বইমেলা সরগরম - ০১
পড়াশোনা সীমিত হতে হতে এখন ইতিহাসমুখী, গত ১ বছর কিংবা ২ বছরে মূলত ইতিহাস আর আত্মজীবনি পড়েই সময় কাটলো। উপন্যাস গল্প পড়া হয় নি, এ বছরও বইমেলা মূলত এমন বইয়ের খোঁজেই কাটবে। এক ধরণের তালিকা তৈরি হয়েই আছে মাথার ভেতরে, বই খোঁজার সময় সে তালিকা ধরেই অসচেতন খোঁজটা অব্যহত থাকবে, তবে পুরোনো প্রকাশনীর সাথে পুরোনো বইগুলোও বইমেলার স্টল থেকে হারিয়ে যায় ব্যক্তিগত সংগ্রহে অনাদরে পরে থাকে, সেসবের গায়ে ধুলো জমে এবং কোনো একদিন পরবর্তী প্রজ্ম ঘরের ঝুল ঝেড়ে পরিস্কার করতে গিয়ে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রী করে দেয় কাগজের দোকানীর কাছে।
সেসব বই বাছাই হয়ে চলে আসে পুরোনো বইয়ের দোকানে ফুটপাতে, সেখানে হয়তো আগ্রহী মানুষ খুঁজে পায় সেসবের হদিশ এবং পুনরায় সেসব চলে যায় বইয়ের তাকের পেছনের সারিতে, অপেক্ষা করে প্রজন্ম বদলের।
বিখ্যাত জনপ্রিয় ব্যক্তিদের আত্মজীবনিতে এক ধরণের সচেতন আত্মগোপন কিংবা সুখী স্বচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের গল্প বলার প্রয়াস থাকে, অবশ্য সময়ের সাথে বর্তমানের দ্বেষ-রেষ- অনুতাপ- অপ্রাপ্তি- ক্ষোভ মুছে যায়, নীলাভ কাঁচের আড়ালে দুরবর্তী জীবনের সুখের গল্পগুলোই মনে থাকে, আর মনে থেকে যায় অনুতাপবিহীন শোকগুলো, সেসব শোকের আস্ফালন আর সচেতন আত্মগোপনে আত্মজীবনিগুলো এক ধরণের আকার পেয়ে যায়।
গত তিন মাসে মূলত পুরানা পল্টনের কম্যুনিস্ট পার্টির অফিসের সামনের ফুটপাত থেকে নিয়মিত বই কিনেছি। অধিকাংশ সময়ই ঠকেছি নিশ্চিত ভাবে কিন্তু প্রায় অজানা বইয়ের সাথেও যোগাযোগ হয়েছে, নটরডেম কলেজের শিক্ষক জিপিমিত্রের মুক্তিযুদ্ধে চার শহর বইটি হয়তো অন্য কোনো সময় হাতে আসতো না, হাতে আসতো না অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের আমার দেশ আমার জীবন, আফজাল হোসেনের দিনগুলো মোর, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক বইটিও হাতে আসতো না।
তবে অনেক বইই হাতে আসে নি, এবং সম্ভবত সেসব বই আর খুঁজেও পাবো না। আউট অফ প্রিন্ট বইগুলোর চাহিদা এখন নেই, ধানমন্ডিতে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলাম কামরুদ্দিন আহমেদের বাসা, ভাষা আন্দোলনের সংগঠক এই মানুষটি বাংলার মধ্যবিত্তেরআত্মবিকাশ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী এবং স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় এবং অত:পর বইগুলোও লিখেছেন তবে বাজারে তার পূর্ব বাংলার সমাজ ও রাজনীতি বইটিই বেশ সুলভ।
গত বছর খুঁজে খুঁজে কিনেছিলাম মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, পুরোনো বইয়ের দোকানে একটা স্মারক গ্রন্থে পেলাম তার বিখ্যাত কয়েকটি অভিভাষণ । এমন কি আরবি হরফে বাংলা লেখা প্রচলনের প্রতিবাদে তিনি যে চিঠিটি সরকারকে না পাঠিয়ে সরাসরি সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছিলেন সেটাও। সে চিঠি প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে অভিহিত করেছিলো।
