রাসেল আশরাফ'এর ব্লগ
'' এমন দিনে তারে বলা যায় , এমন ঘনঘোর বরিষায়।''
১
সারাদিন এক অদ্ভুদ শব্দের মাঝে আছি। রাতের অন্ধকারেও মনে হয় সেই আওয়াজ শুনছি। অনেকটা প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ''পোকা'' গল্পের মতো। ঘটনা খুলেই বলি। সামারে এখানে এক অদ্ভুদ পোকা এমন আওয়াজ করে কান ঝালাপালা করে দেয়। উইকিপিডিয়াতে দেখি আবার এদের নিয়ে বিরাট আর্টিকেল দিয়ে রেখেছে। পড়তে গিয়েও ধৈর্য্য হলো না। বদজাত পোকা কোহানকার।
এই টাইপের আরেক ধরনের পোকা ইদানিং মাথা খারাপ করে দিচ্ছে তা হচ্ছে এই ব্লগের লোকজন। ব্লগে কেন লিখি না। পোস্ট দিতে কী হয় এই সব বলে। শান্ত আগে পোস্ট নিয়ে আফসোস করতো এখন কমেন্ট নিয়েও আফসোস শুরু করেছে। তাই ভাবলাম একটা পোস্ট দেই। আবার কবে দেই না দেই তার ঠিক নাই
উপস্থিত আছি মহামান্য মডারেটর
১।
অনেকদিন পোস্ট দেই না। জেবীন অনলাইনে পাইলে কাইফা হালুকার পরেই জিজ্ঞাসা করে পোস্ট দেই না কেন? এমন ভাব কোন সে আমি লেখক রাইটিং ব্লকে জর্জরিত ভক্তকুল লেখা না পেয়ে আকুলি বিকুলি করছে। আসলে ঘটনা তা না এই কয়দিনে জীবন অনেক বদলে গেছে। আগে ধুমাইয়া ফেসবুকিং আর ব্লগিং করে দিন পার করলেও এখন আর সেইদিন নাই। সব সময় গোয়েন্দা নজরদারীর মধ্যে থাকতে হয়। পান থেকে চুন খসলেই হয়েছে থাক আর না বলি! মাসুম ভাই এই লাইনটুকু পড়লেই যা করার করে দিবেনে
২।
গত একমাস ধরেই পোস্ট দিবো দিবো করছি কিন্তু দেয়া হচ্ছে না। সিউলে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে আসার পরেই একটা ছবি ব্লগ দিবো ভেবে রেখেছিলাম অন্যদের বলে অন্যান্য ব্লগে পোস্ট দিয়েছিও। কিন্তু এসেই জ্বরে পরার কারনে আমি দিতে পারি নাই। ভাবলাম সুস্থ্য হয়ে নেই তারপরে দিবো। সুস্থ্য হওয়ার কয়দিনের মাঝে আবার জ্বরে পড়লাম। জীবনটা ইদানিং জ্বর জ্বর হয়ে গেছে
৩।
ভাবমুর্তি
ছোটবেলায় কারো বাসায় বেড়াতে যাওয়ার আগে আম্মার কাছ থেকে কিছু শিক্ষামূলক হুমকি শুনতাম সেগুলো হচ্ছে
১। বেশি দুষ্টামি করা যাবে না
২। সেই বাসার কোনকিছু ধরা যাবে না বিশেষ করে তাদের বাচ্চাদের খেলনা বা শো-পিস
৩। কিছু খেতে দিলে দেয়ার সাথে সাথে পিরিচের উপর হামলে পড়া যাবে না এবং সবটুকু শেষ করা যাবে না কিছুটা রেখে দিতে হবে।
ভদ্রবালকের মতো মাথা ঝুকিয়ে হুঁ বলে আম্মার হাত ধরে বেড়াতে যেতাম কিন্তু শৈশবের সেই দুরন্তপনাতে কোন উপদেশই ঠিকমতো মনে থাকতো না বিশেষ করে খাওয়ার সময়। দেখা যেতো পিরিচে্র সব বিস্কুট, মিষ্টি বা চানাচুর শেষ করে দিয়েছি আম্মা দুই তিনবার চোখ কটমট করে তাকিয়েছে কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। বাড়ির চাচী যখন চা আনতে রান্নাঘরে গেছে সেই সময় আম্মা আস্তে করে বললো ''বাপজন্মে কিছু খাও নাই? আজ বাসায় চলো খাওয়াবো নি'' দুরুদুরু বুকে বাসায় আসার পর দেখা যেতো আম্মা কোন কারনে সেই ঘটনা ভুলে গেছে আমার ও আর খাওয়া হয় নাই।
