ইউজার লগইন

গানগল্প- ২ [এতদিনে ফুল কুড়ালাম, ভরল মনের ডালা]

"ধূচ্ছাই, ভাল্লাগে এসব? প্রতিদিন এই একই কাজ? একখানে বসে থাকা? বসে থাকতে থাকতে তো আমি মাটির সাথেই লেপ্টে যাব! কোনদিন দেখবো, আমি নিজেই মাটিতে শিকড় গেঁড়ে ঢুকে গেছি! ধূর! আর করবো না। আজই শেষ।” আনমনে গজগজ করতে থাকে লাবণ্য। তারপর পাশের রান্নাঘরে বসে থাকা মা'কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে থাকে, "কেন বাবা, আর কেউ নেই? আমিই কেন রোজ রোজ এই কাজ করবো? আর কেউ নেই? একটু ঘুমাতেও দেবে না, সাত সকালেই ঘুম ভাঙিয়ে দেবে! আমি মনে হয় পেটের সন্তান না। তাই এত অবহেলা। নিজের মেয়ে হলে ঠিকই ঘুমাতে দিতো।"

মেয়ের ক্রমশ: একলা কথা চালিয়ে প্রতিভায় আর কেউ মুগ্ধ না হোক, রজত বাবু অসম্ভব মুগ্ধ। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তার প্রথম সন্তান কি হবে, সেটা নিয়ে সবার মাঝেই প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। সেই সন্তান ছেলে হলে যেমন আদরে আদরে ঘিরে থাকতো, তার কিছু মাত্র কম পায়নি মেয়ে হয়ে লাবণ্যও। এর একটা বড় কারণ হতে পারে লাবণ্যর বড় পিসির অনুপস্থিতি, যিনি মাত্র দেড় বছর বয়সে মুখে একটি মাত্র দাঁত সম্বল করে চকিত হাসিতে সবার মায়া কেড়ে স্বার্থপরের মত সবাইকে কাঁদিয়ে নাই হয়ে যান।
মেয়ের এই অবিরত কথার তোড়ে ঘুম ভেঙে ঢুলুঢুলু চোখে বারান্দায় সূর্যপ্রণাম সেরে ঠাকুরঘরে উঁকি দেন রজত বাবু। লাবণ্য সেখানেই বসে বসে মায়ের সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছে। মায়ের সাথে কথা চালানো ব্যাপারটা ঠিক যুৎসই না লাগলে এটা বলা যেতে পারে, ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যাচ্ছে। মা চুপচাপ সবজিগুলো কেটে- কুটে রাখছেন একটু পরেই রান্না চড়াবেন বলে আর লাবণ্য একা একাই কথা বলে যাচ্ছে। বাবার গলা শুনে ঘাড় আলতো বাঁকিয়ে চোখের কোণা দিয়ে তাকিয়ে দেখে। বাবাকে দেখতে পেয়েই খুশিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে চোখ- মুখ। অসম্ভব রূপসী ষোড়শী মেয়েকে দেখে রজত বাবুর আপনাতেই কেমন যেন গর্ব হতে থাকে। এত চমৎকার মেয়ে তার। সারা দিন কথায় মুড়ে রাখে ঘরটাকে। যতক্ষণ বাসায় থাকে চারদিক যেন আলোয় ঝলমল করতে থাকে তার রূপলাবণ্যের ছোঁয়ায়। মাঝে মাঝে একটা চিনচিনে ব্যাথা অনুভূত হয় রজতবাবুর বুকের বাম দিকটায়। এত প্রিয় মেয়েকে পরের ঘরে তুলে দিয়ে একা কি করে থাকবেন তিনি? ঘুমই বা ভাঙবে কার কিচিড়- মিচিড়ে?

