রেডিমেড কমেন্ট সংগ্রহ
সবাই খালি সিরিয়াস পোস্ট দেয়! হাসিঠাট্টামশকরা উইঠা গেল নাকি দুনিয়া থিকা?
নানা কাজের চাপে যখন মাথা আউলানোর জোগাড় হয়, তখন নির্মল বিনোদনের জন্য এখানে-ওখানে ঢু মারতে থাকি! কাল রাতেও যথারীতি টানা কাজ করতে করতে মাথা আউলানোর অবস্থা হইছিলো, এবিতে ঢুকলাম, দেখি সবই সিরিয়াস পোস্ট! ডরায়া গেলাম। মাথাডা বোধহয় এবার পুরাই যাবে! এইদিক থেকে সামু ভালো! যখন ওখানে নিয়মিত যেতাম, তখনও দেখছি - আচমকা এমন সব পোস্ট আসতো আর ব্লগাররা এমনভাবে সেইখানে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, এমন সব অবিস্মরণীয় কমেন্ট করতেন যে, পড়তে গেলে হাসির দমকে আশেপাশের মানুষ সচকিত হয়ে উঠতো! কাল রাতে এবি-তে সেইরকম কোনো পোস্ট না পেয়ে অতঃপর সামুতে ঢুকে আবোল-তাবোল গুতোগুতি করতেই করতেই এক অসামান্য পোস্টের দেখা মিললো! এই ব্লগারের নাম-ও কোনোদিন শুনি নাই আমি; হয়তো মহাকবি মাইকেলের মতো কেউ হয়ে থাকবেন, সামুতে যাওয়া হয় না বলে খবরও রাখা হয় না। পোস্টের শিরোনাম- ইডেনের মেয়েরাও ভাল হয় । পোস্টর মূল বক্তব্য হইলো - বেশিরভাগ মানুষই নাকি মনে করে, ইডেনের মেয়েরা খারাপ। কিন্তু সবাই তো আর খারাপ না, কেউ কেউ ভালো-ও আছে... ইত্যাদি! তিনি উদাহরণ দিছেন এইভাবে- ‘কেউ কেউ ভাল। যেমন সম্পা। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে, পর্দ করে। অবিভাবকের কথা শুনে, একটা চাকরি ও করে। দেখছেন কত ভাল। আবার আর একটা আছে সে একসাথে দুই তিনটা প্রেম করে। নামাজ পড়ে না।'
এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া কেমন হইতে পারে, বুঝতেই পারতেছেন।
অবশ্য ওই পোস্ট নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নাই, এইসব ফাউল পোস্ট নিয়া কে কথা বলে! আমি মজা পাইছি কমেন্টগুলো পড়ে! সেই পোস্ট থেকে তিনটা কমেন্ট এইখানে কপি করছি।
কেন করছি? উদ্দেশ্য মহৎ। বহুদিন ধইরাই আমাদের রেডিমেড কমেন্টের অভাব পড়ছে। টুটুল এখনও সেই ভাঙা রেকর্ড বাজায়া চলছে -
" অসম্ভব ভালো লিখেছেন। এক কথায় অনবদ্য।
বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এধরনের লেখা আর আগে আসে নি। অনবদ্য...অসাধারণ... শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময়উপযোগী লেখা তাই নয় একেবারে সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। এই পোস্টটিকে স্টিকি করা হৌক।"
কিংবা
"কবিতাটি কেমন যেন অন্যরকম ভালো লাগলো। কবিতার গভীরে যে সুর আপনি এনেছেন, তা অনবদ্য। কবিতার কাঠামোটা অনেক আকর্ষনীয় হয়েছে।"
এইভাবে আর কতোদিন?
[বাই দা ওয়ে, উপরোক্ত কমেন্ট দুইটার কপিরাইট কার? মানে, কোন সে প্রতিভাবান ব্লগার যিনি এইরকম আলোকসামান্য কমেন্ট রচনা করছিলেন? জানেন নাকি কেউ?]
