বুকপকেটে জোনাকি নিয়ে একলা চলা একেকজনা..এবং 'বারফি'!
রুশদেশে অনেক কাল আগে প্রচলিত একটা মজার কথা আছে। চলচিত্র নিয়ে।
কথাটা অনেকটা এমন যে -
'চলচিত্র তিন প্রকারের হয়ে থাকে।
ভাল চলচিত্র,
বাজে চলচিত্র আর
তারপর আসে ভারতীয় চলচিত্র'!
অনেকেই হয়তো এই কথা শুনে চোখ পাকিয়ে আসবে মারতে! তবে কথাটা মজা করে বলা হলেও কেন জানি হেসে উড়িয়ে দিতে পারি না।
মানছি, টাইমপাসের জন্য অনেকের জীবনেরই একটি উত্কৃষ্ট উপাদান হল এই ভারতীয় চলচিত্র। তবুও একটু ভেবে দেখলে অবাকই হতে হয়।
চলচিত্র বোদ্ধা তো নই,
তবুও ছেলেবেলা থেকেই মোটামুটি নিয়মিত ভাল ভাল মুভি দেখে আসার অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু বুঝি তা হল -
ভাল মুভিগুলাকে যথাযত মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে অস্কার আর কান-এ।
সত্যজিত্ রায় এর কথা আলাদা, উনি ভারতীয় যতটা তারচাইতেও বেশি বৈশ্বিক চলচিত্র নির্মাঅ ছিলেন। এজন্যই হয়তো তাকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট দিতে ভুল করেনি অস্কার কর্তৃপক্ষ।
হাটি হাটি পা পা করে ভারতীয় চলচিত্রের বয়স কিন্তু কম হয়নি।
এতটা পথ পার হয়ে আসার পরও সত্যিকার অর্থে কতটা পথ এগিয়েছে ভারতীয় চলচিত্র? এবং এগিয়ে যদি যেয়েও থাকে তা কি মানের বিচারে উপরের দিকে নাকি নিচের দিকে?এত্ত এতদিনে বিশ্ব চলচিত্রের ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়ার মত কয়টা চলচিত্র সৃষ্টি হয়েছে ভারতে?!
এইসব প্রশ্নের কোন জবাব নেই বলেই গত কয়েকবছর হল ওদের চলচিত্র দেখাই হয় না খুব একটা। 'মাস্ট ওয়াচ' লিস্টে 'দেখা'র চাইতে 'না দেখা' মুভির সংখ্যা এখনও অনেক অনেক বেশি। 'টাইমপাস' মুভি দেখে সময় নষ্ট করার মত সময় বা অসময় কোনটাই আমার অন্তত নেই!
যাই হোক,
এতকিছুর পরও মাঝে মাঝে হাজারো ভারতীয় বাজারী চলচিত্রের ভীড়ে কিছু 'দেখার যোগ্য' চলচিত্র -
কিংবা বলা ভাল কিছু 'এক্সট্রাঅর্ডিনারী পারফরমেন্স' দেখা যায়।
বলা যায় 'ব্ল্যাক' এর রাণী মূখার্জীর কথা।
'গুরু' র অভিষেক আর ঐশ্বরিয়া।
'লাগান', 'থ্রি ইডিয়টস' এর আমির খান।
'স্বদেশ' এর শাহরুখ,
'গুজারিশ' এর ঋতিক রোশান
অথবা 'তারে জামিন পার' এর দারশিল সাফারির কথা।
কিংবা 'রকস্টার' এর রনবীর কাপুর।
এসব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, এর সবই সবার জানা। এগুলো নিকষ কালো অন্ধকারেও কিছু উজ্বল নক্ষত্র। অবিস্মরনীয় কিছু চলচিত্র, মূহুর্ত।
এত্ত কিছু, এত সব কথকতা। সব কিছু নিয়ে নাড়া দিতে বাধ্য করল অনুরাগ বসু'র 'বারফি!'!
এ মুভি নিয়ে বলতে গিয়ে কোথা থেকে যে শুরু করব আর কিভাবে যে তা শেষ করব তাই ভেবে পাচ্ছি না।
শহর দার্জিলিং। জন্মের পরই মা কে হারায় মারফি। সে কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। কেউ জিগেষ করলে ঠোটে জড়িয়ে নিজের নাম বলতে পারে, বারফি!
