কমরেড
কৌতূহলে বেড়াল মরে- বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ইংরেজিতে এরকম কিছু হয়তো নেই। থাকলে অকালে মরতে হতো না পৃথিবীর অন্যতম সেরা হ্যাকার কমরেডকে, হ্যাকার কমিউনিটিতে যিনি কমরেড জন নামেও বহুল পরিচিত। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেয়া জনাথন জোসেফ জেমস ওরফে কমরেড মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে ২০০৮ এর ১৮ মে হারিয়ে যান পৃথিবীর বুক থেকে।
মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শিখতে শুরু করেন জন, জানতেন ইউনিক্স আর সি প্রোগ্রামিং ভাষা। কম্পিউটার ক্লাসের পাশাপাশি অন্তর্জালে ঘুরে ঘুরে শিখতেন তিনি। আর এ বিদ্যার উপর ভর করেই এক বছরের মাথায় নাসা আর প্রতিরক্ষা বিভাগের সাইট হ্যাক করে দেখিয়ে দেন তার ক্ষণজন্মা হ্যাকার জীবনের শুরুটুকু। তাঁর এ স্বল্প জীবনে তিনি হ্যাক করেন ছোট-বড় অনেক সাইট, লেভি'র হ্যাকিং এথিকসের "তথ্য হোক সবার জন্য উন্মুক্ত " নীতির বিশ্বাসী এ তরুণ তাঁর অসীম ক্ষমতার একবিন্দুও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যদিও হ্যাকিং এর ভয়াবহতা আর ব্যাপ্তির কারণে কমরেড এর নামের আগে "ব্ল্যাক হ্যাট " ট্যাগ জুড়ে দেয়া হয়েছে, এ বিশেষণ কতোটুকু তার প্রাপ্য তা সন্দেহের অবকাশ রাখে। দুনিয়া জুড়ে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা যে কীর্তি গড়তে দিনমান অন্তর্জালে ঘুরে বেড়ান, মাত্র ষোল বছর বয়সেই ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স আর নাসার সাইট হ্যাক করে সে কীর্তি করে দেখিয়েছেন কমরেড। এ ব্যাপারে তার নির্দোষ স্বীকারোক্তি, "আমি শুধু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম কোথায় কি আছে। আমি কোন তথ্যের অপপ্রয়োগ করিনি।" এমনকি বহুবার তিনি সাইট এডমিনদের সাইটের নিরাপত্তা সম্পর্কে সতর্কও করেছেন বলে দাবি করেন, যদিও তারা কর্ণপাত করেনি। পনের বছর বয়সে নাসার ওয়েবসাইট হ্যাক করা এবং অবৈধভাবে ১.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সফটওয়ার ডাউনলোড করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়, গ্রেফতারের সময় তার বয়স ছিল ষোল। বিচারে তাঁকে ছয় মাসের জন্য অন্তরীণ করা হয়, ঐ অন্তরীণকালে তার যেকোনো প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় পরবর্তীতে তাকে ৬ মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়।
পিবিএস ফ্রন্টলাইনের সাথে সাক্ষাৎকারে কিশোর জন বলেন, " আমাকে যতোটা খারাপ মনে করা হচ্ছে আমি ততোটা নই... কিন্তু আমি জেলখানায় গিয়ে খারাপ হয়ে যেতে পারতাম! সেখানে, সত্যি বলতে, সত্যিকারের খারাপ লোক ছিল, যাদের কোনো ন্যায়নীতিবোধ ছিল না।" তাঁর কৃতকর্মের জন্য নিজেকে নির্দোষও দাবী করেন কমরেড, "আমি শুধু কৌতূহলের জন্যই ঘুরছিলাম(নাসার সাইটে)... আর যেহেতু আমি তখন সি প্রোগ্রামিং শিখছিলাম, তো ভাবলাম শিখবোই যখন সরকারী প্রোগ্রাম থেকে কেন নয়? সে কারণেই আমি সফটওয়ারটা নামিয়েছি...আর ওই সফটওয়ার এমনিতেও চলেনি, হয়তো কোন বিশেষ যন্ত্রের জন্য বানানো, কিংবা ফালতু কোডও হতে পারে! যেকোনো কম্পুজ্ঞানী লোকই বুঝবে আমি কি বলছি!" মেধাবী এ হ্যাকার নির্দ্বিধায় নাসার ১.৭ মিলিয়ন ডলারের কোডকে "ছাইপাঁশ" অভিহিত করে জানান যে কোনোভাবেই ঐ প্রোগ্রামের দাম ১.৭ মিলিয়ন হতে পারে না! উল্লেখ্য নাসার হান্টসভিল, অ্যালাবামাতে অবস্থিত মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের সাইট হ্যাক করে কমরেড অবৈধভাবে ডাউনলোড করেছিলেন মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনে মানুষের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরির সফটওয়ার। কমরেডের কীর্তি ফাঁস হয়ে যাবার পরে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই স্পেস স্টেশনের কম্পিউটার মেশিন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে এবং ঠিক করতে একচল্লিশ হাজার ডলারের বিশাল অংক গুনতে হয়।