মূলত টুটুলের মতো ব্যস্ত ব্লগারদের স্বার্থেই এইরকম কিছু রেডিমেড কমেন্ট থাকা দরকার। এই তিনটা কমেন্ট একটু এডিট ফেডিট করে যদি কিছু একটা দাঁড় করানো যায়, তাইলে জাতীয় ব্লগ সম্পদের ভান্ডারে আরো কিছু আকর্ষণীয় কমেন্ট জমা হবে বইলা ধারণা করি। যাইহোক, কমেন্টগুলি পইড়া দেখেন-
পারভেজ আলম বলেছেন : অসাধারণ পোস্ট। বাংলাদেশের ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত হেজিমনিক অবস্থান যে নানাবিধ গড় হিসাবের কারণে এবং পর্দানশীল মেয়েদের সংখ্যাতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক হিসাব নিকাশ এবং পরিসংখ্যানের বাইরে রাখায় গড়ে উঠেছে তা এই লেখায় চমৎকার ভাবে উঠে এসেছে। পর্দানশীল সাব অল্টার্নদের হিসাবের বাইরে রাখা কর্তৃত্বপরায়ন ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির ক্ষমতা কাঠামোয় নিজেদের সর্বোচ্চ অবস্থান ধরে রাখার অপচেষ্টা মাত্র, আর এই উদ্দেশ্য নিয়েই তারা ইডেনের মেয়েদের বিষয়ে গড়ে তুলেছে এক মেটা নেরেটিভ। এই মেটা নেরেটিভের ডি কনস্ট্রাকশন করে যে কাউন্টার নেরেটিভ আপনি গড়ে তুলেছেন বর্তমান সময়ের বিয়ের বাজারে তার প্রয়োজনীয়তা ছিল অপরিসিম আর এই কারণে তৃতিয় শ্রেণীর লুল সমাজে আপনার এই অবদান গোবোরাক্ষরে লেখা থাকবে সন্দেহ নাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই পোস্টটি স্টিকি করার তীব্র দাবি জানাচ্ছি।
আরেকটা
এস এম ফারাবী মাহমুদ বলেছেন: সমকালীন বঙ্গীয় সাহিত্যাকাশের উদীয়মান নক্ষত্রসম লেখকের এই প্রতিবেদন খানা সাহিত্য পিয়াসীদের মনে নিগূড় যে বেদনার সৃষ্টি করিয়াছে তাহা কেবলমাত্র নব্য একবিংশীয় ধারার তত্ত্বীয় দর্শনের সহিতে প্রাচীন চন্ডী মঙ্গলীয় রোমান্টিসজমের সামঞ্জস্যপূর্ণতার ব্যাখ্যাই নয়, বর্তমান পেটি বুর্জোয়াদের জলশুন্য অন্ন ভক্ষণের তীব্র ক্ষুধাও প্রকাশ করিয়াছে...
ইহা শক্ত এবং স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করিতে পারা-ই লেখকের বয়সন্ধিজনিত নব্য কুন্তলের অভাবই প্রমাণ করিয়াছে ।
)
তবে আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে আলিম আল রাজির কমেন্ট-টা
আলিম আল রাজি বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রীক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই পোস্টের মাঝে আমি খোজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভবনা আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সুক্ষ বার্তা যা আমার মনে মুড়ি খাওয়ার বাসনা জাগিয়ে তুলেছে।
যাই, মুড়ি খেয়ে আসি।
আপ্নেগো সংগ্রহে কিছু থাকলে দিতে পারেন!
[এই পোস্ট-টা টুটুলরে উৎসর্গ করতে চাইছিলাম। সাহসে কুলাইলো না। কেন? যদি আমার সব পোস্টেই রেডিমেড কমেন্ট সাপ্লাই শুরু কইরা দেয়! তবে, সবাই নিশ্চয়ই বুঝবেন - আনুষ্ঠানিক উৎসর্গ না হইলেও এইটা একটা সাইকোলজিক্যাল উৎসর্গ হিসাবে গণ্য হইতে পারে! ]
এই মাইয়া দেখি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইতেছে! উইঠা খাড়ান, এত গড়াগড়া খাওন ভালা না...
না, না , না এ হথে পারেনা। আমরা গরীব হথে পারি, কিন্তু ছোটলোক না।
আপনাদের মত প্রাসাদে না থাকতে পারি, কিন্তু আমার শিরায় যে রক্ত বইছে, তার রঙ আর আপনার শিরায় যে রক্ত বইছে তার রঙ--- দুটাই লাল, কামাল সাহেব, দুটোই লাল!
