সাত মুসাফির - ১ম পর্ব
১.
সেইকালে বাগদাদ নগরীর নিকটবর্তী কিফরি শহরে ইবনে হেরাত নামক এক অতিশয় রোমাঞ্চসন্ধানী যুবক বাস করিত। নতুন নতুন অভিযানে যতটা তাহার উৎসাহ, সংসারে অথবা জীবিকার নিমিত্তে কাজেকর্মে ততটাই তাহার বিতৃষ্ণা। এক সন্ধ্যায় আর দশবারের মতো অকস্মাৎ খেয়ালের বশবর্তী হইয়া যুবক তাহার একমাত্র উষ্ট্রখানার পৃষ্ঠে চড়িয়া বসিলো। অতঃপর পিতামাতা আর বন্ধুবান্ধবদিগের উদ্দেশ্যে "বাঁচিয়া ফিরিয়া আসিতে পারিলে আবার দেখা হইবে" বলিতে বলিতে গোধূলী আর মরুর ধুলার আলো আঁধারীর মধ্যে নিরুদ্দেশ হইয়া গেল।
যুবকের গন্তব্য সূদুর পারস্য দেশের এক নগরী, নাম শামাস্তান। ইতিপূর্বের এক অভিযানে কারবালা শহরের উপকণ্ঠে এক জনবহুল বাজারে বসিয়া আহার ও পানীয় গ্রহনকালে রহস্যমন্ডিত এক যাদুকরের দেখা মিলিয়াছিলো ইবনে হেরাতের। সেই যাদুকরের নিকট শামাস্তানের কথা সর্বপ্রথম শুনিয়াছিলো সে। আর বলিবার অপেক্ষা রাখেনা যে তখন হইতেই তাহার অন্তরে শামাস্তান সফরের ইরাদা দৃঢ়ভাবে স্থান করিয়া লইয়াছিলো।
পারস্য দেশে শামাস্তান বিখ্যাত ছিলো সর্বাধিক রূপবতী নারীদিগের আবাসস্থল হিসাবে। ঐ দেশে বলা হইতো, সমগ্র পৃথিবীর সুন্দরী নারীদিগকে একত্র করিয়া আনিয়া জড়ো করিলেও শামাস্তানের নারীদিগের রূপের কাছে উহারা চন্দ্রালোকের সম্মুখে প্রদীপের আলোর ন্যায় ম্লান হইয়া পড়িবে। জীবদ্দশায় এহেন চিত্তাকর্ষক স্থানে একবার ভ্রমন না করিলেই নয়, এইরূপ চেতনার বশবর্তী হইয়াই যে আবু হেরাত সেই সন্ধ্যায় যাত্রা শুরু করিয়াছিলো তাহা আর উল্লেখের অপেক্ষা রাখেনা।
কিভাবে শামাস্তান এহেন সুন্দরী রমনীদের জন্মস্থানে পরিণত হইয়াছে, তাহা একখানা কৌতুহলদ্দীপক কাহিনী বটে। বহু বছর পূর্বে শামাস্তান শাসন করিত রাজা ফ্রাওতেস। যেমন বদরাগী, তেমনই একরোখা আর অত্যাচারী ছিলো সে। তবে একই সঙ্গে একখানা ভয়ানক দূর্বলতাও তাহার ছিলো। মজার বিষয় হইলো, এই দূর্বলতাখানি রাজা ফ্রাওতেসের স্ত্রী রাণী ভিন্দাকারনাহের সহিত সম্পর্কিত। সমগ্র রাজ্য জুড়িয়া ফ্রাওতেসের ভয়ানক প্রতাপ বিরাজ করিলেও, রাণী ভিন্দাকারনাহের সম্মুখে সে একেবারে ভেজা বেড়াল হইয়া পড়িত। রাণী যাহাই বলিত, তাহাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করিতে বাধ্য হইতো আপাত "মহাপরাক্রমশালী" রাজা ফ্রাওতেস।
