ভারতীয় ছবি আমদানী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ক জটিলতা
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ছবি আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিলো ১৯৬৫ সালে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল।
এখন যদি সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞার পূণর্বিবেচনা করতেই হয়, তাহলে ভেবে দেখতে হবে ভারতীয় ছবির আমদানী আমাদের কতটুকু প্রয়োজন এবং কতটুকু ক্ষতিকর।
এমনিতেই আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে ভারতীয় দাপট প্রচণ্ড। ভারতীয় ছবির দাপটও অত্যধিক বেশি। মুম্বাইয়ের সব ছবিই এদেশে পাইরেট ডিভিডি হয়ে আসে। এবং দেদারছে বিক্রি হয়, দেখা হয়।
সরকার এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে? দর্শকরা হলে গিয়ে ভারতীয় সিনেমা দেখতে পাবে এই সুবিধা দিতে? নাকি হল মালিকদের বাণিজ্য বাড়াতে? দর্শক যারা ভারতীয় ছবি দেখার, তারা কেউ না দেখে বসে আছেন বলে আমার জানা নেই। তারা ঠিকই ডিভিডিতে দেখে নিচ্ছেন। এমনকী আমাদের সিনেমাহলগুলোর প্রজেকশনের যা অবস্থা। তার চেয়ে ভালো কোয়ালিটিতেই দেখছেন। [গ্রামেও এখন ডিভিডির দর্শক প্রচুর]
তাই এই ধারণা করতে পারি দর্শকের কথা নয়, হল মালিকদের স্বার্থেই এবং দাবীতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
ধরে নিলাম এই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলো, সেক্ষেত্রে কী হবে? দর্শকেরা ডিভিডি বাদ দিয়ে হলে যাবে ভারতীয় ছবি দেখতে? যদিও এটা সময়ই বলবে, কিন্তু আমার ধারণা যাবে। সিনেমা হলের দর্শক বেড়ে যাবে তখন। হল মালিকদের মুনাফা হবে বেশ ভালো রকমের। নতুন সিনেমা হল তৈরি হবে।
আর পাইরেসির বাজারের বড় একটা অংশে ধ্বস নামে।
অতএব পাইরেসি ঠেকাতে আর হল মালিকদের স্বার্থ দেখলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলেই দেওয়া উচিত।
এবার আসা যাক আমাদের দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কথায়। আমরা নাক সিটকে বলতেই পারি যে, যা আজে বাজে সিনেমা হয়, এগুলো দেখা যায় না। তারচেয়ে হিন্দী সিনেমাই চলুক। কিন্তু আমাদের সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে এবং উন্নত করতে দর্শক হিসেবে আমাদেরও একটা দায়িত্ব থাকে। দায়িত্ব থাকে সরকারের। এটা আমাদের মানতেই হবে যে সিনেমা শিল্পকে ঘিরে একটা বড় জনগোষ্ঠী বেঁচে থাকে। স্বপ্ন দেখে। তারচেয়ে বড় কথা যে আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি তরুণ নতুন স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করে আছেন বাংলা চলচ্চিত্র বানাতে।
আর যতো যাই বলি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মাঝখানে যে চরম খারাপ অবস্থাটা ছিলো, তা থেকে এখন বেশ ভালো রকমেরই উন্নতি হয়েছে। এখন খুব শিল্পসম্মত না হলেও অশ্লীল ছবির দাপট অন্তত কমেছে। এই উত্তরণের ধাপ এখনো উন্নতির দিকেই।
দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতি হলে হল মালিকদের বাণিজ্যেও উন্নতি হবে। গত এক দেড় বছরে ফ্লপ যাওয়া ছবির চেয়ে ব্যবসাসফল ছবির তালিকাই বেশি।
এই সময়ে ভারতীয় ছবি আমদানী করলে এতদিনের এই উত্তরণের চেষ্টা পুরোটাই ধ্বসে যাবে। এটা প্রায় নিশ্চিত।
আগে বছরে ২টি চলচ্চিত্র নির্মিত হতো সরকারী অনুদানে। এবছর থেকে সরকার অনুদানের সংখ্যা বাড়িয়েছে। এখন ছয়টি ছবি অনুদান পাচ্ছে। আজকের পত্রিকাতেই পাশাপাশি এই দুটো খবর। অনেকটা যেন গাছের আগায় সার দিয়ে গোড়া কেটে দেওয়ার মতো অবস্থা! সরকারকে ভাবতে হবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ণ ঘটাতে কোন সিদ্ধান্তটা বেশি জরুরী।
ভারতীয় ছবি একবার বাজার দখল করে বসতে পারলে সেই বাজারে ঠাঁই পাবে না আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প। ভারত এখন বিশ্বদখলে মেতেছে। শাহরুখ খান এখন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ভূমিকায়। আমরা এখন কী করবো? আমন্ত্রণ জানাবো? নাকি 'হেরে যাবো' তারচেয়ে প্রভুত্ব মেনেই নেবো?
সরকার কোন দিকটা বেশি গুরুত্ব দেবে? হল মালিকদের? নাকি গোটা চলচ্চিত্র শিল্পের?
আপনার লেখা পড়ে তো মনে হচ্ছে গোটা চলচ্চিত্র শীল্পকেই গুরুত্ব দেয়া উচিৎ
আমি শুধু আমার ভাবনাগুলো প্রকাশ করেছি। আপনার ভিন্ন ভাবনা থাকলে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। সরকার কোন পথে হাঁটে সেটাই দেখার বিষয়
আমার আসলে এই বিষয়ে তেমন ধারনা নাই; একটা প্রশ্ন আসলো আপনার পোস্ট পড়ে হঠাৎ করেই হিন্দী ছবির সীমাহীন দৌরাত্বের পরো তেলেগু-বাংলা(ভারতীয় বাংলা)-পান্জাবী-মারাঠি-এসব ছবি টিকে আছে কিভাবে আর ভারতীর বাংলা ছবির অবস্থাওতো আমাদের দেশের ছবির চেয়ে অনেক বেটার এটার কারণ কি?
আমাদের তো সুযোগ ছিলো অন্তত ভারতীয় বাংলা ছবির চেয়ে এগিয়ে থাকার - তাই না?
এডার একটা কারন হৈতে পারে, ঐখানে প্রাদেশিক ইগো ভাবটা, মানে ভারতীয়দের প্রদেশের মঝে কোনো কোনো যায়গায়, ব্যাপারটা কাজ করে....
কিন্তু বড় ব্যাপারটা হৈলো, অনেক যায়গায় আসলেই কিন্তু মুম্বাইয়ের সাথে টেক্কা দিতে পারেনাই, অঞ্চল ভিত্তিক ছবি, এইজন্য তারা অন্য পথ ও বাইছা নিছে....
যারে কয় বি-গ্রেড ম্যুভি, ঐসব দিয়া একটা ক্যাটাগরাইযড দর্শক আনে...
