কলি কথা ৪ - মিশন কাশ্মীর
ঝিলের শহর- নৌকার বহর
দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার ট্যাক্সিভ্রমণ শেষে এসে পৌঁছালাম ডাললেক...মনের মাঝে কিছু ছবি আছে আঁকা সেই কবে থেকে। গোলাপী রঙের বাড়ি... নৌকা-বাড়ির সারি...টলটলে জল... ফুল বোঝাই শিকারা আরো কত কি! ডাললেকে পৌঁছানোর সাথে সাথে ক্লান্তি ভাব চলে গেল নিমেষে। তখন উৎকণ্ঠা আর কৌতূহল ভর করেছে আমাদের দুজনের মনের উপর। ভাবছি, কি করে পৌছাবো আমাদের নির্ধারিত হাউজবোটে।এখানে এসে কিভাবে কি করবো- এই চিন্তা যেন দুশ্চিন্তায় পরিণত না হয় একারণে আমরা দিল্লী থেকেই হাউজবোট ঠিক করে এসেছি। কারণ মনে আছে তো, কাশ্মীরে নো ফোন- নো সহজ কমিউনিকেশন..!!
অবশেষে রনজিতের ফোন থেকে কল করে আশ্বস্ত হলাম যে আমাদের হাউজবোটে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্ধারিত শিকারা আসছে। তার আগেই আমাদের লাগেজ নিয়ে ঘাটের অন্যান্য শিকারার মাঝিরা টানা হেচড়া শুরু করে দিয়েছে। তারা হাতি ঘোড়া দেখানো শুরু করলো যে, তোমাদের নিতে আসবেনা কেউ। মাত্র ২০০ রূপী (মাত্র!) দিলে তোমাদের দিয়ে আসবো। আমরা হয়তো রাজিও হয়ে যেতাম। কিন্তু রনজিত জানালো, হাউজবোট ভাড়া নিলে রাত্র নয়টা পর্যন্ত ঘাট থেকে আসা-যাওয়া করার শিকারা ওরাই দেয়..আমাদের ভাড়া করার দরকার নেই। তখন বুঝলাম ডাল লেক এড়িয়ায় ”ডাল মে কালা নেহি কালে মে ডাল” আছে!! এখানকার লোক গুলো ট্যুরিস্টদের খসানোর পায়তাড়া করতে তাড়া করে সর্বাত্মক।
অবশেষে আমাদের শিকারা এলো। হাউজবোটের ছেলেটাকে দেখে চমকে উঠলাম..আরে এ দেখি সেই রিয়েলিটি শো-এর কাজী তৌকির!! আসলে কাজী তৌকীর না, এদের অনেকের চেহারাই একরকম। একশব্দে বলা যায়, সুন্দর। শিকারাও কম সুন্দর নয়। মখমলের কাপড়ে মোড়া আসন- রাজা রাজা ভাব। আমরা উঠেই হেলান দিলাম। রওনা দিলাম হাউজবোটের উদ্দেশ্যে। হাউজবোটের নামগুলো বেশ মজার, ”হনলুলু”, ”শিকাগো”, ”বোম্বে”- বিভিন্ন জায়গার নামে। ডাললেকের প্রায় ৬০% জায়গা দখল করে নিয়েছে হাউজবোট। ডাললেকের পানির নীচে জমে থাকা লতা-গুল্ম আর অসংখ্য রঙীন পাখি দেখতে দেখতে চলে আসলাম আমাদের হাউজবোটে।
সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি হাউজবোট গুলোতে আছে খোদাই করা সুক্ষ্ম কারুকাজ। অসাধারণ।
একেকটি হাউজবোটে কমপক্ষে ৪টা করে রুম। এর মধ্যে একটি আবার ”হানিমুন-কক্ষ”। আমাদের রুমটা অবশ্য সাধারণ একটা ছিল। রুমের সাথে লাগোয়া বাথরুম, গরম-ঠাণ্ডা পানির সুব্যবস্থা সহ। আর ডায়নিং স্পেস-টিভিরুম- ড্রয়িংরুম হচ্ছে একটি। হাউজবোটের সামনে আছে বসার জন্য সোফার ব্যবস্থা। ছোট্ট একটু খোলা ডেক এবং খোলা ছাতি। তবে.. হমম এখানে একটু ”তবে” আছে। বাংলাদেশি বলে তারা আমাদের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে দেয়নি, যা প্রথমেই আমাদের মেজাজ খারাপ করে দেয়। আর রাত্রী নয়টার পর কিছু করার নেই ভাবতেই আরো বিমর্ষ হয়ে যাচ্ছিলাম প্রায়। কিন্তু সেই ভাবনাকে প্রশ্রয় না দিয়ে ঝটপট তৈরি হয়ে গেলাম শিকারা ভ্রমণের জন্য।
