বিশ্বজিতের লাশ মরেও রেহাই পাচ্ছে না।
বিশ্বজিতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের উপরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক সমকাল, দৈনিক ইত্তেফাক এবং অন্যান্য কোনো পত্রিকাও হয়তো এই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে।
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদনের শিরোণাম ছিলো " চাপাতির কোপ খুঁজে পায়নি ফরেনসিক বিভাগ"
দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনের শিরোণাম "ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মাত্র দুটি আঘাতের চিহ্ন!:
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনের শিরোণাম " বিশ্বজিতের শরীরে কোপের চিহ্ন নেই!
ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন "
দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিবেদনের শিরোণাম " বিএনপিকর্মী ভেবে ভুলবশত বিশ্বজিৎকে হত্যা"
কি লেখা ছিলো এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে? সংবাদ পত্রের রিপোর্ট অনুসারে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
" পিঠের ডান পাশে তিন ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও দেড় ইঞ্চি গভীরতার একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম পা থেঁতলানো ছিল। মৃত্যুর কারণ-অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ "
সমকালের প্রতিবেদন অনুসারে এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আর কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই।
সমকালের গোছানো প্রতিবেদন অনুসারে
মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বজিতের শরীরে অন্তত ২০টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। রক্তাক্ত ক্ষতস্থানসহ প্রচুর ফোলা ও জখমের দাগও ছিল লাশের দেহে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের কাজে নিয়োজিত মর্গের কর্মীরা (ডোম) বিশ্বজিতের শরীরে একাধিক অস্ত্রের পৃথক আঘাত শনাক্ত করেছিলেন; কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।
অবশ্য ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও সহকারীগণ বলেছেন "ভিডিও ফুটেজ বা পত্রিকার ছবি দেখে তারা ময়নাতদন্ত করেননি। মৃতদেহে যা পাওয়া গেছে, তা-ই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।"
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ডা. মাকসুদুর রহমান। প্রতিবেদন নম্বর-৪৬৭/১২। তৈরির তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।
ডা. মাকসুদুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, মূলত একটি আঘাতের চিহ্নই মৃতদেহে পাওয়া গেছে। তা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়।
অন্যান্য প্রতিটি প্রতিবেদনেই কমবেশী এসব তথ্যই দেওয়া হয়েছে। ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে অন্য একটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা অন্য কোনো পত্রিকার প্রতিবেদনে আসে নি।
ডা. মাকসুদুর রহমান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা। এর আগে একটি ধর্ষণের ঘটনায় তিনি মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা উৎকাচ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে গোয়েন্দাদের কাছে।
ইত্তেফাকের প্রতিবেদনের একটা অংশে উল্লেখ করা হয়েছে
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে গতকাল রাত ৯টায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডা. মাকসুদ বিশ্বজিতের শরীরে একটি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা তাকে জানিয়েছেন। ঐ আঘাতটি গুরুতর ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি আঘাতই মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। বিশ্বজিতের দেহে আর কোন আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা তিনি আমাকে জানাননি।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আর আলোচনা নয়, বরং হঠাৎ করেই দেখলাম জনাব মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতা করা হচ্ছে এমন একটা অভিযোগ উত্থাপন করেছে জনৈক ওমর ফারুক মিঠুন, তার ভাষ্যানুসারে
বিশ্বজিতের মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করেন আমাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদ স্যার ।তিনি আজ চতুর্থ বর্ষের ক্লাসে পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা দেখিয়েছেন,তাতে লেখা আছে,বুকের বাম পাশে ৩ সেন্টিমিটার গভীরতার একটা ইনজুরি আছে,এই ইনজুরিতে axillary artery ছিঁড়ে যায়,ফলে প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং circulatory failure হয়ে মারা যায় বিশ্বজিত,এছাড়া আর ২ জায়গাতে আঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন,রিপোর্টে তিনি স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছেন এটা HOMICIDE মানে হত্যাকান্ড,এমনকি রিপোর্টে বিশ্বজিতের বাবা,মা,ভাইয়ের স্বাক্ষর দেওয়া আছে ।
অবশ্য দুটো বিষয়ে খটকা রয়েই গেলো, কেনো ডা মাকসুদুর রহমান একটা লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তার ছাত্রদের দেখাবেন? দ্বিতীয় খটকা হলো বিশ্বজিতের বাবা মা ভাইয়ের সাক্ষর আসলে কি প্রমাণ করে? তারা মাকসুদুর রহমানের প্রতিবেদনের সাথে একমত?