পুরোনো বইয়ের দোকান ঘেঁটে বুঝলাম মানুষের ভেতরেও রাষ্ট্রের মতো এক ধরণের প্রবনতা চলতে থাকে, সামরিক সরকারের সময়ে ইউপিএল অনেক ধরণের উন্নয়নমূলক বই প্রকাশ করেছিলো, সেসব বই কতটুকু বাণিজ্যিক প্রয়োজনে আর কতটুকু ভালো বই প্রকাশের মানসিক চাহিদায় বাজারে এসেছিলো সেসব নিয়ে এখন বিতর্ক চলতে পারে। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর মুসলমানদের ইতিহাস, ইতিহাসের স্বর্ণযুগ, বাংলা সাহিত্য বিকাশে তাদের পৃষ্টপোষকতা, বাংলা গদ্যে তাদের অবদান এমন বিভিন্ন ধরণের চাওয়া থেকে এই বিষয়ভিত্তিক অনেক বই সরকারী অনুদানে প্রকাশিত হয়েছে। মফিজুল্লাহ কবির তার সময়ের চাহিদায় এমন বই লিখেছেন তবে মফিজুল্লাহ কবির Experiences of an Exile At Home: Life in Occupied Bangladesh লিখেছিলেন ১৯৭২ এ। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সচেতন মানুষের ভাবনায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতা কি প্রচন্ড আঘাত করেছিলো , কিভাবে তারা নিজেদের নিজভুমে পলাতক ভেবেছেন সেটার ভাষ্য হিসেবে বইটি খুঁজছিলাম কিন্তু ইতস্তত বিভিন্ন বইয়ে এক ধরণের নিছক তথ্য হিসেবে উপস্থাপিত বইটির পূর্ণ রূপ খুঁজে পাবো না। এটা প্রকাশকদের জন্যে তেমন লাভজনক বিনিয়োগ হবে না।
বাংলা ভাষায় ধর্মপুস্তক প্রকাশের ঝোঁকটা এক শতাব্দী প্রাচীন, সেই ঝোঁক থেকেই ইসলাম ধর্মবেত্তাদের অনেকগুলো প্রাচীন বইয়ের বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো, পুরোনো বইয়ের দোকানে সেসব নেড়ে চেড়ে দেখতে দেখছি অনেক মুসুল্লিকেই কিন্তু যাওয়ার সময় তারা ঠিকই অন্য একটি বই ১০ টাকায় কিনে নিয়ে যায়।
সামান্য সস্তায় পাওয়া যাবে ভেবে খুঁজে ছিলাম কিন্তু পেলাম না ফারুক আজিজ খানের Spring 1971: A Centre Stage Account of Bangladesh War of Liberation ,
খুঁজছিলাম আমির উল ইসলামের একাত্তরের স্মৃতিকথা, কম্যুনিস্ট পার্টি ভেঙে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তাদের প্রকাশনার স্বত্তও ভেঙে গেছে, আর সম্ভবত সে কারণেই বইগুলো নতুন করে প্রকাশিত হচ্ছে না। মতিউর রহমান একতা সাহিত্য প্রকাশ ছেড়ে প্রথমা প্রকাশনা খুলে বইয়ের বাজারে এসেছেন, এবং তার সত্ত্বাধিকারে থাকা বইগুলোর প্রথমা শোভন সংস্করণও প্রকাশ করবেন আশা করা যায়। এমন বেশ কিছু খুঁজে না পাওয়া বই বইমেলার কেনার তালিকায় এই বইগুলো উপরের দিকেই থাকবে।
অনেক অনেক দিন পর ফেব্রুয়ারীর বই মেলায় হুমায়ুন আহমেদ থাকবে না, হুমায়ুন আহমেদের সরল গদ্যের ফাঁদে আটকে পড়া বাংলাদেশী কিশোররা এবারও কি বই মেলা যাবে? প্রতি বছর নিয়ম করে হুমায়ুন আহমেদ কিনে বইমেলার ঝোলা ভর্তি করা কিশোর কিশোরী তরুণ তরুনী এবং মোহমুগ্ধ হুমায়ুন ভক্তদের বইমেলার বরাদ্দকৃত টাকা কি এবার বইমেলায় খরচ হবে? তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের সেই হাজার টাকা আর ঝোলায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষমাণ কয়েক লক্ষ সাম্ভাব্য বিক্রী হয়ে যাওয়া বইগুলো হুমায়ুন আহমেদ লিখবেন না, হুমায়ুনের বিশাল বিপূল জনপ্রিয়তার ফাঁদে প্রকাশকদের বিড়ম্বিত সময়যাপনের সমাপ্তি ঘটেছে।