অখন অবশ্য কুশ্চেন আছে, ভারতীয় ছিনেমা আসলে কি আমাগো ছিনেমারে একটা চ্যালেঞ্জ দেয়া হৈবো, নাকি চিপায় ফালাই দেয়া হৈবো, সেডা বুঝিনা....
কোনো কিছুই তো আর নির্দিষ্ট কৈরা কওন যায়না(তয় জাতিগত ভাবে, আমরা চ্যালেঞ্জ নেইনা...একটু টেনশনের ব্যাপার থাকতেই পারে....আমার অবশ্য পছন্দ হৈতো, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেই..)
এবিষয়ে অনেক আলোচনার সুযোগ আছে। আলাদা পোস্ট দিতে হবে।
আমাদের তো সুযোগ ছিলো অন্তত ভারতীয় বাংলা ছবির চেয়ে এগিয়ে থাকার - তাই না?
কাঁকন, কোলকাতার গড়পড়তা ছবির মান আমার ধারনা ঢাকার গড়পড়তা ছবির মতোই কিংবা তারচেয়েও নীচে। আমরা দেখি কোলকাতার বাছা বাছা ছবি। কোলকাতার অন্তহীনের নাম করলে ঢাকার অর্ন্তযাত্রার ও নাম করা যায় কিংবা ব্যচেলর।
তাই নিরাশ হওয়ার মতো কিছু নাই।
আর লোকেনদার সাথে পূর্ন সহমত, আজকাল শিক্ষিত ছেলেমেয়ে চলচিত্রে আগ্রহী হওয়াতে ঢাকার সিনেমা অনেক উন্নত হয়েছে। আমি নিজে বসুন্ধরায় যেয়ে খেলাঘর, আয়না, চন্দ্রগ্রহন, দূরত্ব,নন্দিত নরকে, অর্ন্তযাত্রা ইত্যাদি দেখেছি এবং হতাশ হইনি।
নিষেধাজ্ঞা থাকুক
বুঝতাছিনা খারাপ হৈব নাকি ভালো হৈভ !!!
তবে আমদানী করতে দিলে শর্ত সাপেক্ষে বিশাল ট্যাক্স সহ আমদানী করতে দিলে ভাল হবে , একদিকে যেমন দেশের কিছু ইনকাম বাড়বে আর হিন্দি সিনেমা স্রোতের মত দেশে ঢুকতে পারবে না। সামান্য আকারে আসবে , যার সাথে ফাইট দিয়ে দেশের সিনেমার মান কিছুটা ভালো ও হতে পারে । কিন্তু স্রোতের মত আসলে ফাইট তো দূরের কথা , দেশের সিনেমা শিল্পই ভেসে যেতে পারে ।
ফাইট কিন্তু এখনও কিছু কম চলতেছে না। ফাইটের জন্য হলে আনার দরকার কী?
এমনিতেই তো মুম্বাইতে মুক্তি পাওনের আগেই ঢাকায় পাইরেটেড কপি রিলিজ হয়... হলে সামান্য আকারে আসার প্রয়োজনটা তাইলে কোথায়?
তবে ট্যাক্সের ব্যাপারটা ভালো লাগছে। এভাবে নিরুৎসাহিত করা যায়।
আমি এই ব্যাপারে তেমন জানিনা তবে বড় পর্দায় আর ছোট পর্দার মধ্যে অনেক তফাত। আপনি অনেক সুক্ষ্ম বিষয় , অনেক গেট আপ সেট আপ ছোট পর্দায় দেখে ভালো করে বুঝতে পারবেন না, সাউন্ডের ব্যাপারটাও, যেটা বড় পর্দায় দেখে বোঝা যায় ।
সেই জন্যই বলেছি।
ডেমো ভার্সনের লগেই পারতেছেনা, এই অবস্থায় অরিজিনাল ভার্সনরে লগে ফাইট দেওনের জন্য ডাইকা আনার প্রয়োজন কী? আমি এইটাই বুঝাইতে চাইছি।
ফাইট এখনই পুরাদমে চালু আছে। এতেই আমাদের পর্যুদস্তাবস্তা। নিজ দায়িত্বে কেন আমরা প্রতিপক্ষরে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নিবো?
পোস্টটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রয়োজনীয় এবং সময়উপযোগি লেখা।
আমার মনে হয় ভারতীয় ছবির আমদানী ঠেকাতে হবে। সরকারের অবশ্যই উচিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা। সত্যিই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প একটা নতুন পথে যাত্রা শুরু করেছে। এসময় এরকম সিদ্ধান্ত ক্ষতিকরই হবে।
হিন্দী সিনেমার প্রতি বিদ্বেষ থেকে না, দেশী একটা রুগ্ন শিল্পকে রক্ষা করতে আর নতুন উদ্যমে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্যই সরকারকে এই হঠকারীমূলক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
আপনার পোষ্টের যৌক্তিকতা এক হিসাবে ঠিক আছে আবার অন্য দিকটাও কিন্তু বিবেচ্য। সাঈদ ভাই ট্যাক্সের ব্যাপারটা আগেই বলছেন। এটা কিন্তু বেশ বড় রকমের রাজস্ব আয় হইয়া দাঁড়াইতে পারে। তাছাড়া যে কোন ক্ষত্রে প্রতিযোগিতা না থাকলে কিন্তু ঐ বিশেষ ক্ষেত্রের উন্নতি স্থিমিত হইয়া যায়, এক চেটিয়া মনোপোলি খেলার টেন্ডেন্সি দেখা যায়। উদাহরণ হিসাবে ধরেন গ্রামীন ফোনের কথা। সমপ্রতিদ্বন্দি না থাকায় তারা টানা কত বছর ফাঁকা মাঠে গোল দিয়া গেছে। ৮ টাকা কইরা মিনিট গোনার ভয়ে খালি মিসকল দিতাম আমরা। এখন প্রতিযোগিতা বাড়ায় তারা বাধ্য হইছে কল চার্জ কমাইতে এবং সার্ভিসেরও নাকি কিছু উন্নতি হইছে। বাংলাদেশে সিনেমার বিশ্ব বাজার খুইলা দিলে প্রযোজক পরিবেশকরা বাধ্য হইবে ভাল কিছু তৈরী করতে নয়ত তারা একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া যাইবে, যদিও আমার ধারণা দ্বিতীয়টার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ছোট বেলায় একটা ভাব সম্প্রসারণ পড়ছিলাম, আপনার পোষ্ট পইড়া সেইটার কথা মনে পইড়া গেল : -
দ্বার বন্ধ করে রেখে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি
১।
রেখে না, 'দিয়ে' হবে
২।
দ্বার খোলাটা সবসময় উদারতা বা যৌক্তিক না। আলো বাতাস ঢোকার জন্য দ্বার খুলে রাখা জরুরী যেমন, তেমনি প্রয়োজনে বন্ধও রাখতে হয়, নতুবা ডাকাত ঢুকে পড়ে।
আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা উদারতার কেবল খোলাটাই শিখি, কখন বন্ধ রাখতে হয় সেটা জানি না।
৩।
আপনি টেলি বিজনেসের উদাহরণ টানলেন। এটা ধরেই বলি, গ্রামীণ ফোন মনোপলি করে সব টাকা নিয়ে গেলো নরওয়েতে, নিয়ে যাচ্ছে। জিপিকে ঢুকতে না দিয়ে টেলিটককে আগে তৈরি করে এবং শক্তিশালী করলে চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হতো।
টাকাগুলো আমাদের এখানেই থাকতো। সবকিছু ওপেন করে দেওয়ার জন্য তো সরকার পুষতে হয় না। সরকার পুষি একারণেই যে তারা একটা উন্নয়ন পরিকল্পনা করবেন।
৪।
সরকারকে প্রতিযোগিতা দেখলে চলে না। সবার আগে দেশের স্বার্থটাই দেখতে হয়। দেখতে হয় কীভাবে দেশের শিল্পগুলোকে বাঁচানো যাবে। সত্যর ছলে বিদেশী বেণিয়া ঢুকে যাওয়া রোধ করার জন্যই আমরা সরকার মনোনীত করি।
@ লোকেন বোস, ভুল সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ১৯৬৫ সাল থেকে তো দ্বার বন্ধ করেই রেখেছি আমরা। তাতে কি ঘোড়ার ডিম লাভ হয়েছে?
