ফিরছি শিকড়ে ফিরছি মায়ের কাছে
সেই দুইহাজার ছয় থেকে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো বিদেশ যাবো। চেষ্টা তদবিরও করছিলাম কিন্তু ঐ যে নিম্নমধ্যবিত্তের আজীবন টানাপোড়েন কোন হিসাবই মিলাতে দিচ্ছিলো না।বিদেশ যাওয়ার ভুত মাথা থেকে নামিয়ে নাম লিখলাম কামলার খাতায় দেশের এক কোম্পানীতে।কিন্তু সেখানেও আমি সারাজীবন যা করতে চেয়েছি বা হতে চেয়েছি তা কোন কিছুই সম্ভব হচ্ছিলো না।
এক কলিগের বিদেশ যাওয়া দেখে আবার মাথাচাড়া দিলো সেই পুরান ভুত।শুরু করলাম চেষ্টা তদবির।হয়েও গেলো সেই বন্ধু কাম কলিগ আর অন্য বন্ধুদের সাহায্যে বিদেশ আসার জোগারযন্ত্র।
বিদেশ যাবো প্রথম প্রথম মনের মধ্যে অন্য রকম অনুভুতি হতো।সেই ছবিতে দেখা সিনেমায় দেখা বিদেশ প্রথম বিমানে চড়বো সে এক অন্য রকম অনুভুতি।কিন্তু দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুভুতি টের পেলাম যখন আমি ট্রেনে রাজশাহী থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম সেই সময়।আম্মা আমাকে ছয় ঘন্টার জার্নিতে ছয়বার ফোন দিয়েছে কিন্তু দুইজনেই কোন কথা বলতে পারি নাই।আম্মার আম্মা এমনিতেই খুব শক্ত টাইপের মহিলা সন্তানের সামনে উনি কখনোই তার অনুভুতি প্রকাশ করেন না।কিন্তু সেদিন বাসা থেকে আসার আগ মুহুর্তেও সেটা প্রকাশ করেন নাই। কিন্তু ট্রেনে কেমন করে জানি প্রকাশ করে ফেললেন।সেই সময় শুধু মনে হচ্ছিলো এখনও যদি এক বার বলে থাক তোর যাওয়ার দরকার নাই তাহলে আমি যাবো না।
এয়ারপোর্টে বিদায় দেয়ার জন্য আমার কিছু বন্ধু বান্ধব,মেজমামা আর ছোটভাই আসলো।মামা গেলেন গাড়ি পার্ক করতে সাথে নিয়ে গেলেন ছোট ভাইকে কিন্তু গাড়ি পার্ক করে সিকিউরিটি আর তাদের ভিতরে ঢুকতে দিলো না। আমি গ্রীলের এই পার থেকে তাদের কাছ থেকে বিদায় দিলাম।ল্যাগেজ দেয়ার পরে ইমিগ্রিশনের দিকে যাওয়ার পথে ছোট ভাই ফোন দিলো ও কাদঁতেছে আর বলে ভালো থাকিস।কিন্তু সারাজীবন আমার মনে হতো ওর জন্য আমার অনেক কিছুতেই ভাগ দিতে হয়েছে ও না থাকলে আমি আরো অনেক কিছু বেশি পেতাম।ইমিগ্রেশন পার হয়ে ফোনে কথা বলছি আর শাহজালালের মশা মারছি।প্লেন যখন চলতে শুরু করলো আমার কেন জানি অন্য রকম লাগছিলো খালি মনে হচ্ছিলো আর বোধহয় ফিরতে পারবো না।আমি বোধহয় জীবনের জন্য হারিয়ে গেলাম।সারাটা রাত এক ফোটাও ঘুমাতে পারলাম না।
সেই ধরনের রাত আমি গত এগারটা মাসে অনেক পার করেছি।কতদিন ডরমেটরির বারন্দায় বসে রাস্তার সোডিয়াম লাইটের আলোতে দুরের আকাশ দেখেছি।ল্যাবে খুব মন খারাপ হলে রেস্টিং রুমে গিয়ে দাড়িঁয়ে থেকেছি।খালি মনে হতো ঐ পাহাড়টা পার হলে বোধহয় বাংলাদেশ আমার শহর রাজশাহী আমাদের বাসা। এখানে শুক্রবার আসলে পোলাপাইন সব উইকেন্ড কাটাতে যার যার বাড়ি চলে যায়।আমার ঐ সময়টা বাস স্টপজে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের যাওয়া দেখতে খুব ভালো লাগে মাঝে মাঝে মনে হতো আমি কবে যাবো??????
