বিষাক্ত মানুষের মৃত্যুতে মোদের দু-ফোঁটা অশ্রুপাত
হে মুমূর্ষু,
তব দখিন বাতায়নে আজি সমীরণের মৃদু সঞ্চালন। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, হোক এ ঘোর বরষা, তথাপি তুমি বসন্ত বিলাপে মত্ত। সর্বাঙ্গে টারমারিক মাখিয়া সর্বদন্ত বিকশিত রাখিয়াছ তুমি। আসন্ন ফুলশয্যার সুখস্বপ্নে তুমি মগ্ন।
হে বেকুব,
তুমি জানো না কোন ফাঁদে সাধিয়া পদার্পণ করিতেছ। আজিকার এই মৃদু সমীরণ অচিরেই রুদ্র কালবৈশাখী হইয়া ফিরিবে তব জীবনে। আজিকার বরষা তব লোচনে করিয়া লইবে স্থায়ী নিবাস। গোপন অভিমানে তব দন্ত মোবারক একে একে ঝরিয়া যাইবে বৃদ্ধ মুখগহ্বর হইতে, তবু বিকশিত হইবে না আর।
হে সারথী,
মনে পড়িয়া যায় সেই সকল সোনালী অতীতের সুখ স্মৃতি। পদ্মার কচি কচি জাটকার ঝাঁকের ন্যায় অান্তর্জালের নদীতে ছিল মোদের যৌথ সন্তরণ। মনে পড়িয়া যায় সেই সব ছাগু খেদানো দিনগুলি, কবিতা-গানের মহোৎসব। মনে পড়ে শ্রদ্ধেয় নুরে আলম ভাইয়ের ব্লগে এক যোগে ব্যান হইবার বেদনা। সুখে-দুঃখে মোরা ছিলাম পাশাপাশি। কখনো ভাবি নাই তুমি এইরূপ মরিবার পূর্বেই মৃত হইবে। আজিকার এই বিদায় বেলায় মম হৃদয়ে মুহুর্মুহু বেদনার যে বিউগল বাজিতেছে তুমি পটকার তোপধ্বনির তাহাকে বারংবার ম্লান করিতেছ। তবুও আহ্বান ... ওরে ফিরে আয়।
হে বেঈমান,
জানি মোদের এই আহ্বানে তুমি সাড়া দিবে না। আমাদের সকল আকুতি উপেক্ষা করিয়া তুমি নিজেকে মোহজালে বাঁধিবে, যেভাবে বাঁধিয়াছিল তোমার পিতা ... পিতামহ .... প্রপিতামহ কিংবা তাহার পিতা নিজেকে। দিন সকল ক্ষেত্রে বদলায় না। তবুও হে কামিনে, জানিয়া রাখিও আমাদের এই অশ্রু-জলের মূল্য একদিন তোমাকে পরিশোধ করিতে হইবেই। আমরা যখন দল বাঁধিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়াইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলিব সেই ক্ষণে তুমি স্বীয় স্ত্রীর আঁচলে অতি সংগোপনে অশ্রু মুছিবে। আমাদের স্বাধীনতা তব হৃদে হিংসার বান ডাকিবেই ডাকিবে।
হে মৃত সৈনিক,
তব জীবনের এই শেষ শুভক্ষণটিকে কথার ভারে আর ভারাক্রান্ত করিব না। পিঞ্জর খুলিয়া দিয়াছি, যাহা কিছু কথা ছিল ভুলিয়া গিয়াছি, যা রে যাবি যদি যা। তবুও হৃদয়ে বারংবার বাজিতেছে সেই আমর কবি বাণী ..... যেতে নাহি দিব হায় তবু চলে যায় ......
পরিশেষে নিরাশার বালুচরে তুমি সুখ স্বর্গ রচনা করিতে সক্ষম হও এই দুরাশা ব্যক্ত করিয়া রচনা শেষ করিতেছি।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমিন
এই পোস্ট কপি কইরা রাখলাম। সময় মতো তুমার বিয়ার পর সেইটা পেস্ট কৈরা দিমুনে
লেখা রসালো হয়েছে
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।
লাইক করলাম।
আঙ্গুর ফল টক মনে হইতাছে। যাই হোক, আমরা সবাই লেখা স্ক্রিনশট+কপি কইরা রাখলাম। বলা তো যায় না, আশু কাজে লাগতে পারে
আল্লাহ মৃতের আত্মার প্রতি শান্তি নাজিল করুক, আরো অনেক মৃত্যূপথযাত্রীদের রাস্তা প্রশস্ত করুক।
হাসতে হাসতে মারা যাইতেছি ... সেইরকম হইছে ...

