আমরা বন্ধু ইফতারাড্ডা অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য হাবিজাবি..
ইফতার থিকা আইসাই দিছিলাম ঘুম, উইঠা দেখি গ্রুপে আর ব্লগে ৬ নাম্বার বাসের ভীড়! ইশ, কী সুন্দর!
পিসি বিজি তাই ঠিকমতো কমেন্টাইতে পারতেছিনা। কিছু কথা কইতে ইচ্ছা করতাছে তাই মুফাইল নিয়া লিখতে শুইলাম!
এই পরথম এমন কোন আয়োজনে গেলাম। বাসার সবাই অবাক, এত্ত বড় বড় লেখকদের মাঝে আমি কেমনে গেলাম! আমি নিজেই কিঞ্চিত টাসকি। ফ্রেন্ড আর ফ্যামিলির বাইরে এখনো ঠিকমত কথাই কইতে পারি না এমুন আনসোশ্যাল আমি কিনা দিব্যি আমার প্রিয় ব্লগের একটা আড্ডার ইতিহাসে পার্ট হইয়া গেলাম!
এই ফার্স্ট গেলাম তো তাই বেশি কথা ক ইনাই, শুনছি। নেক্সট টাইম বকবক করা শুরু করুম আর তার পরের বার থিকা সবাইরে জ্বালানি শুরু কইরা দেম!
মোটামুটি সবার সাথেই কথা হৈছে। কয়েকজনের সাথে খালি টাইমিং মিলে নাই।
রনি ভাই, মেসবাহ ভাই আর টুটুল ভাই রে একটা ইস্পিশাল থ্যান্কু না দিলে অন্যায় হৈব, এমন দুর্দান্ত একটা আড্ডার জন্য।
একটু ডরে ডরে আছিলাম, এই ফার্স্ট টাইম যাইতাছি, আল্লাহ জানে কে কেমনে নেয় আমারে! প্রথমে রনি ভাই, টুটুল ভাই আর মেসবাহ ভাই আর পরে জ্যোতি আপুর সাথে কথা বইলা সে চিন্তা আর থাকে নাই! এক বছর ধইরা সবার লেখা পইড়াই একটু একটু চিনছি, আজকে মনে হইল এইটা দুর্দান্ত একটা বিশাল ফ্যামিলি ছাড়া আর কিছু না!
আজকের আড্ডায় জ্যোতি আপু আর আশিক ভাইরে সেরাম ভাল্লাগছে। জ্যোতি আপু মেবি যে কোন আড্ডার নিউক্লিয়াস হইতে পারবো আর আশিক ভাই সারাক্ষন যেমনে সবাইরে দুষ্টামিতে মাতাইয়া রাখে এইটা সত্যিই কঠিন ব্যাপার।
জ্যোতি আপারে প্লাস, আমার এক কথায় এতদিন পর ব্লগে পোস্ট দিয়া দিল। কী ভাল! ফোন নাম্বার নিয়া আসা উচিত ছিল, ডেইলি দুইটা কল দিয়া একটা করে ব্লগ পোস্ট করাইতাম!
মেসবাহ ভাই আর টুটুল ভাইরে মাইনাস! রোদ্দুর, সমুদ্দুর আর ঋহাণরে আনে নাই বলে। আশেপাশে কিছু পিচ্চি কাচ্চা দৌড়াদৌড়ি না করলে পার্টি পুরাপুরি জমে না আসলে।
কণা আপু, রাব্বী ভাই সহ আরো কয়েকজন কে ব্লগে দেখিনাই কখনো। তাদের কাউকেই অবশ্য কম মিশুক মনে হলো না।
রুনা আপা যেমন ভাবছিলাম দেখতে ঠিক তেমন, আপাকে দেখলেই টিচার টিচার লাগে। আর মৌসুম আপু তো পুরাই বাচ্চা বাচ্চা, দেখলে মনে হয় কলেজের ইন্টারে পড়ে!
