ইউজার লগইন

মেসবাহ য়াযাদ'এর ব্লগ

অবশেষে ম্যুরাল এল বই মেলায়

CoverFlap.jpg
আমরা বন্ধু ব্লগে ২০১১ সালে লিখিত ব্লগগুলো থেকে বাছাই কমিটি কিছু লেখা মনোনীত করলেন। তার মধ্যে মুক্ত গদ্য, গল্প এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা ছিল। সেসব লেখাকে ব্লগ থেকে কনভার্ট করে ওয়ার্ডে নেয়া হল। তারপর তা প্রুফে দেয়া হল। প্রুফ থেকে আউটপুট সেন্টারে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল অসংখ্য যুক্ত শব্দ ভেঙ্গে গেছে। সেসব চারদিন ধরে যত্নের সাথে সঠিক করার চেষ্টা করা হল। আউটপুট সেন্টার থেকে মেকাপ শেষ করে তা পজেটিভ এবং প্লেট তৈরি করে প্রেসে পাঠান হল। প্রেস থেকে ছাপিয়ে তা পাঠান হল- কাটিং এবং বাইন্ডিং কারখানায়। সেখান থেকে ফাইনাল সাজুগুজু সেরে ম্যুরাল অবশেষে আজ থেকে মেলায়।

বই মেলা কড়চা- ৯

এ ক'দিন মেলায় যেয়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম- শুধু আমি বা আমরাই মুরগা খুঁজি না। আরো একটা দল মুরগা খোঁজে। আর তারা হল টিভি চ্যানেলের লোকেরা। ক্যামেরা নিয়ে মেলার এ মাথা থেকে সে মাথা চষে বেড়ান তারা। মুরগার সন্ধ্যানে। মনপুত: মুরগা পেলে ক্যামেরা অন করে বোম ধরেন তার সামনে। পারুক আর না পারুক, প্রাসঙ্গিক হোক বা না হোক তখন তাকে বাধ্য হয়ে কিছু কথা বলতে হয়। এই যেমন- কী বই কিনল, মেলার পরিবেশ কেমন, বইয়ের দাম এবার আগের চেয়ে কম না বেশি ? সবচেয়ে সমস্যা হয় লাইভ প্রোগ্রামে যাদেরকে মুরগা হিসাবে কট করা হয়- তাদের। কী করবেন, কী বলবেন, সাজগোজ ঠিক আছে কিনা, পরিবারের লোকজনকে বলতেও পারেনা যে তাকে অমুক টিভিতে লাইভ দেখাচ্ছে। পরে আফসুস করতে দেখেছি অনেককে। যেমন আমাদের ব্লগার ৪ কন্যা সেদিন আফসুস করেছিল।

বই মেলা কড়চা- ৮

বই মেলা নিয়ে প্রতিদিন একটা কড়চা লিখার ইচ্ছে মেলা শুরুর আগে থেকেই ছিল। সে মতে শুরুও করেছিলাম। সেটা দিন দিন কিঞ্চিত জনপ্রিয়ও হয়ে ঊঠার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আজ কাল আমি শংকিত। কড়চার মুল বিষয় হয়ে উঠছে- মুরগা ধরা। এ কারণে ব্লগারের উপস্থিতি ক্রমান্নয়ে কমে যাচ্ছে। মেলায় গেলেও অনেকে আজকাল লিটল ম্যাগ চত্বর এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। ফলে মুরগা হবার ভয়ে আর অনেকেই আড্ডায় যায় না। আজ মেলায় ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম আনিস ভাই, নূপুর আর লীনা ফেরদৌসকে। মেলায় গিয়ে শুনলাম- জয়িতা আর লীনা মেলায় গিয়ে দ্রুত মেলা ত্যাগ করেছে। সেটাও মুরগা হবার ভয়ে...। কী সব্বোনাষ ! এভাবে চললেতো মুরগা পাওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়বে। তবু হাল ছাড়ছিনা। আল্লাহ ভরসা...।

বই মেলা কড়চা- ৭

বেলা তিনটার সময় বেরুলাম। ছেলেকে বাইকের পেছনে নিয়ে ছুটলাম। প্রথমে গেলাম নিউ সুপার মার্কেট। বাসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সদাই-পাতি কেনা জরুরি ছিল। সেখানকার হোসেন স্টোর থেকে আমি বরাবর সদাই কিনি। দুটো কারণে। এক ওদের প্রাইসটা বেশ রিজনেবল। দুই এক নম্বর পণ্য পাওয়া যায় এখানে। গিয়ে দেখি শার্টার বন্ধ। বিষয় কী ? পাশের ফুপপাতের দোকানীর কাছে জানা গেলো, আজ মঙ্গলবারতো সেজন্য বন্ধ। আমি অবাক হলাম। মঙ্গলবার এই এলাকা বন্ধ সেটা আমি জানি। কিন্তু হোসেন স্টোরতো মঙ্গলবার কেনো, ঈদের দিনও খোলা থাকে। আবার বাইক ঘুরালাম। এবারের বিকল্প গন্তব্য কারওয়ান বাজার। সেখানে কিচেন মার্কেটে আমার একটা পরিচিত দোকান আছে। যেখান থেকে নিয়মিত মাসিক বাজার করি। এটা অবশ্য মুদি দোকান। তবে অল্প বিস্তর স্টেশনারি পণ্যও পাওয়া যায়। দ্বোতলায় উঠতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। পুরো কারওয়ান বাজার বন্ধ। অবিশ্বাস্য ! বিষয় কী ?

