ইউজার লগইন

আবু বকরের মৃত্যুর স্ট্যাটিসটিকাল পোস্টমর্টেম

আবু বকরের মৃত্যুর খবরটি আমি দেখি ব্লগে, রাতে খাবার পর ব্লগ খুলে প্রথম পাতার পোস্টগুলোর শিরোনাম দেখছিলাম, সেখানেই এক বা একাধিক পোস্ট ছিলো ঢাবি'র "মেধাবী" ছাত্রের মৃত্যুর খবর নিয়ে। নিজের ক্ষুদ্রতা স্বীকার করেই শিরোনাম দেখে কি মনে হলো সেটা বলি। "ছাত্রলীগের তান্ডব"ই যেহেতু কারণ, তাই ভিকটিমের নামের আগে ঐ শিরোনামগুলোতে যখন "মেধাবী" শব্দটির ব্যবহার দেখলাম, ভেবে ফেললাম যে ছাত্র নিহত হলেই তো "মেধাবী" হয়ে যায় এদেশে, এটাও নিশ্চয়ই তাই হবে। স্বভাবগত স্কেপটিসিজমের কারণেই কৌতুহল হলো, পোস্টের ভেতরে ঢুকে জানা গেলো ইসলামিক ইতিহাস বিভাগের প্রথম বিভাগ দ্বিতীয় বা তৃতীয় রেজাল্টের অধিকারী নিহত আবু বকর। বোঝা গেলো, নাহ, এই ভিকটিম "সত্যিকারের মেধাবী"। মনের পঙ্কিলতাকে আরেকটু স্বীকার করে নিই। প্রথম বিভাগ দ্বিতীয় বা তৃতীয় ছাত্র -- তথ্যটা মাথায় ঢোকার পর নিহত আবু বকরের জন্য বাড়তি কষ্ট অনুভব করলেও একই সাথে এটা মনে করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারিনি যে, 'এমন মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু তো একটা "রাজনৈতিক ইস্যু"তে পরিণত হবে!।'

ব্লগের সবকিছু পড়ে তখন কেন জানি মনে হলো, "আহারে, বাবা-মা কত আশা করে ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠায়!" তখনও জানা যায়নি আবুবকরের পিতা-মাতা হতদরিদ্র, তাও মাথায় ভেসে উঠলো সহজ-সরল এক গ্রাম্য মা-বাবার চেহারা, যারা খুব আশা করে ছেলেকে ঢাকায় পড়তে পাঠিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত শিক্ষাঙ্গনে পাঠিয়েছেন। আমি জ্যোতিষী নই, তাও রাজনৈতিক ইস্যুর প্রভাবে মনের সংকীর্ণতা চাড়া দিলো, ভাবলাম, "এই ছেলে যদি মাঝে মাঝে পেপারে যে দেখি সেরকম হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলে হয়, তাহলেতো বাড়তি সহানুভূতিতে ইস্যুটা আরো জোরেসোরে চাড়া দেবে!" কল্পনাও করিনি যে পরদিন সকালে আসলেই পত্রিকায় দেখতে পাবো যে আবু বকরের বাবা একজন হতদরিদ্র দিনমজুর! তখন অবশ্য আর মনের সংকীর্ণতাকে পাত্তা দেইনি, ভীষন কষ;ট লাগলো, মনে হলো, "আল্লাহ, এই দরিদ্র পরিবারটির বাবা-মা দু'জন হয়তো সারাজীবনের কষ্ট শেষে তোমার প্রতি পরম কৃতজ্ঞতায় মগ্ন থেকে অপেক্ষা করছিলো অভাবের দিন শেষ হবে বলে। এদের সন্তানটিকেই তোমার বেছে নিতে হলো?"
ভাগ্য জিনিসটাকে ভীষন নিষ্ঠুর মনে হলো!

কিছুদিন পর আবারও পত্রিকার শিরোনাম হলো আবু বকর, মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরে যখন মূলতঃ তার কথা কাছের লোকজন ছাড়া বাকী সবার ভুলে টুলে যাবার কথা তখনই। জানা গেলো, আবু বকর ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়েছে, সম্ভবতঃ বেঁচে থাকলে আর কিছুদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সে নিয়োগ পেতো। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিলো, ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস, আল্লাহর কিরকম লীলাখেলা।

মানতে পারলাম না, বারবার মনে হলো এত কাকতালীয় কিভাবে হয় একটা ঘটনা?
একজন প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় ছাত্র কিভাবে মারা যায়? এদের তো সেভাবে "ক্যাডারগিরি"তে জড়িত থাকার কথা না!
তার ওপর, তাকেই কেনো হতে হবে একেবারে হতদরিদ্র দিনমজুরের মেধাবী ছেলে?
তারও ওপর, তাকেই কেনো সবাইকে কাঁদিয়ে মৃত্যুর পরে প্রকাশিত ফলাফলে দ্বিতীয় থেকে প্রথম হতে হবে?
এতসব কাকতাল একসাথে এই আবু বকরের বেলায় এসে জড়ো হয়েছে কেন? এটা কি কোন অভিশাপ? এটা কি শেখ হাসিনার সরকারের উপর কোন অশুভ ইংগিত?

