নাম করণ এবং কিছু..
প্রথমেই বলে নেয়া ভালো, এই লেখা অবশ্যই নিজস্ব ধারণা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা অত্যন্ত অনভিজ্ঞ লেখা। কেউ দয়া করে মন খারাপ করবেন না।
কারণ কে যে কখন কোন কারণে মন খারাপ করে বসে সেটা বড়ই চিন্তার বিষয়। যেমন আমার এক বান্ধবী আমার উপর মহাখাপ্পা হয়ে আছে। কারণটি বড়ই যুক্তিহীণ। অন্তত আমার কাছে। আমার বান্ধবীটির ছোট্ট একটি কন্যা হয়েছে, নাম ইরিন। নামটি খুব সুন্দর, কোন সন্দেহ নেই। শুধু আমার দুষ্টুমি করার প্রবণতা না থাকলেই হতো। দুষ্টুমি মিশ্রিত কথোপকথনটি ছিল এরকম.
- বাহ দোস্ত মেয়েটা আল্লাহর রহমতে তো অনেক সুন্দর হয়েছে। তা নাম ইরিন রাখলি যে?
- কেন নামটা কি সুন্দর না? (বান্ধবীর কণ্ঠে তখন ইতিমধ্যে তপ্তভাব আরকি!)
- অনেক সুন্দর নাম। ধর তোর দ্বিতীয় মেয়ে হলে কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই নাম রাখতে পারবি “মৌসুমী”..
(উল্লেখ্য বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকার মৌসুমীর ছোট বোনের নাম ইরিন)...বলে আমি একটা হাসি দিলাম..
আমার এই কথা শুনে মনে হলো সে পাথর হয়ে গেল। আমার নির্মল একটি দুষ্টমিতে সে আমার দিকে রক্তচক্ষু করে তাকিয়ে থাকলো। যথারীতি কথা বন্ধ কিছুদিনের জন্য।
কি কারণে কথাটা বলেছিলাম সেটার পিছনে আসলে অন্য একটি বিষয় ছিল। বিষয়টি- আমার নাম। আমার বড় বোনের নাম ফারহানা। অতএব নব্বই ভাগ মানুষ চোখ বন্ধ করে আমার নাম বের করে ফেলতে পারবেন। জি, আমি ফারহানার বোন ফারজানা। যেকোন লোক সমাগম-এ “ফারজানা“ বলে হাক দিলে সাথে সাথে অন্তত দশ-বারোটি সারা পাওয়া স্বাভাবিক। একারণেই জীবনের বিভিন্নধাপে আমাকে “ফারজানা” হওয়ার সুবাদে অনেক আলাদা বিশেষণে ভুষিত(!) হতে হয়েছে। যেমন চাশমীস-ফারজানা, লম্বু ফারজানা, মোটু ফারজানা, কাল্লু ফারজানা..ইত্যাদি ইত্যাদি..। এইসব বিশেষণ দেখে কখনোই মনে করা ঠিক হবেনা যে আসলেই আমি তাই। ধরুন, ক্লাসে ৪-৫টা ফারজানা থাকলে কোন না কোন একটি নাম নিজের কপালে থাকতে বাধ্য। কমন নামে যেটা হয় আরকি। সেই ঝক্কি আমি বুঝতে পারি, আমার দাদী বোঝেনি। এই যা..(হায়..)
অতএব নিজের নামকরণের গল্প না বললেই নয়।
আমার এক ভাই এবং এক বোনের পর বেশ ক্ষাণিকদিন পর এই দুনিয়ায় স্টুপিড জোকস নিয়ে আমার জন্ম। এখনকারদিনে এমন দেরী করে জন্মানো বাবুদের অনেক স্মার্ট পরিচিতি থাকলেও আমি পরিচিত ছিলাম "“পেট পোছা"” নামে। এটি আঞ্চলিক একটি শব্দ। ....
