সঙ্গীত; সুধা স্বর্গসম - ১
প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাওয়ার কথা শোনা যায় অনেক সময়।
আমার কেস আলাদা, প্রথম শোনায় ভালোবেসে ফেলেছি!
মানে কণ্ঠ শুনে, বলা উচিৎ গান শুনে!!
আরেকটু ভেঙ্গে বলি,
আমার ভাইয়াও ব্লগার, সচলায়তনে লেখে কম; পড়ে বেশি।
ওর কাছে ব্লগার অনার্য সঙ্গীত এর একটা লেখায় আরেকজন ব্লগারের নিজের কথা সুরে গাওয়া একটা গান শুনেই এই অবস্থা! লেখিকারই একটা লেখায় জানতে পারলাম সামনে নাকি তার গানের এ্যালবাম আসছে বাজারে। এখন মনে হচ্ছে রাতের ঘুম আসলেই হারাম হতে বসেছে, অপেক্ষায়!
যাই হোক, গানের কথায় আসি।
কিছু গান আছে, একবার শোনা মাত্রই তাতে ডুবে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। শোনা শেষ হওয়ার আগেই মনে হয় আবারও শুনতে হবে। যে যেখানেই থাকিনা কেন, গান তার সাথে করে যেন অন্য কোথাও ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আশেপাশের সবকিছুই বেশ খানিকটা অর্থহীন বোধ হয় নিমিষেই। নিজের যত কিছু চিন্তা ভাবনা আছে তা সাময়িক ভাবে পথ হারিয়ে ফেলে। গানের মাঝে ঝিম মেরে বসে থাকতে থাকতে একটা ঘোরের ভেতর চলে যেতে হয়, সেই ঘোরও সহসা কাটে না!
এই গানটা ঠিক এরকম। চমৎকার সুরে বিষাদ মাখা অদ্ভুত মায়াভরা একটা গান। অভিমান বা অনুযোগের ছোঁয়া যতটা না আছে, তার চেয়ে ঢের বেশি টের পাওয়া যায় ভালোবাসা টুকুন। যদি কখনও বেহেশতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়; এবং সেখানে যদি গান শোনার ব্যাবস্থা থাকে, হুরপরীরা বসে বসে মনে হয় এমন কোন গানই শোনাবে!
এখনও পর্যন্ত জীবনে গান খুব একটা কম শোনা হয় নি, আজ মনে হচ্ছে এর চাইতে ভাল কিছু খুব বেশি শুনি নি। আমার ছোট্ট জীবনে শোনা সবচাইতে সুন্দর অসাধারনতম গানগুলোর অন্যতম এই গানটা না শুনলে কিছুই বলার নেই, তবে এই জিনিস মিস করার মত দুর্ভাগ্য যেন কারও না হয়।
গানের কথাগুলো এরকম -
ও নিঠুর বাঁশিওয়ালা
বাঁশি যদি বাজাবে তো
দূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনও নিঠুর বাঁশিওয়ালা
বাঁশি যদি বাজাবে তো
দূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনআমারও তো মন আছে
মনে সুখ দুঃখ আছে
আমারও তো মন আছে
মনে সুখ দুঃখ আছে
দূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনকাছে এসে বাজাও তবে
গোধূলি যে রাত্রি হবে
কাছে এসে বাজাও তবে
গোধূলি যে রাত্রি হবেজ্বলবে শুধু মোমের বাতি
জ্বলবে শুধু মোমের বাতিদূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনও নিঠুর বাঁশিওয়ালা
বাঁশি যদি বাজাবে তো
দূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনতারার চোখে চাইবে আকাশ
সুরের দোলায় দুলবে বাতাস
মনহরিণী কান পেতে ঐ
টিপ জোনাকির গান যে শোনেদূরে সরে থাকবে না কেউ
ছুঁয়ে দেবে তীরের সে ঢেউদূরে সরে থাকবে না কেউ
ছুঁয়ে দেবে তীরের সে ঢেউসহি নিতে আনবো বাহার
সহি নিতে আনবো বাহারদূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেনও নিঠুর বাঁশিওয়ালা
বাঁশি যদি বাজাবে তো
দূরে দূরে কেন
দূরে দূরে কেন
দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গীতায়োজনে এই গানটির সর্বস্বত্ব কথা, সুর ও কণ্ঠে শিল্পী মণিকা রশিদ কর্তৃক সংরক্ষিত। গানটি শুনে নিতে পারেন এখানে।
আমার প্রথম শোনায় ভালোবেসে ফেলা শিল্পীর জন্য রইল অসংখ্য শুভকামনা!
ভাল থাকুন সবাই, অনেক ভাল। সবসময়। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ। আনন্দম!
শুভ কামনা মনি
ইনিই কি আপনার আপনাকে চেনানো ফ্রেন্ড?
গানের কথাগুলো সুন্দর। তোমার লেথাটাও । গানটা এথন শুনব।
থ্যাঙ্কুস!
গান ভাল্লাগছে?
্বিস্মিত, অভিভূত এবং প্রবলভাবে উৎসাহিত! আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।
কি বলব বুঝতে পারতেছি না। কারও গান নিয়ে লিখে স্বয়ং তারই প্রতিক্রিয়া!! আমি নিজেই বিস্মিত ও অভিভূত। আমার ব্লগে এসে পড়ে যাওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, অনেক ভাল। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ।
কাহিনী কি?!
সাবাশ। সংগীত সুধা পান করতে থাকেন ভালো ভাবে!
আপনের ভাল্লাগেনাই?
ভাই এত্ত সুন্দর করে কেম্নে লেখেন! ভাল্লাগসে!
গানটা শুনি এইবার
থ্যাঙ্কুস!
গান শুনছেন? কেমন লাগছে?
ভালো
আপ্নেরে এফবিতে দেখতেছিনা! কাহিনী কি?
আবার খোজ লাগান!
ঠিকাছে। দেখুম নে। ভাল থাকেন।
ভালই লাগছে।
ভাই আজকাল এত কম আসেন কেন? ভাল আছেন তো?
অফিসে বসে শুনতে পারছি না, বাসায় গিয়ে শুনবো। লেখা ভাল হয়েছে, এভাবেই চলুক
ভাল থাকুন।
কেমন লাগলো শুনতে, জানাবেন।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
মন্তব্য করুন