দিদি আবারো? রোজ রোজ চিল্লাচিল্লি না করলে তোর পেটের ভাত হজম হয় না, না? দিবো ধরে একটা থাবড়া। চুপ কর। ঘুমাতে দে। ছোট ছেলে প্রিয়াংশু'র কথা শুনে মুচকি হেসে বাস্তবে ফিরে আসেন তিনি। ভাই- বোন দু'টোতে নিত্যদিন খুনসুটি লেগেই আছে। এই প্রিয়াংশুর একটা কলম নিয়ে গেল লাবণ্য, আবার ওদিকে দিদিভাইর শখ করে কেনা নতুন ওড়না দেখে সেটাকে রাস্তার মেয়েদের পছন্দ বলে খোঁচা দেয়া ভাইটার। সারাদিন এসব চলছেই। দু'জনের হাজারটা অভিযোগ শুনতে হয় রাতে কাজ সেরে বাসায় ঢোকা মাত্রই। তবুও কখনো যদি লাবণ্য একদিনের বেশি দু'দিন বাসার বাইরে কোন আত্মীয় বাসায় থাকে, ঠিকই দ্বিতীয় দিন প্রিয়াংশুকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে। একদিনও বোনকে ছাড়া থাকতে পারে না। ভীষণ দিদিভাই ন্যাওটা। একই রকম লাবণ্যও। ভাইয়ের অসুখে রাত জেগে শুশ্রুষা, ভোরে ঠিক ঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে, স্কুলের পড়া তৈরি করে দেওয়া, ঠিক যেন মায়ের পাশাপাশি ছোট মা।

কিছুটা মফস্বল মত শহর বলে এখনো বাড়ির সামনে উঠোনের চল উঠে যায়নি। এখনো বাড়ির আসে- পাশে বড় বড় ইট- কাঠ- পাথরের নিষ্প্রাণ দালানের হম্বি- তম্বি ততটা ভারি হয়ে ওঠেনি, বরং এখনো কান পাতলেই ভোরে শালিকের ডাক, মাঝ রাত্তিরে শেয়ালের হুক্কা- হুয়া কিংবা ঘরের বারান্দা লাগোয়া আমগাছকে ঘিরে লতানো গাছের দেখা পাওয়া যায় বেশ ভালোই। পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত বাড়িটাকে রাজমিস্ত্রীদের দিয়ে প্রতিবছর শুশ্রুষা করে হলেও এই বাড়ির মায়া কাটাতে পারছেন না রজতবাবু কেবলমাত্র এই চারপাশের গাছপালার কারণেই। কিছুটা ভঙ্গুর চিলেকোঠায় বসে শীতের দুপুরে আরামদায়ক উষ্ণতা উপভোগ, কিংবা বৃষ্টি হলে ছেলে- মেয়ে দু'টোর হই- হই করে সবার বারণ উপেক্ষা করে ছাদে উঠে যাওয়া, গ্রীষ্মের দাবদাহে গাছ বেয়ে উঠে আম পাড়া; এগুলোই তো এই বাসার সুবিধা, এগুলোই তো এ বাসার স্মৃতিকাতরতা। তা না হলে, কদিন ধরেই শহরে নতুন আসা "প্রতিশ্রুতি আবাসনের" প্রতি তলায় দুটি করে ফ্ল্যাট, বার তলা বিল্ডিংয়ের তিনটি ফ্ল্যাটের মালিকানা কেবলমাত্র এই জায়গার সাথে বদলের মত লোভনীয় প্রলোভনের ফাঁদ এড়িয়ে এখনো এই দ্বোতলা বাড়ির মালিকানা আঁকড়ে রাখার অন্য কোন কারণ নিতান্তই ছা-পোষা চাকুরের থাকা উচিত না।

