আবজাব-৪
ইদানিং কেমন জানি বড়ই অধৈর্য এবং আইলস্যা হইয়া গেছি। লাইব্রেরী হইতে সেইদিন বিদিশার "শত্রুর সঙ্গে বসবাস" বইখানা ধার করলাম, এক মাস পর ফেরত দিতে হবে। পনের দিন পার হইয়া গেছে অথচ মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ শেষ করছি। সাথে আরেকটা বইও নিছিলাম নবকুমার সামথিং-এর পঞ্চাশটা গল্প, তার মধ্যে মাত্র একটা পড়া হইছে। মাথার মধ্যে একখান গদ্য এন্ড একখানা পদ্য ঘুরা-ফিরা করতেছে আইলসামির জন্য সেইগুলারও প্রসব হইতেছে না। বিছানা-বালিশ, জামা-কাপড়, চেহারা মোবারক সর্বত্র আইলসামির চিহ্ণ চরমভাবে প্রস্ফুটিত। দুনিয়াদারির সকল কিছুই কেমন জানি ম্যন্দা মারা হইয়া গেছে।
গতকাল্য রাতে বইসা বইসা একখানা সিনেমা দেখলাম। সিনেমার নাম, "পারসি এন্ড দি অলিম্পিয়ান্স : দা লাইটনিং থিফ"। হইছে কি দেবরাজ জিউসের বজ্র কে বা কাহারা চুরি কইরা নিয়া গেছে এই কারণে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাইতেছে না, জিউসতো মহা খাপ্পা হইয়া আছে, তার ধারণা সমূদ্রদেব পেসাইডনের সুপুত্র পারসি যার মা কিনা আবার মানুষ, সে চুরি করছে। জিউস ধামকি দিছে পেসাইডনরে, সাত দিনের মধ্যে তার বজ্র ফেরত না দিলে পেসাইডনরে পানিতে মারবে। পরে মেলা কাহিনী শেষে এই সমস্যার সমাধান হয়।
তো এই সিনেমা দেইখা আমার বাংলাদেশের কথা মনে হইল। এইখানেও কে বা কাহারা জিউসের বজ্র চুরি করছে ফলে কোত্থাও কারেন্ট নাই, জিউসও খেইপা পেসাইডনের পানি বন্ধ কইরা দিছে। মাঝখান দিয়া চিপায় পড়ছে জনগণ। তারা গরমে ঘামে আর, পানি নাই বিধায় খবরের কাগজ দিয়া কাম সারে। এত অভাব অনটনের পরেও দেশে এত এত দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ত্রৈমাসিক, নিয়মিত, অনিয়মিত, লিটল, বিগ খবরের কাগজগুলান কেন চলে তা উপরোক্ত আলোচনা হইতেই বোঝা যায়। এই বিরাট আবিস্কারের জন্য আমাকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হউক। ইউনুস ভাই যদি সুদের কারণে আপামর জনগণরে অশান্তিতে রাখার পরেও শান্তিতে নোবেল পান তাইলে আমার পাইতে সমস্যা কোথায়?
আজকাল আইলসামির চোটে ব্লগটগও তেমন পড়া হয় না। ফেসবুকে লিংক দেইখা ভাঙ্গা পেন্সিলের "শিশুদের অবক্ষয়" শিরোনামে ব্লগখানা পড়লাম। পোলা ভাল লিখছে। সমাজের বড় একটা সমস্যা আমাগো চোখের সামনে তুইলা ধরছে। আসলে আমরা সমাজের মুরুব্বীরা যদি আইলসামি না কইরা এইসব বেয়াদব পোলাপানের কান জাইতা থাবড়া লাগাইতাম তাইলে ওগো আজ এই হাল হইত না। আজকালকার শিক্ষিত পিতা-মাতা বইসা বইসা ফ্রয়েড পড়ে আর ভাবে মাইর দিলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হইবে। ঐদিকে যে শিশু লাই পাইয়া পাইয়া বেইবি হইতেছে সে খিয়াল নাই। আইলসামি কইরা কইরা আমাদের সামাজিক বন্ধন হইছে শিথিল, সামাজিক দায়িত্ব দিনে দিনে ছাড়ান দিতেছি। এইভাবে চলতে থাকলে দেখা যাবে কবে আট বছরের শিশু পিস্তল ঠেকাইয়া ইজ্জতের শেষ টুকরাটাও খুইলা নিয়া গেছে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত, যদি এখনই আমরা না ঠেকাই।
সবাই যদি এমন চমৎকার চমৎকার আবজাব লেখা শুরু করে তাইলে আমার গঠনমূলক লেকা তো কেউ খাইব না। হায় রাম!
মানু, আইলসার জয় হোক, যদি তা এমন জব্বর লেখা প্রসব করে।
ক্যান আম্রা আছিনা
থ্যাংকু
আমি শুনেছিলাম আপনার লেখার কথা। আজ পরলাম
ভাইয়া অনেক মজা লিখতে পারেন।
মজা করে লিখতে পারেন।
*
শত্রুর সঙ্গে বসবাস একবার শুরু করেন, শেষ না করে থামতে পারবেন না, কাসাম সে। আরে স্বৈরাচারের প্রেমপত্রতো আরো মজাদার ঃ)। আমার আবার হাবিজাবি বই তথা অটোবায়োগ্রাফীর বই দারুন লাগে।
আবজাব কঠিন হইছে!!!!
হুমম...
হুমম
হুমম
হুমম
আপ্নে দিন দিন আরো আইলসা হইয়া যাইতাছেন
আগেকার মতো রম্যগল্প লেখেন না!
লাইফে আর রম্য নাইরে ভাই
হ, শহীদ হওনের আগে যা রইম্য কইরা লন। শহীদ হওয়ার পরে দুঃখের কথা কইলেও মাইনষে কইবো, ওরেরে...মানু রম্য লেখতাছে!
আইলসামি কৈরলে বিবাহ হপে না
আবজাব চমৎকার হইছে
শত্রুর সঙ্গে বসবাস, একবার শুরু করলে না শেষ করে উঠে যাওয়াতো অসম্ভব! টানটান উত্তেজনার মধ্যে বইটি পড়েছিলাম, আত্মজীবনী এত খোলামেলা আর সত্যের কাছাকাছি আর কোনটা পড়েছি বলে মনে হয়না।
আবজাব ভালো লেগেছে।
হুম পড়ছি বইটা। ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ
কাগজের ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই বিরাট আবিষ্কার হইছে মানু । সাবাশ
হে হে হে
নোবেল দেয়া হোক!
আইলসামি ছাড়েন, যা প্রসব করছেন তা ভালু পাইলাম ।
থেংকু
আইলসামি ছাইড়া লেখা শুরু করো। এমুন জোশ আবজাব চাই।
শত্রুর সঙ্গে বসবাস পড়ছিলাম।
আবার পড়া শুরু করেছি
Μου αρέσει
σε ευχαριστώ
আইলসামি কইরা দেরি কইরা পড়লাম। জটিল হইছে। আইলসামী বাদ
ভালো লাগলো লেখাটা
thanku
মন্তব্য করুন