আবজাব
মানব জীবনের সব চাইতে বড় ট্রাজেডি হইতেছে, এইখানে নুন আর পান্তার কম্বিনেশন কিছুতেই হয় না। যদি প্রেমিকা থাকে তো চাকরী নাই। আবার চাকরী হইতে হইতে দেখা যাইবে প্রেমিকা হাওয়া। বাড়ী থাকলে বিছানা নাই, বিছানা থাকলেও দেখা যাইবে সেইটা সিঙ্গেল। যদিবা নানান পরিকল্পনা করার পর একখানা ডবল বিছানা কিনেন তাইলে আবার দেখা যাইবে বউ নাই। আর যদি বউ আসে তাইলেতো সবই গেল। মোদ্দা কথা কালের বিবর্তনে মানব জাতি ল্যাজ বিসর্জন দিলেও অভাব তাদের ল্যাজে ল্যাজে ঠিকই ঘুরতেছে।
একদা এই ধ্রুপদী ট্রাজেডির শিকার হইছিলেন পুতিনের বাপ। জ্বী না আমি রাশিয়ার প্রধান মন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের পিতার কথা বলতেছিনা এই পুতিন আমাদের পাড়ার প্রোডাক্ট। পুতিনের পিতারে নিয়া আমাদের সকলের মর্মেই হালকা পাতলা হতাশা ছিল। যদিও আমাদিগের হতাশা নিয়া পুতিনের পিতা মোটেও মর্মাহত ছিলেন না। কারণ মর্ম বেদনার প্রধান উৎস মগজ হালকা মেন্টাল ছিল তার। জাগতিক কোন কিছুই তারে বিন্দুমাত্র আকর্ষণ করত না একমাত্র গঞ্জিকা ছাড়া। উহা সেবন করলে নাকি নশ্বর পৃথিবীটারে অবিনশ্বর নন্দনকানন মনে হয়। কিন্তু তার এই তাৎক্ষণিক স্বর্গবাস কখনোই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে নাই। কারণটা বোধ করি যারা সকলেই অনুধাবন করতে পারতেছেন। যারা পারেন নাই তাদেরকে বরং বুঝাইয়া বলি। আমাদিগের আদি পিতা আদম বাবাও পুতিনের পিতার মতই স্বর্গে বিচরণ করতেন বোধ করি সে খবর সকলেরই জানা। তবে উনি গঞ্জিকা সেবন পূর্বক স্বর্গারোহনে যাইতেন কি না সেইটা অবশ্য প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। বিবি হাওয়া নামক একজন নারীর কারণে যে তিনি স্বর্গচ্যুত হইছিলেন ইহাও নিশ্চয় সকলেই জানেন। স্বর্গচ্যুতির জন্য যে নারীই দায়ি এ ব্যপারে আমরা শিওর হইছিলাম পুতিনের মারে দেইখা। গঞ্জিকা-সেবা করিয়া পুতিনের বাপ যতবার স্বর্গারোহনের চেষ্টা চালায় পুতিনের মা ততবার তারে কনে ধইরা হিড়হিড় কইরা নামাইয়া আনে। এইরুপ বারংবার বাগড়া দেওয়ার ফলে পুতিনের পিতার মতো পরম ঋষিরও একদিন ধৈর্যচ্যুতি ঘটল। পুতিনের পিতা জাতে ব্রাহ্মণ হইলে হয়ত পুতিনের মা ব্রহ্মশাপের আগুনে বেগুন পোড়া হইত কিন্তুক মুসলমান হওয়ায় উনি সে যাত্রা রক্ষা পাইলেন। "এ জীবন আর রাকপো না" ঘোষণা দিয়া পুতিনের পিতা চললেন আত্মহত্যা করতে। সেই সময়ে রেল লাইনে মাথা দিয়া দেহত্যাগের একটা ফ্যাশন চালু হইছিল। আমরা শুভাকাঙ্ক্ষীগণ পুতিনের বাপেরে উপদেশে দিলাম মরতে হইলে ষ্টাইল নিয়া মরতে, রেল লাইনে গলা