কথা বলতে পারে না বা কানে শোনে না, এসবে পাত্তা দিতে তার বয়েই গেছে।
দিনরাতে নানা কাজে সবার মন ভাল করে চলে নিজে ভাল থাকার নামই যেন বারফি।
ঘটনার শুরু ৭২-এ। বারফির ছোট্ট শহর দার্জিলিং-এ ক'দিন পরেই বিয়ের পিড়িতে বসার নোটিশ নিয়ে মা বাবার সাথে বেড়াতে আসে শ্রুতি। বারফি তাকে দেখেই নিজেকে হারিয়ে বসে তার ভালোবাসায়। নানা আচরনে তা জানাতেও দ্বিধাবোধ করে না। শ্রুতির বিয়ে ঠিক হয়ে আছে জেনে, কাছে থাকার জন্য সান্তনা পুরস্কার বন্ধুত্বেই নিজেকে মানিয়ে নেয়। কয়েকদিনের নানা মজার কাজে শ্রুতিও ভালোবেসে ফেলে বারফিকে। কিন্তু মা এর পরামর্শে নিশ্চিন্ত জীবনের পথই বেছে নেয়।
চলে যায় শ্রুতি, বিয়ে করে কলকাতায়। বারফি রয়ে যায় সেই একই ভালোবাসায়।
তার কিছুদিন পর বারফির জীবনে আসে অটিজমে আক্রান্ত তরুণী ঝিলমিল, বারফির ছেলেবেলার চেনা মুখ।
এরই মাঝে বারফির বাবা মারা যায়, পর্যাপ্ত টাকার অভাবে অপারেশন করাতে না পারায়। বারফি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যখন টাকা নিয়ে আসে ততক্ষনে আর সময় বাকি নেই।
মা বাবার কাছে অবহেলিত ঝিলমিল তার একমাত্র পরম আশ্রয় নানা মারা যাওয়ার পর নির্ভরতার জায়গা খুঁজে পায় বারফির সানিধ্যে। নানা ঘটনার ঘনঘটায় বাড়ি থেকে পালায় ঝিলমিল, সঙ্গী হতে বাধ্য হয় বারফি। পথে পথে চলতে চলতে ঝিলমিলেরও মন জয় করে নেয় বারফি।
ছোটখাট এটা সেটা কাজ করে চলে ছোট্ট সংসার। কলকাতার ব্যাস্ত জীবনে হঠাত্ করেই ফিরে আসে শ্রুতি। বারফি শ্রুতির ভালোবাসা দেখে ইচ্ছে করেই অভিমানে হারিয়ে যায় ঝিলমিল।
এভাবেই কেটে যায় ৬ বছর। বারফির এক জীবন মরন ঝামেলায় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শ্রুতি। ফিরে পায় তার হারানো ভালোবাসা, একদম নিজের মত করে। আর তখনি সে বুঝতে পারে বারফির হৃদয় জুড়ে এখন কেবলি ঝিলমিল। এবং একটা সময়ে এসে নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে শ্রুতি ঝিলমিলের কাছেই বুঝিয়ে দেয় বারফির ভালোবাসা। একসাথে বুড়ো হয়ে মারা যায় বারফি আর ঝিলমিল।
একলা রয়ে যায় শ্রুতি, সাথে তার উপলদ্ধি -
'ভালোবাসলে নিশ্চিন্ত জীবন আর সুখের নিশ্চয়তা নিয়ে ভাবতে নেই। ভালোবাসলে কেবল ভালোই বাসতে হয়, সুখ আপনাতেই এসে ধরা দেয়।'
আড়াই ঘন্টা লম্বা মুভিতে তেমন কোন ক্ষুত চোখে পড়ল না, এ নিয়ারলী পারফেক্ট মাস্টারপিস।
একই সাথে একটু পর পর মজার সব ঘটনা আর অসংখ্য মর্মস্পর্শী মূহর্তের যুগলবন্দি নিঃসন্দেহে এই মুভির আবেদন অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
শ্রুতি চরিত্রে নবাগতা ইলিয়েনা ডি ক্রুজ এর পুরো মুভি জুড়ে পারফেক্ট এক্সপ্রেসন দেখার মত একটা ব্যাপার। এতটা সাবলীল অভিনয় আশাই করা হয় না।
বারফি চরিত্রে রনবীর কাপুর এতটাই ভাল ছিল যে পুরো মুভিতে একবারও মনে হয় নি সে কথা বলতে পারে। সাইন ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর চার্লি চ্যাপলিনকে মনে করিয়ে দেওয়া মূকাভিনয় সাথে ইজুয়াল রনবীর টাচ। সত্যিই চমকপ্রদ!
আর রইল ঝিলমিল, প্রিয়াংকা চোপড়া এট হার ভেরি ভেরি বেস্ট। খুব ছোট ছোট একেকটা বিষয় - হাসি কান্না রাগ অভিমান, এতটা চমত্কার ভাবে ফুটে উঠেছে। অকল্পনীয়। তার চালচলনে ইনোসেন্স অফ এ চাইল্ড যেভাবে ফিল করা যায় তা আগে কখনও কোন মুভিতে দেখিনি।
রনবীর আর প্রিয়াংকা এই মুভির জন্য জাতিয় পুরস্কার না পেলে তা অন্যায় হবে। আর সিনেমাটোগ্রাফি অরদি অফ অস্কার এন্ড কান!