এবং জনাব ওমর ফারুকের তথ্যানুসারে কেউ না কি মাকসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে নি? প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে শুধু সাংবাদিকরাই না বরং গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারাও বিস্মিত হয়ে ময়নাতদন্তকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তারা অবশ্য সেই " তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না" পাঞ্চ লাইন ব্যবহার করেছেন কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ যেটাকে তদন্তের স্বার্থে আড়াল করতে চেয়েছেন সেটা মাকসুদুর রহমান বেশ আয়োজন করে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে দেখিয়েছেন।
টিভিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা গেছে , যারা মূলত হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছেন তারা জবানবন্দিতে বলেছে
" অবরোধকারীদের কঠোর হাতে দমনের নির্দেশ ছিল ছাত্রলীগ নেতাদের। সে অনুযায়ী বিশ্বজিৎকে বিএনপির কর্মী ভেবে তারা হামলা চালায়। "
" সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রত্যাশী হয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচী প্রতিরোধ করে দলের মধ্যে অবস্থান শক্ত করতে গিয়ে ভুলবশত এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়ে গেছে। "
সুত্রাপুর থানার বিশ্বজিত্ হত্যা মামলার বাদি এসআই জালাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বজিতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ও ফোলাসহ অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিশ্বজিতের সুরতহাল রিপোর্টে তা উল্লেখ করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী এসআই জাহিদুল হক বলেন, লাশ যেমন দেখেছি, তেমনি রিপোর্টে তা উল্লেখ করেছি। বিশ্বজিতের মাথা, হাত, পা ও পিঠসহ সারা শরীর কাটা জখমের ও ফোলা দাগ ছিল অসংখ্য। সারা শরীর ছিল রক্তাক্ত।
তবে মাকসুদুর রহমান সেটা দেখতে পান নি।
তাহলে বিশ্বিজিত কিভাবে মৃত্যুবরণ করলেন? অনেকগুলো সম্ভবনা থাকতে পারে
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বজিতের হৃদপিন্ডে রক্ত ছিলো না। এমনও হতে পারে বিশ্বজিতের হার্টে রক্ত ছিলো না বলে বিশ্বজিতের হার্ট বিশ্বজিতকে এটাক করে মেরে ফেলেছে।
হতে পারে সম্পূর্ণ ঘটনাটাই একটা সাজানো নাটক। নিজেদের চ্যানেলের কাটতি বাড়াতে সকল টিভি চ্যানেল ফটোসাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নাটকটার স্ক্রীপ্ট তৈরি হয় এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরি করতে সম্পূর্ণ নাটকটা তৈরি করেছে। কিন্তু নাটকের অভিনেতা বিশ্বজিত টেনশন সামলাইতে পারে নাই। সুতরাং সে নিজেই নিজের বুকে ছুড়ি মেরে আত্মহত্যা করেছে।
এর বাইরে অন্য অনেক সম্ভবনাই তৈরি করা যায়, যেহেতু অংশগ্রহনকারীরা এবং সচল প্রতিবেদনের কোথাও আসলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সমাপ্ত করা ডাক্তারের বক্তব্যের সপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না সুতরাং আমাদের আরও অলৌকিক কিছু ভাবতে হবে।
কেনো এ পরিস্থিতি তৈরি হলো? সমকালের অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখন পুরান ঢাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে চাঁদা আদায় হলেও এখন তা গ্রুপভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমানে অন্তত আটটি সক্রিয় গ্রুপ পুরান ঢাকায় চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজিতে জড়িতদের বেশিরভাগই নব্য ছাত্রলীগ।
