রিক্ত শাখা আবার কবে পূর্ণ হবে
[ উৎসর্গ : দুজন প্রিয় ব্লগার মেহরাব শাহরিয়ার, প্রিয় অনুজ - আমার কবিতালাপগুলো যে খুব পছন্দ করে এবং বৃত্তবন্দী, প্রিয় অনুজ - নিঃসঙ্গ এই তরুণটির লেখা আমাকে মুগ্ধ করে ]
ব্লগে আসার পর এমন কিছু লেখা হয়ে গিয়েছিল আমার, যা হয়তো কোনোদিনই লেখা হতো না এখানে না এলে। যেমন কবিতা বিষয়ক লেখাগুলো। এমনিতে আমি কখনো জীবিত কবিদের কবিতার আলোচনা করি না। কবিরা স্পর্শকাতর, অসহিষ্ণু, অসহনশীল, প্রশংসাকাতর এবং প্রশ্নবিমুখ। প্রশংসার বাইরে একটা অক্ষর বললেই - ‘আপনি কবিতার কী বোঝেন বলে তেড়ে আসেন তারা।‘ ব্যক্তিগত জীবনে এইরকম বিরূপ অভিজ্ঞতা আমার অনেক। স্বভাবতই তাদেরকে নিয়ে কথা বলতে ভয় পাই আমি। কিন্তু ব্লগে এসে সেই কাজটিই শুরু করলাম এবং ব্লগাররা সেটি পছন্দও করলেন। অনেকদিন পর আবার তেমন একটি লেখা, আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা- শহীদ কাদরী’র ‘সংগতি’ নিয়ে।
২
কবিতাটি বিখ্যাত। আবৃত্তিকারদের কল্যাণে খ্যাতির প্রায় চূড়ায় এর অবস্থান। কবিতার প্রথম চারটে পঙক্তি এরকম :
‘বন্য শুকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদা
মাছরাঙ্গা পাবে অন্বেষণের মাছ,
কালো রাতগুলো বৃষ্টিতে হবে শাদা
ঘন জঙ্গলে ময়ূর দেখাবে নাচ’
সবই প্রাপ্তি আর আনন্দের সংবাদভাষ্য। দুটো বিষয় লক্ষ্যণীয়। প্রথমত : ক্রিয়াপদগুলো ভবিষ্যৎকালের, অর্থাৎ ঘটনাগুলো এখনো ঘটেনি তবে ঘটবে; দ্বিতীয়ত : দৃশ্যকল্পগুলো ক্রমশ জৈবিক থেকে নান্দনিক সৌন্দর্যের দিকে এগিয়েছে। প্রথম পঙক্তিতে শুকরের কাদা খুঁজে পাবার দৃশ্যটি কারো কারো কাছে প্রীতিকর না-ও মনে হতে পারে, অন্তত যারা এমন দৃশ্য দেখেছেন। তবু, শুকরের কাছে ব্যাপারটা প্রাপ্তির, সে তো কাদা ভালোবাসে। প্রথম দৃশ্য যাদের কাছে প্রীতিকর মনে হয়নি, দ্বিতীয় দৃশ্যটি তাদের কাছেও নিশ্চয়ই সুন্দর বা নিদেনপক্ষে সহনীয় মনে হবে! পুকুরে-ডোবায়-বিলে-খালে-ছোট্ট নদীতে হিজলের ডালে বসে ধ্যানী মাছরাঙার মাছ-অন্বেষণ এবং তা পেয়ে যাওয়া - কী আনন্দময় একটি দৃশ্য, যদি না তার ঠোঁটে মাছের মৃত্যুযন্ত্রণা কাউকে কষ্ট দেয়! দুটো দৃশ্যই জৈবিক প্রাপ্তি ও আনন্দের বিবরণ। কিন্তু তৃতীয় পঙক্তিটিই দেখুন। বৃষ্টিতে সাদা হয়ে যাচ্ছে কালো রাতগুলো- এই দৃশ্য কি ব্যাখ্যা করা সম্ভব? বা ঘন জঙ্গলে ময়ূরের আনন্দময় নৃত্যদৃশ্য। বিশুদ্ধ নান্দনিক দৃশ্য এগুলো। মনে হচ্ছে, জগৎ জুড়ে চলবে আনন্দ-আয়োজন। কিন্তু পরের দুই পঙক্তিতেই ভেঙে পড়বে এতসব রূপময় বর্ণনার ফলে সৃষ্ট সুখকলপনাগুলো; কারণ-
’প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না...’
সবই হবে। প্রেমিক-প্রেমিকাও মিলিত হবে পরস্পরের সঙ্গে, কিন্তু শান্তি পাবে না। কেন পাবে না? এবং খুব জোর দিয়ে বলছেন তিনি- পাবে না, পাবে না, পাবে না... (শেষের ডটগুলোও বুঝিয়ে দেয়, এই ‘পাবে না’ অনন্তকালীন...)। এ কোন ভবিষ্যতের কথা বলেছিলেন কবি, যখন মিলনেও শান্তি মিলবে না?
এর পরের পঙক্তিগুলোও প্রথম লাইনগুলোর মতোই আনন্দমুখর দৃশ্যকল্পনা, তবে বিষণ্নতার সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাওয়া যায় না-
’একাকী পথিক ফিরে যাবে তার ঘরে
শুন্য হাঁড়ির গহ্বরে অবিরত
শাদা ভাত ঠিক উঠবেই ফুটে তারাপুঞ্জের মতো,
পুরনো গানের বিস্মৃত-কথা ফিরবে তোমার স্বরে’
‘একাকী পথিক’ শব্দটির মধ্যেই একটা বিষণ্ন ব্যাপার আছে! তার ঘরে ফেরা আনন্দময় হতে পারে যদি ঘরভরতি মানুষ থাকে, নইলে বিষণ্নতাই থেকে যায়! কিংবা ঘরভরতি মানুষও কোনো কোনো একাকী মানুষের নিঃসঙ্গতা ঘুচিয়ে দিতে অক্ষম। সেটি আরো বেদনাদায়ক। যাহোক, পরের পঙক্তিদুটো অসাধারণ। শূন্য হাঁড়িতে শাদা ভাত ফুটে উঠবে ‘তারাপুঞ্জের মতো’! কী অসামান্য উপমা! এমন চিত্রকল্পময় উপমা কবিতাকে যেন মূর্ত করে তোলে, একেবারে চোখের সামনে ভেসে ওঠে যেন সবকিছু। তার পরের পঙক্তিতে পুরনো গানের ‘বিস্মৃত-কথা’র প্রসঙ্গ, আর পুরনো গান মানেই নস্টালজিয়া, সুন্দর কিছু স্মৃতি, অনেক অনেক ঘটনা....। এবং এসবকিছু থাকা সত্ত্বেও আবার সেই দুটো লাইন-
‘প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...’
এর পরের চার পঙক্তি খেয়াল করা যাক-
‘ব্যারাকে ব্যারাকে থামবে কুচকাওয়াজ
ক্ষুধার্ত বাঘ পেয়ে যাবে নীলগাই,
গ্রামান্তরের বাতাস আনবে স্বাদু আওয়াজ
মেয়েলি গানের- তোমরা দু’জন একঘরে পাবে ঠাঁই’
যুদ্ধের সমস্ত উন্মাদনা শেষ হয়ে যাবে, কুচকাওয়াজ থেমে যাবে, সৈন্যরা বিশ্রামে যাবে; ক্ষুধার্ত বাঘ তার প্রিয় খাবার পেয়ে যাবে; অন্য গ্রাম থেকে বয়ে আসা বাতাস সঙ্গে করে নিয়ে আসবে মেয়েলি গানের ‘স্বাদু আওয়াজ’! কী চমৎকার সব ব্যাপার। কিন্তু তারপর আবার-
‘প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না...’