আর মাত্র চারদিন তারপর বাংলাদেশ,রাজশাহী,আম্মা,আব্বা,রাজন,কথিকাকে দেখবো।আমি যেমন রেখে আসছিলাম তারা কি সেই রকম আছে না বদলে গেছ??
বার বার মনে হচ্ছে
ফিরছি শিকড়ে
ফিরছি মায়ের কাছে (একটা বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল)
ওয়েলকাম।
থ্যাংকু।
আমি কিন্তু এখনো মেইল পাইনি।মেইলের অপেক্ষায় আছি।
আর দেশে ফিরে শুধু আব্বা-আম্মা-রাজন-কথিকা'দেরই দেখবেন? মেয়ে দেখবেন না?
মীরের কমেন্টে লাইক দিলাম।
মীরের কমেন্টে লাইক দিলাম।
মীর আর জয়িতার কমেন্টে লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক লাইক।
ফিরে আসেন শিকরের কাছে।
ফিরে আসেন শিকারের খোঁজে
৪ বছরে আমরা অনেক বদলাইছি... কিন্তু আপনার মনের মাঝে সেই ৪ বছর আগের ছবিটাই আছে... সো আইসাই পয়লা একটা ধাক্কা খাইবেন নিশ্চিত... এইটা সবাই খায়... কউ ভাবেনা যে দেশটারে যেইখানে রাইখা গেছিল সেইটা বদলাইতে পারে ... প্রথম সমস্যা হয় এইটা... দ্যান আপনে দেশে আসেন ছুটিতে... কিন্তু আপনার বন্ধুগো কারো কিন্তু ছুটি নাই ... উপরন্তু তারা ঘড় সংসার লইয়া বিজি ... আইসাই মনে হইবো সব্বাই বিজি... খালি আপ্নারে টাইম দেয়ার মত টাইম কারো নাই ... শুন্তে খারাপ লাগলেও এই ঘটনা ঘটে সব্বার সাথেই...
যাউকগা... স্বাগতম
ঢাকায় আইসা আওয়াজ দিয়েন..
কিন্তু রাসেল ভাই তো মনে হয় ১১ মাস পর আসতেছেন - এর মধ্যে তো অনেক কিছু বদলায় নাই
ওহ... তাইতো... সরি
বাবুর ছবি দেখলাম টুটুল ভাই, অনেক কিউট হইছে --- ভাবির মত হৈছে
ধইন্যা
বাবু অনেক কিউট হৈসে টুটুল ভাই। ভাবির মতো।
আপ্নে তো আবার বেশি কিউট না।
ক্যান? কিউট হৈলে কি হৈত?
এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ প্রতিদিন চব্বিশ ঘন্টা সময় পায়। তারা বিদেশের বন্ধুদের প্রতি কেয়ারলেস। প্রায়োরিটি দেয় না, সেটা বলেন টুটুল ভাই
দ্বিমত আছে তাতাপু।বিশ্বাস না হইলে কাজী সাবরে জিগান।
ভাই আবারো একমত।
আওয়াজ দিমুনে।
ওয়েলকাম হোম, রাসেল ভাই
থ্যাঙ্কু আপনারে।
ঘরে ফেরা আনন্দময় হোক, সুস্থ থাকো আর অনেক আনন্দ নিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসো
তাতাপু ফুঁ টা আর বাকী রাখলেন ক্যান ঐটাও দিয়ে দেন।
মাইয়া পছন্দ হলে খবর দিবা তখন ফুঁ দিমুনে
ক্যান বালা-মছিবত দূর করে দেয়ার জন্য??
ক্যান বিয়া হলে মুরুব্বীদের দুয়ার দরকার হপে না?
ফু দিবেন মুখ দিয়া কিন্তু ধুয়া কান দিয়ে বাইর করতেছেন ক্যান??
যাও ফুঁ দিবো না, শেরওয়ানী পরে যখন বউয়ের সামনে উষ্টা খাইয়া পরবা তখন মনে পড়বে আমার কথা
তাতাপুর এই দোয়াটা যেনো কবুল হয়। আমিন!
হুমম...
