আজ মঙ্গলবার,৩ এপ্রিল ২০১২, ২০ চৈত্র ১৪১৮, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩
সোম থেকে শুক্র মোবাইলে এলার্ম দেয়া থাকে সকাল সাড়ে আটটায়। কিন্তু কেন জানি আমি কোনদিনও মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। তার আগে ধরফর করে ঘুম থেকে উঠি দিয়ে দেখবো এলার্ম বাজতে এখনো অনেক সময় বাকী। সেইরকম আজকেও উঠলাম। উঠে দেখি ৮.১২ বাজে। স্বভাবমতো ল্যাপটপ খুলে বসলাম আর প্রথমেই ফেসবুক। একজন স্ট্যাটাস দিয়েছে ‘’shall be named as ADVOCATE FUAD HUSSAIN ANANDA from today... :D’’ খুব ভাল লাগলো মানুষের অর্জন দেখলে আসলেই অনেক ভাল লাগে।ভাবলাম ল্যাবে গিয়ে আয়েশ করে চা খেতে খেতে উইশ করবো। স্বভাবমতো পেপারগুলোতে একনজর চোখ বুলিয়ে ল্যাবের উদ্দ্যেশে রেডী হয়ে বাসা থেকে বের হলাম।
কাল রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আজ আকাশ খুব মেঘলা আবার সুর্য্যের আলোও আছে।
হেমন্ত বাবুর গান গুনগুন করতে করতে ল্যাবের দিকে রওনা হলাম। রাস্তায় দেখলাম সুপ্যারম্যান তার বাহন নিয়ে সাঁই করে আমার পাশ দিয়ে বের হয়ে গেলো,তখনি ভাবলাম আজ দিনটার খবর হ্যাজ।
ল্যাবে এসে দেখি আমার ল্যাবমেটরা সব এসে হাজির যে ম্যাডাম স্যারেরা ল্যাবে এসেই কমিকস আর কসমেটিকসের দোকান খুলে বসে তারা দেখি একেকজন জার্নাল পেপার নিয়ে ছুটাছুটি করছে ব্যপারটা কিছুক্ষণ পর টের পেলাম। আমার সুপারম্যান অনেক টাকা খরচ করে একটা মেশিন কিনেছে গতবছর কিন্তু মেশিনটা একমাসও সার্ভিস দেয় নাই। সেইটা আজ আবার ঠিক করা হবে। আমিও ভদ্র ছেলের মতো ফেসবুক বাদ দিয়ে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, কিছুক্ষণ পর এককাজ নিয়ে এক বলদের সাথে ভেজাল বাঁধলো মেজাজ মুজাজ খারাপ করে সময়ের তিনঘন্টা আগে মেইন ক্যাম্পাসে চলে গেলাম যেখানে আমার এক ক্লাস থাকে প্রতি মংগলবার। ক্যাম্পাসে নেমেই লোকজন সবাইকে ডাক দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারলাম দাক কালবি দিয়ে। আহা সে কি স্বাদ!!!
খাওয়া দাওইয়া সেরে টুটুল ভাইয়ের বুদ্ধি মোতাবেক একটা লাল গেঞ্জী আর জিন্সের প্যান্ট কিনলাম।
ক্লাসে বসে বসে ফেসবুক গুঁতালাম দেখলাম লীনাদিকে ছিনাতাইকারী ঘুষি দিয়ে বাম গাল ব্যাথা করে দিছে মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। মেসবাহ ভাই আজ বেতন পেয়েছে সবাই খিচুড়ী খাওয়ার বায়না করেছে। হঠাৎ করে নিজের পাওয়া প্রথম বেতনের কথা মনে পড়ে গেলো।প্রথম বেতন পেয়েছিলাম পাঁচ হাজার টাকা। বেতন পেয়েই বাসার সবার জন্য জিনিসপত্র কিনে কল্যানপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে সোজা রাজশাহী। আসার সময় আব্বার কাছ থেকে আসার ভাড়া সহ সারামাস চলার জন্য টাকা নিয়ে এসেছিলাম।অবশ্য আমি যতদিন ঢাকা ছিলাম রাজশাহী থেকে আসার সময় আব্বার কাছ থেকে প্রতিবারই টাকা নিয়ে আসতাম। শেষ যে বার কোরিয়া আসলাম তখনও আব্বা বলেছিলো ‘’টাকা লাগবে তোর?’’
