ফিরে আসা, বইমেলা বা উত্থান-পতন বিষয়ে দু-এক ছত্র
১
অনেকদিন পরে ফিরে এলে নিজের চিরচেনা ঘরটিকেও অনেকখানি অচেনা লাগে, যদিও সেটি প্রায় পরিবর্তনহীন, আর আগের মতোই অনুজ্জ্বল, বৈশিষ্ট্যহীন! সেক্ষেত্রে অনেকদিন পর এসে ব্লগের মতো নিয়ত-পরিবর্তনশীল, কালারফুল, আর আড্ডা-মুখর একটি গণমাধ্যমকে অচেনা মনে হবে, এ আর অস্বাভাবিক কি?
আমার অনুভূতিটি এই মুহূর্তে এরকমই। যদিও এবি-তে এর আগে আমি লিখিনি, মনে তো হতেই পারে - কেন একে ‘ফিরে আসা’ বলছি, কেন নতুন করে শুরু করা বলছি না! কারণ একটিই। আমি মোটামুটি এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে, আমি আর ব্লগে ফিরছি না (যদিও ব্লগ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিলাম সে-কথা বলা যায় না - বন্ধুদের লেখা প্রায় নিয়মিতই পড়েছি, তবে অফলাইনে!)। সেই অর্থে এটি ফিরে আসাই। তাছাড়া, এখন থেকে যা কিছু লেখা হবে এই ব্লগে সেগুলো আমার আগের ব্লগ-জীবনেরই ধারাবাহিকতা। সামহোয়ারইন-এ আমি দেড় বছরে ৬৫-টি পোস্ট দিয়েছিলাম, সেই অর্থে ব্লগ-মণ্ডলে এটি আমার ৬৬-তম পোস্ট!
যে-কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটিকে এবার একটু সংশোধন করে বলি - ব্লগটিকে অচেনা লাগছে বটে, তবে অনেক-অনেক পুরনো বন্ধু দেখে ভরসাও পাচ্ছি, মনে হচ্ছে- নিজের পরিচিত জায়গাতেই ফিরে এলাম, পুরনো আড্ডায়!
২
বইমেলা শেষ হয়ে গেল! প্রতিদিনই যে মেলায় যেতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু চাইলেই যাওয়া যাবে এই সুখ-চিন্তা, বা প্রতিদিন বিষণ্ন বিকেল আর মন খারাপ করা সন্ধ্যাটি কোথায় কাটাবো সেটি নিয়ে কোনো বাড়তি ভাবনা ছাড়াই মেলার দিকে রওনা হওয়ার সুযোগ ছিল ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে! এখন আর সেটি নেই, মনটা তাই কয়েকদিন ধরেই খারাপ হয়ে আছে, হয়তো আরো কয়েকদিন খারাপই থাকবে।
বইমেলা শুরু আগের দিন আমার ফেইসবুক স্ট্যাটাস-টি ছিল এইরকম (ফেইসবুকেও আমি নিয়মিত ছিলাম না কোনো-কালে) : ‘বইমেলা শুরু হচ্ছে! মন খারাপ করা বিষণ্ন সন্ধ্যায় কোথায় যাবো, আগামী একমাস এই চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে!’
আর মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন ছিল এরকম : ‘একসময় প্রতিদিন বইমেলায় যেতাম, এখন আর তা হয়ে ওঠে না, তবু মেলাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ভাবতেই মন-খারাপ লাগছে! প্রেম আছে, কিন্তু একদিন-দুদিন কথা হলো না - এটার অনুভূতি একরকম; আর প্রেমই নেই, কথা বলার প্রশ্নও তাই নেই - এটার অনুভূতি অন্যরকম। বইমেলা চলা না-চলার মধ্যে পার্থক্যটা আমার কাছে এমনই!’
আমার বইমেলা-প্রেমটা কি বোঝানো গেল?