লাভ হয়নি বলে ক্ষতি ডেকে আনবেন?
দ্বার বন্ধ করে রেখে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি
------
তো বড় সত্য হইল যেইটা - হিন্দি মুভি না আইনা পর্ণো মুভি আনলে (আরো ভালো হয় সৃষ্টিশীলতার দোহাই দিয়া ইউরোপিয়ান 'বি' গ্রেডের মুভি) আরো বেশি রাজস্ব আয় হয়। কারণ এখন পর্যন্ত পর্ণো ইন্ড্রাস্ট্রিতেই বেশি পয়সা।
বাংলাদেশের পর মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী। অথচ সরকারের কোনো উদ্যোগ নাই এখানে বাংলা ছবি রিলিজ দেওয়ার। ফাজিলের ফাজিল।
যাক মাইনা নিলাম। হিন্দি ছবি আনা উচ্চ রাজস্ব দিয়া আনা যেতে পারে বাট বিনিময়ে কলকাতায় আর বিহারে বাংলাদেশী ছবিও চলতে হইব।
চরমভাবে সহমত
রিলিজ করার মতো কোন ছবি তৈরী হয় নাকি বাংলাদেশে?
চরমভাবে একমত
এই বাক্যটা আপত্তিকর।
অবশ্যই রিলিজ করার মতো ছবি তৈরি হয়। এবং সাধারণ মানুষ টিকিট কেটেই দেখে। এদেশে একজন নায়ক একটা সিনেমা করে ৩০ লাখের বেশি টাকা নিচ্ছেন। এবং তার সব ছবিই ব্যবসা সফল।
এই পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে এই কথাটা বলতে পারলেন?
আপনার রুচিতে হয়তো কোনো ভালো ছবি হচ্ছে না। কিন্তু আমজনতা দেখছে, যাদের আর কোনো বিনোদন উপায় নেই। যারা আব্বাস কিয়োরোস্তমী বা গঁদ্যর দেখে না। দেখবে না। তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এক্ষেত্রে অনেকেই মনপুরা, মাটির ময়না, আহা এসব ছবির কথা বলবে। ঠিক আছে। আমিও একমত। তবে আমি হলে প্রথমে 'খাইরুন সুন্দরি' রিলিজ দিতাম। অথবা 'আমার প্রেমের তাজমহল ... ' একটা গান আছে যে ছবিতে ওইটা ...
-------
হিন্দি ছবি রিলিজ হলে তাতে একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হবে বাংলাদেশী নির্মাতাদের মধ্যে আর এতে বাংলা ছবির উৎকর্ষতা সাধিত হবে - এটা পুরোপুরিই হাস্যকর ও ভ্রান্ত ধারমা ...
@ অলৌকিক হাসান, আমি কিন্তু গোটা বিশ্বের সিনেমার কথা বলছি, শুধু হিন্দি না, খিয়াল কইরা। প্রতিযোগিতামূলক আবহাওয়া না থাকলে ভাল কোন আউটপুট আশা করা যায় না।
ইংরেজি ছবির জন্য দ্বার মনে হয় বন্ধ না। ট্রান্সফর্মারস সহ অনেক ছবিই সিনেপ্লেক্সে আসতাছে। আর মধুমিতা সহ অনেক জায়গাতেই ইংরেজি ছবি আমি নিজেও দেখছি। ভ্যান হেলসিং এর কথা মনে পড়ে।
হিন্দি ছবির একসেস দেয়ার বিপক্ষে, শুধু হিন্দি না-কোলকাতার ছবিও আনা যাবে না। এগুলা যেইসব হলিউড মুভি থেইকা চোথা মাইরা বানানো হয়, সেগুলা ডিরেক্ট দেখাইলেই হয়।
"হিন্দি ছবির একসেস দেয়ার বিপক্ষে, শুধু হিন্দি না-কোলকাতার ছবিও আনা যাবে না। এগুলা যেইসব হলিউড মুভি থেইকা চোথা মাইরা বানানো হয়, সেগুলা ডিরেক্ট দেখাইলেই হয়।" -- ভাঙা আমিও তাহলে কেয়ামত থেকে কেয়ামত অথবা বাংলার কমান্ডো না দেইখা সরাসরি কেয়ামত সে কেয়ামত তক অথবা শোলে দেখতে চাইতে পারি ;
সো ইংলিশ বা ইউরোপিয়ান মুভি আনা যাবে কিন্তু ভারতীয় মুভি আনা যাবে না এই যুক্তি টা খুব হাস্যকর লাগলো আমার কাছে
জ্বি বুঝতে পারছি তবে ঘটনা হইল বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়া কিন্তু হিন্দি ছবিরেই চিপা দিয়া ঢুকানোর পায়তার হতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববাজার=হিন্দি ছবি ভাইবা আগাইতে হবে। আর বাকিটুকু তো ভাঙা পেন্সিলের কমেন্টে পরিষ্কার।
নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ।
ইন্ডিয়া কি বাংলাদেশের মুভি মুক্তি দেয়?
টিভি চ্যানেল ই ঢুকতে দেয় না!
অলৌকিক হাসান এর কমেন্টে বুইড়া আঙ্গুল ।
আমি বাজি রেখে বলতে পারি, বাংলাদেশের পরিচালক অভিনেতারা এর বিরুদ্ধে আজ হোক কাল হোক মাঠে নামবেন , নামতেই হবে , কারণ ধরা টা তারাই খাবেন!
