মাসব্যাপী কার্ণিভাল ০২
কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে হাঁটছে যে ছেলেটা, যে ছেলেটার ঠোঁটে হিন্দি গানের সুর, সবারই গন্তব্য একটাই- এই এক মাস শুধুই বইয়ের। দুপুরের ঝকঝকে রোদের লাফিয়ে লাফিয়ে গাছে মগডালে উঠবার তাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছে মানুষ, সবাই বইমেলা যাচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে দোয়েল চত্ত্বর পায়ে হাঁটা মানুষের মিছিলের একটাই গন্তব্য, আলো নিভে যাওয়ার আগেই কোনোভাবে বর্ধমান হাউস পৌঁছাতে হবে। সেখানেই পরিচিতেরা সবাই আসবে একটু পরেই, সন্ধ্যাগুলো পরিচিত মানুষের হাসিঠাট্টায় মুখর হয়ে উঠবে।
বইমেলায় যাদের সাথে দেখা হয়ে যায় তাদের সাথে গত এক বছর দেখা হয় নি, জ্যোতির্ময় বণিক কিংবা তারেকের সাথে দেখা হওয়ার কোনো সুযোগ তৈরি হয় নি, তেমনভাবেই দেখা হয় নি মঞ্জুরুল হকের সাথে। গতকালই জানলাম তিনি একটা সময়ে আমাদের শহরে কাটিয়েছেন, আমার বন্ধুদের কারো কারো বড় ভাই কিংবা চাচা তার বন্ধু, একই উস্তাদের কাছে গান শিখেছি আমরা। শুভ(বৃত্তবন্দী) অতিশৈশবে দিনাজপুরে কাটিয়েছে, অবশ্য তার কোনো স্মৃতি নেই, সেই স্মৃতির পসরা সাজিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ব্যগ্র বইপ্রেমীদের মাঝে এক টুকরো অতীতচারণ হয়ে গেলো, আমাদের মত-পথ-লক্ষ্য- আলাদা হয়তো, কিন্তু কোথাও না কোথাও আমাদের একটা বন্ধুতা রয়ে গেছে, আমরা একই বইমেলায় এসেছি, একই শহরের ধুলো আর ধুঁয়ায় বেড়ে উঠেছি, কিন্তু কি আশ্চর্য আমরা কেউই কাউকে চিনতাম না।
গত বছর বই মেলায় বেশ কয়েকবার বিব্রত হতে হয়েছে, লোকজনের সাথে দেখা হলেই একটা প্রশ্ন, আপনার কোনো বই আসছে এবার? আমি নিরীহ মানুষ, জনগণকে বুঝাতে পারি না ' বই লেখা' টাইপ মাল আমি না। আমার বই লিখবার মতো ধৈর্য্য নেই, সে পরিমাণ মনোযোগ থাকলে হয়তো টুকরো টুকরো ব্লগবাজি না করে গল্প উপন্যাস কবিতা লিখতাম। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকজনকে বলেছিলাম আগামি বই মেলায় কিছু একটা ছাপিয়ে ফেলবো
এ বছরও একই পরিস্থিতি, গতকাল মেলায় লিটলম্যাগ চত্ত্বরে দেখা হলো সুমন রহমানের সাথে, তার একটা বই আসছে মেলায়, তিনিও একই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন- কোনো বই আসছে? আমি বললাম আমি বই লিখা মাল না আমি বই কেনা পাবলিক।
প্রসঙ্গ মেহেরজান:
মেহেরজান অন্তর্জালিক প্রজন্মে আলোড়ণ তুলেছে ভালোমতোই, দেশপ্রেমিক ও দেশদ্রোহীদের কপালে তিলক এঁকে দিচ্ছে একা মেহেরজান। ছবিটা কেমন সেটা নিয়ে আলোচনার চেয়ে পূর্বেই একটা অবস্থান নিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনবগত মানুষেরা হঠাৎই দেশদ্রোহী রাজাকার খেতাব পেয়ে বিব্রত, তেমনই একজন ফাহমিদুল হক, গতকাল বললেন আপনি কোন পক্ষের মানুষ? মেহেরজান নিয়ে আপনার অবস্থান কি?