৩
প্রায় সিকি-শতাব্দী ধরে একটানা বইমেলায় যাচ্ছি আমি! অনেক-অনেক পরিবর্তন, অনেক উত্থান-পতনের আমি প্রত্যক্ষদর্শী! শুধু একটি পর্যবেক্ষণের কথা বলি।
অনেক লেখকের উত্থান ও পতন দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়েছে আমার! দেখেছি, উত্থানকালটি বড়ো নৈঃশব্দ্যময়, যেহেতু ওপরে ওঠার কাজটি যিনি করছেন তার জন্য সেটি সহজ নয়! সহজ তো নয়ই, বরং যথেষ্ট আয়াসসাধ্য এবং কষ্টকর। ওঠার পথটিও মসৃণ নয়, বরং এবড়োথেবড়ো ও পিচ্ছিল। এমন জটিল এক পথে ওপরে ওঠার সময় শব্দ করার সুযোগ কোথায়! নিঃশব্দে ওঠেন বলে কেউ হয়তো জানতেও পারে না যে তিনি উঠছেন, হঠাৎ একসময় সবাই দেখতে পায় তিনি শীর্ষে উঠে দাঁড়িয়ে আছেন! সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটি হলো- যিনি শীর্ষে উঠেছেন তিনি চিরকাল শীর্ষেই থাকতে চান! কিছু মানুষ যে সবসময়ই অন্য সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকার বিকারে ভোগেন, এটা অনেকটা সেইরকম ব্যাপার! তিনি/তারা ভুলে যান, মানুষ চিরকাল চূড়ায় থাকতে পারে না, অনিবার্যভাবেই তাকে একসময় নেমে আসতে হয়, এবং এই নেমে আসার সমস্ত কারণ ও উপলক্ষ্য তিনি নিজেই তৈরি করেন! একসময় তার পতন-কাল শুরু হয়! আর পতনকালটি উত্থানকালের মতো শব্দহীন হয় না, বরং হয়ে ওঠে কোলাহলময় ও চিৎকার-বহুল যেহেতু তা ভয়-আতংক ও অবস্থান হারানোর শংকায় পূর্ণ। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, যাদের পতন ঘটছে তাদের চিৎকারে কান পাতাই দায়! এরকম চিৎকার শুনে খুব বেশি শংকিত বা চিন্তিত হবার কিছু নেই। মনে রাখলেই চলবে যে, লোকটির পতন ঘটছে এবং এই পতন অনিবার্য ও অবশ্যসম্ভাবী ছিল!
এই উত্থান-পতনের খেলা চলছে জগৎ জুড়ে। হয়তো বাংলা ব্লগ-পরিমণ্ডলেও!
৪
শুভেচ্ছা না জানিয়েই আড্ডায় ঢুকে পড়েছি! শোভন হয়নি ব্যাপারটা।
সবাইকে শুভেচ্ছা ।
১. ৬৬ তম পোষ্ট মাত্র?তাড়াতাড়ি সেঞ্চুরী করেন।


২.মন খারাপ করা বিষণ্ন সন্ধ্যায় কোথায় যাবো!!!!!!!
প্রেম ভালু না। নাফরমানী। শরমের ব্যাফার।আল্লাহ গুণাহ দিপে।
৩. হুমমম। দারুণ লাগলো কথাগুলো।
৪. আপনাকেও শুভেচ্ছা।নেন
১ - দেড়-বছরে ৬৫, তারপর দেড়বছর বিরতি শেষে ৬৬-তম! সেঞ্চুরি হতে কতদিন লাগবে হিসাব করেন এবার!
২ - বইমেলা-প্রেম ভালু
৩- ধন্যবাদ
৪- আপনাকেও শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ
১. বিরতি নেয়া কঠিন অপরাধ। বিরতি না নিয়ে রেগুলার পোষ্ট দিবেন। সেঞ্চুরী করেত কয়দিন আর লাগবে!৬৮ দিন হতে পারে।

২. বইমেলায় কি খালি বই ই থাকে?চোখের গুণাহ হওয়ার সম্ভাবিলিটি থাকে তো।
১ - বিরতি কি সাধে নেয় কেউ! কত গল্প থাকে এইসব বিরতির!