বই মেলা কড়চা- ৬

আজকের কড়চার প্রথম প্যারা- একজন মায়াবতীকে উৎসর্গ করা হল

বই মেলা কড়চা- ৫

আমার মনে অনেক দুঃখ। সেই দুঃখের শেষ নাই। ছুটির দিনে অন্য দিনের চেয়ে একটু বেশি ঘুমাই। ঘুমানোর জো কি আছে ? সকাল ৯ টার পরে ছোট ছেলে ঘুম থেকে উঠে বাবা, বাবা বলে ডাকা শুরু করবে। লীনা দিলরুবা ফোন করলো সকালে। এরপর জয়িতা বানু ম্যাসেজ পাঠালো- বিকাল ৪ টায় মেলায় যাইতে ! আরে বাপু, তোর যেতে ইচ্ছে করছে, যা না... কে নিষেধ করেছে। তারপর কি আর ঘুম আসে ?

বিকাল ৪ টার দিকে বই মেলার উদ্দেশ্যে বাইক হাঁকালাম। পান্থপথের সিগন্যাল পার হয়ে বায়ে মোড় নিলাম। বসুন্ধরার একটু সামনে থাকতে ট্রাফিক সার্জেন্ট হাত দেখালো থামতে। আমি ভদ্রলোকের মত বাঁয়ে ইন্ডিকেটর লাইট জ্বালিয়ে বাইক স্লো করলাম। সার্জেন্টের কাছাকাছি যাবার পর হেসে বললো, যান বস...। আমিও কিছু না বলে আবার ডানে ঘুরলাম। ভাবছেন, সার্জেন্ট আমার পরিচিত কেউ ? যি না মশাই, আমার বাইকের সামনে প্রেস লেখাটা দেেখেই আমাকে খাতির করলো।

বই মেলা কড়চা- ৪

এই ঢাকা শহরে থাকলেও কদাচিৎ যাদের সাথে দেখা হয় বা মোবাইলে কথা হয় সেই সব পরিচিত জনদের সাথে বই মেলা আসলে দেখা হয়। তো, এমন একজনের সাথে আজ দেখা হলো মেলায়। ভাল্লাগলো ভীষন। বিশেষ করে তার আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করলো। মনেই হয়নি প্রায় বছর খানেক পর তার সাথে দেখা হয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে কালই একসাথে ছবির হাটে চা-বিড়ি খেয়েছি। ভদ্রলোকের স্ত্রীও বেশ আন্তরিকতার সাথে খোঁজ খবর নিলেন। মেলায় ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। যদিও অনেক মেজাজ খারাপ নিয়ে আজ মেলায় গিয়েছি। একবারতো ভেবেছিলাম, আজ বই মেলায় যাবোই না। আবার মনে হলো- তাহলে বই মেলা কড়চা- ৪ যে লেখা হবেনা। এই বার পণ করেছি- যা থাকে কপালে, কেউ পড়ুক আর না পড়ুক: ঢাকায় থাকলে প্রতিদিন একটি করে কড়চা লিখবো...

বই মেলা কড়চা- ৩

দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়ে এসে তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়লাম। না, বই মেলায় নয়। এফডিসিতে। চার নস্বর ফ্লোরে মীরাক্কেল আক্কেলের অডিশন দেখতে। গতকাল শুনেছি মীর আর শ্রীলেখা এসেছে- বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের অডিশন নিতে। তো, মীরকে (মীরাক্কেলের মীরের কথা বলছি, এবি'র মীরকেও আমি লাইক করি- সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই) আমি ভয়ঙ্কর পছন্দ করি। শ্রীলেখাকে ভালো পাই। দুটো পাশ ছিলো আমার কাছে। হাতের কাছে কাউকে না পেয়ে রোদ্দুর কে নিয়ে রওয়ানা হলাম। এফডিসির গেটে পৌঁছে দেখলাম, হাজার হাজার মানুষ!