বারবার এই দুটো লাইন ফিরে ফিরে এসে জানিয়ে দিয়ে যায়, যতো শুভ ঘটনাই ঘটুক, যতোই প্রাপ্তিযোগই ঘটুক না কেন, শান্তি পাওয়া যাবে না। কেন যাবে না, সেই ইঙ্গিত দেননি কবি; কিন্তু বোঝা যায়- তিনি এমন এক অস্থির সময়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সেই পঞ্চাশ বছর আগে; যখন হয়তো ‘সব’ থাকবে, কিন্তু শান্তি মিলবে না কিছুতেই।
আমরা কি এখন সেই সময়টিই পার করছি না? এতকিছু আছে আমাদের, তবু শান্তি নেই, স্বস্তি নেই!
৩
মন খারাপ থাকলে গান বেশি শোনা হয়। কখনো কখনো কোনো একটা গান হয়তো মাথায় ঢুকে পড়ে, আর বেরুতেই চায় না, ওই একটা গানই শুনতে থাকি, শুনতেই থাকি। এই মুহূর্তে ক্রমাগত শুনছি অজয় চক্রবর্তীর হিমেল হাওয়া ডাক দিয়ে যায়, কাঙাল করে নিল কেড়ে সব আভরণ কোন ইশারায়...। করুণ, মায়াময় এই গানটা যতোবার শুনি ততোবার মনটা তছনছ হয়ে যায়, একইসঙ্গে সুরের অপূর্ব মূর্ছনায় এক প্রবল ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। অজয় তার অসামান্য দরদমাখা কণ্ঠে যখন গেয়ে চলেন- রিক্ত শাখা আবার কবে পূর্ণ হবে, আমার এই শূন্য হৃদয় কে ভরাবে... তখন চোখ ভিজে উঠতে চায়...
৪
শরীরটা ভালো যাচ্ছে না কিছুদিন ধরে, মনটাও এলোমেলো। লেখাটাও এলোমেলোই হলো!
পুরো কবিতাটি একসঙ্গে একবার পড়ে নেয়া যাক :
বন্য শুকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদা
মাছরাঙ্গা পাবে অন্বেষণের মাছ,
কালো রাতগুলো বৃষ্টিতে হবে শাদা
ঘন জঙ্গলে ময়ূর দেখাবে নাচ
প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...
একাকী পথিক ফিরে যাবে তার ঘরে
শুন্য হাঁড়ির গহ্বরে অবিরত
শাদা ভাত ঠিক উঠবেই ফুটে তারাপুঞ্জের মতো,
পুরনো গানের বিস্মৃত-কথা ফিরবে তোমার স্বরে
প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...
ব্যারাকে ব্যারাকে থামবে কুচকাওয়াজ
ক্ষুধার্ত বাঘ পেয়ে যাবে নীলগাই,
গ্রামান্তরের বাতাস আনবে স্বাদু আওয়াজ
মেয়েলি গানের - তোমরা দু’জন একঘরে পাবে ঠাঁই
প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...
কামাল ভাই, তিথীডোর গল্পটি অসাম লেগেছে। কিছু কিছু বর্ণনা তো এত অসাধারণ যে কিছুই বলা সম্ভব না! মোবাইল নাম্বার বিনিময় পুরোপুরি ইউনিক হয়েছে। ব্যাক টু ব্যাক রাহাত খান আর আপনাকে দেখতে চমৎকার লাগছিলো।

দ্রুত সেরে উঠুন। শুভকামনা
পোস্ট নিয়ে কোনো কথাই বললেন না মীর, পাঠযোগ্য হয়নি এটা?
গল্পপাঠের প্রতিক্রিয়ায় আনন্দিত হলাম।
কবিতাটা যেভাবে আপনি কেটেছেন, তা অতুলনীয়। অনেকদিন অনেকবার কবিতাটা পড়েছি। কখনো এমন করে ভাবি নি। আজ আপনার কাছ থেকে শিখলাম। হয়তো এরপরে আমিও এভাবে ভাবার চেষ্টা করবো, প্রিয় কোনো কবিতা নিয়ে।
তবে আপনি দারুণ লিখতে পারেন। সেসব নিয়ে কথা বলার বিদ্যে আমার নেই।
:

১. আপনার কবিতা বিষয়ক পোস্টগুলো সবকটিই পড়েছিলাম। একজন কথাসাহিত্যিক যিনি কবিতার এমন বড় সমঝদার এবং দক্ষ আলোচক, এটি আমাদের এখানে একটু ব্যতিক্রম। কলকাতায় এমন অনেক ক'জন আছেন, বাংলাদেশে আপনিই অন্যতম, আর কাউকে এমন দেখি নি। আপনি কবিতার লোক না হয়েও কবি -এটি চমৎকার।
২. শহীদ কাদরীর' যে কবিতা নিয়ে এই আলোচনা, সেটি বহুবার পড়া, বহুবার শোনা। তিনি বাংলাভাষার অন্যতম আধুনিক কবি। 'ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে মার্চপাস্ট করে চলে যাবে এবং স্যালুট করবে কেবল তোমাকে প্রিয়তমা-- তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা--কীভাবে লেখা সম্ভব এমন কবিতা!! অসামান্য নিঃসন্দেহে। আর এই কবিতাটি-- তার দুটি বিখ্যাত পঙতি, ‘প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...’
আপনি যথার্থই বলেছেন,
আসলে আমরা পাবার পরও যাকে সুখ বলে আর প্রাপ্তি বলে মানতে যাই সেটি আসলে সুদূর না পাওয়া হয়তো..........এই পাওয়া কিন্তু শান্তি না পাওয়ার বিষয়টি এত ভাবায়.........পুরো কবিতার ব্যবচ্ছেদ, অসাধারণ, অসাধারণ ভাবে করেছেন।
৩. এরপর গানটি। শুনলাম। খুবই সুন্দর গান। সুর আর বিষণ্ন গায়কি, খুব দুঃখবোধের সৃষ্টি করে।
৪. দ্রুত সেরে উঠুন। শুভকামনা।
১. কিঞ্চিত লজ্জা পেলুম কথাগুলো শুনে :


২. কবিতালাপ ভালো লেগেছে জেনে স্বস্তি পেলাম।
৩. গানটি আমার চোখ ভিজিয়ে দেয়
৪. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
শহীদ কাদরী ফের, আমার চোখ ভিজিয়ে দিলেন.........
শহীদ কাদরী আমার প্রিয় কবি, তাকে নিয়ে একটি কবিতাই তো লিখেছিলাম একসময়ে:
জানি, অঢেল অসুস্থ আপনি। একবেলা বাড়ি তো আরেকবেলা ফের সেই বদ্যির দপ্তরে,
বিবমিষা-চিকিৎসা নিতে হয় আপনাকে অনেকদিন থেকেই।
তবু আমি, সেই নচ্ছাড় বালক, কীভাবে যেন জেনে গেছি শহীদ কাদরী আজ তার বাড়িতেই আছেন।
অতএব অকস্মাৎ এসে পড়াটা এখন অতীব দরকারি।
বেরিয়ে আসুন কবি, এক উন্মাদ বালক আজ আপনার অপেক্ষায়!
