আমার সিনেমা দেখা-১
মাসুম ভাইয়ের জন্য ইংরেজী সিনেমা দেখা শিখেছি এই বেশ কিছুদিন আগে, কিন্তু বাংলা হিন্দী সিনেমা আজ থেকে না জন্মের পর থেকে দেখা শিখেছি।আম্মার কাছে গল্প শুনি আমার ভ্যা ভ্যা র চোটে আব্বা কোন কোন সিনেমা দেখতে পারে নাই।আম্মা রাজরানীর মতো হলে বসে সিনেমা দেখছে আর আব্বা আমাকে নিয়ে চট্রগ্রামের নেভী সিনেমা হলের সামনে বসে কান্না থামচ্ছে।
ওই থেকে মনে হয় বাংলা সিনেমা দেখার প্রতি আমার ভয়াবহ রকমের আগ্রহ ছিলো আছে এবং থাকবে।খুব ছোটবেলাতে বড় মামার সাথে সিনেমা দেখতে যেতাম। মনে আছে বড়মামার সাথে চন্দ্রনাথ দেখে এসে আবার পরের শো তে আব্বা আম্মার সাথে দেখতে গিয়েছিলাম।বেদের মেয়ে জোসনা দেখেছিলাম কিন্তু কার সাথে দেখতে গিয়েছিলাম মনে করতে পারছিনা।
খুব আশায় থাকতাম কবে গ্রাম থেকে কোন আত্মীয় আসবে ডাক্তার দেখাতে অথবা জমিজমার মামলা নিয়ে।কারন তারা আসলে একটা সিনেমা দেখতে পেতামই।
একবার আমার এক নানা(আম্মার ফুপা) আসলো আমাদের বাসায় তিনি অনেকদিন পর রাজশাহী আসছে আমাকে সাথে নিয়া ঘুরতে বের হয়ছে আমি তারে পদ্মার পাড় আরো কিছু জায়গা ঘুরাইয়া বললাম নানা আপনি যখন রাজশাহীতে আসতেন তখন সিনেমা হল ছিলো? সে বললো হ্যা ছিলোতো অলকা,কল্পনা।আমি বললাম সামনেই সেই কল্পনা হল চলেন আপনেরে দেখায় নিয়ে আসি।দেখাতে গিয়ে টিকিট কেটে মান্না ভাই আর চম্পার প্রেম দিওয়ানা দেখতে বসে গেলাম। কিন্তু নানা সিনেমা অর্ধেক দেখে চম্পা আর মান্নার নাচন কুর্দন সহ্য করতে না পেরে বাসাতে নিয়া আসলো।
ক্লাস এইটে পড়ি মুক্তি পেল মৌসূমী-সালমান শাহের ছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত।মনে হয় ঈদে মুক্তি পেল কিন্তু কিভাবে দেখতে যাবো আমার সাথে পড়ে সব ভদ্রলোকের ছেলেরা বাসা থেকে না বলে গেলে মেরে তক্তা বানায় দিবে কয়েকদিন পর ছোট ভাইয়া(আম্মার ছোট চাচা) আসলো বাসায় বেড়াতে উনারে ম্যানেজ করে ৮০ টাকা টিকিট দিয়ে সিনেমা দেখে আসলাম।আহা রে সে কি সিনেমা!!!!!!!!!!
আগুনেরপরশনি দেখতে গেছি আমি আর আমার সেজ মামা। মনে করছি এই সিনেমা আর কে দেখবে সিনেমা শুরু হওয়ার একটু আগে গেলেই হবে।ওমা গিয়ে দেখি রাস্তাতে পর্যন্ত লাইন।কি আর করা লাইনে দাড়াঁলাম টিকিট পেলাম পর্দার সামনের বেঞ্চীতে।সিনেমা দেখে তারপরের তিন দিন ঘাড় সোজা করতে পারি নাই।
পপির প্রথম সিনেমা কুলি মুক্তি পেল। কলেজে পড়ি। সেবার কলেজের জনা পঁচিশেক এক সাথে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।যাওয়ার আগে আব্বার কাছ থেকে সিনেমা দেখার মাঝখানে বাদাম খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
একবার আমার বাসার লোকজন সব নানবাড়ি গেছে তিন বন্ধু মিলে সিনেমা দেখতে গেলাম আর সিনেমা হলে লোকজনের সিগারেটের খাওয়ার ফলে জামা কাপড় গন্ধ হয় বিধায় আব্বার একটা পুরাতন শার্ট পড়ে গেলাম।আরাম করে সিনেমা দেখে এসে আলনায় সুন্দর করে শার্ট ঝুলায় রাখলাম।
আম্মা দেখি একদিন সকাল বেলা আব্বাকে আচ্ছা মতো ঝাড়তেছে।
কারন কি?
