টারে জিতবে এমন আটটা দলের নাম দিয়ে দিন, জেতার সম্ভাবনার সবচেয়ে কম থেকে বেশী ক্রমে। তারপর বসে বসে পয়েন্ট গুনুন।