দেরী হোক আর যাই হোক, জন্মাইলাম যখন নাম তো রাখতে হবেই। সেটা ভাবার অবসর না দিয়ে মাত্র তেরোদিনের মাথায় আমার ছোট মামা একখানা খাসী নিয়ে হাজির। তিনি বড্ড খুশি ছিলেন ভাগ্নি হওয়ায়। ডাক নাম্ও দিয়েছিলেন টুসি। কিন্তু খাসী জবেহর জন্য যে নামের দরকার সে নামের ঠিক নেই। খাসীর সাথে মওলানা সাহেব এসেছেন আকিকার জন্য। আমরা সবাই যেহেতু খেতে ভালোবাসি, শুনেছি নামের চিন্তা বাদ দিয়ে তখন চুলায় নানা রকমের লোভণীয় খানা চড়ানো হয়ে গেছে। তারমাঝে কিছু নাম এসেছে অবশ্যই। যেমন, আফরীন, আফরিনা, সাবরিন- ইত্যাদি। কিন্তু কোনটিকেই ঠিক করা হয়নি...
যথারীতি ছুড়ির তলায় খাসী, আব্বার মুখে হাসি। মওলানার প্রশ্ন- নাম কি? বাপে তাকায় আম্মার দিতে। আম্মা আকাশ থেকে পড়লেন (বড়ভাইয়ের কাছে শোনা) কারণ তিনি নাম নিয়ে ভাবেননি। দাদু বললো, কি যেন ছিল? (ভাগ্য ভালো আমার নাম - "কি যেন ছিল” হয় নাই"!) মওলানা সাহেব বুঝলেন অবস্থা বেগতিক। তিনি বললেন, আপনেরা সময় নিয়ে নাম ঠিক করেন। মওলানার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে বোবা প্রাণী খাসী তরাক করে লাপ দিয়ে উঠে দাড়ালো ম্ওলানা সাহেবের ছুড়ির নীচ থেকে। খাসী খুশি। কিন্তু ওদিকে খানাতে দেরী হচ্ছে। আমার দাদী হয়তো মনে করলেন, একটা নাম দিয়েই কথা!! বললেন, আর কিথা করথায়, ফারহানার বইন ফারজানা খরিলাও। ব্যাস হাজার হাজার নামের ভীরে আমিও হলাম আরেক “ফারজানা”।
আমাদের ”কমন নাম” এমন ঘনঘটা পর মামা খালাদের পরিবারে “আনকমন” নাম রাখার ঝড় চললো। যেগুলো আসলে বিভিন্ন স্টেজে কমন নাম। যেমন সাদমান। অনেক খুঁজে, খোয়াবনামা- এই বই সেই বই উল্টেপাল্টে এই নাম দিয়ে আকিকা করার পর দেখা গেল ঐ পাড়ায় অন্তত তিনজন নবজাতকের নাম “সাদমান”। আর দুটি নাম, জাইমা এবং জায়ান। আমার কলিগ, প্রাক্তন কলিগ, প্রাক্তণ অফিসের কলিগ (ইনি আরেকজন) এবং আমার স্কুলের বন্ধুর ছেলে হলো একই বছরে, আর বলাবাহুল্য এই চারজনের নাম “জায়ান”। কিছু দিন আগে আমার বন্ধু দম্পতির কন্যার জন্য অনেক খুঁজে পেতে রাখা “"অরা”" , নামটিও এখন কমন। তাও আমার আশেপাশেই।
শেষ করি যে তরিৎকর্মা মামার কারণে আমি "তালপট্টি ফারজানা" ( আমার কপালে একটি কাটাদাগ আছে..), সেই মামার ছেলের নামের ইতিহাসের সারমর্ম দিয়ে।
তার পুত্র হবার পর না হলেও হাজার ক্ষানেক বই ঘেটে দেড়মাসের মতো সময় নিয়ে বিভিন্ন নাম ঘুটা দিয়ে যে নাম রাখা হলো তার অর্থ হলো এমন- আনন্দিত পরস্ফুটিত সুবাসিত কন্টকহীণ ফুল!...
তখন মনে হয়েছিল ফারজানা নাম নিয়ে বিদুষী হয়ে থাকাটা মন্দ নয়..
এই লাইনটা সবচে' ভালো লাগলো। এই ব্লগেও একজন ফারজানা আছেন।
আর কোন টা?..