এমনই সম্মোহনী ক্ষমতার অধিকারী ভিন্দাকারনাহ একই সঙ্গে ছিলো অত্যন্ত ঈর্ষাপরায়ণ ও কূটচক্রী। অসম্ভব রূপের অধিকারী ভিন্দাকারনাহ নিজের চাইতে অধিকতর রূপবতী রমনীকে সামান্যতম সহ্য করিতে পারিতনা। কোন রমনীকে তাহার নিজের চাইতে অধিকতর রূপবর্তী মনে হইলে ঈর্ষায় থরথর করে কাঁপিতে শুরু করিত সে। এহেন ঈর্ষাপরায়ণতা আর পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরী নারী হইবার উচ্চাভিলাসের বশবর্তী হইয়া অবশেষে এক নারকীয় কর্মযজ্ঞের আয়োজন করিয়া বসে রাণী ভিন্দাকারনাহ। রাজা ফ্রাওতিসকে বশ করিয়া তাহার সৈন্যবাহিনী হইতে চৌকসতম সহস্রাধিক গুপ্তঘাতকদের লইয়া স্বীয় কর্মযজ্ঞের সূচনা করিয়াছিলো ভিন্দাকারনাহ।
শুধু নিকটবর্তী আরব উপদ্বীপ আর পারস্য অঞ্চলই নহে, বরং পূর্বে ভারতবর্ষ হইতে শুরু করিয়া সুদূর জাপান এবং পশ্চিমে সাহারা অতিক্রম করিয়া মোরিতানিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত সকল রাজ্যেই ছড়াইয়া পড়িয়াছিলো ভিন্দাকারনাহর এই গুপ্তঘাতকের দল। মাত্র বছর খানিকের মধ্যে পৃথিবীর সমগ্র নগরী হইতে সর্বাধিক রূপসী রমনীদিগকে রাত্রির আঁধারে ফাঁদে ফেলিয়া বন্দী করিয়া শামাস্তানে আনিয়া জড়ো করিয়াছিলো সেই গুপ্তঘাতক বাহিনী। বলা হইয়া থাকে উহাদের সর্বমোট সংখ্যা হইয়াছিলো সাত হাজারেরও বেশী (মতান্তরে উহা পনেরো হাজার বলিয়াও উল্লেখ রহিয়াছে বিভিন্ন গ্রন্থে)। এক্ষণে এই বন্দিনী রূপসীদিগকে একে একে হত্যা করিয়া ফেলিলেই ভিন্দাকারনাহ নিজেই হইবে জগতের সর্বাধিক সুন্দরী নাই, এই ভাবিয়া তাহার আনন্দ আর বাঁধ মানিতে ছিলোনা।
কিন্তু দূর্ভাগ্য রাণী ভিন্দাকারনাহর। সাত হাজার অসম্ভব রূপবতী বন্দিনীর মধ্যে ছিলো গজবন্দ নগরীর শামাতিলোস্তিয়া নামের স্বর্গীয় রূপের অধিকারিনী এক মায়াবতী নারী। এমনই মায়াময় তাহার মুখশ্রী যে লোকমুখে প্রচলিত আছে, শামাতিলোস্তিয়ার চক্ষু বরাবর একবার দৃষ্টি বিনিময় হইলে পরবর্তী সাতদিন সাতরাত নাওয়া খাওয়া ভুলিয়া থাকা ছাড়া আর উপায় ছিলোনা কোন পুরুষের। রাজা ফ্রাওতিসের ক্ষেত্রেও ইহার ব্যত্যয় ঘটিলোনা। শামাতিলোস্তিয়াকে দর্শন করিবার ফলে তাহার উপর হইতে রাণী ভিন্দাকারনাহর সম্মোহন কাটিয়া গেলো। রাজা বুঝিতে পারিলো কত বড় নারকীয় ঘটনা ঘটিতে যাইতেছিলো! এহেন ভয়ংকর ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজনের শাস্তি হিসাবে রাণী ভিন্দাকারনাহকে শূলে চড়ানোর নির্দেশ দিয়াছিলো রাজা ফ্রাওতেস।
তবে বন্দী করিয়া লইয়া আনা সাত হাজার বা ততোধিক রূপবতীকে আর নিজ নিজ দেশে ফিরাইয়া দেওয়ার বিষয়ে তেমন কোনো আগ্রহ সে দেখায়নাই। মোহনীয় রূপের অধিকারিনী শামাতিলোস্তিয়া রাজা ফ্রাওতিসের নতুন রাণী হইলেন। বলিবার অপেক্ষা রাখেনা যে তাহার নামানুসারেই রাজ্যের নতুন নামকরন করা হইয়াছিলো -- শামাস্তান। শামাস্তানের প্রজাদিগের মধ্যে যাহারা রাজা ফ্রাওতিসের সর্বাধিক অনুগত ছিলো তাহাদিগের স্ত্রী হিসাবে জীবন কাটাইতে হয় বাকী হতভাগ্য রূপবতী বন্দিনীদের। ফলত বংশানুক্রমে সুন্দরী নারীদিগের সন্তান-সন্ততিতে শামাস্তান নগরী একসময় আকর্ষণীয় চেহারার মানব-মানবীতে ভরপুর হইয়া ওঠে।
