চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৮
যেই দেশে থাকি শীত ভালোই পড়ে। আসার আগে জানতামও সেটা যেই কারণে ঢাকা নিউমার্কেট আর ঢাকা কলেজের সামনে থেকে অনেক শীতের কাপড় কিনে এনেছিলাম। পরে দেখালাম আমার ধারণার বাইরে বেশী শীত পড়ে আমার শহরে তা আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক কম।তা এই শীতে আমার জান যায় যায় অবস্থা। শীত নিয়ে এতো প্যাচাল শুরু করলাম ক্যান?
কারণ অনেকদিন ধরে ঠিক করে রেখেছি এইবার যেদিন তুষার পড়বে সেদিন ছবি তুলে ব্লগে একটা পোস্ট দিবো।
বছরের প্রথম দিন বুসান গেলাম আমার ইউনির এই সেমিস্টারে ডিগ্রী পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা পার্টি তে।পার্টি শেষে ফটোসেশনের সময় শুরু হলো তুষারপাত। ভাবলাম কালকে সকালে ফাটাফাটি কিছু ছবি তুলে পোস্ট দিবো। তুষার বেশী হয়ে গেলে আমার শহরে আসা দুরূহ হয়ে যেতে পারে এই কারনে অন্য বন্ধুদের চাপে তাড়াতাড়ি চলে আসতে হলো। ও বাবা!!! আমার এলাকাতে এসে দেখি পুরাই খটখটা অবস্থা।কোন তুষারই পড়ে নাই।
কিছুদিন আগে দেজন গেলাম বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ইন কোরিয়ার শীতকালীন গেট-টুগেদারে।সেদিন রাতেও তুষার ঝড় হলো ভাবলাম সকাল হতেই সব সাদা হয়ে যাবে আর ফিরে গিয়েই ফাটাফাটি পোস্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সেই আশাতেও বালি।ঝকঝকে নীল মাঠ, কর্দামাক্ত আকাশ।
কয়েকদিন থেকে মোবাইলের স্ক্রীনে আবহাওয়া পূর্বাভাসে দেখাচ্ছিলো ৩১ শে জানুয়ারী মানে গতকাল তুষার ঝড় হবে।মনটা আবারো নেচে উঠলো আমার ক্যামেরাতে চার্জ চুর্জ দিয়ে রেডি সকাল হইলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো সেই ধরনের প্রিপারেশন। রাতে ল্যাব থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ঠান্ডা তেমন একটা লাগলোনা তাতে আরো নিশ্চিত হলাম তুষার ঝড় তাইলে আজ হচ্ছেই। রাতে শুয়ে শুয়ে শুনলাম বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ। মন পুলকিত হয়ে উঠলো ছবি তোলার আশায় আর পোস্ট দেয়ার আনন্দে!! আজ সকালে উঠে দেখি সেই একই কাহিনী, ঝকঝকে নীল মাঠ, কর্দামাক্ত আকাশ।
আমি জীবনে প্রথম তুষারপাত দেখেছি ২০১০ এর ৬ই মার্চ। তখন কেবল পাঁচদিন হলো কোরিয়াতে এসেছি মন মেজাজ খুব খারাপ।লিফট থামার পর যেই মহিলা বলে তুমি এতো নাম্বার ফ্লোরে এসেছো তারে ধরেও থাপড়াতে ইচ্ছা করে, সেই সময় এক সন্ধ্যায় আমাদের হাউজ এবং পাশের হাউজে শোরগোল পড়ে গেলো। কী হয়েছে জানতে গিয়ে শুনি বাইরে তুষারপাত হচ্ছে। জয়ন্ত আনন্দে আত্বহারা।পারলে বারোতলা থেকে লাফ দিয়ে তুষার খেয়ে ফেলে।বাইরে গিয়ে কিছুক্ষন নাচানাচি করে আসলো, এসে কীভাবে রাস্তায় হাঁ করে ছিলো আর তুষার গুলো ওর মুখের মধ্যে পড়ছিলো সেই গল্প শুনালো। শুনলাম কিন্তু মনে কোন উত্তেজনা বোধ করলাম না। খালি মনে হলো এর চাইতে আমার রাজশাহী শহরের ধুলা ঝড় অনেক ভালো ।
সকালে উঠে দেখি চারিদিক সাদা হয়ে গেছে।ল্যাবে গেলাম। কোন ল্যাবে প্রফেসর আসে নাই সবার ছুটি।কোরিয়ানরা তুষার দিয়ে পুতুল বানাচ্ছে আর আহ্লাদ করছে।আমরা কিছুক্ষন বরফ নিয়ে ছুড়াছুড়ি করলাম। এতো কথা কেন বলছি? আসেন সেই দিনের কিছু ছবি দেখি......
ডরমেটরীর জানালা দিয়ে তোলা
ক্যাম্পাসের মাঝে
আরেকটা
ফটুক গুলা ভালা পাইলাম।
থ্যাঙ্কু
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
ধন্যবাদ ভাস্কর দা। তয় এটা মশকরা করছেন কী না বুঝতেছি না
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
আপনে যে গরীবের লগে মশকরা করছেন এটা শিউর।
আকাশ তো দেখি যা তা কর্দমাক্ত! তবে তুষারের ছবিগুলা ভালো আসছে।
রাজশাহীর ছবি দিলেন না দেশী বইন।
রাজশাহী যাওয়া হয়নাই। ঢাকার জ্যামেই মাস শ্যাষ। আবার ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন।
প্রথম দুইটা ঝকঝকে নীল মাঠ, কর্দামাক্ত আকাশ এর ছবি সুন্দর লাগছে
আর পরের ছবি গুলা দেখে আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা হচ্ছে !
পিচ্চিকাল থেকে সখ সারিকা আছে তুষার দিয়া পুতুল বানানর
বাড়ির পাশে কোন দোকানে চলে যান।টাকা দিয়ে আইসক্রীম কিনে খান।
হায় আল্লাহ্ ! দোকানে যে আইসক্রিম পাওয়া যায় তা তো আমি জানতামই না
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
ভাল লেখা আর সুন্দর ছবি অসম্ভব সুন্দরতো লাগবেই এটাই স্বাভাবিক।
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...