এরা হুমায়ুন আহমেদের নতুন বই পাবে না কিন্তু হুমায়ুন আহমেদকে অনুকরণ করে লিখতে শেখা অন্য অনেকের বইই প্রকাশিত হবে বই মেলায়। আশা করবো এইসব লেখকদের বই সেই ঝোলার মুখে ঢুকে যাবে, আমাদের ২৫০ কপি নি:শেষিত সাহিত্যিকদের বই এবার হাজারে বিক্রী হবে।
বই মেলা সরগরম হয়তো লেখা হবে না আগের মতো, টুকিটাকি বইমেলার অভিজ্ঞতা নিতে আমি আগ্রহী কিন্তু নিয়মিত বইমেলায় উপস্থিতির আগ্রহ থাকলেও সেটা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত এবার বইমেলার অভিজ্ঞতা লিখবে অমিত আহমেদ। ও একমাস বইমেলায় কাটাবে বলেছে।
অপরাপর সবার বই মেলার অভিজ্ঞতা সুখময় হোক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন বই তার ঘুমের ঔষধ। দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এবার বইমেলায় প্রধানমন্ত্রী হাসির রাজা গোপাল ভাঁড়, রসশ্রেষ্ঠ বীরবল, নাসিরুদ্দিন হোজ্জা আর বাংলাদেশের সেরা হাসির গল্প ধাঁচের বই কিনবেন, আমজনতার জন্যে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ভয়াবহ ভৌতিক অনুভুতি, সস্তা বাংলা ভুলের গল্পের প্রচ্ছদের মতো রক্তমাখা দাঁত নিয়ে তাদের তাড়া করছে রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী এই রক্তাক্ত শ্বদন্ত নিয়মিতই দেখছেন, তার রাতের বালিশের পাশে জেগে থাকা এই শ্রেষ্ট ভৌতিক গল্পের ভীতি ও অবসাদ কাটাতে হোজ্জা, বীরবল গোপাল ভাঁড় সফল হোক। আমি চেষ্টা করবো প্রধানমন্ত্রী ফাঁকা বইমেলা ঘুরে এ বছরের প্রয়োজনীয় ঘুমের ঔষধ নিয়ে পুলিশ র্যাব সমেত বইমেলা চত্ত্বর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বইমেলা প্রবেশের। প্রায় ন্যাংটা প্রথম দিনের বইমেলার স্টলগুলোর সামনে হাঁটার সুযোগ হারাতে চাই না।
কীভাবে যেন এসে পড়েছিলাম এ-গ্রহের এই ছোট্ট ব্লগে, সহ-ব্লগার হিসেবে আপনাকে পাওয়া, আপনার লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করতে পারা যে-কারও জন্য সুখকর বিষয়। প্রথমেই এটি জানিয়ে রাখলাম।
অনেক পড়ছেন, বুঝতে পারছি, ভেতরে জমে আছে বলার মত অনেক কথা। আত্মজীবনী নিয়ে আপনার বলা কথার সাথে দ্বিমত নেই। সচেতন আত্মগোপন যদি ভন্ডামিতে পরিণত না-হয়, তাহলে আমি তাকে গ্রহন করবো। সন্দীপনের ডায়েরিটা আপনাকে পড়াতেই হবে, ওখানে কোনো সচেতন আত্মগোপনের লুকোচুরি খুঁজে পাবেন না।
সিরিজ চলুক। অনেক শুভেচ্ছা।
সময়ের স্বল্পতায় অনেক কিছু খুজে পাওয়া হয় না... তাই না পড়ার তালিকা দিন দিন বাড়ে। সেভাবেই হয়তো অমিতের লেখা খুজে পড়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যায়... দিন শেষে অথবা কয়েকবার ব্লগে থাকা হয়। তাই হয়তো আপনার কাছেই আশাটা বাড়ে।
রাসেল ভাইয়ের লেখাগুলো যে শুধু ভালো তা নয়, মন দিয়ে না পড়লে কঠিনও মনে হয়। কিন্তু উনার লেখায় নিয়মিত তানবীরা আপু ছাড়া কারো মন্তব্যই তো দেখি না। অত্যন্ত ভালো লেখায়ও ৩/৪টার বেশি কমেন্ট থাকে না।
লীনা আপা যে লিখলেন, 'আপনার লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করতে পারা যে-কারও জন্য সুখকর বিষয়' সেজন্য এসব বললাম। লীনা আপার কমেন্টই যে থাকে না!