আর নাই।

রুমিয়া নামটার অর্থ কী?
নুশিপু এইটা জানেন না? রুমিয়া হইলু রু্সমত মিয়ার সংক্ষেপ!
আমার নাম মামুন...বোঝেন তাইলে কত উপমা আমার নামের আগে পড়ে জুড়েছে এ জীবেন
লম্বু, পাগলা...পথিক....আর কত কত
আমাদের স্কুলে দুইজন রবি ছিল। আমাদের নতুন নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করে একজন ধলা আরেকজন কালা। নাম বেশ বর্ণবাদী হলেও ওদের কোনো বিকার নাই। একবার ধলাকে খুঁজতাছিলাম কোনো এক কারণে, পেলাম আমার প্রিয় বন্ধু কালা রবিকে। জিজ্ঞেস করলাম, "ঐ, রবিরে দেখছস?" ও জিজ্ঞেস করে, "কোন রবি?"

যাই হোক, আমাদের কালা রবির এখন নতুন নামকরণ হইছে। স্যামসাং এ জব পাওয়ায় ও এখন স্যামসাং রবি
'০৬ এর পোলাপানও নিছে নাকি ঐখানে??
কুয়েট০৬
বুয়েটে চান্স না পাইলে আপনাগো লগে জব কর্তে পারতাম
আপু, আমি ইদানীং এত নাম পাইতেছি, নিজের নামটাই ভুলে যাবো মনে হইতেছে।
আনকমন নাম হিসাবে এখন গাছ আর ফলের নামে মানুষের নাম রাখা যেতে পারে
আর আমার নামের পোলা নাই আমার জেনারেশনে তাতো হতেই পারে না। তানভীর দিয়া দুনিয়াটা ছারখার। অনেকে আবার ঢঙ্গাইয়া আমারে তানভীরা বলে >)
আরে আমার বর্তমান অফিসে মাত্র ৪ বছরেই পেলাম ৫-৬ টা তানভীর। তাও আবার একজনের বানানটা এমন: Tanveeer. বাংলায় হয়তো তানভীঈর হবে।
আমরা তখন থার্ডইয়ারে পড়ি।ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ক্লাস নেন সিএম মোস্তফা।উনি ক্লাসে পড়ানর চাইতে অন্য বিষয়ে লেকচার দেন বেশি।আর কিছু হলে দাড়াঁ করায় রাখতো।একদিন ক্লাসে এসে ঘোষনা দিলেন আগামী সপ্তাহে সবার নামের মিনিং জিজ্ঞাসা করা হবে।সেই মোতাবেক সবাই নামের মিনিং জেনে আসলো।
আমাদের ক্লাসে ছিলো ''লিপন'' নামের একজন ছিলো তাকে নামের মিনিং জিজ্ঞাসা করাতে সে খুব ভাবলেশ কন্ঠে উত্তর দিলো ''লিপ মানে ঠোটঁ আর অন মানে খোলা''।স্যার তার জন্য পরপর দুই সপ্তাহ দাড়িয়েঁ থাকার আদেশ জারি করলেন।
মজার মজার কাহিনীর সরস পরিবেশনার জন্য রুম্পাকে অভিনন্দন ।
আসলেই অভিনন্দন। আরেকটা ঘটনা মনে পরলো। আমার অফিসে দুই মামুন। আমরা একজনকে ডাকি 'মামুন' আর আরেকজনকে 'আল মামুন'। কিন্তু উনাদের বাসায়তো উনাদেরকে 'মামুন' নামেই ডাকে। তো যাই হোক, একদিন অফিস ফোনে ফোন আসে:
। মানে বউ মাঝে মাঝে যেভাবে স্বামীতে ঝারি দেয়।)

পিওন: হ্যালো।
মহিলা: মামুনকে দিন।
পিওন: (বস্ মামুনকে ডাকতে চলে যায়)
মামুন: হ্যালো।
মহিলা: (চরম ঝারি দিয়ে বকা বকি
মামুন: কনফিউজ্ড !!! (কন্ফিউশন দুর করে ও আল মামুনকে ডাকে)
আল মামুন: হ্যালো
মহিলা: পুরা ভ্যাবাচেকা।
ধন্যবাদ...আমি চেষ্টা করি মাত্র...