লাবণ্যর যত অভিযোগ ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথা নিয়ে। প্রতিদিন ভোরে স্নান করে ঠাকুর পূজো দিয়ে গেরস্থালির কাজকর্ম শুরু করেন লক্ষীদেবী। ঠাকুরের পূজোতে ব্যবহারের জন্য ফুল, মালা প্রয়োজন। তাই লাবণ্যর মালা গাঁথা। আর তাই নিয়ে তার হইচই। বাড়ির সামনের উঠোনে থাকা শিউলি গাছটা যেন ফুলের ভাঁড়ার। শীত- গ্রীষ্ম বারমাসই তার ফুল ফোটানোর পালা চলে। কোন বিরাম নেই, কোন অনুযোগও নেই তার। প্রতিরাতে তার আঁচল ভরে সে ফুটিয়ে চলে স্নিগ্ধ দুধ সাদা ছোট ছোট ফুল। ছেলেবেলায় প্রথম যখন লাবণ্যর গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে শেখা, হঠাৎ হাঁটতে হাঁটতে ধপ করে পরে যাওয়ার সূচনা, তখন থেকেই কেমন করে যেন ঐ গাছের সাথে তার সখ্যতা হয়ে যায়। বলা নেই, কওয়া নেই কান্না, খাওয়ালেও কমছে না, কোলে নিয়ে হাঁটলেও কমছে না, ঘুম পাড়ানি গান শোনালেও কমছে না, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। অথচ কি আশ্চর্য, শিউলী গাছের কাছে আনতেই সব শান্ত। মন্ত্রমুগ্ধের মত এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে থোকা থোকা লাল- সাদা ফুলের দিকে। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে লাবণ্য আর সাথে হতে থাকে দুয়ে মিলে এক অপূর্ব যুগলবন্দী। প্রিয়াংশু এসে এই যুগলবন্দীতে কিছুটা ভাগ বসায়। তাতে শিউলীপ্রীতি কিছুমাত্র হ্রাস পায় না, বরং আগে যেখানে টান ছিল দ্বৈত, এখন সেটা হয়ে দাঁড়ায় ত্রয়ী।
রোজ সকালে লাবণ্যর প্রথম কাজ ফুল কুড়ানো। এটা যে তাকে দিয়ে জোর করে করানো হয়, এমনও না ব্যাপারটা, সে স্বেচ্ছায় এবং অনেক আনন্দের সাথে করে। এমন দৃশ্যও প্রতিবেশীদের কাছে খুব সাধারণ, সারারাত ঝুম বৃষ্টি, পিচ্ছিল চারপাশ, ভোরেও বৃষ্টির তীব্রতার এতটুকু হেরফের হয়নি, তার মাঝেও একটা ছোট ছেলে ছাতি হাতে দাঁড়িয়ে আর একটা মেয়ে জুল- জুল চোখে তাকিয়ে ভেজা- ভেজা ফুল তুলছে। এমন ভালোবাসা মিশে যে কাজটায়, সেটার বিরুদ্ধে অনুযোগ শোনাটা কিছুটা আশ্চর্যজনকই! প্রথম প্রথম যখন লাবণ্য ফুল কুড়িয়ে এসে পরদিন যাবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতো, মা হয়ে লক্ষীদেবী তাতে আপত্তি করেননি। বরং, পরদিন নিজেই ফুল কুড়িয়ে এনে পূজো সেরেছিলেন। কিন্তু, ফুল কুড়াতে না হওয়ায় লাবণ্যর খুশি খুশি মুখ যেখানে প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে তার অগ্নিমূর্তি দেখেই দ্বিতীয়বার আর কখনো তাকে ঘুম থেকে তুলতে ভুল হয়নি কারো। তাই তো, প্রতিদিনকার মতন আজও যখন লাবণ্য বসে বসে যাব না, যাব না করছিলো, তাতে এতটুকুও বিচলিত হননি, বরং মিটিমিটি হাসি ফুটছিল তার ঠোঁটের কোণায়।

ক'দিন ধরেই প্রিয়াংশুর বেশ জ্বর, সাথে খুক- খুক কাশিও। প্রথমে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাভাবিক চিকিৎসা হিসেবে গায়ে চাদর জড়িয়ে সকাল বিকাল তুলসীপাতা খাওয়ানো হচ্ছিল তাকে। তাতে অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া আর তার ফলাফল হিসেবে গত এক সপ্তাহ থেকে শুরু করে আগামী দশ- বারো দিন তার বিছানা থেকে ওঠা, ঠান্ডা লাগানো নিষেধ। এক রকম ঘরবন্দী অবস্থা তার। অসুস্থ ভাইটার ডাক শুনে ফুল ফেলে লাবণ্য এক ছুটে ঘরে। মশারি সরিয়ে কপালে হাত দিয়ে জ্বর মাপার প্রচেষ্টা চলে কিছুক্ষণ।
:: এহ, আমার ডাক্তার আসছেন!!
ভাইয়ের খোঁচায় কিছু মনে করে না সে। অসুস্থতার কারণে সাত খুন মাফ। এরপর ফিসফিসিয়ে ভাই- বোনে চলে কিছু কথোপকথন।
:: দিদিভাই, কতদিন ফুল তুলি না। ঘর থেকে বেরও হইনা। খুব ইচ্ছে ফুল তুলি। কাল আমাকে নিয়ে যাস। মা তো বের হতেই দেবে না। তুই একটু বল না..
- দেব ধরে এক থাপ্পড়! জ্বর বাঁধানোর সময় খেয়াল ছিলো না। সারাদিন টই- টই করে ঘুরে বেড়ানো, নাওয়া নেই, খাওয়া নেই ঠিক মতন। এখন ঘর থেকে বের হতে পারছি না দিদিভাই! যখন অসুস্থ আর দরকার, তখন দিদিভাই, না? দেব ধরে একটা!!