গরীবের সুখ-দুঃখ ধনীর চেয়ে আলাদা না। না। না। তাই আপনার যদি গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে পারেন, আমরাও পারবো। আজ এইদিনে আপনাদের সকলের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, গরীব কি মানুষ না? বোলুন, বোলুন, চুপ করে আছেন কেন? বোলুন?
ওরে আল্লারে এই মাইয়া দিখি সিনেমার ডায়লগ দেয়
)
শর্মি দ্য রক্স
পেট ফাটলো কই, আমি তো দেখতেছি মুখ ফাইটা গেল
্মাথা নষ্ট টাইপের কমেন্ট। ব্যাপক মজা পাইলাম। আপনি কবি শফিকুল ব্লগ পড়েছেন? পড়লে হাসতে হাসতে পেট ফেটে যেতে পারে। উনি নিজকে জীবনানন্দ থেকে শ্রেষ্ঠ কবি দাবি করেন!
না, এত বড়ো কবির ব্লগ পড়া যোগ্যতা অহনও অর্জন করি নাইক্কা
বাঙালির আর্কাইভাল টেন্ডেন্সী নাই বললেই চলে। আপনার এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের জাতীয় জীবনে সে অভ্যাস তৈরীর ক্ষেত্রে একটি দিক নিশানা হতে চলেছে বলেই প্রতিভাত হয়। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর আপনিই প্রথম ব্লগ জগতে এমন একটি প্রয়াস নিয়েছেন যা একই সাথে ডিসকোর্স এবং তার কাউন্টার ন্যারেটিভে বাইনারী অপোজিটসের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। এর মধ্য থেকেই আমরা বের করে নিতে পারবো আমাদের পরিবর্তনের পথ।
ধন্যবাদ আপনাকে...
ভাস্কর দার এই কমেন্টাও সংগ্রহশালায় যুক্ত হওয়ার দাবী রাখে।
) ) )
পাইছি, পাইছি! আপ্নের এইটাও যুক্ত হবে ব্লগ-ভান্ডারের অমূল্য কমেন্ট-সম্পদ হিসাবে, ভাস্করদা! এইরকম আরো কয়েক্টা কমেন্ট বানায়া দেন!
ভাই অন্য রকম মন্তব্য খুজে পাচ্ছি না ।
তাইলে আর কী করা! রেডিমড কমেন্ট না পাইলে এইরম কষ্ট কইরাই প্রতিবার কমেন্ট করা লাগবে আপ্নের!
Office theke na log kore parlam na. Amar SMI te acc. nai. Kew ki amar comment ta pouche diben lekhok ke plz?
আপ্নের কমেন্ট লেখকের কাছে পৌঁছাই নাই। বাংলা ভাষা ছাড়া এই লেখক অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। আবার কমেন্টান প্লিজ...
হাসতে হাসতে মরে গেলাম .........
আমিও ইডেন কলেজে পড়ছিলাম
'ইডেন কলেজের মেয়েরাও ভাল হয়' ...
এইটা মনে লয় আপ্নের কথা কইছে...
ফাটাফাটি!
এইটা হইলো ফাঁকিবাজি কমেন্টের নমুনা!
এরকম কমেন্ট না করলে তো পোস্টের কোন কমেন্টের কপি হয়া যাবে। তখন আবার কপিরাইট মামলা হবে, সে ঝামেলায় যেতে চায়না!
না না, সেই সম্ভাবনা নাই। এইসব কমেন্ট তো জাতীয় ব্লগ-সম্পদের অংশ! যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে!