চিন্তার বিষয়!
নাম রাখা আসলেই একটা কঠিন কাজ।
বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ , সাভার বিপিএটিসি । এনডব্লুডি টেলিফোন সংযোগ নাই । ৪৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী --বিভিন্ন ক্যাডার ও স্থান থেকে । ডর্মিটরির করিডোরে একটা সেট রাখা আছে -- লোকাল কল করা যায় । কিছু কায়দা কসরত করে এনডব্লুডি কলও করা যায় কালেভদ্রে ।
তারই চেস্টা করছিলাম । রিসিভার রাখতেই রিং টোন । অপর প্রান্তে মহিলা কন্ঠঃ 'নাজমুল হুদা সাহেবকে ডেকে দিন তো' ।
আমিঃ 'জী, বলুন, আমি নাজমুল হুদা বলছি' ।
অপর প্রান্তঃ 'আমি তার স্ত্রী বলছি' ।
আমিঃ 'আমার স্ত্রীর কন্ঠস্বর বলে মনে হচ্ছেনা, সেটা তো আমার অতি পরিচিত' ।
অপর প্রান্তঃ 'কি জ্বালায় যে পড়লাম' ।
আমিঃ 'ভাবী, প্লিজ, একটু হোল্ড করুন, সৈয়দ নাজমুল হুদা আমার পাশের রুমে থাকেন, তাকে খবর দিচ্ছি'।
হুদা ভাইয়ের টেলিকথন পড়ে হাসলাম।
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে।
একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, ফারজানা নামের মেয়েদের অধিকাংশই সুন্দরী হয়, আমার দেখা অন্তত জনা ছয়েক ফারাজানাকে তেমন দেখেছি।
সাত নম্বরে এসে আপনার এই ধারণা ভেঙে যাবে আমার সাথে দেখা হলে...
ফারজানা নামের একজন আমাদের সংগে এবি'র পিকনিকে গিয়েছিল। সেই 'ফারজানা' আপনি নাতো?
না ঈশান ভাই, ইনি রুম্পা। ফারাজানা নিকে যে আছে তাকে আপনি চিনতে পেরেছেন। আমাদের ডাক্তার ফারজানা।
ঈশান ভাই..পিকনিক কবে ছিল?? আমি যাই নাই তোহ...
আমার এক বন্ধু আছে। তাদের ভাই-বোনদের নামগুলা ব্যাপক!!!

বন্ধুর নাম কিন্তু, তার ভাইয়ের নাম এবং
বাকিগুলার নাম জানি না!!
নচেৎ, অথবা হৈবার সমূহ সম্ভাবনা!!!
নাম নিয়া পুরান একখান জুক্স কই:
এক ব্যক্তির নাম 'চাঁন মিয়া' শুইনা অপর ব্যক্তির মন্তব্য:
"চাঁন্দের নামও চাঁন, আবার মাইনসের নামও চাঁন!! আঁর ভাই জোরাঢোলা যদি হুইনতো হাইসতে হাইসতে মইরতো"
ফারজানা নামটা পার্সোনালি আমার অনেক পছন্দ , যত কমনই হোক
এমন আরও অনেক নাম আছে , যেগুলো খুব কমন , কিন্তু অনেক পছন্দের ।
আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয় , আমরা বাঙালীরাই নাম নিয়ে বেশ চিন্তা করি । আর কোথাও নাম নিয়ে গ্যাণ্জাম নাই । পৃথিবীর অনেক দেশে তো বাপ-বেটার একই নাম , ঝামেলামুক্ত
নামের ব্যাপারে দুই/তিনটা জিনিস খারাপ লাগে আমার :
১। আত্মীয়-স্বজন-পরিজনের মধ্যে কারও কোন নাম অন্য কেউ রাখতে চাইলে দেখা যায় বিরাট মাইন্ড খাওয়াখাওয়ি অবস্থা হয় , নাম রেজিস্ট্রি করে রাখার অলিখিত এই নিয়মটা বাজে লাগে খুব