মানি, আমার সঙ্গে দেখা করবার চে'য়ে যদি আপনি এই অবসরে দুটি কিংবা একটি
লাইনও রচনা করেন, ক্ষয়ে যাওয়া কাগজের সফেদ শরীরে
পাঁজর ঘেষা কোনো এক ঝর্ণা কলম দিয়ে
তবে তাতেই অনেক হবে। বিশ্রামও তো চাই অসংখ্যবার , আপনার।
খাঁটি পাঠকেরা আজও আছে পিপাসী প্রাণীর মতো বসে,
ওই কয়েকটি লাইনই পারে তাদের বহুকালের স্থবির তৃষ্ণা মেটাতে।
নাহ, আমি তাও মানবো না। পাঠকেরা চুলোয় যাক। আপনার বিশ্রাম নিলামে উঠুক।
যেকোনো মূল্যে আপনার দেখা চাই, প্রয়োজনে বর্বরও হবো।
হে কবি, আমিই সেই বিষাদ-ব্যধিতে আক্রান্ত বালক।
বালিকার হাতে বারংবার নিগৃহীত,
হতাশায় দেই ডুব প্রতিক্ষণে, স্বরে স্বরে অশ্রুসমেত।
আবেগের নাট্যমঞ্চে ক্রমাগত নিপেক্ষিত , তথাকথিত প্রিয়তমার দ্বারা।
বেরিয়ে আসুন শহীদ কাদরী , আপনি বাড়ি আছেন জানি।
আপনি ছাড়া যে আজ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপি দিনে এই ভবঘুরে বালককে
রক্ষা করার মতোন আর কেউ নেই!
লেখাটি অসামান্য, বিশ্লেষণ অসামান্য
-মুহিত হাসান
আরে মুহিত, কী যে খুশি হলাম আপনাকে দেখে আর চমৎকার কমেন্ট পেয়ে।কবিতাটিও ভারি সুন্দর।
অতিথি হয়ে না থেকে এখানে রেজিস্ট্রশন করে ফেলুন, আপনার চমৎকার লেখাগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন, আরো ভালো লাগবে আমাদের।
অসম্ভব প্রিয় একটি কবিতা। আমি নটরডেম কলেজে থাকতে একবার কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম। আমার শেষ আবৃত্তি ওটাই। মনে পড়ে গেল । গুহ স্যার, পরবর্তীতে বলেছিলেন, কীরে তোর কয়টা শান্তি লাগবে? আমি যতদূর জানি আপনি নটরডেমিয়ান ছিলেন। তাই এই কথাগুলো বলা।
কবিতা আসলে পড়ি। কিন্তু এভাবে এত সুন্দর করে যে বিশ্লেষণ করা যায় জানতাম না। সামুতে খুঁজে রুদ্রের অভিমানের খেয়া নিয়ে একটা পোস্ট পড়েছিলাম, আপনার। আজকে পড়লাম। খুব ভালো লাগল।
অফটপিকঃ আর আপনার তিথিডোর গল্পটার লিঙ্ক দেখেছিলাম ফেবুতে। কেন জানি ওপেন হয়নি। তবে পড়ে ফেলব। আপনার একটা প্রেমের গল্পের বই পড়েছিলাম," ভোর ও সন্ধ্যারা নামছে বেদনায়" ওখানে ট্রেনের একটা গল্প আছে। নামটা মনে পড়ছে না। বীথি নামে একটা চরিত্র ছিল। আমার নিজের ঘটনার সাথে মিলে যাওয়া।
হ্যাঁ, আমি নটরডেমিয়ান, তবে গুহ স্যারকে পাইনি। আমাদের সময় ছিলেন মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ - অসাধারণ এক শিক্ষক। আমার চিন্তার ধরনই পাল্টে দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। ছিলেন মুখতার স্যার, গরীব নেওয়াজ স্যার, গাজী আজমল স্যার, টেরেনস পিনেরু স্যার, ফাদার পিশেতো... আহা কী সব শিক্ষক! নস্টালজিক করে দিলেন।
------
কবিতা আমিও পড়ি ভালো লাগে বলে; তবে বিশ্লেষণ করতে মজা পাই।
----------------
এই লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন তিথিডোর পান কী না । নিছকই প্রেমের গল্প; সিরিয়াস গল্পের পাঠক হলে না পড়াই ভালো!
আর আপনি যে গল্পটির কথা বলেছেন ওটার নাম - 'বড়ো বেদনার মতো বেজেছো'
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লিজেন্ডারি মুখতার স্যার ছাড়া আমাদের টাইমে আমরা কেউকে পাই নাই। আজমল স্যার ছিলেন, তবে আমাদের গ্রুপে ক্লাস নিতেন না।
আমি মোটামুটি সর্বভূক শ্রেনির পাঠক। কাজেই পড়তে সমস্যা নেই। ফন্ট প্রবলেম হচ্ছে। ক্লিক করলে চাইনিজ অক্ষর ভাসে! যুগান্তর যোগাড় করে পড়ে ফেলব।
যুগান্তর ইমেজ ভার্ষণ এ দেখুনতো পড়া যায় কিনা?
... পড়তে পারলে থ্যাংকু বইলেন... নাইলে দর্কার নাই 
২৮ নম্বর পাতায় পাওয়া যাবে
টুটুল আজকাল আর ছোটদের (আমার) লেখা নিয়ে কোনো কথা বলে না!
বস... আপনার লেখা নিয়ে আমার কথা বলার স্পর্ধা হয় ক্যাম্নে?
আমি যাস্ট চুপচাপপড়েগেলাম
মন্তব্যের ঘরে, আপনার ব্যবহৃত আবেগ চিত্রিকা সমুহের সুচারু ব্যবহার আমাকে গ্রীক দার্শনিক জেনো'র কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, এছাড়াও আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারের পরম্পরায় বারবার দেখতে পাচ্ছি ডাচ দার্শনিক সোরেন কিয়র্কেগার্ডের ছায়া।
আবেগ চিত্রিকা ব্যবহারে আপনার হেজেমোনিক কোনো অবস্থান চোখে পড়ছে না, বরং আপনার আবেগ নিসঃরিত গ্রান্ড ন্যরেটিভটিই চিত্রিত হচ্ছে।
তবে যে আবেগ চিত্রিকার সুচারু ব্যবহার মানব মনে লালন করে চলা প্রাগৈতিহাসিক শিকারী মনঃবৃত্তির প্রকাশ করছে তেমন শৈল্পিক প্রকাশ আমরা কেবল গুহাচিত্রেই খুঁজে পাই।
নোয়াম চমস্কি হয়তো এ প্রসঙ্গে ভাষিক দৈন্যতার বিষয়টি উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর সাথে দ্বিমত তৈরী হবার প্রচুর অবকাশ রয়েছে। কারণ আমরা সবক্ষেত্রে লেখ্য ভাষার মাধ্যমে কথ্য ধ্বনিকে উপস্থাপন করতে পারি না।
এছাড়াও উক্ত বিশেষ আবেগ চিত্রিকার প্রয়োগের সাথে আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর তুলনামুলক বিচারে উপনীত হ'লে নিশ্চিত ভাবেই বার্ট্রান্ড রাসেল কিংবা ফ্রেডরিখ নিটশের কোনো না কোনো উক্তি হাজির করতে পারবো।
যাক এই বেলা খ্যামা দেই। বুঝতারতাছিনা ক্যান কোনোরকম পাগলা পানি বা ধুম্র মাদক না খায়াই এরাম আউলায়া যাইতেছি কেন???
