জাপান ডায়েরী ১
নতুন দেশে,নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হলে মানুষের "কালচারাল শক" হয়, আমার মনে হচ্ছে আমি "কালচারাল সাইক্লোন" কিংবা "কালচারাল টাইফুন" এর ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ভাষা মানুষের অন্যতম সহায়, ভাষা মানুষের সাথে অন্য মানুষের সেতুবন্ধন, কিন্তু যখন সেই ভাষিক যোগাযোগের পথ আচমকা বন্ধ হয়ে যায় প্রতিনিয়ত ডাঙায় তোলা মাছের মতো হাঁসফাস করতে হয়।
গত এক দেড় বছর একটা ঝড়ের ভেতর দিয়ে গেলাম, ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখের আগেও আমার ধারনা ছিলো না সামনে এমন দিন আসতে পারে, নিজের জীবন আর ভবিষ্যত গুছিয়ে তোলার আগ্রহ ছিলো, ভাবছিলাম বিলম্বিত হলেও নতুন করে জীবন শুরু করে ফেলতে হবে, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের ধাক্কা দেশের পরিস্থিতি অনেকটা বদলে দিলো আর আমিও সেই স্রতে ভেসে গেলাম।
কয়েকটা ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের সাথে কথা বলছিলাম, কিন্তু ফেব্রুয়ারীর ৫ থেকে সব বাদ দিয়ে শাহবাগ, ইউনিভার্সিটি, একটা অদ্ভুত উচ্ছ্বাস, উত্তেজনার ভিতর দিয়ে কাটলো, উত্তেজনা থিতিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে যখন মনে হলো নিজের দিকে ফিরে আসা প্রয়োজন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তর ঘুরে জেলহাজত আর নিরাপত্তাহীন মানুষের ভেতরে আরও বেশী নিরাপত্তাহীন, অনিশ্চিত রাষ্ট্রে আরও বেশী অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হলাম। প্রায় নিস্তরঙ্গ জীবনে একটা নির্দিষ্ট কেতায় অভ্যস্ত জীবন রাতারাতি বদলে গেলো।  
ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের জন্যে প্রতিষ্ঠান যখন নিয়োগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তখন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাস বিষয়টাকে যতটা গুরুত্বহীন মনে হয় বাস্তবের দুনিয়ায় বিষয়টা ততটা গুরুত্বহীন থাকে না। তারপরের গল্প আরও বেশী বিব্রতকর, রটনা, গুজব এবং বাঁকা দৃষ্টিপাত হজম করে মাথা তুলে হেঁটে যাওয়া প্রতিবাদ না করে , নিজের উপরে ভীষণ চাপ তৈরী করে। সব মিলিয়ে এক দিক থেকে ভাবলে খুব বাজে একটা সময় কাটিয়েছি, কিন্তু একই সাথে চমৎকার কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, স্টে হোম ড্যাডি হিসেবে ছেলে মেয়ের সাথে ভাল সময় কেটেছে।
আবুল মনসুর আহমেদ তার "পাক বাংলার কালচার" বইয়ে লিখেছিলেন উৎসবের দিন বাংলাদেশের একদল হতদরিদ্র মানুষ তাদের শাররিক অসংগতি এবং বিকলাঙ্গতা তুলে ধরে করুনা ভিক্ষা করে, দৃশ্য হিসেবে বিষয়টা অশোভন, একই সাথে দুঃখজনক। নিজের ক্ষত দেখিয়ে করুণা চাওয়ার ভেতরে তেমন আত্মমর্যাদা নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থেকে মুসলীম রাষ্ট্রে পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার রাষ্ট্রীয় বাস্তবতার ভেতরে নিজের অবিশ্বাস মানিয়ে নেওয়া কঠিন কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল ধার্মিক কিংবা ধর্মব্যবসায়ীদের বাইরে বাংলাদেশ ধর্মবিচ্যুত মানুষের জন্যে খুব বেশী ভয়ংকর বসবাসস্থল না। বুক ফুলিয়ে নিজের অবিশ্বাস এখানে বলা যায় না সত্য কিন্তু ধর্ম চর্চায় অনাগ্রহী মানুষদের ধরে ধরে কতল করার পরিস্থিতি এখনও তৈরী হয় নি। যদি সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকে আমরা হয়তো সে দিকে চলে যাবো, তবে এখনও ধর্মহীনতা ঘোষিত রাষ্ট্রীয় অপরাধ না এখানে। ব্যক্তি মানুষ ধর্মহীনতাকে যতটা ভয়ের চোখে দেখে রাষ্ট্র সে পরিমান ভয় কিংবা ঘৃণা চর্চায় অভ্যস্ত হলে অনেকগুলো মৃত্যুদন্ড দেখবে বাংলাদেশ।
