আবজাব-৫
শৈশব পার হইছি কোন জন্মে, কৈশোরও গেছে গিয়া, যৌবন ভাটির দিকে ধাবিত হইতেছে। এইভাবে দেখতে দেখতে কবে দেখব যে আজরাইল স্ব-শরীরে চউক্ষের সামনে হাজির হইছে, তার ঠিক পিছনেই মৃত আত্মীয়-স্বজন হাত তুইলা ডাকতেছে, "ওরে মানু বুখে আয়"; অতঃপর অক্ষিগোলক হইতে চক্ষু-যুগল অর্ধেক বাহির কইরা পপাতচ এন্ড মমারচ। বুঝি সবই, তারপরেও কেন জানি মনজঙ্গল হইতে শৈশবের হনুমানটারে কিছুতেই বিদায় করতে পারি না। মানুষ আর গরুর মাঝখানে বুঝি এখানেই সবচাইতে বড় মিল, দুইজনেই জাবর কাটে। একজন খাদ্য আর আরেকজন স্মৃতি।
জীবন নানানরকম ফ্যাঁকড়ায় সর্বদা জর্জরিত সেই ব্যাপারে যে কোন জীবিত ব্যক্তিই একমত হইবেন। বাঁচা মানেই খাওয়া সেই খাওয়ার জন্য আবার কত কি ঝামেলা পোহাইতে হয়। বাজার করো, রান্না করো, চিবাও, গেল, হজম করো কত কি! তারপর আবার সেই হজম করা জিনিস হইতে উৎপাদিত বর্জ্যের সুব্যবস্থা করতে পুরা ইঞ্জিনিয়ার রাইখা নগর পরিকল্পনা করা লাগে। তবে তার চাইতেও বড় যন্ত্রণা হইতেছে পোশাক। দুই দিন পরপর ময়লা হয়, দুই দিন পরপর ধোয়া লাগে। এই যন্ত্রনায় মাঝেমাঝে মনে হয় ন্যুডিস্ট কলোনীতে নির্বাসনে যাই। ছোটকালে টেলিভিশনে বিবিধ সুন্দরী রমনীদিগকে প্রায়শ দেখতাম কোমর দুলাইয়া নৃত্যরত অবস্থায় কাপড় কাচতেছে উইথ সঙ্গীত। তাদের মৌখিক মিষ্ট হাসি দেইখা মনে হইত ইহ জগতে কাপড় ধোলাইয়ের মত আনন্দদায়ক বস্তু বোধ করি আর দ্বিতীয়টা নাই। তা সেইটা মনে করার যথেষ্ট কারণও ছিল, ইস্কুলের মাষ্টাররা যখন পড়া না করার জন্য ধোলাই দিত তখন তাদের মুখেও এক রকমের স্বর্গীয় হাসির আভা দেখতে পাইতাম। সেই কারণে ধইরা নিছিলাম ধোলাই মানেই আনন্দ। কিন্তু কিয়ের কি! আজ যৌবনের এই ঊষালগ্নে স্বীয় কাপড় ধোলাই করতে গিয়া একজনরে বড়ই মিস করি, সে আমার মা-বাবার হবু পুত্রবধু।
ভালো লাগলো...
থ্যাংকু
আহারে মানুদা...কাপড় কাচার জন্য বিয়া না কইরা একটা ওয়াশিং মেশিন কিনেন। খরচ বাঁচবো গ্যারান্টেড
তার উপ্রে ওয়াশিং মেশিনের সুইচ আছে। বেশি আওয়াজ দিলে বন করতে পার্বেন 
এইটাও একটা গুড আইডিয়া
ভাংগার কমেণ্টের সাথে সহমত
এই যন্ত্রনায় মাঝেমাঝে মনে হয় ন্যুডিস্ট কলোনীতে নির্বাসনে যাই
আমি পরিদর্শক হিসেবে যাইতে রাজি
ওক্কে আপনি তাইলে আগে পরিদর্শন কইরা আইসা রিপোর্ট করেন
এই একটা লাইন, একটা কথা কইতে কতইনা ইতং বিতং। "সহজ কথা যায়না বলা সহজে" আর সেই কথাটা হইলো মানু বিয়া করতে চায়। নইলে যে কাজে বুয়া দরকার সে কাজে বউ এর কথা কেন আসবে?!
আমি কিন্তু কোত্থাও কই নাই আমি বিবাহ করতে চাই। আপনারা খামাখাই দুই লাইন বেশী বুইঝা নেন
হাহাহাহাহ। আবার কমিটি করার ইচ্ছা হইতাছে।
কইরা ফালান মাসুম ভাই। খরচাপাতি যা লাগে সব মানু দিব। "মানুষে"র বিয়া বইলা কথা। যদিও বিয়ার পর এই নিকটা তার অর্থ হারাইব। (কারন, গাধারাই তো বিয়া করে)
আমি কিছু কইতে চাই না @ মাসুম ভাই
man is mortal; পুরুষ মাত্রই মরণশীল @ বকলম
আহারে মানুর দুক্ষে চোক্ষে পানি আসছে। টিস্যু কই মানু? একদিন আইবো যেদিন নিজের কাপর ধুইবা সাথে বাচ্চা কাচ্চার। বউ এর কথা আর কইলাম না।
জয়িতা তার মনের ইচ্ছাটা জানাইয়া দিলো
হ, জইতার জামাইয়ের জন্য রইল একবুক সমবেদনা
আহারে সেই দিন কি কখনো আসপে !
একবার লেখলা যৌবন ভাটির দিকে মানে শেষ। আবার লেখলা যৌবনের উষা লগন। বিষয় কী, যৌবন একবার শুইয়া পইরা আবার খারায় যাইতেছে কেমনে?
ঊষা যখন হইছে গোধূলীতো আসবেই :(। সব কিছুই ক্রমাগত ভাটির দিকে ধাবমান, ইহা একটি মেটাফোর আপনি সেইটারে লিটারেলি নিয়া দিলেন প্যাঁচ লাগাইয়া
অচিনদা, কাটা ঘা'য়ে নুনের ছিটা দেওন ঠিক না। বিয়ার চিন্তায় মানু'র যৌবন টেনশনে আছে, একবার শোয় তো একবার খাড়ায়। Try to understand Man....
এই পুষ্টখানা ড্রাফট করা লাগপে
আল্লাহ মাফ কর!........ আর কত কি যে দেখুম......মানু আন্টির ফুন নম্বরা দাওধিনি!
জ্বরে ভোগা নিয়া তোমার বৌ সংক্রান্ত পুরানা পোষ্টের কথা মনে পড়ল... মুছে দিছো বলে লিংক দিতে পারলাম না
যৌবন ভাটির দিকে আবার যৌবনের উষা লগন - বিষয়টা বুঝা্যা বলো তো, ইতং বিতং বাদ দিয়া.. সহজ ভাষায়
যৌবন ঊষালগ্ন ভাটির দিকে ধাবিত হইতেছে এই কথা কইছি আমি। পোলাপান আমারে আগেই ভাটিত পাঠাইয়া দিল, নট ফেয়ার
মন্তব্য করুন