এলিয়েনের ঈদ
প্রতিবার ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে খুব সকালে উঠতে হতো।কারন জামাত ৯ টায় হলেও আমার বাপজানের চিল্লাচিল্লিতে ৬ টার পর বিছানাতে থাকা অসম্ভব।
তাই এবার ঈদে যখন হাউজমেটের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম তখন ভাবলাম ইউনির বাস মনে হয় মিস করে ফেলেছি কারন ৭ টা ৩৫ শে বাস আর ঈদের জামাত ১০ টায়। মসজিদে যেতে আমার এই জংগল থেকে টানা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট লাগে বাসে। না ঘুম থেকে উঠে দেখি না সময় আছে বাসা থেকে পাঠানো পাঞ্জাবী পড়ে টুপি মাথায় দিয়ে আগেরদিন রাতের রান্না করা সেমাই খেয়ে (অবশ্য সেটা সেমাই না বলে আটার দলা বললে ভালো হতো কারন সেমাই আর দুধের অনুপাত ঠিক না হওয়ার কারনে দলা পেকে গেছিল।) রওনা দিলাম বাস ধরার জন্য।
বাসে উঠতে যাবো ড্রাইভার হাওমাও করে কি জানি কয় বুঝলাম ব্যাটা ড্রেসের কারনে বুঝতেছে না আমরা ইউনির ছাত্র কিনা?যখন আইডি বের করে দেখালাম তখন পাকসা দেখে বললো ওকে।
বাস মেইন ক্যাম্পাসে নামায় দিলো ওখান থেকে মেইন ক্যাম্পাসের বাংলাদেশি স্টুডেন্টদের সাথে নামাজ পড়তে গেলাম মসজিদে।আমি ভাবছি কয়জন আর লোক হবে ওমা গিয়ে দেখি পুরা মসজিদ মসজিদের সামনের মাঠ এমনকি রাস্তার ফুটপাথেও লোকজন বসে আছে। আমরা গিয়ে ছাদে বসলাম।ঠিক দশটায় নামাজ শুরু হলো সারাজীবন ৬ তাকবীরে নামাজ পড়ার অভ্যাস এখানে দেখি হুজুর খালি আল্লাহ আকবার বলেই যাচ্ছে। পড়ে বুঝলাম ১২ তাকবীরে নামাজ।যাইহোক নামাজ শেষ করলাম ছাদের উপরেই দেখলাম মালেশিয়ান গুলা লুংগী বদলায়ে প্যান্ট পড়তেছে আর ইন্দোনেশিয়ান গুলার দেখলাম সে কি চুলের বাহার।প্রতিদিন কমপক্ষে চুলের পিছনে ঘন্টা খানেক ব্যয় করে। নামাজ শেষে নিচে নামলাম দেখি মসজিদ থেকে ফ্রী ড্রিংক্স আর পানি দিচ্ছে।নিলাম নিচের লোকজন প্যাকেটে করে ভাত,শর্মা,ভেজিটেবল রোল খাচ্ছে।ভাবলাম কোন গ্রুপ বোধহয় বাসা থেকে রান্না করে আনছে পরে দেখি না কিনে খাচ্ছে লোকজন।আমরাও কিনে খেলাম ভেজিটেবল রোল।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দেখি একলোক জোর করে হাতে এক বাটি কাস্টার্ড ধরায় দিলো উনি বাসা থেকে তৈরী করে আনছে এনে সবাই কে খাওয়াচ্ছে।খেলাম আহারে আগে ঈদের সময় আম্মা বাসাতে কত কি রান্না করে রাখতো মুখেই দিতাম না।
মসজিদ থেকে মেইন ক্যাম্পাসের এক বন্ধুর বাসায় গেলাম সন্ধ্যায় এসোসিয়েশনের পার্টি তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কি আর করা দুপুরে ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেলাম গল্প গুজব করে সন্ধ্যায় পার্টিতে জয়েন করে রুমে ফিরতে ফিরতে রাত ১১ টা।
ঈদ শেষ।
বিষণ্ণতায় উৎসব উদযাপন; মন খারাপ হলো পড়ে। তবে এলিয়েনদের সান্ধ্য ঈদপার্টির বিবরণ না দেয়ায় মাইনাস!