পরবর্তীতে কমরেডের অনেক আক্রমণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীনস্থ এজেন্সি D.T.R.A(Defense Threat Reduction Agency) এর ওয়েবসাইট হ্যাক। এ ওয়েবসাইট হ্যাক করে একটা ব্যাকডোর(হ্যাকাররা অনেক সময় সাইটে ব্যাকডোর তৈরি করে যাতে তথ্য বের করতে পারে এবং প্রতিবার ওই ব্যাকডোর দিয়ে সাইটে অনুপ্রবেশ করতে পারে) তৈরি করেন কমরেড, যার ফলে তাঁর হাতে এসে পড়ে সরকারের অনেক গোপন তথ্য, প্রতিবেদন, প্রায় তিন হাজার স্পর্শকাতর মেইল এবং অসংখ্য মিলিটারি সদস্যের পরিচয় ও ইমেল এড্রেস। কমরেডের এ আক্রমণের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারতো, তবে শুধুই কৌতূহলের জন্য ঘুরে বেড়ানো কমরেড এই স্পর্শকাতর তথ্যসমূহ ফাঁস করেননি কোথাও, যদিও ভাল অর্থমূল্য পেতেন আন্তর্জাতিক বাজারে। কমরেড বরং বারবার সতর্ক করেছেন সরকারকে। বিনিময়ে সরকার তার পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে কমরেডকে গ্রেফতার করতে এবং শাস্তি দিতে। হতাশ হয়েই হয়তো ষোলতেই তাঁর উপলব্ধি, "এ কারণেই সরকার পদে পদে ব্যর্থ হয়।"
প্রতিবারেই কেন স্পর্শকাতর ওয়েবসাইটের হামলা করতেন কমরেড? কমরেড এর কাছে মনে হতো হয়তো এগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী, তাই এগুলোতে ঢুকতে পারলে তাঁর ক্ষমতার আঁচ করতে পারবেন। এমনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কমরেড ঘুরে বেড়াতেন অন্তর্জালে। কিন্তু কুটিল ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা যেমন তাদের ট্র্যাক কাভার করতেন, সরলমনা কমরেড জন তা করতেন না, "...আমি চাইলেই আমার ট্র্যাক কাভার করতে পারতাম, তাহলে তারা(আইন-শৃংখলা বাহিনী) আমাকে ধরতে পারতো না... ... আমার কাছে কখনো মনে হয়নি আমি অন্যায় করছি ... আমি শুধুই ঘুরে ঘুরে দেখছি। " এই ঘুরে ঘুরে দেখার অসীম কৌতূহলই হয়তো কাল হয়েছিল জনাথন জোসেফ জেমসের জন্য। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন এ তরুণ।
আত্মহত্যার আগে লিখে যান পাঁচ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট, যেখানে সরকার আর তার আইন-শৃংখলা বাহিনীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যান কমরেড," আমার আর এই বিচার ব্যবস্থার উপর কোন বিশ্বাস নেই," হতাশ কমরেড লেখেন, "হয়তো আজকের এই ঘটনা মানুষের কাছে আমার না বলা কথাগুলো পৌঁছে দিবে। যাই হোক, পুরো পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমি হারিয়ে ফেলেছি, আর এটাই হয়তো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার একমাত্র উপায়।" উল্লেখ্য, আত্মহত্যার দুসপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচাইতে বড় আইডি-থেফটের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করতে আসে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের সন্দেহ ছিল কয়েকটা বড় বড় হ্যাকিং চক্রের যোগসাজশে এ আইডি থেফটের ঘটনা ঘটিয়েছিল কমরেড জন। মিথ্যে এ অভিযোগে বলির পাঁঠা হবার আগেই অভিমানী এ তরুণ বন্দুকের নল নিজের মাথায় ঠেকান।
তের বছর বয়সে একবার ছেলের কম্পিউটারের নেশা মাত্র ছাড়াচ্ছে দেখে তার কম্পিউটার জব্দ করেন বাবা রবার্ট জেমস। বাড়ি থেকে পালিয়ে যান জন, রাস্তার মোড় থেকে টেলিফোনে হুমকি দেন- আর বাড়ি ফিরবেন না যদি কম্পিউটার ফেরত না দেয়া হয়। মৃত্যুর পর দুষ্ট সে ছেলের স্মৃতিচারণ করতে করতে বাবা রবার্ট জেমস সামান্য হেসে বলেন, "So, yeah, he kind of liked computers."
