বইমেলা সরগরম - ০৩
ভেবেছিলাম পুলিশ কন্ট্রোল রুমে গিয়ে বলবো আপনারা যেভাবে বাংলা একাডেমীর গেটে মেটার ডিটেক্টর লাগাচ্ছেন তা দিয়ে হয়তো বই মেলার প্রথম সপ্তাহ কোন মতে পার হয়ে যাবে কিন্তু বই মেলার মূল ভীড়ের সময় আপনারা গাবতলী পর্যন্ত মানুষের লাইন তৈরি করে ফেলবেন। তবে গিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের পুলিশকে যতটা নির্বোধ ভাবি তারা ততটা নির্বোধ না, তারা ঠিকই বেশ বড় পরিসর নিয়ে মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছেন। তাদের সুচিন্তিত পদক্ষেপের জন্য তাদের ধন্যবাদ।
নতুন পরিস্থিতিতে, নতুন দৃশ্যে খুব সাবলীলভাবেই মানিয়ে নিতে পারি, হয়তো এটা আমার আধুনিকতা কিংবা আমার আপাতস্মৃতিহীনতা কিংবা হতে পারে আমার শেকড়বিহীনতা, প্রথম দিন অপরিচিত লাগলেও আজ বই মেলার সামনের ফাঁকা রাস্তা দেখে ভালো লাগলো, আরও ভালো লাগবে যদি কোনো উৎসাহী সংস্থা সেখানে ফরাস পেতে আড্ডার বন্দোবস্ত করে দেয়। বই মেলার ভেতরে ধুমপানবিরোধী প্রচারণা জোরদাক হোক, আমরা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বসে ফরাসে হেলান দিয়ে দিব্যি নতুন বইয়ের গল্প করবো। আর হয়তো এই ফরাসের এক পাশে চেয়ার সাজিয়ে কোনো নতুন লেখক তার লেখক হয়ে ওঠার গল্প বলবে, বলবে তার লেখার গুরুত্বপূর্ণ অংশের কথা। ছোটো ছোটো জটলায় নতুন নতুন লেখক তার বইয়ের গল্প শোনাবে আর যদি গল্পে অনুপ্রাণীত হয় কেউ সে বই মেলা গিয়ে বই কিনে এনে লেখকের অটোগ্রাফ নিয়ে যাবে।
অপেশাদার আয়োজনে লেখক আর পাঠকের সংযোগ তৈরির সুযোগটা আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে এভাবে। একই সাথে ধুমপায়ীদের লিটলম্যাগ চত্ত্বরে এক ধরণের অপরাধবোধ চেহারায় নিয়ে ধুমপান করতে হবে না, মেলার আঁটোসাঁটো পরিসরে দুদন্ড বসবার জায়গা সেই লিটলম্যাগ চত্ত্বর, সেটা যখন বাইরের রাস্তায় নিয়ে আসা সম্ভব তখন সেখানে লুকিয়ে ধুমপানের প্রয়োজন থাকবে না।
সাথে চলার মানুষ নেই:
ভীড়ের ভেতরেই সবচেয়ে নি:সঙ্গ মানুষ, তাই নিজের মতো ঘুরে ঘুরে সামান্য ক্লান্ত হয়ে গেলে সাথে চলার মানুষ খুঁজি, এত এত মানুষের মধ্যে বোকার মতো একা একা বসে থাকা আর অপরাপর আড্ডার দিকে তাকিয়ে থাকার বিড়ম্বনা প্রচুর, বইয়ের দোকান ঘোরার সময় সঙ্গবাহুল্য কিন্তু বইয়ের দোকান ঘোরা শেষ হওয়ার পর কথা বলার জন্যে হলেও কাউকে লাগে। তবে অনেকেই আছে যাদের সাথে কথা বলারও প্রয়োজন নেই, শুধু পাশে বসে সঙ্গের উত্তাপ নিয়ে কাটিয়েদেওয়া যায় কয়েকঘন্টা , এই সম্পূর্ণ সময়ে হয়তো কোনো কথা না বলে শুধু একটু হেসে বলে দেওয়া যায় আসলে আমি ঠিক কি কারণে হাসলাম।