অনেক আবোল তাবোল চিন্তা মাথায় আসতে লাগলো। আবু বকরের মৃত্যু নিয়ে স্ট্যাটিসটিকাল পোস্টমর্টেমের শুরুটাও ঠিক তখন থেকেই। (তেমন আহামরী কোন পোস্টমর্টেম না, সবাই হয়তো এমনিই টের পেয়ে গেছেন।)

পরিসংখ্যান নিয়ে খুব সহজমাত্রার একটা হিসেব করলাম। টপ লেভেলের মেধাবী ছাত্র, হতদরিদ্র বাবা-মা, মৃত্যুর পর আরো ভালো রেজাল্ট -- এই তিনটা কাকতালের সম্ভাবনা যাচাই করলাম।

ক. আবু বকরের মতো রেজাল্ট হবার সম্ভাবনা একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের কতটুকু? ধরি ৫% বা ২০ ভাগের এক ভাগ (১/২০)।

খ. এরকম একজন মেধাবী ছাত্রের একটি হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার সম্ভাবনা কতটুকু? বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের অভিভাবকদেরকে তাঁদের আয়ের হিসেবে দশটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা যায় ধরলাম। তাহলে, এ সম্ভাবনা ১০% বা ১০ ভাগের এক ভাগ (১/১০)।

গ. সেকেন্ড থেকে শেষ পরীক্ষায় ফার্স্ট হবার সম্ভাবনাকে ধরলাম ৫০% বা ২ ভাগের এক ভাগ (১/২)।

তাহলে উপরের (১/২০ * ১/১০ * ১/২) হিসেব করে পাই, নিহত একজন ছাত্রের আবু বকরের মতো এতো কাকতালসমৃদ্ধ হবার সম্ভাবনা ৪০০ ভাগের একভাগ।

এই পরিসংখ্যানের বক্তব্যটি খুব কঠোর!
এ দেশে ৪০০ জন ছাত্র নিহত হলে এর মধ্যে ১ জন আবুবকর থাকা বিচিত্র না

হিসেবটা করার পরই মনে হলো, এ দেশে কি এখনও ৪০০ জন ছাত্র ছাত্ররাজনীতির বলি হয়নি? রগ কাটা, ড্যাগার মার, বোম ফাটানো, আগুন লাগানো, কাটা রাইফেল, চাইনীজ কুড়াল -- এসবের নানাবিধ ব্যবহারে কি এদেশে এখনও ৪০০ ছাত্র মরেনি? মরেছে আরো অনেক বেশী! আবু বকরের মৃত্যুর পরদিনই রাজশাহীতে মারা গেলো ফারুক, জামাত শিবিরের প্রত্যক্ষ আক্রমনে। তার দু'দিন পরে চট্টগ্রামে মারা গেলো আরেকজন, এর মধ্যে আরো হয়তো খুন হয়েছে। ইদানিং তো এসব খবরই পড়িনা, পালিয়ে বেড়াই!

বুঝলাম আবু বকরের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ছিলো, আমরাই দায়ী, এই অবশ্যম্ভাব্যতা আমাদের তৈরী।ছাত্র রাজনীতির নামে অস্ত্রভিত্তিক পান্ডামী আর অসভ্যতামীই এ ধরনের মৃত্যুকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে। আজ হোক কাল হোক, আবু বকরের মতো এরকম হতদরিদ্র পরিবারের একজন মেধাবী ছাত্র নিহত হয়ে বাবা-মা, ভাইবোনকে সারা জীবনের জন্য আর খবর পড়া মানুষকে কিছু সময়ের জন্য কাঁদিয়ে যেতোই।
বোঝা গেলো, বিধাতার কাছে অভিযোগ করে, বা কাকতাল খুঁজে কোন লাভ নেই। আমরা নিজেরাই কাকতাল তৈরী করি!