এই বছরেই পোষ্টদাতার জন্যেই এমন একটা মানপত্র রচনা করার প্রয়োজন পড়তে পারে।
লেখক লিখছেন আর নিজের কথা ভাবছেন কবে তাকে উদ্দেশ্য করিয়া আরেকজন লখিবে এইরুপ।
তাও বলি ইন্নালিল্লাহে ....................................................রাজেউন
দেশে আরেকজন উদরাজী বা রায়হান ভাইয়ের সংখ্যা বাড়লো...
মম সমবেদনা হে মূর্খ স্ত্রৈণ মানব... (বিমা)
হা হা
হে রমজান
তব মানপত্র পড়িয়া পড়িয়া মোর মনে আজিকে বারে বারে একটি কথাই মনে পড়িতেছে -
'মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যামসমান'
হে শকুন
আজিকে সন্ধ্যা বসিয়া বসিয়া চিন্তা পড়িলাম , তবে কি বিলাত দেশেতে কচু বৃক্ষ নাই।
হে শকুন , তবে কি বিলাত দেশেতে গামছাও নাই !
হে শৃগাল
দ্রাক্ষা ফল এর নাগাল বহু চেষ্টা তদ্বির ঝাপাঝাপি করিয়াও পাওয়া গেলো না বলিয়া এইরূপে হাল ছাড়িয়া দিতে আছে !
এ তো 'সাধনার মহাষৌধ' থুক্কু সাধনার ফল
পরিশেষে যাইবার কালে কবির আরেক অমোঘ বাণী আজিকে স্মরন করিয়া দিতে চাইতাছি -
হে বোকা, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর। সাধনা ..... সবই সাধনা
বিমা, আরেকবার মনে করাইয়া দেই। বাসর রাইতে ২ টা খাঁটি সিলেটি চিকন বেতের কথা ভুইলো না। আর খেয়াল রাইখো, সেই বেত কার হাতে থাকে। তোমার নাকী তোমার বৌয়ের ??
বেশ মজা পাইলাম আপনের কমেন্ট পৈড়া ।
ইয়াযাদ ভাইয়ের কমেন্ট সেইরকম মজাদার হইছে। এরম মজার কমেন্ট এক লাখে এক দেড়টা পাওয়া যায়।
Bima vaike Ovinondon.... Apnare shomobedona.....
গ্রেট! বিমার উত্তরটাও নেহাত মন্দ না
এর আগে মানপত্র করসিলা কার জন্যে জানি?...। তবে এটার ফ্লেভার আলাদাই... হে কামিনে!! ।।আহা।।
রমজানের লেখা তো বরাবরই অতি সুস্বাদু। কিন্তু পুলাটার কপালে শিকে ছিড়তাছেনা ক্যান আল্লামালুম
স্বাগতম পরকালে!!!
পুরাই গড়াগড়ি পোস্ট!
বিমা ভাই এর কমেন্ট ও!
কয়েকবার পড়ে গেছি।হাসতে ইচ্ছা করলেই এই পোস্টে চলে আসবো।
আঙ্গুর ফল টক!
এইটা আরেকটা মানু ক্লাসিক হৈছে।
এর চে টসটসে শোকগাঁথা আর হইতে পারেনা। মানূ ওরফে রবি ঠাকুর,তুমারে পেন্নাম!!!

হাসতে হাসতে শেষ। কাইল পরীক্ষা, তাও লগিন করতে বাধ্য হইলাম পোষ্ট পইড়া। বিমা ভাইয়ের জবাব আর মেসবাহ ভাইয়ের কমেন্ট সেরাম।
মানুষের এমন আক্ষরিক মৃত্যুতে অশ্রু বিসর্জন করতে উদগ্রীব সকলে।
( হাসতে হাসতে চোখের পানি চলে এসেছে)
ওই পোলা বদের হাড্ডি! বিয়ে করার পরেই গানের ট্র্যাঙ্কে তালা ঝুলাইছে!
ভালো লাগে যখন দেখি ভাল আছো সবাই
যদি পারতাম................. !!!
মন্তব্য করুন