(কপিরাইট : বৃত্তবন্দী)
অথচ আমরা ঠিকই শান্তি পেলাম
এমন অপরূপ এক কবিতা বিশ্লেষনে।
আহা, কমেন্টটা পড়ে বড়ো শান্তি পেলুম আমিও, ভ্রাত মামুন।
সেই কারনে আমি মূর্খ কখনো কবিতা নিয়ে কিছু বলিনা।
তবে আপনার এ লেখাতেই টের পাচ্ছিলাম বিক্ষিপ্ততার ছোঁয়া...
ভাল হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি। ইদানীং অনিয়মিত আপনি...
কবিতা নিয়ে আমিও কিছু বলি না মেসবাহ ভাই, মাইর খাওয়ার ভয় কার না আছে? সর্বত্র বলে বেড়াই - কবিতা বুঝি না। তবে মৃত বা মৃতপ্রায় কবিদের নিয়ে কথা বলা রিস্ক-ফ্রি। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
----------
খারাপ একটা সময় যাচ্ছে, আশা করি দ্রুত কাটিয়ে উঠবো। দোয়া কইরেন মেসবাহ ভাই।
শরীরটা ভালো যাচ্ছে না কিছুদিন ধরে, মনটাও এলোমেলো। কিন্তু লেখতে গেলে জীবনেও এমন একটা এলোমেলো লেখা লিখতে পারবো না।
বহুদির পর লিখলেন। নিয়মিত লিখেন না কেন?
হলুদ মাথা দিয়া হলুদ গুলি বাইর হয় !! কি মজা
এইটা কে? কবিপা নাকি? খবরটবর কি?
আর এই পোস্টে কবিতার নাম নিয়েন না
খবর ভালোই আপা --- অফিস ফাঁকি দিয়া কমেন্ট করতাছি
এপু, ইমো নিয়া দেখি তোমার ভাবনার অন্ত নাই। মানুষ নিয়া যদি এত ভাবতা, তাইলে জাতির কতো উপকার হইতো!... আর কবিতা বিষয়ক পোস্টে কবিতার নাম নিতে মানা করলা, কারণটা কি? তোমার এই কুচক্রি ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাইলাম, এবং এই ইমোগুলি উপহার দিলাম :
হেহে.....কতগুলো যে নতুন ইমো ঢুকানো হৈছে, মজা লাগে
কিন্তু তাই বৈলা একলা মেয়ে পেয়ে চোখ টিপলেন !!! জয়ি্তাপু, তুমি কৈ?? আমার সাথে ইভটিজিং হচ্ছে

নাউজুবিল্লাহ। চোখ টিপা যে গুণাহ এটা কি কামাল ভাই জানে না?
কান্দে না কান্দে না, ইমোর মানেই বুঝো নাই
ওইটা চোখ টিপার ইমো না বুকা মেয়ে, ওইটা হইলো বাকের ভাই ইমো, মানে মাস্তানির ইমো
<)
এম্নিতেই অবস্থা খারাপ, তার ওপর এইরকম ব্রাশফায়ার, আমি তো শহীদ হয়ে গেলুম।
নিয়মিত লিখতে পারি এক শর্তে - যদি আপ্নে আমার প্রতিটা পোস্টে কমপক্ষে পঞ্চাশটা কমেন্ট করেন!
আপনি কেমন আছেন জয়িতা, অনেকদিন কোনো খোঁজখবর নেই!
শহীদ হলে বেহেস্ত কনফার্ম। আল্লাহর নাম নিয়া শহীদ হয়ে যান।
আমি আছি আর কি। দিন চলে যাচ্ছে।
আমার বেহেস্ত তো এম্নিতেই কনফার্ম হয়ে আছে! আল্লার দুনিয়ায় এত ভালো মানুষ আপ্নে আর দেখছেন, কন? আমারে না নিয়া আল্লায় আর কারে বেহেস্তে নিবো? আপ্নের মতো পাত্থর-মনের মানুষদের?
খাইছেরে। ডরাইছি। আল্লারে কি কবতে লিখে পটাইছেন নাকি?
আল্লা তো আমার স্বভাব-চরিত্র দেইখাই পইটা গেছে, গল্প-কবিতা লিখতে হয় নাই!


আল্লা তো আর আপ্নের মতো পাত্থর-মনের না!
শহীদ কাদরীর কবিতা ভালো লাগে না
বিশেষত শেষ যে বইটা বের হোলো মোটামুটি অসহ্য লেগেছে
কিন্তু পাঠ-আলোচনা ভালো লাগলো, কামাল ভাই। আর এ কথাটা মনে হয় মাঝারি মাপের যে কোনো ক্রিয়েটিভ লোকের জন্য খাটে স্পর্শকাতর, অসহিষ্ণু, অসহনশীল, প্রশংসাকাতর এবং প্রশ্নবিমুখ । কিন্তু কাঠগড়ায় কেবল কবিদেরই দাঁড়াতে হয়
যাই হোক, আপনি কেমন আছেন ??
আর অজয় চক্রবর্তী আর বেগম আখতার আমি এই দুইজনের ব্লাইন্ড ফ্যান
গ্রেট !
শহীদ কাদরীর কবিতা ভালো লাগে না? অবাক হলাম! শেষ বইটা নিয়ে আমারও খানিকটা রিজার্ভেশন আছে, কিন্তু তার আগের কবিতাগুলো তো দারুণ! অবশ্য সবার পছন্দ-অপছন্দ এক না-ও হতে পারে।
তোমার কথায় আংশিক সত্যতা আছে। মাঝারিগণ সর্বদা স্পর্শকাতর ও মারমুখী। কিন্তু আমার শক্তিমান কবিবন্ধুরাও তাদের কবিতার 'সমালোচনা' শুনলে ক্ষেপে যায়, আর এযসব বন্ধু গল্প-উপন্যাস লেখে তাদেরকে সমালোচনা করলে তারা এতটাই খুশি হয় যে, পানশালায় নিয়ে যেতে চায়! বলে, এই ক্রিটিক নাকি তাদের জন্য বিরাট অ্যাপ্রিশিয়েশন। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো?
----------
দিন চলে যাচ্ছে, এই তো।... তোমার এই প্রশ্নের উত্তর আমি সর্বদা দিয়ে থাকি। কিন্তু যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করি 'কেমন আছো, লেখালেখির খবর কি?' তুমি প্রশ্নটি যেন দেখোইনি এমন ভাব করে এড়িয়ে যাও। আজকে তাই আর জিজ্ঞেস করলুম না!