২ - বইমেলায় খালি বই-ই থাকে না, মাঝে মাঝে আপ্নেও থাকেন! তাতে চোখের গুণাহ হয় না, চোখের আরাম হয়!

১. বেশী বিরতি ভালু না।গল্প করা ভালু। গল্প তো থাকপেই।
২.লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা.....এর পর ভুইল্যা গেছি।আমি তো বুরখা পরা মেয়ে।
কন কি? আপনেরে জীবনেও বুরখা পরা দেখলাম না
পুলায় কয় কি? আপনে তো আমারেই জীবনে দেখেন নাই।ফটু যা দেখছেন ওইগুলা তো ফটুশপ।

১ - গল্প করতেই তো এলাম
২- ভুইলা গেলেন ক্যান? নার্ভাস হয়া গেলেন নাকি? বুরকা-ওয়ালীদের দেইখাও তো চউক্ষের আরাম অইতে পারে! পারে না?
১.
নেন চা খান। 
২. খুক খুক। ইয়ে মানে নার্ভাস কেডায়?হ চোখের আরাম জরুরী। নাইলে তো চশমার পাওয়ার বাড়বো।বেশি তাকাইলে চোখের পাওয়ার কমে যাবে।
১ একসাথে এত চা খাওয়া যাবে না! আসেন ভাগাভাগি কইরা খাই!
২ বেশি তাকাইলে চোখের পাওয়ার কমে যাবে এইটা আপ্নেরে কে কইলো? আপ্নে কি চোখের ডাক্তর?
১. ২ কাপ আপনের, বাকীগুলা আপাতত লীনাপা, শাতিল (যদিও আমারে পচাইতে চাইছে
),নাজ,আমি,মীর।
২. আমি জানি। আমি জ্যোতি যে তাই
আমার এক কাপ আমি মীরকে দিয়ে দিলাম! বেচারা এত রাতে আসছে!!
আপ্নে জ্যোতি? চোখের? কার চোখের?
মীর নাকি রাতে অফিস করে। পুলিশ কিনা কে জানে!

কার চোখের?
দুই কাপ চায়ের জন্য আপনাদের দুইজনকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

এইসব গোলাপ-টোলাপ কেম্নে দেন বুঝতেছি না!
আমিও শিখে যাবো দু-একদিনের মধ্যেই, তারপর চারটে বেলিফুল দি্য়ে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাবো!
বেলিফুল নাই নাই

কমেন্ট ক্রার সময় এনাবল রিচ্-টেক্সট অপশনে ক্লিকায় নিলে নতুন একটা ইমোটিকনের বক্স আসবে। সেখান থেকে কিছু ইমো পাবেন। আর সম্প্রতি জয়িতা'পুর সৌজন্যে আপডেটেড আরো ইমো... তো আছেই
বেলিফুল নাই তো কি হইছে? আমি দিতে চাইছি সেটাই বড়ো কথা! আপনে পাইছেন কী না সেইটা বলেন!
না, মীরকে আমি চিনি তো! ও পুলিশ না!
(পুলিশজাতি কি আপনের খুব পছন্দ? কিছু মিন কইরা জিগাই নাই কিন্তু!)
কার চোখের??
(প্রশ্নটা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে!)
মীর রাতে অফিস করে বলে সন্দ করছিলাম।
তাই মনে করছিলাম বাবুরা তো ভালোই হয়। কি বলেন?
পুলিশরে দেখি লুকজন বলে বাবু।
...তাইতো! সারারাত চিন্তা করেও উত্তর পেলাম না।
সারাদিন চিন্তা করে কি কোনো উত্তর পেলেন?
সারাদিন চিন্তা করে দেখলাম যার চোখে থাকতে চাইলাম সে অনেক দূরে, ঠিকানাই জানি না আমি।:(
আমরা বন্ধু পরিবারে স্বাগতম কামাল ভাই
ধন্যবাদ শাতিল!
"আমরা বন্ধু" তে সু-স্বাগতম!
অনেক ধন্যবাদ নাজ! ঋহানের খবর কি?
