একলা হবার গান
চৈত্র-সঙক্রান্তির রাতটা কাটলো বন্ধুদের সঙ্গে। নতুন নয় ব্যাপারটা, চৈত্রের শেষ রাতটি কবি এবং লেখক বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর একটা অলিখিত নিয়ম আমাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে। বিশেষ কোনো কারণ নেই এর পেছনে, একসঙ্গে অনেক বন্ধু মিলিত হবার একটা উপলক্ষ্য মাত্র। ব্যাপারটা অবশ্য এখন আর শুধু বন্ধুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। অনুজ ও অগ্রজ বন্ধুরাও যোগ দেয় এই আড্ডায় এবং বেশ জমজমাট একটা আড্ডা হয়! বিস্তর হাসিঠাট্টাদুষ্টুমি হয়, হয় তর্ক-বিতর্ক বা গম্ভীর আলোচনাও। অনুজরা তুলনামূলকভাবে অধিকতর প্রাণোচ্ছল, তারাই বেশি করে হুল্লোড় করে, অগ্রজদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। অগ্রজরা - কী আর করবেন - অনুজদের ভালোবাসার অত্যাচার হাসিমুখে মেনে নেন! এবারও সেরকমই হলো। ওরা একেকজনকে গান গাওয়ার জন্য ফাঁদে ফেলতে লাগলো! তাতে যে সবাই খুব বিপদে পড়ে গেলো তা অবশ্য নয়! একে তো এটা কোনো পাবলিক-প্রোগ্রাম নয়, কারো প্রফেশনাল হবার বাধ্যবাধকতাও তাই নেই; আবার কেউ কেউ বেশ ভালো গাইতেও পারে। যেমন, মুজিব মেহদী এমনিতেই জমজমাট করে লালনের গান আর লোকগান গাইতে পারেন, গাইলেনও। কুমার চক্রবর্তী আর মণিকা বৌদিও জমিয়ে তুললেন। আমি অবশ্য ফাঁদে পা দিলাম না, চাপাবাজি করে পার পেয়ে গেলাম! এইসব হুল্লোড় যখন চলছিলো, তখন, অপ্রত্যাশিতভাবে, গান গেয়ে উঠলেন চঞ্চল আশরাফ - আমাদের প্রিয় কবিবন্ধু। অপ্রত্যাশিত, কারণ, চঞ্চল যে এত সুন্দর গাইতে পারে, সেটাই আমার জানা ছিলো না! ওর অনভ্যস্ত কণ্ঠে বিষণ্নতা ঝরে পড়লো। সেই বিষণ্নতা এক মুহূর্তে এই কোলাহলমুখর আড্ডাকে স্তব্ধ করে দিলো। আর গানের কথাগুলোও কী বিষণ্ন দেখুন, এবং সম্ভব হলে শুনেও দেখুন.... একলা হতে চাইছে আকাশ
"একলা হতে চাইছে আকাশ মেঘগুলোকে সরিয়ে দিয়ে
ভাবনা আমার একলা হতে চাইছে একা আকাশ নিয়ে
একলা হতে চাইছে গাছটা হলদে পাতার আলতো ঝড়ে
পাতায় পাতায় বিষণ্নতা গাছেরও মন কেমন করে
একলা হতে চাইছে বিকেল দিন ফুরনো পথের ধারে
রবীন্দ্রনাথ একলা থাকেন অশ্র“ নদীর সুদূর পাড়ে..."
কিন্তু ওই কোলাহলময়, মুখর, প্রাণবন্ত আড্ডায় চঞ্চল এমন একলা হবার গানটা গাইলো কেন? ওর কি একা হয়ে যেতে ইচ্ছে করছিলো, আর সেই ইচ্ছেটাকেই সবার ভেতরে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো? নাকি আমরা যে সবাই ভেতরে ভেতরে খুব একা - 'চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা' - সেটা মনে করিয়ে দেবার জন্যই এই গান?
কিংবা, কোনো নিগূঢ় কারণে - যে কারণটি কাউকে বলা যায় না, অথবা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের মাঝে মাঝে একা হয়ে যেতে ইচ্ছে করে, সেজন্যেই...