২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রিপন-সাঈদ কমিটি বিলুপ্ত হয়। ছয় মাস পর ২০১১ সালের মে মাসে আট সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। শুরুতেই চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে আট নেতা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষও হয় কয়েকবার।
আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম অর্ধেক এবং বাকি সাত যুগ্ম আহ্বায়ক চাঁদাবাজির অর্ধেক টাকা পাবেন, এমন দাবি করার পর নেতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে সাইফুল ইসলাম, নিজামউদ্দিন, আরিফুজ্জামান, ওমর ফারুক ৬০ শতাংশ এবং অন্য চার যুগ্ম আহ্বায়ক ওবাইদুল ইসলাম, ইয়াসিন, বুলবুল ও শ্রাবণ ৪০ শতাংশ পাবেন এমন শর্তে সমঝোতা হয়।
প্রথম আলোর আজকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনা শুরুতেই ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। জড়িত নয়, এমন আটজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার আসামি করতে চেয়েছিলেন পুলিশের এক উপকমিশনার (ডিসি)। কিন্তু গণমাধ্যমে ছবিসহ সবার পরিচয় প্রকাশিত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বিশ্বজিৎ হত্যার দুদিন পর ১১ ডিসেম্বর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়—এমন আটজনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। প্রথমে তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই উপকমিশনার কোতোয়ালি থানায় আটক আটজনকে পরে সূত্রাপুর থানায় পাঠিয়ে তাদের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলেন। কিন্তু এতে ওয়ারি বিভাগের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে চারজনকে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার দেখানো চারজন হলেন মামুন অর রশীদ (২৪), ফারুক হোসেন (২৩), মোসলেহ উদ্দিন ওরফে মোসলেম (৪০) ও কাজী নাহিদুজ্জামান ওরফে তুহিন (৩২)।
জানতে চাইলে মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার এসআই মাহবুবুল আলম আকন্দ জানান, বিশ্বজিৎ হত্যার সময় ওই চারজন ঘটনাস্থলে ছিলেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কিন্তু তাঁদের তো ১১ তারিখ সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ কথা বললে মাহবুবুল আলম ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
বিশ্বজিত হত্যাকান্ডকে বিভিন্ন দিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায় বিশ্বজিতের লাশ নিয়ে রাজনীতি নতুন বছরে ডামাডোলে চাপা পরে যাবে। পরবর্তীতে কেউ আর বিশ্বজিতের লাশ নিয়ে মাথা ঘামাবে না। যদিও আওয়ামী লীগের এই সম্পূর্ণ লুকোচুড়ি খেলায় লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হচ্ছে কিন্তু এরপরও তারা সকল ফ্রন্ট থেকেই বিষয়টাকে মোকাবেলা করতে চাচ্ছে। সে অনুযায়ী তারা হত্যাকারীদের লুকিয়ে থাকা শিবির হিসেবে চিহ্নিত করতে চাওয়ার পর প্রতিবেদনে প্রকাশিত হলো এদের অধিকাংশই পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। তবে এত কিছু হওয়ার পরও ঘাস দিয়ে লাশ ঢাকার উৎসাহ কমছে না কারোই।
এটাই হয়েছে। আলবত। গরীবের হার্ট। ভীষন উইক। আপনি পিএমকে মেইল করে দেন এই ব্যাখা, নেকসটে আপনার সীট আটকায় কে?
এটাই রাজনীতি, এই আমরা, এই বাংলাদেশ
আর এভাবেই শুরু হল নাটকের, শেষ অজানা
ফেসবুকে একজনের স্টেটাস দেখলাম
হলুদ সাংবাদিকতা আর কাকে বলে ?!!