মজার ব্যাপার হলো, যাতায়াতের শিকারা ফ্রি হলেও, এই শিকারাভ্রমণ কিন্তু ফ্রি নয়। গুণতে হয় অনেকক্ষাণী টাকা থুক্কু রূপী। আর এগুলো যে ফ্রি নয়- এটা কিন্তু ওরা আগে থেকে বলবেও না। আমরা আঁচ করতে পেরেছিলাম বলে বেচে গেছি। এবং প্রস্তুতও ছিলাম।
এদের যাবতীয় চতুর কৌশল থেকে কি করে বাঁচা যায় ভাবতে ভাবতে চড়লাম শিকারাতে। বলতেই হয়- কি যে সুন্দর-!কি যে সুন্দর!! বলে বোঝানো মুশকিল। আসলেই ভূস্বর্গ।
এই শিকারা নিয়ে গেল লেকের নানা দিকে। যাচ্ছি আর ভাবছি, আর মুগ্ধ হচ্ছি। ওয়াটার গার্ডেন দেখে ভিড়লাম একটু দ্বীপের মতো স্থানে। ওখানে রেস্টুরেন্ট আছে। দুপুরের খাবারটা খেলাম সেখানেই। হাউজবোটে রাতের আর সকালের খাবার নিশ্চিত। তাই কোন খাবার সাথে নিলাম না আর।
আবার শিকারাতে উঠতেই বিপদ! এও ”পাপাজি” দ্যা গ্রেটের মতো ফ্লোটিং মার্কেটে নিয়ে গেল। যেতেই হবে। দেখতেই হবে। না হলে আসছো কোন - টাইপ অবস্থা। দেখলাম। মুখ কালো করে। দোকান দর্শন শেষে শিকারাতে উঠতেই আরো বিপত্তি। দুপাশ থেকে দুই নৌকা দোকান হাজির রকমারি পসরা নিয়ে। ”কিনো” ”কিনো” শুনতে শুনতে মেজার খারাপ হবার উপক্রম। আর সেকি দাম। ঢাকায় যে কানের দুলের দাম ১০০ টাকা সেটা চায় ৩০০০ রূপী!! আমরা মন এবং মুখশ্রী শক্ত করে ফিরে এলাম হাউজবোটে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতেনা পারায় ”পাজী” তৌকীরদের ২৮ গুষ্ঠি উদ্ধার করে পরদিনের ভ্রমণের জন্য তৈরি হয়ে ঘুমাতে গেলাম। তার আগে ডিনারের কথা না বললেই নয়। ব্যবহার যতই বাজে হোক, খাবার কিন্তু ফ্রেশ আর উপাদেয় ছিল অবশ্যই।... হয়তো এজন্য ঘুমটাও ফাটাফাটি হলো।
সোনমার্গ - ঘোড়াওয়ালার রাগ- আমাদের দেমাগ
পরদিন বেশ সকালে রওনা দিলাম সোনমার্গের উদ্দেশ্যে। রনজিত আগে থেকেই ঘাটে আমাদের জন্য তৈরি। আমরাও হাউজবোট থেকে নানা রঙা পাখি দেখতে দেখতে ঘাটে এসেই রনজিতকে দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। এমনিতে শ্রীনগরের ডাললেকের আশেপাশের আবহাওয়া বেশ গরম। কিন্তু সোনমার্গে যাওয়ার পথে রীতিমত হিম করা আবহাওয়া টের পেলাম। পাহাড়ি ক্ষরস্রোতা নদীর ধার ঘেষে রাস্তা যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। মাঝে ফটোসেশনের জন্য থামলাম।
মিলিটারি ঘেরা জায়গাটা বেশ সুন্দর।গরম গরম চা হাতে নিতে না নিতেই ঠাণ্ডা হয়ে গেল। চা খেয়েই আবার রনজিতের রথে চড়ে রওনা হলাম..