তবু, পরদিন খুব ভোরে, যখন কেউই ঠিক মত ঘুম থেকে ওঠে নি, সবে মাত্র রাতের আঁধার কেটে পূবের আকাশ চিড়ে উড়ে যাওয়া কালো কাককেও একটু লালচে মত দেখায়, তখন চুপি চুপি দরজা খুলে বের হয় দুটি ছেলেমেয়ে। যাদের একটির পরনে স্কার্ট ও গেঞ্জি আর আরেকটির পরনে যাই থাক না কেন, সেটা দেখা যাচ্ছে না গায়ে আস্ত একটি কম্বল জড়িয়ে থাকার কারণে। কম্বলের ঘেরাটোপে বন্দীর অসংলগ্ন পা ফেলা থেকেই বোঝা যায় তার দূর্বলতা; যেটা সে কাটিয়ে উঠছে পরম মমতায় তাকে ঘিরে থাকা একজোড়া বাহুর উপর ভর করে। গুটিগুটি পায়ে তারা এগিয়ে যায় শিউলি গাছটির দিকে। শিউলি তলায় আজ শুভ্র উৎসব। সাদা সাদা ফুলে ভরে আছে পুরো অংশটুকু। আকাশ আস্তে আস্তে লাল হতে থাকে আর অনেকদিন পর প্রিয় শিউলী গাছের কাছে আসার আনন্দে বিভোর প্রিয়াংশুর কম্বল ভরে উঠতে থাকে লাল- সাদা ফুলে। উবু হয়ে দাঁড়িয়ে তার কাঁধ ধরে রাখা লাবণ্যর চোখে- মুখে তখন পরিতৃপ্তির হাসি আর মনে মনে এতদিনে ফুল কুড়ালাম, ভরল মনের ডালা

উৎসর্গ: আমার দিদিভাইকে; আমার সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই, তবু আমার প্রতি যার অসম্ভব রকমের বেশি স্নেহাশীষ।
উপহার: সদা হাসিমুখ একজনকে; যার জন্মদিন ৫ই আগস্ট, আমার আগের গল্পের মূলচরিত্রের ঐ তারিখেই ঘটা দূর্ঘটনা যাকে দু:খ দেয়।
কৃতজ্ঞতা: তিথীডোরকে; যে ফেসবুকে গানটা শেয়ার না করলে এই গল্প হয়ত লেখাই হত না।

পোস্টটি ১২ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


দুর্দান্ত বস...দুর্দান্ত! খুব সুন্দর চিত্রপট। দারুণ লেখছেন।

মুক্ত বয়ান's picture


থ্যাংকু থ্যাংকু। Smile
একটা বিগলিত হাসির ইমো হইবেক। Smile

জ্যোতি's picture


পিচ্চি মুক্ত কত্ত সুন্দর লেখে! মুগ্ধ।

মুক্ত বয়ান's picture


পিচ্চি কইলেন?
ব্যাপার্না। আপনেরে তো আর সাধে সাধে খালাম্মা ডাকে না!!! Tongue
থ্যাংকু থ্যাংকু। Smile

জ্যোতি's picture


কেউ খালাম্মা ডাকুক আর ঠুপ্পি ডাকুক তাই বলে আমি ছোট ভাইকে পিচকি বলবো না?আজব তো! কি দিনকাল পড়লো!

আবদুর রাজ্জাক শিপন's picture


 

 

চমতকার হয়েছে,মুক্ত  ।

 গানগল্পের আইডিয়াটাও দারুণ !

মুক্ত বয়ান's picture


থ্যাংকু ভাইয়া।
আপনার নতুন গল্প কই?? অনেকদিন আপনার গল্প পাই না। Sad
তাড়াতাড়ি...

