এলেবেলে স্টেটাস-২
১.
স্বীকারোক্তি
আমাকে দিয়ে বিপ্লব হয়নি..
ভাতের মাড়ের দিনগুলোত মনোযোগ ছিল খাবারে..
একটুও যেন উপচে না যায়
একটুও যেন পাতে কম না পড়ে..
বিপ্লবে তখন মন নেই..
মন ছিল খালি থালাটার দিকে..
থলেটার শূণ্যতা ছিল চোখে
আমাকে দিয়ে বিপ্লব হয়নি..
বছর শেষে পরীক্ষার ফিস মিস না করার টেনশনে
যেন টিউশনিটা হাতছাড়া না হয়- আনমনে
যেন সবার সাথে যেতে পারি ক্যান্টিনে
আমাকে দিয়ে বিপ্লব হয়নি..
মাস শেষে পকেটের টান সহ্য হয়নি বলে
দিন শেষে পেটের টান মানতে পারিনি বলে
প্রতি ঘণ্টায় নিজের ধূসর প্রতিবিম্ব সহ্য করিনি বলে
আমাকে দিয়ে বিপ্লব হবে না
মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টা কাটাতে পারিনা তাই
বেলাশেষে ফ্যান ফুলস্পিডে দিয়ে গুটিশুঁটি মারতে চাই
অপরিচতর হাত ধরতে শঙ্কায় মরে যাই..
জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত মানুষ বিপ্লবী হতে পারে না
জীবন সে সুযোগ দেয়না
আমাকে দিয়েও বিপ্লব হয়নি
আমাকে দিয়ে বিপ্লব হবে না..
২.
ইশারা
মনের ঠাঁই দিও
বাহানা বানিও
চুপটি করে থেকেও শুধু ইশারাটাই দিও
ভেবো দূরে থেকেও
কাছে দূরে রেখেও
ইথার-ইথার বোনায় নাহয় আপন করে নিও
প্রার্থনাতে নিও
মনের মাঝেই রেখো
অল্প স্বল্প গল্পে শুধু - স্বস্তি দিয়ে যেও
স্বপ্নে ভেবে নিও
বৃষ্টি হয়ে নেমো
ফোঁটায় ফোঁটায় তুমুল ছন্দে ভাসিয়ে দিয়ে যেও
কঠোর মনের আড়াল থেকে
একটু দেখে যেও
কাঁদছে নাকী মনের মাটি
এবার ভেবে নিও..
বিউটিফুল!
কস কি মমিন!
দুইটাই চমত্কার, ইজি ইয়েট স্ট্রং!
স্ট্রং কই? পুরাই এলেবেলে..
প্রথম বর্ষে সবাই বিপ্লবী হতে চায় !
২য় বর্ষে পেছনে টান পড়ে একটু !
৩য় বর্ষে নামটা মুছে যায় অনেকের
বিপ্লবী দল থেকে নয় শুধু, কলেজ থেকেও !
এইতো জীবন ! বাঙ্গালীর জীবন !
দারুণ লিখেছেন ! তবে বড্ড দেরি করে । ভাল থাকুন ।
১ম বর্ষ থেকে শেষ পর্যন্তের গল্প তো আছেই।
সেই সাথে আছে কারো কারো পায়ের অদৃশ্য শেকল।
সেটা কোন বর্ষেই পাদুটোকে মুক্ত হতে দেয় না।
মন্তব্য করুন