ঘণ্টা চারেক বাদে এলাম সোনমার্গ। সোনায় সোহাগা সোনমার্গ বললে ভুল হবে না। ঠাণ্ডা হিম আবহাওয়া। পাহাড়-ভ্যালী। আবার বরফও আছে..মনটা ভালো হয়ে গেল গাড়ি থেকে নেমে।
বুক ভরে নির্মল বাতাসটা নিলাম। ঢাকায় যেটার বড্ড অভাব।
কিন্তু হা- চাঁদেরও কলঙ্ক আছে, সোনমার্গে আছে ঘোড়া ওয়ালা!!
মানে?
মানে হলো, গাড়ি থেকে নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ঘোড়াওয়ালা এসে ঘিরে ধরলে আমাদের। বরফ পর্যন্ত নিয়ে যাবে- দুই ঘোড়াতে নিবে মাত্র(!) ৪০০০ রূপী! পথে ৭টা স্পট দেখাবে। শুনে আক্কেল গুঢ়ুম। জানতে চাইলাম- 'বরফ কই"..অনন্তের দিকে আঙুল তুলে বললো 'ঐ দিকে'...আমরা ভাবলাম, একটু বুঝে শুনে নেই।..হাটা শুরু করলাম। হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতন পিছে আসতে থাকলো ঘোড়া ওয়ালারা। এরপর দলে যোগ দিল টাটা সুমোওয়ালা। দুজনকে বরফ নাগাদ পৌঁছে দিবে মাত্র (!) ৩০০০রূপীতে। এতোই বিরক্ত করলো যে আমরা পারলে দৌড় দেই। আমার বর একটু পর বলে উঠলো, আমরা ঘোড়ায় চড়ি আর না চড়ি- ঘোড়াওয়ালারা তো ঠিকই হেঁটে যাচ্ছে রাশ টেনে। তারমানে যেখানে বরফ সেখানে হেঁটে যাওয়া যায়!!.. অতএব হেঁটে রওনা দিলাম। পাশে তখনও ঘোড়া ওয়ালারা ফুসলে যাচ্ছে- বলে যাচ্ছে,যেতে পারবে না..অনেকদূর..-এই সেই। কিন্তু আমরা চললাম।
এতো সুন্দর পাহাড় বেয়ে হেটে যেতেই ভালো লাগছিল। একটা পার হলাম..দুইটা...পাশে দিয়ে ঘোড়াওয়ালারা যেতে যেতে টিটকারি দিচ্ছে!..আমরা পাত্তাই দিলাম না।
আরেকটা বাঁক পার হতেই দেখলাম,সেই নদীটা...খরস্রোতা...এখানে একদম পাশ ঘেষে যাচ্ছে... যেখানে বরফ আছে, সেই বরফ গলেই এই নদী। এজন্য এত্তো ঠাণ্ডা!
আরো কিছুক্ষণ পরে এসে পৌছুলাম নদীর ধারে। একটা ছুপরি। অসাধারণ মজার ডিমভাজা-টোস্ট খেয়ে নদীতে পা ভিজাতে গেলাম। বর দেখি মিটিমিটি হাসে..হাসার কারণ বুঝলাম পানিতে পা দিতেই .. লম্ফ দিয়ে জম্ফ দিলাম জিরো ডিগ্রি পানির ধাক্কায়..
কোনমতে পানি থেকে উঠে ঝুপড়িওয়ালাকে জানতে চাইলাম বরফ কতদূর...একমাত্র এই লোকটাই পথের আসল দিশা দিলো..বললো- হেটেই যাওয়া যাবে..
মনে বল পেলাম..হাটা শুরু করলাম..