একটা কথা কোথায় যেন শুনেছিলাম -
'মানুষ যা বলে;
তার চাইতে অনেক বেশি কথা বলে,
যখন সে কিছুই না বলে'!
দুর! কিস্যু ভাল্লাগে না।
দার্জিলিং যাইবার মন চায়!
খেলনা ট্রেনে ঘুরে ফিরে
সেরাম একখান পেম করতে মন চায়। কি আছে জীপনে?!
বিষন্নদা ... তোমার লিখা পড়লাম.. সকাল থেকে মনটা খুব খারাপ ছিল... মনটা ভালা হইয়া গেল ... আহো আমরা দুজনে মিইল্লা
খাই , জীবনটা আর ভালোবাসার মইধ্যে ফারাক কই জানো " এই যে তুমি আর আমি বইসা যে খাইলাম এই কোকের মতো .... কোকের বোতলটা যখন খুলবা তখন ফুস্ কইরা একটা শব্দ হয় সেইটা প্রেম বা ভালোবাসা যাই কও ওইটা.. আর পানিটা হইল নিবারন পানি ...গিলবা আর ভুলবা ...... দাদারে এই জামানায় প্রেম কইরা শান্তি নাই ।
(
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন এসেই আপনি যেভাবে সবাইকে আপন করে নিচ্ছেন এবং প্রায় সবার পোস্টে আপনার উপস্থিতি দেখে খুব ভাল লাগছে। এমনই থাকুন, ভাল থাকুন।
পাগলা ভাই, ভারতীয় সিনেমা আর বলিউডকে মনেহয় এক করে ফেললি।
বলিউডের মান বিচার বাদ দিলে, ভারত থেকে ভাল সিনেমা প্রায়ই বের হয়। সত্যজিত-মৃনাল-ঋতিক ট্রিনিটিকে নাহয় ধরলাম না, কিন্তু অপর্না সেনের পরমা, ১৫ পার্ক এভিনিউ, বা মি এন্ড মিসেস আইয়ার অবশ্যই বিশ্বের যেকোন ভাষার ছবির সাথে তুলনা দেয়ার মত। দক্ষিনের মনিরত্নম, গিরীশ কানরাড, গিরীশ কাসারাভাল্লির সিনেমাও বেশ ভাল। এছাড়া, কমার্শিয়াল বলিউডের পেটের মধ্যে বসে অসাধারন সব সিনেমা বানিয়ে বসে আছেন সমকালীন পরিচালক বিশাল ভারদ্বাজ। তার শেক্সপীয়ারের এডাপ্টেশনগুলো দুর্দান্ত! --ওম কারা, এবং মাকবুল। বারফি দেখতে বসেছিলাম, কিছুক্ষন পরে ধৈর্য হারিয়েছি। তোর লেখা পড়ে ভাবছি আরেকবার বসবো। তোর জন্য একটা দক্ষিনী শর্টফিল্মের লিঙ্ক দিলাম। সময় পেলে দেখিস।
লেখাটা হয়তো আরও লম্বা হতো কিন্তু আমার মোবাইল থেকে এর চাইতে বড় কিছু এবি তে পোস্ট করা যায় না। তাই কিছু বিষয় আরেকটু ভেঙে লেখার ইচ্ছে থাকলেও লেখা হয়ে উঠেনি।
আমি মূলত মেইনস্ট্রিম ইন্ডিয়ান মুভি নিয়েই বলছিলাম। বলিউড বলতে যা বোঝায় আর কি।
ভারতীয় বাংলা মুভি কে যদি এই হিসাবে আনি তাহলেও হতাশাটা বরং আরও বৃদ্ধি পায়। সত্যজিতের সাথে কারও ই তুলনা করাটা বোকামি। এটা বাদ দিলেও সেই সাদাকালো সময়ে ভারতীয় বাংলা চলচিত্র গুনে মানে যা ছিল, কালের বিবর্তনে কারিগরি অনেক উন্নয়ন হলেও এখন সেই রকম মানের অভিনয়ও কদাপি চোখে পড়ে না।
দক্ষিণের মুভিগুলোর লজিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমার কাছে হাস্যকর লাগে।
আর তুমি যা যা বললে কিছু মুভি নিয়ে তার সবই মানলাম
কিন্তু ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই কখনই উদাহরন হতে পারে না। তাই না?
