বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১ বছর
বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের একবছর হয়ে গেলো। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের মর্মান্তিক ও অমানবিক মৃত্যুর কোনো সুষ্ঠু বিচার এখনো হয়নি। এমনকি প্রকাশ করা হয়নি কোনো তদন্ত রিপোর্ট, দাখিল করা হয়নি চার্জশিট। প্রায় আড়াই হাজার বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো জাতি জানতে পারেনি রুদ্ধশ্বাসের সেই দুইদিনে আসলে কী ঘটেছিলো? কেন ঘটেছিলো? কারা ছিলো এর নেপথ্যে?
বিএনপি, জামায়াত-শিবির, সেনাবাহিনীর বিচ্ছিন্ন একটি অংশ, বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী সংস্থা- প্রভৃতি বিভিন্ন কিছুর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা শোনা গেছে। সরকার এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদবিধারীরাই বলেছেন এসব কথা। কিন্তু বিচার হচ্ছে কেবল বিডিআরের সাধারণ জওয়ানদের। এমনকি বিডিআর মহাপরিচালক সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন এই বিদ্রোহের পেছনে আর কিছুই নয়, ডাল ভাত কর্মসূচীর লেনদেনে ঘাপলার ফলেই এই বিদ্রোহ।
যাহোক, আমরা আমজনতা। আমাদের খবর নেওয়ার দৌড় আদা পর্যন্তই। কিন্তু জাহাজ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে মাঝে মধ্যে, সেজন্যই জাহাজের যাতায়াত পথ জানতে চাই। আর কিছু না।
বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে? বিডিআর আইনে নাকি ফৌজদারি আইনে? তাই নিয়ে দীর্ঘদিন বিতণ্ডা চললো। সরকার প্রথমে ভেবেছিলো সেনা আইনে বিচার করবে, সেনাবাহিনীর চাপেই, তাতে ফায়ারিং স্কোয়াড এস্তেমাল করা যেতো হয়তো। সেই চিন্তা থেকে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইলেন সরকার। কিন্তু যেহেতু নিয়মিত বাহিনী হিসাবে বিডিআরের নিজস্ব আইন আছে, কাজেই অন্য একটি বাহিনী- নিয়মিত সশস্ত্রবাহিনী’র আইনের আওতায় বিডিআরের বিচার প্রক্রিয়া আইনত বৈধ নয়। সুপ্রিম কোর্টও তার পরামর্শে একই কথা বললেন। রাইফেলস অর্ডারের আওতায় ‘বিদ্রোহের’ বিচার শুরু হয়ে গেছে ২৪ নভেম্বর থেকে। আজকেই দরবার হলে বিডিআরের বিশেষ আদালত-৫ এর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে চূড়ান্ত বিচারের কথা ছিলো। কিন্তু তা পিছিয়ে ১৫ এপ্রিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহহার আকন্দ একই সাথে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছেন। যেন, বাংলাদেশে জনাব আকন্দ ছাড়া আর কোনো যোগ্য তদন্ত কর্মকর্তা নেই যার ওপর সরকার নির্ভর করতে পারে। গত একবছরেও তিনি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেননি। তবে জানিয়েছেন চার্জশিট প্রস্তুত, মেমো অব এভিডেন্সও সম্পন্ন। এখন এই নথিপত্র চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যে কোনো সময় আদালতে দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে এর আগে বিদ্রোহের তদন্ত করার জন্য যে সরকারি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল তাদের কারণেও দুই পালায় বিদ্রোহের বিচারে দেরি হলো। প্রথম পালায় তারা তদন্ত সমাপ্ত করতে দফায় দফায় অনেকবার তদন্তের মেয়াদ বাড়িয়ে নিলেন।
বিচারে দেরি হলেও গত একবছরে বেশ কিছু বিডিআর সদস্য সেনা ও পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। এপর্যন্ত দুই হাজারের বেশি বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৩(২) অনুচ্ছেদে আটক বা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা অনুসরণ করা হয় নি। অনেককে আটক করা হলেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে অনেক পরে। ২১৪৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ৫৩৭ জন বিডিআর সদস্য নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। আদালতের কাছে যে জবানবন্দীর কোনো বিচারিক মূল্য নেই। স্রেফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে কাউকে শাস্তি দিতে পারেন না আদালত। আলাদা সাক্ষীর সাক্ষ্য বা আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর নিজস্ব তদন্তের মতো কোনো স্বতন্ত্র উৎস থেকে সত্যায়িত ও সমর্থিত না হলে এমন স্বীকারোক্তির কোনো আইনগত মূল্য নেই। আদালতে বিচারকালীন সময়ে তদন্তের সময়ে গৃহীত জবানবন্দী পরীক্ষা করে নেওয়া হয় এবং জবানবন্দী প্রদানকারী অভিযুক্ত আগের মতামত সমর্থন করেন কিনা- সেটাও জিজ্ঞাসা করা হয়। এছাড়াও সাক্ষ্য আইনের বিধান অনুযায়ী একই ঘটনায় অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তি জবানবন্দী দিলে একজনের জবানবন্দী অন্যজনের জবানবন্দীকে সমর্থন করে কিনা- সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপরেই সেই জবানবন্দীর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়।