অবশেষে ঘোড়াওয়ালার "অভিশাপ" পেতে পেতে এলাম বরফের কাছে..নিজের চোখে দেখলাম বরফ ভেঙে নদী হওয়ার রহস্যময় দৃশ্য...এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে!
আর হ্যা..যাওয়া আসা মিলে মোট ১৭কিমি (৮.৫+৮.৫) হেটেছি আমরা এই কলেবর নিয়ে..দুজন দুজনের পিঠ চাপড়ে রওনা দিলাম ডাললেকের দিকে..
গুলমার্গ যেন হিমাগার- বোনাস বরফঢাকা সেই পাহাড়!!
পরদিন গুলমার্গ... সকালবেলাতেই রওনা দিলাম। রনজিতের পাঞ্জাবী গান শুনতে শুনতে মুখস্ত হবার যোগাড়!! গতদিনের হাটার রেকর্ডে আমরা আজকেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- নো ঘোড়া। গাড়ি থেকে নামতে ভূস্বর্গের দস্যুরা এসে হাজির..মানে ঘোড়া ওয়ালারা। ওদের পাত্তা না দিয়ে জায়াগাটার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম প্রাণ ভরে। জানলাম, শীতে ভ্যালী ভরে বরফ জমে থাকে..এখনও আছে...তবে গন্ডোলা করে যেতে হবে পাহাড়ের চূড়ায়..দুদফার গন্ডোলা ভ্রমণ শেষে যে পাহাড়ের চূড়া সেখানেই আমার প্রিয় বরফের আস্তরণ। হাটা দিলাম..আবার টিটকারি- যেতে পারবে না। অনেক দূর..বলুন তো কতদূর? মাত্র দশ মিনিটের হাটা..এরা তো পারলে শ্বাস নেয়ারও টাকা চার্জ করে.. তাই খুব সাবধানে টিকিট কাটলাম-দুই নম্বর-তিন নম্বর মানুষ এড়িয়ে..মজার কথা হলো, সবকিছুরই নির্দেশনা কিন্তু দেয়া আছে..তাও মানুষ দুই নম্বারী করতে গিয়ে শয়ে শয়ে রূপী গচ্চা দেয়..
আমরা গচ্চা দিলাম না ..প্রথম গন্ডোলা করে যে পাহাড়ে নামলাম, সেই পাহাড়ে মেঘ আর মেঘের ছড়াছড়ি..পরেরটায় ফকাফকা সূর্য্য..কারণ এখন আমরা মেঘেরও উপরে যে!!.. আর পাশেই বরফের স্লিপার টাইপ অংশ...প্রায় ৫০মিটারের মতো বেয়ে উঠলাম বরফের মাঝপথ পর্যন্ত..দুই হাতে খাবলে ধরলাম সফেদ তুলোর মতো বরফগুলোকে...মনে হলো আমি একজন পাঁচ বছরের শিশু.
বরফে লুটোপুটি করে নেমে এলাম নীচে..ভারতবর্ষের শেষ দোকানে চা খেয়ে নিলাম। কারণ পাশের পাহাড়ই পাকিস্তান যে...
কিছুক্ষণ বসে রইলাম চুপচাপ। এতো সুন্দর জায়গা। হয়তো সারাদিনই এভাবে কাটিয়ে দেয়া যায়।
কিছুক্ষণ বাদে রওনা দিলাম পরের পাহাড়ে...সেখান থেকে ট্যাক্সিস্ট্যান্ড...হালকা পাতলা খাবার..শ্রীনগরে ফিরে আসা। এরপর শ্রীনগরে বেশ রাত পর্যন্ত ঘুরাঘুরি...পরদিন আকবরের কাণ্ড দেখে কলকাতায় ফিরবো বলে ঘুম দিলাম আয়েশ করে।
দুষ্টু আকবরের আকবরী কাণ্ড!
পরদিন প্লেন অনেক পরে।তাই রনজিত নিজে থেকেই বললো, টিউলিপ গার্ডেন, মোঘল গার্ডেন, শ্রী আচার্য মন্দির, পরী মহল দেখাবে...