শামাস্তানের গল্প শেষ হইলো, তবে পরিতাপের বিষয় হইলো এই যে, শামাস্তানে যাইবার পথ সুগম ছিলোনা মোটেও, বরং যথেষ্ট বন্ধুরই বলা চলে উহাকে। স্বয়ং পারস্য দেশেও শামাস্তানের গল্প শোনা লোকজনের সিংহভাগই জানিতনা কোন পথে ভ্রমন করিলে বালা-মুসিবত এড়াইয়া স্বল্পতম সময়ে ঐ শহরে উপনীত হওয়া যায়। তদুপরি যাহারা শামাস্তান ঘুরিয়া আসিবার সৌভাগ্য অর্জন করিতো, তাহাদের অভিযানের রোমহর্ষক বর্ণনাও শামাস্তান গমনকে লোকের মধ্যে অত্যন্ত দুরূহ হিসাবে প্রতীয়মান করিয়া তোলে। বলাবাহুল্য, ইবনে হেরাতও শামাস্তান নগরীর এহেন দুর্গম অবস্থানের কথা কারবালার উপকন্ঠের সেই যাদুকরের নিকট শুনিয়াছিলো।
মরূপথের যাত্রা অত্যন্ত বৈচিত্র্যহীন, একঘেঁয়ে এবং ক্লান্তিকর। প্রত্যহ একইভাবে মরূর বালুর স্তুপ অবলোকন করিতে করিতে বালিরাশির বুক চিরিয়া সম্মুখ বরাবর আগাইয়া যাওয়া ছাড়া আর কোন বিশেষ বৈচিত্র্য তাহাতে নাই। প্রত্যহ বৈকালে সূর্য্য যখন পশ্চিমাকাশে বেশ খানিকটা হেলিয়া পড়িত, তখন যাত্রা শুরু করিত ইবনে হেরাত। সারা রাত্রি ভ্রমন করিয়া প্রত্যুষে যখন সূর্য্য বেশ খানিকটা মাথার উপরে উঠিয়া আসিত, তখন বিশ্রামের নিমিত্তে কোথাও অবস্থান লইতো। রাত্তিরের শীতল মরূ যে একেবারে নিরূপদ্রব ছিলো তাহা নহে, তবে ইবনে হেরাতের দৃষ্টিশক্তি ছিলো অত্যন্ত প্রখর। তদুপরি মহাজাগতিক তারকারাজি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞান তাহার ছিলো। একবার কোন গন্তব্য সম্পর্কে তারকারাজির অবস্থানের ভিত্তিতে দিক নির্দেশনা পাইলে সেই গন্তব্যে পৌঁছাইতে তাহার তেমন কোনো তকলিফ হইতোনা।
এহেন বৈচিত্র্যহীন মরূপথে একটানা এক মাস সাতদিন ভ্রমনের পর সুদূর কিফরী নগরী হইতে বর্তমান ইরাক আর ইরানের সীমানা (সেইযুগে উহা পারস্য রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো) পার হইয়া পারস্য রাজ্যের প্রথম মরূ অঞ্চল দাশত-ই-লাহম এ আসিয়া পৌঁছাইতে সক্ষম হয় ইবনে হেরাত। এইখানে এক সন্ধ্যায় তাহার তেজস্বী উষ্ট্রখানা অপেক্ষাও অধিকতর দ্রুততর বেগে আরেকখানি উষ্ট্র যখন তাহাকে অতিক্রম করিয়া যাইতে থাকে তখন সন্ধ্যার আলো আঁধারীতে দ্রুততর উষ্ট্রের আরোহীর সহিত মাত্র এক দফা দৃষ্টি বিনিময় হয় তার। রেশমী কাপড়ে চক্ষুদ্বয় ব্যতীত সমগ্র