আমার খুব প্রিয় বন্ধুর সাথে আমার গত ২০ বছরে ২০ বারও দেখা হয় নি, প্রতিবার দেখা হওয়ার মাঝে কখনও এক বছর কখনও ৫ বছর চলে গেছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত জানি পরবর্তী দেখা হওয়ার সময়ও আমরা কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করবো না এত দিন কি ঘটলো, সাম্প্রতিক যেকোনো ইস্যুতে যেকোনো আলোচনা শুরু করে কখনও স্মৃতিচারণের প্রয়োজন হবে না, একটা সময়ে আমরা বাঁচছি, আমাদের জীবনকে আলোড়িত করার মতো ঘটনাগুলো যেকোনো ইস্যুর ভেতরেই অনায়াসে চলে আসে, আমরা আমাদের সময়ের স্মৃতিটুকু সাথে নিয়ে বেঁচে আছি, একই মাত্রায় অনুরণন না হলেও কাছাকাছি বিষয়গুলো আলোড়িত করে বলেই এত দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতার পর শেষ খড়কুটো হিসেবে তাকে আঁকড়ে ধরতেও বিব্রত লাগবে না।
এমন বন্ধু সারা জীবনে আসলে কতজন তৈরি হলো? একজন আসে যার সাথে হয়তো কখনও দেখা হবে না, সে বাদে হাতের আঙ্গুল গুণে বলে দেওয়া যায় সংখ্যাটা হাতের আঙ্গুলের চেয়ে বেশী হবে না। এদের কারো কারো সম্ভবত আমার প্রতি এক ধরণের অন্ধমমত্ববোধ আছে, আমাকে তারা দুর্বিনীত শিশুই মনে করে, হয়তো শঙ্কায় থাকে, হয়তো বিব্রত হয় সময় সময় কিন্তু তারা জানে যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমি তাদের বিকিয়ে দেবো না, আমিও জানি তারা আমাকে বিকিয়ে দিবে না শত প্রলোভনে, এই আস্থায় নি:সংকোচে কাছে যাওয়া যায়, ফিরে আসা যায়, নিত্যদিনের স্বার্থের সম্পর্কের বাইরে এই অসংকোচ সম্পর্কগুলোর কাছে যাওয়া হয় না, এদের অধিকাংশই আসলে বই মেলার ভীড় পছন্দ করবে না, তারা নির্জনতা চায়।
ঘাস ফুল নদী আর ষড়ঋতুপিডিয়া:
ঘাস ফুল নদী সব সময়ই আলাদা ধরণের বই প্রকাশ করে, এক ধরণের ভাবনার জায়গা থেকে বই প্রকাশ করে তারা, এ বছর তাদের ষড় ঋতুপিডিয়া এমনই একটা সংগ্রহ, ভাবনার জায়গা থেকে বইটা যতটা চমৎকার ভাবনা প্রকাশের সীমাবদ্ধতা তারচেয়েও বেশী পীড়াদায়ক। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর বৈশিষ্ঠ্য, মৌসুমী ফুল, ফোল, সাংস্কৃতিক উদযাপন আর কৃষ্টির সাথে ষড়ঋতু নিয়ে কবিতা, গল্প, নিবন্ধ এবং ষড়ঋতুর রান্না সব মিলিয়ে বইটা যতটা চমৎকার হয়ে ওঠার সম্ভবনা ছিলো মেক আপেরদুর্বলতায় বইটা ততটা আবেদন তৈরি করে নি, অবশ্য বইটি নিয়ে এত ভাববার কারন এর বিক্রয়মূল্য, ২৬৫০ টাকায় এক সেট বই কেনার সময় যতটুকু বিবেচনা করবে মানুষ সেই বিবেচনার জায়গা থেকে দেখলে বইটা বিক্রী হবে না।
শুধুই মুক্তিযুদ্ধের বই: বইমেলার প্রথম দিন শুধুই মুক্তিযুদ্ধের বই স্টলটা বন্ধ ছিলো, আজকে দেখলাম খোলা, কামরুল ইসলাম ভুইঞার সামনে অনেকের জটলা, এবার বইমেলায় তার লেখা আরও দুটো বই এসেছে, সেখান থেকে কিনলাম বোরহান উদ্দিন খানের ৭১ এর স্মৃতিচারণ। বইমেলায় পুরোনো বই খুঁজে সস্তায় কেনার আনন্দটুকু টাটকা, মুক্তিযুদ্ধের বইগুলোর দাম একটু বেশী কিন্তু এই দিনলিপির দাম ৬০ টাকা।
হঠাৎ কানে আসলো কামরুল ইসলাম ভুইঞা বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দিবেন, অটোগ্রাফ নিতে ঝুঁকে থাকা তরুনী বললো আপনি কি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন?