নুশেরা's picture


বাহ্! বেশ গল্প! মুক্তর গল্পের হাত বরাবরই ভালো ছিলো, দিন দিন আরো বেশি খুলছে। দিদিভাইটিকে শুভেচ্ছা।

একটা কথা।
অসম্ভব রূপসী, রূপলাবণ্য-- ষোল বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে লেখকের চয়িত শব্দ হিসেবে ভুল না হলেও বাবার ভাবনায় কেমন যেন লাগছে। বাবামায়েদের চোখে অনেকদিন পর্যন্ত শিশু থেকে যায় সন্তান; তখন বোধহয় মিষ্টি, সুন্দর, আদুরে এগুলো বেশী মানানসই।

মুক্ত বয়ান's picture


আপু, এইটা আমি খেয়াল করি নাই আগে। ঐ অংশটা আসলে রজতবাবুর ভাবনা আর সাথে লেখকের ভাবনা।
আমি আবার পড়লাম, একটু কনফিউজড। লাবণ্যর বর্ণনা দেওয়াটা লেখকের আর পরবর্তিতে "এত প্রিয় মেয়েকে ছেড়ে .... " ওখানে আবার রজতবাবুর ভাবনা। Smile
পরের লেখায় এই খুঁটিনাটি অংশগুলাও খেয়াল রাখবো। যাতে পাঠক পড়ে বিভ্রান্ত না হয়। Smile
ধইন্যা ধইন্যা। Smile

১০

সুরঞ্জনা's picture


আমারো একটা ছোট্ট ভাই আছে. . . . .ওকেই যেন দেখলাম ! !
সুন্দর. . . .খুব সুন্দর ! SmileSmileSmile

১১

মুক্ত বয়ান's picture


তাই নাকি?
ওরে অনেক অনেক আদর। Smile

১২

মেসবাহ য়াযাদ's picture


বাহ, সুন্দর । বেশ সুন্দর হৈছেরে...।
কল্পনায় একটা মফস্বল শহর, একটা দোতলা পুরোনো বাড়ি, বাড়ির চুলার পাশে মা আর খাটে শোয়া বাবাকে দেখতে পাচ্ছিলাম। লাবণ্যর কলকলানী বেশ উপভোগ্য। ছোট ভাইটির খুনসুটিও। আবারো বলি, খুব ভালো হৈছে... Big smile Smile

১৩

মুক্ত বয়ান's picture


ধইন্যা ভাইয়া। Smile
ঘটনা হইল, আমাদের সবারই মোটামুটি এইরকম কিছু স্মৃতি আছে, যেগুলাকে একটু উস্কে দিলেই অনেক কথা পর-পর মনে পরে যায়... এই গল্পটাও অনেকটা সেরকম। আমি নিজেও তেমন ভেবে লিখতে বসি নাই, একটু লেখার পরেই আপনাতেই এদ্দূর চলে আসছে। Smile

১৪

মীর's picture


কালকে রাত্রে সবার আগে আমি এই পুস্টে কমেন্টাইসিলাম। লুডশেডিঙ-এ সেই কমেন্ট খায়াল্চে। মুক্ত'র গল্প ভালা পাই। আর এইটার বর্ণনাভঙ্গি অসাধারণ হৈসে Smile

১৫

মুক্ত বয়ান's picture


মানলাম না। Crazy
মন্তব্য না আসলে সাথে সাথে আবার ঢুকে আবার মন্তব্য করতে হবে না?? আজিব!!! Tongue
যাই হোক, আপনের মন্তব্য ভালা পাইলাম। Smile ধইন্যা।

১৬

রাসেল আশরাফ's picture


অসাধারন মুক্ত।

ইদানিং আমার একটা সমস্যা হয়ছে সেটা হলো যাই পড়ি তার কিছুক্ষন পর সেগুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকে।

এই গল্পটাও সেইরকম হয়ছে।

মেসবাহ ভাই বলে দিসে বাকীটুকু। Applause Applause Applause Applause

১৭

মুক্ত বয়ান's picture


হা হা হা...
চোখের সামনে ভাসতে থাকলে তো অসুবিধা, রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় অ্যাক্সিডেন্ট করতারেন!!! সাবধানে থাইকেন!!! Tongue
গল্প ভালো লাগার লিগ্গা ধইন্যা। Smile

১৮

রাসেল আশরাফ's picture


ওকে বদ্দা।রাস্তার সিগনাল বাতি মাইনা চলুম।আর আপনাগো গাড়িগুলারে একটু লেন মানতে কইয়েন তাইলে আর অ্যাক্সিডেন্ট হইবো না। Steve Steve Steve Steve