প্রথমেই মন্দির দেখলাম সেই কোন চূড়ায় উঠে...তারপর টিউলিপ গার্ডেন..এতো সুন্দর ফুল..আর এতো্ই বড় যে আমার চারটা মুখের সমান!
সেখান থেকে মোঘল গার্ডেন..আকবরের রুচীর প্রশংসা না করলেই নয়..সেই আমলে পাহাড়ের চূড়ায় সাজানো বাগান করা চাট্টিখানি কথা নয়। ম্যানুয়াল ফোয়ারা, কৃত্রিম ঝরনা..পাখি, ফুল কি নেই!!..
আর তার চেয়েও উপরে পরীমহল..আকবর সাহেব আসলেই রসিক ছিলেন বটেক..কাশ্মীরের পাহাড়ের চূড়ায় পাহাড়, তারও আরোওওও উপরে পরী-মহল..বুঝেছেন.. মহলের তাৎপর্য??
সেখন থেকে আকবর ফোর্ট তো দেখা যায়ই, পুরো শ্রীনগর দেখা যায় একবারে...আকবরের তারিফ করতে করতে এবার সোজা এয়ারপোর্ট..অসাধারণ জায়গা আর মনকাড়া খাবার পিছনে ফেলে রনজিত ছুটলো আমাদের নিয়ে..অবশেষে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পেড়িয়ে বসে রইলাম প্লেনের অপেক্ষায়..
শেষ হইয়া্ও হইলো না শেষ-
বলা হয়নি তাইনা।কাশ্মীরের শ্রীনগরে রমজানে কিন্তু সিনেমা থিয়েটার বন্ধ থাকে..তাই..বসে ছিলাম কলকাতা ফিরে এক থা টাইগার দেখবো..কিন্তু কেমনে? প্লেন কলকাতা নামবে রাত ১০টায় আর শেষ শো রাত ১১.১৫! দিল্লী নেমে সেই বন্ধু দম্পতিকে টিকেট কাটতে বলে দিলাম কানেকটিং ফ্লাইট ধরার ফাঁকে..প্লেন কলকাতায় নামলো ৯.৫০...হোটেল ফিরলাম ১০.৪০...লাগেজ রেখে বন্ধু দম্পতির কাছ থেকে টিকিট নিয়ে সোজা এলিগ্যান্ট রোড..ফোরাম..১১.১৫ তে হলে প্রবেশ- সালমান দ্যা গ্রেটের এক থা টাইগার... আহ শান্তি...!
হোটেল ফিরতে ফিরতে ২টা...ভোর ৫.১৫ তে দেশের বাস...
আহ এই না হলে ভ্রমণ..৩০ রোজা বলে নো যানজট- নো লেট..এককথায় গ্রেট আলহামদুলিল্লাহ..বাসায় ফিরে ইফতার করেই চানরাতের শপিং করতে বের হলাম...আর কাশ্মীরের গল্প বলা শুরু করলাম...
তা কেমন লাগলো??
এত্ত সুন্দর কিছুর প্রতি মুগ্ধতা বলে বোঝানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
কাশ্মীর আর আপনার এই পর্বের লেখনী, দুটোই অসাধারণ।
ধন্যবাদ...
সত্যি বলছেন তো??
জি আফা!
সবগুলো লেখাই অপূর্ব।
তবে সেরাদের সেরা হচ্ছে এ পর্ব... অসাম..
ছবিগুলোও
আজকে আরো ছবি দিবো..কালকে কেনো যেন লোড হচ্ছিল না..
অসাধারণ ! সেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার আনন্দকে শেয়ার করার জন্য..
হ, ভাল্লাগসে! ৫নম্বর ফটুটা কি কুনো ইন্ডিয়ান নায়িকার?
সেম কুচ্চেন!
ফটুক সেরাম হইসে! বাই দা ওয়ে, ভারত কিন্তু যাইতেসি না
তাতে আমার কি??..
৫ নং না, ৪ বা ৭ নম্বর ফটুকের কতা কৈতাছো মনে অয়

ইশশশশ....
কিরে, এইরম হইলো কেম্নে? আমি কি অংকে কাঁচা নাকি ষড়যন্ত্র করে ছবি উল্টা পাল্টা করা হইছে
অমায়িক পোষ্ট অসাম জার্নি!