পরিচালক অভিনেতারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু হল মালিকদের জন্য গোটা চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্ট্রি ধ্বংশ হতে দেবেন না তারা, এই বিশ্বাস রাখি।
তবে আমাদেরও কিছু দায় আছে। আমরাও এই প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো।
এমনকি দুনিয়ার আরেক প্রান্তে আইসাও হিন্দিওয়ালাদের জ্বালায় বঁাচিনা, আবার সিনেমা হলে? এরপর কি করা হবে- বাধ্যতামূলক? না দেখলে জরিমানা।
রবীনদ্রনাথ খোলা দ্বারের কথা বলেছিলেন, আবার এটাও বলেছিলেন, "ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য না"। আশির দশকে ভিসিপির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমার সংক্রমণ হবার পরই বাংলােদশের সিনেমার মানের একটা বিরাট অধপতন হয়।
আমার মত, চুক্তিটা দ্বিপাক্ষিক হৈতে পারে। ঢাকায় হিন্দি সিনেমা দেখাইতে হলে দিল্লিতেও বাংলা সিনেমা দেখাইতে হবে।
এখানে তো চুক্তির কোনো মামলা নাই যে দ্বিপাক্ষিক হবে। হিন্দিওয়ালারা আগ্রহ দেখাইছে এদেশে বাজার সম্প্রসারণের, তা তো না। আমরাই হাইদ্যা খাল কাইটা কুমীর আনতে চাইতেছি।
আমার ধারণা উল্টা তারাই শর্ত দিবো যে আগে তোমগো হলগুলারে মানুষ করো। এতো পঁচা হলে আমগো সিনেমা দেখাইতে দিমু না
ধন্যবাদ নজরুল
ছরি, আমার মিশটেক।
যিনি হিনদি ছবি দেখাইতে চান তাকেই ঐ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ধন্যবাদ রোবোট
হিন্দি সিনেমা আইনা প্রতিযোগিতা? প্রতিযোগিতা করলে ভালো সিনেমার লগেই হউক, ফালতু সিনেমার লগে প্রতিযোগিতার কী আছে?
হিন্দি সিনেমাকে ফালতু বলবো না। তারাই এখন বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে। আমাদের যতটুকু আছে, তাই নিয়েই আমরা বেঁচে বর্তে থাকতে চাই। উন্নতি চাইলে একেই আরো পুষ্টিকর খাদ্য দিতে চাই।
ধন্যবাদ আপনাকে
ভারতীয় সিনেমা এখন ভারতে যতো পয়সা কামায় তার চাইতে বেশি কামায় প্রবাসে। এইটাই বাস্তবতা...সাম্প্রতিক সময়ে মাই নেইম ইজ খান'এর ভারত আর বহির্বিশ্বের বাজারের বিক্রীবাট্টার হিসাব নিলেই ব্যাপারটা অনুমেয়।
আর আমাগো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গতো কয়েক দশকে আগের চাইতে আরো ছোট হইছে। এফডিসি'তে অনেক পরিচালক আসে সময় কাটাইতে। নতুন নতুন ব্যবসায়িরা আসে সিনেমায় ইনভেস্ট করতে...যারা সিনেমা বানানোর চাইতে অন্য বিষয়ে আগ্রহী থাকে বেশি। সাদা টাকা কালো বানায় অনেকে আর অনেকে আসে কালো টাকার বিনিময়ে মৌজ -ফূর্তি করতে।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখন সেইসব পরিচালকের কদর বেশি যারা যতো কম ফিল্ম ক্যান এক্সপোজ কইরা শুটিং শেষ করবার পারে। আমার লগে এক পরিচালক জুটির পরিচয় হইছিলো, নাম হইলো শাহীন-সুমন। তারা এক ছবি নামাইছে জাস্ট ১৫০০০ ফিট ফিল্ম শুট কইরা। যেইখানে একটা আড়াই ঘন্টার ছবিতে ১৪০০০ ফিটের বেশি ফিল্ম ব্যবহার হয়। মানে তারা একটা শট শেষ করছে ১:১.০২ বা এর ধারে কাছের রেশিওতে শুট কইরা। হলিউডের পরিচালক-প্রযোজকেরা তো অবশ্যই পৃথিবীর যেকোন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারাই এই তথ্যে ভরকাইবো নিশ্চিত। কিন্তু বাস্তবতা হইলো ৬০ লাখের উপরে কোন ছবিতে খরচ হইলে তার টাকা ফিরা আসা নিয়া চিন্তায় থাকতে হয় প্রডিউসাররে। আর যে কোন ক্ষেত্রের মতোই চলচ্চিত্রের বাজারেও আছে সিন্ডিকেট। ডিস্ট্রিবিউটররা এই সিন্ডিকেটের নেতা। তারা যেমনে একটা ছবিরে বুকিং দেয় তার নিরীখেই চলে সিনেমা। তার নিরীখেই সেন্সর বোর্ড অনুমতি দেওয়া ছবিরে আটকায় আবার কাটপিস লাগাইয়া সেন্সর বোর্ডের ফালাইয়া দেওয়া অংশ জোড়া লাগাইয়া সমানে চলে প্রায় পর্ন ছবি।
শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই নাকি এইসবের বিরোধীতা করছিলো...কিন্তু যখন প্রাত্যহিক বাজারের পয়সায় টান পড়ে তখন শিল্প বাঁচাইতে যাইবো কোন হালায়!
সিনেপ্লেক্সে ছবি চালাইয়া কি একটা ছবির টাকা উঠে? ইম্পসিবল। সুতরাং নিম্ন মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তগো উপর আমরা যেই রুচীবোধ চাপাইয়া দেই তার মানেই একের পর এক ছবি তৈরী হয়। পেশার প্রয়োজনেই আমার এফডিসি এলাকায় যাইতে হয় মাঝে সাঝে। কারণ দেশের বিজ্ঞাপন তৈরীতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবকাঠামোই এখনো সবচাইতে কার্যকরী। এখনো এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরাই একটা মিজো সিনের কাঠামোগত নিয়মে চলে। যেহেতু কাগজে কলমে শিখনের উপায় নাই তাই নিয়মের আপগ্রেডেশন নাই...কিন্তু ম্যাচকাট কিম্বা ক্লোজ শটের পর যে একই ম্যাগনিফিকেশনের আরেকটা ক্লোজ দিতে হয় এই নিয়মের ব্যত্যয় হইতে দেখা যায় না বাংলা সিনেমায় অথবা ফ্রেমের রাইট সাইড দিয়া ফ্রেম আউট হইলে যে লেফট সাইড দিয়া এন্ট্রি নেওনের যেই ক্লাসিকাল নিয়ম সেইটাও দেখছি অনেক মনযোগ দিয়া সহকারীগো মাথায় রাখতে দেখছি।
যেইখানে আমাগো বিদেশ ফেরতা শিক্ষিত টেলিভিশনের পরিচালকগো অনেকেও কেবল গল্প দিয়া উৎরাইয়া যাওনের পথ খুঁজেন।
সিনেমা নিয়া এখনো কোন ইন্সটিটিউট তৈরী হয় নাই। পয়সা কামানের ধান্দায় কিছু ইউনিভার্সিটি ফিল্মের উপর মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত দিয়া দেয় কিন্তু তাগো পাঠক্রমের বেশিরভাগই শেখানো হয় না বইলা জানি। আমাগো অনেকের পছন্দের জ্ঞানী লোকেরাও এইসব চক্রান্তের লগে যুক্ত হইয়া পড়েন।
এই দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্রের দ্বার উন্মুক্ত হইলে আসলে কিছু ব্যবসায়ি লাভবান হওয়া ছাড়া আর কিছু হইবো না। ট্যাক্স বসাইলে কাস্টমস অফিসারগো পকেট ভারী হয় রাজকোষে জমা কতো পড়ে সেইটাতো আমরা জানি...
