আমাদের গল্প
দীর্ঘ ৪ সপ্তাহ পর আমার মেয়ের সাথে আমার দেখা হওয়াটা খুব বেশী আনন্দময় অভিজ্ঞতা ছিলো না। জেলের নিয়মে সপ্তাহে এক দিন নির্দিষ্ট সময়ে নাপিত এসে চুল-দাড়ি পরিচর্যা করে, যেকোনো কারণেই হোক গত ৪ সপ্তাহে আয়নায় মুখ না দেখায় নিজের চেহারা বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা আমার ছিলো না।
হাসপাতালে এসে প্রথমবারের মতো আয়নায় মুখ দেখে মনে হলো নিজের অপরিচিত একটা মুখোশ এঁটে আছি, ব্লেড-রেজরের বিষয়ে এক ধরণের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এখানে আছে, বিক্ষুব্ধ, অপমানিত, নির্যতিত এবং বঞ্চনার শিকার কারাবন্দীদের অনেকেই নিজস্ব অপমানবোধ কমাতে হয়তো হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করে ফেলতে পারে সংশয় থেকে বন্দীদের এসব দেওয়ার নিয়ম নেই।
সেই দুশ্চিন্তাক্লিষ্ট, বিষাদগ্রস্ত অপরিচিতের মুখোশ নিয়ে আমি আমার ২০ মাস বয়সী মেয়েকে দেখলাম ৪ সপ্তাহ পরে, যার সাথে আমার সম্পর্ক শব্দে, স্পর্শ্বে, গন্ধে এবং চাক্ষুষ গড়ে উঠেছে কিন্তু স্মৃতি নির্মাণের সুযোগ এখনও তৈরি হয় নি।
শৈশবের স্মৃতি অবচেতনে হারিয়ে যাবে, হয়তো সামান্য হারিয়ে ফেলার শঙ্কার বাইরে ভবিষ্যতে কখনও এই বোধ তাকে উদ্বেলিত করবে না কিন্তু ৪ সপ্তাহ পরে আমার এবং তার ভেতরে অপরিচিতের আড়াল তৈরি করে দাঁড়িয়ে ছিলো আমার না ক্ষৌরি করা গালে জমে থাকা কাঁচা-পাকা দাড়ির জঙ্গল।
অভিমানহত,বিমর্ষ,ক্রন্দসী মেয়ে তারা কাঁচা ঘুম ভেঙে আমাকে চিনতে পারে নি প্রথম দেখায়, তার স্মৃটির ভেতরে আমার স্পর্শ্ব, আমার গন্ধ , আমার কন্ঠস্বর কিন্তু আমার এই অপরিচিত চেহারা থাকে বিভ্রান্ত করেছে। সে আশ্বাস চায়, নিরাপত্তা খুঁজে মায়ের দিকে তাকিয়ে আবার বাবার বুকের আড়ালে লুকায় নির্ভরতার খোঁজে।
আমি তাকে পাখী, ফুল, গাছ, বেড়াল দেখাই, বাইরের আকাশে অনেক উপরে ভেসে থাকা চিল সে শানাক্ত করতে পারে শুধু প্রায় পরিচিত বাবার দাড়ির আড়ালে লুকানো মুখটা শনাক্ত করতে পারে না। বাড়ি ফিরে, আমার স্ত্রী পরে বলেছে, আমার মেয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলো আমার মুখে জমে থাকা চুলের জন্য।
অবশ্য পরবর্তী সপ্তাহের আগে আমি কষ্টে দাঁড়ি কামিয়ে পুনরায় তার সামনে যখন গেলাম আমাকে চিনতে তার অসুবিধা হয় নি। মায়ের সাথে এসে সে জানে এই হাসপাতালের শেকলের ভেতরে কোথাও তার বাবা তার অপেক্ষায় আছে
সে আমার কুঠুরির দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়েছে ঐ যে বাবা। আমার পরিচিত চেহারা ফিরে পাওয়ায় উৎফুল্ল আমার ছেলে অবশ্য তার স্কুল, তার বন্ধু, তার পরীক্ষা আর তার অর্জনের সামান্য বিবরণ দেয় কানে কানে।
আমি সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে আমার পায়ে পায়ে চেলে নীচে নামে, আমি টাল সামলে বলি বাবা তো ধপ্পাস হয়ে যাবে, নীচে নেমে কোলে তুলবো তোমাকে। আমার মেয়ে অধিকার সচেতন, বাবার কোলে থাকা ভাইকে নেমে গিয়ে মায়ের পাশে দাঁড়তে বলে, আমি এক ডজন পুলিশের মাঝখানে আমার দুই ছেলে-মেয়েকে কোলে তুলে দাঁড়িয়ে দেখছি আর কারা কারা এসেছে এখানে।