শর্মা জিনিসটা চিনতে পারছি না কেন?
এটার অন্য কোন নাম আছে?
সান্ধ্যপার্টিতে আর কিছুই না এক প্যাকেট ল্যাম্ব তেহারী সাথে চিকেন আর টুনা চপ খাওয়া দাওয়া,
আর শর্মা হচ্ছে রুটির মধ্যে চিকেন মেয়েনিজ সালাদ দিয়ে মাখামাখি করে রোল করে খাওয়া।যা ছোটবেলাতে আমরা রুটি বা পরোটার মধ্যে আলুভাজি বা ডিমভাজি দিয়ে খেতাম।
তাই নাকি! আমার এক বন্ধু বলেছিলো চট্টগ্রামের কোন একটা শুকনা ধরণের মিষ্টির নাম শর্মা।
কানাডা গেলে শর্মা খাওয়া মিস হবে না। টার্কিস কাবাব এক ধরনের। হল্যান্ডে আগে মাটনেই বেশি করতো আজকাল দেখি বীফ চিকেন সবতেই হচ্ছে।
আমিও এলিয়েনের বিবরন মিস করে কষ্টিত হলাম
কষ্ট ভাগ করলে কমে।আসেন ভাগাভাগি করি।
অহনার খবর কি???????????
আমি চট্টগ্রামে শর্মার অন্যতম ভোক্তা। একটা দোকানেই পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ লাকী প্লাজার নীচতলায় ফুড ফেয়ার। এরাবিয়ান শর্মা নামে বিখ্যাত। খেতে চাইলে দিন তারিখ ঠিক করেন, আগামী আড্ডায় শর্মা চলতে পারে
আমার ভাগটা আপনিই খান নীড়দা, আমি আদর্শ মেছোভেতো বাঙালী, একেবারেই মিটলাভার না
আমার এক বন্ধু (বেচু মিয়ার গলির সেই বিখ্যাত মন্ত্রীবাড়ীর মেয়ে) নাইজেরিয়ায় থাকে। ওদের বাড়ীতে মুরালির মতো শক্ত বালুসাইয়ের মতো দেখতে মিষ্টি বানিয়ে বড় কার্টনে ভরে বিদেশে নিয়ে যায়। সেটাকে দেখেছি শর্মা/সর্মা বলে ওরা। তাই কনফিউজড।
কি বলেন আপা... শর্মা চিনতে পারছেন না? সামুব্লগে এক সময়ের হিট আইটেম ছিল
... কে কে যেন কার কার সাথে শর্মা খাইতে যাইতো 
আপনার জন্য শর্মা

গ্রিল চিকেন শর্মা .. এইটা ঢাকার বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন টেস্ট
শর্মা হাউজের বিফ শর্মাটাও মজা লাগে
শর্মা হাউজ কোথায়, টুটুল ভাইয়া? আমরা বর-বউ দুইজনই স্পেশাল দিবস ছাড়া বাইরের খাবার খেতে চাইনা। একটু ইয়ে মানে শুচিবাই টাইপ ব্যাপার আর কি! একবার রাইফেলস স্কয়ারে দুর্দান্ত ক্ষিদা লাগায় শর্মা খেয়েছিলাম। দু'জনেই শর্মার মহাভক্ত হয়ে গেলাম। পরে শাহবাগে এক রেস্টুরেন্টে খেয়ে দেখলাম ভিন্ন টেস্ট। মজা নাই।
রাইফেলসএরটা চমৎকার তবে অর্কিড প্লাজার নিচে একটা আছে সিসলিজ (সম্ভবত)... এইটা আমার প্রথম পছন্দ

ধানমন্ডি ২৭ এ একটা আছে... শর্মা প্যালেস/হাউস নাম এই শর্মাটা একটু অন্যরকম... স্বাদও
রাপা প্লাজায়ও এক্টা শর্মা হাউজ আছে।ভালো ওদরেটাও।
ধানমন্ডি ২৭ এ শর্মা প্যালেস।
কে কার সাথে শরমের মাথা থুক্কু শরমা খায়া আসছিলো সেইসব স্মৃতি কি হ্যান্ডশাওয়ার হয়া গেছে? কিছু জাবর কাটেন
শর্মা বিষয়ক এই পোস্টের দ্বিতীয় কমেন্টস
এর পর এই পোস্ট তারপর আরো আছে... শর্মা বিষয়ে কিছু অনুভুতিমালা...