ইতিমধ্যেই স্বীকারোক্তিদাতা অভিযুক্তদের মধ্যে ৮৪ জন আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যে, তারা তাদের জবানবন্দী প্রত্যাহার করে নিতে চান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের থেকে জোরপূর্বক এবং নির্যাতন করে এমনকি ‘ক্রসফায়ার’ এর ভয় দেখিয়ে জবানবন্দী আদায় করা হয়েছে বলে তারা আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
এপর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী বাহীনির হেফাজতে এবং কারাগারে সবমিলিয়ে ৫৫ জন বিডিআর সদস্য মারা গেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃতের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ণ ছিল। সেসব মৃত্যুর কোনো তদন্ত হয়েছে বলে জানা নেই। দুইটি লাশের ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া যাওয়ার পর পুলিশ নিউমার্কেট থানায় ২টি মামলা দায়ের করেছে, কিন্ত তার অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
এখনো পর্যন্ত বিচারের সঠিক অবস্থা জানা যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে না এই বিদ্রোহ কি শুধুই একটি বিদ্রোহ? নাকি এর পেছনে আছে কোনো ষড়যন্ত্র? সরকারের এখনো পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে যেনতেনভাবে একটা বিচার করে কিছু বিডিআর সদস্যকে দণ্ডিত করাই উদ্দেশ্য। মূলে প্রবেশের কোনো আলামত এখনো দেখা যায়নি। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক, যথাযথ বিচার হোক। অপরাধের শিকার ও অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দুই পক্ষই ন্যায়বিচার পাক। অভিযুক্তরা পাক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ।
উল্লেখ্য, ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে অনেক অনেক বিদ্রোহ হয়েছে। ছোট বড় মাঝারি সব মাপের। অনেক বিদ্রোহের কথা এমনকি আমজনতা জানতেও পারেনি। সেসব বিদ্রোহে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সেসবেরও কোনো সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। বিদ্রোহের পেছনের শক্তিগুলোর কথা কখনোই আমরা জানতে পারি না, নিজেদের মতো করে অনুমান করে নেই কেবল। আর সেজন্যই দলবাজী প্রবল হয়।
একবছরের সারসংক্ষেপ:
২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি : রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন। ফেব্রুয়ারি ২৬ সকালে রাজশাহী, দিনাজপুর, ফেনী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও, এবং বান্দরবানে বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করে।
BDR Mutinyবিদ্রোহের বিচার : ক্রমপঞ্জী [জানুয়ারি পর্যন্ত]
২৬ ফেব্রুয়ারি : বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে সরকারি তদন্ত কমিটি গঠিত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে সভাপতি করে।
২ মার্চ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রিকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে সভাপতি করে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করা হয়।
৩ মার্চ : এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার মেয়াদ নিয়ে কমিটি তদন্তকাজ শুরু করে।
৩০ মার্চ : কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষ করার মেয়াদ ১২ মে পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।
২১ মে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করে তদন্ত কমিটি। ৩০৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন। প্রতিবেদন সেনাআইনে বিচার করার সুপারিশ করা হয়।
২৭ মে : সরকারি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনের ৭ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করে।
২৭ জুলাই : আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, সেনাআইনের বিডিআর বিদ্রোহের বিচার করা যাবে কি না সেই মর্মে রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠাবেন।