ঋহান ভালো আছে, আলহামদুলিল্লাহ!
এখন একটু পর পর ঘুম থেকে উঠে আর তার বাবা'র দিকে তাকিয়ে হাসে। আমি বরং এখন যাই, তাকে ঠিক করে ঘুম পারাই
বাবার দিকে তাকিয়ে হাসে কেন? বাবা নাক ডেকে ঘুমায় বলে?!?
ওর জন্য অনেক আদর আর আপনাদের দুজনের জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
তাতো ঘুমায়-ই

কিন্তু, ঋহান তার বাবা'কে পাশে দেখলে খুশি'তে হাসে। সারা সপ্তাহের অর্ধেকটাই বাবা'কে পাশে পায় না তো, তাই হয়তো
আরে থাকো। ঋহানকে নিয়ে আসো। কাল তো ঋহানের অফিস নাই।
এবিতে স্বাগতম কামাল ভাই
বইমেলা শুরু হলে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় যেমন উৎসবের আগের রাতে অনেক পুলক জাগতো, আনন্দ পেতাম বইমেলার আগে তেমন তৃপ্তিতে আর আনন্দে ভুগি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের আনন্দ পাবার উপলক্ষ্য এবং উপলক্ষ্যের দিন সম্ভবত এভাবেই পাল্টে যায়! বইমেলার শেষের দিনটি উৎসব ফুরিয়ে যাবার কষ্টে ভরপুর থাকে।
বইমেলাকে নিয়ে........ ব্লগে লেখা/ফিরে আসা নিয়ে সুন্দর একটি লেখা লেখবার জন্য অনেক অভিনন্দন কামাল ভাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লীনা!
আপনার সেদিনের পোস্টে সবাই মিলে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবি-তে লেখার, উৎসাহিত হয়েছি তাতে! এর আগে না লিখলেও এবির অনেক লেখাই পড়েছি, সেই অর্থে ঠিক নতুন নই এখানে! তবু, স্বাগত জানানোর জন্য আবারো ধন্যবাদ।
কামাল ভাই লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। বিশেষত ৩ নং। অন্যগুলোও দারুণ!
ধন্যবাদ মীর!
আমি ইতিমধ্যেই আপনার কয়েকটি লেখা পড়ে ফেলেছি! পরে প্রতিক্রয়া জানাবো আশা করছি!
হুমম, তাইতো।
তাই তো! দেখেন না এই ভরসন্ধ্যায় ব্লগে বসে আছি! বইমেলা থাকলে কি আর এখানে থাকতাম?
সবাই দেখি আগে থেকেই আপনাকে চিনে খালি আমি চিনি না ব্যাপার না চিনে নিমু নে।।
"আমরা বন্ধু" তে সু-স্বাগতম!
ব্যাপার না, দু-দিনেই চিন-পরিচয় হয়ে যাবে!
আমরা আপনাকে চিনি অনেক আগে থেকেই। আমার যতদুর মনে পড়ে টুটুল ভাই আপনাকে নিয়ে আমরা বন্ধুতে একটা পোষ্ট দিয়ে ছিলেন, আপনার জন্ম দিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন।
লিখুন এবং আমাদের মাঝেই থাকুন। স্বাগতম ও শুভেচ্ছা। আশাকরি হালকা পাতলা পেচ্ছাপেচ্ছিতে মাইন্ড খাবেন না
ধন্যবাদ উদরাজী ভাই!
টুটুলের পোস্ট-টার লিংক দিতে পারেন, প্লিজ?
পেচ্ছাপেচ্ছিতে মাইন্ড করবো কেন? আমি নিজেও তো পেচ্ছাপেচ্ছি করি!
কামাল ভাই, টুটুল ভাইয়ের লিঙ্কটা নিন।
শুভ জন্মদিন : শ্রদ্ধাভাজনেষু আহমাদ মোস্তফা কামাল
লিখেছেন: টুটুল | ডিসেম্বর ১৪, ২০১০ - ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
http://www.amrabondhu.com/tutul/2158
অনেক ধন্যবাদ উদরাজী ভাই।
এবং টুটুল ভাইকেও অসংখ্য ধন্যবাদ...