রাসেলতো সিরিয়াস লেখক। এমন সৃজনশীল লেখা পড়ার সৌভাগ্য ব্লগে খুব কমই ঘটেছে। এটা তোর একটা ভালো মূল্যায়ন, মন দিয়ে না পড়লে লেখা বোঝাও যায় না। অর্থাৎ, ওপরছোঁয়া মন্তব্যও করা যায় না।
আমিতো ব্লগ থেকে নির্বাসনে ছিলাম। দেখি এবারের সফর কদ্দিন স্থায়ী হয়। আর, রাসেল কেনো, তোর সহ বাকী সবার লেখা পড়ার ইচ্ছে রাখি। লিখে ফেল দু'দশটা লাইন!
আসলে এবি-তে ঢুকলে খুব রাগ হয়, কারো কোনো খবর নাই, একজন কেউ ব্লগর ব্লগর করলো তো দেখা গেল আচমকা ২০/২৫টা মন্তব্য, আবার কেউ চমৎকার একটা গল্প বা সিরিয়াস কিছু লিখলেন সেখানে ৩/৪ টা কমেন্টস।
এবি-তে রোজ ২/১টা লেখা পোস্ট হয়, সবাই কি পারেন না, সেই লেখা পড়তে?
আর এখানে চেনা-জানারা মূল লেখা নিয়ে কমেন্ট না করে কমেন্টে-কমেন্টে ব্লগর ব্লগর শুরু করেন। আরে বাবারা, ব্লগের ভেতর বকর বকর না করে অনলাইনে চ্যাট করো, মোবাইলে কনফারেন্স করো।
অন্য ব্লগগুলো যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে এবি আগের জায়গা থেকে এক পা আগায়নি তো-ই, বরং পিছিয়ে গেছে।
(আমি নিয়মিত ব্লগার বা ব্লগীয় আড্ডারও কেউ না, তাই 'আমিও তো কমেন্ট দেই না' আশা করি এই টাইপ কথা কেউ বলবেন না। )
একেই ব্লগিং বলে... যেখানে শুধু সাহিত্যই থাকে না... সব কিছুই থাকে...
আর ব্লগর ব্লগর মানেই হইলো সিরিয়াস কিছু না ... ব্লগিং আড্ডা... স্বাভাবিক ভাবেই তাতে উপস্থিতি এবং মন্তব্য বেশী থাকে এবং থাকবেও। কালে কালে সব ব্লগেই এটা হয়ে আসছে... আপনি সম্ভবত ব্লগে ঢুকেই পোস্টে কয়টা কমেন্ট সেটা খেয়াল করেন ... ব্লগাররা কার পোস্টে কয়টা কমেন্ট... কে কে করলো আর কে কে করলো না এইসব নিয়া মাথা ঘামায় না।
একটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা একজন ব্লগারের থাকবে না? আপনি কি জ্যোতিষ নাকি? কেমনে বুঝলেন যে আমার কাজ খালি কমেন্ট কাউন্টিং করা (সম্ভবত শব্দটা পড়েই বলছি)?
ব্লগর ব্লগর যে সিরিয়াস কিছু না এইটুকু বোঝার মতো ঘিলু আমার আছে। আর ব্লগর ব্লগর আমি খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে মাসুম ভাইয়ের ব্লগর ব্লগর।
আমি বলতে চেয়েছি সিরিয়াস কোনো লেখা বা গল্পের মধ্যে লেখা রিলেটেড মন্তব্য না করে নিজেদের মধ্যে ব্লগর ব্লগর করার কথা।
ভালোমতো বুঝে তারপর মন্তব্য করাই উত্তম। আমি মন্তব্য করি আর না করি সব ব্লগেই ঘোরাঘুরি করি। যেহেতু আমি ভালো বা নামী ব্লগার না, ১০টা ব্লগ মেইনটেইন করি না, তাই আমার হাতে যথেষ্ট সময় থাকে।
এডিট: আমি মন্তব্য করি আর না করি সব ব্লগেই ঘোরাঘুরি করি (এখানে সব ব্লগ বলতে এবি'র সবার ব্লগ বুঝিয়েছি)।
অসাধারন লাগলো কথা গুলো!
সিরিজ চলুক , সাথে আছি
এই সিরিজটাকে একমাসের জন্য ছাইরঙের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে।
শেষের প্যারাটা অসাধারণ লাগলো।
সিরিজ চলুক সারামাস ধরে । বইমেলায় না গেলেও সিরিজ পড়ে যেন বইমেলা আর বইয়ের টুকিটাকি খবর পাই ।
দারুন লাগলো পড়তে।
বন্ধ করা চলবে না। সিরিজ দীর্ঘজীবী হোক।
মন্তব্য করুন