১৭ আগস্ট : সেনাআইনে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের বিচার করা যাবে কি না সেই মর্মে পরামর্শ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠান রাষ্ট্রপতি।
১৯ আগস্ট : রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্স শুনানিতে আদালতে সহযোগিতা করার জন্য ১০ জন আমিকাস কিউরি নিয়োগ করেন আদালত।
২৫ আগস্ট : আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের শুনানি শুরু করে।
১০ সেপ্টেম্বর : সেনাআইনে বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের বিচার করা যাবে কি না- এই মর্মে সরকারের প্রর্থিত রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তার মতামত রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান।
১৫ নভেম্বর : বিডিআর সারাদেশে ছয়টি বিশেষ আদালত গঠন করে। এর মধ্যে ঢাকায় সদর দপ্তর অর্থাৎ পিলখানায় ২টি ও দেশের অন্যান্য স্থানে আরো ৪টি আদালত স্থাপিত হয়েছে।
২৪ নভেম্বর : রাঙ্গামাটিতে বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
৭ ডিসেম্বর : সাতক্ষীরায় বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
২০ ডিসেম্বর : ফেনীতে বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
হত্যাসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের বিচার : লালবাগ থানার সেই মামলার ক্রমপঞ্জী
২৮ ফেব্রুয়ারি : বিদ্রোহ অবসানের একদিন পরই পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নবজ্যোতি খীসা বাদী হয়ে ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
৭ এপ্রিল : তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট মামলাটি লালবাগ থানা থেকে নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করেন। নিউমার্কেট থানার মামলাটির তদন্ত কাজ পরিচালনা করছেন সিআইডির কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ।
২৭ এপ্রিল: পিলখানা হত্যাকান্ড মামলা পরিচালনার জন্য আনিসুল হককে প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয় সরকার।
২৩ আগস্ট : প্রথমবারের মতো কোনো পিলখানা হত্যা মামলায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান এবং এস এম এমদাদুল হকের বেঞ্চ অভিযুক্ত আল আমিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
১৫ সেপ্টেম্বর : পিলখানা হত্যা মামলায় এই দিন প্রথমবারের মতো একজন অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পান। হাইকোর্ট থেকে প্রাপ্ত জামিনের আদেশ গ্রহণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিনকে জামিনে মুক্তি দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ১০ মে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
২৭ জানুয়ারি ২০১০ : মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দাখিলের জন্য ধার্য করা হয়েছে। গত দশমাসে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনেকবার আদালত থেকে সময় নেয় তদন্ত কর্মকর্তা।
সংখ্যাতথ্য
৭৩ জন নিহত হয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহে, যার মধ্যে রয়েছেন সেনাকর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা, বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক।
৫৭ জন সেনাকর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহে।
৫৩৭ জন বিডিআর সদস্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন ।
৮৪ জন বিডিআর সদস্য আগে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেয়ার আবেদন করেছেন আদালতে। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী।
২১৬৬ জন বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২৯ জন বেসামরিক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২১৪৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
৫৫ জন বিডিআর সদস্য পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহীনির হেফাজতে এবং কারাগারে থাকাকালে মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি পরিসংখান অনুযায়ী।
৪০ টি মামলা হয়েছে এ পর্যন্ত সারাদেশে।
[২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী]
গত বছর বিডি আর এর ঘটনা , এই বছর খাগড়াছড়ি তে, জানিনা পরের বছর ফেব্রুয়ারীতে কি ঘটে।
এই প্রসংগটা আসলেই আমি জানতে চাই, ঠিক কতোজন বিডিআর সদস্য তার পরে অস্বাভাবিকভাবে মারা গেছে তার পরিসংখ্যানটাও কি দেয়া উচিৎ না?