মাসুম ভাই ব্লগের মত সামনাসামনিও বেশ মজা করে কথা বলেন। মেসবাহ ভাই এই ব্লগের সবচাইতে ইয়ংম্যান,সারাক্ষনই এটা সেটা প্ল্যান করতেছে। কী অদ্ভূত প্রানশক্তি!
আনিকা আপু কে মনে হল শখের ফটোগ্রাফার, ক্যামেরা হাতে ভাল মানাইছে। বিমার সাথে কথা বলে আরাম আছে, প্রানোচ্ছল মানুষ। রনি ভাই আমাদের বিজি বী, নেক্সট টাইম সবাই এক টেবিলে বসা সিস্টেম করতে হবে!
মেহেদি ভাই মৃদুভাষী। ইভান ভাই তো পুরাই নায়ক। আর শুভ ভাইয়ের মঙ্গল পাণ্ডে লুকটা ছিল অসাম!
সাঈদ ভাইয়ের অসুস্হতার কথা জানা ছিল না, অপারেশনের জন্য রইল অজস্র দোয়া ও শুভকামনা।
এখন তাড়াতাড়ি দেভূদার নতুন কিস্তি ছাড়েন!
সবচেয়ে বেশি মিস করছি মীর ভাই আর শান্ত ভাইকে। আর গত বছরখানেক এবি তে ঘুরে তানবীরাপু, সামিয়াপু, ভাস্করদা,জেবীন আপু,শর্মী আপু,প্রিয় আপু আর লাবনী আপুর সাথে চিন পরিচয় হবারও খায়েশ ছিল খুব।
যাই হোক, গত এক বছরে সবার কাছে আপনি আপনি শুনতে শুনতে ত্যাক্ত ব্রাক্ত হয়ে গেছি! আশা করি, এই যন্ত্রনা থেকে এখন মুক্তি পাব!
আর এত্ত সব বড় বড় মানুষজন, সাথে কিছু আমার সাইজের পোলাপাইনের অভাব অনুভব করলাম! ক্যাপ্টেনসে যা সুন্দর সুন্দর কিছু মিনি হুর ছিল, শান্তিমত দেখাই হইল না! আফসুস্ !
বাসার বাইরে ইফতার এতটা ভাল হবে এটা আসলে আশাই করি নাই। ইফতারের আইটেমের কথা আর নাই বললাম, দুষ্টু লুকজন চোখ লাগিয়ে দিলে সমস্যা হয়ে যাপে!
সারাদিনের বৃষ্টিভেজা ইফতারের আগে এবি'র সুসাস্থ কামনা করে মোনাজাত করা উচিত্ ছিল। কিছু কিছু দুধভাত অবশ্য রোযা ছিলেন না, তাদের আর লজ্জা না ই দিলাম!
সামনে 'এবি'র কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা' আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে আমার এই বকরবকর আজ এখানেই বন্ধ করছি।
ভাল থাকুন সবাই, অনেক ভাল।
সবসময়, প্রতিটি দিন - প্রতিটি ক্ষন।
ফজরের নামাজ এখনো শেষ হয় নাই !!!!!!
আপনের কমেন্টের ঘন্টাখানেক পর শেষ হইছে,
তারপর বাকী অংশ দুইবার টাইপ করতে হইল। প্রথমবার ঠিকঠাক পোষ্ট হয় নাই, তাই। এখন ঠিকাছে।
এক ইফতার নিয়ে দেখি এরা তুলকালাম লাগায় দিলো


অনেকদিন পর ব্লগটা জমজমাট দেখে ভাল লাগছে
হ..এই একটা জায়গায় ভীড় দেখলে মন ভাল হইয়া যায়!
লিখা ভ্যালু হইছে...... তয় ফটুক নাই কেন?.... ফটুক চাই......
আমার ক্যামেরা নাই..
দারুন!! কিন্তু আপনি মিয়া এত চুপছাপ কেন?? খাও দাও ফুর্তি করো!! চুপাই থাকলে আমরাও অনেক কিছু মিস করে ফেলি। নেস্ট দিন আবার কথা হইব নে
ফাস্ট টাইম তো, তাই আর কী!