আমি জানি অনেক মধ্যবিত্ত দর্শক খুশি হইবো এই সিদ্ধান্তে...কিন্তু একদল নিষ্ঠাবান পেশাদার চলচ্চিত্র কর্মী যে কই যাইবো তার কোন ঠিক নাই। এই সিদ্ধান্তের খবর পড়তে পড়তে সেইসব বাবুল, দুলাল, কামালের চেহারা মানসপটে ভাইসা উঠছে আমার...
এই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অবনয়নের দায় রাষ্ট্র কখনোই এড়াইয়া যাইতে পারবো না।
সেটাই। আমাদের চলচ্চিত্র শুধু একটা ব্যাবসা না। এর সঙ্গে জড়িত আছে অনেক অনেক মানুষের জীবিকা। শুধু ব্যাবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে সরকার এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
একজন দর্শক হিসেবে আমার অবজার্ভেশন হইলো এই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এখনো সেই ৭০-৮০ বা তারো আগের সময়ে আটকায় আছে; আর নূন্যতম চোখে পড়ার মতন আপগ্রেডেশনও হয়নাই; যদি এই চলচ্চিত্র শীল্পের সামগ্রিক অবস্হার কোন উন্নয়নের ব্যাবস্হা না নেয়া হয় তাহলে আসলে আল্টিমেটলী এই শীল্প মুখ থুবড়ে পড়বেই; গত ১০/১২ বছরে আমাদের এলাকা দুইটা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে; এবং যতদূর জানি এরকম অনেক সিনেমা হল ই বন্ধ হয়ে গেছে যাচ্ছে; এসব দিকেও মনে হয় সবার নজর দেয়া উচিৎ
সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার কারণ কী? সেটা আগে ভাবতে হবে। জানতে হবে এর সঙ্গে হিন্দি সিনেমা আমদানীর কী কী সম্পর্ক আছে।
সিনেমা হলে হিন্দি জনপ্রিয় ছবি প্রদর্শন করলে দর্শক বাড়বে, বাণিজ্য বাড়বে। কিন্তু কতটা?
একটা সিনেমা হল বানাতে যে জমি প্রয়োজন, শহরে সেই জমিতে তৈরি করা সম্ভব একটি সুউচ্চ বাণিজ্যিক ভবন। যা অনেক বেশি লাভজনক। সেই বাণিজ্যের সঙ্গে কিন্তু হিন্দি ছবির বাজারও টিকবে না।
সিনেমা হলগুলোর পরিবর্তনের সময় এসেছে। ধীরে ধীরে বর্তমানের হলগুলো সরে গিয়ে সেখানে স্থান পাবে মাল্টিসিনেপ্লেক্স। এটাই নিয়ম। হিন্দি সিনেমা আসুক আর না আসুক, এই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। ঢাকায় মাল্টিসিনেপ্লেক্স হয়েছে, আরো হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যেই প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরেই হবে। তারপর হবে জেলা শহরগুলোতে।
বড় কোনো শপিং মলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে সিনেমা হল বাণিজ্য। জমিতে শুধু একটা সিনেমা হল ধরে রাখলে এখন আর পোষাচ্ছে না।
ভারতীয় সিনেমা বা বাইরের সিনেমা দেশে আসা এমনিতেই আকটায়া আছে নাকি। কথা হইলো হলে হলে আসতে শুরু করলে আমাদের হিন্দু ভাষাটা ভালোই রপ্ত হইবো। এখন যেমন সাহিত্য তৈরি হইতাছে বাংলা আর ইয়রেজি ভাষার মিশেলে, তখন হিন্দিও মিশাইতে হইবো। বাইরের জিনিস আসতে আপত্তি নাই। কিন্তু নিজেদের প্রস্তুতি নিয়া না ভাইবা বাইরের জিনিস আনলে টাকায় যতো লাভ হবে কাজে ততোই লস।
ধন্যবাদ শুভ্র। কোনোভাবেই আমরা এদেশের সিনেমা হলগুলোতে ভারতীয় সিনেমার অনুপ্রবেশ চাই না।
আকটায়া*- আটকায়া
হিন্দু- হিন্দি
কোন অবস্থা, কাল বা কারনেই ভারতীয় মুভিগুলা চাইনা দেশে এন্ট্রি পাক। দেশের সমস্যার অন্ত নাই, সেখানে সরকার দরকার নাই সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে খালি।
আমাদের এই দাবী জোড়ালো হতে হবে। সরকারের কানে তুলতে হবে।
আমি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পক্ষে। এবং সম্ভব হলে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোরভাবে পালনের জন্য আইনকে সুদৃঢ় করা হোক ও প্রয়োগ করা হোক।
===================================
তবে বিশ্বায়নের এই যুগে সংস্কৃতির আদানপ্রদান হবে, ভারতীয় (হিন্দি কিংবা বাঙলা) চলচিত্রের প্রবেশ ঠেকানো যাবে না শতভাগ, কিন্তু তার আগে আমাদের নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করা দরকার।
আমরা নিজেরা কতটুকু গ্রহণযোগ্য চলচিত্র দর্শকদের সামনে তুলে ধরছি তা ভাবনার বিষয়। দেশে ভালো এবং সহজলভ্য বিনোদনের অভাব; ফলে চলচিত্রের মাঝে সাধারণ মানুষ বিনোদন খুঁজে- জৈবিক প্রাণী হিসেবে এটা অনেকক্ষেত্রে যৌনঘেঁষা। ফলে আমরা নিজেরাই কিন্তু নিজের শিল্পবিকাশের জন্য অন্তরায়। যথেষ্ট বিনোদন সৃষ্টি হলে, জনগণকে প্রচারণা ও অন্যান্য পন্থার মাধ্যমে সচেতন করা গেলে, আমি বোধ করি, জনগণ নিজেদের ভালোটুকুর প্রতি সজাগ হয়ে উঠবে ধীরে ধীরে।
এছাড়া আমাদের চলচিত্রের বিভিন্ন দিকের আধুনিকায়ন প্রয়োজন, প্রয়োজন শিক্ষিত ও উদ্ভাবনী লোকদের হস্তক্ষেপ এবং সর্বোপরি সরকারসহ সকলের সদিচ্ছা ও কাজ করা। না হলে যতই আইন হোক না কেন যে লাউ সে কদুই থাকবেই এবং কিছুদিন পর পচনশীল হয়ে পড়বে।
ধন্যবাদ আপনাকে
এই লেখাটি আমি ফেইসবুকে শেয়ার করেছিলাম। সেখানে কিছু মতামত পেয়েছি। এখানে তুলে দিলাম দুটো মন্তব্য...