কামাল ভাই, পানশালায় নিয়ে যেতে চায়! পানশালার বদলে আর কিছু হলে সমালোচনা লেখা শুরু করা যেতো
কিন্তু আসলেই কি তাই ভাইয়া ? আমি তো ওয়েবের আনাচে কানাচে এখন নব্য কথাসাহিত্যিকদের কামড়াকামড়ি দেখি। যাই হোক, সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স মাত্রই অসুস্থতা। সেটা কবি, ডাক্তার, ঔপন্যাসিক, ব্যবসায়ী সবার জন্যই
==============
আগে কি এই প্রশ্ন দেখে উত্তর দেই নাই !
আমি ভালো আছি। লেখালেখির খবর খুব সুবিধার না ।
আমাকে পানশালায় নিয়ে যেতে চায় যৌক্তিক ও যথার্থ কারণেই, তোমাকে নিশ্চ্ই পানশালার কথা বলবে না। কী বলবে, সেইটা আমি আর না কইলাম
তবে যদি যেতে চাও, বন্ধুর সাথেই যেও। বন্ধুর ভান ধরা বা বন্ধু নয় এমন কারো সাথে কোথাও গিয়ে আমার ধরা খাইয়ো না
-------------
তোমার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। সমস্যাটা সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স।
---------------
না, আগে কখনো জবার দাও নাই, আজকে প্রশ্ন করি নাই বলে বললা। তোমার মতিগতিও বোঝা ভার
‘প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না , পাবে না...’
এই লাইনগুলার কত রকম যে প্যারোডি বানাইছিলাম । ইয়ত্তা নাই ।
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম দূরের পাখি। কেমন আছেন?
প্যারোডি দুয়েকটা শেয়ার করতেন, মজা হতো!
প্যারোডি শেয়ার করা যাইবো না । মডু লৌড়াইবো ।
কিছুটা আন্দাজ করতে পারতেছি
আমি প্যারোডি লিখতে পছন্দ করি। এবিতে তিনটা দিয়েছিলাম, পুরনো লেখাগুলোরে মিস করি
ইকরাম, লেখা দেন। কুট্টিকালের সিরিজটা আবার শুরু করেন। নইলে যুক্তির ফ্যালাসি।
কবিতা'র এমন ব্যবচ্ছেদ করা যায় জানতাম না, ভালো লাগছে!
লিঙ্ক পেয়ে তিথীডোর পড়লাম, মেজাজ খুবই খারাপ হলো!
আরে, মানলাম মন খারাপ করাবেন কিন্তু এমন করে ঠাস করে চড় মারার মতো কেন, যেন কাদায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিছেন!!
পড়তে অনেক ভালো লাগছিল ... ধুর! 
কবিতার ব্যবচ্ছেদ তো এর আগেও কতোগুলো করেছি, একটাও পড়েননি আপনি? খুব অবাক হলাম জেবীন।
---------
তিথীডোর পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু প্রতিক্রিয়া দেখে 'ডরাইছি।' 'ঠাস করে চড় মারা' 'ধাক্কা দিয়ে কাদায় ফেলা'... খাইছে আমারে! এইগুলো তো আমি করিনিরে ভাই। আপনিই বলেন - তিথী যা করেছে, বা গল্পে যা ঘটেছে সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? তিথি রাশেদের সঙ্গে চলে গেলে কি মানাতো? তারা কি একই লেভেলের? প্রকৃতপক্ষে, চরিত্রগুলোকে আমি নিয়ন্ত্রণই করিনি, ওরা যা করেছে আমি কেবল তা বর্ণনা করেছি! ওরা যে ওরকমই।
তবে ওদের প্রতি আপনার মমতা আর ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে, গল্পের চরিত্র হওয়াই বেশি লাভজনক, অনেক ভালোবাসা পাওয়া যায়!
এই হলো মানুষের সমস্যা! কত্তো কি করলাম, লেখাটা মনযোগ দিয়া পড়লাম, পছন্দ করলাম, সেইটা না বলে যেটা করিনি তা বলে দিয়ে জনসম্মুক্ষে আমার দোষ খুজাঁ শুরু করলো!
আর অবাক হবার ইমো হইলো
ভুল ইমো দিছেন!
----------------
আরে, হতে পারে না মেয়েটা একটু অন্যরকম ছেলেটার প্রতি আকর্ষিত হবে। হ্যাঁ, যা হয়েছে ওটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আপনি এমনভাবে এনেছেন যেন আসলেই ওমন হচ্ছিল। তবে একটা জায়গায় খটকা লেগেছিল, যখন মেয়েটা আগ বাড়িয়ে বারবার বাইরে যেতে চাইছিলো! আর হুট করেই বাস্তাবতায় এনে দিছেন বলেই চড় খাওয়া লেগেছে!
চরিত্রের প্রতি ভালবাসা মাঝে মাঝে গড়ে ওঠে আসলেই, সে যত পজিটিভ কি নেগেটিভ হোক না কেন। দূরবীনের রুদ্র'র প্রতি মমতা কি ভালবাসা যাই বলেন না কেন এখনো মাথা খারাপের মতো আছে, সেই স্কুলে থাকতে থেকে!
লিঙ্ক পেয়ে গল্পটা পড়ে নিলাম
এবং জেবীনের সাথে একমত পোষণ করলাম
জেবীনের কমেন্টে ডাবল লাইক
আপ্নে ডাবল লাইক দিলেন কি মনে কইরা?
তিথির জায়গায় আপ্নে থাকলে কি করতেন? থাক, এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া লাগবে না। আপনে তো আছেন আপ্নের পিকলুরে নিয়া 
একসময় স্বনন নামে একটা আবৃত্তি সংগঠন করতাম। সে সময় খুব পড়তাম কবিতাটা। আর বড় বড় আবৃত্তিকাররা তো এইটা পড়তেই থাকেন। খুব মনে পড়লো সেই সময়টার কথা।
স্বনন খুব মিস করি। যদিও বেশিদিন আবৃত্তি করা হয়নি। কারণ খুবই দ্রুত বুঝেছিলাম যে, ঐটা আমার জায়গা না।
কবিতার এই আলোচনাটা তখন পগতে পারলে আবৃত্তিটা আরও ভাল হতো। অসাধারাণ হইছে কামাল ভাই।
যাই তিথিডোর পড়ি
আবৃত্তি ছেড়ে দেয়াটা আপনার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল মাসুম ভাই। আপনি সব অর্থেই আবৃত্তি করার জন্য যোগ্যতম মানুষ। আমি আমার মতামত দৃঢ়ভাবেই বললাম, আপনি দ্বিমত প্রকাশ করলে করতে পারেন।
তিথিডোর পড়বেন? এইরকম মন হু হু করা প্রেমের গল্প পইড়া আবার আমারে গাইলাইয়েন না।
খুব ভালো লাগলো কামাল ভাই। কবিতাটির আবৃত্তি একসময় প্রায় প্রতিদিনই শুনতাম। অনেক দিন পর সেই অনুভূতি আরো চমৎকারভাবে অনুভব করলাম আপনার বিশ্লেষণে। অনেক কৃতজ্ঞতা।
শরীর ভালো যাচ্ছে না জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। নিজের যত্ন নিজেই নিতে পারা, নিজের নিয়ন্ত্রণ নিজেই বজায় রাখা আমাদের প্রত্যেকেরই অন্যতম দায়িত্ব। আমি চেষ্টা করি, আপনিও চেষ্টা করুন। আপনি কি শুধুই নিজের একার? নিশ্চয়ই না। তাই অবহেলার সুযোগ কোথায়!