তিনটি মিষ্টি সিনেমা
মাসুম ভাই বাজেট নিয়ে ব্যস্ত। তাই বলে লোকজন সিনেমা দেখবে না তা তো হয় না তাই না? তাই আজকে আমিই লিখলাম। আজকে তিনটা কোরিয়ান সিনেমা নিয়ে লিখবো। লেখালেখি বেশী পারি না তাই ডাইরেক্ট একশনে গেলাম
১. The Way Home
৭ বছর বয়েসী সাং-উ কে গ্রামে নানীর কাছে রেখে তার মা কাজ খুঁজতে যায়। সাং-উ’র জন্ম এবং বেড়ে উঠা শহরে সে তাই গ্রামের পরিবেশে মেনে নিতে পারে না। সে কারনে সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে এমন কী তার নানীকেও মেনে নিতে পারে না। তার আদর ভালোবাসা উপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে সব কিছু পরিবর্তন হতে থাকে.........
সিনেমাটা দেখে আমার নিজের দাদীর কথা খুব মনে পড়েছে। গ্রামে গেলে উনি আমাদেরকে গরম পানি ছাড়া গোসল করাতেন না। কত খাবার দাবার রান্না করে খাওয়াতেন। আমরা যে কয়েকদিন থাকতাম সেই কয়দিন ফুপাতো ভাইবোনদের কোন বেইল ছিলো না।
ইউটিউব লিংক
২ Blind
আজ মঙ্গলবার,৩ এপ্রিল ২০১২, ২০ চৈত্র ১৪১৮, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩
সোম থেকে শুক্র মোবাইলে এলার্ম দেয়া থাকে সকাল সাড়ে আটটায়। কিন্তু কেন জানি আমি কোনদিনও মোবাইলের এলার্ম শুনে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। তার আগে ধরফর করে ঘুম থেকে উঠি দিয়ে দেখবো এলার্ম বাজতে এখনো অনেক সময় বাকী। সেইরকম আজকেও উঠলাম। উঠে দেখি ৮.১২ বাজে। স্বভাবমতো ল্যাপটপ খুলে বসলাম আর প্রথমেই ফেসবুক। একজন স্ট্যাটাস দিয়েছে ‘’shall be named as ADVOCATE FUAD HUSSAIN ANANDA from today... :D’’ খুব ভাল লাগলো মানুষের অর্জন দেখলে আসলেই অনেক ভাল লাগে।ভাবলাম ল্যাবে গিয়ে আয়েশ করে চা খেতে খেতে উইশ করবো। স্বভাবমতো পেপারগুলোতে একনজর চোখ বুলিয়ে ল্যাবের উদ্দ্যেশে রেডী হয়ে বাসা থেকে বের হলাম।
কাল রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আজ আকাশ খুব মেঘলা আবার সুর্য্যের আলোও আছে।
চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৮
যেই দেশে থাকি শীত ভালোই পড়ে। আসার আগে জানতামও সেটা যেই কারণে ঢাকা নিউমার্কেট আর ঢাকা কলেজের সামনে থেকে অনেক শীতের কাপড় কিনে এনেছিলাম। পরে দেখালাম আমার ধারণার বাইরে বেশী শীত পড়ে আমার শহরে তা আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক কম।তা এই শীতে আমার জান যায় যায় অবস্থা। শীত নিয়ে এতো প্যাচাল শুরু করলাম ক্যান?