দিয়া গলগ্রহ দূর করতে। তাছাড়া এই সিস্টেমে ব্যাথা কম লাগে, মিলি সেকেন্ডে কল্লা ঘচাং কইরা নামাইয়া দিবে, ব্যথা পাওয়ার আগেই জব ডান। স্ক্রু ঢিলা হওয়ার কারণে উনি আমাদিগের ষড়যন্ত্র বুঝিতে পারলনেন না। সকাল হইতে চলতে লাগল তার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা। বাংলাদেশের ট্রেন বুঝেনইতো ইহার কুনু টাইম টেবল নাই। রাত পোহাইয়া সকাল হইয়া গেল ট্রেনের খবর নাই, ওদিকে খিদা তেষ্টায় পুতিনের পিতা মুমূর্ষু। শেষটায় আমরাই গিয়া বললাম ঘরে গিয়া চাইরটা খাইয়া আসেন, আজরাইল তো আর পালাইতেছে না। আমাদের কথা উনার বেশ মনে ধরল, না ধইরা উপায় নাই। তাছাড়া না খাইয়া মরার মাঝে কোনরূপ বীরত্ব বিরাজ করে না। আমাদের আশ্বাস বাণীতে আশ্বাসিত হইয়া উনি গেলেন খাইতে। দুই দলা মুখে দিছেন ঠিক সেই সময় ভেঁপু বাজাইয়া ট্রেন ইস্টিশন পার হইয়া গেল।
পরবর্তিতে ইলেক্ট্রিক পোলে উইঠা তড়িৎ পৃষ্ট হইয়া মরার চেষ্টা নিছিলেন উনি। কিন্তুক পোলের ডগায় উঠার আগেই লোড শেডিং আরম্ভ হইল। সে যাত্রাও মরা হয় নাই উনার।
আবজাব আচমকা থামানো হইছে। এই আবজাব মানি না। আরও আবজাব চাই।
আবজাব তো আবজাবই, ইহার শুরুও নাই শেষও নাই।
হ ধুম কইরা শেষ হইছে। মানি না। আরো আবজাব চাই।
কি মুছিবত!!! আর তো কাহিনী নাই
কমন কৌতুক , আনকমন উপস্থাপণা।
মুল ঘটনা কিন্তুক সত্যি।
নাউজুবিল্লাহ!!!
কেন?
এত কষ্টের একটা ঘটনার শিকার ঐ আংকেল! আর আপনে এইটার রসিকতা করেন!!!
তিব্ব পতিবাদ!!
নুশেরাপুর কথায় একমত। আবজাব আচমকাই থামানো হইছে। এওব বিরোধী দলের দোষ, সাথে প্রতিবেশী এক দেশের গভীর ষড়যন্ত্র। দেশপ্রেমিক জনতাকে নিয়া এই ষড়যন্ত্র রুখে দিমু কইলাম
বাহ্, মানু দেকহি লিখিয়াছে!!
আবজাব পিলাস।
থেংকু
সৈয়দ আমিরুজ্জামান দিলাম
পিলাস
হাই মানু ! সপ্তাহে ইরাম দুই চারটা আবজাব দিলে মন্দ অয়না... চলুক
লিমিট নির্ধারণ কইরা দিলেন? মাইন্ডাইলাম
হাহা!! আবজাব ভালু পাইলাম ।
থেংকু
আবজাব ভালু পাইলাম।পুতিনের বাপের তারপর কি হইলো?কুশলাদি জানতে চাই ডিটেইলে।
আছ কেমুন?
পরিনতিটা দুঃখের। সেই সংবাদ ভাগাভাগি করব না।
অসম্পূর্ণ হইলেও উমদা হইছে মানু।
থ্যাংকু
এরকম হঠাৎ শেষ করে দেয়া কেন? আরেক পর্ব চাই পুতিনের বাপকে নিয়া
হা হা হা ..... হবে হবে
মান কোন ঘাটে নৌকা বাও?
আমার নৌকা কি আর আপনের মত এক ঘাটে বাঁধা?
কয় ঘাটে?
মানুরে ভালো পাই। আবজাবও ভালো পাইলাম।
থ্যাংকু মাসুম ভাই
পুরাই আবজাব হইছে
হ
পুতিনের মায়ের নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।
লেখা অত্যন্ত উপাদেয় হইয়াছে
মন্তব্য করুন