Haseeb Mahmud লিখেছেন-
প্রথমেই দেখলাম উনি শুরু করছেন ভারতের প্রতি বিদ্বেষ থাকার কারণ নেই এইধরনের একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে । পোস্টের বাকিটা আর পড়ি নাই।
আর Tanvir Hasan Zahid লিখেছেন
@nazu vai.. bepar ta aro moderated vabe kora jaite pare.. like ekta hall a daily 1 ta hindi movie show korte parbe.. oi movie ta anbe oti high rate a..
ete hall a dorshok asle malik der lav hobe.. haller poribesh valo hobe.. poribesh valo hole moddhobitto ra abar hall a jabe.. hindi chob dekte giye bangla chobi o tara dekbe.. matir moina, ... onorjatra.. ei chobi gula valo hall nai bolei oneke dekte jai nai.. sobai to cineplex or modhumitai jaite pare nah.. govt onek controled kore kisu hindi movie ana jete pare exp hisabe..
জাহিদ,
হলের পরিবেশ অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের হলগুলোর পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ভারতীয় ছবি আমদানী করতে হবে, এটা মানতে পারছি না।
হল বাণিজ্য নিয়ে উপরে কাঁকনের মন্তব্য দেখলাম। সেখানে বিস্তারিত বলছি।
আপনার ব্লগের মূল ইস্যুতে ইতিমধ্যে অলৌকিক হাসান, নজরুল ও ভাস্কর ভাই আলাপ করেছেন । আমি ঐ পথে যাব না ।
"পাকিস্তান সরকার ভারতীয় ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো হয়তো কেবল ভারতবিদ্বেষের কারণেই।"
আপনি কি নিশ্চিত ?
"বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষ থাকার কারণ নেই। কিন্তু তবু এই নিষেধাজ্ঞা এতদিন বহাল ছিলো।"
১। বাংলাদেশে ভারতীয় ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার একমাত্র কারন কি তবে "ভারত বিদ্বেষ" ? আসলে কি তাই ?যারা আপনার এই ব্লগেই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন (যেমন নজরুল ভাই) তা' কি স্রেফ ভারত বিদ্বেষের কারনে ?
২। এতদিন ভারত বিদ্বেষ ছিল ( ছিল কি ? ) কিন্তু এখন "ভারত বিদ্বেষ থাকার কারণ নেই" (কেন নেই ? )
৩। ভারত বিদ্বেষ বলতে আপনি কি বুঝাতে চান ?
৪। ভারত বিদ্বেষের পরিবর্তে আমাদের কি করা উচিত "ভারত প্রেমে গদগদ হওয়া " ?
আপাতত এটুকু ।
নুরুজ্জামান মানিক
প্রথমত ধন্যবাদ আপনার প্রতিক্রিয়ার জন্য।
আমি 'হয়তো' লিখেছি, তার প্রতিক্রিয়ায় আপনি জিজ্ঞেস করলেন আমি 'নিশ্চিত' কি না?
নিশ্চিত হলে হয়তো লিখবো কেন?
আশাকরি কোনো লেখায় এরকম প্রতিক্রিয়া জানাবার আগে লেখাটি ভালো করে পড়বেন।
ভারত বিদ্বেষ একমাত্র কারণ তা আমি বলিনি কোথাও। আর নজরুল এবং অন্যরা ভারত বিদ্বেষের কারণে সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন কী না, সেই প্রশ্নের জবাব তারাই দিতে পারবেন।
তবে আমি মনে করি সরকারের এই সিদ্ধান্তর বিরোধীতা করার জন্য ভারত বিদ্বেষী হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকী প্রয়োজন নেই ভারতবন্ধুতারও।
যে কোনো দেশপ্রেমিক বাঙ্গালীই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবেন বলে আস্থা রাখি।
এতদিন আর এখন ভারত বিদ্বেষের প্রশ্নটা আসছে কেন? বাংলাদেশ ভারত বিদ্বেষী বা ভারত-বন্ধু তা তো আমি বলিনি। রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিদ্বেষ বা বন্ধুসুলভ না, কেবলই কূটনৈতিক। [অবশ্য পাকিস্তান প্রশ্নে আমি কূটনীতির ধার ধারি না, বিদ্বেষও না, ঘৃণাই কেবল]
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের একটা সাপে নেউলে সম্পর্ক আছে। আমি বিদ্বেষ বলতে এই সম্পর্কটা বুঝিয়েছি।
আমার পোস্ট পড়ে কোথাও কি আপনার মনে হয়েছে ভারত প্রেমে গদগদ হওয়াটাকে আমি সমর্থন করছি? নাকি আমার পুরনো ধারণাতেই বিশ্বাস স্থাপন করবো যে আপনি পোস্টটা ভালো করে পড়েননি?