আপনাকে এখানে দেখে দারুণ ভালো লাগছে শাহাদত ভাই। সত্যি খুব আনন্দিত হলাম। মনে হলো একজন আপনজন বাড়লো।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, এবং ধন্যবাদ পাঠপ্রতিক্রিয়া জানাবার জন্য।
শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে গত কয়েকটা বছর।১৭/১৮ ঘণ্টা করে কাজ করেছি। তার প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারছি এখন। ভাববেন না, সেরে উঠবো শিঘ্রই।
আপনি কেমন আছেন? লিখতে শুরু করেন। তাড়াতাড়িই আপনার লেখা পড়তে চাই।
খুব ভালো লাগলো আপনার সাড়া পেয়ে। মূলত আপনার লেখাতে প্রতিক্রিয়া জানানোর আগ্রহে এখানে নাম লেখালাম। অনেক পরিচ্ছন্ন লাগছে এই ব্লগটি।
হ্যাঁ, শাহাদাত ভাই, খুব পরিচ্ছন্ন একটা ব্লগ এটা। আমার লেখার প্রতিক্রয়া জানাতে এসেছেন জেনে আপ্লুত হলাম। তবে এখানে ভালো লেখা ও লেখকের সংখ্যা অনেক। আশা করছি, তাদের লেখাও আনন্দ দেবে আপনাকে।
আপনি নিজেও শুরু করে দিন, আমরা পড়ি।
আমাদের বৃত্তরে 'নিঃসংগ' না বইলা 'বিষণ্ন তরুণ' কইলে ভালো হইতো না ?
...
পোস্টের বিষয়ে অধিক না বলি
.. এঝ অলওয়েজ রকিং... জীবনানন্দের কবিতা নিয়ে কয়েকটা পোস্ট হলে .. 

----
শহীদ কাদরী হালকা পড়ছি.. পোস্ট পইড়া অবশ্য মনে সন্দেহ আসলো আমি শহীদ কাদরী কি পড়তে কি পড়ছি কে জানে
বৃত্তকে আমার নিঃসঙ্গই মনে হয়, বিষণ্নও বটে। এক কথায় চমৎকার এক তরুণ।
জীবনানন্দ নিয়ে আবার মাততে বলেন! তাইলে তো আর থামাইতে পারবেন না!
জীবনানন্দের কবিতা নিয়ে একটা পোস্টে (সম্ভবত 'না এলেই ভালো হতো') আপনার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল কবি ও কবিতা নিয়ে। কোথায় গেল সেইসব দিন! কতোদিন পর আপনার সাথে কথা হচ্ছে আবার।
কেমন আছেন আপনি?
অনবদ্য। প্রবন্ধটির মুলভাব হ্র্দয় ছুয়ে গেছে।
আরেকটু হলেই রেডিমড কমেন্ট হয়ে যেত!
কেমন আছেন রন্টি?
আপনার লেখাটা দারুণ লাগছে
রাতেই বলতে পারতাম, কিন্তু লেখার প্রথমে নিজের নাম দেখে কেমন কেমন একটা ভাব হইতেছিলো
:shy:
:crown:
এক সপ্তাহ পর আইসা একটা কমেন্ট করলেন, তা-ও নানান ইতং-বিতং
আরে সব্বাই খালি আমারে ঝাড়ি দেয়

আপ্নেরে আবার কে ঝাড়ি দিলো, খালি নামটা কন - তার সবগুলা দাঁত খুইলা নিয়া তারে ছোলাভাজা খাইতে দিমু

আপ্নে না বলেন কবিতা বুঝি না !
এখনতো দেখি ভালই বুঝেন
তাড়াতাড়ি সুস্হ হয়ে ওঠেন এই কামনা করি
আপ্নেগো কবিতা বুঝি না, মানে আধুনিক কবিদের কথা কইলাম আর কি!
তবে মৃত বা মৃতপ্রায় কবিদের কবিতা একটু একটু বুঝি মনে হয়!
সেরে উঠছি, দ্রুতই...
আপ্নেগো কবিতা বুঝি না,
আমার কবিতা তো একটা শিশুও বুঝে, আপ্নে মন কয় পড়েন নাই
তবে মৃত বা মৃতপ্রায় কবিদের কবিতা একটু একটু বুঝি মনে হয়
বুঝছি আপ্নে মানুষ জ়ীবিত থাকলে তারে দাম দেন না, মইরা গেলে "বড় ভাল লোক ছিল" কিছিমের মানুষ
আপ্নে আসলে ভালা লোক না, আইজকা বুঝলাম
'আপ্নেগো' তো বহুবচন, আপনে সেইটারে একবচনে (আপ্নের নিজের দিকে) টাইনা নিলেন ক্যান?
শহীদ কাদরী তো জীবিতই আছেন, তা-ও তো কইলাম - বড়ো ভালো লোক ছিল।
আমারে আপ্নে 'ভালো লোক না' কইতে পারলেন? আমার অন্তর ভাইঙ্গা খানখান অয়া গেলগা।
ধন্যবাদ কামাল ভাই। কবিতা আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। আমি যখন খুব কষ্ট পাই কখন কবিতা আবৃত্তি করি । আমার যখন খুব কাঁদবার দরকার তখন আমি চিৎকার করে কবিতা আবৃত্তি করি। আমার যখন খুব আনন্দ হয় তখন ও আমি কবিতা তেই ফিরে যাই।
বন্য শুকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদা
মাছরাঙ্গা পাবে অন্বেষণের মাছ,
কালো রাতগুলো বৃষ্টিতে হবে শাদা
ঘন জঙ্গলে ময়ূর দেখাবে নাচ
এই কবিতাটি আমার প্রিয়া কবিতার গুলির অন্যতম একটি। কবিতাটি নিয়ে আলোচনা খুব ভাল লাগলো।
আপনার কবিতাপ্রেম দেখে মুগ্ধ হলাম, খুব মুগ্ধ হলাম।
আমি কবিতার মানুষ নই সেকথা হলফ করে বলতে পারি । প্রস্থ দিয়ে যদি মাপা হয় , আমার কবিতার গন্ডি ভীষণ সরু । কিন্তু বোধ করি , এই সরু কবিতা পরিমন্ডলে যে কয়টি কবিতা স্থান করে নেয় , সেগুলোর উচ্চতা অনেক বেশি হয় । আমি বারবার সেসব কবিতায় ফিরে আসি।
কোন কিছুকে ভাল লাগাতে চাইলে আমি খানিক স্বার্থপর হয়ে পড়ি , নিজের জীবনের বা এই জীবনে দেখা কোন ছবিকে যদি সেই কবিতা-গল্পের ফ্রেমে বাঁধাতে না পারি , তবে স্বস্তি পাই না ।
আপনার কবিতালাপগুলো কোন না কোনভাবে আমার ছবিগুলোকে আপনার ফ্রেমে এঁটে যেতে দেয় , সে কারণেই হয়ত কবিতালাপগুলো এত ভাল লাগত ।