উইকিপিডিয়া , পিবিএস ফ্রন্টলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকার, এবং অন্যান্য সূত্র অবলম্বনে
হালায় তো পুরাই মাল...
আসলেই! বস পাবলিক! খালি সি আর ইউনিক্সের উপ্রে দুনিয়া কাঁপায় ফেলছে!
প্রতিভার কি বিশাল অপচয় !
অপচয় নাও হইতে পারে। হ্যাকিং কিন্তু আর অপরাধের লেভেলে নাই। এটা এখন ক্ষমতা। অনেকটা এরকম-- বন্দুকের নল ক্ষমতার উৎস, তবে নির্ভর করে বন্দুকের পেছনে কে আছে তার উপর। হ্যাকিং ও একটা ক্ষমতা, নির্ভর করে কে কিভাবে ব্যবহার করে তার উপর।
সামুতে কোন এক পোস্টে রাগিব ভাইও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, হ্যাকার বাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা আছে। আমি এই পোস্ট দিয়েই হ্যাকার সিরিজ শেষ করে দিব ভাবছিলাম, আর কারো জীবনী পড়তে মজা পাই নাই। তবে তোমার কথার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন হ্যাকার এর জীবনী বলার লোভ সামলাতে পারছি না...টু বি কন্টিনিউদ
''হ্যকিং কিন্তু আর অপরাধের লেভেলে নাই'' - আমি জানিনা এই ব্যাপারে নিশ্চিত কইরা... আমি যদ্ডুর জানি এইটা অহনো অপরাধের লেভেলেই আছে...
''এটা এখন ক্ষমতা'' / ''সামুতে কোন এক পোস্টে রাগিব ভাইও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, হ্যাকার বাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা আছে।'' ----- এইখানে একমত। পত্রিকায় পড়ছিলাম মনে হয় যে আমেরিকা আর ইরান , না যেন আমােরিকা আর চায়না'র মাঝে কোন গ্যান্জাম লাগলেই হ্যাকার বাহিনীও মাঠে নাইমা পড়ে... একদিকে চলে ডিপ্লোম্যাটদের যুদ্ব আর আরেকদিকে চলে হ্যাকারদের সাইট তছনছ করে দেয়ার ধুন্দুমার যুদ্ব ...। কিছুদিন আগে গুগল ও তো অভিযোগ তুলল চাইনিজ হ্যাকার দের নামে এবং আাকরে ইংগিতে বুঝায়া দিলো এই হ্যাকারবাহিনী চায়না সরকারের মদদপুষ্ট...
এইটা থিকাই বুঝা যায় যে হ্যকিং একটা ক্ষমতার বিষয়; সাথে মনে হয় এইটাও কিছুটা ক্লীয়ার হয় যে ''হ্যকিং টা যে অপরাধ না'' তা কিন্তু নয়- কারন ঐ মদদপুষ্ট হ্যাকারবাহিনী রে কেউই কহুলাকহুলি সমর্থন দেয় না; অপরাধ না হইলে নিশ্চয়ই কহুলাকহুলি সমর্থন দিত...।
যাউগ্গা এইটা আামার লাইন না তাই আমার বক্তব্য স্রেফ গাড়িয়াল ভাইয়ের নৌকা চালানোর চেষ্টা :)
আর অপচয় বলছিলাম এই কারণে যে এইরকম আত্মহত্যা শেষপর্যন্ত কোন তফাত বয়ে আনেনা..। আবার আনেনাই বা কেমনে কই...??!!! হয়ত তার এই অকালমিত্যুতে আমরা সতর্ক হইছি এইটাও কম না...