ভারত বিদ্বেষের প্রসঙ্গটি মূল আলোচনাকে ব্যহত করতে পারে, তাই মূল পোস্ট থেকে এই সংক্রান্ত বাক্যটি মুছে দিয়েছি। তবে তার মানে এই না যে আমি সেটা লুকাতে চাচ্ছি। আপনার মন্তব্যের ঘরে কোট করা আছে, সেটা ধরেই আলোচনা চলতে পারে। অথবা আলোচনা চলতে পারে নতুন কোনো পোস্টে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকবেন
লোকেন বোস
খোলাসা করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ । এবার সব ফকফকা । তাই এ নিয়ে আর আলোচনার দরকার মনে করছি না বরং মূ্ল বিষয়ে থাকি ।
ধন্যবাদ নুরুজ্জামান মানিক
ধন্যবাদ জনাব নজরুল ইসলাম এবং নুরুজ্জামান মানিক-কে। আরো ধন্যবাদ হাসিব মাহমুদকে।
ভারত বিদ্বেষের ব্যাপারটা আমার মূল আলোচনা না। তাই বাক্যটি মুছে দিলাম। ভারতীয় ছবি আমদানী বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে আগ্রহী।
শুভেচ্ছা
আমি দুটো কারণে হিন্দি ছবির বিরোধী। একটা হলো হিন্দি ছবি আমাদের চলচ্চিত্রের আদর্শ হতে পারে না। সুতরাং এসব ছবি আনলে কি লাভ আমি ঠিক বুঝি না। দ্বিতীয়ত, এই দেশের লোকজন হিন্দী বলা শুরু করুক এইটা চাই না। এমনিতেই সনি ও স্টার প্লাসের জ্বালায় অস্থির।
ধন্যবাদ শওকত
"এমনিতেই সনি ও স্টার প্লাসের জ্বালায় অস্থির।"
হ ।
@ লোকেন বোস
আপনার পোষ্ট আর মন্তব্যে ভারতীয় ছবি আমদানী নিয়ে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তার সাথে সহমত ।
আরেকটা কথা, এবিতে আপনার প্রায় লেখাই আমি পড়ি । ভুল বুইঝেন না । আমার ঐ বিশদ মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল ভারত প্রশ্নে আপনার অবস্থানটা বের করে আনা যেন ভুল বুঝাবুঝি না হয় ( যেমন হাসিব ভাই , ঐ লাইন পড়েই ভুল বুঝেছেন , বাকিটা পড়া দরকার মনে করেন নি ) ।
ধন্যবাদ নুরুজ্জামান মানিক
আপনার পোস্টও পড়তে আমি আগ্রহী। আশা করি অনেক সুচিন্তিত লেখা পড়তে পারবো আপনার লেখনীতে।
ভুল বুঝাবুঝির আশাকরি অবসান হয়েছে। হয়তো আমারই প্রকাশভঙ্গির দূর্বলতা ছিলো। আপনার এবং হাসিব মাহমুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ প্রশ্নে আমি নির্মমভাবে স্বার্থপর। ভারত বা অন্য যে কোনো দেশের সঙ্গেই আমার বিদ্বেষ ভালোবাসা সবই নির্ভর করবে বাংলাদেশের স্বার্থ অনুযায়ী।
"বাংলাদেশ প্রশ্নে আমি নির্মমভাবে স্বার্থপর। ভারত বা অন্য যে কোনো দেশের সঙ্গেই আমার বিদ্বেষ ভালোবাসা সবই নির্ভর করবে বাংলাদেশের স্বার্থ অনুযায়ী।"
খুব ভাল্লাগল । আমিও বাংলাদেশের দালাল ।
আমার ব্লগগুলির লিব্ক দিলাম
সচালায়তন সামু আমু
আপনার পোস্টগুলো সময় নিয়ে পড়বো আশা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
যারা বাংলাদেশের দালাল, তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি, সহযোদ্ধা জ্ঞান করি।
টপিকটা খুব ইন্টারেষ্টিং । ২০০৫ বা ২০০৬ এর দিকে উপমহাদেশীয় চলচিত্র উৎসব জাতীয় কিছু একটা হয়েছিলো ।
সেই সময়ের মধুমিতা সিনেমা হলের দৃশ্য এখনো মনে আছে ।
লোক জনের মাঝে উৎসব উৎসব ভাব। হল মালিকের হাসি দেখে কে । সাত দিন ই হাউস ফুল।
আমার মনে হয় দেশে হিন্দী ছবি এতো প্রসার হৈসে -- যে হিন্দী ছবি আসতে দিলে কোন রকমফের হবে বলে মনে হয় না।
উপকার
১। কম্পুটার ডিভিডি টিভির দর্শকরা হলমুখী হৈবো।
২। সিনেমা শিল্প ওলারা একটা বিশাল চাপের মুখে পড়বো।এতো দিন তারা গায়ে হাওয়া লাগাইয়া বইসা ছিলো। এখন জান বাচান ফরজ বৈলা তারা তারা ঝাপায় পড়বো। ফলস্বরুপ আমরা বিশ্বমানের ছবি পামু।
(হিন্দি ছবির মান অনেক বাড়সে -- যারা হিন্দি ছবিরে গোনাই ধরেন না)
৩।সরকারের কিছু লাভ হৈবো-- হল মালিকদের লাভ হৈবো
৪। সাধারন মানুষ (মধ্যবিত্তরা) পরিবার নিয়া এন্টারটেইনমেন্ট করা একটা যায়গা বাড়বো
অপকার
১। দেশীয় সিনেমা ধ্বংস হৈয়া যাইবো (সম্ভবনা আছে -- আবার উল্টাও হৈতে পারে)
২।দেশী পয়সা বিদেশী পকেটে যাইবো।
৩। দেশের মানুষ হিন্দিভাষী হৈয়া যাইবো (এখনি কি যায় নাই ?!)
৪। পলিটিক্যালি আমরা ভারতঘেসা হৈয়া যাবো। (এটা উপকার লিষ্টেও যাইতে পারে :প )
দেশ বইসা ইন্ডিয়া চাল,ডাল,লবন,পিয়াজ খাইয়া -- রাইতে ইষ্টার প্লাস দেইখা -- ইন্ডিয়া খ্যাতায় মুড়ি দিয়া শুইতে পারলে
সপ্তায় মাসে এক বার একটা সিনেমা দেখলে ক্ষতি কি ! ?