আমার তাকানো দেখে প্রশ্নটা আরও স্পষ্ট করে বললেন মেহেরজান প্রসঙ্গে আপনার অবস্থান কি? আপনি কি প্রোমেহেরজান নাকি এন্টিমেহেরজান? দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত- একদল মেহেরজানের পক্ষে আর অন্য দল মেহেরজানের বিপক্ষে, পত্রিকায় ছবি দেখলাম চট্টগ্রামে মানববন্ধন করে মেহেরজানের প্রদর্শণী নিষিদ্ধ করবার দাবি জানিয়েছে দেশপ্রেমিক জনগণ, কিন্তু চট্টগ্রামে ছবিটির কোনো প্রদর্শনীই হয় নি। না দেখেই কোনো একটা রায় দিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা স্বয়ং ইশ্বরের নেই, তিনি প্রতিটি মানুষের কান্ধে দুইটা ফেরেশতা ঝুলিয়ে রেখে তাদের দিয়ে হিসাব রাখেন, সর্বজ্ঞ ইশ্বর নিজেও আমলনামা না দেখে কোনো রায় প্রদান করতে চান না কিন্তু অন্তর্জালের বিজ্ঞ মানুষেরা ইশ্বরের তুলনায় অধিকতর পারদর্শী অবস্থান গ্রহন ও অবস্থান নির্ধারণে।
সুমন রহমানের প্রশ্নের উত্তরে বললাম আমি মেহেরজান নিয়ে লিখে গালি খেয়েছি , সুতরাং আমার অবস্থান নিশ্চিত ভাবেই প্রো মেহেরজান। আমার ভক্তকূলেরা আমাকে নিয়ত স্মরণ করে, আমার কথা মনে হলেই গালির ভান্ড উপচে পড়ে তাদের।
সুমন রহমানের বিশাল ভক্তকূল ছড়িয়ে আছে সচলায়তনে, সে কথাই জানান দিলেন সুমন রহমান, বললেন আমি এখনও মেহেরজান নিয়ে কিছু লিখি নি, কিন্তু আমি কোনো একটা কিছু লিখে ফেলতে পারি এমন আশংকা থেকে আমাকে সচলে গালি দিয়ে যাচ্ছে আমার ভক্তরা। আমরা হেসে উড়িয়ে দেই এইসব বাদ-প্রতিবাদ, কিন্তু ফাহমিদুল হক উড়িয়ে দিতে পারেন না। তার ডিসকোর্স, আর প্রিমাইসের ঠাট্টা হজম হয় নি।
হাক্কানি এ বছর স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র এনেছে, যদিও বাংলা একাডেমী এটা প্রকাশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো কিন্তু আইনী লড়াইয়ের রায় গিয়েছে হাক্কানি পাবলিসার্সের পক্ষে, তারা ১৫ খন্ডের বইটির পুনঃপ্রকাশ করেছে, সেটটির দাম ১৫ হাজার টাকা। আলী মাহমেদ( শুভ) আক্ষেপ করে বলেছিলেন বাংলাদেশের সবার ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বড় বড় কথা বলতে সবাই আগ্রহী কিন্তু বাজারে শালার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যেকোনো বইয়ের দাম অন্য সব বইয়ের চেয়ে বেশী, এত দাম দিয়ে বই কিনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চাইবে কে? মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের দাম হবে সবার নাগালের মধ্যে, কিন্তু বাংলাদেশের বইবণিকদের একটামাত্র আগ্রহ- মুক্তিযুদ্ধকে ধনী লোকের বিলাসে পরিণত করা।
নজরুল বলেছিলো মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এই বইটির একটা সংস্করণ প্রকাশ করবে অনলাইনে, তাদের এমন একটা পরিকল্পনা আছে, যদিও কম্পিউটারে বই পড়ে কোনো আনন্দ পাই না কিন্তু ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এই বই কেনার সামর্থ্য আমার হবে না। যখন হবে তখন হয়তো এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ থাকবে না আমার।
