আমাদের ঐতিহ্যময় শিক্ষাব্যবস্থা
অ্যান জেরাল্ডাইন স্টক ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে যোগ দেন। তিনি যে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন সে সময়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভবিষ্যত দার্শণিক সংকটগুলোর চারা জন্মাচ্ছে আমলাতন্ত্রে, সেই চারা পরবর্তীতে শেকড়ে বাকলে বেড়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভাবনার সাথে এতটাই সাংঘর্ষিক হয়ে যায় পরিণতিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র মৃত্যুবরণ করে। এ জি স্টকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সময়কালীন স্মৃতিকথা মুলত গোরখননের দিনলিপি। মোবাশ্বেরা খানমের অনুবাদ যথার্থই অনুবাদ কখনও তিনি পাঠককে এ সত্য বিস্মৃত হতে দেন না। মূলানুগ আক্ষরিক অনুবাদ সম্ভবত তার প্রাক্তন শিক্ষিকার প্রতি তার নৈবদ্য কিন্তু তার শিক্ষিকার রচনায় যেটুকু কাব্যময়তা ছিলো তা সুনিপূন হাতে হত্যা করে তিনি সবটুকুই গদ্যায়িত করতে পেরেছেন। ফলে বর্ণনায় এক ধরণের আখের ছোবরা চোষার অনুভুতি পাওয়া যায়। তবে একজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, একজন পাঠ্যক্রম নির্দেশনার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এবং একই সাথে তার অতীত কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার নির্যাস থেকে তিনি বাংলাদেশ কিংবা সার্বজনিন শিক্ষাক্রম, শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষা বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটার খোঁচা অস্বীকার করতে পারলাম না। বরং মনে হলো এই সময়ে যা ভাবছি বাংলাদেশের শিক্ষা নীতি, পাঠক্রম এবং আমাদের শিক্ষাদান পদ্ধতির অনিবার্য ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বেশ দক্ষভাষায় সবটুকুই তুলে আনতে পেরেছেন। মাঝে প্রায় ৬৪ বছর চলে গেছে, আধুনিক বাংলাদেশে শিক্ষানীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্যে ইনস্টিটিউট ওফ এডুকেশন্যাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬টি ব্যাচ বের হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের শিক্ষা বিষয়ক ভাবনা কিংবা সেসবের প্রায়োগিক দিকটা এখনও সেই ৬৪ বছর আগের অবস্থানেই স্থির।
" তাত্ত্বিক দিক বিচার করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ হচ্ছে শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাদানের দিকগুলোর উন্নতি সাধন করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশীর ভাগ সময় ও কাজকর্ম পরিচালিত হয় পরীক্ষাগুলোকে সর্বাঙ্গীণ সুষ্ঠুভাবে গ্রহন করার লক্ষ্যে।"
পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা দুরহ ভার বহন করতে হয়েছে, একটা আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় মুছে তাকে একটা প্রাদেশিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাণ নির্ধারক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে হয়েছে। নতুন রাষ্ট্রের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ, পূর্ব পাকিস্তানের