বেশিরভাগ লোকেই তাই করে। বারফি আরো তিনটা হিনদী সিনেমার মিকসড এনড ম্যাচ। আমার কাছে অসাধারণ কিছু লাগে নাই
শর্মি আপুকে দেওয়া আমার উত্তরটা আরেকবার পড়লে খুশি হব।
মুভি তিনটার নাম কি?
আমার এখানে এখনও ইয়ুটিউব কাজ করে না!
বরফির গান গুলো শ্রুতি মধুর। কাল দেখবো পিসিতে আছে। অনুরাগ বসুর ডিরেকশন প্রিয়াংকা রনবীর ইলিয়েনার অভিনয় ভালো। কিন্তু বসু বাবু সেই আগের মতোই ডজন খানেক হলিউড- ইউরোপের সিনেমার অনুপ্রেরনায় পীড়িত।
হু..দেইখা জানাইয়েন কেমন লাগলো।
দেখুম দেখুম করে দেখা হচ্ছিলো না। পুরা কাহিনী কইয়া দেখার ইচ্ছাটা আরো মিটায় দিলা। এই সিনেমাটা বোধহয় এবার অস্কারে যাচ্ছে ভারত থেকে।
হুম, এটাই এবার অস্কারে গেছে। কতদূর এগোয় সেটাই দেখার বিষয়।
বলছি অনেক কিছু আবার অনেক কিছুই বলি নাই, দেইখা ফেলান।
শুধুমাত্র এই সিনেমাটোগ্রাফি আর রনবীর-প্রিয়াঙ্কা-ইলিয়ানার এক্সপ্রেশন গুলির জন্যই এই মুভিটা কয়েকবার দেইখা ফেলা যায়।
কাল দেখে ফেলেছি। কী বলবো? আমি এককথায় মুগ্ধ।।
আর নয়া নয়া বিয়া করছি তা না হলে ইলিয়েনা ডি ক্রুজরে নিয়া একটা কথা কইতাম।
আরে, বইলা ফেলান! কাউরে কমু না!
দেখসি তবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে। মেজাজ খারাপ ছিল বলে হয়ত বুঝি নাই অসাধারণ কি না
কয়েকমাস পরে ভাল মুডে আবার দেইখো, সেরাম লাগবো!
সিনেমা দেখছিলাম আর তুমার পোষ্টের বয়ান মিলাচ্ছিলাম। ভালো সিনেমা তার চেয়েও ভালো তোমার পোষ্ট। সিনেমাটোগ্রাফী আর রনবীরের অভিনয় সব মিলিয়ে সুপার হিট!
সিনেমাটোগ্রাফী টা অসাধারণ।
লাইটের কাজ আর ফ্রেমিং ও দুর্দান্ত হইছে।
বরফিটা ভালোই বানাইছে।
হ! মজা আছে!
লেখা পইড়া "বরফি" দেখবার আগ্রহ জাগ্রত হইল, ছোটভাই এই জন্য তোমারে
......ছুটির দিনে "বরফি" দেখার একটা অপচেষ্টা চালাইতে হইবে... 
তোমার লেখাটা ভাল্লাগছে পিচ্চি। বরফি দারুণ লাগলো।
কাল রাতেই দেখলাম।
আর যা যা মন্চায় এখনই করার সময়। এত্ত ভেবো না।
থ্যাঙ্কুস, জ্যোতিপু!
বরফি সিনেমাটা আসলেই চমৎকার।। আমি একাধিকবার দেখেছি।
শ্যাম বেনেগাল, মীরা নায়ার, রিশিকেষ মূখারজী, গুলজার, গিরিশ কারনাড, দীপা মেহতা, বাসু চ্যাটারজী এদের সিনেমা দেখে নিও।
আমি ব্যাকতিগতভাবে সত্যজিতের চেয়েও শ্যাম বেনেগালের বিরাট ফ্যান
ঠিকাসে!
বাংলা ভাষায় সত্যজিতের পথের পাঁচালীর চাইতে ভাল কোন চলচিত্র হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না এবং করতে চাইওনা!
আমি বোধহয় তখন ফাইভ সিকসে পড়ি, আমার ছোটবেলার ভালবাসা একটা শেয়ার করলাম
http://www.imdb.com/title/tt0085776/
আজকে অনেক খুঁজেও পাইলাম না।
নেক্সট টাইম দেশে আসলে আমারে গিফট কইরো নে!
দাদা শুধু মনে করিয়ে দেয় বললেই কি হবে? রীতিমত সিন চুরি করেছে ১০টা সিনেমা থেকে । একটু দেখবেন ভিডিও লিঙ্কটা।
হিন্দিতে একেবারে মৌলিক কোন সিনেমার নাম বলতে পারবেন কি??
মন্তব্য করুন