আমার মেয়ে আমাকে পাখী দেখায়, ছেলে বাগানের সাইকাস দেখিয়ে বলে, বাবা ওটা কেয়া গাছ। আমি বললাম ওটা সাইকাস, ও বললো তুমি জানো না সাইকাস ইংরেজী ওটার বাংলা কেয়া।
মেয়ে বাগানের রঙ্গন আর পাতাবাহারের ঝাড়ের দিকে আঙ্গুল তুলে বললো বাবা বেড়াল। আমি সবটকু খুঁজে দেখলাম একটা বেড়াল নয়নতারা গাছের সামনে বসে আছে, আমার মেয়ে আমার আঙ্গুল ধরে টানে, বাবা বেড়ালের কাছে যাবো।
আমার মেয়ের অভিলাষ আর আমার বাস্তবতার মাঝে আড়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একটা শেকল, তালা, লোহার কোলাপসিবল গেট এবং গোটা দশেক পুলিশ। আমি বাস্তবতায় ফিরে এসে বাগানের সবকিছু আর আমার ছেলে মেয়ের ভেতরে নিজেকে ন্যাস্ত করলাম। বাকচাতুর্যে মাঝের শেকল তালার অস্তিত্ব মুছে বসে থাকলাম নির্বিকার। রাষ্ট্র বাকস্বাধীনতা হরণ করতে পারে, কল্পিত অশোভনতার অভিযোগে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে অহেতুক হেনেস্তা করতে পারে কিন্তু আমার সন্তানের কল্পনায় কোনো দেয়াল তারা তুলতে পারবে না।
আমি তাদের অপরিকল্পিত রাজনৈতিক অভিলাষের ব্যর্থতার জের টানতে পারি, রাজনীতিকে ঘোঁট পাকিয়ে তোলার উপকরণ হিসেবে অপ্রস্তুত পিতার মতো মেয়েকে বাগানের সামান্য একটা বেড়ালের কাছে নিয়ে যেতে নাও পারি কিন্তু আমার বুকের কাছে আমাকে জড়িয়ে বসে থাকা সন্তানদের আমি রাষ্ট্রের নোংরা রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারি যতদিন না তারা নিজস্ব বোধে উপলব্ধি করবে মানুষ মূলত রাজনৈতিক প্রাণী।
ঘড়ির মিনিটের কাঁটা বড় বেশী দ্রুত দৌড়ায়, আমার সন্তানদের এই পরিমিত সময়ে অপরিমেয় স্নেহের সবটুকু নিয়ে নেওয়ার লুটোপুটি উপভোগ করি, ছেলে কানে কানে প্রশ্ন করে বাবা তুমি কবে আসবে? মেয়ে আমার দখল নিতে ভাইকে ঠেলে দেয় মায়ের কোলো আর তার বড় বড় চোখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। আমাকে আদর করা শেষ হলে আমার স্ত্রী, ছোটো বোন ব্যাগ হাতে উঠে দাঁড়ায়। আমি একটা হাসিমুখ মুখোশ এঁটে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ি, তাদের যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকি নির্নিমেষ।
সীমানাহীন শৈশবের স্বপ্ন আমার সন্তানের চোখে, তারা হাত নেড়ে বিদায় জানায় আমি প্রহরীকে দরজা খুলতে দেখি, হাসিমুখে নিজের অবরোধ মেনে নেই।
---------------------------------------------------------------------------------------
এটা ১০ই মে লিখেছিলাম। তখনও নিশ্চিত ছিলাম না আমার ভবিষ্যত গন্তব্য কোথায়? এখনও দুজন জামিন পায় নি, আমাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে কোনো স্থির সিদ্ধান্ত এখনও জানি না আমরা, আমরা অপেক্ষায় আছি, কোনো এক সময়ে হয়তো এই রাজনৈতিক গোলোযোগ থেমে যাবে, আমি কিংবা আমাদের পরিবার অহেতুক দু:শ্চিন্তা আড়াল করে নির্ঘুম চোখে হাসি টেনে বলবে না ভালো আছি। একটু অসুবিধা হলো এই যা। আমরা নিশ্চিন্ত হাসিতে মেতে উঠতে পারবো আশা রাখি।
বাকস্বাধীনতাও হরণ করতে পারে না। যদি পারতো, তাহলে তো আপনার এই লেখা পেতাম না।
রাসেল ভাই, আপনাকে আবার লিখতে দেখে কী যে আনন্দ হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সত্যিই কিছু বলতে পারছি না আর...