২
নতুন বছর আসে, আমরা খুব আয়োজন করে, আনন্দ-উল্লাস দিয়ে তাকে বরণ করি। কেউ হয়তো বা নতুন শপথ করি, নতুন প্রতিশ্রুতি দিই, আর মনে মনে ভাবি - এ বছরটা অন্যভাবে কাটাবো! কিন্তু পরেরদিন থেকেই টের পেতে থাকি - কোনোকিছুই নতুন রূপ নিয়ে হাজির হয়নি, সবই আগের মতোই - পরিবর্তনহীন, পৌণপুনিক, ম্লান, একঘেঁয়েমিপূর্ণ। সেরকমই হবার কথা অবশ্য। প্রকৃতির কাছে দেশকালের কোনো সীমারেখা নেই - এগুলো আমরাই তৈরি করেছি। সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫দিন সময় লাগে, সেটাকেই আমরা বছর বলি। কিন্তু সেই ৩৬৫ দিন শুরু হয় কবে, শেষই বা কবে হয়? পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর? নাকি পয়লা বৈশাখ থেকে ৩১ চৈত্র? নাকি অন্য কোনো জাতির ক্যালেন্ডারের প্রথম ও শেষ দিন? প্রকৃতির কাছে কোনটি প্রথম আর কোনটি শেষদিন? প্রকৃতি কি এইভাবে হিসেব করে? আমার তো মনে হয় না! নতুন দিন তাই আসে বটে, কিন্তু নতুন সম্ভাবনা আর আসে না!
৩
তবু নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে হয়, সেটাই রীতি। আমিও জানাই। তবে নিজে কিছু না বলে রজনীকান্তের একটা গান শুনিয়ে এই পর্ব ক্ষান্ত হোক - তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে
"তুমি নির্মল-ও* করো মঙ্গল-ও করে** মলিন-ও মর্ম মুছায়ে
তব পূণ্য কিরণ-ও দিয়ে যাক মোর মোহ কালিমা ঘুচায়ে
লক্ষ শূন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে গভীর-ও আঁধারে
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন অকূল-ও গরল-ও পাথারে
প্রভু বিশ্ব বিপদ-ও হন্তা
তুমি দাঁড়াও রুধিয়া পন্থা
তব শ্রীচরণ-ও তলে নিয়ে এসো মোর মত্ত বাসনা ঘুচায়ে
মলিন-ও মর্ম মুছায়ে...
আছো অনল-ও অনীলে চির নভোনীলে ভূধর সলীলে গহনে
আছো বিটপি লতায় জলদের-ও গায় শশী তারকায় তপনে
আমি নয়নে বসন-ও বাঁধিয়া
বসে আঁধারে মরিবো কাঁদিয়া
আমি দেখি নাই কিছু বুঝি নাই কিছু, দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে
মলিনও মর্ম মুছায়ে..."
এটাও আসলে একলা হবারই গান। এই গান একা হয়েই শুনতে হয়!
[**গানটির প্রথম পক্তিতে 'করে' শব্দটি অনেকেই উচ্চারণ করেন 'কোরে।' ভুল। সর্বৈব ভুল। এই 'করে' কাজ করা অর্থে 'করে' নয়, করতল অর্থে 'করে।' উচ্চারণটি হবে 'ক-রে।' তোমার মঙ্গলময় করতলের স্পর্শ দিয়ে আমার মলিন মর্ম মুছিয়ে আমাকে তুমি নির্মল করে তোলো - এই হলো অর্থ! কতো শিল্পী যে না বুঝেই গানটি গায়, তার ইয়ত্তা নেই!
*আর হ্যাঁ, হাইফেন দিয়ে যে 'ও'-গুলো লেখা হয়েছে, সেটি মূল রচনায় নেই, গাওয়ার সময় ওভাবে গাওয়া হয়।]
কামাল ভাইএর লেখা পড়লে একচুয়ালি মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। যদিও এগুলো তার আসল লেখা না। আমি এখনও ভাইএর আসল লেখা পড়ি নাই। দ্রুত পড়ে ফেলার আশা রাখি। শুভেচ্ছা নিরন্তর টু য়ু ব্রাদার। রিয়েল লাইকি। আর গানের জন্য
মুগ্ধতার তো কোনো উত্তর হয় না একচুয়ালি ! তবু, ধন্যবাদ মীর...
