চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৭
১.
অনেকদিন পর আজকে আবার সেই ধরনের স্বপ্ন দেখেছি।সকালের বাকীটুকু সময় এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম। এই ধরনের স্বপ্ন আমি স্কুলজীবনে প্রায় দেখতাম। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু আমি যেতে দেরী করেছি বা পড়ে গেছি এক বিষয় কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখি আরেক পরীক্ষা চলছে। কী ভয়ংকর সেই সব স্বপ্ন!!!!!!!পরীক্ষার মধ্যে আরেকটা কমন স্বপ্ন ছিলো তা হচ্ছে ওএমআর এর গোল্লা পূরণ করতে পারছি না। পূরণ করেই যাচ্ছি করেই যাচ্ছি কিন্তু গোল্লা পূরণ হচ্ছে না। সকালে এইটা ভাবতে ভাবতে কলেজের এক ক্লাসমেটের কথা মনে হলো। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় স্যাররা বয়ান দিতো বাবারা গোল্লা পূরণে বিষেশ সতর্ক হবা কোন ভাবেই যেন ভূল না হয়।হেন ত্যান ইত্যাদি... কিন্তু স্যারের বয়ান শেষে একজন দাঁড়িয়ে বলতো স্যার আমার গোল্লা পূরণ ভুল হয়েছে আমি এখনো এর কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনা একজন কীভাবে বারোটা পরীক্ষাতেই একই ভুল করতে পারে।
২.
স্কুলে এই পরীক্ষা নিয়ে নানা ঘটনা চলতো। বাংলা রচনা আর ভূগোল পরীক্ষার খাতায় আবোল তাবোল ডাটা দিয়ে ভরে ফেলতাম।ভূগোলে এই কাজ বেশী করতামন। কেমনে জানি নাম্বারও ভালোই পেতাম। ইংরেজী ২য় পত্র আর বিজ্ঞান পরীক্ষায় জ্যাকির দাম সবচেয়ে বেশী ছিলো ইংরেজী ২য় পত্রের অবজেকটিভের প্রশ্ন পেতো আর বিজ্ঞানের প্রশ্ন জামাল স্যারই করতো (জ্যাকির বাবা)। সেই জ্যাকির কথাও মাঝে মাঝে মনে হয় কোথায় আছে এই ছেলেটা? শুনেছি এক লন্ডণী মেয়েরে বিয়ে করে এখন লন্ডনে থাকে। রণি নামের আমার আরেক বন্ধু ছিলো পরীক্ষা নিয়ে বিরাট টেনশন করতো।একবার সমাজ পরীক্ষায় ধর্ম পড়ে এসেছিলো। রেজাল্টের দিন ওর টেনশন দেখার মতো ছিলো।একবার রেজাল্টের দিন পরে এসে স্যারকে তার রেজাল্টের কথা জিজ্ঞাসা করা বাদ দিয়ে বলে ফেললো ‘’স্যার আমার রেজাল্ট কোন দিকে?’’ স্যারও কম যায় না স্যার বলেদিলো ‘’তোর রেজাল্ট বাথরুমে।’’।
৩.
ক্লাস এইট পর্যন্ত দুইটা বিষয় আমার দুই চোখের বিষ ছিলো একটা আরবী আরেকটা ড্রইং।দুইটারই কিছু পারতাম না।আমি এখনো একলাইন সোজা করে লিখতে পারি না।লাইন বাঁকা হবেই। কিন্তু যারা খুব ভালো আকঁতে পারতো তাদেরকে খুবই ভালো লাগতো।সেই রকম একটা বন্ধু ছিলো ‘’অঙ্কুর’’। ছাত্র মোটামুটি ছিলো কিন্তু ক্লাসের যেকোন নতুন কিছু করা বা দেখানোতে অঙ্কুর ছিলো সবার আগে।সারাদিন আমাদের পিছে লেগে থাকতো প্রায় ক্লাসেই স্যারকে বলে মাইর খাওয়াতাম ওকে। কিন্তু কোনদিনই কিছু মনে করতো না।ড্রইং করতো সেই রকম।গীটার বাঁজাতে পারতো ভালোই কলেজে উঠে ব্যান্ডও খুলেছিলো কিন্তু ইউনি তে ভর্তি হওয়ার পর কার সাথে যেন অভিমান করে বিষ খেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। এই ল্যালা অঙ্কুরের কথা মাঝে মাঝে মনে করে এই মরার দেশে মন খারাপ করি।
৪.
আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি আমার বাবা যদি তিনটা পেশায় থাকতো তাহলে আমার এই যে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এটা হতো না ।পেশা তিনটা কী?
অ) সিনেমার নায়ক
আ) রাজনৈতিক দলের নেতা
ই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
আজ আমার একবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছে এর সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
৫.
কতদিন ধরে ভাবছি একটা ডিএসএলআর কিনবো কিন্তু এই নিম্নমধ্যবিত্ত অবস্থার জন্য কিনতে পারছি না।কিন্তু আমি কিছু লোকজনকে চিনি যাদের ছবি দেখলেই বুকটা হুঁ হুঁ করে উঠে আর ইচ্ছা করে আমিও এইরকম একটা ছবি তুলতে চাই। সেই রকম একজন মানুষ আমাদের হাসান রায়হান ভাই। ওনার একটা ছবি ফেসবুকের একটা প্রতিযোগীতায় মনোনীত হয়েছে দরকার এখন খালি লাইক। আপনাদের বা আপনাদের বন্ধুবান্ধবের লাইকে আমাদের রায়হান ভাই পেতে পারে আগামীতে আরো ভালো ছবি তোলার অনুপ্রেরণা।
লাইক দিন ফেসবুকের এইখানে গিয়ে
শুধু চা না, তোমারে নিজের হাতে রান্না কইরা ভুনা গরুর মাংস খাওয়াবো।
ওকে!!
