মেন্যু
আর মাত্র ৩২ দিন!!!!!!!!!!
তারপর বাংলাদেশ।আমার বাংলাদেশ আমার রাজশাহী।ভাবতেই ভালো লাগছে। দেশে গেলে আমাকে কে কি খাওয়াবে তার একটা লিস্ট করেছি।আল্লাহর রহমতে আমার দেশী খাবারের কোনটাতেই অরুচি নাই।তাই বাকী দের মেন্যুর নাম দিয়ে দিলে ভালো হতো কারন আমার শিডিউল করতে হবে তো।
সাঈদ ভাইঃ নতুন ফ্ল্যাটে নতুন ভাবীর হাতের কাচ্চি বিরিয়ানী,ঝাল মুরগীর মাংস,কাবাব,বোরহানী আরো অনেক কিছু।
মেসবাহ ভাইঃ ল্যাবেইডের খিচুড়ী।
জয়িতা ফুপিঃ ধানমন্ডির পাচঁ নাম্বারের ফুচকা,চটপটি।
উদরাজী কাকাঃ শরবত
মেন্যুর নাম দিন আর দোজাহানের অশেষ নেকী হাসিল করুন।
নতুন ভাবীর হাতের মাংস দিয়ে কি কাচ্চি বিরানী করা হবে ???
আমিও নতুন ভাবীর হাতের কাচ্চি খাইতে চাই, আমার নতুন বাড়িতে ।
ঐটা আমার বাড়িতে খাওয়ামুনে।আপনার বাড়ি আমার ভাবী।ঠিক আছে?
নতুন ভাবী - তোমার একার হবে কেন ? আমাদের সবার ভাবী। কিন্তু নতুন নামের ভাবী টা কে ??? মীর থেকে সাবধানে রাইখো । কারেন্ট চলে গেলে অন্ধকারে আবার.।।
ক্যনা সাঈদ ভাবী।
সাঈদ নামে ভাবী টা কে আবার ??? মেয়েদের নাম সাঈদ হয় নাকি???
আচ্ছা সত্যি করে কন তো আপনি বিয়া করতে ভয় পাইতেছেন ক্যান????
বাড়ি আছে গাড়ী আছে এখন খালি দরকার আমাদের একটা ভাবী।মানে আপনার বৌ মানে আমাদের সাঈদ ভাবী।
কে কইছে ভয় পাইতাছি ?
মরনে নাহি ডরে বীর
খালি কথা দয়া দিছিলাম যে .................
জলপাই বাহিনী এবং লম্বা মানুষের বুদ্ধি নাকী হাঁটুতে ...? নিশ্চিত না...
ওয়েলকু ভাইস্তে... খিচুড়ি ইজ ওয়েটিং ফর য়্যু
কারে কন?
ওকে মেসবাহ ভাই।
মেসবাহ ভাই, এই ল্যাবেইডের খিচুড়ী ব্যাপারটা কী? এটা না একটা হাসপাতাল? অনেকগুলো পোস্টে দেখলাম এর গুণগান।
মেসবাহ ভাই আপনার অপেক্ষায় আর কাউকে খিচুড়ী খাওয়াচ্ছে না।কি যাদু যে করছেন !
আর, ফুচকা আমি খাওয়াইলে মেসবাহ ভাই মাইন্ড করবে। আমি ভয় পাই।
পিছলান ক্যান???
ওইটা মেসবাহ ভাই এর এলাকা।আমি খাওয়াইলে বেদ্দপি হবে।
খাওয়ানোর কথা কইলেই জয়িতা পিছলায় - ভাতিজা , তুমি জানোনা, বৈদেশ থাকো তো ।
কে বলে এই কথা? নিজের অপবাদ নিজের কাছেই রাখেন।
শরবত মাত্র! নো প্রব্লেম।
শরবত ঠিক করছি আমি আর টরবতটা ঠিক করবেন আপনি।
কিসের খানাপিনা, কিসের কাউন্ট ডাউন....বুঝতে পারিনাই।
ভাইস্তে রাসেল ৩২ দিন পন কোরিয়া থেকে স্বদেশে পদার্পণ করবে... তারই কাউন্টডাউন চলছে...
