পরীদের শহর থেকে... (২)
( এই ছবিটা রমণীয় পা সন্ধানীদের জন্য )
থাইল্যান্ডের ডাকনাম "হাসির দেশ" আর ব্যাংককের সদা হাস্যময় মানুষ সেই নামের মর্যাদা ভাল ভাবেই রেখে চলে। এখানকার মানুষের ব্যবহারের কারণে পর্যটকরা বারবার এখানে আসে। অত্যধিক উন্নয়ন-জনিত নির্মাণ আর সামুদ্রিক উচ্চতা বৃদ্ধিতে ব্যাংকক শহর বছরে ২-৫ সে.মি. ডেবে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এটি ভেনিস শহরের মত ডুবন্ত শহর হয়ে যাওয়ার কিঞ্চিত সম্ভাবনা বিদ্যমান। তবে, ব্যাংকক শহরের মধ্যে দিয়ে অনেকগুলি খালে পানিপথে চলাচলের সুযোগ থাকায় একে “প্রাচ্যের ভেনিস” বলা হয়।
থাইরা বেশ গর্বের সাথে নিজের দেশের আরেকটি পরিচয় দেয় “মুক্ত ভূমি” হিসাবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে থাইল্যান্ড একমাত্র দেশ যেটাকে কখনোই কোন ইউরোপীয় দেশ উপনিবেশ বানাতে পারেনি। সে কারণে বিদেশী ভাষা, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা এখানকার সাধারণ মানুষের একদম অচেনা। তবে থাই ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ আছে। “সওয়াদি” বলে ওরা যে শুভেচ্ছা জানায় সেটাও এসেছে সংস্কৃত থেকে।
ব্যাংকক পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম রাজধানী, তাই ঢাকার চেয়েও গরম বেশী। যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভাল। আমি প্রতিদিন সকালে মূল শহর থেকে ২৫ দূরে গেছি ট্যাক্সিতে, এই দূরত্বে যেতেও ট্যাক্সিতে সাধারণত: ওয়েটিং সময় উঠেছে ১-২ মিনিট। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে ট্যাক্সিগুলি নিয়মে চলে। ট্যাক্সিতে ওঠার পরে ড্রাইভার নিজে থেকে মিটার চালু না করলে তাকে মিটার চালু করতে বলা উচিত। তাতেও চালু না করলে ট্যাক্সি থামাতে বলে নেমে পড়া ভাল। তবে গন্তব্য বোঝাতে ভাষাগত কারণে একটু কষ্ট হয়। তবে মূল শহর এলাকায় বেশ জ্যাম। আর জ্যাম থেকে মুক্তির সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা হল বিটিএস বা আকাশ-রেল। এটি বেশ টুরিস্ট-বান্ধব এবং মোটামুটি টুরিস্ট ও মার্কেট এলাকাগুলিতে যাওয়া যায়। আর আছে আমাদের পুরনো টেম্পোর বড় ভাই টুকটুক, এটাকে এড়িয়ে চলাই ভাল।
থাইল্যান্ডে রাজ পরিবার এখনো অনেক সম্মানের অধিকারী এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন কটূক্তি মানুষ সহ্য করে না। সাধারণ মানুষ রাজ পরিবারের কাউকে স্পর্শ করতে পারে না। একবার এক রানী নদীতে ডুবে যায়, আশে পাশে লোক থাকলেও স্পর্শ করার অনুমতি না থাকায় কেউ তাকে বাঁচাতে যায়নি। এরপরে নিয়মটি সংশোধন করে শুধু জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে রাজ পরিবারের কাউকে স্পর্শ করার অনুমতি দেয়া হয়।
প্রথম যখন থাইল্যান্ডে যাই তখন ১০০ থাই বাথ (মুদ্রার নাম) সমান ছিল আমাদের ১৫০ টাকা, আমাদের টাকা মূল্য হারিয়ে সেই ১০০ থাই বাথ সমান এখন আমাদের ২৭০ টাকা। এছাড়া, ওখানেও সব জিনিষের দাম বেশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে, অতি সস্তার ব্যাংকক আর নাই।
আরো কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ছবি...
~
আমিও যাইবার চাই মাগার টেয়াও নাই প্রডিউসারো খুইজ্জা পাইনা!
ওয়াউ ছবিগুলো অনেক ভাল লেগেছে
আপনার ভ্রমণ ব্লগগুলোতে ছবিগুলো প্রাসঙ্গিকভাবে আসলে একটা টোটাল বিষয় পেতাম। বলতে চাচ্ছিলাম, লেখা আর ছবির মধ্যে একটা যোগসূত্র থাকলে ভাল হয়, নয়তো খাপছাড়া লাগছে।
আর হ্যাঁ, খাপছাড়া লাগলেও এ পোস্টটা কিন্তু ভাল লেগেছে।
খাপছাড়া হচ্ছে সেটা টের পাচ্ছি, তবুও ধর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ব্যাপার হ্ল, এবিতে ব্লগের মধ্যে ছবি দিতে প্রত্যেক ছবির জন্য ১০টা করে চুল পড়ে। আর লেখা আর ছবির মধ্যে যোগসূত্র করতে গেলে কষ্ট আরো বাড়ে। মডুদের বলেন ছবি দেয়া আরো সহজ করা যায় কিনা...
~
এরচেয়ে সহজ আর কোন উপায় আছে!
ছবি দেয়া কঠিন, এটা তো একদমই মনে হয় না।
ভাইরে, কবে যে থাইল্যান্ড যামু !

ক্যান, ছবি টবি দিয়া লোভ দেখান...
শেষে একদিন দেখবেন, হঠাৎ কৈরা-
উড়াল দিমু আকাশে...
থাইল্যান্ড আমার কাছে খুব ভাল লাগে নাই
অফিসের পয়সায় গেলে থা(ঠা)টারিবাজারও খুব ভাল জায়গা
~
খালি ফটুক দেখি লুকজনের। বৈদেশ যাইতে মু্ন্চায়।
থাইল্যান্ডের জ্যামের কি অবস্থা? আগেতো ব্যঙ্ককে মহা জ্যাম ছিল । অফিস টাইমে ট্যাক্সি এক চুল নড়তে পারতো না। মিটার বন্ধ করে দিত ড্রাইভাররা নিজেরাই
মন্তব্য করুন