১৯

মুক্ত বয়ান's picture


এককাম করেন, হল্যান্ড যান গা.. ঐখানে নাকি সাইকেলের ভয়েই গাড়িওয়ালার তটস্থ থাকেন সারাদিন!! Tongue

২০

রাসেল আশরাফ's picture


না রে ভাই ওই দেশে গেলে সারাদিন আলু খাইয়া থাকা লাগবো।

ছয়মাস আলু খাইয়া আছি।আর পারুম না খাইতে।

২১

মুক্ত বয়ান's picture


আপনে কি আলুর্লোক নিকি?? Tongue

২২

রশীদা আফরোজ's picture


বাহ, বেশ লেখা!

২৩

মুক্ত বয়ান's picture


থ্যাংকু আপু। Smile

২৪

নীড় সন্ধানী's picture


যেন চোখে দেখা কয়েকটা দৃশ্যের বর্ণনা পড়লাম। Smile

২৫

মুক্ত বয়ান's picture


সবার কাহিনীগুলা মনে হয় একই রকম ভালো লাগাময়। Smile
থ্যাংকু ভাইয়া। Smile

২৬

অদ্রোহ's picture


আইডিয়াটা দুর্দান্ত। কিছু টাইপো আছে, একটু দেইখেন Smile

২৭

মুক্ত বয়ান's picture


ওক্কি- ডক্কি। Smile
বানান মাস্টার ভুল ধরলো না, তুই কোত্থেকে ধরলি!!! Big smile

২৮

শওকত মাসুম's picture


দারুণ। মুক্ত ছেলেটা এতো কম লেখে কেন?

২৯

মুক্ত বয়ান's picture


ছেলেটা যে অনেক আইলসা, এই জন্যে!!! Tongue
থ্যাংকু ভাইয়া। Smile

৩০

বিষাক্ত মানুষ's picture


সাবাশ Smile

৩১

মুক্ত বয়ান's picture


মাথা পাতিয়া লইলাম!! Smile

৩২

বিপ্লবী's picture


আসলেই চোখের সামনে দেখলাম যেন ..... সুন্দর লেখা হয়েছে মুক্ত Smile

৩৩

মুক্ত বয়ান's picture


এই... এইটারে পরিচিত পরিচিত লাগে... পাশাপাশি কক্ষবাসী নাকি?? Wink Wink
লেখা ভালো লাগার লিগ্গা থ্যাংকু। Smile

৩৪

বাতিঘর's picture


আপনার মুক্তোর মতো বয়ান এতোটাই ঝরঝরে কী বলবো! গল্পে কখন নিজেই ঢুকে গেছি রে!!!
আন্তরিক অভিনন্দন থাকলো অতি চমৎকার এই লেখাটির জন্য Smile শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩৫

মুক্ত বয়ান's picture


গল্পে ঢুকছেন ঠিকাছে.. বাইরাইতে পারছেন তো?? Wink Wink
আর, ফ্রি ফ্রি মুক্তো দেখলেন... এখন ট্যাক্স দেন!!! Tongue

৩৬

বাতিঘর's picture


ও হে কাব্য করে এরকমটি বলতে হয় Glasses বুঝতে হবে তো! নইলে কিসের সাহিত্য করো হে Crazy আসছেন বড় ট্যাক্স চাইতে Angry

শুল্কমুক্ত ঈদ শুভেচ্ছা নেন Big smile

৩৭

মুক্ত বয়ান's picture


শুল্কমুক্ত?? নিজেরে তো সাংসদ সাংসদ লাগতেছে!! Tongue

৩৮

বাতিঘর's picture


সরকার প্রধানের মতু নিরীহ ব্লগারের উপ্রে ট্যাক্স বাসাতে পারলে ক্ষমতা হারায়া নিদেন পক্ষে সাংসদ হিসেবে 'শুল্কমুক্তে' পবলেম হবার তো কথা না Crazy

৩৯

মুক্ত বয়ান's picture


হা হা হা হা হা!! Laughing out loud

৪০

তানবীরা's picture


মুক্তকে অসংখ্য ধন্যবাদ কোনরকম ট্র্যাজেডি ছাড়া গল্পটা শেষ করার জন্য। ভয় পাচ্ছিলাম ভাইটাকে নিয়ে

সুন্দর লেখা

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.