কারন আব্বার নাকি আবার রং লাগছে। পোলাপাইন বড় হয়ছে কিন্তু সে বুড়া হয় নাই।আব্বা যতই জিজ্ঞাসা করে ব্যাপার কি
আম্মা ততোই বলে তুমি জানো না?আব্বা কয় না।শেষমেশ আম্মা সিনেমার টিকিট বের করে দেখায় বলে এটা কি????
আব্বা আমতা আমতা করতে লাগলো আর যতই বোঝাতে চাইলো এই সিনেমা সে দেখে নাই আম্মা ততোই চিল্লাতে লাগলো।
(চলবে)
আপনি তো বিরাট বদ ছিলেন
নেভি হলে আমি অঞ্জু ওয়াসিম অভিনীত আবেহায়াত দেখছিলাম, ক্লাস থ্রি বা ফোরে পড়ার সময়।
দারুণ বিষয়ে পোস্ট, টুটুলদা বলছিলেন উনারও নাকি ম্যালা কাহিনী আছে হলে "বই" দেখা নিয়ে।
বদ???????কে আমি????
আমার মতো ভাল পুলা এই দুনিয়াতে নাই।
আর আপু আপনার পিলিজ লাগে আপনে আমারে তুমি কইরা বলেন।তুই করে বললেও কোন আপত্তি নাই।
জটিল কাহিনী!
হ বস। পুরা জটিল।
আপনি তো বিরাট বদ ছিলেন
নুশেরার সাথে একমত।
সবাই আমাকে এতো বদ বলছে কেন???????
আরেকবার বদ কইলে আমি কিন্তু আপনার বাড়ি দাওয়াত খাইতে যামু না।
মারাত্মক হইসে এইটা।
ধন্যবাদ।
হা হা হা ... জম্পেশ
ক্যান্টনমেন্টে দেখছিলাম শ্রাবণ মেঘের দিন। ঐটাই প্রথম। তারপরেও আরো টুকটাক ছবি দেখা হইছে, কিন্তু বাংলা ছবি দেখা হয় নাই। মেড ইন বাংলাদেশ দেখছিলাম মনে হয় ...আর কোনো বাংলা ছবি মনে করতে পারতাছি না
কেন বাংলা ছিনেমা দেখা হয় না?????
হলে গিয়ে দেখা হয় না
আমিও বসলাম গ্যালারীতে, দেখি কোনটা কোনটা কমন পরে। এ পর্বে আগুনের পরশমনি কমন পড়ল।
নেক্সট পর্ব কুইক ছারেন
এরপর আর কমন পড়বে না।কারন ১২ বছর আপনে দেশে নাই।আর পরের যুগ তো মুনমুন-ময়ুরীর।
ভালো কথা মনে করায়ে দিলা।
ছোট বেলায় ছুটির ঘন্টা , এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী দেখেছিলাম সিনেমা হলে , শ্যামলি তে।
একটা ঘটনার কথা মনে পড়লো। গ্যারিসনে গেছি, শঙ্খনীল কারাগার দেখতে। বিশাল হুলস্থুল, ব্ল্যাক যেহেতু নাই। শার্ট ছিড়ে, ফ্রেন্ডের চশমা ভেঙ্গে শেষে টিকেট কাটলাম।
টিকেটে স্পেশাল ছাপ মারা - বুঝিনাই। হলের ভিতরে গিয়ে দেখি আমাদের টুলে বসতে দিছে, টিকেটে ছিল মারা ছিল টুল। সিট সব আর্মি অফিসার দের জন্য।
আর বাকী গুলা ব্লগ আকারে দেন।
আপনার ঝামেলা মিটছে?????
ভাল লাগছে--------------------------------
ধন্যবাদ আপু।
পিচ্চিকালে আম্মার সাথে হলে গিয়া আঁখি-মিলন ছবি দেখছিলাম। ছবি শুরুর আগে অনেক লাফাইছিলাম, যেই শুরু হইছে, দশ মিনিটের মধ্যে ঘুমের দ্যাশে।
এছাড়া ক্লাস ফোরে থাকতে ঈদের দিন লাকসামে পড়শী সিনেমা হলে রাজ্জাক-শবনম (?) এর সন্ধি দেখছিলাম।
সিক্সে থাকতে পাপড়ির একটা ছবি দেখতে গেছি, রুবেল ছিলো, ছবির নাম মনে নাই। যেই পাপড়ি সুইমিং কস্টিউম পইড়া পুল থেকে উঠলো সঙ্গে থাকা খালাতো ভাই আমার চোখ হাত দিয়া ঢাইকা দিলো। মিনিট দুয়েক পর হাত সরাইছে, আমি ভদ্র বালক, লজ্জায় কইতে পারি নাই ভাই হাতটা সরান।
খালতো ভাই একলাই দেখলো?????????