বিষন্নরে দেইখা তো বাউন্ডলে মনে হইলো না বরং চুপচাপ পরিপাটি নম্র ভদ্র একটা ঘরকুনো ছেলেই মনে হইলো
বাউন্ডুলে হতে চাই,
পারিনা বলেই বিষণ্ণ!
সবার সামনে কী আর দুষ্টুমি চলে!
যাদের আশেপাশে থেকে দিন কাটে,
বান্দরামিতে তাদের হাড় ভাজাভাজা অবস্থা!
ফার্স্ট টাইম ভাল অভিজ্ঞতা, দিন দিন অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হোক আপনার।
কমেন্টস পড়ে কিন্তু আপনাকে পিচ্ছি মনে হয়নি কখনো !
ধন্যবাদ।
বয়স বাড়লেই যে পিচ্চি থাকা যাবে না,
এমন কিন্তু কোন কথা নেই।
আর নানান অভিজ্ঞতার পরশে মন ও মানসিকতার পরিপক্কতা অর্জনই কিন্তু বেড়ে উঠা,
এমতাবস্থায় পিচ্চি থাকলেই বা কি!
মিস করলাম।
বেটার লাক নেক্সট টাইম।
অনেকদিন পর আসলেন,
ভাল আছেন তো?
দুর, এরাম জায়গায় ইফতার খায় মাইনসে !
বিষন্নতো দেখি আপনে না, 'তুমি'...
লেখা ভালো পাইলাম। থ্যাংকু
থ্যান্কস, মেসবাহ ভাই!
নিওয়ে,
বিষণ্ণ তো বিশেষন।
নাম হিসেবে বাউন্ডুলে শুনতেই বেশি ভাল লাগে!
ব্যাপক লিখলা। ইয়ে মানে গুণগাণ গাইলা তো তাই আরো বেশী ভালো লাগলো।তুমি ছেলেটা অনেক সুইট।
অনেকগুলা থ্যাঙ্কুস, জ্যোতিপু..
চমৎকার লেখা হয়েছে বর্ণ! জয়ীতা আপু, আমার আর আপনার লেখার মাধ্যমে ইফতার পার্টির পুরো আমেজ টাই ব্লগে চলে আসছে লাগতেসে!
আইচ্ছা, আমার লেখায় কি আসলেই আমারে বুইড়া মনে হয়?
আবার আপনি কইরা কয়! :@
ঠিক লেখার জন্য না।
আপনি লিখেন কম, লিখলেও একটু স্বতন্ত্র বিষয় নিয়ে। কমেন্টও করেন না খুব বেশি।সবকিছু মিলিয়ে ব্লগে আপনার ক্যারেকটারটায় একটু ভারিক্কী ভাব চলে আসছে। এটাই বলতে চাইছিলাম।
পুলাটা সারাটা সময় দূরে দুরেই কাটায়া দিলো
আপনে আইলেন এত পরে,
আর বইছেন হেই দুরে!
আমি তো কথা কওনের ফ্লোরই পাইলাম না..
আপু দের সাথে বসে ছিলো , তাই আর উঠতে ইচ্ছা হয় নাই পোলাডার।
ওর কুন দুষ নাই ।
হ।
সেটাই।পোলা মানুষ, আর কি করাম!
ব্র্যাভো
ক্যান ভাই?!
এত সকালে বকরবকর বন্ধ করলে হবে? লেখা ভালো হইসে।
সকাল বইলাই তো ঘুম দিতে হৈল।
থ্যান্কু,সামিয়াপু।
আপনের খবর কি?আছেন কেমন?
আইলেন না ক্যান?লেখা দেন না ক্যান?
চমতকার একটা লেখা । কিন্তু কারো লেখাতেও ছবি নেই, এইটা ঠিক না
যান, নেক্সট টাইম আপনেই আমাগো ফটোগ্রাফার! প্লাস ফটোব্লগার!
থ্যান্কু, আপু।
মন্তব্য করুন