বইমেলার হিট চরিত্র শেখ মুজিব, প্রায় ৫০০ বই ছাপা হয়েছে শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে, এসব বইয়ের ক্রেতা কম, মানে পাবলিক পয়সা খরচ করে এইসব কিনে না কিন্তু জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কিংবা সরকার নিয়মিত এইসব বই কিনে গুদামে ফেলে রাখে, বাধ্যতামূলক ভাবেই এইসব বই স্কুল-কলেজ লাইব্রেরীর শোভা হয়ে যায়, প্রকাশক নিশ্চিত হয়েই এইসব প্রকাশিত করে, জোট সরকারের সময়ে যেমন জিয়া-স্বাধীনতা- বেগম জিয়া বিএনপি শিরোণামের বই কিনে পয়সা অপচয় করেছিলো সরকার, ২০০৮ থেকে সে স্থান দখল করেছেন শেখ মুজিব, প্রকাশকদের চাহিদার শীর্ষে মুজিব। ইসলামিক ফাউন্ডেশন নবী রসুল আর ধর্মীয় ব্যক্তিদের জীবনি প্রকাশ করে, তারাও শেখ মুজিবকে নিয়ে বই প্রকাশ করেছে, ছোটোদের শেখ মুজিব, বড়দের শেখ মুজিব, ইউপিএলের প্রকাশিতব্য বইয়ের তালিকায় দেখলাম শেখ মুজিবর রহমানের বইয়ের নাম, অসমাপ্ত আত্মজীবনি লিখে গিয়েছিলেন শেখ মুজিবর রহমান, তার ভাষণ, তার জীবনি আর উক্তিসংকলনের ভীড়েও এখনও শেখ মুজিব কামসূত্র নামের কোনো বই এখনও বাজারে আসে নি, দুষ্ট চরিত্রের ব্যক্তিরা এটা প্রকাশ করবার ঝুঁকি নিতে পারেন।
বই মেলা আসলেই একজন বৌবিষয়ক বই লিখে ফেলেন, গত বছর লিখেছিলেন বউচুরি, এ বছর লিখেছেন বউসুখ- বউসুখ নিশ্চিত ভাবেই মধ্যপদলোপী কর্মধারয়, কিন্তু এটি বিস্তৃত হলে কি হবে সেটা জানতে চাইলে লেখকের সাক্ষাৎকার নিতে হবে। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় অনেকগুলো নাম মনে হয়েছে, বউ চলে যাওয়ায় সুখ, বউ এর দেওয়া সুখ, বউ জিনিষটা সুখ, কিংবা এসব কোনোটাই না। সঠিক বিস্তার জানবার কথা লেখকের, তিনি গত ৪ বছরে বউয়ের কপিরাইট নিয়ে নিয়েছেন, এরপর হয়তো যেকোনো গল্প উপন্যাসে বউ চরিত্র আনতে হলেও তাকে টাকা দিতে হবে।
প্রবাসী লেখক:
লন্ডনপ্রবাসি লেখকদের পারস্পরিক সংঘাতের একটা চমৎকার উপস্থাপন দেখেছিলাম সামহোয়্যার ইন ব্লগে, দুই গ্রুপের লন্ডনী লেখকদের পারস্পরিক সংঘাতে অনেক জানা অজানা সংবাদ এমন কি প্রত্যয়নপত্র ও সুপারিশও চলে এসেছিলো সেখানে, লন্ডন এর বাইরে উত্তর আমেরিকায় অনেক লেখকের বসবাস, বেশ কয়েকজন বাস করেন অস্ট্রেলিয়ায়, একটা সময়ে ইউরোপে প্রভাবশালী লেখকেরা বসবাস করতেন, তাদের জায়গা দখল করেছেন উনমানের লেখকেরা, তাদের কলমের জোর না থাকলেও গলার জোর প্রচন্ড, তারা জানেন কানেকশনের প্রয়োজন আছে, সে কারণেই প্রবাসী লেখকদের জন্য বাংলা একাডেমী স্টল বরাদ্দ দিয়েছে, লেখকদের আড্ডাস্থলের পাশে প্রবাসী লেখকদের বইয়ের দোকান।
হাক্কানীর উল্টোপাশেই প্রবাসী লেখকদের স্টল, সেটায় সেঁজেগুজে বসে থাকেন লেখক লেখিকা, তাদের বইও রাখা ডিসপ্লেতে, কিন্তু আমজনতার লক্ষ্য তাদের চেহারা। সেটার সামনে যেতে যেতে একজন আরেকজনকে বলছে দেখ দেখ এরা সবাই বিদেশী লেখক, সবাই বিদেশ থাকে। প্রবাসি দেখবার আনন্দে কেউ কেউ সেটার সামনে দাঁড়াচ্ছে।