মুখমন্ডল আবৃত করিয়া রাখা আরোহীকে দেখিয়া, উহার দৃষ্টি যাদুতে মুগ্ধ হইয়া ইবনে হেরাতের আর সন্দেহ থাকেনা যে এই রমনী শামাস্তানের অধিবাসী। ইবনে হেরাত স্বীয় উষ্ট্রের গতি যথাসম্ভব বৃদ্ধি করিয়া রমনীকে অনুসরন করিতে শুরু করে। পথিমধ্যে রমনীর উষ্ট্রের গতি আরো বৃদ্ধি পাইলে ইবনে হেরাতকেও তাহার সহিত পাল্লা দিয়া স্বীয় উষ্ট্রের গতি বাড়াইতে হয়। বস্তুত এই লইয়া দুইজনার মধ্যে এক ধরনের অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হইয়া যায়। উত্তেজনার বশে কক্ষণে দুই ঘন্টারও বেশী সময় অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে তাহা আর খেয়াল থাকেনা ইবনে হেরাতের, বাস্তবতা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে সে।
কিয়দকাল পর বাস্তব জগতের হুঁশ ফিরিয়া আসিলে উর্ধ্বপানে চাহিয়া ইবনে হেরাত প্রথম অনুধাবন করিতে সক্ষম হয় যে সম্মুখের রহস্যাবৃতা আরোহিনীকে তাড়া করিতে গিয়া কি ভয়ানক ভুল সে করিয়া বসিয়াছে। আকাশের তারকারাজির বিন্যাসকে ভীষন অপরিচিত মনে হইতে শুরু হয় তাহার। তৎক্ষণাৎ আসমান হইতে চোখ সরাইয়া সম্মুখ পানে চাহিয়া দেখে যে রমনীর উষ্ট্র ইতোমধ্যে বেশ খানিকটা আগাইয়া গিয়াছে। তারকারাজির কথা ভুলিয়া আবারও উষ্ট্রের গতি বাড়াইয়া সম্মুখপানে উষ্ট্র ছোটায় সে। কিন্তু এই দফা ক্রোশখানিক যাইতে না যাইতেই অকস্মাৎ ভীষন তীব্রমাত্রার ধুলিঝড় শুরু হয় মরূর বুক জুড়ে। ধুলার প্রকোপ হইতে বাঁচিবার অভিপ্রায়ে এক শক্ত ঢিবির আড়ালে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় সে। কিয়ৎক্ষণ পর ঝড় থামিয়া আসিলে সে ঢিবির আড়াল হইতে বাহির হইয়া আসিয়া দেখে যে উষ্ট্রের আরোহিনীকে আর কোথাও দেখা যাইতেছেনা।
লম্বা সময় ধরিয়া সন্ধান করিয়াও যখন রহস্যময়ীর আর কোন সন্ধান মিলেনাই, তখন আকাশের তারকারাজির মাঝে আবারও মনোনিবেশ করে সে। আশ্চর্যের বিষয় হইলো এই দফা খুব সহজেই শুকতারাকে খুঁজিয়া পায় সে, এবং উহার অবস্থান হইতে সে বিস্ময়ের সহিত আন্দাজ করিতে পারে যে নিদেনপক্ষে ঘন্টা তিনেক ধরিয়া উষ্ট্রের আরোহিনীকে সে তাড়া করিয়াছে। এই রূঢ় সত্যখানি অনুধাবন করিবামাত্রই এক ভয়ানক মাত্রার শীতল স্রোত তাহার শিরদাঁড়া বরাবর বহিয়া যায়। ছোট্ট মরূভূমি দাশত-ই-লাহম হইতে পথ ভুলিয়া যে সে ভয়ংকর মরূর দেশ দাশত-ই-কাবির এ আসিয়া উপনীত হইয়াছে তাহা লইয়া বিন্দুমাত্রও সন্দেহের অবশেষ থাকেনা আর।
(চলবে)
জ্বিনের মতো এতদিন পর কোথা থেকে হাজির হলেন।
গল্প ভাল হয়ছে।
জ্বিন আর জ্বিনের দেশ ছাড়া কোথা থেকে হাজির হবে?