আমার ছোটবেলার তিন/চারটে বছর কেটেছে গ্রামে। ঠিক গ্রামবাংলা নয় , দেশের বাইরে কোন এক গ্রাম , হয়ত বাংলাদেশের তুলনায় ভীষণ উন্নত কিছু । তবুও আমার মনে পড়ে সেখানেও মাটির যে ছোঁয়া পেয়েছি সেটা অনন্য । আমার ছোটছোট অনুভূতিগুলির জন্মও সেখানে , তাই আমার ভাবনাজুড়ে অনেকটা জায়গা দখল করে থাকে সে গ্রামটি ।
রোজ বিকেলে খেলতে যেতাম যখন , পাথর-মাটির একটি ঘরের ছাদে পড়ন্ত বয়েসী এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখতাম , নাম তাঁর মিমি রায়হান । পাহাড়ের ঢালের বাড়িগুলো এমন যে , এক বাড়ির উঠোন বরাবর অন্য বাড়ির ছাদ । খেলার সময় তাই ফুটবল অহরহ মিমি রায়হানের ছাদে চলে যেত । ফুটবল আনতে গেলেই মিমি রায়হান আমাকে গের্দু (আখরোট) দিত , একটু গল্প করতে চাইত । আমি বসতাম না। মিমি রায়হানের দু'টো ছেলে , কিন্তু বৃদ্ধার প্রতিটা দিন কাটতো অবহেলায়, ছেলেরা কেউ খোঁজ নিত না ।
আমার বয়েস তখন ৬ কি ৭ ।তারপর একদিন শুনলাম মিমি রায়হান মারা গেছে । যে ছেলে দু'টি কখনও খোঁজ নেয়নি , তারা সেদিন আসল । গোরস্থানের দিকে যখন নিয়ে যাবার জন্য খাটিয়া তোলা হল , ছোট ছেলেটা দু' হাতে মাথা চেপে ধরে উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগল । তার নিজের বউ , বাচ্চা , প্রতিবেশীরা কেউ পারছিল না তাকে সান্ত্বণা দিতে । আমার তখন একটা বোধ হয়েছিল (হয়তোবা খানিক বড় হয়ে সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছিল) , মনে হচ্ছিল মিমি রায়হান যদি একটা বার তার ছেলেকে দেখত এমন করতে , হয়ত অনেক বেশি ভাল লাগা নিয়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে পারত । মিমি রায়হানের দাহ হয়নি , কবরে শুয়ে আছে সে । কিন্তু অনেকদিন পর যখন 'অশ্রুপাত শেষ হলে নষ্ট করো আঁখি' কবিতাটা ভেঙে লিখলেন , আমার মনে হল কথাগুলো যেন আমার ছোটবেলার সেই বৃদ্ধারই কথা , কেমন যেন একটা কষ্ট হল নতুন করে ।
জীবনে ভীষণ এক বিপদে একবার ঢাকা মেডিকেলে ৭ টা রাত রোগীর পাশে কাটিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য হাসপাতালের লম্বা করিডর ধরে হাঁটতাম , জীবনের যে ছবি ওখানে দেখেছি , সেটা আর কোথাও কোনদিন দেখিনি ।ঠিক সেই সময়টাতেই পড়েছিলাম "'আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার'"এর কবিতালাপ । "বধূ শুয়ে ছিলো পাশে - শিশুটিও ছিলো, প্রেম ছিল, আশা ছিলো- " এই চরণগুলোর সাথে তাই হাসপাতালের কয়েকটা মুখের ছবি ভেসে উঠতো।
ঠিক এমন করেই প্রতিটা কবিতালাপ ধরে আমি জীবনের আঁধারে ঢেকে যাওয়া অনেক ছবির উপর আলোর ছোঁয়া মেলে , সেকারণেই হয়ত কবিতালাপ গুলো ভাল লাগে অনেক ।
আমার দাদাবাড়ি পদ্মার ধারে । ছোটবেলায় যখন দাদাবাড়ি বেড়াতে যেতাম সব কাজিনরা মিলে সন্ধ্যার অনেকটা সময় পর পর্যন্ত সময় পদ্মার শব্দ শুনে কাটিয়ে দিতাম । পদ্মার ধারে প্রতিটা সন্ধ্যা একেকটা নতুন ভাল লাগার অনুভূতি বয়ে আনত , সেসব এখন ভীষন মিস করি । বৃষ্টিমুখর দিন রাত্রিতে পদ্মাকে পেলাম যখন , তখন নিজের সাথে মেলানোর চেষ্টাটা আবার শুরু হল । কিন্তু আমি তো যেতাম শীতে , সেসব শীতে পদ্মায় কখনও বৃষ্টি হয়নি । ধীরে ধীরে ভেতরে একটা বিশ্বাস জন্মালো আমি পদ্মায় বৃষ্টি দেখেছি , সেখানে পদ্মার ছবিটা আমার , বৃষ্টির ছবিটা লেখার । দুয়ে মিলে যে অনুভূতিটা হত , সেটা লেখার যোগ্যতা হয়ে ওঠেনি । আমার অর্ধাঙ্গিনীকে আমি লেখাটা পড়তে দিয়েছিলাম বিয়ের পরপরই, ভয় লাগছিল ওর ভাল লাগবে কিনা । দেখলাম লেখাটা পড়ার পর ও কেমন যেন তন্ময় হয়ে আছে , অনেকক্ষণ পর বলল -- "লেখাটা ভীষন করে টেনে ধরে রাখে , একটা ভাল লাগার বোধ হয় , তারপর অনেক কষ্ট হয় ।" আমি ওর চোখ দেখে বোঝার চেষ্টা করছিলাম , ও কি আমার দেখা ছবিটিই দেখছে নাকি ওর চোখে নতুন কোন ছবি , সে ছবিটা কি আমার চেয়েও বেশি জীবন্ত ?
আমি কবিতার মানুষ না , আমার কবিতা দৌড় তাই ব্লগের পাতা জুড়ে লিপিবদ্ধ কবিতার মাঝেই । শহীদ কাদরীর এই কবিতাটা প্রথম পড়েছিলাম -- প্রথম আলো ব্লগে । আলাদা করে সেসময় তেমন কিছুই ভাবিনি । এবার ভাবতে পারছি অনেক গভীর করে । এই যে এখন যে দেশে আছি , লোকে তাকে বলে স্বপ্নের দেশ । চারপাশটা অনেক রঙিন , পরিচ্ছন্ন । রাতটা ঝলমলে , উড়াল সড়কগুলো একটার উপর আরেকটা উড়ে গেছে আকাশ পর্যন্ত । বাইরে থেকে মনে হবে , সবই হল , স্বপ্নের মতন । কিন্তু মানুষের ভেতরগুলো কত অস্থির , কত অনিশ্চয়তা জীবনকে ঘিরে । কই শান্তির দেখা তো মিলল না ।ঠিক কবিতার কথাগুলোর মত ।
অনেক কৃতজ্ঞতা ..