এমন ব্যক্তিগত পরিস্থিতিতে যখন জাপানে গবেষণার সুযোগ পাওয়া গেলো তখন খুব ঘনিষ্ট কয়েকজনকে বাদ দিলে অন্য কাউকে জানানো হয় নি কিছুই। প্লেনে ঊঠার সময় একজনকে জানাতে চেয়েছিলাম, ভাবলাম তার ব্যস্ততার সময় হুট করে ফোন করা ঠিক হবে না, পৌঁছে জানাবো। স্যুটকেস খুলে এখনও থিতু হয়ে পারি নি, ৩ সপ্তাহ চলে গেলো। জাপানের অভিজ্ঞতা লিখতে বসে মিশ্র অনুভুতির ভেতরে আছি, পয়েন্ট হিসেবে লিখে ফেলতে হবে
প্রথমত জাপান বদ্ধ সংস্কৃতির দেশ। তাদের কাজের জীবন এবং তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবনে একটা দেয়াল আছে। সে দেয়ালে উঁকি দেওয়া যায় কিন্তু দেয়াল টপকে তাদের অন্দর মহলে ঢোকা কঠিন। আমার মতো তিন সপ্তাহের জাপান দর্শকের জন্যে বিষয়টা আরও কঠিন।
জাপানে নেমেই প্রথম ধাক্কা খেয়েছি এয়ারপোর্টে, যখন ইনফর্মেশন ডেস্কের একজন জানালো সে ইংরেজী বুঝে না, একটা দেশের রাজধানীর নতুন ইন্টারন্যাশন্যাল এয়ারপোর্টের ইনফর্মেশন ডেস্কের লোক ইংরেজী বুঝবে না এটা বিশ্বাস করতে পারি নি। আমাদের নামতে হবে স্থানীয় এয়ারপোর্টে, সেখানের পরিস্থিতি কি হতে পারে? প্রফেসর এয়ারপোর্টে নিতে আসবে এটাই সবচেয়ে আশার কথা। কোনো মনে টিকেটের নাম্বার দেখে প্লেনে উঠতে পারলেই হলো।
এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে যতই ভিতরে ঢুকেছি ভাষাহীনতা ততই বেড়েছে। তবে জাপান জীবনের প্রথমহাইলাইট সম্ভবত এদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম শৃঙ্খলা। বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে আমেরিকাতেও রেস্টুরেন্ট আর বদ্ধ জায়গা বাদ দিলে সিগারেট টানার জন্যে বিন্দুমাত্র ভাবি নি, কিন্তু জাপানের প্রথম সপ্তাহ রাস্তায় সিগারেটের ফিল্টার খুঁজে কাটাতে হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার আগেই হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিলো প্লাস্টিকের বোতল, কাগজের প্যাকেট কোথায় ফেলতে হবে। ভাবলাম এয়ারপোর্ট থেকে বের হলে বুক ভরে সিগারেট টানা যাবে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখলাম কেউ সিগারেট টানে না। ইন্টারনেটে দেখেছিলাম প্রায় ৪০% প্রাপ্তবয়স্ক জাপানী সিগারেট টানে কিন্তু তারা আসলে কোথায় খুঁজে পেলাম না। ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন রাস্তায় খুঁজে স্মোকিং রুমে ঢুকে সিগারেট ধরালাম।
টোকিও থেকে কানেকটিং ফ্লাইটে গন্তব্যের সবচেয়ে কাছের এয়ারপোর্টে [ ৪০ মিনিটের বাসের দুরত্ব ভাড়া ১১৪০ ইয়েন] দরজার সামনে প্রফেসর দাঁড়ানো, আমাদের গেস্ট রুমে ঢুকিয়ে বাসায় ফিরবে। লাঞ্চের পর কিছুই খাওয়া হয় নি, ভাবলাম প্রফেসর হয়তো যাওয়ার পথে খাওয়ার প্রসঙ্গ তুলবে, কিন্তু বেচারা ব্যাগ গাড়ীতে তুলেই গবেষণা নিয়ে আলোচনা শুরু করলো। পরের দিন সকালে অনেক জায়গায় যেতে হবে, কাদের সাথে দেখা করতে হবে তার লম্বা ফিরিস্তির ভেতরে খাওয়ার প্রসঙ্গ আসলো না। প্রায় ১০টায় ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউজে যাওয়ার পথে দেখলাম ম্যাকডোলান্ড, মনে হলো অন্তত সস্তা খাওয়ার পাওয়া যাবে । ইউনিভার্সিটির কাছে কি কনভেনিয়েন্ট শপ আছে সেটার নাম জানিয়ে প্রফেসর বললো ওখানে সব কিছু পাওয়া যায়। তারপর বললো ডু ইয়্যু নো বীয়ার?