কামরুল ইসলাম ভুইঞা বললেন রাজনীতির ভেতরে আমি নেই, আমি রাজনীতি করি না, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যুদ্ধের পর থেকেই নতুন যুদ্ধ করছি। এবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু-মিত্র আলাদা করে প্রকাশ করবো, সমস্ত বাংলাদেশ কেঁপে যাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে সবাই যে সমান অবদান রেখেছে এমনটা বলা যাবে না, সামরিক বেসামরিক উভয় পক্ষেই অনেকেই যতটুকু ক্ষমতা ছিলো ততটুকু অবদান রাখেন নি, অনেকেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতায় স্তব্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর আচরণকরে অগ্রহনযোগ্য ভেবে স্বাধীনতার পক্ষে এসেছিলেন কিন্তু তারা সচেতনভাবে বাংলাদেশেরস্বাধীনতা বলতে আলাদা কোনো বাঙালী সংস্কৃতির উত্থান চান নি।
বাংলার মধ্যবিত্তের আত্মবিকাশ এবং কমরুদ্দিন আহমেদ:
কমরুদ্দিন আহমেদ তৃতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন, ১৯৪৮ কিংবা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন করেছেন, স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে তিনি রাষ্ট্রদুতের দায়িত্বও পালন করেছেন। পাকিস্তান আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্বে ঢাকায় মুসলীম লীগের আদর্শের বাইরে গঠিত গণআজাদী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন তিনি। তার পূর্ব বাংলার সমাজ ও রাজনীতি বইটি বাজারে থাকলেও তার নিজস্ব আত্মজীবনি ততটা আবেদন তৈরি করে নি। নওরোজ কিতাবিস্তানে দেখলাম তার আত্মজীবনির দুখন্ড একত্রে বিক্রী হচ্ছে। বইমেলাটা আরও চমৎকার মনে হলো।
সচলায়তনের ব্লগাররা বইমেলা চত্ত্বরে দলবেধে হাঁটে, গত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণ থেকে আমার এমনটাই মনে হয়েছে। এরা সচলায়তনকে ধারণ করে সম্ভবত, সেই দলের ভেতরে এক পাশে লুৎফর রহমান রিটন, প্রথম দিন তার চেহারা না দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম, এ বছর চ্যানেল আইয়ের বইমেলা প্রতিদিনের ক্যামেরার সামনে তাহলে কে থাকবে? চ্যানেল আইয়ের বাঁশুরিয়া সং এর সাথে দেখা হয়েছে প্রথম দিনই শুধু রিটনের সাথেই দেখা হয় নি।
সেখানে তারেক রহিমের সাথে কথা হলো। জ্যোতির্ময় বনিক উরফে বঙ্গু উরফে সবজান্তা আমার পছন্দের বন্ধুভ্রাতা, ছেলে হিসেবেও চমৎকার, ও এ বছর টেক্সাসের গরম হাওয়ায় হাঁসফাঁস করছে, প্রায় প্রতিদিনই বইমেলায় লিটলম্যাগ চত্ত্বরে একবার দেখা হয়ে যেতো, এবার বইমেলায় ঢুকে ওর কথা মনে হয়েছে।
তারেক আর জ্যোতির্ময়ের বন্ধুত্ব আরও বেশী সময়ের, বললো এবার মেলায় বঙ্কু নাই। বললাম ও তো মনে হয় কম্পিউটারের টেবিলের সামনে বলে বুক চাপড়াচ্ছে, বই মেলা তো আসলে জীবনের সংস্কৃতির অংশ, বাৎসরিক উৎসবের মতো অবশ্যপালনীয়, এক কজ করো আড্ডা আর মেলার ছবি, নতুন বইয়ের ছবি তুলে ওকে ট্যাগ করো, ও টেবিল থেকে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দিয়ে হাহাকার করবে, বুক চাপড়াবে ভুলের জন্য।
শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাই:
গত কয়েক বছরে বইয়ের প্রকাশনা দেখে মনে হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে যত্ন নিয়ে বই ছাপায় শুদ্ধস্বর, তাদের লেখক তালিকা ব্লগার থেকে লেখকে চলে গেছে কিন্তু বইয়ের যত্নে কমতি নেই। টুটুল ভাইয়ের সাথে এক ঝলক দেখা হলো, বললেন আমার লেখা ছাপা হয়েছে। এ বছর গৌতম আমার শিক্ষা নিয়ে একটা নভিশ লেখা নিজের সম্পাদিত বইয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে সত্য কিন্তু সেটা সম্পাদকের উদারতা, আমার কৃতিত্ব খুব কম এখানে, এর বাইরে হয়তো পুরোনো কোনো ব্লগ সংকলনে কোনো লেখা মনোনীত হতে পারে কিন্তু তার বাইরে আমার লেখা ছাপা হওয়ার কোনো কারণ নেই। অন্তত আমার জানা মতে সচেতন প্রয়াসে আমি কোন বই ছাপাই নি। সুতরাং আমিও বেশ উৎসাহ নিয়ে টুটুল ভাইয়ের পেছনে হাঁটা ধরলাম কিন্তু এক মুহূর্তের অমনোযোগে টুটুল ভাই হারিয়ে গেলেন মেলার ভীড়ে।
মুখবন্ধু এবং বিব্রত একজন:
বই মেলায় অনেক ধরণের মজমা জমে যায়, আজ যেমন তথ্যকেন্দ্রের সামনে হঠাৎ জটলা, এক দল মানুষ গোল হয়ে মজা দেখছে, তথ্য কেন্দ্র থেকে ক্রমগাত নির্দেশনা আসছে জনতা প্রকাশনীর সামনে ভীড় করবেন না। সেখান থেকে সরে গিয়ে পাশের গলিতে ঢুকে হাঁটছি নিজের মতো, হঠাৎ একজন কাঁচুমাচু হয়ে বললো ভাই অনেক বই কিনেছেন দেখলাম, একটা কথা বলবো?
আমি হাতের প্যাকেট দেখলাম খুব বেশী না হলেও দু চারটা বই কেনা হয়েছে,
বলেন
একটা নতুন বই এসেছে মুখবন্ধু, সৃজনী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে, দেখবেন?
আমি জানি না সেই ছেলেটা বইয়ের লেখক কি না, বললাম সৃজনী প্রকাশনী কোথায়?
এই তো একটু সামনে আগালেই ৫/৬টা দোকানের পরেই। ইউপিএল ছাড়িয়ে একটু সামনে আগালেই সৃজনী প্রকাশনী। সেখানে মুখবন্ধু উপন্যাসটাও দেখলাম, ফেসবুকের কয়েকজনের বন্ধুত্ব নিয়ে লেখা। দামও তেমন বেশী না, তবে আজ বইয়ের বাজেট শেষ, তবে ঝরঝরে লেখা পড়ার আগ্রহ থাকলে যেকেউ কিনতে পারে, দাম ১০০ টাকা।
শুদ্ধস্বরের সামনে দেখা হলো আরাফাত শান্তর সাথে, অবশ্য যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে আগেই ক্ষমাপ্রার্থী, মানুষের চেহারা মনে থাকে আমার। ওর ভীষণ ঠান্ডা লেগেছে, দেখা হলো ভাস্কর দা'র সাথে। ভাস্কর দা'র পরিচিতি অনেক বেশী, সুতরাং অভ্রের মেহেদীর সাথে দেখা হলো, হাতে নতুন ফুজি ক্যামেরা, দাম ৯৯৯ ডলার, শুনে অবাক হলাম। ফুজির ওয়ান টাইম, পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরাগুলোর দাম তত বেশী ছিলো না, এই ডিএসএলআরের বডির দাম ৯৯৯ ডলার। তবে ওর ছবি তোলার হাত ভালো, কিন্তু আমার ভালো লাগে ওর ছবির পোস্ট প্রোডাকশন, ওর তোলা কয়েকটা ছবি ও রিটাচ করেছিলো, সেগুলো ভালো লেগেছে দেখে।