:')
ঋত আর ঋকের গল্পে ভরা কি যে মায়ার গল্প!
ভাইয়াকে দেখে দারুন ভাল লাগছে!
আহ্ কি যে ভাল্লাগছে
... অপেক্ষার প্রহর বড় দীর্ঘ হলো।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসছে
এবার চার হাতে লেখেন রাসেল।
এই রে!! লীনা'পু'র কথা দেখি ফলেই গেলো! আমি অলরেডি লগইন দুইটা রাসেল্ভাই'রে দেখতে পাচ্ছি!!
ও লীনা'পু আমার জন্যে কিছু চাইয়া দেন না গো!
দোয়াগো
পনাকে এবং আপনার লেখা দেখে ভীষণ ভাল লাগছে। ভাল থাকবেন। ভাল থাকুক আপনার পরিবার।
এতো অসাধারন পোস্ট আমি কোনোদিন পড়ি নাই। রাসেল ভাই আপনি পারবেন, আমরা হলে পারতাম না!
দারুণ । খুবই ভালো লাগছে আপনাকে দেখে।
রাষ্ট্র বাকস্বাধীনতা হরণ করতে পারে, কল্পিত অশোভনতার অভিযোগে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে অহেতুক হেনেস্তা করতে পারে কিন্তু আমার সন্তানের কল্পনায় কোনো দেয়াল তারা তুলতে পারবে না।
ঋত আর ঋক ফিরে পেয়েছে ওদের বাবাকে - এটা আজ অনেক বেশী আনন্দের। আর কখনই যেন বাবার অভাব বোধ না করে।
খুব ভাল লাগলো লেখাটা। ভাল থাকুক ঋত আর ঋক এবং ভাল থাকুন রাসেল ভাই।
বন্ধু, খুব ভালো লাগছে তোকে দেখে! তোর পোস্ট দেখে! পড়া শুরুর আগেই তাই মন্তব্যের ঘরে লেখা শুরু করলাম!
রানা
আবার লিখতে দেখে ভালো লাগতেছে রাসেল ভাই। খুব ভালো লাগতেছে।
আপনাকে মুক্ত দেখে অনেক ভালো লাগতেছে রাসেল ভাই...
লেখাটা পড়ে আবেগতাড়িত হলাম।
ভাবী-বাচ্চাদের নিয়ে এইবার আনন্দে দিন কাটান এই কামনা করি।
আপনাকে লিখতে দেখে অনেক ভালো লাগছে রাসেল ভাই! খারাপ সময় গুলো আর ফিরে না আসুক!
অনেক অনেক শুভকামনা, নিরাপদে থাকুন
অবরোধ নয়,এ যেন নিজের গতিকে আরো বাড়িয়ে দেওয়া।
সুস্বাগতম! আপনার ভাষাতেই বলি,
ক-ত-দি-ন পর রাসেল ভাইয়ের এমন দারুণ মায়াকাড়া একটা লেখা । ঋক, ঋতকে নিয়ে এমন মায়ায় কাটুক দীর্ঘজীবন ।
ভাই মাফ করবেন। আমরা শুধু কি-বোর্ডেই পারি। এক ফোটা অশ্রু ছাড়া আর কিছুই দেয়ার নেই।
রাসেল ভাই, কি লিখবো কি বলবো বুঝতে পারছি না ।
ভাই,আপনাকে পেয়ে যে ভাল লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।
ভালো থাকিস।খুবই ভাল লাগছে, আবার তোর অসাধারণ লেখা পড়তে পারব।....
খুব ভাল লাগছে রাসেল ভাই আপনাকে আমাদের মাঝে ফিরে পেয়ে। আশা রাখি আপনি আবার সেই আগের মতই লিখে যাবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রাসেল ভাই।
---- রিয়াজ
ভাইয়া খুব ভালো লাগছে আপনাকে পেয়ে
"এটা ১০ই মে লিখেছিলাম। তখনও নিশ্চিত ছিলাম না আমার ভবিষ্যত গন্তব্য কোথায়?" - অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনেও এমন লিখা যারা লিখতে পারেন, এমনভাবে চিন্তা করতে পারেন, সেই যোদ্ধা দের স্যালুট। অনেক শুভকামনা আপনার ও পরিবারের সবার জন্য।
অনেক অনেক অনেক শুভ কামনা । রাসেল ভাই , ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন,সজীব থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং লিখুন !