তয় গরুর ভূনার সাথে পোলাও, রোস্ট, ইলিশ ভাজা ইত্যাদির ব্যবস্থা করলে আমি কিছু মনে করবো না।
বাপ রাজনৈতিক নেতা হইলে যে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়না, সেটা ঠিক না। আমাদের পরিবার তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
তবে বাপ দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতিক হইলে কথা ভিন্ন।
দেশে দূর্নীতিপরায়ন রাজনীতিকই বেশী আমি তাদের কথায় বলেছিলাম দেশী বহিন।
==========
তা দেশে দিনকাল কেমন কাটছে? রাজশাহী যাবেন নাকি? রাণীবাজার নাকি ভেঙ্গেচুরে শেষ করে দিছে
হু রাজশাহী যাবার প্ল্যান আছে। তবে ঐটা নাকি এখন তুন্দ্রাঅঞ্চলের মত ঠান্ডা শুনলাম, তাই একটু দমে গেছি।
আরে যে শীত সেটা কোন ব্যাপার না। রাজশাহী গেলে ছবি তুলে পোস্ট দিয়েন ব্লগে।
আমার ক্যামেরা নাই, দেশী ভাই।
তবে দুস্তের ক্যমেরা নিয়া গেলে পোস্ট দিবনে।
ওকিজ
বহুদিন পর আপনের লেখা...
কয়দিন আগেই যে লিখলাম!! ঐটা পড়েন নাই
শুধু লাইক্স না একখান কমেন্ট সহ মারি দিছি
লাইক্সের জন্য চা আর কমেন্টের জন্য টুস বিস্কুট পাওনা রইলাম কিন্তুক না দিলে বোমা বাজী চলবে।
অসাধারণ ছবি...
কথায় আছে পোলাপানের হাতে লোহা আর শয়তানে খায় টুশ বিস্কুট!!
আপনে কী সেই ধরনের কিছু? আপনার ছবি নিয়ে একটা পোস্ট দেন।
নিজের আইডি অন্যের আইডি সব থেকে লাইক দেয়া ডান।
গরুর মাংসে নজর দিয়া গেলাম।
পরীক্ষা নিয়ে এরকম আমিও স্বপ্ন দেখি। আপনার থেকে একটা বেশী দেখি। সেটা হলো আমার লেখা শেষ হয় নাই। টিচার খাতা টাইনা নিয়া যাইতেসে।
খাতা টাইনা নিয়া যাইতেছে এইটাইপের স্বপ্ন দেখি নাই কখনো। পরের বার ট্রাই দিমুনে
কমেন্টসহ লাইক্স দিলাম
থ্যাঙ্কুস গৌতম দা
আমি লাইক - আমার স্বামী লাইক
আমি অবশ্য ড্রিঙ্কসের অফার পেয়েছি
রাসেল, এই লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে পড়তে
আপনারা কি লাইক ফ্যামিলি?
==================
এই লেখাটা বেশ ভালো তার মানে কী? আগের গুলা ভালো ছিলো না??
এটার মানে এই লেখাটা পড়তে আগের গুলার থেকেও ভালো লেগেছে
তোমার ঐ বন্ধুটার কথা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল ।
আপনার মন খারাপ করে দেয়ার জন্য দুঃখিত সাঈদ ভাই
কেলাস টেন পর্যন্ত পাশ দিতে পারছি। মগর কুনুদিন এরম স্বপ্ন-উপ্ন দেখিনাই
স্বপ্ন কেন দেখেন নাই? দেখা উচিত ছিলো!!!
পরীক্ষা নিয়ে স্বপ্নটাকে আমি খুব ভয় পাই। মাঝে মাঝেই দেখি।
আপনে আবার এখন কিসের পরীক্ষা দিবেন??
মজারু!
সব্বাই দেখে কিন্তু এই জাতীয় দুঃস্বপ্ন ক্যনা জানি আমি দেখি নাই! ্লেখাপড়া নিয়া কুনুদিনও কোন আগ্রহ পাই নাই, কেবল স্কুল/কলেজে গেলেই বান্ধবীদের সাথে দিন কাটানি যাবে এই আকর্ষনই কাজ করতো।
খালি ভুনা মাংশই খাওয়াইবো, সাথের লুচি/পরটা কোন দোকান থেকে আসবো আগেই ঠিক কইরা নেন, আর আমরা তো আছি খাওনের জন্যে, রাসেল টেনশন নিয়েন না!
ভুন মাংস খাওয়ার সময় ডাক দিমু নে।
স্বপ্ন দেখতে মন চায়
কি সুন্দর লিখছ ছোট ভাই। কারণ ছাড়াই চোখে পানি চলে আসল। বয়স হচ্ছে তো!!!
ডি এস এল আর আমারও একটা কেনার বহুদিনের শখ।
অনেক কারণেই কেনা হচ্ছে না।
ভালো থাক ভাই আমার।
চশমা চেঞ্জ করেন।
আপনার লাখা পড়ে মজা + আগের কথা মনে পড়ে গেলো
আমিও দেখতাম কলমে লেখা হচ্ছে না বা আমি চোখে দেখছি না
মন্তব্য করুন