তাড়াতাড়ি নাম কন ঈশান ভাই।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। শুভকামনা রাসেলের জন্য।
ওকে লীনাদি।
চট্টগ্রাম আসলে কেজিএন এর দইফুচকা নিশ্চিত
থ্যাঙ্কু নীড়দা।
কি জন্য নাম কমু রাসেল ? আমারে খাওয়াইবেন না আমি....। আমি নিজেই অবশ্য আলুভর্তা আর ডিমভাজি খাইয়া কোনমতে জীবন ধারণ করিতেছি।
রাসেল আশরাফ, অতিথি নামে একটা কমেন্ট পড়বো...ওইটা আমি, ধুস শালা ! লগ ইন করতে বারবার ভুল অইয়া যায়...।
ওকে দুলাভাই।
রাসেল আপনার এই 'ইংরেজী' হাসি (দাঁত কেলানো ইমো) দেইখা আমার বউ খুশী মনে আপনারে তার ভাই বানাইয়া ফালাইবো...। কিন্তু হাঁচা কইতাছি আমি আপনারে 'শালা' মীন করি নাই গালিটা দিছি নিজের আহম্মকিরে।
বুঝছি দুলাভাই।
)
আমাকে মেসবাহ ভাই খিচুড়ি খাওয়ায় নাই ঃ(
রাসেল ভাই দেশে সুন্দর মত আসুন এই দোয়া করি। আমার লাইগা চকোলেট আইনেনে।
লেবেঞ্চুস হলে হবে না????
মৌলভীবাজারে কি কি যেন ভালো পাওয়া যায়??নাম কও।।
তয় সেইরকম লেটকানো চকলেট আইনো না (যা কোনো একজন আনছিল ধানমন্ডির লেকে... মোরগ/মুরগীর হাগুর মত দেখতে...)
হাসি আসতেছে ব্যাপক, হাসুম কিনা বুঝতে পারতেছি না, আবার যদি কন, আরেকজনে বাক্সভ্ইরা মুরগির ইয়ে পাঠাইছে
হ আপ্নে আহেন আগে। এরপরে কথা। আগে থিকা এত কাপ-ঝাপ কৈরা লাভ কি? আইলে কি আর খাওয়াইতে কিছু বাদ রাখমু নাকি? আজব তো!
তুমি কি মনে মনে খাওয়াবা?
তোমারে পামু কই??
দেশে আসেন। না আইসাই খোঁজ কর্লে তো চলবে না।
মুনে থাকে যেন।
দেশে আইসা খোঁজ করার টাইম পাবে না তো। তাই আগেই হাউকাউ করছে নিয়মানুযায়ী।
আমি খাওয়ামু হাওয়াই মিঠাই। চলবে.....।
চলবে মানে দৌড়াবে।
মেন্যুগুলা পছন্দ হৈল, চৈলা আসবনে ...
আঁই হুনি খাবামু। ইছা হুনির বর্তা, নাইয়্যল দি লইট্টা হুনি ভুনা, ছুরি হুনি ভাজা, হিদল হুনির স্পিশাল ভর্তা, ইলিশ হুনির দোপিয়াজা, ছুক্কা হুনির ঝোল। (অবইশ্য আন্যে যদি হুনি খাইতে বালাবাসেন আর কি!)
বাংলায় কন আপা ।পুরা বুঝি নাই।তয় যতটুকু বুঝছি তাতে খাইতে রাজী।ডায়রীতে নোট করে নিলাম।
ইয়া আল্লাহ, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেলার ভাষা বুঝতে পারলেন না!!!
আফসোস!
দু:থে বলিজা ফেটে যাচ্ছে!!!
মীর কী সুন্দর বুঝলো। মীর পোলাটা বড়ই ভালা।
(বৈদেশ থেকে যারা বেড়াতে আসবেন এবং যদি তারা শুঁটকি পছন্দ করেন, তবে ফিরে যাবার সময় শুঁটকি গিফট পাবেন।প্রমিজ।
ফেনীর শুঁটকি দারুণ ভালো।)
তাইলে তো টেস্ট করতেই হবে।আর সাথে করে নিয়ে আসতেই হবে।
বাজি রে বাজি। কত্ত রহম হুনি, ও বুক।
আঁইও হুনি খাইত্তাম ছাই।
তুমি আমার সাথে ফ্রী যেয়ো।
কী হচ্ছে এখানে?