এক অর্থে এগুলো আমার 'আসল' লেখা নয় বটে, তবে এ-ও ঠিক যে, এগুলো আমি ভালোবেসেই লিখি। ব্লগে আসর পর (সামু থেকে এ পর্যন্ত) এমন কিছু লেখা ব্লগের জন্য লিখেছি, যা আমার কোনোদিনই লেখা হতো না এখানে না এলে। 'আসল' না হলেও তাই এগুলোর জন্য আমার একটা আলাদা সফট কর্নার আছে।
দারুণ একটি লেখা। একটানে কোন লেখা পড়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম।
একলা হতে চাইছে আকাশ মেঘগুলোকে সরিয়ে দিয়ে
ভাবনা আমার একলা হতে চাইছে একা আকাশ নিয়ে.....সুন্দর।।
ধন্যবাদ লীনা লেখাটি পড়বার জন্য। আর গানের জন্য প্রশংসা সুমনের প্রাপ্য, ধন্যবাদটা উনার কাছ থেকে বুঝে নেবেন প্লিজ।
। খুব সম্ভবত তাই হবে!
গানটা শুনি নি আগে। তাই বিশেষ ধন্যবাদ।
যাক, নতুন একটা গান শোনানো গেল। এবং আমার মতে, এটা সুমনের সেরা গানগুলোর একটা।
ধন্যবাদ ময়ূখ।
একলা একলা বসে থাকি আরো কিছু একলা মানুষের সাথে...
বৃত্ত ভাই চমৎকার একটা লাইন লিখসে
একটা কবিতার পঙক্তি এটা...
মীর দেখি বৃত্তরে গিলে ফেলছে। নাউজুবিল্রাহ।
তাইতো দেখতেছি জয়িতা। আহারে মীর লুক্টা আপ্নেগো পাল্লায় পইড়া এক্কেরে বিনাশ হয়া গেলোগা

কামাল ভাই, সত্যি সত্যিই কি এটা কোনো কবি লিখে ফেলেছেন?
হ্যাঁ সত্যি সত্যি একজন কবি এটা আগেই লিখে ফেলেছেন! এপ্রিল ১৬, ২০১১ - ১:০৫ পূর্বাহ্নে কবি বৃত্তবন্দী লিখেছেন লাইনটি!
বাই দ্য ওয়ে, আপনার নতুন লেখা কই বৃত্ত? ওইরকম একটা লেখা পড়বার জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি!
কামাল ভাই, আপনার কাছ থেকে কবি উপাধী পেয়ে কতটা যে গর্বিত বোধ করছি সেটা লিখে/বলে বুঝাতে পারবো না...
আর ওইরকম একটা লেখার আশা নিয়ে থাকলে নিরাশ হ'তে হবে সন্দেহ নেই। তবে একটা লেখা মাথার ভেতর ঘুরছে, আশা করি কালকে পেয়ে যাবেন।
আপ্নে যে বিনয় মজুমদারের ভক্ত তা অবশ্য আগেই টের পাইছি, সেইজন্যে নতুন করে আর কিছু বললাম না!
মাথায় ঘুরতে থাকা লেখাটা কাগজে নামিয়ে ফেলুন। আর আপ্নে সেইটা তো আগেই টের পাইছি! প্যাশন থাকলে এই কলম নিয়ে আপনি বহুদূর যেতে পারবেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে তা বলতে পারি...
পোস্টটার লিংক ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম। একজন অনুজ কবি- বিল্লাল মেহদী - চমৎকার একটা কমেন্ট করেছেন। এখানে আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করি :
--- অলিখিত নিয়ম হলেও যে আড্ডাটি আপনাদের নিয়মিত হযে গেছে, তা অলিখিতভাবেই স্থায়ী হোক, সেই আড্ডাটি বহমান থাকুক যুগের পর যুগ। প্রতিদিনই তো আড্ডা মারি কিন্তু আপনার লেখায় বর্ণিত "বেশ জমজমাট একটা আড্ডা"র স্বাদ কতদিন যে পাইনা, কতদিন যে দেখিনা মধ্য বা শেষ রাতের নক্ষত্ররাজি, কতদিন যে ঘুমভরা ঢুলু ঢুলু চোখে বন্ধুরপানে তাকিয়ে বলিনা 'কবিতাই শেষ সত্য, কবিতাই মুক্তি'- তার শেষ নেই। অনেক ভালো লাগলো কামাল ভাই।
আড্ডাবাজিতে হিংসা দিলাম।
লেখাটা দারুণ। গান্টা আমি শুনি নাই জীবনেও।কামাল ভাইকে
যাদের কাছে আড্ডার মানে হইলো কাঁচা আমের জুস বানানো, তারা এইরকম জমজমাট আড্ডার কথা শুনে তো হিংসায়িত হবেই! এ আর আশ্চর্য কি?