আহারে নেভী হল.......স্কুল(নেভী স্কুল) পালিয়ে বেশ ক'বার গিয়েছি দল বেঁধে......কলেজে উঠার পর আর যাওয়া হয় নি.......স্মৃতিকাতর করে দিলেন।
আমার জন্মের পর বছর দুয়েক আমরা চট্টগ্রামে ছিলাম বাবার চাকরীর সুবাদে।আম্মার কাছে চট্টগ্রামের এত গল্প শুনেছি বিশেষ করে নেভী সিনেমা হলের।
চাচাজানকে বিপাকে ফেলার ঘটনা জটিল ) ) হলে সেরাম সিনেমা দেখা হয়নি আমার। 'আগুনের পরশমনি' আর 'পদ্মানদীর মাঝি' দেখেছি কেবল হাতে সময় থাকলে, 'ম্যালেনা' মুভিটা দেইখেন ভাইজান জব্বর মুভী! দেখছেন নাকি ইতিমধ্যে? আমিও বিরাট সিনেমাখোর আছি..'বেঁদের মেয়ে জোৎস্না' হন্য হয়ে খুঁজি নেটে পাইনা। লিংক থাকলে জানায়েন কিন্তুক!
মজার একটা সিরিজ চালু করছেন। চলুক, সাথে আছি ভালো থাকা হোক।
না রে ভাই 'ম্যালেনা' এখনো দেখি নাই।ইদানিং সুপারভাইজার খুব ডলার উপর রাখছে একদিকে ক্লাস আরেক দিকে হাংগুক শিখা লাগে খুবই বেড়া ছেড়া অবস্থা।
বেঁদের মেয়ে জোৎস্না' পান না কন কি?খুজুম নে।পাইলে জানামুনে।
হাহাহাহাহাহাহা
জট্টিল হইছে কাহিনি..
৮০র দশকের ঢাকার এমন কোন সিনেমা হল নাই যেই হলে আমি সিনেমা দেখি নাই
একবার সিনেমা দেখতে গেছি গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলে... এই হলে ইংরেজী সিনেমার মাঝে কাটপিস দেখানোটা বাধ্যতামূলক ছিল ... তো সিনেমা দেখতেছি.. হঠাৎ খেয়াল করি যে আমাদের সামনের রো'তে বস
কি আর করা ... তারাতারি বের হতে হলো
শ্যামলী সিনেমা হলে কি যেন একটা সিনেমা দেখব বলে ঠিক করেছি.. কিন্তু টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না... আমার এক সহকর্মী ছিলেন ম্রং... একজন বিদেশী বাংলা সিনেমা দেখতে চেয়েছে বলে ম্যানেজারের রুমে ঢুকে বিশেষ আপ্যায়ন সহযোগে সিনেমা দেখলাম... তিনি দেখলে মনে হবে চাইনিজ নাগরিক ...
বংশালের মানসি সিনেমা হল ইংরেজী আনসেন্সর সিনেমার জন্য বিখ্যাত ছিল ... তো.. মানসিতে শুক্রবারে ফার্ষ্ট শো যে কোন উপায়ে দেখার ট্রাই করতাম ... কারণ পরের শো গুলো সেন্সর করা হতো
আপনের কাহিনীতো আমার চাইতে জটিল।আমার এই লেখা কারন আপনি নাকি এই টাইপের একটা সিরিজ লিখবেন?তাই একটু ঢোলে বাড়ি দিয়ে দিলাম।
ভার্সিটিত পড়নের সময়, ফায়ার দেখতে যান নাই?
কেন শাওন?????পলি রে দেখতে গিয়ে পলির দেখাই পাও নাই??????
একটিকিটে দুই ছবি কলেজে থাকতে দেখছিলাম দুইবার ,,,,
তারপর????????কি মিয়া ভাই????