শেষকথা:
মন্ত্রী-মিনিস্টার-এমপি টাইপের রাজারাজড়ারা আর তাঁহাদের ছেলেমেয়েরা হয়তো সাধারণ প্রজাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননা, বা ঐ এলাকা দিয়ে তেমন চলাফেরা করেননা; তাই হয়তো তেনাদের বেলায় সংখ্যাটা ১/৪০০ এর চেয়ে অনেক কম, ধরেন সেটা ১/৫০০০। তারপরও, তারা যেভাবে ছাত্রদের ব্যবহার করছেন এবং করেই যাবেন এমন ভাবই দেখিয়ে যাচ্ছেন, তাতে জানায়া রাখা প্রয়োজন যে সময় আসলে পরিসংখ্যান কিন্তু কাউকে ছাড়বেনা।

পোস্টটি ৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


শুধু নেতা-নেত্রীদের দোষ আজকাল আর দেই না। আমরা দেশের এতো ছাত্র, অশিক্ষিত তো নই...অন্যের হাতের পুতুল হয়ে তবে কেন নাচি? বকর মারা গেল অন্য কোন ছাত্রদের পুতুল হয়ে নাচার জন্যই তো!

জ্বিনের বাদশা's picture


যারা পুতুল হয়ে নাচে তারা কিন্তু নাচের সম্মানী পায় ...এইটাও খেয়ালের বিষয়

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


এক হিরোশিমা পরিমাণ মানুষ উড়ায় দিতে আরেকটা মানুষই লাগে, বান্দর দিয়া এই কাজ হয় না। এই নাচুনে পুতুলেরাও শিক্ষিত ছাত্ররাই...তারা কেমনে দায় অস্বীকার করে? আর যদি মনে করে কোন দায় নাই, তাহলে আর কি ...স্রষ্টার পানে শেষ বিচারের জন্য মুখ তুলে চাইয়া থাকি। আমাদের ক্লিশে হয়ে যাওয়া নেত্রীদের নিয়া কিছু বলেও লাভ নাই, মরলেও শান্তি দিয়া মরবে না, ছানা-পোনা রাইখা যাবে আরো অশান্তির জন্য।

জ্বিনের বাদশা's picture


হুমম, শিক্ষিত ছাত্ররাই যায় ... তবে তাদের উদ্দেশ্যের সাথে শিক্ষার কতটুকু সম্পর্ক আছে সেটা ভাবার বিষয়

আমরা ঢাকা কলেজে যখন ঢুকলাম, তখন পাড়ার কয়েকজন পরিচিতকে দেখলাম পরদিনই রাজনৈতিক দলে নাম লেখাইলো ... তারপর দেখলাম তাদের ড্যাম কেয়ার কান্ডকারখানা ... কলেজ ছিলো ওদের মামাবাড়ী, ওরা সবকিছু ভোগ করতো ... টিচারদের মিটিংয়ে ঢুকলে টিচাররা ওদের চেয়ার ছেড়ে দিতো ... আবার মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষের তাড়া খেয়ে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়াতেও দেখতাম

তখন ভাবতাম, এরা কি জীবনের রিস্ক আছে সেটা জেনেও এই কাজে জড়ালো কিনা ... একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো, অতসব ভাবলে কিছু করা যাইবোনা

কথা হইলো সিস্টেমটা আছে বলে একটা ছেলে "অতসব" না ভেবে সাময়িক লাভের আশায় জড়িয়ে যে যাচ্ছে সেটার একটা দায় থাকলেও, মূল দায়টা সিস্টেমের

শাওন৩৫০৪'s picture


এইরকম একজন একজন কৈররা পরিসংখ্যান করলেই শুধু মাত্র মাথায় আসে, ব্যাপারটা কিরকম...নাইলে সাধারনত বিষয়টা কত সময় যে সংখ্যা ভিত্তিক হয়, তার হিসাব নাই...৩ জন মারা গেছে, ১৬ জন আহত বা ৬ জন নিহত ইত্যাদি ইত্যাদি...

আপনার  স্টাইলে বিশ্লেষন টা ভালো লাগলো...

জ্বিনের বাদশা's picture


সেইটাই, এই ৩,১৬,৬ টাইপের কত সংখ্যা যে কতবার দেখছি!

সুহান রিজওয়ান's picture


বিশ্লেষণটা ভালো লেগেছে। এভাবে চিন্তা করিনি- অমোঘ ভেবে নিয়েছিলাম, কিন্তু ৪০০ এর অনুপাতে আবু বকর চলে আসবেন, ভাবিনি...