পড়ছেন কষ্ট করে, ধন্যবাদ নেন...
আল্লাহ কুনু গুণ দেয় নাই, কি আর করি বলেন!
যতই ঠোঁট-গাল ফুলায়া অভিমানি কমেন্ট দেন না কেন, এই কথা আমি কোনোদিনই ভুলবো না যে আমারে দাওয়াত করে নিয়ে আমার সাথে একটা কথাও বলেন নাই; ব্যস্ত ছিলেন কাঁচা আমের জুস নিয়া।
এইরকম অপমান আমারে করতে পারলেন আপ্নে?

নাউজুবিল্লাহ। এই ভরা মজলিশে আমারে এই অপবাদ দিলেন আপনি! দোষ তো বৃত্তর, লীনাপার, জেবীনের। বৃত্ত প্রথমে আম আনছে ৪ টা, সেজন্য আবার আম আনতে হলো। সাঈদ ভাই এর এত সুন্দর বারান্দায় দাঁড়ালেই দেখা যায় আম ডাকছে, আমার কি দুষ? তারপর লীনাপাকে বললাম , আর একটু বসি কিন্তু উনি আর জেবীন কুনুভাবেই চাইলো না যে আপনার সাথে আমি একটুও গল্প করি। আর দুষ দিলেন আমারে!
ষড়যন্ত্র করে আমাকে প্রথমবার আমের জুস না দিয়ে অপরাধ করছে আবার মিছা অভিযোগ করতেছে। জেবীন তুমি কই গেলা, জয়িতা গুলাচ্ছে দেইখা যাও।
সারারাইত ভেবেও গুছাইতে পারলেন না! আবার জেব্রীলরে খুঁজেন? জেব্রীল তো গিয়াই চলে আসার জন্য লীনাপু, মাসুম ভাই খুঁজতেছিলো। আমি হাত মুখ ধুয়ে একটু বসে গল্প করার কুনু সুযোগই পেলাম না।

বৃত্তরে হাতে পায়ে ধইরা আম আনালাম আমি অথচ আমার চোখের সামনে সবাইরে আমের জুস দেয়া হলো আমিই বাদ পড়লাম
পরের বার জয়িতা দিলো তিতা একটা জুস আর জেবীন দিলো সেভেন-আপের জুস
এক্ষণে জয়িতা খালি গুলাচ্ছে
জয়িতা তুমি জুস নিয়া ষড়যন্ত্র করছো আবার আমারে আর জেবীনরে গুল্লির মুখে দাঁড় করাইতেছো! জেবীন রাইতে আইসা তোমারে গলা চাইপা ধরবে, কিন্তু আমার মুখ খুইলোনা
তাইলে গল্প অন্য দিকে নিয়া যামু 
আমি জুশ তিতা বানাই সেটা বলতে চাইলেন? ঠিকাছে কামাল ভাই ই বলুক তাইলে!
জেবীনের ডেকে আনেন কেন? সে তো না এসেই যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হলো। আমি একটু গুছাতে গেলাম এই ফাঁকে আড্ডাইয়া আমারে আর আড্ডাইতে দিলো না ওর বাসার ওর নানুর মামী আসছে সেজন্য। গল্প বানাবেন? ডরাই না।
এই ঝগড়ার ফলাফল কি? মানে, কে জিতলো, কে হারলো?!?
এক টানে পড়ে গেলাম। এর চেয়ে বেশী কিছু বলার ধৃষ্টতা দেখাব না। ভাল থাকুন।
পড়েছেন, তাতেই আমি খুশি! অনেক ধন্যবাদ...
কামাল ভাই।
ওয়েলকাম রায়হান ভাই...
Amar khub bhalo legeche lekhati. kharap-o legeche, karon aamar addar vaggo khub kharap...
থ্যাংকস আপন। সেদিন তোমরা অনেকেই আসোনি, এলে আরো মজা হতো... পরের আড্ডায় নিশ্চয়ই থাকবে...