স্বাগতম আপনাকে। আপনার লেখার সঙ্গে আমার পরিচয় শুরু থেকেই। সেটা বোধহয় ৯০ সালের দিকে। তবে ব্লগে এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম, কারণ ব্লগে আমি নতুন।
ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মাইনুল! আশা করি এখানকার আলাপ-সালাপ দীর্ঘতর হবে!
আপনের উত্থান আর পতন বিষয়ক তত্ত্বটা বুঝলাম না...উদাহরণ সহ বুঝাইয়া দিলে ভালো লাগতো। বিশেষ কইরা বাংলা সাহিত্যে কোন কোন লেখকের ক্ষেত্র এইটা খাটে কইলে খুশি হইতাম।
এইটা ইঙ্গিতপূর্ণ তত্ত্ব!
উদাহরণসহ বোঝানো যাবে না! তবে তত্ত্বটাকে শুধু বাংলা সাহিত্যের লেখকদের জন্য বরাদ্দ না রেখে চারপাশে প্রয়োগ করলেই বোঝা যাবে আশা করি!
আমি ইঙ্গিতটা ধরতে পারলাম না
।
নিভৃতে উত্থান হইছে হুমায়ূন আহমেদের, তার যদি এখন পতনের কাল হইয়া থাকে তাইলে কি সে এখন আপনের কথিত আচরণ করতেছে?
অথবা হুমায়ূন আজাদ?
অথবা ইমদাদুল হক মিলন?
অথবা শেখ হাসিনা?
অথবা খালেদা জিয়া?
অথবা আরিল?
অথবা জানা?
এইসব ইমো দেন কেম্নে!?
আপ্নের নামের লিস্ট দেইখা টাস্কিত হইলাম! এত ওপরের লোকজনরে টাইনা আনছেন যে, ভাষা হারানোর জোগাড়! যাই হোক, একটা উদাহরণ দেই! হুমায়ূন আহমেদের সাম্প্রতিক আত্নজীবনী-টাইপ লেখাগুলো পড়ছেন? যেমন কাঠপেন্সিল, বলপয়েন্ট (আরেকটার নাম ভুলে গেছি) ইত্যাদি? এইসব বইতে যতবার তিনি লেখক সমাজ, বা সাহিত্য জগৎ সম্বন্ধে কথা বলছেন, ততবার তিনি প্রায় হিংস্র ভাষায় আক্রমণ করছেন সবাইকে। সাহিত্য সমাজ নিয়ে তিনি বরাবরই মশকরা করতেন, কিন্তু এত হিংস্র ছিলেন না কখনো। কিংবা তিনি যখন গুলতেকিনরে ডিভোর্স দিয়ে শাওনরে বিয়ে করলেন, তখন প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় বিরাট এক লেখা লেইখা গুলতেকিন যে তার জীবনরে ছারখার কইরা দিছে সেইটা প্রমাণের চেষ্টা করছিলেন! শাওনের প্রেমে পড়া বা তারে বিয়ে করা নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নাই, কিন্তু একটা বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় ডিভোর্সি স্ত্রীকে নিয়ে এইরকম বিষোদগারকে আপ্নে কি চোখে দেখেন? পতনোন্মুখ মানুষের অসহায় চিৎকার নয়? শাওনরে বিয়ে করার ঘটনায় তার পতনটা বোঝা যায় নাই, বোঝা গেছে ওই নির্লজ্জ লেখায়! তিনি আশংকা করছিলেন, এই ঘটনায় তার পাঠক-সমাজ তীব্র প্রতিক্রয়া দেখাবে!
উদাহরণ আরো দেয়া যায়! আমি আসলে নাম ধইরা কিছু বলতে চাই নাই, আপ্নের ফাঁদে পাড়া দিয়া বললাম। (এইসব পরে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত হয়, ফলে আমি আসলে কী কইছিলাম সেইটা বোঝাই যায় না!)