কারণ অনেকদিন ধরে ঠিক করে রেখেছি এইবার যেদিন তুষার পড়বে সেদিন ছবি তুলে ব্লগে একটা পোস্ট দিবো।
বছরের প্রথম দিন বুসান গেলাম আমার ইউনির এই সেমিস্টারে ডিগ্রী পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা পার্টি তে।পার্টি শেষে ফটোসেশনের সময় শুরু হলো তুষারপাত। ভাবলাম কালকে সকালে ফাটাফাটি কিছু ছবি তুলে পোস্ট দিবো। তুষার বেশী হয়ে গেলে আমার শহরে আসা দুরূহ হয়ে যেতে পারে এই কারনে অন্য বন্ধুদের চাপে তাড়াতাড়ি চলে আসতে হলো। ও বাবা!!! আমার এলাকাতে এসে দেখি পুরাই খটখটা অবস্থা।কোন তুষারই পড়ে নাই।
চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৭
১.
অনেকদিন পর আজকে আবার সেই ধরনের স্বপ্ন দেখেছি।সকালের বাকীটুকু সময় এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম। এই ধরনের স্বপ্ন আমি স্কুলজীবনে প্রায় দেখতাম। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু আমি যেতে দেরী করেছি বা পড়ে গেছি এক বিষয় কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখি আরেক পরীক্ষা চলছে। কী ভয়ংকর সেই সব স্বপ্ন!!!!!!!পরীক্ষার মধ্যে আরেকটা কমন স্বপ্ন ছিলো তা হচ্ছে ওএমআর এর গোল্লা পূরণ করতে পারছি না। পূরণ করেই যাচ্ছি করেই যাচ্ছি কিন্তু গোল্লা পূরণ হচ্ছে না। সকালে এইটা ভাবতে ভাবতে কলেজের এক ক্লাসমেটের কথা মনে হলো। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় স্যাররা বয়ান দিতো বাবারা গোল্লা পূরণে বিষেশ সতর্ক হবা কোন ভাবেই যেন ভূল না হয়।হেন ত্যান ইত্যাদি... কিন্তু স্যারের বয়ান শেষে একজন দাঁড়িয়ে বলতো স্যার আমার গোল্লা পূরণ ভুল হয়েছে আমি এখনো এর কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনা একজন কীভাবে বারোটা পরীক্ষাতেই একই ভুল করতে পারে।
চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৬
১.
অনেকদিন কিছু লিখি না অবশ্য লেখা যাকে বলে সেটা আমার দিয়ে হবার কথাও না হবেও না।
কিন্তু কয়েকদিন ধরেই খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। তানবীরাপু ব্লগের স্যাতস্যাতে ভাব কাটানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাথে আরো বন্ধুরাও যোগ দিয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে মরা ব্লগে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।আমি বা দূরে থাকি কীভাবে? কিছু আবোল-তাবোল লিখে ফেলি অনেকটা অনেকটা সেই দিঘী আর শিশিরের কবিতার মতো।
২.