সেই সময় আমাদের বকলম ভাইজান রেসিপি বিলাইতো
ইয়ে টুটুল, কার কথা কও, কও না!
টুটুল ভাই@আমরা নতুন মানুষ কে কার সাথে যাইতো??????একটু কন না।
তুমি তোমার বান্ধবির কথা ভুইলা গেলা? যে আমাদের খিচুরি খাওয়াছিল গুলশানে
ওহ। ভুলি নাইরে। স্মৃতি তুমি বেদানা। শর্মা হাউজেরটা তুমি মিস করছিলা। আফসুস তোমার জন্য।ছবি আছে। পাঠাবো নে।
শর্ম খাইছিলাম মধ্যপ্রাচ্যের এক দেশে। আহা...........
আর খাইলাম জেনেভা ও প্যারিসে তার্কিশ কাবাব। আহা.....
সেই তুলনায় দেশেরটা পুরাই ভুয়া.....
শর্মার গল্প শুনতে শুনতে হয়রান হয়ে গেলাম।আবার যাওয়া লাগবে মসজিদে।
নুশেরা, আমি আরো ভাবছিলাম সামনের ঈদের জন্য তোমার কাছ থেকে শর্মার রেসিপি নেবো। রুটিটা কীভাবে বানায় এটা জানতে চাই। আর এখন দেখি তুমি বলছো...।
আমার আনাড়িপনা এইভাবে চৌক্ষে আঙুল ঢুকায় না দেখাইলে চলতো না?
এরকম পেইনলেস ঈদ কাটানোর সুযোগ আমার অন্তত কখনো হয় নি। সেটা ভেবে খুশী হতে পারেন।
পেইনলেস বলতে কি বুঝায়লেন বুঝতে পারলাম না।
আর ঈদ-টীদ এগুলো কি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আমার তো মনে হয় না।
ঈদ-টীদ কেন গুরুত্বপূর্ণ না এটা একটু বুঝায় দেন উদাহরণসহ।।

অনেক বছর পর এবার ঢাকার বাইরে ছিলাম ঈদে। ফলে যেটা হয়েছে বিভিন্ন দিকে ঘুরে সময় কাটিয়েছি। কিন্তু তাতেও যে কম পেইন খেতে হয়েছে এমন না।
ঈদে কাস্টার্ড, পুডিং, পাস্তা, বিরানী রান্না করেছিলাম। আমিও একা বাসায় ঈদ উদযাপন করি, ভালৈ লাগে অবশ্য।
হুম। সামনের ঈদে ভাল লাগবে আশাকরি।
হুমমম। মন খারাপ কইরেন না। আবার এক ঈদে মায়ের হাতের মজার রান্না খাবেন নিশ্চয়ই। আর নিজেও কিছু রান্না শিখেন। নেক্সট ঈদে যেনো সেমাই আটার দলা না হয়। সেমাই রান্না সবচেয়ে সোজা।
রান্নাতো শিখতেছি। এই যেমন সেদিন রাইসকুকারে পায়েস রান্না করতে গিয়ে চাল সিদ্ধই করতে পারলাম না।
ওর্রে, বেশ মজাদার ঈদ কাটাইলেন তো!!