রাসেল দেশে এসে আপেল খাইয়া যাইতে ভুইলেন না
রাসেল, লিখে রাখেন দুলাভাইয়ের টা।
সুস্বাদু পোস্ট। "ল্যাবেইডের খিচুড়ী" টা ঠিক কি সেটা কেউ ইলাবোরেট করে দেবেন প্লিজ?
ল্যাবএইড হচ্ছে ঢাকার একটা হাসপাতাল যেখানে মেসবাহ আগে চাকরী করতেন।আর এই হাসপাতালের ক্যান্টিনে বিখ্যাত খিচুড়ী পাওয়া যায়।যে একবার খায়ছে সে নাকি এর স্বাদ ভুলতে পারে না।
তাই এবার দেশে গিয়ে ল্যাবএইডের খিচুড়ী খাবো।
যেসব দুর্ভাগা এখনো ল্যাবএইডের খিচুড়ি ভোজনে ধন্য হতে পারেন নাই তাদের জন্য এই সচিত্র পরিবেশনা। সত্যযুগে দাদাভাই মেসবাহ ল্যাবএইড নামক হাসপাতালে চাকুরী করতেন। সেখানকার ক্যান্টিনের খিচুড়ি সেরম উমদা বলে বিরাট খ্যাতি লাভ করেছে। তারচেয়ে বড় কথা মেজবাহ ভাইয়ের হৃদয় ছিল উদার। আমরা যারা আড্ডাবাজ হিসাবে পরিচিত মেসবাহ ভাইয়ের অফিসের কাছেই ফুচকার দোকানে দুইদিন পর পর চলে যাই। উনি দরাজ হস্তে কতবার ফুচকার বিল দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নাই।
এদিকে আজ আকাশ মেঘলা, অমুক উপলক্ষ তমুকের আগমন এরকম নানা কিসিমের প্রোগ্রামে লোকজন ল্যাবএইডের খিচুড়ি খাওয়ার আবদার করত। মেসবাহ দাদাভাইয় তো আমাদের খিচুড়ি খাইয়ে সেরম খুশী। অনেক সময় লোকজন কম হলে উনি কল দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে খাওয়ান। একবার তো পঞ্চাশ জনকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াইলেন।
কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। মেসবাহ ভাই ল্যাবএইডের চাকরি ছেড়ে দিলেন সেইদিন। এখন কী হবে ভাবতেই বুক ধড়ফর করছে।
খিচুড়ী খাইতে মন্চাইতেছে।মেসবাহ ভাই ল্যাবএইড ছাড়ার আগে একদিন দুপুরে লান্চ করি আমরা!শীতের আগমন উপলক্ষে যে কোন দিনই খাওয়া যায়।
রায়হান ভাইএর মন্তব্যকে উত্তম জাঝা দিতেই হলো।
ফডু দেখে এ জীবন রাইখা কি লাভ হৈলো টাইপ ভাব হৈলো!
য়াযাদ ভাই, ওয়ান লাস্ট টাইম!............8>8->
আমারো বিলাই। তাও কিনা আমি প্রেতিবেশি মানুষ
এখনো ল্যাবএইডের খিচুড়ি ভোজনে ধন্য হতে না-পারা দুর্ভাগাদের মধ্যে আছি । তবে হাসান রায়হানের খিচুড়ির ফটো দেখে ধন্য হলাম ।
কাহিনী জেনে আফসোসের সীমা নেই। আগে জানলে হানা দিতাম নির্ঘাত।
রাসেল ভাই।আমার বিয়ের মিষ্টি পাওনা আছে । ছুটি পাবো না তাই হয়ত ভাল কোথাও খাওয়াতে পারবো না,বরপুকুড়ীয়ায় যেমন পাওয়া যায় তা খাওয়াতে পারি,যদি আপনার সময় হয়।এত কম সময় ছুটি পেলেন,হা করার আগেই ছুটি শেষ। মুক্তা
আমি জয়িতার সাথে একমত
হানিমুনে তো সেন্টমার্টিন না হয় বান্দরবান যাইবাই। চিটাগাং হয়ে যাবা কিন্তু! মেন্যু আগে থেকে বলবা।
মন্তব্য করুন