আসেন আড্ডা দেই
আমাদের অজুহাত ম্যাডামের কয়দিন ধরে মন উথাল পাথাল হয়ছে।আর এই জন্য নাকি ভুমিকম্পও হইলো।তাও তার মনের উথাল পাথাল কাটে নাই।প্রতিদিন এরে ওরে খুঁচাখুঁচি করবো পোস্ট দেন আড্ডা দিমু।কিন্তু নিজে যে কবে কলম ধরছে তার হিসাব নাই।
আমাদের কমেন্ট শিল্পীর সেই ১৯৫৩ সাল থেকে পোস্ট দিবেন বলে ওয়েট করায়তেছে।ওয়েট আর শেষ হচ্ছে ্না।কবে যে শেষ হবে আল্লাহ মালুম।
আমার মুরুব্বীরেও কয়দিন দেখি না।বুইড়া কালে পড়াশুনা নিয়া বিরাট বিজি হয়ছে মনে হয়।
আর কথা না ৫০ শব্দ মনে হয় পার হয়ছে।আসেন আড্ডা দেই।
দাদাভাই শুভ জন্মদিন
আজ আমাদের দাদাভাইয়ের জন্মদিন।এই লোকটা কেন জানি সবার খুব প্রিয়।আমারও খুব প্রিয়।দুইদিনের জ্বরের ঠেলায় মাথায় কিছু আসতেছে না।খালি মাথা ভোঁ ভোঁ করে ঘুরতেছে।তাই আর কিছু লিখতে পারলাম না।
দাদাভাই খুব ভালো থাকুন।এখন যেমন আছেন আজীবন সেইরকমই থাকুন।এই কামনা রইলো।
শুভ জন্মদিন দাদাভাই
কী মসিবত ৫০ শব্দ হয় নাই বলে পোস্ট হচ্ছে না। দিলাম প্রিয় একটা গান লাগিয়ে।
আজকের আকাশে অনেক তারা,
দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জছোনাটা আরো সুন্দর,
সন্ধাটা আগুন লাগা
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য
ভোরে থাকা ভালো লাগা
মুখরিত হবে দিন গানে গানে
আগামীর সম্ভাবনা
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ ,
শুভেচ্ছা তোমায়
জরুরি কামলা প্রয়োজন :প্রসঙ্গ বর্ষার গান নিয়ে ই-পুস্তক
বন্ধুদের অসীম ভালোবাসা এবং সহযোগিতায় কিছুদিন আগে বর্ষা নিয়ে ই-পুস্তক ‘’মেঘবন্দী’’ প্রকাশিত হয়েছে।বন্ধুদের সাড়া পেয়ে সত্যি আমরা অভিভূত এবং আপ্লুত। ‘’মেঘবন্দী’’ প্রকাশের সময়ই আমাদের ইচ্ছা ছিলো বর্ষার গান নিয়ে একটা আলাদা আয়োজন রাখতে কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারনে সেটি আলোর মুখ দেখেনি।কিন্তু কিছুদিন যাবত কিছু বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই অসমাপ্ত কাজের সফল বাস্তবায়নের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কারণে আমাদের আরো কিছু বন্ধুর সহযোগিতা দরকার।আগ্রহী বন্ধুদেরকে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
কাজের সুবিধার জন্য আমরা নিজেদেরকে কিছু দলে ভাগ করে নিয়েছিঃ
দল ১.
যারা সারা পৃথিবী থেকে খুঁজে খুঁজে বৃষ্টির গান জোগাড় করবে।
দল ২.
প্রথম দলের গানগুলো ক্যাটাগোরি অনুযায়ী বাছাই করবে। যেমন রবীন্দ্র, নজরুল, উচ্চাঙ্গ, ইংরেজি, হিন্দি... এইরকম...
দল ৩.
বর্ষার ই-পুস্তক ''মেঘবন্দী''
অবশেষে প্রকাশিত হলো বর্ষার পুস্তক "মেঘবন্দী''
আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা ব্ন্ধুর ব্লগাররা লিখেছেন বৃষ্টি বিষয়ক দারুণ সব রচনা।
অবশেষে মহাসমারোহে প্রকাশিত হলো ই-পুস্তক... কিছু সমস্যা হয়তো থেকে গেছে তবু। নিজগুনে ক্ষমা করবেন এই প্রত্যাশায়...