হাহা, অনেক কপাল ভালো বস আচনের, সত্য কথা।
আমরা ঈদের দিন ল্যাব করছি, ক্লাস করছি, এলকায় বাঙ্গালী বলতে আমরা সাকুল্যে ৬জন।
উইকেন্ডে না হওয়ায় ঈদের ছুটি বলতে কিছু নাই, স্বন্ধ্যায় আবার ক্লাস করছি, রাইতে চাইনিজের দোকান থেইকা অর্ডার দিয়া কানপুঙ্গি আইনা খাইছি কেবল, সেডাই যা পালন।
এর মাঝে ঈদের দিন নামজ কি আর পাঞ্জাবী কি?
সকালে উইঠা আমাদের ৬ জনের ৩ রুমের এক রুম থেইকা একজনে " ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে----" গানডা ধর্লে সে কি ব্যাপক রসিকতা হৈলো যে!!
পরে নেক্সট এভেইলেবল উইকেন্ডে সবাই মিল্ল্যা একটু ঘুরাঘুরি করলাম শপিং মলে, নিজেরা রান্না বান্না ইত্যাদি!!
বিলাই কেমন আছ? দেখি না কেন?
আচ্ছা, ঘুরাঘুরি শপিং মলে কেন?
বিলাই মুটামুটি, একটু ঘরে বাইরে করে, নেটের স্পীড সংক্রান্ত জটিলতা---এইজন্য একটু কম কম।
আর শপিং মল?
আর কৈ যামু? রাস্তায় হাঁটার কিছু নাই, শপিং মলে অনেক চোখধাধানো সামগ্রী আর মানুষ আর ইত্যাদি আরকি---
কিংবা কেউ হয়তো এক জোড়া মোজা কিনবো, সেইডা কিন্তে ৫/৬ জন গেলাম আরকি, পরে কাছাকাছি রেস্তোরায় খানিদানি, সেডাই ঈদ, আর কি?!!
শাওন ব্যানার কেমনে বানাইলা?????একটা পোস্ট দাও।
ব্যানার বানাইলাম তো আমি : ভাঙ্গা পেন্সিলের আধা টেকি পোষ্ট, ব্যানার কথন নামক পোষ্ট দেইখা দেইখা আগ্রহী হৈয়া, ওডাতে একদম বিগেইনারদের জন্য টিউটোরিয়াল দেয়া, ঐডা দিয়া শুরু করলেই মনে হয় হবে, পরে নিজেই সব বাইর করা যাবেনে!!
আমি ভাঙ্গা চুড়া কৈরা হাতুড়ী চালাইতাছি, এখন শিখতাছি একটু একটু আরকি---
হ শাওন।কোরিয়াতেও দিন বদলায়তেছে।
দেশে এসে ফাঁকি দেয়া সব ঈদের মজা একবারে করে নেবেন :( । ভাল থাকবেন আর শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তার জন্যতো দিন গুনতেছি।
আপনের কাছে কিন্তু আমার ফুচকা পাওনা আছে।
ভাইডি জাপানে চলে আসেন। প্রতি ঈদে বিশেষতঃ রোযার ঈদে(মানে গত যে ক বছর ধরে আছি আর কি, ইউনির ছেলেরা, বিশেষ করে ব্যচেলররা) নামাজ শেষ করেই বেশীরভাগ ঈদেই আমার বাসায় চলে আসে, তারপপর সকালের খাবার খেয়ে ঘুরতে বের হয় বাড়ি বাড়ি। সব ভাবীরাই প্রস্তুত থাকেন সকাল এবং দুপুরের খানা কনফার্ম করার জন্য। আর সন্ধ্যায় তো পার্টি থাকেই।
এবার ঈদের দিন সকালে সবার জন্য করেছিলাম, সেমাই, পোলাউ, চিকেন চপ, ভূনা গরুর গোশত, দেশী রুই মাছ, সবজি আর চিংড়ি ভূনা, সালাদ।
অবশ্য পরিবেশনের সময় আমি থাকটে পারিনি, এটাই যা আফসোস!
