ছাগল জাতির কেচ্ছা
অনেক আগে "ইত্যাদি"র একটা সেগমেন্টে দেখাইছিলো যে পল্টনের ফুটপাথে বইয়ের পসরা সাজায়া বসে আছে দোকানীরা। পথ চলতে চলতে মানুষজন সেই বইয়ের পসরার সামনে দাঁড়ায় পড়তাছে। প্রতিটা বইয়ের ঝাঁপির সামনে ভিড়। ইত্যাদির সেগমেন্টটার সারমর্ম ছিল এই যে, ঢাকার মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই, কোন কারণ ছাড়াই তামশা দেখতে ভিড় জমায়। এই আলসেমির কনটেক্সটে বই ঘেঁটে দেখা কিভাবে আসে তা হানিফ সংকেত ভাল বলতে পারবেন, তবে সারমর্মের কথাটুকু পুরাপুরি মিথ্যাও না। শাহজাহানপুরে যখন দেশের প্রথম ফ্লাইওভার বানানো হচ্ছিল, মানুষ গর্ত দেখতে গোল হয়ে জমা হতো। ফ্লাইওভারের কাজ চালায় যাবার জন্য পরে নির্মাতাদের মানুষ খেদানোর জন্য গার্ড ভাড়া করতে হইছে। একই ঘটনা ঘটতাছে এখন যাত্রবাড়ি-গুলিস্তান ফ্লাইওভারের বেলায়ও। ওইখানকার স্থানীয় এক বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাসঃ
D largest fly-over construction work is going on, bt I cant understand why hundreds ov ppl alwayz watch this in d early morning , afternoon even at night !!!
কি কাক-ডাকা-ভোর কি গভীর-রাত, মানুষের আগ্রহের কোন সীমা নাই আর কি! ভোরের গর্তের সাথে রাতের গর্তের মিল আছে-কি-নাই কিংবা একদিনে গর্তটা আরো কদ্দুর ভিতরে ঢুকলো - সেটা জানার আগ্রহেই হয়তো এই ভিড়! কর্মোদ্দীপনাহীন এই বাঙ্গালিরে নিয়া আমার কিছু বলা সাজে না। আমি নিজেও এই ভিড়ের অংশ ছিলাম। আমিও খুব আগ্রহের সাথে শাহজাহানপুরের সেই ফ্লাইওভারের গর্ত দেখছিলাম। যাদের দেখার সৌভাগ্য হয় নাই তাদের জানায়া রাখি, সরুমতোন গর্তটা এতো গভীর... দেখলেই কেমন জানি লাগে! পুরা অন্যরকম ফিলিংস! আর পল্টনের ফুটপাথ ছিল আমার বই কেনার প্রিয় স্পট; যে কারণে আমার বুকশেলফের খোমাখানা সুবিধার না। সব বইই ছিড়া-বিড়া।
যাই হোক, মনে করেন এহেন আলস্য-ভরপুর মানুষের দেশ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের ছেলে-মেয়ে কিংবা নাতি-নাতনী কারো বিয়ে। এই আলস্যপ্রিয় বাঙ্গালিদের কয়জন সেই বিয়ে দেখতে যাবে? আমি নিশ্চিত,- সস্তার বই-প্রেমী আজাইরা(!) লোকজন কিংবা গর্তপ্রিয় বাঙ্গালির ১০ শতাংশও সেই বিয়ে নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাবে না। অথচ গুরুগম্ভীর, কর্মঠ কিংবা পড়ুয়া হিসাবে বিশ্বখ্যাত ইংরেজ জাতি তাদের নিধিরাম-সর্দার রাণীর নাতির বিয়ে নিয়ে কি তামশাটাই না করতেছে! একটা পুরা জাতি এমন ছাগল কিভাবে হইতে পারে সেটাই মাথায় আসে না! তবে পুরা বিশ্ব রাজত্ব করা শেষে এখন পুরানা চাকরের পা ধুয়ে খাওয়া কেন লাগে সেটা বুঝতে পারতাছি একটু-আধটু।
বাকিংহাম প্যালেস এখন একটা মিউজিয়াম, সেইখানে কতগুলা পয়সা দিয়া পালা লোক কিং কুইন প্রিন্স প্রিন্সেস সাইজা বইসা থাকে মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য। এই বিয়া হইল ঐ মিউজিয়ামের একটা বিশেষ শো। মিউজিয়ামের লোকজনের আসলে কোনো দাম নাই, তবে মিডিয়ার বদৌলতে তারা খুবি জনগুরুত্বপূর্ন। আর আমরা জানি যে মিডিয়া যা বলে তা যদি আমরা নাও মানি, তাও তা চিরসত্য।
ভাবনার কথা
আমদের আগ্রহের কোন সীমা নাই ...
হাতে কাজ না থাকলে যা হয়
ভালই লিখছেন ভাইজান ! সত্যি ভাবনার কথা
তবে আমরা বাঙালি জাতি সবচেয়ে সমালোচনা প্রিয় জাতি
তা মশাই একেবারে খাঁটি কথা বলছেন। রাজ-রাজড়াদের সমালোচনা করে জাতে উঠার চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে আর কি...
এদিকে আমার সামনে টিভিতে সেই শো চলতেছিলো, অন্যদিকে আমি আর ঋহান সেইটা ফালায়া থুইয়া পাল্লা দিয়া ঘুমাইছি
আমি দেখছি বিয়ের অনুষ্ঠান । খারাপ না ।
ঋহানের বাপ দেখছে। আমি আর ঋহান ঘুমাইছি
আমার কাছে হাস্যকর লেগেছে বেশি চ্যানেল আইয়ের কাজকর্ম
ঠিক, চ্যানেল আই এ যেভাবে বিয়ে উপলক্ষে প্যাচাল পারলো আসলেই হাস্যকর।
পল্টন থেকে কখনো কিছু কিনি নাই। আমার প্রিয় জায়গা চারুকলার সামনে আর নীলক্ষেতের সামনের অংশটা... বিচিত্র সব কালেকশন!!
আমি অফিসে টিভিতে বিয়ে দেখলাম। কনফিউজড ছিলাম বিয়ে না রানীর শেষকৃত্য দেখলাম
ভাগ্যিস রয়াল ফ্যামিলিতে জন্মাই নাই
জনাব ভাঙ্গা, বহুত আগে তুমি আমার কাছে একটা গান শোনার আব্দার করছিলা, সেইটার লিন্ক দিয়েছি, সময় পেলে শোনার অনুরোধ রইল।
আমার আধুনিক ভাষা শিক্ষা
অবশেষে আমি ইসমাট হয়েছি এন্ড গানটা যোগ করতে পেরেছি।
মন্তব্য করুন