ধন্যবাদ...
ঝর ঝরে লেখা।
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ..
চমৎকার লেখা। খুব ভালো লাগলো।
এইবার ঠিকাছে
কি সুন্দর জায়গা
... যাইতে পারলাম না 
কে মানা করলো আপনাকে..
ঘুরে আসেন... 
তোমরা তো নিয়া গেলা না
আপনেরা টোনাটুনি আর ছানা যান..ঘুরে আসেন..আর দল বেধে যেতে চাইলেও আছি..
আমাদেরকে একবার গাইড রাগ হয়ে দিললীতে বলেছে, দিদি আপকো ম্যায় মুফত মে ঘুমাও।
আসলে তখন নতুন জীবন শুরু হয়েছে তোমাদের মত, গাইডের উতপাত চাছছিলাম না
আমার খুব কাশমীর যাওয়ার শখ, আমার ওনি ভয় পায়, রাজী হয় না। তোমার কি কপাল, পুরাই উলটা
আলহামদুলিল্লাহ....

...চলেন দল বেধে বেড়ায় আসি..
মনে বড় আশা ছিলো যাবো কাশ্মীর...
যাউক আপ্নের পোস্ট পইড়া খানিকটা হইলেও আশাপূর্ণ হইলো।
যাক অবশেষে কোন দম্পত্তি পেলাম যারা একাই কাশ্মির ঘুরে এসেছে। আমি কাল নেটে সার্চ দিয়ে লেখাটা পেলাম। দারুন করে লিখেছেন। আমিও এমন কাউকে খুজছিলাম যে কাশ্মির ঘুরে এসেছে কারণ আমরা আমি আর আমার স্বামী দুজনে এই অক্টোবরে যাবার প্ল্যান করেছি ইনশাল্লাহ যাবো।
আমারআপনার কাছে কিছু জানবার আছে, যদি উত্তর দেন আমার উপকারে আসবে।
১। কলকাতা থেকেও তো জাম্মু যাওয়া যায় আপনার কেনেো যাননি??
২। জাম্মু থেকে কাশ্মির বা শ্রীনগর যাবার ব্যবস্থ্যা কি শুধু ট্যাক্সি না কি বাস ও আছে??
৩। জাম্মু থেকে কাশ্মির বা শ্রীনগর যাবার এই ট্যাক্সি ভাড়া কত??
৪। হাইজ বোটের ভাড়া কেমন??
৫। আগে বুকিং না দিলে কি হউজ বোটে থাকা যাবে না??
৬। আপনারা যে টায় ছিলেন তার নাম্বারটা কি আমাকে দেয়া যায়?
৭। ঘুরে বেড়ানোর জন্য কি গাইড লাগবে??
৮। গুলমার্গ গন্ডোলার টিকিট কি আগেই কাটতে হবে না কি ওখান থেকে কাটলেও হবে।
৯। আমরা ৫/৬দিন থাকবো কাশ্মির এ। এই কয়দিন কোথায় কোথায় বেড়ানো যায়?? জায়গা গুলো নাম এবং যাবার উপায় কি একটু বলে দিবেন।
১০। ওখানকার হোটেলের ভাড়া কেমন??
আমি এই সব জানতে চাইছি কারণ আমি আমার স্বামীকে পুরো ভ্রমনটা উপহার দিচ্ছি তার জন্মদিনে তাই আমার বাজেট করতে সুবিধা হবে।
আপনি চাইলে আমার ই মেইল এ উত্তর গুলো দিতে পারেন। আমার ইমেইল এড্রেস:
lubnaz73@hotmail.com
আশা করি বিরক্ত হবেন না।
মেইলটা চেক করবেন প্লিজ..