তা যাক কী সব আবোল তাবোল লিখলাম।আসল কথা হলো মন মেজাজ খুব খারাপ।মন মেজাজ ভাল সাথে সময় কাটানোর জন্য এইসব লিখলাম। আর লীনাদির প্রতি সমবেদনা, ভাদাইম্মা দুলাভাইরে ধিক্কার, মেসবাহ ভাইকে অভিনন্দন আর সাথে আনন্দবাবুকেও অভিনন্দন নতুন কোকিল থুক্কু উকিল হওয়ার জন্য।
সুন্দর ব্লগ। ভাল্লাগছে।
ধন্যবাদ ভাই।
আগেই বলি সুইট দুলাভাইরে ভাদাইম্মা কইলেন তাই আপনারে ধিক্কার।
কি সব চুং বুং খান আর কন মজা! হুদাই।
লীনাপার গালের জন্য সমবেদনা।
কাল রাতে ভাবছিলাম পোস্ট দেব, কিন্তু যে হারে লোডশেডিং কমেন্টই দিতে পারি না।
সন্ধ্যায় নিউমার্কেট থেকে আগারগাও যাব, কিছুই না পেয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম পরমাণু শক্তি কমিশনের এক গাড়ী ডাকছে শ্যামলী যাবে, লোকজনকে উঠতে দেখে উঠলাম। আমার পাশে বসা মেয়েটাকে ড্রইভার বললো, আপা দেখেন তো আপনার ব্যাগ থেকে কিছু হারালো কিনা! এক ছেলে ব্যাগে হাত দিয়েছে দেখলাম। মেয়েটা দেখলো তার মোবাইল নেই ব্যাগে। সায়েন্স ল্যব মোড়ে এসে জ্যামে গাড়ী থেমে, ড্রাইভার আবার বলে, দেখেন একটা ছেলে দৌড়ে সামনে যাচ্ছে, নিশ্চয়ই ছিনতাইকারী। দেখলাম ছেলেটা কোন এক ব্যাংকের দোতলা বাসের জানালার পাশে বসা কারো কিছু টান দিয়ে নিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হলো। এত খারাপ লাগলো যে, চেয়ে দেখলাম চোর চুরি করে চলে যাচ্ছে। পরে শুনলাম এক মহিলার গলার চেইন নিয়ে গেছে।
আসলেই কিছু বলার নাই। জানি না এই থেকে আমরা আদৌও পরিত্রান পাবো কী না।
সারাদিনে কসমেটিক ওয়ালীদের সাথে কুনসুটি না মটরশুঁটি বাদ গেলো কেন!!!
ছোটবোনদের নিয়ে বাজে কথা বলতে নাই মাঝি ভাই।
হুমমম ...
হুমমমমম .............
কি যে হবে দেশের ।
রানছে খিচুড়ি, কইতেছে কি সব ঝ্যং ঝুং
এইটা খিচুড়ী না। এইটা দাক কালবি
ল্যাবরে (রাসেল এর দেয়া নাম) দিক্কার
পরীক্ষা, গালে ব্যাথা আমার কি হবে রে
তোমার ওখানে বৃষ্টি হয়... আমাদের পোড়া কপাল।
ল্যাব দুলাভাইরে আসলেই ধিক্কার। কিন্তু তার আবার কিছু কুটনী সাগরেদ আছে এইখানে আইসাও তাফালিং করবো। তয় দুলাভাইয়ের চশমাতে আপনারে মানায়ছে ভালো
আসল কথা কন গাল ব্যাথা কমছে?