সকল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা, পরীক্ষা পরিচালনা , প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজগুলো এবং সেসব মূল্যয়নের মাণ নির্ধারণের দায়িত্ব গ্রহন করতে হয়েছে তাকে। রাতারাতি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী বাড়ানো সম্ভব হয় নি, আঞ্চলিক রাজনৈতিক বিক্ষোভ, রাজনৈতিক আন্দোলনে সচেতন ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহন, সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের অব্যবস্থা দেশের সার্বিক শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষাদান পদ্ধতিকেই ত্রুটিপূর্ণ করে ফেলেছিলো।
ঔপনিবেশিকতা বিরোধী আন্দোলন আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক কর্মী ও সচেতন বিক্ষুব্ধ জনতাকে যতটা স্বদেশমুখী করেছিলো শিক্ষাবিদদের ততটা সচেতন করে তুলতে পারে নি। ঔপনিবেশিক পরিস্থিতিতে শিক্ষিত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষিত হয়েছিলেন কিন্তু দেশের শিক্ষার মাণ নিজের কাঁধে নিয়ে স্বাধীন স্বজাত্যবোধে উদ্দীপ্ত শিক্ষানীতি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজটা সুসম্পূর্ণ করতে পারেন নি। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার বোধ থেকে ইংরেজী শিক্ষিত দক্ষ শিক্ষকেরা মূলত স্বদেশী আন্দোলনের শুরুর সময় থেকেই ব্রিটেনে চলে যেতে শুরু করেন। ফলে উপমহাদেশে ইংরেজী ভাষার প্রতি এক ধরণের ঔপনিবেশিক পক্ষপাত কিংবা মোহ থাকলেও ইংরেজী ভাষা শিক্ষার বুনিয়াদটা দুর্বলতর হয়েছে। ইংরেজরা যে শিক্ষানীতি তৈরি করেছিলো সেখানে ধরে নেওয়া হয়েছিলো এইসব শিক্ষিত ব্যক্তিরা এক দিন প্রশাসনকে সহায়তা করবে, তারা হাই স্কুলে ইংরেজী ভাষা রপ্ত করবে, ম্যাট্রিক পরীক্ষার সময়ে এ ভাষায় বলতে লিখতে ও ভাবতে শিখবে।
শিক্ষা বিস্তানের গণতান্ত্রিক চাপের ফলে দেশে হাইস্কুলের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু ইংরেজদের অনুপস্থিতিতে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী তৈরি হয় নি, ফলে হাইস্কুলে যে মাণের ইংরেজী দক্ষতা কল্পনা করা হয় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সে মাণের ইংরেজী রপ্ত করতে পারে না। পিঁপড়েকে দিয়ে হাতির ভার বহনের মতো এইসব অপ্রস্তুত শিক্ষার্থী ইংরেজী ক্লাশের বাইরে যাদের ব্যবহারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে ইংরেজীর চর্চা করতে হয় না তাদের দিয়ে রচনা সারাংশ ভাবসম্প্রসারণ লিখিয়ে নিয়ে সেটাতে স্বকীয়তা আশা করা নিতান্তই বোকামি কিন্তু আমাদের শিক্ষানীতিতে অনবরত সে উদ্যোগটাই নেওয়া হয়েছে।
ইংরেজী প্রথম পত্র দ্বিতীয় পত্রের প্রতি এক ধরণের ভীতিপ্রদ বিদ্বেষ শিক্ষার্থীদের আছে এবং আমার ধারণা সেটা আমার ভেতরে প্রবল পরিমাণে বিদ্যমান। একই সাথে ফটাফট ইংরেজী বলতে পারা মানুষদের প্রতি এক ধরণের অশিক্ষিত শ্রদ্ধাবোধও আমাদের ভেতরে বিদ্যমান, সেটা আমাদের হীনমন্যতার প্রকাশ হলেও এটাই বাস্তবতা যে ইংরেজী ভাষার এক ধরণের ব্যবসায়িক ব্যবহারিক গুরুত্ব আমরা গত ৪০ বছরে তৈরি করেছি।