শইল ভালা না, তাই মনেরও কোন তল পাই না, আহা মনটা রাঙামাটির রাস্তা হইয়া গেল কমেন্টগুলা পইড়া, বস আপনি আমার সাময়িক মন ভালো কইরা অশেষ নেকি হাসিল করলেন...মজা পাইলাম।
আজকের বিশ্বে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য-বঞ্চণা-শোষণ দূর করে পুরুষের সম-অধিকার ভোগ করা ও সুযোগ-সুবিধার নিশ্চিত করার জন্য আপনার এই মহান উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
যুগ যুগ ধরে আমাদের মেয়েরা ধর্মান্ধতা, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও নানা কুসংস্কারের শিকার হয়ে শোষিত, বঞ্চিত নির্যাতিত, অবহেলিত পশ্চাৎপদ থেকেছে, তাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কেউ তাকায়নি। আপনি সেই মহান পুরুষ যিনি বাঙ্গালী ভাগ্যাহত নারীদের পাশে দাঃড়িয়েছেন এবং বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়ন কাংখিত মাত্রায় পৌঁছেনোর জন্য এই রকম একটি অভাবনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বাঙ্গালী ভাগ্যাহত নারীরা আপনাকে ফেভিকল দিয়ে ইডেনের গেটে “লটকিয়ে” রেখে চীরস্মরণীয় করে রাখবে।
সেইরম মন্তব্য হইছে!
) )
কিন্তু ইডেনের গেটে লটকায়া রাখার কথা কারে কইলেন! যদি মূল পোস্টের লেখকরে বইলা থাকেন তাইলে )
আর যদি আমারে কইয়া থাকেন তাইলে
এইডা আফনেরে কইসিগো ভাই, এই সুযুগ হেলায় হারাইয়েন না
আমারে কইছেন?
লটকায়া রাখলে টান্কি মারুম কেম্নে? (
আবার কন এই সুযুগ হেলায় হারাইয়েন না; এইটা সুযুগ না টর্চার?
আরে ভাই ল্টকাইয়া রাখব, চোখতো ঊঠাইব না, আপনি লটকান অবস্হায় আরামসে বেশী টাঙ্কি মারতে পারবেন
>)
আপ্নের যে টাঙ্কি মারার অভ্যাস আছে জানা ছিল না আমি ত জানতাম মেয়েদের দিকে আপনি চুখ তুলে তাকান না, ব্লগ সমাজে আপনার বেশ ভদ্র বইলা খেয়াতি আছে
ব্লগে টান্কি মারি না বইলা যে ইডেন কলেজের গেটে খাড়াইয়াও টান্কি মারুম না, এইটা কেমুন কথা?
এই বয়সে ইডেন কলেজের গেটে খাড়াইয়া টান্কি লইজজা পাইলাম
'এই বয়স' বলতে আপ্নে কি বুঝাইলেন? আপ্নের কি ধারণা, আমি বৃদ্ধ হয়া গেছি??
আমার বয়স তো মোটে তেইশ-চব্বিশ!
লীনাপার জন্য এক প্লেট ফুচকা বরাদ্দ হইলো।
বান্ধাইয়া রাখার মত কমেন্ট। একটা ফুলের মালা থাকবে ফ্রেমের গায়ে।
কারটা বান্ধাইয়া রাখার মত কমেন্ট কৌশিক
)
পারভেজ আলমসহ বাকী দুইজনেরটাই
এই লেখাটিতে লেখক মনের অন্ধি সন্ধিতে যে মনস্তাত্বিক টানাপোড়েনের আভাস আমরা দেখতে পাই সেটা নিয়ে আসলে বিশদ আলোচনার অবকাশ রয়েছে। লেখাটিতে আমরা পাবলো পিকাসোর কিউবিজমের সাথে সালভাদর দালির স্যুরিয়ালিজমের একটি সম্মিলিত অভিক্ষেপের লিখিত রূপ দেখতে পাই। লেখককে সাধুবাদ তিনি খুবই মুনশিয়ানার সাথে এই দুটি বিপরীতমুখী চিত্রকলার ধারাকে একই লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পেরেছে। এ প্রসঙ্গেই স্বনামখ্যাত পরিচালক আকিরো কুরোশাওয়া হয়তো কখনো বলেছিলেন "দুটি বিপরীত ধারার মিলনে যেই লেখনী আমাদের সামনে প্রতিভাত হয়ে ওঠে সেটাই আসলে একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের মূলকথা"। যাক, এই লেখা নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস করলে পাতার পর পাতা আই মিন মেগাবাইটের পর মেগাবাইট শেষ হয়ে যাবে তবু আলোচনার সিদ্ধান্তে আসা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাবে।
আমি লেখকের সুস্বাস্থ্য এবং সার্বিক উন্নতি কামনায় এক চুমুক পাগলা পানি খেতে উদ্যত হই...