পোস্টেই উল্লেখ আছে... ৫৫ জন
!
বাকহারা।
অনেক ধন্যবাদ
বীভৎসতা এখানেও কম না। এই ৫৫ জনের সবাই কি 'হৃদরোগে' মৃত্যুবরণ করেছেন, নাকি জুতার ফিতা ইত্যাদির ফাঁসও আছে?
কয়েকটা মনে হয় ফাঁস নিছিলো... যে যেভাবেই মরুক... গঠনা একই
আজকের প্রথম আলোতে সংখ্যাটা দেখলাম ৬৯
"আই ফর অ্যান আই উইল লীভ দ্য নেশন ব্লাইন্ড" -- ম.ক.গান্ধী।
সেনাবাহিনী প্রতিহিংসা চরিতার্থ না করে যদি ঘটনার নেপথ্যের নায়কদের চিন্হিত করার চেষ্টা করতো তাহলে সবার জন্যই ভালো হত। অবশ্য কেচো খুড়লে কোন সাপ বের হত কে যানে।
আমার মনে হয় আমাদের দেশটা সুগার কোটেড কুইনানইনের মতন গণতন্ত্র কোটেড সেনা শাসন
ভালো থাকবেন
কেচো খুড়তে আমাদের অনেক ভয়...
বিডিআর বিদ্রোহের আসল রহস্য বোধহয় ধোঁয়াশাই থেকে যাবে। যারা ঘটিয়েছে তাদের হাত সরকারের চেয়েও লম্বা।
বলির পাঠা, বিভ্রান্তি, আইওয়াশ, বিচার প্রহসন......শব্দগুলো কেবল ঘুরপাক খায় মগজের ভেতর!
একসাথে সবগুলো তথ্য পেয়ে ভালো লাগলো। কাজের পোস্ট।
থ্যাংকস পোস্টটার জন্য । প্রথম আলো তে মাত্র পড়ে আসলাম , অবশ্য আশানুরূপ কথাই এসেছে । কি তদন্ত করতে কি বের হয় তার চেয়ে হাবিজাবি বুঝিয়ে দেয়াই বেটার । পাব্লিক বেশিদিন কোনও কিছুই মনে রাখে না , এতটা ছাড়পত্র যখন আছেই ।
ভালো থাকবেন ।
মানুষ থাকুক মানুষের মত - মানুষের ভিতরকার পশুগুলোর অকাল মৃত্যু হোক
অনেক গুলা তথ্য এই পোষ্টে একসাথে পাওয়া গেলো...পোষ্ট টা প্রিয়তে নিলাম...
(গতপরশু খবরে পড়লাম, তদন্তকারী রা বাইরে কারো যোগসাজশ খুঁইজা, পায়নাই, এখন ৯০০জন কে আসামী কৈরা মামলা করা হবে...আবার প্রধানমণ্ত্রী কৈতাছে, পিছনের উষ্কানী দাতাদের খুঁইজা বাইর করতে হবে...আর সেই উশৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তাদের কি হৈলো? )
হু ম ম
সেনাবাহিনী আগে দুই দুইজন রাষ্ট্রপতিকে খুন করে.। বিডিআর তো কোন রাষ্টপতিকে খুন করেনি. বিডিআর সব দূনীর্তিপ রায়ন সেনা অফিস?রদ?? খুন করেছ। ।। সেনাবাহিনীর তো নাম পর?বর্তন করা হয়নি! সেনাব?হ?নীর নাম পর?বর্তন সহ তাদের সকলের সম্প?্তির হিসাব নেওয়া হউক. যেমনট? নিরপরাধ বিড??রদের বেলায় করা হয়েছে
মন্তব্য করুন