শুভকামনা , দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন
মেহরাব,
আপনার মন্তব্য এতটাই সুন্দর, এতটাই হৃদয়গ্রাহী, এতটাই মনকাড়া যে আমি নিজেই কিছু বলার মতো যথার্থ ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনার মতো পাঠক পাওয়া যে-কোনো লেখকের জন্যই শ্লাঘার বিষয়, পরম তৃপ্তির বিষয়।
আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া অথবা আমার দেখা বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে গান-কবিতা-গল্প-উপন্যাস-নাটককে রিলেট করি; তাতে ভিন্ন এক ব্যঞ্জনা নিয়ে ওগুলো আমার কাছে ধরা দেয়। আর আপনি আপনার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে রিলেট করেছেন আমার কবিতালাপকে। নিতান্তই শখের বশে লেখা ওই কবিতালাপগুলোকে আপনি নিয়ে গেছেন ভিন্ন এক উচ্চতায়, মর্যাদার আসনে! মনে হচ্ছে, আমার লেখাগুলো স্বার্থক হয়েছে।
বৃষ্টিমুখর দিনরাত্রি নিয়ে আপনার আবেগও আমাকে বিস্মিত করে। কতো লোককে যে ওই লেখা পড়িয়েছেন, এমনকি আপনার সঙ্গীকেও। সত্যিই কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।
অনেককিছু বলতে চেয়েছিলাম, আবেগ সংবরণ করলাম।
আপনাদের জীবন প্রেমময়, মঙ্গলময়, কল্যাণকর হোক।
~ কামাল ভাই
মেহরাবের কমেন্ট টা সকাল বেলা পড়ে মনে হয়েছিল পোস্টের মতো কমেন্ট টাও বান্ধায় রাখার মতো
কবিতার সাথে-কবিতালাপের সাথে আপনার জীবনের নানা ঘটনার কি অদ্ভুত যোগাযোগ আপনি ঘটিয়েছেন!!
মজা করে নয়, একদম সত্যিটাই বলছি, মেহরাব, আপনি অনেক অনেক লিখবেন, এত সংবেদনশীল আপনার মন। মনে পড়ছে বাবার কাছে লেখা আপনার চিঠিটির কথা...... মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো একটি লেখা ছিল সেটি।
একটা অসাধারণ পোষ্ট পড়তে পড়তে অসাধারণ আরেকটা কমেন্ট পড়লাম। বুঝতে পারছি না কমেন্ট পড়ছি না আরেকটা পোষ্ট পড়ছি.।.।.।
"বৃষ্টিমুখর দিন রাত্রিতে পদ্মাকে পেলাম যখন , তখন নিজের সাথে মেলানোর চেষ্টাটা আবার শুরু হল । কিন্তু আমি তো যেতাম শীতে , সেসব শীতে পদ্মায় কখনও বৃষ্টি হয়নি । ধীরে ধীরে ভেতরে একটা বিশ্বাস জন্মালো আমি পদ্মায় বৃষ্টি দেখেছি , সেখানে পদ্মার ছবিটা আমার , বৃষ্টির ছবিটা লেখার । দুয়ে মিলে যে অনুভূতিটা হত , সেটা লেখার যোগ্যতা হয়ে ওঠেনি । আমার অর্ধাঙ্গিনীকে আমি লেখাটা পড়তে দিয়েছিলাম বিয়ের পরপরই, ভয় লাগছিল ওর ভাল লাগবে কিনা । দেখলাম লেখাটা পড়ার পর ও কেমন যেন তন্ময় হয়ে আছে , অনেকক্ষণ পর বলল -- "লেখাটা ভীষন করে টেনে ধরে রাখে , একটা ভাল লাগার বোধ হয় , তারপর অনেক কষ্ট হয় ।" ------- অসাধারণ
আপনার কমেন্টটা পড়ে আমিও একটু তন্ময় হয়ে আছি, সত্যি আপনার লেখার সাবলীলতা ভীষন করে কাছে টেনে ধরে রাখে , একটা ভাল লাগার বোধ রেখে যায় হৃদয়ে।।।.।।।.।।।.।।।.।
ভাল থাকবেন।
উপরের কমেন্টটি মেহেরাব ভাইয়ের জন্য। আড্রেস করতে ভুলে গিয়েছি
অনেকদিন আবৃত্তি সংগঠন নন্দন কাননের সাথে জড়িত ছিলাম, এক সময়ের প্রেম ছিল কবিতা। কবিতার এমন ব্যবচ্ছেদ ব্যাখা অনেক সময় কবিতার নান্দনিক রূপকে ম্লান করে, আমার ধারনা
তিথিডোর পড়ে যারপর নাই অবাক হলাম, কষ্ট পেলাম। বাকিটা জেবীন আর লীনা বলেছে।
সুস্থ হোন তাড়াতাড়ি এ আশা রাখছি যাতে তিথিডোর এর পরের গল্পের মুডটা অন্যরকম হয়
কবিতার ব্যবচ্ছেদে কি নান্দনিক রূপ ব্যাহত হয়? আমার তা মনে হয় না। বরং কবিতা আরো হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে। এমনিতেই যারা কবিতা পড়েন, তাদের কাছে হয়তো এই ব্যবচ্ছেদের কোনো প্রয়োজন নেই, তারা তো এমনিতেই বোঝেন। কিন্তু একটু কবিতাবিমুখ পাঠকদের জন্য এগুলো কাজে দেয়।
আবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছেন? কেন?
---------------
তিথিডোর নিয়ে আপনারা সবাই এত অবাক হলেন কেন, কষ্ট পেলেন কেন বুঝলাম না! কেউ তো খোলাসা করে কিছু বলছেনও না। আগের প্রশ্নটিই আপনাকে করি - আপনি তিথির জায়গায় থাকলে কি করতেন? অনেস্ট উত্তর চাই। না দিতে চাইলে অবশ্য আপত্তি করবো না।
---
অসুস্থতার কারণে তিথিডোর ওরকম হয়েছে, তাতো নয়! সুস্থ হয়ে লিখলেও ওরকমই হতো!
শুধু কবিতা না আরো অনেক কিছু ছেড়ে দিয়ে দেশান্তরী হয়েছি
আমিতো তিথির জায়গায় পড়ি নাই, তাই অন্যেকে নিজেরে দিয়ে জাজ না করাই ভালো
। তবে গল্পকারের হাতে অনেক কিছুই থাকে, সেটা বলছিলাম আমরা। বাস্তবে যেগুলো হয় না গল্পেও যদি সেগুলো না হয় তাহলে আর গল্প কেনো গল্প? 
প্রিয় কবিতা...
দারুণ পোস্ট
ছেলেদের শরীরের খোঁজ রাখাটা ভালো না... তবু জিজ্ঞেস করি, এখন শরীর কেমন?
সুস্থ হয়ে উঠেছি প্রায় নজরুল ভাই। এ কদিন ছুটি কাটালাম। কালকে জয়েন করবো।
আপনার খবর কি?
স্যার এক্ টা কথা বলেন, যারা কবিতা লিখেন, হয়তো প্রতিষ্ঠিত কবি নন, হয়তো কবি ও নন, কিন্তু ভুলেও কি তাদের এক্ টা লেখা ও কবিতা হয় না?
কেন হবে না শরীফ? নিশ্চয়ই হয়। প্রতিটি মানুষই জেনে অথবা না জেনেই কবিতার জন্ম দেন। তবে, ফর্মাল কবিতার একটা স্ট্রাকচার তো থাকে, যেমন থাকে গল্প-উপন্যাস-নাটক-গানের সুনির্দিষ্ট স্ট্রাকচার। এগুলো সবাই মেনে নিয়েছেন। ফর্মালি 'কবিতা' স্বীকৃতির জন্য ওটা মেনে চলতে হয়, এই আর কি!
এটা রেডিমেইট কমেন্ট্ই ছিল
কামাল ভাইকে অনেকদিন দেখি না। ভাই খবরাখবর কি?
মন্তব্য করুন