শব্দগুলো বড্ড দূরে সরে গেছে .।.।.। বলার জন্য , আজ যদিও আকুতি জানাচ্ছে অবোধ মন . আজ আপনি , কাল হয়তো আমি , অশোভিত রাজনীতির , নির্মম বর্বরতার শিকার হব.। বাক স্বাধীনতা আজ চলে গেছে , ধর্ম ব্যবসায়ীদের অধিকারে , রাজনীতি আজ বিভ্রান্তির অপর নাম . ক্ষমতা আজ পাশবিকতার হাতিয়ার , জীবন আজ ঘোর অমানিশায় খুঁজছে পথ তার । তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি , বলি , ' কে আছ জোয়ান , হও আগুয়ান , হাকিছে ভবিষ্যৎ ' , , , হ্যাঁ , আজ আমাদের সবাইকে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যেতে হবে , নিশ্চিত করতে হবে জীবন আর জীবন্তিকার মুক্ত , কন্টকমুক্ত পাথেয় ; আসুন , সবাই হাতে হাত রেখে , এগিয়ে যাই . সত্য , সুন্দর আর শান্তির সোনালী বাংলা গড়ার পথে . জয় বাংলা ।
রাষ্ট্র বাকস্বাধীনতা হরণ করতে পারে, কল্পিত অশোভনতার অভিযোগে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে অহেতুক হেনেস্তা করতে পারে কিন্তু আমার সন্তানের কল্পনায় কোনো দেয়াল তারা তুলতে পারবে না।
ভালো থেকো রাসেল। ভালো থাকুক তোমার সন্তানেরা।
আপনিও ভালো থাকবেন। আশা করি এইসব গোলোযোগ স্থিমিত হলে দেখা হবে।
বিজ্ঞানপুত্র, তুমার লেখনীতে বড় মানুষের ছাপ দেখিতেছি। বিশি বিশি লিখো, জানিও যাহারা তুমারে আটক করিয়া ফাটকে পুরিয়াছে,ি তাহারা নেহায়েতই দুর্ভাগা এবং লোলচর্মহীন বুকাচুদা। তাহারা জানে না, পিথিবি একটা নিতান্তই ভ্রান্ত ধারমা।
বিজ্ঞানের ছেলে বর্তমান পরিস্থিতিতে "ঘরের কথা বাইরে বলা"র বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। পরিস্থিতি বুঝে একদিন ধুমায়া আড্ডা দিবো, তখন সেইসব কথা বলা যাবে।
শুভকামনা রইলো রাসেল ভাই।
পরিবারসহ ভালো থাকুন, সবসময়...
~
ওয়েল কাম-ব্যাক...
শেয়ার দিলাম ফেবুতে...
অনেক অনেক শুভকামনা। আর কিছু না হোক সন্তানদের জন্য আপনি 'নিয়মিত' পিতা হয়ে ফিরে আসুন। দেশের কি হবে, কি হয় - জানি না। সন্তানের জন্য পিতার বিকল্প কিছু নেই। যেমন নেই মায়ের বিকল্প।
ধিক সেই অপশক্তিকে যারা মানুষের মনের ভাবকে দমিয়ে দিতে চায়। যেখানে খুনি খুন করে নিশ্চিন্তে রাজপথে ঘুরে বেড়ায় সেখানে সামান্য মতপ্রকাশের দায়ে শাস্তি এমন বেদনা ঘটনা আর কি হতে পারে। এগিয়ে যান রাসেল ভাই বিশ্ব আপনাদের পাশে আছে।
ভাল থাকেন, রাসেল ভাই।
ঋক ও ঋতের জন্য অনেক ভালবাসা।
ভালো থাকবেন রাসেল ভাই... আমি আমরা খুবই দুঃখিত এত কিছু হয়ে যাওয়া নিয়ে.. সবসময় একটা ভয়ই কাজ করছিল এই ট্রমা কি আপনার মনে কোন দাগ ফেলে যাবে কি না... এইও ভেবেছি যে এইসব ছাইপাশ রাজনীতির নোংরামী আপনার চেনা বলে তুড়ি মেরে সাহস বুকে নিয়ে উড়িয়ে দেবেন... তখন এই দোয়াই করেছি যে ঋকের মনে যেন কোন দাগ না পড়ে... আবার মাঝেসাঝে এই ভেবে লজ্জাও পেয়েছি যে আপনাকে নিয়ে এত দুঃশ্চিন্তা পরিচিত স্বজন বলেই হয়তো... শয়তানের জন্যও খানিকটা, সামু যুগের পুরনো একসময়ের পরিচিত বলে। বাকীদের কথা কেন ভাবছিনা??!! এইটা কি নীতি না দেখে মুখ দেখা? আপনার, আপনাদের আপনাদের, আপনাদের পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়া এই সময়টুকুতে আমি ভাবছি আর ফিলোসফিক্যাল ভ্যবলামিতে ব্যাস্ত। ...