২। আনকমন নাম রাখতে গিয়ে ইদানিং কি যে সব নাম রাখা হয় , শুনলে দুঃখ লাগে । যেমন আমাদের ওখানে এক পিচ্চির নাম -- "মাটি" । কিউট মেয়েটাকে যতবার দেখি , দুঃখ লাগে (জানিনা , এটা হয়ত আধুনিক নাম)
৩। ডাকনাম জিনিসটা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই , তবে আমার নিজের বেলায় এটা আমার পছন্দ না । আমার ডাকনাম "শাওন" । ১৩/১৪ বছর বয়স থেকে এটা আমি নিজেই বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছি , এবং সফল । এখন এটা পুরোপুরি বিলুপ্ত
নাম নিয়ে আমার কিছু কথা:
১) মাসুদের ভাই অবশ্যই মাসুম, যেমন রুবেলের ভাই রাসেল, হেলালের ভাই বেলাল, মণির বোন মুক্তা, জেসমিনের বোন ইয়াসমিন এবং নাসরিন।
২) 'জ' দিয়ে নাম রাখার চল এখন। যেমন রুম্পা বললেন। জায়ান, জিহান, জাওয়াদ, জারিফ, জুনাইরা, জাইমা, জায়না। জুয়েনা আমার মেয়ের নাম, আমার পছন্দের, একটু পুরনো মনে হয়। জ দিয়ে চাইনীজ রেস্তোরা আছে কয়েকটি, এগুলোর চেইন নাম....জিয়ান, জিয়ামিন, জিনডিয়ান, জিনজিয়ান, জিংলিং অবশ্য ওদের না।
৩) আমার পরিচিত এক পরিবারের চার ছেলে। বড়টা স্বাভাবিক নাম, সাগর। বাকী তিন জন (চরম অবিশ্বাস্য নাম, এতোই আনকমন যে পৃথিবীতে ওয়ান পিস হবার রেকর্ড করতে পারে)। ২য় - নেতা, ৩য়- সেনাপতি, ছোট- কর্নেল।
৪) আধুনিক নামের বহর দেখেন, গল্প। শুনলেই কেমন যেন লাগে। আরাম পাইনা।
৫) নাম নিয়ে আমার সবচে' প্রিয় স্মৃতি- তখন আমরা ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম করতাম। একজন বড় ভাই ছিল, ফারুখ। আমরা পিকনিকে গেলাম উনি সবাইকে বললেন নাম দেন, মেয়ের নাম। সবাই নাম দিলো, আমিও দিলাম, শাল্মলী। পরে শুনি আমার নামটাই রাখা হয়েছে।
আপু কমন পরলো তোহ..
আমার পরিচিত তিন ভাই, মেজর, কর্ণেল আর ক্যাপ্টেন- এরা আছেন..আরো তিনভাই ছিল কলোনিতে , রকেট, সকেট, বুলেট..বিশেষ করে তিনটির সেট করে ভাই বোন হলে এমন নাম মনে বেশি হয়.. 
আমার এক বন্ধুরা ৮ ভাই বোন ছিলো, তাদের নাম সবকটা ছিলো এরকম ... প্রথমা, দ্বিতীয়, তৃতীয়া , চতুর্থ , পণ্চম ... আমার বন্ধুর নাম ছিলো সপ্তম ... আজব হলেও ঘটনা সত্য , যদিও এর কারন অনুসন্ধানে আমরা এখনো ব্যার্থ
হা হা হা। " আমার এক বন্ধুরা ৮ ভাই বোন ছিলো, তাদের
নাম সবকটা ছিলো এরকম ... প্রথমা, দ্বিতীয়,
তৃতীয়া , চতুর্থ , পণ্চম ... আমার বন্ধুর নাম
ছিলো সপ্তম"
@অনন্ত ভাই, আপনার বন্ধু ও তার ভাইবোনদেরকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
আর হ্যা, সব্বাইকে শারদীয় দুর্গোৎসবে আমাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রইলো।
মন্তব্য করুন