যাক মন খারাপ করবেন না, এটাই জীবন। একটা বিয়ে করে ফেলেন
তাহলে মায়ের জন্য কম মন খারাপ হবে। আর আপনারে সেমাইয়ের দলাও খেতে হবে না।
সংবিধিবদ্ধ সতরকীকরণঃ বিনামূল্যে পরামর্শের জন্য গালি দেওয়া নিষেধ।
তাইলে তো সেইটা সবচে বেশি খায় এই বান্দায়
(
আসলে আমাদের এখানে বড় সমস্যাটা হচ্ছে লোকজন নাই। আমরা সর্বসাকুল্যে ছয়জন।আপু-ভাবী নাই।
বিয়ে করে আমারে রাইন্ধা খাওয়াবো না আমি তারে রাইন্ধা খাওয়ামু এটা আগে থেকে জানলে ডিসিশন নেয়া সহজ হইতো।
গ্রামীণের একখান বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখায়, " প্রিয়জন কাছে না থাকলে, বাতাস-পানি আর আলোর সব আয়োজনই ব্যর্থ" ঈদ আমাদের হাড়ে হাড়ে সেই কথা মনে করায় দেয় ভাইটি। এখন পর্যন্ত মা'ই আমার সেই প্রিয় মানুষ। খাবার সেরাম মিসাইনা, মা কে যেভাবে মিসাই! অন্যান্য ঈদ যেমন -তেমন গেলেও এবার ঈদ কহতব্য নয় রে ভাই এরাম গেলু
এলার্জির কারণে নামাজে যাওয়া হলো না শেষ পর্যন্ত। ঘরবন্দী আমি প্রায় সারাদিনই বন্ধুব্লগেই ছিলাম।
সিদ্দীকা কবীর বগলদাবা করে আনেন নাই আসবার সময়? অবশ্য নেট ক্লিকাইলেই হাজারো রেসিপি পাইবেন। যদি রান্ধনে আপনার নেক্ থাকে তো..মনে রাইখেন দুনিয়ার সেরা কুক কিন্তু পোলারাই, তাই শাপলা আপুর বিয়েই
ভালো থাইকেন ভাইটি।
সে তুলনায় আপনার ঈদ এক্কেবারে মন্দ যায়নাই কিন্ত
সমস্যার সমাধান হইতারে না কখনোই
কথা ঠিক।ঈদের দিন আম্মার সাথে কেন জানি কথা বলতে পারি নাই। খাওয়া দাওয়ার চাইতে আসলেই আম্মাকে খুব মিস করেছি।
আসলে থাকি ডরমিটরীতে এখানে রান্না নিষিদ্ধ।কিন্তু ক্যান্টিনের ওইসব আমি খাইতে পারি না তাই রাইসকুকারে সব কিছু রান্না করতে হয় এইজন্য মাঝেমধ্যে ইচ্ছা থাকলেও করা হয় না।
আহ্, স্টুডেন্ট লাইফের ঈদগুলার সাথে অনেক মিল পাইলাম। তবে জাপানে মোটামুটি মুসলিম থাকে এমন সব শহরে একটা করে ইসলামিক সেন্টার থাকে। ওদের উদ্যোগে সব ঈদেই নামাজের পর খেজুর, মিস্টি, বড়া -- এরকম নানান পদের খাবার ফ্রি খাওয়া যায়।
প্রবাসী ঈদের বর্ননা শুনতে এডভেঞ্চারের আনন্দ পাই কেন যেন

এডভেঞ্চার!!!!!!!!!!!!!!!