আরেকটা পাইলামরে, এইটাও জাতীয় ব্লগ সম্পদ ভান্ডারে যুক্ত হোক!
আমার রাশিফলে আজকে লিখছে...."প্লিজ শো আজ ইয়োর লাভলি দাঁতের পাটি"....তাই দেখাইয়া গেলাম পোষ্ট এবং কমেন্ট পড়ে।
আপনার রাশিফল অনুযায়ী আমিও দেখাইয়া গেলাম
এইরকম বিচ্ছিরি দাঁতের পাটি দেখাইতে শরম লাগলো না!?!
আগের কথাডা জয়িতা আর নাজ দুইজনের উদ্দেশ্যেই
ইমোর দুকান দিছেন?ভালু।
ইমুর দুকান তো আগে থেকেই চালু ছিল; আপ্নেরা রোজ কেনেন, আইজা আমি কিনতেছি! তাতেও দোষ হইলো? আপ্নে আমার এত দোষ ধরেন ক্যান ?!?
নেন কুক খান।
এইটা মনে হয় কুক না, কুক খায়া কেউ ওইরকম শুইয়া পড়ে নাকি! আপ্নে আমারে খারাপ জিনিস খাওয়াতে চাইতেছেন! নাউজুবিল্লাহ...
(আহা, ভার্চুয়ালি না খাওয়ায়া যুদি সত্যি সত্যি খাওয়াইতেন!)
হিব্বি চেঞ্চ অপ হিউমার হে হে হে
নাউজুবিল্লাহ জয়িতা এইডা ঠিক না, কামাল ভাইর মত ভালা মানুষরে খারাপ জিনিস খাওয়াতে চাইতেছ
কামাল ভাইরে
এইটা কুক। ডেভু বানাইছে এই ইমো। আমি না। এইটা কি তাইলে ডাইল? খাইয়া তাওড়াইয়া পইড়া যায়?
আমারে গুল্লি করলেই কি সমস্যার সমাধান হইবো? আপ্নে এই ইমো বানান নাই বুঝলাম, এ-ও বুঝলাম ডেভু বদমাইশি কইরা এইসব বানাইছে, কিন্তু আপ্নেরা তো প্রমোট করতেছেন!! সেদিন কার পোস্টে যেন দেখলাম, চুম্মা দেয়ার ইমো নিয়া এপু কনফিউজড। চুমা দিবি দে, গিলা ফালাস ক্যান?? কন, এইসব নাফরমানি কাজ না? ডেভু যে বদমাইশি কইরা আপ্নেগো বিপদের মুখে ঠেইলা দিতেছে, বুঝেন না ক্যান!! আমিনি মওলানা যুদি এইগুলা দেখে, কী কেয়ামত নাইমা আইবো ভাবতে পারেন!
আর একটা কথা - এইটা ডাইল কী না, তা আমি কেম্নে কমু? আপ্নের প্রাণপ্রিয় ডেভুরে জিগান। তবে এইটা যে কুক না, আমি শিওর! লুকজনরে আজেবাজে জিনিস খাওয়ান, খুবই দুঃখের কথা!
লীনাফা, আপ্নেই কন, লোকজনের সামনে এইসব খাওয়াইতে চায়, এইটা একমুন মাইয়া!?!
তবে, একান্তু গুপনে খাওয়াইতে চাইলে কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে না করতে পারুম না!
*একমুন = কেমুন
( ভাই কি সবতেরে আফা কন? না কি মুডাসুডা মানুষ দেইখ্যা আমারে সিনিয়র বানাই দিলেন : ( ((
লীনাপার কমেন্টে । কামাল ভাই বিচার দেন কেন?
নাফরমানি না তো। তাইলে কি আর ডেভু দিত এইগুলা?
বুঝছি, ডেভুর প্রতি আপ্নের অগাধ আস্থা
@ লীনাফা - না, সবাইরে আফা কমু ক্যান, আমার কি মাথা খারাপ হইছে??? তবে, দু-একজন মুরুব্বি তো থাকা লাগে, সেইজন্য আপ্নেরে আফা ডাকলাম আর কি!