এইখানে বৃষ্টি সাথে উথাল পাতাল বাতাস ছিলো কালকে, আরেকটু হলে আমাকে উড়ায় নিয়ে যাচ্ছিলো। এখনো তাপমাত্রা ২-১০ এর মধ্যে ঘুরাঘুরি করতেছে। অসহ্য লাগে এই শীত।
তুমি সাগরেদকে এইটা কি নাম দিলা!
চশমা, মানানো... বুঝলাম না
ব্যাথা একটু কমেছে। ওষুধ খাচ্ছি।
শীত, আহা, মিস করি।
দাক কালবি নাকি কিমচি দিয়া ভাত ঘুটা ??
জীবনের প্রথম বেতন দিয়ে আব্বু আম্মু ভাই বোন নিয়া KFC তে গেছিলাম। নিজেরে সেইদিন বড় হয়ে গেছি বইলা মনে হইতে ছিল।
এইটাতে কিমচি দেয়া নাই। দাক (মুরগী) আর মরিচ বাঁটা দিয়ে ভাত ভাজা।
আপনে বলে কী একটা পোস্ট দিবেন দিলেন না তো।
হ দিমু তো ....আইজকা দিমু তাবে রান্না করার পর।
আম্মু আব্বু বাইরে যায়তেছে আর আমারে রান্না করতে বইলা যায়তেছে
বাবা মা বাসাতে থাকলেও রান্না করা উচিৎ।
নাহ্ খাদ্যটা দেখে এত লোভ লাগলো যে একটা মন্তব্য না করে আর থাকা গেল না।
আপনারে ভালো পাওয়ার এইটা একটা কারণ, যাই খান-খাওয়ার আগে একটা ছবি তুইলা রাখেন। এর আগে রসুনের চপের ছবি দিছিলেন। দেইখা মুখে পানি আসছিলো।
হ..
খাওনের ফটুকটা দেইখা ক্ষিধা লাইগা গেল
আপনে আমারে ভালা পান?

আমি পোলাগো ভালা পাই না
আপনারে কই নাই। মীর সাহেবরে কইছিলাম।
মীরের বাড়ি কি চট্টগ্রাম এলাকায়
আমার বাড়ি চট্টগ্রামে না। কিন্তু খুবই ভালো পাই চট্টগ্রামকে। খুবই স্বাস্থ্যকর জায়গা মেসবাহ ভাই
আপনারে আমি ভীষণ ভালবাসি। আপনে তো বুঝলেন্না। যাহোক আপনাকে দুইটি
আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। ভাবছিলাম এ জীবনে আর আপনার সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হবে না রাসেল ভাই।
ব্লগের অন্যদের মতো আমিও আপনাকে ভালো পাই। আর যাদের ভালো পাই তাদের সাথে মাঝে মধ্যে চ্যাং ব্যাং করে কথা বলে ফেলি সেটা এই চ্যাং ব্যাং দেশে আসার পর থেকে নয় সেই বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে। তবে এখন বড় হয়েছিতো তাই কেও কষ্ট পেয়ে কোন আদেশ করলে সেটা পালন করার চেষ্টা করি আর কী!!
দাক কালবি খাইতে মঞ্চায়.....
রাইন্ধা খান উচ্ছল ভাই।
ব্লগে ভাতিজার ছবি দিচ্ছেন না কেন??

ছবি আর রাননা দুটোই ভাল হয়েছে। পরের বার অন্যকিছু খাবোনে
কী খেতে চান!! শুধু আদেশ করেন জাহাঁপনী.....

এইভাবে খানাপিনার ছবি দেওন ঠিক না কইলাম!
==================================
লেখা খুব ভালো লাগলো!!! জীবন্ত মনে হলো!
আপনি আমাদের আসল খানাপিনা খাওয়ার দাওয়াত কবে দিবেন?
===================
লেখা জীবন্ত লাগছে? কন কী ?
মেজাজ ভালো হইছে? হয়ে থাকলে এইবার ভালো মেজাজ নিয়া একটা পোস্ট দেন।
মেজাজ একটা থেকে ভাল হয় তো আরেক কাজের জন্য খারাপ হয়।
মন্তব্য করুন