কাটাঁ গায়ে মরিচ-লবনের ছিটা দিলেন নীড় দা।
আরে না ভুল বুইঝেন না, আমি কথাটা ভিন্ন মাত্রায় বলছি। নিজের এডভেঞ্চার হইছিলো কিনা দেশের বাইরে কয়েকটা ঈদ কাটাতে গিয়ে
তবে নেক্সট ঈদের যেন কোন সমস্যায় না পরেন তার জন্য ঈদ-উল-আজহা'র রান্নার লিস্ট দিয়া দিলাম
থ্যাঙ্কু টুটুল ভাই।

দুপুরে ডিম ভাজি দিয়ে ভাত? আহারে! শোনেন, রান্নাটা শেখেন। খুব সহজে রান্না করা য়ায় এরকম মজাদার কিছু রান্না শিখে নেন। আশা করি, আগামী ঈদে আপনাকে ডিম-ভাত খেতে হবেনা। ঠিক আছে, ভাইটি?
ওকে রান্না মোটামুটি শিখে ফেলায়ছি। খালি একটু লবণ বেশী হয় আর হলুদ-মরিচ বেশী হয় এই আর কি।

ঈদ-টীদ আসলেই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না এবং আপ্নে পেইনলেস ঈদ কাটাইসেন।
কুনো উদাহরণ দিতারুম্না। মানলে মানেন, নাইলে নাই।

ইদানিং খুব ফাকিঁ দিচ্ছেন মীর।
নুশেরাপুরে দিয়ে এমন ঝাড়ি খাওয়াবো তখন বুঝবেন।

আসলে আপনার টা শূণার পর নিজের সেই ভুলে যাওয়া দিন মনে পরে গেল।২০০৬এ এমন ই এক কঠিন ঈদ উদযাপন করেছিলাম চায়না তে। ঈদ এর দিন সকাল ৮টা থেকে ক্লাস ,১২টা পর্যন্ত ,তারপর খাওয়ার কিছু ছিল না।বিস্কুট খেয়ে আবার ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস।বাসায় ফোন করলাম---মা বারবার জিজ্ঞেস করে সেমাই খেয়েছি কিনা?অথচ সারা রজায় ই ঠিক মত খেতে পারিনাই।এসব ত র বাসায় বলা যায় না।সন্ধায় আম্ রা ৪ জন মিলে rice cooker এ খিচুড়ী রেধেছিলাম।আমার মনে হয়েছিল এর চেয়ে মজার কন খাবার হতে পারেনা।
সরমা খুব মজা।আমার fuwang এর টা বেশী ভালো লাগে।DHANMONDI তে ভালো পাওয়া যায়।
লেখা ভালো হোয়েছে,কিণতূ আণেক ছোটো হোয়েছে।
বাসাতে জিজ্ঞাসা করলে কত কিছুর নাম যে বলতে হয়। এই কাল যেমন খাইছি একটা তরকারী দিয়ে বলার সময় চার/পাচঁটার নাম বলে দিলাম।কাল কপাল ভালো ছিলো ওয়েবক্যামে দেখতে চায়নি।অবশ্য যেদিন মাছ মাংস রান্না করি সেদিন কথা বলার সময় ইচ্ছা করে দেখায় দেখায় খাই।তাহলে পরেরদিনের গুলো ধরতে পারে না।

তোর ঈদের দিনের গল্প পড়ে আমার নিজেরটাও লিখে ফেলতে ইচ্ছে করলো। যদিও আমার গল্পে রূপ-রস বলতে গেলে কিছুই নাই। তবুও দেখি হাবিজাবি কিছু একটা লিখে ফেলবো।
লিখেন।ইদানিং আপনে অনেক ফাকিঁবাজ হয়ছেন।আপনি সেই পাকিস্তানীর কাহিনী লিখলেন না।
আর হ্যাঁ মাসিক শিশুবার্তার প্রকাশিত হওয়ার সময় কিন্তু ঘনিয়ে আসলো।
মন্তব্য করুন