ঘরে ফেরা আনন্দময় হোক ।
টুটুল ভাই এর মন্তব্য লাইক কর্লাম ।
ধন্যবাদ শিপন ভাই।
যেখান থেকেই হোক যতদিন পরেই হোক নিজের ঘরে ফেরার মজাটাই আলাদা ।
আপনার কথা একশ ভাগ খাটিঁ।
ওয়েলকাম হোম রাসেল। ফানিমুনে কক্সবাজার যাওন/আসনের পথে চিটাগাঙে একটা শনিবার হল্ট কইরো
ফানিমুনের ব্যাপারটা আগেই কইছি নুশেরাপু।
শুনো বাছা, আগে হোক পরে হোক ফানিমুনে তো যাবাই। তাই আগেভাগেই কইয়া রাখছি
অভিজ্ঞ লুকদের কথাবার্তাই আলাদা
হ অভিজ্ঞ লুকদের দেইখা কই আরকি। জেবনে তিনবার গেছি কক্সবাজারে। একবার বাপের সাথে, একক্কবার মায়ের সাথে, একবার কলিগদের সাথে
দুলাভাইয়ের সাথে পয়লা কই গেছিলেন??
ঢাকা থিকা মৈমনসিং গেছিলাম। লগে বারোতেরোজন ময়মুরুব্বি আছিলো
তারপর???
তারপর তো রাসেলের বিবাহ। রাসেলের শ্যালিকার সাথে টাঙ্কি মারলো মীর। তারপর???
আম্রা আপ্নার কথা বিশ্বাস কর্ছি
কারো কথাই বিশ্বাস করি না।
দিলীপ বিশ্বাসের বিশ্বাস-অবিশ্বাস (শ্রেষ্ঠাংশে শাবানা-রেজ্জাক) দেখন তুমগো লাইগা ওয়াজিব হইছে
শাবানা ভালু পাই না।শাবানা দেখতে বসলে আমার আবার ঘুম পায়।যাই হোক ,যে যা বলে তাই না হয় মনরে বিশ্বাস করে নিতে বলবো!
রাসেল যে ৪১ নাম্বারের পর ভাগলো তার কী হবে!
আমি ভাগি নাই।তয় পাগলা ঘোড়া কই থেকে চইলা যাইতেছে বুঝতে পারতেছি না।
সই কও, সব কথা কেনো সবার সামনে বলবে?
রাসেল, অনেকদিন ল্যাবএইডের খিচুড়ি খাইনা...
জয়িতা সেদিন বললো, ক্যান রাসেল নাই দেইখ্যা কি আমরা খিচুড়ি খামুনা ?
আমি কৈলাম, না খামুনা। রাসেলের লগে আমি ওয়াদা করছি, তারে খিচুড়ি খাওয়ামু...
সো, সুস্থ দেহে সুন্দর মনে ফিরা আসো।
সোজা এয়ারপোর্ট টু গাবতলী টু রাজশাহী...
তারপর ঢাকায় আইসা আওয়াজ দিও
তোমার অনারে যদি হা-ভাইত্তারাও খিচুড়ি খাইতে পারে ...
অল দ্য বেস্ট...
মিস হা-খিচুড়ী দেখি মন খারাপ করছে।
রাসেল, প্রত্যাগমন শুভ হোক । টুটুলের মন্তব্যে নির্মম বাস্তবতা প্রকাশিত হয়েছে । তাকে ধন্যবাদ । বন্ধুরা যেমনটি চাইছে রাসেলের জন্য তেমন শুভদিন দ্রুত আসুক এই কামনা করি ।
ধন্যবাদ নাজমুল ভাই।
স্বা গ ত ম। স্বা গ ত ম।
আমার কাকার আগমন।
আমাদের একজন বন্ধু আহাদ কোরিয়া থেকে ফিরে বিবাহ সেরে ফেলেছে। আমার কাকার জন্য ও আমি তাই চাই। 'বিবাহ দোয়া' করি।
আমীন।
জীবনে তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের উঠা নামার অংকের উত্তরটা মিলাইতে পারছিলাম কিনা জানি না, কিন্তু প্রবাসে দিনে ২৪ বার সিদ্ধান্ত নেই দেশে ফিরে যাব আর ২৬ বার তা চেঞ্জ করি। দেশে ফিরে যাওয়ার হিসাবটা আর মিলাইয়া উঠতে পারি না। নিজেরে মাঝে মাঝে তৈলাক্ত বাঁশের সেই বানরটার মত মনে হয়।
রাসেল ভাইয়ের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুভ হোক।
আপনার মত এমন একটা পোষ্ট আমিও দিছিলাম বিয়ার আগে দেশে যাওয়ার সময়। আজ মা'য়ের কোলে ঝাপিয়ে পড়ার দিন
ধন্যবাদ আরিফ ভাই।
লেখা দিচ্ছেন না কেন??