ভালো থাইকেন।
যেহেতু এইখানে লিখিত রূপে মনের ভাব প্রকাশ করতেছেন সেহেতু আপনে অনেকাংশেই নিরাপদ। তয় আমার কাছে এখনো মনে হয় না যে হুমায়ূন আহমেদের পতন কাল আসছে। আপনি যেই কয়টা বইয়ের নাম উল্লেখ করলেন তার একটা আমার পড়া এর মধ্যে তারে অনেক লাউড আমার লাগে নাই। যতোটুক উচ্চকিত উনি হইছেন সেইটা তার চরিত্রানুগ বৈশিষ্ঠ্যই লাগে আমার...সৈয়দ হকের সাথে তার যখন তর্ক চলতেছিলো, তখন হুমায়ূন আহমেদ খ্যাতির তুঙ্গে ছিলো। তখনো কিন্তু সে এমন আলপটকা মন্তব্য করতো। বা ফরহাদ মজহার সে সারাজীবনই অনেক লাউড...তার চীৎকার শুইনা পতনকাল ভাবলে কিন্তু বিপদ আছে...
হুমায়ূন আহমেদের গল্প আমার একসময় অনেক পছন্দের ছিলো। তার শেষ যেই উপন্যাসটা পড়ছি ঐটার নাম সম্ভবতঃ কে ডাকে? ঐটাও আমার ভালো লাগছিলো যদিও শেষ দিকে আইসা একটু প্যাচাইয়া ফেলছেন। এখন ধরেন সৈয়দ শামসুল হক দীঘর্দিন ভালো কিছু লিখেন নাই তারমানে কি এইটা তার পতনকাল?
স্বভাবসুলভভাবে দেরি করে ফললাম ভাস্করদা। সরি!
লেখক হিসাবে হুমায়ূনের পতনকাল আগেই শুরু হইছে বইলা আমার ধারণা। তবে আপনার ও আমার মত যে মিলবেই এমনও কোনো কথা নাই আসলে!... তর্ক এক জিনিস আর মতামত আরেক জিনিস। তর্কের সময় অনেকেই টেম্পারমেন্ট ধইরা রাখতে পারে না, আলটপকা মন্তব্য কইরা ফেলে, হুমায়ূন সৈয়দ হকের সাথে তর্কের সময় যেসব মন্তব্য করছিলেন সেইগুলা ওইরকমই। কিন্তু সাম্প্রতিক আত্নজীবনী টাইপের লেখাগুলা তো আর তর্ক না, এইগুলা তার মতামত। এবং এইগুলাকে আমার শোভন মনে হয় নাই।... দু/তিন বছর ধইরা বইমেলায় তার হিমু নিয়া যেসব নাটক চলছে, সেইগুলাকে আপনে কি বলবেন? কয়েকটা অর্ধউন্মাদ পোলাপান হিমু সাইজা মেলার মাঠেই হিমুর বিয়ের মহড়া দেয়ার বিষয়টারে কি চোখে দেখেন? (ওই বছর হিমু সিরিজের বইটার নাম ছিল 'আজ হিমুর বিয়ে'!) এইসব দৃষ্টিকটু কর্মকাণ্ড তো শোভন-সীমা অতিক্রম কইরা গেছে! এবং বিষয়টার দায় শুধু প্রকাশকের ঘাড়ে চাপাইলেও হবে না। হুমায়ূনের অনুমোদন ছাড়া এইটা হয় নাই বইলাই জানতে পারছি! এইবার তো আমি ভয়ে ছিলাম যে, মেলার মাঠে না আবার পুকুর কাটা হয়, যেহেতু এবারের বইয়ের নাম 'হিমুর আছে জল!'