অবশ্য সকল সমস্যার এক ধরণের চটজলদি সমাধান খুঁজে পেতে আমরা সিদ্ধহস্ত, আমাদের অলস অযোগ্য শিক্ষকেরা আমাদের কখনও সাহিত্যের রসটুকু আস্বাদন করতে অনুপ্রাণীত করেন নি, আমরা মূলত উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজনে ইংরেজী প্রথম পত্র দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র উত্তর দিয়েছি, সহায়িকা কিংবা নোট বইয়ে লেখা উত্তর খুঁজে খুঁজে, আমাদের প্রশ্নকর্তারাও সেইসব নোটবই দেখেই প্রশ্ন করেছেন এবং সে প্রথটা এখনও অনুসৃত হচ্ছে।
প্রাণবিহীন দায়সারা পড়ানোর কাজটাকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে কোচিংসেন্টার, পপি গাইড, পাঞ্জেরী গাইড অ আ ক খ কোচিং সেন্টার আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিকতা যতটা সম্ভব ধ্বংস করেই ফেলেছে।
তবে ১৯৪৮ এ এ জি স্টক যা বলেছেন সেটা অদ্ভুত নিষ্ঠুর সত্য
"
১৯৪৮ সালের আগস্টের শেষ নাগাদ আমার জন্ডিসআক্রান্ত কল্পনায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাটি প্রকট এবং বিশাল বাস্তব রঙের এক তামাশায় পরিণত হলো যা কি না মানবসমাজ নিজেই নিজেকে নিয়ে করছে। ফলত আমরা এই প্রজন্মের প্রায় দশ হাজার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মেধাবী ছেলে মেয়ের পরীক্ষা নিতে যাচ্ছি। দুবছরের নিবিড় প্রশিক্ষণে তারা শিখেছে নিজেদের সত্যিকারের ভাবনাচিন্তাগুলো প্রকাশ না করে বরং তাদের চেয়ে ক্ষমতাশীল কেউ টাদেরকে যা ভাবতে বা বলতে শেখায় এমন কিছু প্রকাশ করতে। অসংখ্য কাগজের পাতা ভরানোর চিন্তায় আমরা তাদেরকে প্রায় স্নায়বিক উন্মত্ততায় পৌছে দেই- আরও অর্থহীন যা-কিছু ওরা লিখবে সেগুলোকে মূল্যায়ন করার জন্য তাদের জনা তিরিশেক বয়োজ্যেষ্ঠ, আবার উন্মাদ হয়ে উঠবেন, যাতে সমস্ত অর্থহীনতার মাঝেও একটি অর্থের মানদন্ড খুঁজে বের করে আনা যায়। তামাশার চরমটা এই যে, এটা হচ্ছে দায়িত্বশীল বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রশাসনিক পদে নিয়োগের একটি প্রাথমিক পর্যায়। কারণ যারা টিকে থাকবে এই পরীক্ষায় তারা কিছুদিন পরপর এমন পরীক্ষা দিতেই থাকবে এবং চুড়ান্ত পর্বে যা পৌঁছাবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সর্বোচ্চ স্তরে।
মুক্ত চিন্তার ও মুক্ত ভাষণের ভেতরে যে বিপদের বীজ লুকানো আছে তাতে আঘাত করার জন্য হয়তো আধুনিক গণতন্ত্র এর চাইতে ভালো কোনো রক্ষাকবচ খুঁজে পায় নি; কারণ, প্রচণ্ড অসাধারণ কোন মেধা না হলে দশ বছর কিংবা তারও বেশী সময় ধরে এমন একটি পদ্ধতির ভেতরে থেকেও প্রথাগত চিন্তাভাবনার বাইরে ভাবার মতো ক্ষমতা অবশিষ্ঠ রাখা অসম্ভব। "
মেধাহীনতা, স্তাবকতা, নির্লজ দলবাজি কিংবা অপরাপর হীনমন্যতা ও অদক্ষতাজনিত অপরাধগুলোর শেকড় এই অবাস্তব শিক্ষা ব্যবস্থা। এর ভেতর থেকে এখনও আলাদা ভাববার মানুষ তৈরি হচ্ছে কারণ মানুষের ভেতরের সৃজনশীলতাকে সব নির্যাতন নিপিড়ন হত্যা করতে পারে না। তবে গতানুগতিক যা তৈরি হচ্ছে সেটা আমাদের বাৎসরিক প্রকাশিত বইয়ের তালিকা দেখলেই বুঝা যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্র নিজের আলাদা নৃতাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্মাণের লক্ষ্যে পাকিস্তান আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছিলো, এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামী ঐতিহ্যের শেকড় খোঁজার তীব্র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। সে সময়ে বাংলাদেশে সুলতানি আমল, ধর্ম বিষয়ক গবেষণা হয়েছে, একই সাথে পাকিস্তান রাষ্ট্রের দর্শণের সাথে সাংঘর্ষিক সনাতনী বিধর্মী ঐতিহ্যগুলোকে অস্বীকার করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের রচনার গুঢ় বার্তা উদঘাটনের বদলে আলোচনার মাইক্রোস্কোপ ঘুরেছে মুলত রবীন্দ্রনাথের ধর্মপরিচয়ে। যদিও এইসব আলোচকদের অনেকেরই ধারণা ছিলো না রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিগত জীবনে ব্রাহ্ম ছিলেন যা হিন্দু ধর্মের সাথে খ্রীষ্টান ও অন্যান্য একেশ্বরবাদী ধর্মের মিলিত নির্যাস। রবীন্দ্রনাথকে তাই এদের আলোচনায় তার হাঁটুর বয়েসী স্নেহধন্য নজরূলের সাথে অশ্লীল কুটলড়াইয়ে নিয়োজিত দেখা যায় যে নজরুলের সাহিত্যক্ষমতায় ইর্ষান্বিত।
একই সাথে এই অশালীন উদ্যোগ আমাদের অমুসলমানদের অশ্রদ্ধা কিংবা ঘৃনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভুতটা আমাদের ঘাড়ে এখনও সওয়ার আর সেই ভুতটাই আমাদের ঘাড়ে করে পাকিস্তানের শিক্ষানীতির জোয়াল টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে। আমরা বাংলার ঐতিহ্য খুঁজে পাই নি, আমাদের ইতিহাস বিভাগে সত্যিকারের গবেষণা হচ্ছে না।
আমি নিশ্চিত ভারত তার কুটনৈতিক গোপন নথিপত্র উন্মুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটার কোনো সুযোগ বাংলাদেশের শিক্ষাবিদেরা নিবেন না। বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে কাজগুলো করবে বোম্বে, দিল্লী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং গবেষক ছাত্র-ছাত্রীরা, তাদের জবানে আমরা জানবো আমাদের বিভিন্ন কুতুবদের ভারত কিভাবে মূল্যায়ন করেছে। গবেষকদের কোনো না কোন একটি কাঠামোতে নিজেদের গবেষণার ফলাফল লিখতে হয়, ফলে তারা ১৯৬২ থেকে ১৯৭২ এর ইতিহাস ঘেঁটে হয়তো আমাদের সম্মানিত রাজনৈতিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিষয়ে তাদের আধুনিক মন্তব্য প্রকাশ করবে, সেটা সব সময়ই যে মর্যাদাপূর্ণ হবে এমনও না। এইসব রাজনৈতিকদের ব্যক্তিগত দীনতা-হীনতা হীনমন্যতার সংবাদও সেখানে থাকবে। আমরা শাহবাগে ভারতীয় গবেষক কতৃক বাংলাদেশের জাতীয় ব্যক্তিত্ব অবমাননার প্রতিবাদ জানাবো, অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক নিজ দায়িত্বে সেসব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না। অবশ্য পরবর্তীতে সেইসব গবেষকদের বই চোথা মেরে আরও একদল ইতিহাসবিদের জন্ম হবে।
আমাদের সামনে এমন অসংখ্য উদাহরণ ছড়িয়ে আছে, ঐতিহাসিকদের ক্ষমার অযোগ্য উদাসীনতার একটা চলমান নিদর্শণ আমাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের এজলাস। সেটা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে চাইছি না।
চমতকার লিখেছেন।
শিক্ষায় রাজনীতি থাকবে-তবে মাত্রা নির্ধারন করবেন যাঁরা দেশ চালাবেন তাঁরাই। আমাদের কি কিছু বলার আছে?
নতুন অনেক কিছু জানলাম!
নিজ দেশের ইতিহাসবিদরা লিখছেনতো বেগম জিয়ার কাহিনী, গোলাম আজম কাহিনী ইত্যাদি
মন্তব্য করুন