আপনাকে মুক্ত দেখে ভালো লাগছে.... পরিবার নিয়ে ভালো থাকবেন এইটুকুই কামনা করি...
সবার পরিস্থিতিই একই রকম। এখনও জামিন না পাওয়া দুই জনের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারছি না বিষয়টা বিব্রতকর। বিষয়টা বিচারাধীন এবং তাদের খুব দ্রুত মুক্তির আকাঙ্খা ভেতরে থাকলেও সেটা নিয়ে রাজপথে নামতে না পারার অক্ষমতাটুকু অনিচ্ছায় হজম করছি।
গুড টু হ্যাভ ইউ ব্যাক
কিযে ভাল লাগছে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। ... আর কি লেখা যায় বুঝতে পারছিনা।
আপনে ভাল থাকুন সবসময়
ভালো থাকু্ন
আপনারে লিখতে দেখে খুব ভালো লাগলো রাসেল ভাই
পাঠক সংখ্যা দেখে ভড়কে গেছি।এত এত মানুষের সামনে নিজের লেখা নিয়ে যাওয়ার দু:সাহস আমার ছিলো না।
গত ৬ সপ্তাহে মানুষের কল্যান কামনায় সিক্ত হয়েছে আমাদের পরিবার এবং তারা সবাই একবার না একবার পড়েছেন লেখাটা। অনেকে হয়তো পরবর্তীতেও পড়বেন, তাদের সবার কল্যানভাবনায় থাকতে পারাটা আমাদের পরিবারের জন্যে গর্বের। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
কলম চলবে। মুক্ত চিন্তার জয় হোক। পাশে আছি।
অসাধারন,রাসেল ভাই!!
অপেক্ষায় ছিলাম!
শুভকামনা
নব উদ্যমে শুরু করুন রাসেল। আমাদের মাঝে আবারো আপনাকে স্বাগতম। খাঁচা ভাঙবেই, ভাঙতেই হবে...।।।
Nice to see your writings & beautiful expressions of ur true feelings.. wishing your good time there with your family and friends...
জানি না কি বলব। কয়েকবছর আগে ডটু রাসেলকে/অপবাককে খুব বেশী পছন্দ করতাম না কিন্তু গত দুইতিনবছর রাসেল পারভেজকে ভীষন পছন্দ করি।
গত ৬ সপ্তাহ এ রাষ্ট্র আপনাকে আতিথিয়তা দিয়ে কিন্তু একটা উপকারই করেছে। অনেক মানুষ এখন রাসেল পারভেজ নামের মানুষটার অনেক ভাল ভাল লেখা পড়ছে যা আগে পড়েনি।
ভাল থাকুন।
ভালো থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন।
কি বলবো বুঝতে পারছি না।
সত্যি বুঝতে পারছি না।
আপনাকে কিছু বলতে হবে না মাসুম ভাই, আপনার সাথে দেখা করার সুযোগ খুঁজতেছি, সুযোগ পাইলেই সামনা সামনি কথা হবে
অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।
"রাষ্ট্র বাকস্বাধীনতা হরণ করতে পারে, কল্পিত অশোভনতার অভিযোগে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে অহেতুক হেনেস্তা করতে পারে কিন্তু আমার সন্তানের কল্পনায় কোনো দেয়াল তারা তুলতে পারবে না।" প্রিয় লাইন। অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।
আবার জমবে মেলা, বট তলা-হাটখোলা...
(জানি, প্রায় অসম্ভব। তবু কটা দিনকে দুঃস্বপ্ন ভাবুন, ইরেজ করে দিন জীবন থেকে...)
সকলসময়ই শুভকামনা প্রিয় রাসেল !
সামু'র পর দেখা পাইনি অনেকদিন, তারপর দু:স্বপ্নের মতো একদিন আবিস্কার করলাম পত্রিকায়, টিভিতে।
অপ্রস্তুত আমি এখনও।
ভালো থাকুন।
ওয়েলকাম ব্যাক!!!
পড়লাম। কষ্টপাইলাম। আর কিছু বলার নাই...
ভালো লাগছে।
মন্তব্য করুন