ব্যস্ততা ছাড়ছেনা ... তাও ব্লগ নিয়মিতই পড়া হয় ... লগইন করে কমেন্ট করতে আলসেমি লাগে ... পড়তে পড়তে এত কমেন্ট মাথায় জমে যে আলসেমি ধরে যায়
সাধুভাষার প্রয়োগ দারুণ হয়েছে জ্বিনদা'। কেমন আছেন? এত কম কম দেখি কেন?
ধন্যবাদ মীরদা
ব্লগ পড়ি, ঢোকা হয় কম
আর এটা কি সাত মুসাফিরের একজনের গল্প? আরো ছয়জন আছে?
স্যরি, (চলবে) লিখতে ভুলে গেছিলাম
হঠাৎ মাথায় আসলো লিখতে শুরু করলাম ... এইটা যে কত পর্ব লাগবে শেষমেষ কে জানে ... নাটকের কাহিনী টাইপের হাল্কা পাতলা জিনিস
বহুদিন পর আবার এই ধরণের লেখা নিয়ে আসলেন।
হ্যাঁ, বস্ ... তবে ছাইপাশ যাই হোক এই বছর তাও বেশ কয়েকটা গল্প লিখে ফেললাম মনে হলো ... আমরাবন্ধু একটা নতুন প্রেরণার কাজ করছে
এক অতিশয় রোমাঞ্চসন্ধানী যুবকের পরিচয় জানতে মন চায়
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি
রোমাঞ্চসন্ধানী যুবকরে হেভী ঝামেলায় ফালানোর পেলান আঁটতেছি ... স্টে টিউনড
পড়তে চাই, কিন্তু আপনারা এত আলসে কেন?
খুশি হইছি
লাইফের খাই-দাই-ঘুমাই ফেইজে চলে আসছি আর কি
অতিশয় আনন্দ পাইলাম ভ্রাতোঃ! রোমাঞ্চসন্ধানী যুবককে অতীবও তকলিফে ফেলিবেন না, অনুরোধ থাকিলো। রুদ্ধশ্বাসে পড়িতে গিয়া যদি মরিয়া যাই, তা্হা হইলে এক অতি মুগ্ধ পাঠক হারাইবেন, বলিয়া রাখিলাম হু
সাধুভাষায় এইরূপে লেখিয়া যাওয়া বিরাট কষ্টসাধ্যই নহে, প্রতিভার ব্যাপারও বটে! আপোনাকে সে কারণে অভিনন্দন জানাইলাম-গ্রহণ করুন ভ্রাতোঃ
'নিতে' 'জুড়ে' 'করে' এইগুলি বোধকরি সাধুভাষা নহে( ভুল বলিয়া থাকিলে মার্জনা করিবেন
) পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকিলাম। ( 'চলিবে' লেখিলেন না কেন? হা হা হা
মজা করিলাম ক্রুটি মার্জনীয়) শুভ কামনা থাকিলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চলতি শব্দগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য
... আর ব্যথিতের বেদন বুঝার জন্য ... সাধু ভাষায় লেখা আসলেই কঠিন!...
শুরু হইলো আবারো আরব্য রজনীর উপখ্যান। পড়তে শুরু করলে শেষ না করে থামা যায় না। যত পর্বই চলুক, আছি।

ধন্যবাদ বস্
দেখি কতদূর চালানো যায়
ভাইজান গল্পটার ২য় পর্ব শেষ করেন। আর যে তর সইছে না। দারুন মজা পাইছি।
জ্বিন, আপনার জন্য আপনার ভক্তকূল পাগল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সুন্দরী নারী সকল আপনার বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে গেম শোর অপেক্ষায় আছে। ১০০০ বছর পর অনলাইনে দেখলাম আপনারে। তরতরি কাজ শুরু করেন।
জ্বিন ভাই আপনারে বাত্তি দিয়া খুঁজতেছি। আপ্নে ককককককককককককই? বিশ্বকাপ এসে গেল, নিজেদের দেশে খেলা হবে অথচ আপনার কোন উদ্যোগ নাই
২য় পর্ব কই?
মন্তব্য করুন