বেদের মেয়ে জোৎস্না দেখেছিলাম হলে গিয়ে। তখন তো আগে থেকে কিনে না রাখলে টিকিট পাওয়া যেতো না। মনে আছে আমাদের চারজনের টিকিট আব্বু এক সপ্তাহ আগে কিনে এনেছিলেন। সেই সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে সত্যি ভালো লাগতো। সিনেমা হলে শেষ দেখা হয়েছে আলমগীর-শাবানা'র বাসনা।
এর্পরে ফায়ার-টায়ার, ঢিল মারি তোর টিনের চালে এইসব কোনটিই দেখা হয় নি (ভাগ্যটা ভালো)। মাঝে-সাঝে এইসবের কাটপিস চোখের সামনে পড়লে দেখছি (ওরে মাইরি, খাকজ্।)।
এখন অবশ্য সিনেপ্লেক্স-এ যাইতে মুঞ্চায়। কিন্তু টাইম্পাইনা।
মীর দেখি আমাগো কিং খান মানে শাকিব খান(আমার কাছে হাফ লেডিজ মনে হয়) মতোন বিজি হয়ে গেছে।টাইম পায় না।
আফসুস.।
নারে ভাই আপনাগো কিং খানের মতো বিজি হই নাই।
আহা সিনেমা দেখার কত স্মৃতি।
এক সময় বিটিভিতে শুক্রবার দুপুরে সিনেমা দেখাইতো। সেই সিনেমা দেখার জন্য আগ্রহ কইরা বইসা থাকতাম।
আর প্রথম সিনেমা হলে দেখি সম্ভবত বেহুলা। পাড়াত বোনের বিয়ার গেট ধইরা ৫ টাকা পাইছিলাম। সেই টাকায় আমি আর আমার বড় চাচাত ভাই শ্যামলী সিনেমা হলে বেহুলা দেখছিলাম। আহা সেই শ্যামলী আর নাই।
পরিটেকনিক স্কুলে থাকতে পাশেই আন্ন্দ সিনেমা হল। সেইখানে দেখছিলাম গোলাপী এখন ট্রেনে, বধু বিদায় আর লাইলী মজনু।
আমার ৬ নম্বর খালা পড়তো তেজগাঁও কলেজে। সাথে একজন ছেলে থাকতে হবে এই কোটায় তার সাথে সিনেমা দেখতে যাইতাম। ঘর জামাই দেখছিলাম।
প্রথম কাটপিস ছবি দেখাইছিল ক্যাডেটে কলেল কতৃপক্ষ। সে এক বিশাল কাহিনী।
মধুমিতায় অনেক ইংরেজি ছবি দেখছি। বিকিনি পড়া মেয়েদের ছবি পোসটারে দেখে ডলস স্কোয়াড দেখতে গেছিলাম। সেন্সরের যন্ত্রনায় মেয়েই খুঁজে পাইনাই।
শেষ কবে হলে সিনেমা দেখছি? স্টার সিনেপ্লেক্স বাদ দিলে, মনে নাই।
ঠিক ঠাক কইরা একটা পোস্ট দেন মাসুম ভাই।
সিনেমা দেখা নিয়া অনেক কাহিনি আছে, সব কইতে গেলে আলাদা পোস্ট হয়ে যাবে। শুধু এট্টুক বলি, আইডিয়াল স্কুলের মতো জেলখানা থেকে পালিয়ে বিষ্যুদবারে রুবেলের ছিনেমা দেখতে যাইতাম আমরা কয়জন। এই করতে গিয়া একবার খাইলাম পুলিশের হাতে ধরা। একবার খাইলাম যম মানে ক্লাস টিচারের হাতে ধরা। যাহ বুড়া না হইতেই কত গল্প জমে গেছে দেখি!
রাসেল পরের পর্ব জলদি ছাড়িস ভাই, লেখাটা দারুণ হচ্ছে।
আমি তো জানি আপনাগো মতো আধা বুইড়া গো সিনেমা দেখা নিয়া ম্যালা কাহিনী আছে।
সেই কাহিনী মনে কইরা পোস্ট দিবেন এই জন্যতো এই পোস্ট দিসি।
আপনি আগে পাকি দের নিয়া পোস্ট দিবেন তারপরে আমি এর পরের পর্ব দিমু।
হি হি হি... কঠিন তো!
ব্যাপক অভিজ্ঞতা .......
দারুণ পোষ্ট। এরপর আর লিখেন না কেন?
বেদের মেয়ে জোছনা দেখি নাই ভালো করে কারণ এক্টা জিনিস ভয় পাই।লাস্ট সিনেমা হলে দেখলাম খোঁজ The Search.দারুণ মজার সিনেমা।
মন্তব্য করুন