শিরোণামহীন
অনেক দিন ব্লগ লেখা হয় না, অবশ্য তেমন বিখ্যাত লেখক না তাই গলা উঁচিয়ে বলতেও পারছি না " বুঝলে আসলে রাইটার্স ব্লক, লেখা আসছে না।" বেশ কয়েকবারই লেখা শুরু করতে গিয়ে মনে হয়েছে আসলে বিছানার উষ্ণতা মনোহর, রক্তচোষা মশা আর শীতের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি না করে আরামদায়ক উষ্ণতায় নিজেকে সমর্পন করলেই ভালো। এলেমেলো ভাবনা মনে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েক দফায় কিন্তু সেসব গুছিয়ে লেখার আগ্রহ হয় নি।
যদিও ইংরেজী উপন্যাস কবিতা পড়া হয় না তারপরও একটানা ইংরেজী পড়ার কিছু সমস্যা আছে, ইংরেজী গদ্য বাংলা গদ্যের চেয়ে অনেক বেশী সাবলীল বলিষ্ঠ ঋজু এবং গোছানো, যদিও গত এক শতকে ইংরেজী গদ্য বিশেষত প্রবন্ধ নিবন্ধজাতীয় লেখায় গদ্যের ব্যবহারে ভিন্নতা এসেছে কিন্তু একটানা যতিচিহ্নবিহীন জটিল বাক্যের এক ধরণের মোহ আছে, কিছুটা সময় লাগে অভ্যস্ত হতে কিন্তু একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে গদ্যের মজাটা উপলব্ধি করা যায়।
গত কয়েক দিন ধরে ভেবে দেখলাম আমাদের প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের যে পরিমাণ তথ্য ঠেসে দেওয়া হয় তা যদি যথাযথ উপলব্ধি করতে পারতো শিক্ষার্থীরা তাহলে তাদের চারপাশের পৃথিবীতে চলমান ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করতে তাদের কোনো সমস্যাই হতো না, মহাবিশ্বের জন্ম থেকে অদ্যাবধি দৃশ্যমাণ জগতে যত পরিবর্তন ঘটেছে, ভাবনা জগতে যত পরিবর্তন এসেছে এর অধিকাংশই আসলে অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব। হয়তো বিস্তার বাড়বে, হয়তো দুই এক পাতার বীজগণিত প্রয়োজন হবে কিন্তু এর বাইরে খুব বেশী জটিল কিছু নেই মহাবিশ্বে, মহাবিশ্ব আসলে ততটা দুরহ জটিল নয় যতটা আমরা ধরে নিয়েছি জীবনযাপনে, অহেতুক জটিলতা আমাদের পছন্দ।
জীবনের অপার রহস্য হয়তো তেমন ভাবে প্রকাশ করা যাবে না, কিন্তু জীবনের সৃষ্টির প্রশ্নটিকে আপাতত মুলতবি রেখে যদি পৃথিবীর দৃশ্যমান পরিবর্তনকে অনুসরণ করা যায় এর ভেতরেএক ধরণের নিয়মতান্ত্রিকতা আছে, সেই নিয়মতান্ত্রিকতার ভেতরে পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, সেসব পুনরাবৃত্তিগুলোকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদের আশ্চর্য করে দেওয়া ঘটনাগুলো মূলত এইসব নিয়মতান্ত্রিকতায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
তবে মানুষ অবাক হতে ভালোবাসে সম্ভবত, তাই নেহায়েত অলৌকিকতার প্রতি ঝুঁকে যায়, যারা অবাক হতে চায় তাদের জন্য জীবন প্রচন্ড রহস্যময় একটা জগত, এখানে প্রতিমুহূর্তেই অসম্ভব সব ঘটনা ঘটে যায়। আমাদের মাঝারি মাপের সূর্যের আলোর আড়ালে চলে যায় সম্পূর্ণ মহাবিশ্বই, তুচ্ছাতিতুচ্ছ অস্তিত্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে লিপ্ত আমাদের কখনও মনেও হয় না পৃথিবীতে এই এক মুহূর্তে যতজন জীবিত আছে তার চেয়ে বেশী নক্ষত্র সূর্যের তুলনায় বড়, প্রতি সেকেন্ড পৃথিবীতে যত শিশু জন্মায় মহাবিশ্বের তার চেয়ে বেশি নক্ষত্র জন্ম নেয় প্রতি সেকেন্ডে, এই বিশাল জগত নিতান্তই অদৃশ্য আমাদের কাছে,রাতের আকাশে মাথা তুলে তাকানোর অবসর নেই, জীবনের সংগ্রাম থেকে এক মুহূর্তে পিছু সরে আসার সুযোগ নেই।
পাহাড়ের কোলে ভেঙে পড়া সমুদ্রের ঢেউয়ের বর্নালী, প্রায় অতিমানবীয় নৈপূণ্যে ছুড়ে দেওয়া বল কিংবা সবাইকে হতবাক করে হঠাৎ বাঁক খেয়ে ঢুকে যাওয়া গোলের অবিশ্বাস্য উদযাপন আসলে বীজগণিতের নিয়ম মেনে পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব। এমনটা ভাবলে জীবনের উত্তেজনা কমে যায়, জীবনের আনন্দযজ্ঞ নেহায়েত বিবর্ণ হয়ে যায়।
আমাদের ধ্যান ধারণার বিবর্তনগুলো মানবিক পরিসরে ততটা প্রকট নয় , তবে একই ঘটনাগুলো অতিক্ষুদ্র কিংবা অতিবৃহৎ পরিসরে গিয়ে কিভাবে বদলায়, কতটা বদলায় কেনো বদলায় এ উত্তর খোঁজারও উত্তেজনা আছে। সেটুকুর জন্যে আবার ১৫ বছর কলমে কাগজঘষে আঙ্গুলের চামড়া তুলে ফেলতে হয়।
অনেক দিন পর লিখলেন
সবাই আমার মত অলস হইলেতো চলবে না
প্রতিমূহুর্তে অনুভব করতে হয় ।
আপনি বিখ্যাত লেখক না হলেও ভালো লেখক তো । রাইটার্স ব্লক বলতেই পারেন । তবে আবার শুরু করেন ।
হুমম.....
রাসেল ভাই...
বইমেলার ধারাবাহিক কইরেন... আপনার বইমেলা সিরিজ দূর্দান্ত হয়
বইমেলা সিরিজ চাই
শুরুতে এমন দূর্দান্ত কথাবার্তা... পরে লেখাটা কোথায় যেন চলে গেলো ! ইংরেজি গদ্য কি কি পড়লেন সেটা নিয়ে কিছু লেখেন।
পড়া মানে পুরোনো রিসার্চ পেপার,
ভালো থাকেন ঠিক ঠাক থাকেন
শুভকামনা!
অনেক দিন পর লিখলেন
সবাই আমার মত অলস হলেতো চলবে না
মন্তব্য করুন