যাইহোক তরুণদের এইরকম আত্মহত্যা কোনভাবেই ভালোলাগেনা... কনে জানি অপচয়ই মনে হয়... :(
আত্মহত্যা অপচয় এটা সত্য, তবে পেছনের চাপই অনেকসময় বাধ্য করে।
হ্যাকিং আসলেই এখন অপরাধের লেভেলে নাই। বেশিরভাগ হ্যাকারের সাধারণ পেশা এখন ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি দেয়া। আর বিভিন্ন দেশ আইন মেনেই হ্যাকার পালে
ভাল লাগল। আমার বিশ্বাস একসময় এদেরকে হিরো মনে করা হবে, হয়ত আর ১০০ বছর পরেই। তথ্যে এক্সেস সবারই সমান অধিকার থাকা উচিৎ। একসময় সেটা নিয়ে অবশ্যই আন্দোলন হবে আর আন্দোলন সফল হলে হয়ত জনদেরকে বিশেষ সম্মানের সাথে সে আন্দোলনের জনক মনে করা হবে।
তথ্যে অধিকারের উপর ইতোমধ্যে নীরব আন্দোলন চলছে। তবে হ্যাকারদের অনেকে এখনই হিরো। পরের পোস্টে বলবো আশা করি।
আহারে মায়া লাগছে
বয়সটা আরেকটু বেশি হলে ধাক্কা সামলে নিতে পারতো। কি করেছে তা বড় কথা না, ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে এই তরুণ আরো কি করতে পারতো সেটা নিয়েই আফসোস!
হুদাই অপচয়... খারাপ লাগল কমরেডের কহিনী পড়ে... মাল মাথার পুলা ছিল... পরে লিংকগুলো ঘুরে আাসবো সময় করে ..।
পোস্টের টপিক পছন্দ হইছে... ডিফরেন্ট একটা টপিক
ভাঙ্গা এইরম কিছু লেখা দেয়। ক্যাপ্টেন ক্রাঞ্চ পড়ছেন?
নাহ... পড়ুমনে... থ্যংকু জানায়া দেয়ার লিগা
... আমি আরো সাই-ফাই ভাইবা পড়িনাই 
অদ্রোহের কমেন্টটা দেইখেন বস। অপচয় নাকি অপচয় না পরে বলবো সেকথা
ওহ... ইংলিশে কয় ''কিউরিওসিটি কিলড দ্য ক্যাট''... তয় সেই পরিস্হিতি উদ্ভব হওয়ার আগে পর্যন্ত ''আ ক্যাট হ্যাঝ নাইন লাইভস'' এইটাও তারা কয়
...
এই ভাইবা খুশী থাকতে পারো কমরেড হ্যাড হ্যড হিঝ নাইন লাইভস
... যেই হারে পুলিশের হাতে পুলা টা ধরা খাইছে আর ছাড়া পাইছে তাতে তো নাইন কি নাইন্টি লাইভস বইলাই ভ্রম হয়
একবারই ধরা পড়ছিল। অবশ্য কিশোর ছিল দেখে মাত্র ৬মাসে রেহাই পাইছে, প্রাপ্তবয়স্ক হলে মিনিমাম দশ বছর এর মামলা!\
এখানে আরেকবার বলতাছি, সে যদি ট্র্যাক কাভার করতো, কারো বাপের সাধ্যি নাই ধরে। ডেইলি শত শত সাইট হ্যাক করতাছে অর্থের জন্য, তথ্যের জন্য...এরা কেউ কিন্তু ধরা পড়ে না।
সরকারি লুকজন রে ধইরা!! আচ্ছাসা মাইর দেওনের দরকার!!!
হ্যাকার পেন্সিল
হ্যাকার-জীবনীকার কইতে পারেন
কি আশ্চর্য! আমি আজকেই একটা কোর্সের TA গিরি করতে গিয়া এদের কয়েকজনরে নিয়া ঘাটাঘাটি করতেছিলাম! এই ব্যাটার সম্বন্ধে অবশ্য বিস্তারিত জানতাম না।
কম্পু লাইনে অনেক বিতর্ক, এরা কি আসলে হিরো নাকি ক্রিমিনাল। তথ্যের অধিকার সবার আছে, তাই বলে সব তথ্যের অধিকার কি সবার থাকা উচিত?