আমার কথাগুলো মূলত চূড়ায় ওঠা বা কেন্দ্রে থাকা লোকদের নিয়া! সৈয়দ হক বা ফরহাদ মজহার কোনোদিন সেই অবস্থানে ছিলেন না! চূড়ায় ওঠার ব্যাপারটা তো শুধু ভালো লেখার ওপর নির্ভর করে না, আরো অনেক কিছু লাগে! আর ফরহাদ মজহার কিন্তু সারাজীবন লাউড ছিলেন না, এইটা আপনার ভুল পর্যবেক্ষণ।
[আমার লেখা থেকেই খণ্ডিত উদ্ধৃতি দিয়ে আমাকে বেকায়দায় ফেলার উদাহরণ বহু, সেইটা নিয়া আর কথা না বাড়াই!]
একি, দ্বিতীয় পোস্ট এখনো লেখেন নাই?
স্বাগতম কামাল ভাই
দ্বিতীয় পোস্ট!!!! কেবলই তো আসলাম, একটু জিড়াই, আড্ডা-টাড্ডা মারি, এত তাড়াতাড়ি কাজ ধরায়া দেন কেন?
-----
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাসুম ভাই...
মাসুম ভাই এর সাথে একমত। আমরা আড্ডাইয়া আসলাম । কাবাব খাইলাম । নেন, আপনি আর মাসুম ভাই কোক খান
। তারপর পোষ্ট দেন জলদি।
কোক খাইলাম, পোস্ট দিলাম না! কেমন লাগে ম্যাডাম?
আমার কোক ফেরত দেন। এক্টা পোষ্ট দিয়াই হাওয়া মে উড়তা যায়ে!!!!!!
কোক তো দিছিলেন এই পোস্টের জন্যে! এখন ফেরত চান ক্যান, তার মানে কি আমি এই পোস্টও ফিরায়া নিমু?
কোক দিছিলাম নতুন পোষ্ট দেয়ার জন্য ঘুষ হিসেবে। জলদি নতুন পোষ্ট দেন। নাইলে
ডর দেখানোর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্যে পোস্ট-ধর্মঘট শুরু হইলো!
আপনি দেখি ভুং ভাং করতেছেন।
আগে দিছেন হুমকি, এখন দিতেছেন মাইর, আমি থাকুমই না এইখানে!
(
কামাল ভাই নতুন লেখা কোথায়????
এত তাড়া দেন ক্যান?
ধন্যবাদ! অনেক ধন্যবাদ।
"প্রেম আছে, কিন্তু একদিন-দুদিন কথা হলো না - এটার অনুভূতি একরকম; আর প্রেমই নেই, কথা বলার প্রশ্নও তাই নেই - এটার অনুভূতি অন্যরকম।"
দুটার অনুভূতি উদাহরনসহকারে জাতি জানতে চায়!
পূনঃ-স্বাগতম ব্লগিংয়ে।
ইয়ে মানে, উদাহরণ তো আপনারা দেবেন, আমরা তো সেইসব দিন পেরিয়ে এসেছি!
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ...
আপনাকে ব্লগিং এ ফিরে আসতে দেখে ভালো লাগছে। আপনি আমাকে চিনবেন না। আপনি যখন ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছিলেন,তখন আমি ব্লগ সম্পর্কে আবছা আবছা জানতাম। আপনার নতুন ব্লগিং জীবন সুন্দর হবে- আশা করি। আমি এখানে একেবারেই নতুন। মূলতঃচতুরে লিখি। এ ব্লগ দেখে ভালো লাগল- তাই এখানে আসা।
অনেক ভাল লাগল আপনাকে দেখে । চেনা-অচেনা পরিবেশের কথা বললেন , সেটার সাথে একটা মিল খুঁজে পেলাম । দেশে থাকতে আমার বন্ধুরাই কেবল বন্ধু ছিল , বাইরে এসে অনুভব করি , যে বাংলা বলে , সেই আমার একান্ত আপন । পুরনো চেনা কাউকে আমার নতুন পরিমন্ডলে খুঁজে পেয়ে সেরকম অনুভূতি হল ।
অনেক ব্যস্ততায় হয়ত সবাই এখন আগের মত সময় করে উঠতে পারে না , তবুও সময় যদি পান আপনার কবিতা সিরিজটা লিখবেন , সে অনুরোধ রেখে গেলাম
মন্তব্য করুন