সময় প্রকাশনী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ প্রকাশ করেছিলো, সময়ের স্টলে গয়ে বইটা খুঁজছিলাম, আমির উল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধের বই শুনে খুঁজে বের করলেন বেশ মোটা একটা বই, সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৫টা বই সংকলিত হয়েছে, লেখক আমীরুল ইসলাম। ভুল হয় নি কোনো কিন্তু আমি আসলে স্মৃতি ১৯৭১ সিরিজের বই খুঁজছিলাম।
বইমেলা থেকে ফেরার পথে প্রচন্ড নি:সঙ্গতায় মনে হলো যাই ছবির হাটে যদি কারো দেখা পাই, এক কাপ চা আর একটা সিগারেট হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলবো। কাউকেই খুঁজে পাওয়া গেলো না সেখানেও।
আলোচ্য বিষয় বেশি হয়ে গেছে মনে হল।
লেখায় হাহাকার ভরা,
মন খারাপ কেন ভাই?
বই মেলা নিয়া দারুন সিরিজ!
যত প্রাচীন হবে মানুষ, ততই কী বন্ধুতা নিয়ে সংজ্ঞাসমূহ বদল হতে থাকবে? বয়সে সমসাময়িক বলে বন্ধুত্ব নিয়ে আপনার অনুভূতির সাথে একাত্ম হতে পারলাম। অথচ, লিখতে বললে আমি এর ধারেকাছের বর্ণনাও দিতে পারবো না, শক্তিমান লেখকের এটাই শক্তি !
বইপত্র নিয়ে যেভাবে ডিটেইল বলছেন, সেটি অব্যাহত থাকুক।
বইয়ের আলোচনাটা ভাল লাগছে
ফরাস পেতে আড্ডা দেওয়ার আয়োজনের আইডিয়াটা দারুণ।
মনের কথা।
মুখবন্ধু বইটার প্রতি আগ্রহ হলো। বই নিয়ে আলোচনা থাকুক দিনলিপিতে। সবার বই নিয়ে আলোচনা থেকে হয়ত কয়েকটা বই বেছে নিতে পারব কেনার জন্য।
মুখবন্ধু বই এর গল্প টা আমার কাছ থেকে শুনতে পারেন
পুরো লেখাটাই দারুণ। আর শেষে এসে যেন টাচ করে গেলো অক্ষরগুলো।
বইয়ের পাণ্ডুলিপির ব্যাপারে যখন ভাবছিলাম, তখন নানা হিসাবনিকাশ করে কোন কোন লেখা দেয়া যায়, তার একটি তালিকা তৈরি করেছিলাম। কয়েকজনকে দিয়ে তালিকাটা চেকও করিয়েছি। আপনার লেখাটা এমনই দুর্দান্ত যে, ওটা নিজগুণে বিশেষ একটা জায়গা দখল করে আছে ওই বইটায়। বিশেষ করে এখন বলা যায়, একজন রিভিউয়ার বলেছেন- আপনার ভাবনাগুলো হয়তো অ্যাকাডেমিক রেফারেন্সের কাজে আসবে না, কিন্তু মনোযোগী পাঠককে আরও মনোযোগী করবে এই বিষয়ে।
খুব ভালো লাগলো, মন ছুয়ে যাওয়া লেখা। বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটা খুব সুন্দর দিয়েছেন, ঐ রকম অকৃত্তিম বন্ধুত্বের কথা আরো শুনতে চাই, কারন মানুষ খুব একা হয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন।
মেলার কথা, বইএর কথা, আর মানুষের কথা শুনতে কান পেতে রই- - - -।
দারুন সিরিজ! চলুক
বইয়ের আলোচনাটা ভাল লাগছে
ভাই এই বই মেলায় আসবেন না? মুখবন্ধু রহস্য বই বের হয়েছে কিনবেন না?
মন্তব্য করুন