এদিকে ওদিকে ঘুরলে অনেকের সাথে দেখা হয়ে যায়, হাসি ঠাট্টায় সময় কেটে যায় কিরাম কিরাম ভাবে। অনেককে প্রত্যাশা করি দেখা হয় না, মনে হয় হয়তো হঠাৎ করেই তাদের দেখা পাওয়া যাবে, যেমন হঠাৎ করেই লিটলম্যাগ চত্ত্বরে দেখা হয়ে গেলো টুটুলের সাথে, আমরা বন্ধু ব্লগের অনেকেই এসেছিলো বইমেলায়, লিটলম্যাগ চত্ত্বরে তখন কোনো এক কবির বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে, পরিচিতদের ভেতরে দেখলাম মুজিব মেহেদিকে, আর দেখলাম টোকন ঠাকুরকে, এদের আশেপাশে হয়তো অনেকেই ছিলো, আমি যাদের চিনি না কিন্তু তাদের বাগাড়ম্বর শুনে বুঝি এদের পাঠ না করে ভবিষ্যত প্রজন্ম যে ভুল করছে সেই ভুলেই আসলে পৃথিবীতে কেয়ামত নেমে আসবে।
টুটুলের সাথে গিয়ে দেখলাম আমরা বন্ধুর বেশ কয়েকজন, মুরাদ( বিষাক্ত মানুষ) লীনা, জয়িতা, শাওন, রায়হান ভাই এসেছেন মেলায়। তারা রেজওয়ানা চৌধুরীর গান শুনছিলেন কিংবা আড্ডা দিচ্ছিলেন নিজেদের ভেতরেই। আমার পরিচিত একজন আসবার কথা ছিলো, বেশ লম্বা জ্যাম পেরিয়ে আসবার পরও তার সাথে যখন দেখা হলো বললো ভাই আপনার তো দেখি মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না, আপনারা সবাই বসে ছিলেন স্টেজের সামনে চেয়ারে গোল হয়ে, গোল মিটিং করতেছিলেন, আমি সামনে দিয়ে গেলাম, ডাকলাম কোনো পাত্তাই দিলেন না। শুধু মেয়ের দিকে তাকায় থাকেন, আপনেরে নিয়ে তো আর পারা যাবে না।
সেই আড্ডা শেষে যখন সবাই চলে গেলো তখন আবার ভেতরে ঢুকে বই কিনলাম। এ বছর কি কি বই বের হবে আমি জানি না, কিন্তু আমি যেসব বইয়ের তালিকা ঠিক করেছি সেসব বই প্রকাশিত হয়েছে আগেই, সেসব বই এখন খুঁজে পাওয়া যাবে এমনটাও মনে হয় না,
কে এ কামালের শেখ মুজিবর রহমান এন্ড বার্থ ওফ বাংলাদেশ, এ আর মল্লিকের বই খুঁজছি, সেসব বই পাওয়া কঠিন। মূলত খুঁজছি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের সমসাময়িক প্রকাশনীগুলো থেকে প্রকাশিত বই, সে সময়ে বই প্রকাশ করতো যেসব প্রকাশনী সেসব বই খুঁজে পাওয়া যাবে এমনটা মনে হয় না, অন্য সবার ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে ঢুঁ মারতে হবে।
পরিচিত মানুষদের সাথে আড্ডা দিতে দিতেই মেলার সময় শেষ, মেলার বাইরে দাঁড়িয়ে চা সিগারেট আর সৈজন্যতা শেষে বাসা ফিরবার সময় বুঝলাম গত এক বছরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফ্রীতির পরিমাণ ছিলো ২০%।