খাওয়ার সাথে পানীয়ের যোগাযোগ আছে ধরে নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম বীয়ার আর তেমন কি, প্রফেসব বললো ইউনিভার্সিটিতে বীয়ার আছে,সাবধান থাকতে হবে। বলতে চাইলাম আমার বীয়ারের অভ্যাস নাই, প্রফেসর বলেই যাচ্ছে, হোয়েন ইয়্যু মিট বীয়ার, ইয়্যু নীড টু ক্যারী এ বেল।
বুঝলাম অবশেষে বীয়ার বোতলে বন্দী না, এটা ভাল্লুক, ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে মাঝে মাঝে। প্রফেসর আশ্বাস দিলো তার সাথে এখনও দেখা হয় নি, তবে অনেকেই দেখেছে। সেই জংগলের পাশেই গেস্ট হাউজ। প্রফেসর চলে যাওয়ার পর ভীষণ রকমের ক্ষুধার্ত অবস্থায় স্যুটকেসে টেনে নিয়ে যাওয়া ইন্সট্যান্ট নুডলস গরম করার চুলা খুঁজে পেলাম না।  রাত ১১টায় আর সহ্য করতে না পেরে বের হলাম খাওয়ার কিনতে, কনভেনিয়েন্ট স্টোরে পাউরুটি পেলাম, দাম দেখে মাথা ঘুরে গেলো, ৬ টুকরা পাউরুটি ৮০ ইয়েন, ছোট ছোট স্যান্ড উইচ ১৫০ আর ২১৪ ইয়েন, একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম ক্যান আই হ্যাভ সাম চিকেন?
দোকানী এসে বললো নো ইংলিশ সরিইই, তারপর খুঁজে খুঁজে বললো চিকিন, পর্ক, আমি কথা না বাড়িয়ে সামনে রাখা ভাজা দেখিয়ে বললাম হোয়াট আবাঊট দিস ওয়ান? পটাটো চিকিন, এবং আরও অনেক কিছু বললো, আমি একটা সস্তা দেখে জিনিষ কিনে ফেরার রাস্তা ধরলাম।  ফিরে এসে দেখি গেস্ট হাউজের অটোমেটিক দরজা বন্ধ
পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙলো প্রফেসরের ফোনে, আমাদের জন্যে নীচে অপেক্ষা করছে। তাকে নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে ল্যাব দেখতে যাওয়া, ভবিষ্যতের সহকর্মীদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করার পর ব্যাংক, তারপর পাশের দোকান থেকে খুঁজে খুঁজে একটা সীল কেনা- এতসব ঘটনা ঘটছে কিন্তু বুঝতে পারছি না করনীয় কি। এইসব দৌড়ের ভেতরেই ২টা বেজে গেলো প্রায়, তখনও নাস্তা হয় নি, সকালের প্রথম সিগারেটে তখনও টান দেওয়া হয় নি। লিপি ব্যাংকে, ওর একাউন্ট খোলা হবে,এই সুযোগে একটা সিগারেট ধরিয়ে আয়েশ করে টান দিয়ে নাকে মুখে ধোঁয়া ছাড়ার আগেই দেখি প্রফেসর হাতে কাগজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বললাম আমি পরে ব্যাংক একাউন্ট করলে সমস্যা আছে?