অস্ত্র আবিষ্কার না হইলেই সবচাইতে ভাল হইতো, তাই না? মানুষ এতো সহজে একে অপরকে মারতে পারতো না। কিন্তু অস্ত্র যেহেতু আবিষ্কার হইছেই, সুতরাং পুলিশ অস্ত্র হাতে না নিলে সন্ত্রাসীরা ফেয়ারপ্লের জন্য খালি হাতে বইসা থাকবে না। ফ্যাক্টটা অনেকটা এরকম। অন্তত হ্যাকিং প্রসংগে "এটা ভাল আর ওটা খারাপ" বলে ভাল-খারাপের সীমারেখা টানতে পারবেন না।
এখনও আমরা অনেক কম্পুবিজ্ঞানীর নাম শ্রদ্ধাভরে নিই, তাদের অনেকের অতীত কমরেডের মতোই... কমরেড শুধু এইসব বিখ্যাত কম্পুজ্ঞানীর মতো ভবিষ্যতটা গড়তে পারার আগেই হারিয়ে গেছেন।
অন্তত হ্যাকিং প্রসংগে "এটা ভাল আর ওটা খারাপ" বলে ভাল-খারাপের সীমারেখা টানতে পারবেন না।
এই লাইনটাই টানা যায় না বলেই তো সমস্যা। মোটা দাগে দেখলে অনেকেই দোষী, কারণ শুধু চ্যালেঞ্জ নয়, স্বার্থের জন্যও হ্যাকিং হয় প্রচুর। আবার নিরীহ উদ্দেশ্য থাকলেও কেউ কেউ বিরাট ক্ষতি করে ফেলে (যেমন মরিস ওয়ার্ম)।
আমি একটা জিনিস খেয়াল করছি, কম্পু সাইন্সের মত আর কোন টেকনিক্যাল বিষয় ফিলসফি কিংবা ইথিকস এর সাথে এত কাছাকাছি জড়িয়ে নাই।
মরিস ওয়ার্মের কথাই ভাবেন, নির্দোষ শুরুর কারণে ঘটে গিয়েছিল বিপর্যয়...মরিস কোথায় আছে এখন? সেই হিসেবেই আমার ধারণা জেমস কিছুটা ছাড় পেতে পারতো!
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
এইখানেও কাপতাছে?
কি কাঁপে?
কিছুদিন আগে কাপলো হাইতি



সামুতে ওইদিন দেখলাম একজন খাঁট কাপাইলো
এর পর গ্রামীন ফোন কাপাইলো শহীদ মিনার
সচলে মুখফোড়া কাপালো ৫ মিনিট
এর মধ্যে আবার চিলি কাপলো
কাপাকাপিতেতো আছি
Hello!
স্বাগতম
বাহ, ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ মাসুম ভাই
হ্যাকিং যারা করে, তারা মূল সফটওয়্যারের ডিজানারের চাইতেও "এক পা এগিয়ে"
পোস্টে ++
কথা সইত্য!
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম অনুবাদের প্রশংসা করব। মনটাই খারাপ হয়ে গেল!
বাপের ব্যাটা আব্বাস -----শুধু আত্মহত্যা করাটা পোষালো না
বয়সটাই এমন ছিল...চোখমুখে অন্ধকার দেখছে হয়তো!
এরকম আরও অনেক লেখা চাই ।আপনার হাতে সময় থাকলে দয়া করে দিবেন।আমি পড়তে চাই এবং জানতে চাই।আপনাকে ধন্যবাদ
সময় আছে অল্প স্বল্প, তবে লেখার ইচ্ছা নাই
ভাংগু- চতুরে মনে হয় পড়ছিলাম , অনেক আগে, যে হ্যকিং বিষয়ে পাঠকদের রিঅ্যকশান দেইখা এই বিষয়ে আর লিখতে আগ্রহ থাকে নাই বা এইরকম কিছু... কে জানে কি পড়ছিলাম কমেন্টে পুরা মনে নাই... পইড়া তখন ভাবছিলাম, ''আমিওতো কমেন্ট মারছিলাম খানকয়েক.। কে জানে পিচ্চি কি ভাবছে কমেন্_ট পইড়া''। তাই নিশ্চিত হওয়ার লিগা আবার ঘুরতে আসলাম। এই সিরিজ আবার চালু করা যায়না ? মজা পাচ্ছিলাম হেভী
মনে হয় না এরকম কিছু পড়ছেন।
হ্যাকিং সিরিজটা আসলে আমি লেখতেই চাই নাই। হ্যাকারদের জীবনী পড়তেছিলাম, তখন ক্যাপ্টেন ক্রাঞ্চ আর কমরেডের কাহিনী ভাল্লাগছিল। মনে হইছে ক্যাপ্টেন ক্রাঞ্চ আর কমরেডকে নিয়া লেখা যায়। ঐ দুইটা লেখার পরে সিরিজ চাওয়া শুরু করলো সবাই। তখন অন্যান্য উল্লেখযোগ্যদের সামারি নিয়া শেষ কেচ্ছা লিখলাম। এই তো!
প্রজন্ম ফোরামের এই টপিকে http://goo.gl/s7dlD ভাঙ্গাপেনসিলের এই লেখাটা শেয়ার করলাম। কয়েকজন তরুন হ্যাকার হতে ইচ্ছুক এর কমেন্টস পড়ে আসুন ওই টপিক থেকে!!
মন্তব্য করুন