মেইলটা একটু আগেই পড়লাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রিপ্লাই দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
প্রিয়জনেষ,
আমি ও আমার এক বন্ধু চট্টগ্রাম থেকে ২৬ তারিখ রওনা হচ্ছি কাশ্মিরের উদ্দেশ্যে। আমাদের ভ্রমন সূচি নিচে দিলাম। আপনার গুরুত্বপূনর্র মন্তব্য আশা করছি। সাথে শ্রীনগরে হোটেল ভাড়া ও আনুমানিক ফুডিং কস্ট জানালে উপকৃত হতাম। শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ, গুলমার্গ,পহেলগাও এর গাড়ী ভাড়া কি ধরনের? আমরা ৪ জন এডাল্ট ও আমাদের তিন মেয়ে যাচ্ছি। অগ্রিম ধন্যবাদ রইল।
জম্মু – কাশ্মীর ভ্রমন’২০১৩
২৬/০৯/২০১৩ (বৃহস্পতিবার) : সন্ধ্যা ৫.৩০ টায় : চট্রগ্রাম থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা।
২৭/০৯/২০১৩ (শুক্রবার) : আনুমানিক দুপুর ৩ টায়: কলকাতা পৌঁছানো।
২৮/০৯/২০১৩(শনিবার) : রাত ১১.৫৫ টায়: কলকাতা থেকে কাশ্মিরের উদ্দেশ্যে রওনা।
৩০/০৯/২০১৩ (সোমবার) : দুপুর ১২.৩০ টায়: জম্মু পৌঁছানো।
: দুপুর ২.০০ টায়: জম্মু থেকে শ্রীনগরের (২৯৩ কি:মি:)উদ্দেশ্যে রওনা।
: রাত ৯.০০ টায়: শ্রীনগর পৌঁছানো। রাত্রিবাস-শ্রীনগরে।
০১/১০/২০১৩ (মঙ্গলবার) : সকাল ৭.০০ টায়: ডাললেক ফ্লোটিং মার্কেট, ডাললেক ও নাগিন লেকের
মাঝে গার্ডেন, হজরতবাল মসজিদ, মুগলগার্ডেন, শঙ্করচার্য মন্দির প্রভৃতি ভ্রমন।
দুপুর ২.৩০ টায়: যুসমার্গ (৪৭ কি:মি) ভ্রমন। রাত্রিবাস-শ্রীনগরে।
০২/১০/২০১৩ (বুধবার) : সকাল ৭.০০ টায়: শ্রীনগর থেকে গুলমারগ (৪৬ কি:মি) যাত্রা ও
রোপওয়ে চড়ে খিলানমার্গ বেড়ানো। শ্রীনগরে-রাত্রিবাস।
০৩/১০/২০১৩ (বৃহস্পতিবার) : সকাল ৭.০০ টায়: শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ (৫১ কি:মি)
যাত্রা ও বেড়ানো। দুপুর ৩.০০ টায়: শ্রীনগর ফিরে ডাললেকে
শিকারা ভ্রমন। শ্রীনগরে-রাত্রিবাস।
০৪/১০/২০১৩ (শুক্রবার) : সকাল ৭.০০ টায়: শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁও (৯০ কি:মি:)যাত্রা। রাত্রিবাস।
০৫/১০/২০১৩ (শনিবার) : আরুভ্যালি, বেতাবভ্যালি, বেইশরন দর্শন।রাত্রিবাস-পহেলগাঁওয়ে।
০৬/১০/২০১৩ (রবিবার) : চন্দনবাড়ি (১৬ কি:মি:)দর্শন। রাত্রিবাস-পহেলগাঁওয়ে।
০৭/১০/২০১৩ (সোমবার) : সকাল ১০ টায়: পহেলগাঁও থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে রওনা।
সন্ধ্যা ৭.২০ টায়: জম্মু থেকে নিউ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা।
০৮/১০/২০১৩ (মঙ্গলবার) : আনুমানিক সকাল ৪.৩০ টায়: নিউ দিল্লি পৌঁছানো।
: নিউ দিল্লি থেকে দুপুর ১ টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা।
০৯/১০/২০১৩ (বুধবার) : সকাল ৬.১০ টায়: কলকাতা পৌঁছানো।
: সকাল ১০ টায়: কলকাতা থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা।
১০/১০/২০১৩ (বৃহস্পতিবার) : আনুমানিক সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম পৌঁছানো।
মন্তব্য করুন