" বিশ্বজিতের মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করেন আমাদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদ স্যার ।তিনি আজ চতুর্থ বর্ষের ক্লাসে পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা দেখিয়েছেন,তাতে লেখা আছে, বুকের বাম পাশে ৩ সেন্টিমিটার গভীরতার একটা ইনজুরি আছে, এই ইনজুরিতে axillary artery
ছিঁড়ে যায়,ফলে প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং circulatory failure হয়ে মারা যায় বিশ্বজিত,এছাড়া আর ২
জায়গাতে আঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন, রিপোর্টে তিনি স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছেন এটা HOMICIDE
মানে হত্যাকান্ড, এমনকি রিপোর্টে বিশ্বজিতের বাবা, মা, ভাইয়ের স্বাক্ষর দেওয়া আছে ।অথচ সাংবাদিক
উনার সাথে কোন কথা না বলেই মনগড়া রিপোর্ট একটা বানিয়ে দিয়েছে ।ইত্তেফাকের ঐ প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই হলুদ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ।"
এরসাথে বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই ।
লিংকু
লেখায় জবি ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি সংক্রান্ত সমকাল পত্রিকার যে রেফারেন্স টানা হয়েছে, সেখানে একটা গোলমাল আছে। এই জবি ঘটনার নেপথ্যে একটা গ্রুপ আছে যারা ঘোলা পানিতে একটা বড় মাছ শিকার করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
...
রিপোর্টে তিনি স্পষ্টভাবে লিখে দিয়েছেন এটা HOMICIDE মানে হত্যাকান্ড,এমনকি রিপোর্টে বিশ্বজিতের বাবা,মা,ভাইয়ের স্বাক্ষর দেওয়া আছে
বিশ্বজিতের বাবা মা হোমিসাইডের অর্থই জানে না হয়ত। একজনকে ওরা শিবির প্রমান করতে পেরেছে। বাকিগুলাকে তো পারে নাই।
এটা একটা নোংরা ও বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আপনি এত খারাপ ব্লগার ক্যান? আপনার চোখে কি ঠুলি আছে? দেখছেন না ফুলের টোকা দিচ্ছে।
ময়নাতদন্ত নিয়ে কেবল এই ব্লগার বা আমাদের মতো নাদান পাঠকদেরই না, পুলিশ এবং ডিবিরও সন্দেহ আছে বলে রিপোর্ট করছে প্রথম আলো!
"তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বজিৎকে এলোপাতাড়ি কোপানোর কথা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে একটি মাত্র ছুরিকাঘাতের জখম ও পায়ে একটি জখমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু টিভিতে তাঁকে যেভাবে পেটানোর দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে তাঁর শরীরে অনেক ‘নীলা-ফোলা’ জখম থাকার কথা ছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার কিছু নেই। এতে আসামিদের আইনের ফাঁক দিয়ে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা করেন ডিবি কর্মকর্তারা। কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, হামলাকারীদের রক্ষা করতেই এ ধরনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ময়নাতদন্তকারী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান দাবি করেন, বিশ্বজিতের শরীরে বড় ধরনের একটি ছুরিকাঘাত ছিল, দু-একটি ছিল ছোটখাটো। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সব কটিই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও এ ধরনের আঘাতের উল্লেখ আছে।
তবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীরা বলছেন, সুরতহাল হলো মৃতদেহের ভৌতাবস্থার বিবরণ। একজন পুলিশ কর্মকর্তা যে অবস্থায় দেহটি পান, সে অবস্থার বিবরণ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এমনকি মৃতদেহ পরিষ্কার করারও সুযোগ থাকে না সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময়। ময়নাতদন্তকারীরা মৃতদেহ পরিষ্কার করে, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভেতর-বাহির পরীক্ষা করেন। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে—তা সুরতহালে দৃষ্টি এড়াতে পারে, তবে ময়নাতদন্তে তা এড়ানোর কথা নয়।"
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-20/news/314613
মন্তব্য করুন