আমি ভাই সত্যি বলতে কী আমার লিখা ছাড়া সবার লিখাই পছন্দ করি্।
তারমধ্যে আপনার মত খ্যাতিমান লেখক হলেতো কথাই নেই।
সবার লেখা পছন্দ করেন, সেই হিসাবে এইটাও পছন্দ করছেন; মানে কাউরে বেজার হইতে দিতে চান না এই তো?? আচ্ছা ঠিকাছে।
এনিওয়ে, থ্যাংকস মেসবাহ ভাই।
দিন শেষে আমরা কি এক নই?
এই গানটা শুনে দেখেন
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে ...
তবে নাকি একলা থাকতে হয়...
একলা তুমি ভাবাদর্শে ... একলা চিন্তায়
তোমার ভাবনা সুর্য হয়ে ... ডুববে যে সন্ধ্যায়
যদি সবাই ফিরে যায়, ওরে ও অভাগা সবাই ফিরে যায়
ফিরবে না যে জানবি সে তোর ভাবনার মোড়কে আছে ডুবে
ছিড়বে মোড়ক ফিরবে সে তার আপন কোলায়
হ্যাঁ টুটুল, দিনশেষে আমরা সবাই এক... একা একা! গানটা আমারও খুব প্রিয়। তবু আবার শোনানোর জন্য ধন্যবাদ...
কত দরদ দিয়ে এই গানটা "তুমি নির্মল কর..." আমার ওস্তাদজি আমাকে শিখিয়েছিলেন! মন খারাপ হলে ২টা গান খুব বেশি গাই- এটা একটা আরেকটা "সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে..."
আমি আপনার লিখার ভক্ত জানেন। সমালোচকও সেটাও মনে হয় জানেন
"ঘরভর্তি মানুষ..." পড়ে ভালো লেগেছে, "অন্ধ জাদুকর" ভালো লাগেনি অকপটেই বলেছি।
হ জানি তো! আপ্নে ভক্ত-সমালোচক!
তা, এই লেখা নিয়ে কিছু বললেন না তো!
দেরিতে আসলাম। তবুও বলি আপনার ব্লগের এই ধরণের লেখাই অনেক ভাল লাগে। নতুন একটা ধারা মনে হয়
ধন্যবাদ মাসুম ভাই। এইবার আমার বিনয় মজুমদার হওয়ার পালা!
বেশ লাগলো কামাল ভাই।
থ্যাংকস বিমা...
এই লেখা নিয়ে আলাদা করে কি বলব! আপনি তো বলে দিয়েছেন সবটাই...
সব বলে দিয়েছি? তাইলে আর কী করা!
মুজিব মেহেদী ভাইয়ের গান শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। জমাটি মানুষ। অনেক আড্ডা আর খুনসুটিও হয়েছিল।
কোন নতুন বছরের সাথে পুরনো বছরের কোন পার্থক্য থাকে না বলে, নতুন বছরে আমার নতুন কোন আকাঙ্খা থাকে না। আমি পার্টি এ্যানিমেল, আমার আগ্রহ শুধু উৎসবটুকুতেই।
মুজিব ভাইয়ের সাথে কোথায় আড্ডা দিলেন। আমি ছিলাম না সেখানে? আমাদের আড্ডাগুলো তো মোটামুটি কমন। নাকি পরস্পরকে চিনতে পারি নি?
নতুন বছরের পার্টির ব্যাপারে আমার অবস্থান আপনার মতোই।
্কামাল ভাই আপনার লেখা ও যাবতীয় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ভালই লাগলো, আশা করি নিউ ইস্কাটন এর আড্ডা নিয়েও সুন্দর লেখা পাব
আরে তারেক, আপনি! ইস্কাটনের আড্ডা নিয়েও নিশ্চয়ই এমন লেখা হতে পারে, কিন্তু কতোদিন হয়ে গেলো ওখানে আড্ডা হচ্ছে না। একটা আয়োজন করে ফেলুন।
আপনার ব্লগীয় মুরুব্বীর মনে হচ্ছে আপনার নতুন লেখা দেবার সময় হয়েছে । আশাকরি আপনি মুরুব্বীর কথা শুনবেন
আজকালকার পোলাপাইন মুরুব্বিগো কথা শুনে না গো আফা
আমি পোলাপাইনই আছি! দেখেন না লাল জামা পরি!!!
মন্তব্য করুন