ওয়েলকাম হোম, রাসেল
ওয়েলকাম
শুভকামনা যেন আপনার দেশে অবস্থান সুখকর হয়।
অফিস থেকে এসেই আপনার এ লেখা পড়লাম, খুব মন খারাপ হলো------একটা পোস্ট দিয়ে দিলাম সহ্য করতে না পেরে। ভালো থাকবেন।
দেশের ছেলে দেশে আসুক। আর যায়েন্না
এটা যদি করতে পারতাম।তাহলে আমার চেয়ে খুশী মনে হয় আর কেও হতো না।
অফটপিকঃ আমার প্রমোশন হলো কবে??
দেশের মাটির টান, আর মানুষগুলোর ভালবাসা ... পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না
কথা ঠিক।
দেশের মাটির টান, আর মানুষগুলোর ভালবাসা ... পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না।
আমি প্রায় ৯ বছর বিদেশ ছিলাম। আমি জানি। কথা সত্য।
ওয়েলকাম।
ভাতিজা,
মেজবাহ চলে যাবার পর আমি আর লিখতে পারছি না।
কোথায় যেন আটকে আছি। ওর একটা লিখা বের হোক।
ক্যান?
এরশাদ ক্ষমতায় থাক্তে পচুর কবিতা লেখছে... ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর আর কোন কবিতা লেখতে পারে না...
আমরা সবাই এরশাদ হবো,
খালেদা হাসিনা দেখে নেবো।
এরশাদের জীবনে বিদিশা আসছিল ক্ষমতা ছাড়ার বহু পরে
'আমার কী দোষ, সব সময় মেয়েরাই আমার জন্য পাগল'-- দাদু এমন বাণী দিছেন মাত্র কয়েক বছর আগে
তাইলে বস ... এইখানে কে কার জন্য পাগল?
মানে মোরালটা হইলো এদু বা উদু'র কবিতা জনসমক্ষে না আসলেও আন্ডার কনস্ট্রাকশন থাক্তে পারে
হ সেই সময় এরশাদ আমাদের দুলাভাই ছিলো।
আমার ভাতিজার বিয়েতে আমি রাজশাহী যাবো।
তার মানে--
১। বিয়ে হচ্ছেই
২। কন্যা থাকে রাজশাহী
কাকা দেখি ম্যালা কিছু জানেন।একটা ছবি পাঠান।মেয়েটারে দেখি।
মেয়ে যে রাজশাহী থাকে এটা কাল রাজশাহীর ছেলের কাছে শুনলাম।
আর টাইম কই!
আমি আরেক অভাগা যে ওয়েলকাম ব্যাকও কৈতে পারি না...। যাও, ভালো কৈরা ঘুইরা আসো, পরবর্তী এস্কেপের আগে যত বেশি পারো স্মৃতির ঝোলা ভারী করে নিয়ে কোরিয়া ফিরে যাও....
কোরিয়া যাবার পর প্রথমবার দেশে ঘুরতে গিয়ে কি অনুভুতি হয়েছিলো সেটা দিয়ে তোমারটা বুঝি, আর বুঝি যেদিন ব্যাক করবা কোরিয়ায় সেদিন মনের অবস্থা কি হবে.... শালার লাইফ..।
অসাধারন অনুভূতি!
আহারে দেশ!
রাসেল কি এখন ঢাকায় ? না কি রাজশাহীর পথে ?
না হুদা ভাই।
সুপারম্যানের ডলা খেলাম কিছুক্ষন আগে।মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে।আমি ঢাকায় পৌছাবো ২০ তারিখ রাতে আর রাজশাহী যাবো তারপরের দিন।
সে-ই কবে শুনেছিলাম ২২ দিন, ৩ দিন আগে শুনেছি আর মাত্র দুইদিন, সবকিছু দেখছি গোলমেলে ! শুভ হোক আগমন ।
কই থেকে শুনলেন এইসব?????
আমি এই পোস্টে উল্লেখ করেছি ৪ দিন।
আর আগের পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম ৩২ দিন।
বয়স হয়ে গেছে বেশী, সব দেখি কেমন গোলমাল হয়ে যাচ্ছে ! সরি --
ঢাকায় আইসা আওয়াজ দিয়েন..
আপনের লগে আমার ব্যবসার ব্যাপারটা ভুইলেন না কিন্তু!!!
আপনে সবজি চাষ করবেন, আমি বেচুম!!
স্বপ্নের মতো দিন পার করেন নিজের দেশে এই শুভকামনাই রইলো!
আপডেট কি? ফ্লাইট কখন?
আর ফ্লাইট!!!!!!!!
আজ সারাদিন কানমলা খেতে খেতে কান বড় হয়ে গেল।
সব ভুলে গেছিরে ভাই।
সেইটাই তো দেখলাম। ব্লগে বিনোদনের অভাব নাই।
মন্তব্য করুন