ই-পুস্তকটি সম্পাদনা করেছেন- রাসেল আশরাফ, টুটুল এবং নজরুল ইসলাম
প্রচ্ছদ আর অলঙ্করণ করেছেন নজরুল ইসলাম
প্রচ্ছদের জন্য সুন্দর একটি ছবি তুলে দিয়েছেন সাইফ তাহসিন
সুন্দর একটি নাম দিয়েছেন একলব্যের পুনর্জন্ম
অলঙ্করণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে আইরিন সুলতানার করা অসম্ভব সুন্দর ব্যানার "কৃষ্ণচূড়া"
অবশেষে যারা যারা লেখা দিয়েছেন, যারা ইচ্ছে থাকা সত্বেও লেখা দিতে পারেননি আর যারা পড়ছেন... সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ
চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৫
১.
আর একটা সেমিস্টার শেষ করলাম। দেখতে দেখতে তিনটা সেমিস্টার শেষ করে ফেললাম। সময় অনেক দ্রুত যায় কিন্তু প্রথমদিকে মনে হতো যেতেই চাইতো না। প্রথম সেমিস্টারে আমাকে মেইন ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস করতে হতো। আমার এখান থেকে ঘন্টা খানেকের পথ বাসে তারপর দৌড়ায় পাহাড়ে উঠে ক্লাসরুমে যেতে যেতে হাঁপিয়ে যেতাম আমার সাথের রাজেশ আমাকে দেখে হাসতো। ক্লাসে গিয়ে দেখতাম প্রফেসর আমাদের জন্য বসে আছেন আমরা গেলেই ক্লাস শুরু করতেন। অপটিকস পড়াতেন যার একবর্নও আমি বুঝতাম না এমনিতেই ফিজিক্স পড়া ছেড়েছি ইন্টারমিডিয়েটের পর তারপরে মা মাটি দেশের জন্য সেই সময় সারাদিন বালিশ ভিজাতাম।
বেগুন ও টমেটো ভর্তা
আসেন বেগুন আর টমেটো ভর্তা বানাই।
বেগুন ভর্তাঃ
বেগুন-১টি
শুকনা মরিচ-ইচ্ছা মতো
লবণ-ইচ্ছা মতো
পিয়াজ-ইচ্ছা মতো
ধনিয়া পাতা-ইচ্ছা মতো
সরিষার তেল-ইচ্ছা মতো
বেগুন টারে গোল গোল করে কেটে নিয়ে একটা ফ্রাই প্যানে বসিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষন পর পর নেড়ে দিন। কিছুক্ষন পর একটু পানি দিন।আবার ঢেকে দিন।পাঁচমিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখুন বেগুন সিদ্ধ হয়েছে কিনা? সিদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন।এবার আরেকটি ফ্রাইপ্যানে শুকনা মরিচ ভেজে নিন। এবার কুচি কুচি করে পিয়াজ আর ধনিয়া পাতা কাটুন। বেগুন, লবণ,পিয়াজ ,ধনিয়াপাতা একসাথে ডলা দিন।খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে আবার একটা ডলা দিন। হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।
টমেটো ভর্তা
টমেটো-১টি
শুকনা মরিচ-ইচ্ছা মতো
চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৪
১
কলেজ - ইউনি তে পড়ার সময় সকালে উঠে ক্লাস দুপুরে বাসায় এসে ভাতঘুম বিকালে উপশহরের রুপালী ব্যাংকের সামনে আড্ডা বা ইউনিতে রুহুল ভাইয়ের চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় এসে একটু ক-খ-গ-ঘ পড়ে ভাত খেয়ে টিভি দেখে ঘুম।আর এখন… সকালে উঠে ল্যাবে কামলা দিতে যাওয়া রাতে এসে ঘুম।একই রুটিন প্রতিদিন।অবশ্য মাঝে মাঝে উপশহরের সেই আড্ডার মতো আড্ডা দেয়া হয় স্কাইপে তিন বন্ধু তিন দেশে বসে।আড্ডার বিষয় বস্তু সেই আগের মতোই কোন ঠিক নাই একেক সময় একেক রকম কখনো হাসিনা খালেদা,কখনো ইউনুস আবার কখনো ব্লগের বিষয় বস্তু।কি অদ্ভুত!!! জীবন থেমে থাকে না।চলে তার নিজের গতিতে।
২