)
বেশ চমৎকার বুনোন। অসাধারণ শব্দ চয়ন! গল্পটির ভঙ্গি ভালো লেগেছে। (প্রবন্ধের ক্ষেত্রে "ভঙ্গি" শব্দের বদলে "মূল ভাব" ব্যবহার করবেন)
এই পোস্টে সেইসব টেম্পলেট মন্তব্য গুলো ছিল... আমি এখান থেকে নিয়েছিলাম
পোস্ট না পড়ে কিংবা অল্প পড়ে কিভাবে সুন্দর মন্তব্য করবেন? (নতুন ও কর্মজীবী ব্লগারদের জন্য পরামর্শ)
ধন্যবাদ কামাল ভাই
এইটা তাইলে লুকালের কাজ!!!!
মন্তব্যের ভঙ্গি ভালো লেগেছে। বেশ চমৎকার বুনোন। অসাধারণ শব্দ চয়ন!
Haseeb Mahmud: "চুপচাপপড়েগেলাম"
কিন্তু 'রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে...' এই অমর মন্তব্যখানি তো লুকালের পোস্টে নাই, ওইটার মহান রচয়িতা কে জানেন নাকি?
শেষের দিকের মন্তব্যে আছে
........ সামুতেই খালি এইসব বিনোদনমূলক পদার্থ পাওয়া যায় । আফসোস
আফসুস
(
এই কমেন্টগুলা আসলেই যুগ যুগ বাঁচবে।
)
ব্লগ দুনিয়ায় আপনার অবদান জাতি স্মরণ রাখবে
মন্তব্যের ঘরে, আপনার ব্যবহৃত আবেগ চিত্রিকা সমুহের সুচারু ব্যবহার আমাকে গ্রীক দার্শনিক জেনো'র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, এছাড়াও আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারের পরম্পরায় বারবার দেখতে পাচ্ছি ডাচ দার্শনিক সোরেন কিয়র্কেগার্ডের ছায়া।
আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারে আপনার হেজেমোনিক কোনো অবস্থান চোখে পড়ছে না, বরং আপনার আবেগ নিসঃরিত গ্রান্ড ন্যরেটিভটিই চিত্রিত হচ্ছে।
তবে যে আবেগ চিত্রিকার সুচারু ব্যবহার মানব মনে লালন করে চলা প্রাগৈতিহাসিক শিকারী মনঃবৃত্তির প্রকাশ করছে তেমন শৈল্পিক প্রকাশ আমরা কেবল গুহাচিত্রেই খুঁজে পাই।
নোয়াম চমস্কি হয়তো এ প্রসঙ্গে ভাষিক দৈন্যতার বিষয়টি উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর সাথে দ্বিমত তৈরী হবার প্রচুর অবকাশ রয়েছে। কারণ আমরা সবক্ষেত্রে লেখ্য ভাষার মাধ্যমে কথ্য ধ্বনিকে উপস্থাপন করতে পারি না।
এছাড়াও উক্ত বিশেষ আবেগ চিত্রিকার প্রয়োগের সাথে আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর তুলনামুলক বিচারে উপনীত হ'লে নিশ্চিত ভাবেই বার্ট্রান্ড রাসেল কিংবা ফ্রেডরিখ নিটশের কোনো না কোনো উক্তি হাজির করতে পারবো।
যাক এই বেলা খ্যামা দেই। বুঝতারতাছিনা ক্যান কোনোরকম পাগলা পানি বা ধুম্র মাদক না খায়াই এরাম আউলায়া যাইতেছি কেন???
ওরে বৃত্ত.....কি লিখলা এগুলা! পড়তে গিয়া খেয়াল করলাম শুরু যে করছি আর শেষ হয় না ..... চ্রম চ্রম। কিছুই বুঝিলাম না যদিও
আমি নিজেও কি ছাই বুঝছি যে আমি কি লিখছি???
ওরেরে খাইছ, বৃত্ত এইটা কি লিখলো!!!! এইটা তো প্রতিটা ব্লগের মাথায় লটকায়া রাখা দরকার!
)
হুমম
হ
এইসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রেডিমেড কমেন্টে তো কোনো লাভ নাই! বড়ো কমেন্ট বানায়া দেন!
মন্তব্য করুন