বললো তুমি সিগারেট টানো, শেষ করলে ব্যাংকের কাজ করবো। দ্বিতীয় একটা টান দিয়ে বললাম সমস্যা নাই, চলো ব্যাংকের কাজ শেষ করি।
তুমি চাইলে সিগারেট শেষ করতো পারো, তাড়া নাই, কিন্তু আমার সিগারেটের জন্যে একজন দাঁড়িয়ে আছে বিষয়তা ধুমপানের আনন্দ নষ্ট করে দেয়। সিগারেট ফেলে ব্যাংকে ঢুকলাম। সাদা চামড়ার দেশে বন্দি দাসদের মতো যেদিকে দেখায় সেখানে নাম লিখি, জন্মতারিখ লিখি, বাকী সমস্ত কথা হচ্ছে জাপানী ভাষায়, নিজের নাম আর জন্মতারিখের বাইরে সম্পূর্ণ ফর্মে কি লেখা আছে আমি জানি না। আমাকে যদি বেচেও দেয়, হাসিমুখে বিক্রী হয়ে যেতে হবে। বুঝতেও পারবো না আমাকে বেঁচে দেওয়া হলো। 
ব্যাংকের কাজ শেষ হওয়ার পর বললো হোয়ার ইজ ইয়োর সীল? বললাম আমাদের দেশে তো সই করলেই হয়, আমি তো সই করলাম, কিন্তু এইখানে ইউ নিড ইয়োর সীল টু সীল দ্যা ডিল। জাপানী অক্ষরে রেখা রিকি- আমার নামের সবচেয়ে কাছাকাছি এই  সীল পাওয়া গেছে, সেই সীল বসিয়ে বুঝলাম,জাপান এখনও নিজের প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, ফর্মে ৩টা আলাদা আলাদা তারিখ লিখতে হয়, একটা ২৬ বছর, একটা ৫২ বছর আর অন্যটা আমাদের পরিচিত ২০১৪, জিজ্ঞাসা করলাম ২৬ এর মানে কি?
বলল এটা আমাদের নতুন সম্রাটের অভিষেকের বছর, আর ৫২টা তার বাবার অভিষেকের বছর। বললাম,যদি এই সম্রাট মরে যায় কিংবা যদি নতুন সম্রাট অভিষিক্ত হয় তখন কি ফর্মে ৪টা বছর লিখতে হবে?





অনেক অনেক শুভকামনা
জাপান বাস শুভ হোক!
কোথায় আছেন ? ফোন কিনেছেন ?
শুভকামনা। ভালো থাকেন।
জাপান গেলেন, জানলাম পড়ে। তবে লেখা নিয়মিত পড়তে চাই
আনন্দ এবং দুঃখ মিলানো কেমন যেন একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে রাসেল ভাই।
আপনি চলে গেলেন !
আপনি চলে গেলেন !!
একটা সন্ধ্যা আমাদের সাথে কাটিয়ে যেতেন, না হয় নাই বলতেন। রাস্তার পাশে পা ঝুলিয়ে একসাথে দু'টো সিগারেট খেয়ে যেতেন না হয় ....
(আপনার দেয়া Wrigley's Chewing Gum সদৃশ্য লাইটারটা আলমারির ভেতর আমার শীতকালিন জ্যাকেটের বুক পকেটে সযত্নে লুকানো আছে)
খুব চমৎকার লেখা। জাপানে গেছেন জানতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো রাসেল ভাই।
১ম পর্ব পড়ে আমার জাপানের ডায়েরী সিরিজের কথা মনে পড়ছে। মোবাইল সংযোগ কি নিয়েছেন? বাংলাদেশীরা সাধারনত সফটব্যাংক নামক অপারেটরের সংযোগ ব্যবহার করে কারন এদের প্যাকেজ হচ্ছে রাত ৯টা থেকে রাত ১ টা ছাড়া বাকি সময় সফটব্যাংক টু সফটব্যাংক ফ্রি। ওদের অফিসে গেলে (যদি না গিয়ে থাকেন) বুঝবেন ভাষাগত কি সমস্যা হয়। আশা করি আপনার ক্যাম্পাসে বাংগালী অনেকেই আছে, যদিও জাপানেও দেশের মত জেলাগত বিভেদ প্রকট। আশা করি আপনার জাপানের প্রবাস জীবন আনন্দদায়ক হবে। সিরিজের পরের লেখাগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
বাংলাদেশী খাবারের আইটেমের জন্য ব্যতিক্রম ডট কম এ ঢু দিয়েন। এরা ক্যাশ অন ডেলিভেরি সিস্টেম সরবরাহ করে, এক্ষেত্রে আপনাকে ৭ হাজার ইয়েনের বেশি ক্রয় করলে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি।
অনেক অনেক শুভ কামনা ! জাপানবাস শুভ হোক, সুন্দ্র হোক ! ভাল থাকুন এবং আমাদের জন্য লিখুন !
অনেক অনেক শুভকামনা
জাপান বাস শুভ হোক।
ভাগ্যিস আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো সেদিন। অহনার অভিবাসনের সাথে রাসেলের অভিবাসন মিলিয়ে দেখতে চাই তাই এই সিরিজ নিয়মিত চাইইইইই
অতঃপর..?
মন্তব্য করুন