আমার মনে হয় ভারতীয় ছবি আমদানী খুব খারাপ সিদ্ধান্ত হবেনা
ঢাকার মধ্যবিত্তরা হলবিমুখ হয়েছে সেই ৮০ এর দশকের মাঝামাঝি দিকে, মাঝে শাবনাজ নাঈম মৌসুমী সালমান শাহরা কিছুটা টানার প্রচেষ্টা করলেও সেটা সফল হয়ে ওঠেনি। ঢাকা শহরে আসলে এই শ্রেনীটির বিনোদনের তেমন সুযোগ নেই, যেজন্য বানিজ্য মেলা বা কম্পিউটার মেলাতেও আমরা ক্রেতার চেয়ে দশ-বিশগুন ভিজিটর দেখি
আমার মনে হয় হিন্দী ছবি যদি ঢাকার বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেনীকে হলে টানতে পারে, তাহলে দেশী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি দুটো সুফল পাবে:
১) বিশাল সংখ্যক দর্শক হলমুখী হবে, সেটা হলে তারা হিন্দী ছবির পাশাপাশী বাংলা ছবিরও তথ্য পাবে, তথ্য পেলে দেখার মতো ছবি লোকে দেখবেও ... ভালো জিনিস সবাই দেখে (এক্ষেত্রে অনেকেই যেটা বলছেন যে কোটা সিস্টেম করে দেশী ছবিকে একটা এ্যাডভান্টেজ দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে, তবে সেটা বেশী প্রকট হলে মার্কেট এক্সপ্যান্ড করবেনা)
২) হিন্দী ছবির সাথে পাল্লা দিয়ে ভালো মানের দেশী ছবি তৈরী হবে, কারণ এজন্য মূলতঃ দরকার বাজেট, আর মার্কেট যেহেতু বড় হবে তাই বড় বাজেটের বাংলা ছবিও বানানো সম্ভব হবে
খুব রাফ হিসেব, ঢাকার দেড়কোটি মানুষের ৩৩% যদি এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে পড়ে (যারা এখন হলে যাননা বললেই চলে), এবং এরা যদি মাসে জনপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা খরচ করে হলে সিনেমা দেখে, তাহলেও বছরে ২০০ কোটি টাকার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দেয় ... সারা দেশ হিসেব করলে তো আরো বড় হবে
বয়স হয়ে গেছে, পাটিগণিতের হিসাবে ভুল করছি। বছরে ৩০০ কোটি টাকার প্রবৃদ্ধি হবে।
মধুমিতা হল আগামী এক বছরের মধ্যে বন্ধ করে দেবেন এর মালিক । নিয়মিত লোকসানে এই আধুনিক হলটিও বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় দেখছেন না তিনি। আরো প্রায় চারশ সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। চট্রগ্রাম শহরের সিনেমা হলের সংখ্যা কমতে কমতে নাকি এখন মাত্র একটিতে এসে ঠেকেছে।(সূত্রঃ জনকন্ঠ) সিনেমা হলগুলোর অবস্থা এখন খুবই নাজুক। ব্যবসা একেবারেই খারাপ চলছে তাদের। দর্শক কোনভাবেই হলে আসছে না। সিনেমা হলের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো মানবেতর জীবন পার করছে।
পাকিস্তানে এখন মাত্র ১৫০ টির মতো হল এবং সেখানে একে একে সব সিনেমা হল বন্ধ হওয়া রুখতে বাধ্য হয়ে ভারতীয় ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বেশ আগেই। আমাদের দেশে যে হারে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না সেইদিনের জন্য যেদিন বাংলা ছবি দেখানোর জন্য কোন হল থাকবে না । মনে রাখবেন এক স্টার সিনেপ্লেক্স দিয়ে বাংলা ছবি টিকানো যাবে না। সীমিত আকারে হলেও এখনি হিন্দি ছবি চালাতে দেয়া উচিত। হিন্দি ছবি ভাল না খারাপ সেটা পরের কথা । বড় কথা হলো সেগুলো দেখতে চোখে ভাল লাগে এবং বাংলাদেশ সহ ছবিগুলো বিশ্বের অনেক দেশে তুমুল জনপ্রিয়। এমনকি চীনেও এখন চাইনিজ ভাষায় ডাবিং করা ভারতীয় হিন্দি ছবি দেদারসে চলছে। কোন দেশের ছবির হলে প্রদর্শনের সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে নিজের দেশের ছবির মান কখনো উন্নত করা যায় না। এর বড় প্রমান পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ছবির মান। প্রতিযোগিতা না হলে ভাল কিছু পাওয়া যায় না। অসম প্রতিযোগিতার ফলেও সেখান থেকে ভাল কিছু ছবি উঠে আসবে। ভাল ছবি বলতে শুধু কিছু টেলিছবি বুঝায় না । ভাল ছবি বলতে সেই ছবিও বুঝায় যা দেখে একজন উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত একজন দর্শক বলবে ছবিটা ভাল এবং তাদের বিনোদনের খোরাক মেটাতে পেরেছে।
বাংলাদেশ সহ দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ভারতীয় প্রভাব আপনি কোন ভাবেই বন্ধ ক রতে পারবেন না । এটা দিন দিন আরো বাড়বে। এই অঞ্চলে একমাত্র ভারতই বিশ্বে দক্ষিন এশিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ভারতের আশে পাশের ছোট ছোট দেশগুলো অনেক পিছিয়ে । যদিও কিছুদিন আগে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের পরেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও বিনিয়োগের বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দক্ষিন এশিয়ায় দ্বিতীয়। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে । এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের খবর কিন্তু আপনি যদি ( বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান) আমেরিকায় নাগরিকত্ব পান আপনাকে অফিসিয়ালি বলা হবে ইন্ডিয়ান আমেরিকান। ভারতীয় প্রভাব কোন ভাবেই কমানো যাবে না যতদিন নিজ দেশ সবদিক থেকে স্বাবলম্বী না হয়ে উঠে। বড় দেশের মানচিত্রের ভিতরে আরেকটা দেশের মানচিত্র পড়লেতো এই প্রভাব আরো বেশ।
বাই এনি চান্স, আপনার ডাকনাম কি রনি?
জ্বিবা আর আসিফরে জাঝা।
আরণ্যক, জ্বিনের বাদশা, আসিফ, হাসান রায়হান
অনেক ধন্যবাদ আপনাদের
সময়ের ব্যস্ততায় আপনাদের আলোচনায় অংশ নিতে পারছি না এখন। তবে সিনেমা হল ব্যবসা নিয়ে আলাদা একটা পোস্ট দিতে আগ্রহী আমি। সেখানে হয়ত এ নিয়ে আলোচনা করতে পারবো।
সব কিছুর জন্যই যখন দরজা খুলে দেয়া হয়েছে তখন কেনোই বা মুভিকে আটকে রাখা হবে ! বৈষম্য হয়ে যাবে না দাদা !
যারা প্রতিযোগিতা করতে ভয় পায় তারা এ কথাই বলে । আমার তো মনে হয় আরও আগে উপমহাদেশীয় ছবি আনা উচিত ছিল । সেটা করলে বাংলা ছবির মান ঠিক থাকত । খালি মাঠে গোল দিতে দিতে এখন মধ্য মাঠে খেলার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে । কারন তারা জানে হিন্দি হলে চললে ওদের সব নকল ধরা পরে যাবে । যে দেশের মানুষের বেশিরভাগ বিনোদন হিন্দি নির্ভর , সে দেশের সিনেমা হল তো খালি যাবেই । বাংলাদেশের এমন কোনও বিয়েশাদি নেই যেখানে হিন্দি গান বাজেনা । আর বাংলা ছবি...... মানুষ যে কি খারাপ খারাপ কথা বলে সেটা না হয় না ই বললাম । হিন্দি হলে না চললেও মানুষ তো ঘরে বসে ঠিকই দেখছে । সুতরাং হলে চললে দোষ কি । কেবল অপারেটররা লাভবান হলে হল মালিরা কি দোষ করল । "চিনা বামনের পৈতা লাগেনা" বাংলা ছবি ভাল হলে মানুষ অবশ্যই দেখতে যাবে । ভাল ছবি নির্মাণ হয়না তাই মানুষ হলে যায়না । 'মনের মাঝে তুমি' র মত ভাল ছবি নির্মাণ হলে অবশ্যই মানুষ হলে যাবে । আর তার জন্য চাই প্রতিযোগিতা । আর সেটা না হলে দেশ থেকে সিনেমা হল আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে ।
মন্তব্য করুন