বই মেলা কড়চা- ২

দুপুরের পর পরই বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে ব্যাংকে একটা কাজ সারলাম। তারপর এস এ পরিবহনে একটা পার্শেল পাঠালাম। এরপর গেলাম লীনা দিলরুবার অফিসে। লীনাকে কাল টুটুল ম্যুরালের কিছু লেখা দেখতে দিয়েছিলো। রাতের মধ্যে সেগুলো দেখে শেষ করার কথা লীনার। দুপুরে আমি তার কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে প্রেসে যাবো- সেরকমই কথা ছিলো। ওমা, অফিসে গিয়ে দেখি আমাদের লীনা আপা তখন বনানীতে। তার অফিসের কাজে গিয়েছে। বললো, ৩০ মিনিটের মধ্যে ফিরবে। আমি হাসলাম ওর কথা শুনে। বনানী থেকে দিলকুশায় ফিরবে ও; তাও ৩০ মিনিটে ! সময় নষ্ট না করে নিচে নেমে এসে একটা বিড়ি ধরালাম। তারপর ছুটলাম প্রেসে...

বই মেলা কড়চা- ১

সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বাইরে যাই না। ঢাকাতে থাকার চেষ্টা করি। এবং প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে বই মেলায় যাই। বই মেলায় এদিক সেদিক ঘুরে অবশেষে এক জায়গায় জড় হই। এবং মেলার শেষ লাইটটা নেভানো পর্যন্ত আড্ডা দেই। তারপর দল বেঁধে টিএসসি পর্যন্ত হেঁটে আসি। সেখানে আমার হলুদ বর্ণের মোটর সাইকেলটা থাকে। প্রতিদিনই মেলা থেকে বেরিয়ে ভাবি, টিএসসিতে গিয়ে দেখবো মোটর সাইকেলটা নেই। কেউ নিয়ে গেছে। অথচ কেউ আমার মোটর সাইকেলটা নেয় না। না নেবারও একটা গোপন কারণ আছে...

হে আল্লাহ, তুমি এত নিষ্ঠুর কেনো ?

আমরা ৬ ভাই বোন। সবার বড় ভাইয়া, তারপর আপা, আমি, আমার ছোট দুই ভাই, সব ছোট এক বোন। সবাই এখন ঢাকায় পরবাসী। আপার ৩ ছেলে। বড়টির নাম তূর্য। এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করলো। অনার্স, মাস্টার্স দুটোতেই প্রথম শ্রেণী পেয়েছে। গত মাসে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জয়েন করেছে। আপা চাকুরী করেন অগ্রণী ব্যাংকে। দুলাভাই একমি ল্যাবরেটরিতে। আপার মেজো ছেলে প্রত্যয়। আমরা ডাকি প্রত্যু বলে। দারুন ব্রিলিয়েন্ট ছেলে। বড়টার চেয়েও বেশি। এসএসসি আর এইচএসসিতে গোল্ডেন এ পেয়েছে। ওর বড় স্বপ্ন ছিলো বুয়েটে পড়বে। এইচএসসিতে গোল্ডেন এ পাওয়া স্বত্বেও কোন্ একটা বিষয়ে মাত্র ৩ নম্বর কম পাওয়ায় বুয়েটে পরীক্ষা দিতেই পারলোনা। খুব মন খারাপ হলো- প্রত্যুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় দুইটাতেই পরীক্ষা দিলো। চান্স পেলো দুটাতেই ভর্তি হবার। মাকে বললো, ঢাকাতে নয় আমি ভর্তি হবো জাহাঙ্গীর নগর বিশাববিদ্যালয়ে। আই.টি

সুঁই আর চালনের গল্প

সুঁই চিনেনতো ? যাহা দ্বারা কাপড়-চোপড় সিলাই করা হয়। এইবার চিনিয়াছেন ? বেশ, আপনাকে ধন্যবাদ সুঁই চিনিবার জন্য। তো এইবার একটা কোশ্চেন করি আপনাদের। না না, সবাইরে না। কেবলমাত্র যাহারা সুঁই চিনিতে পারিয়াছেন তাহাদের জন্য আমার এই কোশ্চেন:
বলেনতো, একটি সুঁইয়ের পাছায় কতগুলি ছিদ্র থাকে ?
সবাই একসাথে বলিলেতো হইবে না। একজন করিয়া বলেন। জ্বি, আপনারা সঠিক উত্তর দিতে পারিয়াছেন। সুঁইয়ের পাছায় একটাই ছিদ্র থাকে। যাহার মাধ্যমে সুতা প্রবেশ করানো হয় এবং কাপড়-চোপড় সিলাই করা হয়।

এইবার অনুমতি দিলে আরেকটি কোশ্চেন করি। তাহার পূর্বে জানিয়া রাখা অবশ্যক যে, আপনাদের মধ্যে কাহারা চালন চিনেন ? অনেকেই দেখি চিনিতে পারিয়াছেন। ধন্যবাদ আপনাদেরকে। এইবার কোশ্চেনের উত্তর বলেন দেখি:
বলেনতো, একটি চালনের পাছায় কতগুলি ছিদ্র থাকে ?
কী বলিলেন, অনেকগুলি ? ঠিক বলিয়াছেন।