তবে গুরুজনদের কথার সাথে আরো যোগ করি, ২ আর ৫ নং অদ্ভুত সৌন্দর্য!
থ্যাঙ্কু।
আল্লারে। বেঞ্চের উপ্রে তুষার্কাপুর
সেটাই, কিন্তু কুনু কারিনা নাই!!
কারিনায়তো বেশি কাপুর্পড়েনা। ফটুক্তুলতে রাসেল ভাইয়ের শর্ম লাগেনা বুঝি

তাই তো !!! হায় আল্লা আমি আগে খেয়াল করি নাই
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
ধন্যবাদ
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো..
১ আর ২ কোন ক্যালেন্ডার কোম্পানীরে দিয়ে দাও। আর ৪ নম্বরটাও ভালো হয়েছে
আমার ছবি ক্যালেন্ডারে


হাতের লেখা খারাপ ছবি না হয় দুই চারটা খারাপই তুলি তাই বলে এমনে অপমান।
এই জীবন আর রাখুম না।খালি জীবন দেয়ার লোক পাইতেছি না পাইলেই দিয়া দিমু।
আহ কতদিক তুষার দেখি না
(
(
(
(
(
মাঝি সাব জীবনতো ষোল আনাই মিছা
ছবি আর লেখা দুইটাই অসম্ভব সুন্দর লাগলো...
ভাল লেখা আর সুন্দর ছবি অসম্ভব সুন্দরতো লাগবেই এটাই স্বাভাবিক।
ছবি এবং লেখা সুন্দর। ভালো লাগলো।
ভাল লেখা আর সুন্দর ছবি সুন্দরতো লাগবেই এটাই স্বাভাবিক।
ছবিগুলা সুন্দর।
আমার তুষার দেখবার মঞ্চায়!
ধন্যবাদ
টিভি খুইলা ডার্টি পিকচার দেখেন তুষার দেখতে পাইবেন।
রাসেল আংকেল কি ওরে, তুষার দেখার উসিলায় বিদ্যা শিক্ষা নিতে বললেন!
ভাল লেখা আর সুন্দর ছবি স্বাভাবিক ভাবেই অসম্ভব সুন্দর লাগলো
আপনি দেখি ঘুম থেকে উঠেই মন্তব্য করেছেন।মন্তব্যটা দেখে টের পাওয়া গেলো।একেবারে সতেজ মন্তব্য।ধন্যবাদ আপনাকে।
২, ৪, ৫ নম্বর ভালো লাগলো
~
মন্তব্য করুন