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনীতিবিদেরা বলতে পারবেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফ্রীতির হিসেব কষে তারা বলে দিতে পারেন কিন্তু বইমেলার ব্যারিকেড পেরুলেই নিশ্চিত বুঝা যায় গত ১ বছরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফ্রীতি ছিলো ২০%, গত বছরের ৫০ টাকার বই এ বছর বিক্রী হচ্ছে ৬০ টাকায়, দোকানি হাঁকছেন যা নিবেন সবই ৬০ টাকা। বইমেলা চত্ত্বরের বাইরের এই পাইরেটেড বই মেলাই বই মেলার আসন আকর্ষণ, এখানে তসলিমা নাসরিনের পাশেই এলিয়ে পড়ে থাকে এছলামবাদীর বই, সাহীহ হাদিসের বইয়ের পাশে হানা দেয় কামসূত্র, সচিত্র ১০০ আসনে উপভোগ্য জীবনের পাশে আখেরাতের নিশ্চিত বেহেশত বাসের সংবাদ এখানে একই দামে বিক্রী হয়। কিন্তু টাকার মুল্য কমেছে, কমেছে ক্রয়ক্ষমতা।
মেলাভাঙা মানুষদের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শাহবাগ, পরীবাগের সামনে প্রচন্ড জ্যাম, আমার অতীত অভিজ্ঞতা বলে ঢাকা শহরের এখান থেকে ওখানে বাসে যেতে যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময়ে হেঁটে গন্তব্যে চলে যাওয়া যায়। কিন্তু এরপরও মানুষ হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে বাসে উঠে বসে, আমিও বাংলা মোটরের সামনে গিয়ে বাসে উঠলাম, উঠে বসে থাকলাম অনেক ক্ষণ, অবশেষে ফার্মগেটে পৌঁছালাম যখন, বাসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম মামা ভাড়া কত লাগবে?
ভাড়া দেওয়া লাগবে না যান, এই বাসে শুধু মীরপুরের যাত্রিদের ভাড়া নেওয়া হয়। শেষ বার বিনা টিকেটে ট্রেনে চড়ে গিয়েছিলাম মন্মথপুর, কিন্তু সজ্ঞানে কোনো যানবাহনেই ভাড়া না দিয়ে উঠি নি। সবাই নিয়ম মেনেই ভাড়া নিয়েছে, কিন্তু এই কন্ডাক্টর ভাড়া নিলো না। এমন ঔদার্য্য দেখালো কেনো এটাও বুঝি নি এখনও। আমার সাথে নেমে যাওয়া কোনো যাত্রীর কাছেই ভাড়া নেয় নি সে।
কার্ণিভাল চলুক।
আপনি আসার আগে আমরা গান শুনছিলাম মুগ্ধ হয়ে।
আমি কখনও বাসে ভাড়া না নিতে দেখিনি। আপনার তো দেখি আজ ভালো দিন গেলো।
লেখা পছন্দ হইসে। আপনার কৌতুকবোধ বেশ ভালো।
পোষ্ট লাইক করলাম। দারুন উপভোগ করেছি আজকের বইমেলা। আজকের পোষ্ট না পড়লে শিওর মিস ছিল।
একেবারে রমরমা কার্নিভালের ঝকঝকে বয়ান!
কঠিন অবস্থা !!
লেখা পড়ে কার্ণিভালে ঘোরার মতোই অনুভূতি হলো একটা।
আরো কয়েকবার যান বইমেলায়- আরো কিছু ব্লগ লিখুন - আমরা দুধের স্বাধ ঘোলে মিটাই।
রাসেলের রসবোধ এবং তা পরিবেশন অনন্য । মাসব্যাপী মেলার খবর এমন রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করলে মেলায় না যেয়েও মেলার স্বাদ উপভোগ করা যাবে ।
কোন এ আর মল্লিক? চবি'র ভিসি ছিলেন তিনি? যদি তিনি হন আমি খোঁজ দিতে পারি
প্রতিদিন একটি করে কিস্তি যদি আসে তাইলে আপ্নে ধইন্যা পাবেন নাইলে নো ধইন্যা। জনতার দাবী বিবেচনায় রাইখেন।
মাসব্যাপী কার্ণিভাল এর মাসব্যাপী পোস্ট চলতে থাকুক ।
দীর্ঘ লেখা , অথচ পইড়া কি আরাম !
এই সিরিজ নিয়মিত চলুক। দারুণ! দারুণ!
বউরঙ্গ নামে একটা বই কোনো এক বছর আমিই বের করুম
কোন বছরে?
দারুণ পর্যবেক্ষণ। মুজিব-জিয়ার সহাবস্থান দেখা যায় না?
সুপার্ব লেখা।
দারুণ !
মন্তব্য করুন