জ্বিনের বাদশা's picture


হুমম আমিও অমোঘ ভেবেছি, সেদিন ছেলেটির রেজাল্টের কহবর বের হবার পর বুঝলাম অমোঘ এত অমোঘ হয়না

নরাধম's picture


আমরা আসলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিলেও বুঝব বলে মনে হয়না। তবে এরকমভাবে ভাবিনি।

১০

জ্বিনের বাদশা's picture


আশপাশের লোকজনের আলোচনায় মনে হয়েছিলো আবুবকরের নিহত হওয়ার ঘটনাটা লোকজনকে একটু নাড়াই দিয়েছে ... আসলে একই সরলরেখায় চলা ঘটনা 

১১

নজরুল ইসলাম's picture


ভালো বলছেন

১২

জ্বিনের বাদশা's picture


ধন্যবাদ নজরুল ভাই

১৩

আখসানুল's picture


আপনার হিসাবে কিছু ভুল আছে। দরিদ্র কিন্তু মেধাবী এই ক্যাটাগরির ছাত্র আরো কম।
খ তে পার্সেন্ট ১০ না ধরে ০.১ পার্সেন্ট ধরা উচিত।
(নিজের dept এর অভিজ্ঞতা বলি, প্রথম দুইজনই নিজের গাড়িতে ইউনিতে আসত)

১৪

জ্বিনের বাদশা's picture


আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক

আমি নিজের মনমতো খুব এ্যাভারেজ একটা সম্ভাবনা ধরে হিসেব করেছি, যেমন ১০ এর ১, ২০ এর ১ ...

আপনার হিসেব এই পোস্টের বক্তব্যকে আরো কঠোর করে তোলে, মানে, আমরা ৪০০ না, বরং আরো বেশী ছাত্রকে ছাত্ররাজনীতির নামে বলি দিয়েছি 

১৫

বোহেমিয়ান's picture


হিসেব টা সরল করে করেছেন যেমনটা আখসানুল ভাই বলেছেন তবু মূল বিষয়টা ধরতে পেরেছি ।

১৬

জ্বিনের বাদশা's picture


ঠিক ধরেছেন, কারণ আসল সম্ভাবনাগুলো সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই

ইন ফ্যাক্ট, হিসেবটা "মনে করি" টাইপের হিসেবে উপস্থাপন করলে পারফেক্ট হইতো ...

১৭

সোহায়লা রিদওয়ান's picture


সেদিন সকালে আটকে ছিলাম ক্লাসে যাবার পথে, রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল......... কেউ একজন মারা গেছে, এটাই শুনছিলাম।
প্রতি রাতে মারামারি হয় , পেটানো হয় ছাত্রদের -এটাতো স্বাভাবিক ঘটনা! কিন্তু কেউ একজন মরে গেছে এসবকিছু চলতে চলতে.........
দীর্ঘ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষের দিকে এসে একটা মৃত্যু আমাকে দেখেই যেতে হলো!

পরিসঙ্খ্যানের ধার ধারে কেউ ভাইয়া ? উহু.........

অন্যভাবে দেখলাম আবার লেখাটা পড়ে।

১৮

জ্বিনের বাদশা's picture


হুমম, পরিসংখ্যানের ধার কেউ ধারেনা ...

তবে নিজের গায়েও এসে পড়তে পারে, তখন ধারতে হবে, চাই বা না চাই

১৯

জ্বিনের বাদশা's picture


হুমম, পরিসংখ্যানের ধার কেউ ধারেনা ...

তবে নিজের গায়েও এসে পড়তে পারে, তখন ধারতে হবে, চাই বা না চাই

২০

মাহবুব সুমন's picture


দূর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য জনক ভাবে এমন কিছু বন্ধু/সহপাঠী পেয়েছি যাদের পিতা বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা যাদের গাড়ীতে একসময় লাল-সবুজ পতাকে উড়েছিলো বা এখন উড়ছে। সেই সব বন্ধুরা সব সময়ই তাদের পিতার রাজনীতির বলয়ের বাহিরে নিরাপদ পরিবেশে পড়াশোনা করে এখন পিতার আসনে বসেছে বা বসার উপক্রম করছে। এরা দুদিন পর এমপি হবেই , মন্ত্রি হলেও অবাক হবো না। এদের পথ পরিস্কার করতে কত মার ছেলে জান দিয়েছে বা দিচ্ছে সেটা জানার প্রয়োজন অবশ্য আমি বোধ করি না। কারন ? এটাই নোংরা নিস্ঠুর স্বাভাবিক বাস্তবতা। নেতাদের ছেলে মারা যায় না। উদাহরন হিসেবে কদিন আগে ঘটে যাওয়া যশোরের ঘটনা আসতে পারে। যে সংসদ সদস্যের দিকে আঙুল উঠেছে তিনি আমারই এক বন্ধুর পিতা। অনেক কিছুই বলা যায়। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করলেও বলতে পারলাম না।

২১

জ্বিনের বাদশা's picture


বলে ফেলেন ... এই জন্যই তো ব্লগ! Wink

২২

তানবীরা's picture


জানায়া রাখা প্রয়োজন যে সময় আসলে পরিসংখ্যান কিন্তু কাউকে ছাড়বেনা।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.