আজ সেই ছেলেটার জন্মদিন

গত বছর শীতের সময় গাইবান্ধা গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো, সেখানকার গরীব, শীতার্থ মানুষগুলোকে কিছু কম্বল দেয়া। ভোর রাতে গিয়ে নামলাম গাইবান্ধা। শীতে কাবু হয়ে গিয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি বন্ধু বাবুর বাসায় যেয়ে কম্বলের নিচে ঠাঁই নিয়েছিলাম। তাতেও রেহাই পাইনি শীত থেকে। ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। আমার অবস্থা দেখে বাবু আর তার বৌ হাসছিলো। ওরা বললো, এরচেয়েও ঢের বেশি শীত পড়ে গাইবান্ধাতে। আমার বিশ্বাস হয়নি। তাহলে এখানকার মানুষেরা টিকে থাকে কী করে ?
দুপুরের পর থেকে কম্বল দেয়া শুরু করে রাতে শেষ করি। বাবু এবং তার বন্ধুরা আগেই শহরের বাইরের বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে গরীব মানুষদের লিস্ট করে তাদেরকে কূপন দিয়ে এসেছিলো। যা দেখিয়ে তারা কম্বল নেয়। দুটো করে কম্বল পেয়ে লোকগুলোর মুখে যে হাসি ফুটেছে, তা দেখে মনে হয়েছে- কত অল্পতে মানুষ খুশি হয় ! সেরাতে ফেরার ইচ্ছে থাকলেও ফেরা হয়নি। পরদিন সকাল আটটার বাসের টিকেট কেটে আবার বাবুর বাসায়...

দবিরের বৈদেশ যাত্রা- দুই

বিমানে উঠলেই দবিরের এই সমস্যাটা হয়। এর আগেও দবির ৩ বার বিমানে উঠছে। সেইটা অবশ্য বৈদেশ যাত্রা ছিলো না। দেশের মধ্যেই। একবার ঢাকা থেকে যশোর, একবার সিলেট আর একবার চিটাগাং। তাও নিজের পয়সায় না। সেইটা ১২/১৩ বছর আগের ঘটনা। একটা নতুন দৈনিক পত্রিকা বাইর হৈবো। সেইজন্য দবিরের মতন কিছু মানুষ সেই পত্রিকার পক্ষে জনমত তৈরির লাইগা সারাদেশ ঘুরছিলো। লোকজনের লগে কতা কৈছিলো। সেই সব দিনের কতা মনে পড়লে দবিরের নিজের কাছেই শর্মিন্দা মনে হয়। এখন দবিরের মনে হয়, সেইটা ছিলো সেই পত্রিকার পক্ষে একরকম দালালি করা। যদিও তখনকার দবিরের মতন মানুষগুলির উদ্দেশ্য সৎ ছিলো। ভালোবাসা ছিলো। স্বপ্ন ছিলো। মনে মনে লজ্জিত হাসি নিয়া দবির ভাবতে লাগলো, প্রতিবার বিমানে উঠলে তার এই অবস্থা হয় ক্যান ?

দবিরের বৈদেশ যাত্রা- এক

ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে গিয়া দবির তার সবুজ পাসপোর্টটা দিলো। পাসপোর্টটা খুলে অফিসার একবার দবিরের দিকে, একবার পাসপোর্টের দিকে চাইলো। দবির মনে মনে কৈলো- খাইছে !
মুখে কৈলো, কোনো অসুবিধা অফিসার ?
গম্ভীরভাবে অফিসার কৈলেন, দেখতেছি...
অনেকক্ষণ ধৈরা অফিসার পাসপোর্ট দেখলেন। তার দেখার ভাবে মনে হৈলো বেটা লেখাপড়া জানেনা। অথবা এমন কিছু তার চোখে পড়ছে যে, সে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছেনা। দবিরও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে শুরু করলো।
আপনের কাছে কত ডলার আছে ? হঠাৎ কৈরা অফিসার জিগাইলো।
দবির কৈলো, ৭০০ ডলার।
এর বেশি নাইতো ? আবার জিগাইলো সে।
না, তয় বাংলাদেশি ৩/৪ শ টাকা আছে।
এই প্রথম বিদেশ যাইতেছেন ?
জ্বি না, এর আগে আরো ৫ বার গেছি...
কিন্তু প্রতিবারই আপনে বাসে কৈরা গেছেন। এইবারই প্রথম বিমানে যাইতেছেন।
জ্বী ।
তা, কেনো যাইতেছেন মালয়েশিয়া ?
বেড়াইতে।
কয়দিন থাকবেন ?
৭/৮ দিন।